মেঘবৃত্ত পর্ব-২৬+২৭

0
562

#মেঘবৃত্ত
#পর্ব_২৬
#আভা_ইসলাম_রাত্রি

ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে গেলো, হেমন্তকাল পেরিয়ে ঠকঠক করা শীত এলো। মাসের নৌকা পা ভেজালো, নভেম্বরে। দেখতে দেখতে মেঘার প্রেগন্যান্সি তিনমাসে পা রাখলো। চোখের পলকে এ কটা দিন কেমন করে পেরিয়ে গেলো, মেঘা টেরই পেলো না।
এই তো, আজকের কথা! দুপুরের রান্নাবান্না শেষ করে মেঘা নিজ ঘরে এলো। দেহখানা বড্ড ক্লান্ত, নেতিয়ে গেছে একদম। শ্যামা রঙের শরীরে ঘামের ফোঁটা চকচক করছে যেনো। এখন একটা গোসল না হলেই নয়! মেঘা চটপট শাড়ি হাতে নিয়ে বাথরুমে চলে গেলো। আধা ঘন্টা পর গোসল সেরে বের হয়ে এলো সে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি ঠিক করায় মনযোগ দিলো। শাড়ীর কুচি ঠিক করতে সহসা চোখ গেলো নিজের উদরের দিকে। নিজের হালকা ফুলে উঠা পেট নজরে পড়তেই মেঘা একদম হা হয়ে গেলো। দু মিনিট ‘ থ ‘ হয়ে চেয়ে রইলো নিজের এই ছোট্ট পেটে বর্ধমান এক ছোট্ট বাচ্চাটার দিকে। কম্পিত হাতে শাড়ীর আঁচল সরিয়ে আনমনা হয়ে আলতো করে পেটে হাত বোলালো সে। বিড়বিড় করে উচ্চারণ করলো,
‘আমার বাচ্চাটা’
কথাটা মুখ ছিঁড়ে বেরুতেই মেঘার পাতলা ঠোঁটটা যেনো হেসে উঠলো। পেটে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ নিজ সন্তানকে অনুভব করার চেষ্টা করলো। মনে মনে কল্পনা করলো,
মেঘবৃত্ত ও একটি সন্তান। তিনজন হাঁটছে পাশাপাশি, কথা বলছে, খিলখিলিয়ে হাসছে। দূরের চাঁদ তাদের সুখ দেখে লজ্জা মেঘের আড়ালে মুখ লুকাচ্ছে। আর মেঘা? সে তো সর্বদার মত দু চোখ জুড়িয়ে চেয়ে দেখছে, তার সেই সমগ্র দুনিয়াটাকে। এর চেয়ে শ্রেষ্ট অনুভূতি এভুবনে কি দুটো আছে?

মেঘার এসব সুখী সুখী ভাবনার সুতো কাটলো, এক ভয়ঙ্কর কথা মনে পড়ায়। মনে হলো, পেট বেড়ে গেছে তার। এখন বৃত্তের মা নিশ্চয়ই বিষয়টা খেয়াল করবেন। তখন, মেঘা কি করবে? বৃত্তের মা একবার সন্দেহ করলে, মেঘার আর নিস্তার নেই। এমনিতেই মেঘার গায়ের রং নিয়ে বৃত্তের মা নাখোশ। তার মধ্যে, মেঘা বিয়ের দু সপ্তাহের মাথায় প্রেগন্যান্ট কথাটা শুনলে তো তিনি মেঘাকে আস্তই রাখবেন না। আর যদি সেই বাচ্চার বয়স হয় দু মাস! তখন? ভয়ে মেঘার আত্মা যেনো শুকিয়ে এলো। মেঘা চটজলদি হাত চালিয়ে শাড়ি খুলে ফেললো। তার বদলে, গায়ে জড়ালো ঢিলেঢালা লিলেনের ত্রিপিস। এখন আর পেটের ফোলাটা খুব একটা বুঝা যাচ্ছে না। যাক, বাঁচা গেলো।
রাতের খাবার গোছানোর সময়, বৃত্তের মা মেঘার পাশে এসে দাঁড়ালেন। মেঘা তখন বাসনপত্র ধুয়ে তাকে সাজিয়ে রাখছিলো। বৃত্তের মা দুপুর থেকে মেঘাকে তীক্ষ্ম নজরে আগাগোড়া জরিপ করছেন। হুট করে মেঘার শাড়ি ছেড়ে এরূপ ঢিলেঢালা শাড়ি পড়া উনার মোটেও পছন্দ হচ্ছে না। বিয়ের একমাসও এখনো পেরোয় নি। তারমধ্যেই, মেঘার এরূপ সাজসজ্জাহীন বিষয়টা তার মাথায় ভোঁতা বিরক্তি তৈরি করছে। বৃত্তের মা আর সহ্য করতে পারলেন না। মেঘার পাশে দাঁড়িয়ে কথা তুললেন,
— মেঘা?
মেঘা ততক্ষনাৎ বাসন ফেলে শাশুড়ির দিকে তাকালো। নম্র কণ্ঠে বললো,
— জ্বি, মা?
— আজ শাড়ি পড়ো নি কেনো?
হুট করে বৃত্তের মায়ের এহেন প্রশ্ন শুনে মেঘা থতমত বনে গেলো। কি বলবে, কথা খুঁজে পেলো না। ভয়ে ভয়ে বললো,
— আসলে, গরম লাগছিলো আজ। তাই, আরকি…
— এই শীতের মাসে তোমার গরম লাগছিল?
বৃত্তের মা তীক্ষ্ম কণ্ঠে প্রশ্নটা করলেন। মেঘা এবার বোকা বনে গেলো। বুঝে গেলো সে, বৃত্তের মতন গুছিয়ে মিথ্যে কথা বলা তার দ্বারা কখনোই সম্ভব হয়ে উঠবে না। বৃত্তের মত ফটাফট একের পর মিথ্যে বলাও এক আর্ট। মেঘার ক্ষেত্রে এই আর্টটা একদম নেই বললেই চলে। মেঘা মাথানত করে আস্তে করে বললো,
— আমি দুঃখিত মা। কাল থেকে আমি আবার শাড়ি পড়বো।
বৃত্তের মা ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ফেললেন। আজকাল ছেলেমেয়ের স্বামীর প্রতি এহেন উদাসীনতা দেখে তিনি হতাশ।তার মতে, বাড়ীর বউয়ের শাড়ি পড়া হলো এক দারুণ সৌন্দর্য। কিন্তু, এই মেঘা… বৃত্তের মা হতাশ নিঃশ্বাস ফেললেন। কিছুক্ষণ পর মেঘার দিকে আরো একটু ঘন হয়ে দাঁড়ালেন উনি। মেঘার দিকে ঝুঁকে ধীর কণ্ঠে বললেন,
— শোনো মেঘা। জানি কথাটা আমার বলা উচিৎ না। তবুও, আর কেউ বলার নেই বলে আমিই বলছি এসব। ঘরের বউরা যদি সর্বদা সেজেগুজে না থাকে, তবে পুরুষ মানুষের মন অন্যদিকে নিজের সাজসজ্জা খুঁজে নেয়। আর শাড়ি হলো স্ত্রীদের অন্যতম সাজের কাপড়। স্ত্রীকে শাড়ি পড়া দেখলে সকল পুরুষই মুগ্ধ হয়। আমি কি বলতে চাইছি, বুঝেছো নিশ্চয়ই?

নিজ শাশুড়ির মুখে এমন লজ্জাজনক কথা শুনে মেঘার তুমুল অস্বস্তিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলো। হঠাৎ করেই পরিস্থিতি হয়ে উঠলো প্রচণ্ড বিদঘুটে! মেঘা নতমুখ করে দাঁড়িয়ে রইলো। চেহারা লজ্জায় লাল টকটকে হয়ে গেলো। মনে মনে তুমুলভাবে এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতি থেকে ছাড়া পাওয়ার দোয়া করতে লাগলো। বৃত্তের মা হয়তো বিষয়টা বুঝতে পারলেন। তিনি ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ফেলে রান্নাঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। কিন্তু মেঘা সে জায়গায়টায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। নড়াচড়া অব্দি থেমে গেলো তার। কন্ঠনালী আটকে গেলো, কান ভনভন করতে লাগলো, তৃষ্ণা পেলো প্রচন্ডরকম।
___________________________
আজ মেঘবৃত্তের ফাইনাল এক্সাম প্রথম দিন। সকালে সিলেবাসটা আরো একবার গুছিয়ে নিয়ে দুজনেই বেরিয়ে পড়লো বাড়ি থেকে। বৃত্তের মা পেছন থেকে বরাবরের মত একটাই দোয়া করলেন,
‘ হে আল্লাহ এ দুজনের আশা তুমি পূরণ করো। দুনিয়ার যত সাফল্য আছে, তা তুমি এদের জন্যে সহজ করে দাও। আমিন। ‘

#চলবে।

#মেঘবৃত্ত
#পর্ব_২৭
#আভা_ইসলাম_রাত্রি

পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মাত্রই বের হলো সবাই। হলের বাইরে একেকজন ভিড় জমিয়েছে উত্তর পর্যালোচনার জন্যে। খানিক পর মেঘবৃত্ত হল ছেড়ে বের হলো। বৃত্ত চোখের চশমাটা খুলে ব্যাগে রেখে দিলো। বৃত্তের চোখে মেজর কোনো সমস্যা নেই। শুধু পড়াশোনা আর পরীক্ষার সময়ে সে চশমা পড়ে। বৃত্ত যতবার চশমা চোখে দেয়, ততবার মেঘা শুধু হা হয়ে চেয়ে রয়। চশমা পড়া অবস্থায় কাউকে এতটা মারাত্মক লাগতে পারে, সেটা বৃত্তকে না দেখলে মেঘা তো জানতোই না।
মেঘবৃত্ত একসাথে হাঁটছে। মেঘা প্রশ্নপত্র নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করছে বৃত্তকে। বৃত্তও ধৈর্য্যসহকারে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। প্রায় বিশটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর বৃত্ত একসময় বিরক্ত হলো। ভ্রু অটোমেটিক কুঁচকে গেলো তার। সে তেঁতো কণ্ঠে বললো,
— চুপ কর, ভাই। চুপ কর। আর কত প্রশ্ন করবি। মুখ ব্যথা করে না তোর? তোরে উত্তর দেওয়ার ঠেলায় আমার মুখ ব্যথা হয়ে গেছে, বাল। আর একটাও কথা বলবি তো তোরে ওই ঝিলে ধরে চুবামু, ড্যাম সিওর।

মেঘা ঠোঁট উল্টালো। বোকা বোকা কণ্ঠ তার,
— আমার খুব টেনশন হচ্ছে রে। ফাইনাল এক্সাম পাশ না করতে পারলে আমি শেষ। একদম আল্লাহর পেয়ারা হয়ে যাবো।
— নো টেনসন। এত জলদি তুই আল্লাহর পেয়ারা হবি না। পাশ করবি, চিন্তা নেই।
— করলেই ভালো। না করলে…

মেঘা পুনরায় হতাশ নিঃশ্বাস ফেললো। বৃত্ত ক্যান্টিনের দিকে যেতে যেতে বললো,
— ক্ষুধা লাগছে, না? চল, কিছু খেয়ে নেই।

ক্যান্টিনে বসামাত্রই ক্যান্টিন বয় দিহান দৌঁড়ে এলো বৃত্তদের দিকে। বৃত্তের পাশে এসে অত্যন্ত উচ্ছল কণ্ঠে বললো,
— ভাই, কেমন আছেন? অনেকদিন পর আমার এখানে আসলেন।
মেঘা পাশে বসেছিল। দিহান মেঘাকে লক্ষ্য করতেই বললো,
— মেঘাপু, কেমন আছো? তোমারে এখন আপু বলবো না ভাবি বলবো? যতই হোক, বৃত্ত ভাইয়ের বউ তুমি!

কথাটা বলে দিহান নামক ছেলেটা ফিক করে হাসলো। মেঘা মুচকি হেসে বললো,
— আপাতত আপুই বলো তুমি।

বৃত্ত বললো,
— চারটা সিঙ্গারা, দুটো কোক আর দুটো ছোট দেখে স্যান্ডউইচ আনতো। ক্ষুধা লাগছে খুব। আর হ্যাঁ, গরম গরম হয় যেনো।
দিহান বললো,
— ভাই এটা কি বললেন? আমি কি কখনো আপনারে ঠান্ডা খাবার দিসি? আমি পাঁচ মিনিট বসেন, আমি জলদি জলদি খাবার আনতাছি।
বৃত্ত হাসলো একটু। এই দিহান নামক এই হিন্দু ছেলেটা
‘বৃত্ত ভাই’ বলতেই পাগল। বৃত্ত এককালে তার মায়ের চিকিৎসার সম্পূর্ণ টাকা দিয়েছিলো, যার কারণে তার মা একদম সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। এখনো বৃত্ত মাঝমধ্যে ছেলেটার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়, তার মাকে ভালো মন্দ খাওয়ানোর জন্য। সেই থেকে দিহান ছেলেটা বৃত্তকে একপ্রকার পূজাতুল্য ভাবে। বৃত্তও দিহানকে খুব আদর করে।

খাবারের অর্ডার দেওয়ার পর বৃত্ত আর মেঘা বসে বসে গল্প করছে। হঠাৎ সেখানে আগমন ঘটলো তিতির, নেহা, সিদ্ধার্থ, প্রনয় আর রাতুলের। শিহাব সহ এরা ছয়জনই মেঘবৃত্তের খুব কাছের বন্ধুগন। ভার্সিটি চুষে বেড়ানো ওদের কাজ। আজ শিহাব পরীক্ষা দিয়েই বাসায় চলে গেছে। কি কাজ আছে যেনো তার। তারা পাঁচজন বৃত্তের কাছে এসে বসলো। মেঘা তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে তাদের হালচাল জিজ্ঞেস করলো। সিদ্ধার্থ একসময় মেঘাকে বললো,
— তা, মেঘা? তোরে এখন কি ডাকবো? ভাবি বলে ডাকি একবার? ডাকি?
কথাটা বলেই সিদ্ধার্থ হাসলো খুব। বাকি সবাইও হাসলো তার কথার তালে। মেঘা একটু লজ্জা পেয়ে গেলো। গাল ফুলিয়ে বললো,
— যা ইচ্ছে ডাক। কিন্তু, ভাবি ডাকবি না। আনইজি লাগে খুব।
প্রণয় বললো,
— ভাইয়ের বউকে ভাবি ডাকমু না তো কি ডাকমু? বইন? বৃত্তের বইন নাই একটাও। শেষমেষ তুমিই বইন হইয়া যাও তার। কি কস বৃত্ত?

মেঘা হাসলো। বললো,
— তোর যদি মন চায়, বোন বলেই ডাক তাহলে। কিন্তু সাবধান, আমার হাত কিন্তু শক্ত খুব। একটা বাড়ি পিঠে পড়লে হাড্ডিগুড্ডি ভেঙে যাবে একদম।

প্রনয় ভয় পাওয়ার ভান করে বললো,
— থাক, থাক। আর বাড়ি-টারি দেওন লাগবো না। তুই সক্কলের ভাবিই বালা। এহন খুশি?
মেঘা ভাবসাব নিয়ে বললো,
— খুব!

মাঝখানে ফোঁড়ন কাটলো তিতির। বৃত্তকে বললো,
— তাহলে, তোদের লজিক অনুযায়ী বৃত্তও আমাদের দুলাভাই? কি বলিস বৃত্ত?
বৃত্ত এতক্ষণ ফোন নিয়ে মগ্ন ছিলো। তিতিরের করা প্রশ্ন শুনে বৃত্ত ফোনটা টেবিলের উপর রেখে দিলো। শার্টের কলারটা হালকা ঢিলে করে পিছন দিকে ঠেলে দিলো। চেয়ারে হেলান দিয়ে বলে উঠলো,
— আমার কোনো সমসসা নেই। চাইলে দুলাভাই ডাক, শালা ডাক, পারলে কিছু না ডাক। আমার কোনো সমস্যাই নেই।

নেহা হেসে বললো,
— তুই কখনো শোধরাবি না!
বৃত্ত বললো,
— কিসের শোধরানো? সত্যি কথা বললাম। তোদের সেই সত্যি পছন্দ হয়নি, সেটাতে আমার কি?

আবারো হেসে উঠলো সম্পূর্ণ ক্যান্টিন। একসময় রাতুল বললো,
— এই বৃত্ত? একটা গানের আসর বসে যাক? কি বলিস?
বৃত্ত বাঁধ সাধলো। বললো,
— আজ না। আজকে গিটারও আনিনি। কেমনে গাইবো? আজ না! অন্য একদিন।
সিদ্ধার্থ বললো,
— গিটার নেই তো কি হয়েছে? টেবিলে হাত দিয়ে সুর তুলবো।
বৃত্ত ভাবলো একটুসময়। অতঃপর, টেবিলে দুহাত রাখলো সে। বৃত্তের মনোভাব দেখে বাকি সবাই টেবিলে হাত রাখলো। অতঃপর, ছয় জোড়া হাত টেবিলে বাজনা তুলতে লাগলো। মেঘা সুরের তালে গাওয়া শুরু করলো,

সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে..
সেই তুমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম
কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি
কিভাবে এত বদলে গেছি এই আমি
ওহ.. বুকেরই সব কষ্ট দুহাতে ছড়িয়ে
চলো…বদলে যাই…….

সাতটি কণ্ঠে মুখরিত হলো পুরো ক্যান্টিন। একে একে সবাই খাওয়া ছেড়ে ভিড় জমালো বৃত্তদের টেবিলে। এরইমধ্যে দিহান খাবার এনে টেবিলে রাখলো। অতঃপর, নিজে গান শোনার জন্যে এক পাশে দাঁড়িয়ে রইলো। সেই আগের মত, সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটালো সবাই। সেই আগের মতই, তাদের বন্ধুত্ব মুগ্ধ করলো সবাইকে।

#চলবে।