ভালোবাসার_অভিনয় পর্ব-২৫+২৬

0
3162

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২৫

পরীর মামি আয়ান এর হাতে একটা ধাগা পরীয়ে দিলো,,,তরপর অন্য হাতে একটা গাধা ভুল এর মালা বেধে দিলো,,,,,,

তারপর সবাইকে নিয়ে ভেতরে চলে গেলো পরী ও ভেতরে যাবে তখনি কেও পরী হাত টেনে সবার চোখের আড়ালে নিয়ে গেলো,,,,

পরী-কে কে,,,,,

পরী সামনে তাকিয়ে দেখে তার সামনে
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরী-আমাকে এইভাবে এখানে আনার কারন কী,,,,,

রেদ-আমার বউকে দেখতে এতো সুন্দর লাগলে তো বর তো একটু বউকে আদর করার জন্য এইরকম করতেই পারে,,,

পরী-কী আজে বাজে কথা বলছেন,,,,আর কে আপনার বউ হ্যা,,,,

রেদ পরী কোমর এ হাত দিয়ে নিজের দিকে টান দিলো,,,পরী রেদ এর বুকে মিসে গেলো,,,পরী চোখ বড় বড় করে একবার রেদ কে দেখে আসে পাশে তাকিয়ে দেখে কেও আসে পাশে আছে কী নাকি,,,,

পরী-কী করছেন যদি কেও দেখে ফেলে কী ভাববে ছাড়েন,,,,

রেদ-যার যা ভাবার ভাবুক,,,তাতে আমার কী,,,,আমি তো,,,আহহহ

রেদ আর কিছু বলার আগে পরী নিজের হিল দিয়ে রেদ এর পায়ে পারা লাগিয়ে দেয়,,,আর রেদ ব্যথ্যা পেয়ে পরীকে ছেরে দেয়,,,ছাড়া পেয়ে পরী এক দৌড়,,,

কিছু দূরে গিয়ে পরী পিছন ফিরে রেদ কে একবার দেখ হাসতে হাসতে চলে গেলো,,,,,,,

রেদ বেচারা পরীর হাসি দেখে পায়ের ব্যাথা ভুলে গেলো,,,আর পরীর পিছু পিছু ভেতরে চলে গেলো,,,,
মা
মীম আর আয়ান এর হলুদ চলছে,,,,পরী মীম এর পাশে বসে রয়েছে,,,তখন পরী দেখলো তার মামি ফোন এ কথা বলতে বলতে কোথায় যেনো যাচ্ছে,,,,

তাদেখে পরী উঠে তার বড় মামির পিছন পিছন গেলো,,,,

বড় মামি ফোনে কথা বলছিলো-দেখ তোর মা তোর সাথে কথা বলতে চায় না,,,,তোরা যা করেছিস তা সত্যি ক্ষমার অযোগ্য,,,,,তুই বল তোরা যা করেছিস তা কী ক্ষমা করা যায়,,,,

-……………

বড় মামি-দেখ মা আমি বলছি তুই পরীর কাছে ক্ষমা চা,,,,হয়তো পরী ক্ষমা করে দিলে সবাই তোকে ক্ষমা করে দিবে,,,,

পরী-বড় মামিমা,,,, ফোনটা আমাকে দেও,,,,,

পরীর বড় মামি পিছন ফিরে দেখে পরী দারিয়ে আছে,,,,

বড় মামি- পরী আসলে,,,,

পরী-ফোনটা দেও,,,,

পরী তার মামির কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে-রুবি কাল আমার বোন মীম এর বিয়ে কাল তুমি আর নিলয় আসবে,,,আর হ্যা আমি খুশি হবো তোমরা আসলে,,,,

রুবি-পরী আমি আসবো কিন্তু তুমি আমাকে ক্ষমা না করলে যে আসতে পারবো না,,,,

পরী-আমি তোমাদের দুইজন কেই ক্ষমা করে দিয়ে,,কাল যেনো বিয়েতে তোমাদের আমি উপস্থিত পাই,,

রুবি-হুম আমরা আসবো,,,,,

পরী ফোনটা নিজের মামি কে দিয়ে বলল-ওরা আসবে কাউকে বলবেন না,,,,কাল ওরা আসলে আমি নিজে সবাইকে সব বলবো,,,,

পরী সেখান থেকে বের হয়ে হল এ চলে এলোপরী মীম কে হলুদ লাগিয়ে হলুদ এর পর্ব শেষ করলো,,,

শুরু হলো নাচ গান,,,সবাই এক এক করে নাচছে,,,,পরীর নাচ ও আছে,,,,দল নাচ,,,

কিছুক্ষন পর শুরু হলো পরী আর তার সব ফ্রেন্ড মিলে দল নাচ,,,,

তারা আগের দিন এর হলুদ এর গান গুলোতে নাচলো,,,,একদম আগের দিন এর সব স্রিতি সব মনে করিয়ে দিলো সবাইকে,,,,

রেদ রায়ান আর মেঘার সাথে বসে পরীর নাচ দেখছিলো,,আর তার মুখ উজ্জ্বল করা তার মায়াবি হাসি,,,,

যা রায়ান আর মেঘা বেশ লক্ষ্য করছে,,,,

মেঘা-রায়ান আমার মনে হয়ে রেদ প্রেম এ পরেছে,,,

মেঘার কথা রেদ চট করে নিজের চোখ পরীর থেকে শরিয়ে তার দিকে তাকালো,,,,তাদেখে রায়ান আর মেঘা হেসে দিলো,,,

রায়ান-আমার ও তাই মনে হচ্ছে,,,,,,,

রেদ হালকা হেসে মাথা চুলকোতে চুলকোতে নিচে তাকালো,,, আবার চোখ তুলে পরীর নাচ দেখলো,,,

পরীর নাচ শেষে পরী নিচে নেমে এলো,,,যেখানে মীম আর তার ২/৩জন ফ্রেন্ড হাতে মেহেদী লাগাচ্ছে,,,,

পরী ও মেহেদী লাগাতে বসে পরলো,,,,পরী আর মীমের পুরু হাতে মেহেদী তাই,,,,পরী মামিমা পরী আর মীম কে খাবা খাইয়ে দেয়,,,,,,,

হঠাৎ করে রায়ন এর মেয়ে বৃষ্টি এসে বলে-পরীমনি তোমাকে এখনি ছাদে যেতে বলেছে,,,,

পরী-কে,,,,,

বৃষ্টি আ কিছু না বলে দৌড়ে চলে যায়,,,পরী ভাবে কে না কে ডাকলো তাই সে ছাদে গেলো,,ছাদে গিয়ে দেখ,,,বাইরের লাইট এর আবছা ছায়া ছাদে আসছে,,,,

পরী-কেও আছে,,,

তখনি হঠাৎ পরী নিজের পিঠ এ কারো নিশ্বাস এর পরশ,,,পায়,,,পরী ভয় পেয়ে যায় তখনও পিছে থাকা লোক টা পরী কাধে হাত রাখতেই পরী ভয় এক নিমিষ এ শেষ হয়ে যায়,,,,

পরীর ঠোটের কোনো হাসির ররেখা ফুটে উঠে,,,তার কাছে লোকটা এখন পরিচিত তাই তার ভয় লাগছে না,,,,,

পরী-এই সময় আমাকে এখানে ডাকার মানে কী রেদ,,,,

রেদ-কিভাবে চিনলে,,,

পরী-এই স্পর্শ টা যে খুব চেনা হয়ে গেছ,,,

রেদ কথা না বাড়িয়ে বলল-হাত দেও,,,

পরী-কেনো

রেদ-আহ দেও না বউ,,,,

পরী নিজের হাত রেদ এরসামন দিয়ে বলে-এই নিন,,,,

যে পরীকে মেহেদী দিয়ে দিয়েছো রেদ তাকে আগেই বলে রেখেছে বা হাতের মাঝে লাভ আকতে আর তা ফাকা রাখতে,,

রেদ একটা মেহেদী এর কোন দিয়ে মেহেদীর মাঝে ফাকা জায়গা তে রেদ লিখে দেয়,,,

পরী তাদেখে হাসলে ও মুখে কিছুটা রাগি ভাব নিয়ে বলে-এটা কী করলেন,,,কেও দেখলে কী ভাববো,,,,

রেদ-যা ভাবার ভাবুক তাতে আমার কী,,,,,

রেদ একদম ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে পরীর পাশে হেলান দিয়ে দারালো,,,,তাদেখে পরী রেদ এর হাত থেকে মেহেদীর কোন টা নিয়ে রেদ এর হাতে কী যেনো লেখে দিলো,,,,

তারপর বেংচি কেটে চলে গেলো নিচে,,,রেদ নিজের হাতের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,,

রেদ এর হাতে পরী দুটো ডানা একে দিয়েছে,,,,আর এই ডানা এর মানে পরী তা বুঝতে পেরে রেদ এর ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো,,,,

সবার বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেলো,,,সবাই ফ্রেস হয়ে২:৩০ পর ঘুমাতে গেলো পরী আর মীম দুজনের চোখে ঘুম নেই,,,,

দুজনে বারান্দায় চেয়ারে বসে রয়েছে,,,,

পরী-কল তুই চলে যাবি,,,,মনে রাখবি তো আমাকে,,

মীম পরীকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দিলো আর বলল-তুই আমার সুধু ফ্রেন্ড না আমার বোন ও,,,তোকে ভুলে যাবো এটা হতেই পারে না,,,,

পরী নিজের চোখ মুছে বলল-ছাড় মুটি আর হাত দেখা দেখি জিজু তরে কত ভালোবাসে,,,

মীম-মানে হাত কেনো,,,,

পরী-মানে লোকে বলে মেহেদীর রং যত গাড়ো হবে,,,বর তার বউকে তত ভালোবাসবে,,,,এবার হাত দেখা,,,,

মীম এর হাতে মেহেদীর রং খুব ভালো হয়েছে,,,,তাদেখে পরী বলে-ওহ হো জিজু তো তকে খুব ভালোবাসবে,,,,,

মীম-আবার তোর মেহেদী দেখি,,,,,

পরী-আমার টা কেনো,,,

পরী বা হা পিছে লুকিয়ে ফেলে,,,,মীম জোর করার কারনে পরী তার ডান হাত দেখিয়ে বলে দেখা হয়েছে,,আবার যা ঘুমা নাইলে কাল ভুতের মতো লাগবে বিয়েতে,,,,

পরী মীম কে ঘুমাতে পাঠিয়ে দিলো তারপর নিজের বা হাত বের করে রেদ এর নাম দেখে পরীর গাল লাল হয়ে যায়,,,,,

বাকিটা পরে জানবেন

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২৬

পরী-আমার টা কেনো,,,

পরী বা হা পিছে লুকিয়ে ফেলে,,,,মীম জোর করার কারনে পরী তার ডান হাত দেখিয়ে বলে দেখা হয়েছে,,আবার যা ঘুমা নাইলে কাল ভুতের মতো লাগবে বিয়েতে,,,,

পরী মীম কে ঘুমাতে পাঠিয়ে দিলো তারপর নিজের বা হাত বের করে রেদ এর নাম দেখে পরীর গাল লাল হয়ে যায়,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সবাই তৈরি হচ্ছে,,,,, মীম লাল লেহেঙ্গা শাড়ি পরেছে,,,,আয়ান এর বাড়ি থেকে ঘন্টা ক্ষানেক আগে বিয়ের লেহেঙ্গা গহনা দিয়ে গেছে,,,

সেই লেহেঙ্গা আর গহনা পারানো হয়েছে,,,সবাই সাজছে,,,তখনি পরীর ২মামি এলো,,,,

বড় মামি-মীম মা আমরা তোমার জন্য কিছু উপহার এনেছি নিতে হবে মানা করতে পারবে না,,,,

মীম-যদি মন থেকে দেও তাইলে সব নিবো,,,,কিন্তু দামি কিছু দেও তাইলে নিবো না,,,

বড় মামি-আমাদের ভালোবাসার থেকে বেশি দামি না বুঝলে,,,,

মীম কে আয়নার সামনে বসিয়ে তার গলায় একটা সিতা হার আর হাতে দুটা সোনার বালা হাতে পরিয়ে দিয়ে বলে,,,,,

বড় মামি-পরিয়ে দিয়েছি এখন খুলতে পারবে না,,,,

মীম-কিন্তু,,

পরী-কোনো কিন্তু না,,,মামি মা যা দিয়েছে নিয়ে নে,,,,

পিছন থেকে পরী চুল গুলো খোপা করতে করতে কথা গুলো বলেতে বলতে ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে এলো,,,

চকলেট কালার লেহেঙ্গা তে চকলেট কালার এর স্টোন এর কাজ করা,,,,

মীম-ঠিক আছে মানা করবো না,,,,

পরী গিয়ে বিছানায় বসে নিজের জুয়েলারি বক্স বের করে চুড়ি আর কানের দুল পরতে নেয়,,,,

তখনি পরীর ছোট মামি বলে -পরী তোর জন্য ও কিছু আছে,,,

পরী-আমার বিয়ে না মীম এর বিয়ে যা দেওয়ার ওকে দেও,,,,,

বড় মামিমা-যদি জিনিস টা তোর মায়ের হয়,,,,

পরী মুখ তুলে তাকালে,,,,পরীর মামি মা পরীর পাশে বসে একটা বক্স খুলে সামনে ধরলো,,,যাতে একজোড়া খুব সুন্দর কানের দুল টানা সহ,,,,

পরীর মামি নিজের পরীর মাথায় সুন্দর করে কাপালের সামনের চুল সিথি করে বেনি করে পিছে খোপা করে তারপর পরীর মায়ের কানের দুল জোরা পরীকে পরিয়ে দিলো,,,,টানা ও সুন্দর করে চুলে লাগিয়ে একপাশে দুটা লাল গোলাপ ফুল ও লাগিয়ে দিলো,,,,,,

কপালে একটা সিথি বরা বর টিকলি পরলো,,,তালে খয়রি কালার চুড়ি,,,,গলায় কিছু পরলো না,,,,,হালকা মেকআপ এ সুন্দর লুক নিয়ে রেডি,,,,,

হল এ সবাই পৌছে গেছে হল এর ফাস্ট ফ্লোর সাবার খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে,,,,মিম কে স্টেজ এ এখনো দেওয়া হয়নি,,,,বর আসলে এক সাথে দেওয়া হবে,,,,,,

পরী চারদিক খেয়াল রাখছে,,,এদিক ওদিক দৌড় ধকল তো আছেই,,,,,হঠাৎ পরী দেখে রুবি আর নিলয় আসছে,,রুবি এর পেস্ট কালার এর কাতান শাড়ি পরছে আর নিলয় মেচিং সার্ট কোট আর পেন্ট,,,,

পরী একবার তাদের দেখে হাসি মুখে এগিয়ে গেলো,,,রুবি নিলয় এর হাত ধরে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে,,,,৮মাসে পরেছে,,,,কিছু দিন পরে রুবি আর নিলয় এর কোল আলো জুরে আসবে তাদের সন্তান,,,,,

পরী তাদের সামনে গিয়ে বলে-তোমরা এসেছো আমি খুব খুশি হয়েছি,,,,

রুবি-পরী আসলে,,,

পরী-চুপ করো একদম,,,,আজ আমার বোন এর বিয়ে কোনো অতিত মনে করতে চাইনা,,,,আর সম্পকে তুমি আমার মামাতো বোন তাই বলছি আপু বেশি চিন্তা এই সময় ভালো না,,,,আর নিলয় ভাইয়া আপনি আপুকে নিয়ে সামনের ওই টেবিলে বসেন,,,,,

রুবি বেশ ভালো লাগছে এই ভেবে হয়তে পরীর মাধ্যমেই সে তার পরিবার এর রাগ ভাঙাতে পারবে,,,কিন্তু নিলয় পরীর মুখে ভাইয়া ডাকটা হজম করতে পারলো না,,,,,

পরী তার মামা মামি নানা কে নিয়ে নিলয় আর রুবির কাছে গিয়ে বলে,,,,মামি মা মামা নানা প্লিজ তোমরা ওদের ক্ষমা করে দেও,,,,,

মামি-ওরা এখানে কেনো কে ওদের ইনভাইট করেছে,,,,

রুবি-মা,,,,প্লিজ

পরী-আমি আসতে বলেছি,,,কারন আমি ওদের ক্ষমা করে দিয়েছি আর আমি চাই আপনারা ও ওদের ক্ষমা করে দিন,,,,

রুবি নিলয়-মা আমরা আমাদের ভুলটা বুঝতে পেরেছি,,,

অনেক বুঝানোর পর সবাই রুবি আর নিলয় কে ক্ষমা করে দেয়,,কিন্তু তারা বেশি কথা বলেনা নিলয় আর রুবির সাথে,,,,,

তারা চলে যেতেই পরী বলে-নিলয় ধন্যবাদ তোমাকো,,,,

নিলয়-কেনো

পরী শুধু হালকা হেসে বলে-বলার ছিলো তাই,,,,

তখনি একটা মেয়ে এসে বলে বর এসেছি,,,,পরী সেই মেয়েটার সাথে চলে গেলো,,,বর পক্ষ আসতেই পরীর দুই মামি আয়ান আর তার পরিবার কে বেশ আপায়্যন করলো,,,

আর পরী আর তার দল এসে আয়ান আর তার পরিবার এর পথ আটকে দাড়ালো,,,আর বলল-টাকা না দিলে ভেতরে ডুকতে দিবো না,,,,

আজ বিয়েতে রেদ এর সাথে তার দিদা আর মিনা ও এসেছে,,,,

রাবেয়া বেগম-আমরা তো মেয়ে পক্ষের ও বটে কী বল রেদ,,,,

রেদ-তুমি মেয়ে পক্ষের হলেও আমি যে বর পক্ষের তাইনা পরী,,,,

কথাটা বলে রেদ পরীকে চোখ মারলো,,,যা দেখে পরী একটা শুকনো ডোক গিলে বলল-আয়ান ভাইয়া ১০০০০ দিন আর ভেতরে জান,,,,

বেশ কত ক্ষন দাম নিয়ে কথা হলে শেষে আয়ান ১০০০০ দিয়ে দিলো,,,,,তারপর তাদের ভেতরে নিয়ে গেলো,,,,,,

পরী রেদ এর দাদির পাশে বসে আছে আনার সাথে কিছু কথা হলো পরীর তখন হঠাৎ উনি বললেন,,,,

রাবেয়া বেগম-মা তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে কিন্তু গলায় কিছু পরোনি কেনো,,,,

পরী-আসলে কানের দুল এর থাকে মেচিং কোনো সেট ছিলোনা তখন তাই,বাট নো প্রব্লেম,,,,,

রাবেয়া বেগম-ওহ,,,,এই জন্য গলাটা খালি খালি লাগছে,,,,

বিয়ের পর্ব মাএ শেষ হলো পরী মীম পাশেই বসে বসে আর চোখে রেদ কে খুজতে লাগলো,,,,

পরী মনে মনে-কী বেপার গেলো কোথায় লোকটা,,,,,

পরী মীম এর পাশে থেকে উঠে গেলো,,, তারপর কাজ করার বাহানায় রেদ কে খুজতে লাগলো,,,,তখনি উপর থেকে একটা ফুল পরলো পরির মাথায় ওপরে তাকিয়ে দেখে কেও নেই,,,,

তখনি একটা হাতে পরীকে টেনে একটা অন্ধকার রুমে নিয়ে মুখ চেপে ধরে,,,,,,পরী নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করতে চায় তখনি তার নাকে একটা সুন্দর পারফিউম এর স্মেল পায়,,,,এই স্মেল টা সে আগেও পেয়েছে,,,,

কিন্তু কে তা মেনে করতে পারছে না,,,,তখনি লোকটা বলল-বউ একদম নরবে না,,,

লোকটা কে বুঝতে পেরে পরি শান্ত হয়ে যায়,,,তখন রেদ পরীর গালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে বলে,,,,

রেদ-কাকে খুজছিলে শুনি,,,,

পরী-উমমমম

রেদ-উমম কী হ্যা,,,

পরীর রাগ লাগছে মুখের ওপর হাত দিয়ে কথা বলতে বলছে,,,,,রেদ বলল-কী হলো,,,,,

পরী-উহহহহ

রেদ-ওহ হাত,,,,সরি,,,

রেদ হাত সরাতেই পরীর মুখে কথার ফুল ঝুড়ি ছুটে,,,

পরী-এই কেও এভাবে কেও কে টান দেয়,,,আর আপনার কী মাথায় বুদ্ধি বলতে কিছু নাই,,কেও যদি দেখে ফেলতো কী ভাবতো তাহলে,,,,

রেদ-আরে বাবা আস্তে,,, চুপ

পরী-চুপ না করলে কী করবেন হ্যা,,,করবো না আমি চুপ দেখি কী ক…..

পরীর কথা শেষ হবার আগেই রেদ পরীর ঠোট জোড়াকে নিজের ঠোটের বাজে নিয়ে নেই,,,,পরীর চোখ নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,

রেদ আস্তে আস্তে পরীর গলায় হাত রাখে তারপর পরীকে একসময় ছেরে দেয়,,,,পরী ছাড়া পেতেই রেদকে একটা হালকা ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে,,,,,

আর সোজা পরী একটা টেবিলের সামনে গিয়ে এল গ্লাস পানি খেয়ে ফেলে,,,,তখন রেদ এর দাদিজান সেখান দিয়েই যাচ্ছিল তখন দেখে,,,,,,

পরীর গলায় তাদের বাড়ির খানদানি হার,,, তিনি দেখে একমিনিট এর জন্য চমকে যায়,,,,,এটা কী করে সম্ভব,,,,,

উনি পরী সামনে গিয়ে বলল-পরী তুমি এই সাতনরি হার কোথায় পেলে,,,,,

পরী চমকে নিজের গলায় হাতদিয়ে দেখে তার গলায় একটা অতি সুন্দর সাতনরি হার,,,,,কিন্তু এটা কেথা থেকে এলো,,,,,তাহলে কী তখন এটা রেদ পরিয়েছে,,,,

রাবেয়া বেগম-এটা কী তোমাকে রেদ দিয়েছে,,,,,

পরী ভুত দেখার মত চমকে উঠলো ও রেদের দাদির দিকে তকিয়ে দেখলো উনি হাসছে,,,,এখানে হাসার কী আছে বুঝলো না সে আর উনি কী করে বুঝলো এটা রেদ দিয়েছে,,,,,

রাবেয়া বেগম-পছন্দ আছে বলতে হবে,,,,,

বলে চলে গেলেন,,,,পরী নিজের ফোন এর সেলফি ওন করে দেখলো তাকে বেশ মানিয়েছে হারটা,,,,,কিন্তু এটা কখন পরালো রেদ,,,,

বাকিটা পরে জানবেন,,,,,,