#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা :মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ৪২
অভিদ আর রায়হানকে দেখে যাবেদ ভয়ে কাঁপতে শুরু করলো। অভিদ এসে যাবেদ এর চুল গুলো মুঠোয় চেপে ধরে চোয়াল শক্ত করে বলে
” বল তোর ছেলে সিহাব কোথায় লুকিয়ে আছে।”
যাবেদ চুলে হাত দিয়ে অভিদের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে কাঠকাঠ গলায় বলে
” তোর কি মনে হয় আমি জানলে ও কোনোদিন বলবো ?? সিহাব পালিয়েছে খুব ভালো হয়েছে। দোয়া করি সিহাবকে যেনো খুঁজে না পাস। আমাকে কম শাস্তি তো দিচ্ছিস না এখনও কি শান্তি হয়নি ?? আবার সিহাবকে ধরার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস কেনো ??” অভিদ যাবেদ খানের চুল ছেড়ে ঝাড়া মেরে উঠে দাঁড়ায়। সামনের চেয়ারে বসে পায়ের উপর পা তুলে বসে বাকা হেসে বলে
” তোর কি মনে হয় আমি এতো সহজে তোদের ছেড়ে দেবো ?? রুহিকে তোরা ছেড়ে দিয়েছিলি ?? তোদের জন্য রুহি এখনও হাটতে পারে না। তোদের জন্য কতো ছেলেমেয়ের মা-বাবার কোল খালি হয়েছে। কতো ছেলেমেয়ে ড্রাগের মাধ্যমে মারা গিয়েছে, ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। হাজার হাজার মেয়েকে পাচার করেছিস। তোকে ছেড়ে দিলে কি সব কিছু ফিরে পাবে সবাই!! উত্তর দে আমায় ??” চেঁচিয়ে বলে পা দিয়ে পাশের খালি ড্রামে লাথি দেয়। যাবেদ খান ভয়ে কেঁপে উঠলো। অভিদের চোখ মুখ থেকে আগুনের লাভা বের হচ্ছে।
যাবেদ খান কাঁদতে কাঁদতে বলে
” আর কতো শাস্তি দিবি ?? পা ভেঙে গুরিয়ে দিয়েছিস। প্রতিদিন !! প্রতিদিন আমাকে মারা হয়। সারাদিনে তিনবারের জায়গায় দুইবার খেতে দেওয়া হয়। ঘরে আলো বাতাস কিছু নেই। এর থেকে আমাকে বিশ খাইয়ে মেরে ফেল। তাতে একটু শান্তি হবি।” অভিদ যাবেদ খানের কাছে এসে তার ভাঙা পায়ে, পা দিয়ে চেপে ধরে। যাবেদখান চিৎকার করে উঠে। অভিদ চোখ মুখ শক্ত করে বাকা হেসে বলে
” এখন কষ্ট হচ্ছে তাই না !! জাস্ট এই টুকু শাস্তি পেয়েই মরে জাওয়ার কথা বলছিস !! আরে তোর থেকে দশগুণ বেশি পরিমাণের কষ্ট তুই একেক জনকে দিয়ে এসেছিস। আমিও বলেছিলাম তুই রুহিকে যতো কষ্ট দিয়েছিস তার থেক হাজার গুন কষ্ট আমি তোকে দেবো। মরতে চাইলে মরতে পারবি না আর বাচতে চাইলেও বাচতে পারবি না। আমার থেকে তোরা দুজনের কেউই রেহায় পাব না। আর তোর ছেলেকে তো তার থেকেও দ্বিগুণ কষ্ট দেওয়া হবে। তুই শুধু যতো দিন বেঁচে থাকবি ততোদিন দেখতে পাবি। তোর ছেলে খুব তাড়াতাড়ি তোর সাথে দেখা করবে। বেশি কিছু না তুই শুধু একটু অপেক্ষা কর। ” বলে রায়হানকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো।
গাড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে চলছে। রায়হান সামনের দিকে তাকিয়ে বলে
” সিহাবকে কোথায় খুঁজব। সব জায়গায়ই তো খোজা হয়ে গিয়েছে। ” অভিদ বাইরের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলে
” সব জায়গায়ই খুঁজবে। সিহাব এখন সুযোগের অপেক্ষায় আছে। এখন আমাদের হাত থেকে পালাতে দরকার পরলে ঝালমুড়ি ওয়ালা, ফুচকা ওয়ালা সব কিছুই সেজে লুকিয়ে থাকবে। সিহাবকে যে করেই হোক খুঁজে বের করতেই হবে।” রায়হান বলে
” হুম। তাহলে সবাইকে বলছি আবার যেন খোজা শুরু করে।” অভিদ রায়হানের দিকে তাকিয়ে বলে
” তো !! তোর আর মিশুর বিয়ের প্লেন কি ?? বিয়ে করছিস কবে ??” রায়হান মন খারাপ করে বলে
” আমরা তো ভাবছি বিয়ে নিয়ে কিন্তু মিশুর মা বাবাকে বলা হয়নি তাদের বলতে হবে। তারা রাজি হলে যেদিন তুই বলবি সেইদিনই বিয়ে করে ফেলবো।” অভিদ হেসে বলে
” খুব ভালো। একটু দেড়িতেই রাজি হোক । একজনের বিয়ে তো একটু ঝামেলা ভাবে হোক !! তাহলে বিয়েতে আনন্দ বেশি হবে।” রায়হান অবাক হয়ে বলে
” মানে কি !! তুই আমার বন্ধু নাকি শত্রু ?? এমন কথা কিভাবে বলতে পারলি ?? হায় এতো দুঃখ কাকে দেখাবো ??” বলে দুঃখি দুঃখি মুখ নিয়ে বসে থাকে। অভিদ শব্দ করে হেসে দেয় রায়হানের কথা শুনে। বাড়ির সামনে গাড়ি থামতেই অভিদ গাড়ির সিট থেকে কোট টা নিয়ে বেরিয়ে গেলো। রায়হান আর অভিদ দুজনে গাড়ি থেকে নামতেই ড্রাইভার গাড়ি রাখতে চলে যায়। অভিদ রায়হান বাড়িতে ঢুকে যার যার রুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে।!
অভিদ রুমে ঢুকতেই দেখতে পেলো রুহি খাটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে আছে। অভিদ হাত থেকে কোট টা রেখে। রুহির কাছে এসে দাঁড়ালো। রুহির কাধে হাত রাখতেই রুহি ধরফরিয়ে উঠে পাশে তাকায়। অভিদকে দেখে রুহি তাড়াহুড়া করে বলে উঠে
” আপনি এসে পরেছেন ?? কখন এসেছেন আপনি ?? আচ্ছা আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি খাবার রেডি করছি।” বলে নামতে নিলেই অভিদ রুহিকে কাধে হাত রেখে থামিয়ে দিয়ে বলে
” চুপ করে বসো। তোমাকে বলেছিলাম না আমি তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পরো। তাহলে এখনও জেগে আছো কেনো ?? তুমি শুয়ে থাকো তোমার চোখ লাল হয়ে আছে। সার্ভেন্ট আছে সে আমাদের সার্ভ করবে। আর তুমি খেয়েছো তো ??” রুহি ঢোক গিলে ডানে, বায়ে মাথা নাড়িয়ে বলে
” না আমার খিদে ছিলো না তখন তাই খাইনি। ভেবেছিলাম পরে খাবো। আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি নিচে যাচ্ছি।” অভিদ গম্ভীর গলায় বলে
” তোমাকে বলেছি না চুপ করে বসে থাকতে ?? তাহলে আবার নামছো কেনো ?? আর তোমার তো মেডিসিন আছে তাও তুমি টাইম মতো ডিনার করোনি কেনো ?? তুমি না আমাকে দুপুরে অফিসে প্রমিস করেছো আমার সব কথা শুনবে!! তাহলে এখন সেই প্রমিস কোথায় গেলো ??” অভিদের কথায় রুহি মাথা নিচু করে ফেলে। নিচু স্বরে বলে
” সরি আর প্রমিস ভাঙবো না।” অভিদ টাওয়াল বের করে ওয়াসরুমে যেতে যেতে বলে
” বসে থাকো আমি আসছি। নিচে গেলে খারাপ হবে বলে দিলাম।” বলে ওয়াসরুমের দরজা আটকে দেয়। রুহি বুকে হাত দিয়ে নিশ্বাস ফেলে ওয়াসরুমের দরজার দিকে তাকিয়ে বলে
” কি শান্তি !! আমি ভেবেছিলাম উনি এখনও রেগে আছে, আবার বকা দেবে। উনি তো রেগে নেই ভালো হয়েছে।” অভিদ ওয়াসরুমের ভেতর থেকে উঁচু গলায় বলে উঠে
” জায়গা মতো বসে থাকলে আর আমার কথা শুনলে তোমাকে বকাও খেতে হবে না। তাই নিজের ভালো চাইলে চুপ করে বসে থাকো।”
রুহি চমকে মুখে হাত দিলো ওয়াসরুমের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলে
” উনি শুনলো কি করে ?? এত দূর থেকে শুনে ফেললো ??” অভিদ ওয়াসরুমের ভেতর থেকে বাকা হেসে বলে
” তোমাকে ভাবতে হবে না আমি কিভাবে এতো দূর থেকে তোমার কথা শুনলাম। তুমি শুধু শোনো আমার কথা শুনে বসে থাকো।” রুহি এভার অবাক হয়ে মুখ চেপে ধরলো। মনে মনে বলে।
” এখন দেখি মুখ দিয়ে কিছুই বলে যাবে না। সব কিছুই শুনে ফেলে।” অভিদ আবার বলে উঠে
” মুখ দিয়ে কেনো মনে মনে কথা বললেও আমি শুনে ফেলবো তার থেকে ভালো তুমি চুপ করেই থাকো।” অভিদ কথা শুনে রুহি কাঁদো কাঁদো মুখ করে বসে থাকে। ভেবে নিলো আর কিছুই বলবে না। টেবিলের উপর থেকে রিমোট নিয়ে টিভি অন করে Golmal junior দেখতে লাগলো।
অভিদ ওয়াসরুম থেকে বেড়িয়ে টাওয়াল রেখে রুহির সামনে এসে দাঁড়ালো রুহি একবার মাথা উঁচু করে অভিদকে দেখে আবার টিভিতে মন দিলো। অভিদ রুহিকে দেখে মিটমিট করে হেসে নিচে চলে এলো। এসে দেখে রায়হান টেবিলেই বসে আছে মাত্র এসেছে আর সার্ভেন্ট খাবার সার্ভ করছে। অভিদ সার্ভেন্টকে বলে
” আমার আর রুহির খাবার উপরে নিয়ে যাবো।” সার্ভেন্ট মাথা নেড়ে ঠিকাছে বলে দুজনের খাবার দিতে থাকে। রায়হান অবাক হয়ে বলে
” রুহি এখনও জেগে আছে ?? রাত ১:৩০ বাজে !!” অভিদ একটা চেয়ার টেনে বসে বলে
” হুম। আজকে যেই লাঞ্চের খাবার খেয়েছিস ওইটা রুহি রান্না করেছিলো। রান্না করার সময় হাত পুরে গিয়েছে তাই হয়তো খেতে পারেনি আর আমার জন্য বসে ছিলো।” রায়হান আফসোস স্বরে বলে
” রুহি হাত পুরিয়ে রান্না করেছে ?? ইশ আজকে যদি আমার বউটা থাকতো তাহলে আমার জন্যেও অপেক্ষা করতো। হাত পুড়িয়ে রান্না করে নিয়ে যেতো।” অভিদ হালকা হেসে খাবার নিয়ে যেতে যেতে বলে
” কিছুদিন অপেক্ষা কর। সবুরে মোয়া ফলে। তোর ইচ্ছাও পূরণ হবে। good night bro.” রায়হান মুখ বাকিয়ে বিরবির করে বলে
” goddo goddo night and my baddo baddo night” অভিদ শুনতে পেয়ে হেসে দিলো।
খাবার নিয়ে রুমে এসে দেখে রুহি ঘুমে ঢুলুঢুলু করছে। অভিদ খাবার গুলো রেখে রুহির কাধে হাত রেখে রুহিকে ঝাকি দিতেই রুহি চোখ টান টান করে চোখ খুলে অভিদের দিকে তাকিয়ে থাকে। অভিদ ভাত মেখে রুহির মুখের সামনে ধরে বলে
” নাও হা করো আর তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পরো।” রুহি খাবার টা মুখে পুরে নেয়। হেডফোন কানে লাগিয়ে জোড়ে গান চালিয়ে দেয় ঘুম ভাঙার জন্য। অভিদ রুহিকে খাইয়ে দিতে দিতে নিজেও খেয়ে নিলো। খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে রুহিকে মেডিসিন খাইয়ে দিয়ে বলে
” এখনও ঘুমিয়ে পরো আমি এসব রেখে আসছি।” বলে বেরিয়ে যায়। রুহি পা ঠিক করে ব্ল্যাংকেট টেনে ধপ করে শুয়ে পরলো। কিছুক্ষণ পরে অভিদ এসে লাইট অফ করে রুহির পাশে শুয়ে পরলো। রুহি আধখোলা চোখে অভিদকে দেখে সাবধানে অভিদের দিকে চেপে এসে অভিদের বুকে মাথা রেখে খরগোশের মতো গুটি মেরে ঘুমিয়ে পরে। অভিদ মুচকি হাসলো রুহির কাজ দেখে। রুহিকে জড়িয়ে নিজেও ঘুমের দেশে পারি দিলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিচে এক সাথে ব্রেকফাস্ট শেষ করে নেয়। ফুপি কয়েকদিন পরে আবার চলে যাচ্ছে। অনির তার ফুপির সাথে যাওয়ার কথা থাকলেও অভিদ সেটা না করে বলে দেয় এখন থেকে এখানেই পরবে তবে অনির ইচ্ছে থাকলে যেতে পারে মাঝেমাঝে। ফুপিও আর কিছু বললো না কারণ এতো বছর দুই ভাই বোন আলাদাই থেকেছে তাই এখন একসাথে থাকতে চাইলে মানা করতে পারবে না। তুষারও যাবে না এখানে থেকেই অফিসের সব কাজ করবে। শুধু মাঝে মাঝে যাবে।
আজকে রুহি ভার্সিটিতে যাচ্ছে। রুহি রেডি হয়ে বেডে বসে গালে হাত দিয়ে হা করে অভিদের দিকে তাকিয়ে আছে। আজকে রুহির থেকে অভিদ বেশি সাজছে। অভিদ রুহি তৈরি হওয়ার আগে থেকেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। অভিদ রুহির পছন্দের কালারের শার্ট, কোট পরেছে। অভিদ এখনও মিররের সামনে দাঁড়িয়ে ঘড়ি পরে চুল গুলো বারবার হাত দিয়ে পেছনে ঠেলছে। রুহির কাছে মনে হচ্ছে আজকে অভিদের সাজটা অনেক বেশিই হচ্ছে। অভিদ চুল ঠিক করতে করতে রুহির সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে
” কি হলো দাঁড়িয়ে আছো কেনো ?? চলো !! লেট হয়ে যাবে তো নাকি!! তোমার তৈরি হতে এতো সময় লেগেছে কেনো ?? এখন এতোদিন পর প্রথম ক্লাসে যাচ্ছ যদি ক্লাস মিস হয়ে যায় !! প্রথম দিন এতো কেয়ারলেস হওয়া উচিত না।” অভিদের কথা শুনে রুহির মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো গাল থেকে হাত পরে গেলো মুখটা আগের থেকে আরো বড় হা হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ বোকার মতো তাকিয়ে রইলো অভিদের দিকে। এমন কথা শুনে কি রিয়েকশন দেবে বুঝে উঠতে পারলো না রুহি। রুহি অবাক হয়ে ক্ষেপে বলে উঠে
” মানে কি ?? এতোক্ষণ ধরে কে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছিলো ?? হাতের ঘড়ি পরছিলো ?? পারফিউম কে ইউজ করছিলো ?? আমি করেছি এসব ?? আপনিই তো ২ ঘন্টা ধরে এসব করে তৈরিই হচ্ছেন আর এখন আমার দোষ!! আমি তো সেই দেড় ঘন্টা আগে থেকে রেডি হয়ে বসে আছি। আর আমাকেই বলছেন আমি তৈরি হতে দেড়ি করছি!! রিয়েলি ??” অভিদ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে
” ঠিকাছে চলো একটু দেড়ি হলে কিছু হয় না।” অভিদের কথা শুনে রুহি আবার আকাশ থেকে পরলো। রুহি চোখ বড় বড় করে বলে
” আপনি কি পাগল হয়ে গিয়েছেন ?? একটু আগেই বললেন আমাদের লেট হচ্ছে। আজকে আমার প্রথম দিন, প্রথম দিন লেট হওয়া উচিত না। আর এখিন বলছেন লেট হলে কিছু হবে না ?? উফফ আমি পাগল হয়ে যাবো।” বলে মাথা ধরে বসে। অভিদ রুহির একটা কথাও শুনেনি এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। রুহি ভ্রু কুচকে অভিদকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত স্কেন করে বলে
” আচ্ছা এটা বলুন আজকে আপনি এরো সেজেছেন কেনো ?? দেখে মনে হচ্ছে বিয়ে খেতে যাচ্ছেন। আচ্ছা আপনি আবার ভার্সিটির মেয়েদের আছে যাবেন না তো ??” অভিদ মোবাইলটা কোটে রেখে বিরক্তি দেখিয়ে বলে
” তুমি বেশি প্রশ্ন করছো কিন্তু। আমরা অনেক লেট হয়ে যাবো। চলো।” বলে বেরিয়ে যায়। রুহিও ব্যাগ কাধে নিয়ে আস্তে আস্তে হেটে রুম থেকে বেড়িয়ে আসলো। নিচে এসে ফুপির সাথে কথা বলে অনি আর রায়হানের সাথে বেড়িয়ে পরলো।
ভার্সিটির সামনে গাড়ি থামতেই অনি আর রুহি নেমে গেলো। অভিদ বেড়িয়ে রুহির কাছে এসে ফিসফিস করে বলে
” আজকে তুমি তাড়াতাড়ি ক্লাস করে বেড়িয়ে পরবে। আমি ফোন করবো তখন আর মিশুকে নিয়ে আসবে। ক্লাসে যাও আর সাবধানে থাকবে আর কেয়ারফুল ভাবে হাটবে। গার্ডরাও আছে কিছু দরকার হলে ওদের বলবে বা আমাকেই ফোন করবে।” রুহি বোকার মতো মাথা নেড়ে হ্যা বলে। অভিদ রুহির দুই কাধে হাত রেখে রুহির কুপালে চুমু দিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যায়। অভিদ যেতেই অনি রুহিকে নিয়ে ভেতরে ঢোকে।
চলবে…wait for next part.