ভালোবাসার_অভিনয় পর্ব-৩৫+৩৬

0
2027

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৩৫

পরী রুম গিয়ে আলমারি থেকে একটা গহনার বক্স বের করে রেদ এর রুমে চলে গেলো,,,

পরী রেদ এর হাতে বক্স টা দিয়ে বলল-সময় হলে আবার পরিয়ে দিও,,,,

বলে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরী নিজের চোখ মুছে নিজের রুমে গিয়ে একটা পার্স নিয়ে বেরিয়ে গেলো,,,,পেছন থেকে মিলি পরীকে ডাক দিলো কিন্তু পরী থামলো না,,,

মিলি সোজা দাদিজান এর রুমে গিয়ে তাকে সব কথা বলে দিলো উনি এসব শুনে রেদ এর রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো,,,,

রেদ বক্স খুলে নিজের মায়ের হার টা দেখতে লাগলো না সব ঠিক আছে,,,,হঠাৎ রেদ এর চোখ পরলো বক্স এর এক পাশে একটা লাভ সেপ এর লকেট,,,,

রেদ লকেট টা হাতে নিতেই রাবেয়া বেগম তার রুমে ডুকলেন,,,,রেদ নিজের মায়ের হার টা বক্স এ রেখে বলল,,,

রেদ-আরে দাদিজান তুমি এই সময়

রাবেয়া বেগম-কেন আসতে পারি না নাকি

রেদ-আরে তা না না এসো বসো আমার পাশে,,,,

রাবেয়া বেগম রেদ এর পাশে বসে বলল-হার টা খুব সুন্দর তাই না,,,

রেদ-হুম খুব সুন্দর কারন এটা আমার মায়ের হার,,,

রাবেয়া বেগম-কেন এটা না তুই পরীকে গিফট করলি,,,এখন তো এটা পরীর,,,

রেদ-মানে আমি কবে দিলাম,,,

রাবেয়া বেগম-হুম পরীর বোন এর বিয়েতে সবার চোখের আড়ালে পরীকে নিয়ে এই হারটা কেনো পরিয়ে দিয়েছিলে,,,

তাহলে কেনো আজ মেয়েটাকে এতো কষ্ট দিয়ে তাকে দেওয়া গিফট ফিরিয়ে নিলে,,,হ্যা মানছি তুমি তাকে ভুলে গেছো তার মানে এই না যে তুমি তার সাথে মিসভিহেব করার কোনো রাইট নেই,,,

রেদ-এসব তুমি কী বলছো,,,আর আমি কেনো এই দুই দিনের মেয়েকে আমার মায়ের হার কেন গিফট করবো,,,,

রাবেয়া বেগম- কারন তুই এই দুই দিনের মেয়েকেই তুই নিজের থেকে বেশি ভালোবাসতি যাকে বাচাতে নিজেকে মৃত্যুর মুখে টেলে দিয়েছিলি,,,

আর অবহেলা করিস না মেয়ে টাকে তুই ভুলে গেছিস ওকে এটা ভেবে মেয়েটা রোজ রাতে চোখের জল ফেলে,,,মেয়েটা তোর স্মিতে নেই তাই বলে তাকে আর কষ্ট দিস না,,,,,

রাবেয়া বেগম রুম থেকে চলে গেলো,,,,রেদের এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না দাদিজান তাকে এগুলো কী বলে গেলো,,,

তখনি রেদ তার হাতের লকেট টা সামনে এনে দেখতে লাগলো,,,লকেট টা ভালো করে দেখতে দেখতে লকেট টা খুলে গেলো,,,,

লকেটের ভেতরে রেদ আর পরীর খুব কাছা কাছি হাসি মুখে একটা ছবি,,, ছবিটা দেখে রেদ এর মনে হচ্ছে দাদিজান এর বলা কথা গুলো সত্যি না তো,,,,

পরী মীম এর পাশে বসে রয়েছে আজ পরী রেদ এর সাথে কী কী হয়েছে সব মীম কে বলে দিয়েছে,,,

মীম পরীর কথা শুনে রাগে গিয়েছিলো কিন্তু ওর সব কথা শুনে আর রাগ করে থাকতে পারলো না,,,

মীম-এখন তুই কী করবি,,,

পরী-জানি না,,,,

মীম-কিছু একটা তো করতে হবে,,,,

পরী নিজের চোখ মুছে বলল-বাড়ি যাবো,,,

মীম-চল আমি দিয়ে আসি,,,

পরী-না আমি যেতে পারবো তুই বাড়ি যা,,,

বলে পরী উঠে দাড়ালো মীম ও উঠে দাড়ালো তার পরী মীম এর কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে এলো,,,,

পরী নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে পার্স টা বিছানায় ফেলে ওয়াসরুমে চলে গেলো,,,,সাওয়ার ছেড়ে সাওয়ার এর নিচে বসে পরলো,,,চোখের পানি আর সাওয়ার এর পানি মিলে এক হয়ে যাচ্ছে,,,,,

তখনি রুমে পরীর ফোন বাজতে লাগলো,,,পরী ফ্রেস হয়ে বের হয়ে আসলো,,চোখ মোখ লাল হয়ে গেছে,,,পরীর ফোন বার বার বেজেই চলেছে,,,

পরী-কে এতো কল করছে,,উফফ,,,

পরী ফোন তুলে দেখলো তার মামি মা কল করছে,,,পরী ফোনটা তুলতেই মামি মার কান্না শুনতে পেলো পরী,,,,

পরী-মামি মা কী হয়েছে তুমি কাদছো কেনো,,,

মামি মা-পরী তুই এখনি ঢাকা মডিকেল হাসপাতালে চলে যা আজ রুবি কে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে,,,আমাদের আসতে দেরি হয়ে যাবে তাই তোকে কল করলাম মা,,,একটু যা না তুই,,,

পরী-তুমি চিন্তা করো না,,, আমি এখনি যাচ্ছি,,,,

পরী ফোন রেখে একটা ৩পিস পরে বেগ নিয়ে নিলো তারপর একবার রেদ এর রুমে উকি দিলো রেদ লেপটপ এ কি যেনো করছে,,,,

পরী নিচে গিয়ে রেদ এর দাদিজান কে সব বলে দাদি রাত বেশি তাই পরীকে একা পাঠায় না সাতে মিলিকে ও পাঠিয়ে দেয়,,,দরকার হলে মিলি সাহায্য করতে পারবে,,,

পরী আর মিলি গাড়ি নিয়ে এসেছে বাড়ির,,,,তাই তারতারি হাসপাতাল পৌছে গেছে,,,পরী রিসেপ্সন থেকে রুবির ইনফরমেশন নিয়ে সেখানে যায়,,,,

নিলয় আর নিলয় এর মা সেখানে বসে রয়েছে,,,পরীকে দেখে নিলয় দাড়িয়ে গেলো,,,

পরী-রুবি কেমন আছে,,,

নিলয়-ভেতরে নিয়ে গেছে কিছু ক্ষন আগে,,,

পরী-চিন্তা করো না দুজনেই সুস্থ থাকবে,,,,

নিলয় আর কিছু না বলে বসে পরলো,,,,পরী মিলিকে বসতে বলল,,,১৫ মিনিট পর ডাক্তার বের হলেন,,,,

ডাক্তার -অভিনন্দন মি.নিলয় আপনার ছেলে হয়েছে,,,

সবাই এক সাথে বলে উঠলো-আল্লহামদুল্লিলাহ,,,

নিলয়-রুবি কেমন আছে,,,

ডাক্তার -সেন্সলেস আছে বাট ভয় এর কিছু নেই উনি সুস্থ আছেন,,,,১ ঘণ্টা পর কেবিন এ সিফট করে দেওয়া হবে,,,

বলে ডাক্তার চলে গেলেন তখন পরী বলল-তস নিলয় আমি কিন্তু রসোগোল্লা ছাড়া অন্য কোনো মিষ্টি খাবো না বলে দিলাম,,,

নিলয়-তোমাকে আমি অনেক গুলো রসোগোল্লা কিনি দিবো,,,,খুশি,,,,

পরী-হুম খুশি,,,তাহলে আমি মামি মা কে খবর টা জানিয়ে দেই,,,,

পরী সবাই কে কল করে বলে দিলো রুবির ছেলে হয়েছে,,,,

সকাল ৭টায় মামি মা আর মামা এসে পৌছান,, আর নিলয় তখন মিষ্টি কিনতে গেছে,,,২০ কেজি মিষ্টি মসজিদ এ দিয়েছে নিজের ছেলের মানে,,,,

হাসপাতালে সবাইকে মিষ্টি বিলিয়েছে,,,,,সবাই বেশ খুশি,,,তখনি নিলয় হাজির রসোগোল্লা নিয়ে,,,

পরী ও খুশি হয়ে দুটা খেয়ে নিলো,,,,তখনি,,,

বাকিটা পরে জানবেন,,,

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৩৬

সকাল ৭টায় মামি মা আর মামা এসে পৌছান,, আর নিলয় তখন মিষ্টি কিনতে গেছে,,,২০ কেজি মিষ্টি মসজিদ এ দিয়েছে নিজের ছেলের মানে,,,,

হাসপাতালে সবাইকে মিষ্টি বিলিয়েছে,,,,,সবাই বেশ খুশি,,,তখনি নিলয় হাজির রসোগোল্লা নিয়ে,,,

পরী ও খুশি হয়ে দুটা খেয়ে নিলো,,,,তখনি,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরীর মামী মা চিৎকার করে বললেন-তৃনা,,,,

তৃনা নামটা শুনে পরীর খাওয়া ওফ হয়ে গেলো,,,,,পরীর মামীমা এর কথা শুনে সবাই সামনে তাকিয়ে দেখলো তৃনা দাড়িয়ে আছে পাশে একটা ১৭/১৮ বছর এর ছেলে,,,

তৃনা এতো বছর পর নিজের পরিবার এর সবাইকে দেখে অবাক হয়ে গেলো চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো,,,,

তৃনা সোজা দৌড়ে তার ভাবি কে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো,,,সবাই আবাক হয়ে দেখছে আবিকল পরীর মতো দেখতে,,,,এই মিন পরী উনার মতো দেখতে,,,,

তৃনা আর ভাইয়া ভাবি কে জড়িয়ে ধরে কাঁদলো তারপর বাবা মা এর কথা জানতে চাইলো,,,,পরী এখনো পিছন ফিরে তার মাকে দেখেনি,,,,,

শুধু নিরব এ চোখের জল ফেলছে,,,,মিলি পরীর পাশে দাড়িয়ে বলে-আপা আপনের মা একবার ঘুরে দেখবেন না,,,,

পরী চোখ তুমি মিলির দিকে তাকালে,,,,কিন্তু কিছু না বলেও অনেক কথা বলে দিলো তার চোখের পানি,,,

তৃনা-ভাবি আপনারা এখানে কার কী হয়েছে সবাই ঠিক আছে তো,,,,,

মামী মা-সবাই ভালো আছে আসলে আজ আমার মেয়ের ছেলে হয়েছে আর আজই তোমার সাথে দেখা হয়ে গেলো একসাথে এতো খুশি রাখবো যে কী ভাবে,,,

এবার বলো তুমি এখানে,,,,,,কী করছো

তৃনা-ওসব পরে বলবো আর শুভেচ্ছা তেমাকে আচ্ছা ভাবি বাবা আসেনি,,,,

মামা-এসেছে বাট হাসপাতালে আসেনি পরীর ফ্লাট এ আছে,,,আরে ভুলেই তে গেছি তোকে পরীর সাথে দেখা করাতে,,,,

তৃনা-পরী কে ভাইয়া,,,,

মামী মা-তুমি নিজেই দেখ নেও,,,,

পরী নিজের চোখের জল লুকাতে পারছে না,,,,পরী কিছু বলতে পারছে না ঠোট কাপছে,,,

মামী মা-পরী এদিকে আয়,,,,আয় দেখ আমাদের সামনে তৃনা খুরে দেখ,,,,

নিলয় পরী সামনে গিয়ে বলল-পরী দেখ পিছনে তোমার মা দাড়িয়ে আছে,,,,

পরী নিলয় এর দিকে তাকিয়ে বলল-আমার মা…

আর কিছু বলা আগে পরী জ্ঞান হাড়িয়ে পরে যেতে নেয়,,,তখনি মিলি আর নিলয় পরীকে ধরে ফেলল,,,,

পরীর মামি মা আর মামা তারাতারি পরীর কাছে চলে গেলো,,,,তৃনা ঠাই দাড়িয়ে রইলো,,,তার সাথে আসা ছেলেটা তার পাশে গিয়ে বলল-মম এরাই কী তোমার ফ্যামেলি মেম্বার

তৃনা-হ্যা বাবা উনারা ভাই ভাবি,,

-তাহলে ওই মেয়েটা কে হঠাৎ কী হলো ওনার,,,,

তৃনা-তাই তো বুঝছি না,,,আনিল চলো এগিয়ে গিয়ে দেখি,,,,

নিলয় পরীকে কোলে তুলে নিলো আর সবাইকে বলল-একটু সাইড দিন পরীকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাই,,,,

তৃনা এগিয়ে যাচ্ছিলো পরী কে দেখার জন্য,,,,তখনি নিলয়কে সবাই রাস্তা দিলো পরীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য,,,আর পরীকে দেখে তৃনা একদম থমকে যায়,,,

নিলয় তৃনার সামনে দিয়ে পরীকে নিয়ে গেলো মিলি তার পিছু পিছু গেলো,,,আর পরীর মামী আর মামা ও যেতে চেয়ে ছিলো কিন্তু তৃনার এই হাল দেখে তারা থেমে যায়,,,,

আনিল-মম মেয়েটা তো একদম তোমার মতো দেখতে

আনিল এর মুখে মম ডাক শুনে পরীর মামী মামা বেশ অবাক হয়,,,,তৃনা এখনো চুপ করে আছে তাদেখে তৃনার ভাবি তার পাশে গিয়ে দাড়িয়ে বলল-হ্যা তুমি যা ভাবছো তাই,,,

তৃনা ছল ছল চোখে তার ভাবির দিকে তাকিয়ে বলল-তাহলে যখন আমি ১৮ বছর আগে যখন বাড়িতে কল করেছিলাম তাহলে মা আমাকে কেন বলেছিলো আমার মেয়ে মারা গেছে কেনো,,,,,

এ কথা শুনে আনিল সহ পরীর মামা মামী ও অবাক তারা অবাক এই শুনে যে তৃনা বাড়িতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলো আর আনিল অবাক হচ্ছে তার বড় বোন ও আছে,,,,

ডাক্তার পরীর চেকআপ করছে,,,,হঠাৎ একটা নার্স এসে নিলয় কে বলল-আপনার মা আর ওয়াইফ আপনাকে ডাকছে,,,,

নিলয়-আপনি জান আমি আসছি,,,,আহ মিলি শোনো

মিলি-জ্বী বলেন,,,

নিলয়-তুমি পরীর পাশে থাকো আমি ওই দিক টা দেখে আসি,,,,,

মিলি-আচ্ছা ঠিক আছে,,,,

নিলয় নার্স এর সাথে চলে গেলো,,, ডাক্তার পরীর চেকআপ করে বলল-দেখুন এই সময় ইনাকে মেন্টেলি ওর ফিজিকেলি ফিট থাকতে হবে,,,

মিলি-আপি ঠিক তো হয়ে যাবে,,,,

ডাক্তার -হ্যা ঠিক হয়ে যাবে আর হ্যা আপনার আপি যেনো বেশি চিন্তা বা বারি কাজ যেনো না করে ওকে,,,,,এর একটা ওষুধ লিখে দিচ্ছি সেটা নিয়ে আসুন,,,,,

ডাক্তার মিলিকে একটা ওষুূধ এর নাম লিখে দিলো মিলি তা আনতে চলে গেলো,,,,,

এতোক্ষন এ সিদ্দিক সাহেব খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে এসেছেন,,,,সিদ্দিক সাহেবকে দেখে তৃনা কান্নায় ভেঙে পরে,,,,,

পরীর জ্ঞান ফিরতেই সে নিজেকে একটা বেড এর ওপর পায় নিজেকে,,,,

ডাক্তার -উঠবেন না রেস্ট করুন আপনি খুব দুর্বল,,,,,

পরী-না আমি ঠিক আছি,,,

ডাক্তার -ডাক্তার আমি আপনি না,,,, আর হ্যা আপনার হাজবেন কে বলুন আপনার খেয়াল রাখতে,,,,

পরী-আপনি কী করে জানলেন আমি বিবাহিত আর এই কথা আপনি আর কাও কে বলেননি তো,,,,

ডাক্তার -না আমি কাওকে বলিনি আর যে আপনার পাশে ছিলো তার বয়স কম তাই তাকে বলিনি আপনি প্রেগন্যান্ট,,,

পরী ডাক্তার এর কথা শুনে চমকে গেলো,,,,পরীর হাত ওটোমেটেকলি তার পেটের ওপর চলে গেলো,,,,পরী যেনো বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে,,,,

ডাক্তার -এনি প্রব্লেম মিস.

পরী-আপনি সিউর আমি প্রেগন্যান্ট,,,

ডাক্তার -জ্বী আর হ্যা আপনার ২nd মান্থ চলছে,,,,

পরী কিছু বলতে পারছে না,,,পরীর চুপ থাকা দেখে ডাক্তার বলল – কোনো প্রব্লেম আছে কী,,,,

পরী-আসলে,,,,

ডাক্তার -আমাকে আপনি সব বলতে পারেন,,,আমি কাওকে বলবো না,,,,

পরী কী বলবে বুঝতে পারছে না,,,একে সে প্রেগন্যান্ট তার ওপর রেদ আর তার বিয়ের কথাটা কেও জানে না,,,, আর এখন পরী তো রেদ এর স্মিতি তেই নেই,,,

পরী-আসলে ডাক্তার আমি এই খবরটা নিজে আর ফ্যামেলি মেম্বার দের দিতে চাই,,,তাই বলছি আপনি যদি কাওকে কিছু না বলতেন তাহলে ভালো হতো আর কী,,,

ডাক্তার -ওহ ওকে,,,

তখনি কেবিন এর ডোর এ নক হলো,,,

বাকিটা পরে জানবেন,,,,,