#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা :মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ৫০
সিহাব রুহিকে নিয়ে তার নতুন গোপন আস্তানায় চলে আসে। রুহিকে রেখে মুখ থেকে সব নকল দাড়ি খুলে ফেলে। সিহাব ওই ছেলেদের বলেছিলো গার্ডদের সাথে অকারণেই মারামারি শুরু করে ব্যস্ত রাখার জন্য।আর সিহাব এই ফাকে রুহিকে নিয়ে আসবে। সেভাবেই সিহাব রুহিকে নিয়ে এসেছে।
অভিদ রুহিকে যেখানে থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে এসেছে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখছে সিহাব রুহিকে নিয়ে কোনদিক দিয়ে যেতে পারে। রায়হান গার্ডদের উদ্দেশ্য করে বলে
” তোমরা কি কোনো কিছু দেখেছো ?? যে রুহিকে নিয়ে লোকটা কোথায় গিয়েছে বা যেতে পারে ??” গার্ডরা মাথা নাড়িয়ে বলে
” না স্যার আমরা দেখিনি।” তাদের পেছন থেকে একজন গার্ড বলে উঠে
” স্যার আমি দেখেছি।” অভিদ, রায়হান চমকে গার্ডের দিকে তাকায়।কোনো একটা আশার আলো খোঁজার চেষ্টায় আছে । অভিদ উদ্বিগ্ন গলায় বলে
” কোথায় দেখেছো তুমি ??” গার্ড হাত দিয়ে পেছনের একটা রাস্তা দেখিয়ে বলে
” স্যার এদিক দিয়ে যেতে দেখেছিলাম একটা লোককে ম্যামকে নিয়ে। আমি সবাইকে বলতে বলতে লোকটা কোথাও চলে গিয়েছে।” অভিদ সবাইকে বলে
” তাড়াতাড়ি খুঁজতে শুরু করো। ওই রাস্তার সব অলি গলি খুঁজতে থাকো। যে করেই হোক ওদের তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করতে হবে।” সবাই গাড়ি নিয়ে সেই রাস্তা দিয়ে ছুটতে থাকে।
অভিদ গাড়ি চালাতে চালাতে বলে
” সিহাবের মন এখন অনেক হিংস্র হয়ে আছে। সিহাব আর যাবেদ খানকে নিউজিল্যান্ডে আটকে রেখে আঘাত করা, ওদের পাবলিকের কাছে মার খাওয়ানো, ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার লস। সব হিসেব এক সাথে সিহাবকে হিংস্র করে তুলেছে। এই মন নিয়ে যেই কোনো কিছু করতেই দ্বিধাবোধ করবে না। আমাদের তাড়াতাড়ি ওকে খুঁজে বের করতে হবে।” রায়হান ভেবে দেখলো অভিদ ঠিক কথা বলছে। রায়হান, অভিদ গাড়ি থামিয়ে রাস্তার আশেপাশে দেখতে লাগলো।
সিহাব রুহির পাশে বসে আছে। রুহি অচেতন অবস্তায় শুয়ে আছে এখনও জ্ঞান ফিরেনি। সিহাব রুহির দিকে লোভি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মনের মধ্যে অনেক কিছু ঘুরছে। সিহাব রুহির দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে
” অভিদের উপর প্রতিশোধ নিতে চাই তবে এইবার আর আগের মতো ভুল করবো না। আগেরবার সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলাম তোকে আটকে রেখে। সেইদিন যদি এই রুহিকে মেরে ফেলতাম তাহলে আজকে আর এই অবস্থা দেখতে হতো না আমাকে। আর আমার বাবাকে। কে জানে আমার বাবা কোন অবস্থায় আছে ?? আজকে আমি রুহিকে মারবোই তারপর দরকার পরলে নিজেও অভিদের হাতে মরবো। সেটা হলেও অভিদকে বরবাদ করতে পারবো।” বলে বাকা হাসি দিয়ে উঠে যায়।
অভিদরা সেই রাস্তা দিয়ে হওয়া সব গুলো অলি-গলি, এলাকা সব দেখে নিলো কিন্তু সিহাবকে খুঁজে পেলো না। অভিদ রেগে হাত মুঠো করে গাড়িতে ঘুষি মেরে। রায়হান অভিদের কাধে হাত রেখে বলে
” কোথায় খুঁজবো এখন ??” অভিদ কোমড়ে হাত রেখে গম্ভীর গলায় বলে
” এই এলাকার মাঝেই আছে। কারণ এতো তাড়াতাড়ি কোথাও নিয়ে যেতে পারবে না আর এই রাস্তা দিয়ে তো কোনো সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে অন্য কোথাও যেতে পারবে না। এখানেই আছে।” অভিদ রায়হানকে নিয়ে আবার খোঁজা শুরু করে। অভিদ গাড়ি নিয়ে একটা গলিতে ঢুকলো। এইখানে একটু আগেও এসেছে তবে এবার ভালো করে খুঁজতে আবার এসেছে। গাড়ি সাইডে রেখে অভিদ, রায়হানকে নিয়ে গাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলো। দুজন মুখে মাস্ক পরে নেয়। কারণ দিনের বেলায় কেউ দেখলেই আবার ঝামেলায় পরতে পারে তাই। অভিদ, রায়হানকে নিয়ে এলাকার বাড়ি গুলোর চারপাশ দেখতে লাগলো। কয়েকটা বাড়ির পেছনে একটা বস্তিবাসীর আস্তানা দেখতে পেলো। দুপুর হওয়ায় সব একদম চুপচাপ হয়ে আছে। রায়হান অভিদের দিকে তাকিয়ে বলে
” এখানে খুঁজবি ??” অভিদ শান্ত গলায় বলে
” শুধু এখানে কেনো জাহান্নামেও যাবো রুহিকে খুঁজতে। আর সিহাব এখম সব জায়গায়ই থাকতে পারে। তাই আমাদেরও সব জায়গায়ই খুঁজতে হবে। চল !!” রায়হান মাথা নেড়ে অভিদের সাথে যেতে থাকে। দুজন ভেতরে ঢুকে রুম গুলো চেক করতে থাকে। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে প্রথম কয়েকটা ঘর ছাড়া সব ঘর গুলো খালি দেখা যাচ্ছে। অভিদ, রায়হান খালি রুম গুলো দেখে দেখে আরো ভেতরে যাচ্ছে। আরো ভেতরে যাওয়ার পর একটা মোটামুটি বড় দেয়াল ঘর দেখতে পেলো। রায়হান অবাক হয়ে বলে
” এতো ভেতরে এই পাকা দেয়াল ঘর !! তাও বস্তিবাসী দের একদম শেষে ?? এখানে থাকে কে ??” অভিদ ঠোঁটে আঙুল রেখে রায়হানকে ‘শশ’ শব্দ করে চুপ হতে বলে।
রায়হান ভ্রু কুচকে নিচু গলায় বলে
” কি হয়েছে ??” অভিদ ধীর গলায় বলে
” i think এখানেই কিছু বা সিহাবকে পেতে পারি।”
অভিদের কথা শুনে রায়হান অবাক হয়। রায়হানকে আর কিছু বলতে না দিয়ে অভিদ ধীর পায়ে এগিয়ে যেতে থাকে। একটু এগিয়ে যেতেই কেমন একটা খচখচের আওয়াজ পায় ভেতর থেকে। অভিদ রায়হানের দিকে একবার তাকিয়ে এগিয়ে গেলো। সেই বাড়িটার জানলা দিয়ে উকি দিয়ে ভেতরের কিছু দেখার চেষ্টা করলো। ভেতরে দেখেই অবাক হয়ে গেলো। সিহাবের হাতে একটা বড় ছুরি। সিহাব হাতে নিয়ে ঘষছে আর হাসছে। অভিদের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম। অভিদ তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরে এসে রায়হানের সামনে দাঁড়ালো। রায়হান অভিদকে দেখে ফিসফিস করে বলে
” কি দেখেছিস ?? কেউ আছে ??” অভিদ ঢোক গিলে বলে
” সিহাবের হাতে ছুরি।” রায়হান চোখ বড়বড় করে ফেললো। রায়হান ভেবেছিলো এখানে কেউ থাকবে না। অভিদ দৌড়ে ভেতরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে বের করে। রায়হান তাড়াতাড়ি করে গার্ডদের ফোন দিয়ে লোকেশন পাঠিয়ে অভিদের পেছনে ছুট লাগালো। অভিদ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেলো।
এদিকে সিহাব ছুরি নিয়ে রুহির দিকে এগিয়ে গিয়েছিলো মারার জন্য কিন্তু এতো জোড়ে শব্দ পেয়ে হাত থেকে ছুরিটা ফেলেই সেদিকে দৌড় দেয়। সেখানে এসেই অভিদকে দেখতে পেলো। অভিদকে দেখে সিহাব ভয় পেয়ে গেলো। অভিদ সিহাবকে দেখেই সিহাবের কলার চেপে ধরে চিৎকার করে বলে
” আমার রুহি কোথায় বল !!” সিহাব ভগ পেয়ে গেলেও পরে হেসে বলে
” তোর রুহি মরে গিয়েছে। আমি একটু আফে তাকে মেরে তোদের বাড়ির সামনে ফেলে এসেছি।” বলে জোড়ে জোড়ে হাসতে থাকে। অভিদ রেগে চিৎকার করে সিহাবকে ঘুষি দিতেই সিহাব ছিটকে পরে গেলো। অভিদ আবার তুলতে যাওয়ার আগেই সিহাব উঠে ভেতরের রুমে দৌড় দেয়। অভিদ, রায়হানও ওর পেছনে দৌড় দেয়।
সিহাব রুমে এসেই ছুরিটা খুঁজতে থাকে রুহিকে মারার জন্য। খাটের কোণায় ছুরিটা পেয়ে গেলো। ছুরিটা হাতে নিয়ে রুহির পেটে ঢুকাতে নিলেই অভিদ এসে সিহাবের হাত ধরে ফেলে। সিহাবের দিকে বাঘের দৃষ্টিতে তাকায়। রায়হান পেছনে থেকে সিহাবের মাথায় বাড়ি দেয় গান দিয়ে। সিহাবের হাত আলগা হায়ে আসে। ছুরিটা ছেড়ে মাথায় হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে সরে আসে। অভিদ গিয়ে সিহাবের কলার ধরে রাগে কাঁপতে কাঁপতে বলতে থাকে
” রুহির ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিলি আবার !! তোর এই ভুল আবার তোকে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। এবার কি করে পালাবি সেটাও আমি দেখবো। পালানোর মতো অবস্থা বা ব্যবস্থা কোনোটাই থাকবে না। বলে রায়হানের হাত থেকে গান নিয়ে সিহাবের পায়ে গুলি করে দেয়। সিহাব চিৎকার দিয়ে বসে পরলো। অভিদ রুহির কাছে গিয়ে রুহিকে কোলে তুলে নেয়। রায়হানের দিকে তাকিয়ে বলে
” চল গার্ডরা এসে নিয়ে যাবে এটাকে।” রায়হান সিহাবের দিকে তাকিয়ে বলে
” নাহ তুই রুহিকে নিয়ে যা। আমি এখানেই আছি। চলে গেলে যদি আবার পালিয়ে !! এই সিহাবের উপর কোনো ভরসা নেই। তুই গাড়িতে ওয়েট কর। গার্ডরা আসলেই আমি আসছি।” অভিদ মাথা নেড়ে রুহিকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো। বস্তির খালি ঘর গুলো, একটা বাড়ি পেড়িয়ে গাড়ির কাছে আসে। রুহিকে কোলে নিয়েই এক হাতে গাড়ির দরজা খুলে রুহিকে বসিয়ে সিট বেল্ট বেধে দেয়। বাইরে গার্ডদের অপেক্ষা করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর গার্ডরা চলে আসে। অভিদকে দেখে অভিদের কাছে আসে। অভিদ ওদের দেখে রাগি গলায় বলে
” সিহাব যদি এবার পালায় !! তাহলে তোমাদের কাউকে ছাড়বো না আমি বলে দিলাম। ওকে ওর বাবার কাছে রেখে আসবে। এখান থেকেও সাবধানে নিয়ে যাবে।” গার্ডরা ভয়ে ভয়ে মাথা নেড়ে চলে গেলো।
অভিদ গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে রুহির দিকে তাকালো। বেশি ক্লোরফোম দেওয়ার কারণে এখনও সেন্স আসেনি। অভিদ রুহিকে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলো। রুহির কপালে, মুখে ছোট ছোট চুমু দিয়ে ভড়িয়ে দিলো। এরমাঝে রায়হান চলে আসে। রায়হানকে গাড়ির দিকে আসতে দেখে অভিদ রুহির মাথাটা কাধে রেখে একি হাতে জড়িয়ে ধরে। রায়হান ভেতরে ঢুকে দুজনকে দেখে মুচকি হাসি দিলো। অভিদকে বলে
” তোর ড্রাইভ করতে প্রবলেম হবে। তুই রুহিকে নিয়ে পেছনে চলে আয় আমি ড্রাইভ করছি।” বলে রায়হান গাড়ি থেকে নামতে গেলেই অভিদ বাধা দিয়ে বলে
” আমার কোনো প্রবলেম হবে না। তুই চুপচাপ বসে থাক।” রায়হান নিশ্বাস ফেলে বসে থাকে।
অভিদ পুরো রাস্তা রুহিকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে ড্রাইভ করেছে। অভিদ শুনবে না দেখে রায়হানও আর কিছু বলেনি। অভিদ তার প্যালেসের সামনে গাড়ি থামায়। গাড়ি থেকে বেড়িয়ে রুহিকে কোলে তুলে ভেতরে চলে যায়। সাথে রায়হানও আসে।
দুজন ভেতরে এসে দেখতে পেলো মিশু আর অনি ব্যাগ রেখে সোফায় বসেছে। অভিদ, রায়হান দুজন ওদের দেখে রেগে গেলো। রায়হান দুজনের সামনে গিয়ে চেঁচিয়ে বলে
” কোথায় ছিলে তোমরা ?? বিপদের সময়ই তোমাদের খুঁজে পাওয়া যায় না কেনো ?? রুহিকে একা একা বাড়িতে পাঠিয়ে নিজেরা কোথায় গিয়েছিলে ?? জানো কতো বড় বিপদ হয়েছে?? You have any idea !!” অনি আর মিশু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রুহির কি হয়েছে বুঝতে পারছে না। অভিদ এগিয়ে এসে রাগান্বিত গলায় বলে
” তোমরা কোথায় ছিলে ?? তোমাদের তো একসাথে আসার কথা প্রতিদিন তাহলে ??” মিশু মাথা নিচু করে বলে
” আসলে ভাইয়া আজকে আমরা চারজন একটু ভার্সিটির পাশের পার্কে ঘুরছিলাম। তখন কফি খেতে যাওয়ার কথা বলি আর রুহি বলে ওর শরীর খারাপ লাগছে পা ব্যাথা করছে তাই বাসায় চলে আসবে। আমরা না করেছিলাম কিন্তু রুহি আসতে চাইলো আমি বলেছিলান গাড়ি নিয়ে বাড়িতে ফিরতে কিন্তু এরপর কি হয়েছে সেটা তো আমরা জানি না।”
রায়হান গম্ভীর গলায় বলে
” তোমাদের রুহিকে একা ছাড়া ঠিক হয়নি। ড্রাইভারের উপর এটাক করে রুহিকে সিহাব তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। ভাগ্যের কারণে আজকে বেচে গিয়েছে।” অনি আর মিশু রুহির কাছে এসে দাঁড়াল নিজেদের কাজের জন্য অপরাধ বোধ করলো। অভিদ রুহিকে রুমে নিয়ে গেলো।
ফ্রেশ হয়ে এসে রুহির পাশে বসলো। এতো সময় হয়ে গিয়েছে তবে রুহির সেন্স ফিরছে না তাই অভিদ পানির গ্লাস নিয়ে রুহির মুখে পানির ছিটা দিলো। রুহি পানি ছিটায় আস্তে আস্তে চখ খুললো। ঝাপসা ঝাপসা চোখে চারপাশ দেখে নিলো হঠাৎ রাস্তার কথা মনে পরতেই রুহি উঠে বসে চিৎকার করে বলে
” অভিদ !!” অভিদ রুহির চিৎকার শুনে রুহির হাত ধরে বলে
” এই তো রুহি আমি এখানে।” রুহি অভিদকে দেখে ভয়ে অভিদের গলা জড়িয়ে কান্না করে দিলো। অভিদ বুঝতে পারলো রুহি ভয় পাচ্ছে। অভিদ রুহিকে শান্তনা দেওয়ার জন্য রুহির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে
” কিছু হয়নি তুমি একদম ঠিকাছো। আর কান্না কররে হবে না। রুহি !!” রুহি একমনে ফুপিয়ে কান্না করে যাচ্ছে। কান্না করতে করতে বলে
” আমি কতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ওই লোক টা আমার মুখে রুমাল চেপে ধরেছিলো। এরপর.. এরপর কি হয়েছে ??” অভিদ রুহিকে সামনে এনে বলে
” এরপর আমি তোমাকে নিয়ে এসেছি। আর কিছুই হয়নি। এখন তুমি ফ্রেশ হয়ে এসে রেস্ট করো।” রুহি আবার কান্না করতে নিলেই অভিদ ছোট ছোট চোখ করে রুহির দিকে তাকায়। রুহি নাক টেনে কান্না থামানোর চেষ্টা করতে থাকে। রুহি ফ্রেশ হয়ে এসে রেস্ট করতে থাকে।
চলেব…wait for next part….