#রাঙিয়ে দিয়ে যাও💙
#লেখনীতে:অনুসা রাত(ছদ্মনাম)
#অন্তিম পর্ব
অয়নকে সুস্থ করতে সপরিবারে মালেশিয়া চলে গেছে আজ ১ সপ্তাহ হলো। ডাক্তারের মতে,সে দেশের ডাক্তার হয়ত কোনো মিরাকল করতে পারবেন। আমিও চাই অয়ন আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে।আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দিন।
এদিকে আমিও নিজের বাসা থেকে ঘুরে এসেছি সাদিকে নিয়ে।এত ঘুরাঘুরির পর সাদি তো আমাকে একদম ছাড় দিচ্ছে না পড়াশোনার জন্য। আপাতত ওনার কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।ফট করে ঢুকে খাবারটা রেখে জড়িয়ে ধরে একটা কিস দিয়ে বেড়িয়ে আসবো। ভেবেই দরজা খুলে ঢুকলাম আমি।কিন্তু ওখানে ডক্টর ইরাকে দেখে ভ্রু জোড়া কুঁচকে গেলো আমার। ওনারা হয়ত কোনো বিষয় নিয়ে ডিসকাস করছিলেন। আমি আসাতে ইরা সাদির পাশের চেয়ার থেকে উঠে সামনের চেয়ারে বসলেন। চোখ এড়ায় না আমার। ইরা মুচকি হেসে বললেন,
___” আরে অনু যে! এসো এসো।”
আমি চুপচাপ ঢুকে গেলাম। আমার সাহেবের মুখের ভঙ্গিমাটা বুঝতে পারছি না। আমিই ওনাকে উদ্দ্যেশ্য করে বললাম,
___” বিরক্ত করলাম?”
সাদি গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
___” তোমাকে তো এখন আসতে বলিনি আমি।”
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে নখ খুঁটতে খুঁটতে বললাম,
___” একটু দেখতে আসলাম।”
ইরা হেসে বললেন,
___” আসলে আমরা একটু ব্যস্ত আছি। একটা রোগীর ফাইল নিয়ে বেশ সমস্যা…”
ওনাকে থামিয়ে দিয়ে সাদি বললেন,
___” আরে ওকে বলে কি হবে? ও কি বুঝবে এসব?”
আমি সাদির দিকে অবাক হয়ে তাকালাম। উনি ভ্রু কুঁচকে ইরার দিকে তাকিয়ে। ইরা সম্মতি দিয়ে বললো,
___” না মানে ও হঠাৎ এলো তো।”
সাদি এবার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
___” আমি এখন ডাকিনি। যাও ক্লাসে যাও।”
আমিও ঠ্যাটার মত দাঁড়িয়ে রইলাম। মনে মনে ভাবলাম,
___” আমাকে পাঠিয়ে দিয়ে দুজন মিলে প্রেমালাপ করবেন তো? যাবই না আমি।”
আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে সাদি আবার বললেন,
___” যাও অনু।ক্লাসে যেতে বললাম তো?”
আমি গম্ভীর কণ্ঠে বললাম,
___” অফ পিরিয়ড। আমি এখন এখানে থাকব।”
ইরা আপু হাইপার হয়ে বললেন,
___” আরে এটা কীভাবে হয়?আমরা এখানে কাজ করছি তো।”
আমি সাদির দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। সাদি ঠান্ডা গলায় বললেন,
___” যেতে বলেছি।”
আমিও নাছোরবান্দা। জোরেই বললাম,
___” যাবো না আমি!”
উনি উঠে দাঁড়ালেন। চোখ বড় বড় করে বললেন,
___”এক কথা কতবার বলতে হয় তোকে? একবার বললে বোঝ যায় না? এখানে হাসপাতালে আমার কেবিনে এসে সিনক্রিয়েট শুরু করে দিছিস।”
___” আমি থাকলে কি হবে?”
___” যেতে বলেছি।”
আমি কিছু না বলে পিছন থেকে হাতটা বের করে খাবারের বক্সটা রেখে সেখান থেকে প্রায় দৌড়েই বেড়িয়ে এলাম।তারপর হাঁটতে হাঁটতে সোজা বাসায়। বিছানায় বসেই গা এলিয়ে দিলাম। পা টা ব্যাথা করছে। এসব চিন্তায় আমি রিক্সাই নিইনি। এখন পা ব্যাথা। আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি,
___”ইরার সামনে আমার সাথে ওমন ব্যবহারটা করার কি খুব দরকার ছিলো সাদি?আমি তো খাবার দিতে গেছিলাম। আমিও যে না খেয়ে বসে আছি। সে দিক টা একবারো ভাবলেন না? মাথায় আসেনি? আর যাবই না ওনার কাছে। একবার না করেছেন ওনার কাছে যেতে। আর যাব না।”
ভেবেই চোখের কোণে জমে থাকা পানিটা মুছে নিলাম আমি।এমন সময় ফুপি রুমে ঢুকলো। আমি উঠে বসলাম। ফুপি ফোন এগিয়ে দিতে দিতে বললো,
___” কিরে অনু, তুই নাকি চলে এসেছিস। ফোনটা অফ কেন রে মা? সাদি যে কল করেছে।নে কথা বল।”
আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম,
___” তুমি কথা বলো ফুপি। আমার ভালো লাগছে না। গোসল করবো।”
___” সে কি কথা। আরে ছেলেটা লাইনে আছে। কথা বল।সব শুনছে কিন্তু। পরে বকা খেলে আমাকে দোষ দিবি না।”
___” হুম।”
বলেই জামা-কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ভিতর থেকে শুনছি ফুপি সাদিকে বলছে,
___” ও তো এমন করার মেয়ে না। কি করেছিস তুই?”
ব্যস এরপর সব কথা অস্পষ্ট। মানে ফুপি বের হয়ে গেছে। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রায় ১ ঘন্টার মত শাওয়ার নিয়ে বের হলাম।মনটা ভালো না!আমার ডাক্তারটা এমন বিহেভিয়ার কেন করলো?আমিও তো কথা বলবো না।ফোনটা হাতে নিয়ে অন করতেই দেখলাম ১৬৬+কল।আমি ফোনটা আবারো বিছানায় ছুঁড়ে দিলাম।
.
রাত ৮ টায় বাসায় ফিরে রুমে চোখ বুলায় সাদি।আজ মহারাণীর দেখা নাই।আসার শব্দ শুনে কারোর দৌড়ের সাথে নুপুর জোড়ার শব্দ নাই। চারিদিকটা বেশ শান্ত। তা দেখে সাদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
___” আজ যে কত কাঠখড় পোড়াতে হবে আল্লাহ মালুম।”
ভেবেই সে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে এলো। এসে চারিদকে চোখ বুলালো। নাহ!অনুকে তো পেলো না।বারান্দা থেকে কারোর কাশির শব্দ শুনে বারান্দায় পা রাখলো সে।দেখলো, বারান্দার দোলনায় বসে তার অনুপাখি কফি খাচ্ছে।হাতে গল্পের বই।সাদি গলা খাঁকারি দিলো।কেঁপে উঠলাম আমি। গল্পের বই থেকে মুখ তুলে সাদিকে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। আবারো গল্পের বইয়ে মুখ গুঁজে দিলাম। সাদি আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলতে লাগলো,
___” মহারাণীর মন খারাপ নাকি।”
বলেই উনি এসে আমার পাশে বসলেন। আমি উঠে দাঁড়ালাম। রুমের দিকে পা বাড়াতেই পিছন থেকে সাদি বলে উঠলো,
___” আরে কই যাও?বসো এসে।”
আমি কিছু বললাম না। রুমে এসে বইটা বুকশেলফে রেখে দিলাম।কফি মগটা রাখতে রান্নাঘরের দিকে যেতেই আবারো সাদির আওয়াজ পেলাম,
___” কিছু বলছো না কেন?”
___”…”
___” এমনিতে মুখে এত কথা। আজ কই সব?”
আমি পিছনে ফিরে নিম্ন স্বরে বললাম,
___” শুধরে নিচ্ছি।”
উনার হাস্যোজ্জ্বল মুখটা কুঁচকে গেলো।আমার দিকে এগিয়ে এসে বললেন,
___” কি শুধরে নিচ্ছো?”
____” নিজেকে।”
___” কেন? আমি বলেছি?”
আমি চুপ করে রইলাম। আবারো পা বাড়াতে যাবো এমন সময় উনি পিছন থেকে আবারো বললেন,
___” পালাচ্ছো কেন?”
___” পালাচ্ছি না। আপনি বলেছেন আপনার থেকে দূরে থাকতে। তাই থাকছি।”
___” আমি কখন এটা বললাম?”(অবাক হয়ে)
___” কেন? দুপুরেই তো তাড়িয়ে দিলেন কেবিন থেকে।”(মুচকি হেসে)
___” উফ,আমি তোমায় তাড়াইনি অনু। আমি তো..”
ওনাকে থামিয়ে দিলাম আমি। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম,
___” ডাক্তার আপনি,তাই বলে এটা ভাববেন না যে রোগী সম্পর্কে আমার জ্ঞানভান্ডারে কিছু নেই।”
___” এটা আমি বলেছি?”
___” মনে করুন।ইরা আপুকে কি বলেছিলেন?আমাকে এসব ফাইলের কথা বলে কি লাভ!আপনি হয়ত ভুলে যাচ্ছেন যে আমিও মেডিকেলেরই স্টুডেন্ট।আর আমি আমার যোগ্যতাই জায়গাটা অর্জন করেছি। আর ভবিষ্যতেও ডাক্তার হয়ে দেখাব।”
___” আরে..আমি তো এটা বোঝাতে চাইনি অনুজান।”
___” আচ্ছা ঠিকাছে। আপনি বলেছিলেন দূরে যেতে। দূরেই আছি। এখন আর কি?”
___” আমি দূরে যেতে বলিনি। তখন শুধু তোকে কেবিন থেকে বাহিরে যেতে বলেছিলাম।”
___” কেন? প্রাইভেট টাইম স্পেন্ড করতে?ইরার সাথে?”(হালকা হেসে)
উনি মনে হয় রেগে গেলেন।আমার হাত চেপে বললেন,
___” অনু!!”
সাথে সাথে হাত থেকে পড়ে কফি কাপটা ভেঙে গেলো। আমি নিচের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারপর নিচে বসে কাচগুলো হাতে তুলতে লাগলাম। সাদি বিরক্ত হয়ে বললেন,
____” এটা কি করছিস এখন?”
___” কাচ না তুললে আপনার পায়ে লাগবে।”( শান্ত গলায়)
___” উঠ! খালা করে দিবে। ওনার ডিউটি টাইম ১০ টা অবধি। এখনো শেষ হয়নি। ”
আমি কিছু না বলে কাচ তুলছি।কিন্তু হঠাৎ বড় কাচটায় হাত লাগতেই জান বের হয়ে এলো আমার। মৃদু চিৎকার করে উঠলাম,
___” আহ!”
হাত থেকে সবগুলো কাঁচের টুকরো পরে গেলো। সাদি আমার হাতের দিকে তাকিয়ে আতংকিত গলায় বললেন,
___” ওহ গড!অনু!”
আমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। অসহ্য ব্যাথা! উনি আমাকে টেনে বিছানায় বসিয়ে জোরে জোরে মা মা বলে ডাকতে লাগলেন। তারপর আমার একটা হাত চেপে ধরে কাঁচটা বের করে দিলেন। আমার চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। ফুপিও ততক্ষণে চলে এসেছে,
___” কিরে ডাকছিস…ওমা কি হলো অনুর!”
বলেই উনি কাঁচ ডিঙিয়ে আমার পাশে এসে বসলেন।তারপর জোরে জোরে বুয়াকে ডেকে কাঁচটা পরিষ্কার করতে বললেন।সাদি ততক্ষণে আমার হাত ব্যান্ডেজ করে বসে আছে। আমি হাতটা ওনার হাত থেকে সরাতে নিলেই উনি রাগী চোখে তাকালেন। আমি ফুপির দিকে ফিরে ডুকরে কেঁদে উঠলাম। সাদি রাগী গলায় চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
___” এক নাম্বারের বেয়াদব মেয়ে। দিনে দিনে বাচ্চা হচ্ছো তাই না?”
আমার কান্না দেখে ফুপি প্রতিবাদ করে বললো,
___” আহ! বকিস না তো।ব্যাথা পেয়েছে। এখানে বেয়াদবির কি আছে?”
___” জানো না মা তুমি! আজ সকাল থেকে আমার সাথে মুখ ভার করে বসে আছে।কেন জানো?”
বলেই উনি ফুপিকে সব বলতে লাগলেন। আমি লজ্জায় ফুপিকে জড়িয়ে ধরে আছি। এটাও ফুপিকে বলতে হলো? ফুপি হেসে উঠে বললো,
___” অভিমান করে আছে।তুই ভাঙাবি না? না ভাঙিয়ে এসব কি বাজান?”
সাদি ভ্রু কুঁচকে বললো,
___” আমাকে সবটা বলার সময় দিয়েছেন তিনি? বলেছি ক্লাসে যেতে। যাননি।ক্লাসে গিয়ে আধাঘন্টা বসলেই আমি আবার কেবিনে ডেকে পাঠাতাম। আর বলো না মা!ইরা মেয়েটা মাথাটা নষ্ট করে দিচ্ছিলো রোগীর ফাইলটা নিয়ে। আমারো মাথা ছিল গরম। তোমার বউমা যাবেই না কেবিন থেকে। রেগে অনেক কথা বলে ফেলেছি। সরি তো বলার সুযোগ দিবে! তা না! বললাম তো! বেয়াদব-ফাজিল হচ্ছে দিনকে দিন।”
বলেই উনি মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। আমি কাঁদো কাঁদো গলায় ফুপিকে বললাম,
___” ফুপি বাবা তো বাসায় নেই। আজ তোমার সাথে ঘুমাবো।”
সাদি এবার রেগে বললেন,
___” এই কি বললি তুই?”
আমি এবার ন্যাকাকান্না শুরু করে দিলাম। ফুপি সাদির পিঠে মিছিমিছি চড় দিয়ে বললেন,
___” এই চুপ কর। আজ আমার মেয়ে আমার সাথে থাকবে।”
বলেই আমাকে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। সাদি পিছন থেকে বলছে,
___” আরেহ মা! ওর হাত কাটা।তুমি অন্তত বোঝার ট্রাই করো।”
আমি পিছনে ফিরে মুখ ভেঙালাম। উনি হাত উঁচু করে চড় দেখালেন।আমি ঠোঁট উল্টে ফুপির সাথে চলে এলাম। এটা ওনার শাস্তি। রাগ আছে বলে কি সবসময় দেখাবেন? আমার ছোটখাটো প্রেস্টিজ নাই? হুহ!
❤️
ঘুমের মধ্যে মনে হচ্ছে আমি উড়ছি। ভাসছি হাওয়ায়। ধীরে ধীরে চোখ খুলতেই নিজেকে সাদির কোলে আবিষ্কার করলাম আমি।কিছু বলতে যাবো তার আগেই নিজেকে বিছানায় পেলাম। চেঁচিয়ে বললাম,
___” এসব কি করছেন?”
উনি শান্ত গলায় বললেন,
____” নিজের জিনিস নিজের কাছে আনছি।”
আমি মুখ ঘুরিয়ে বললাম,
___” ইরার কাছে যান।”
___” মুড খারাপ করবি না।”(রাগী গলায়)
আমি চুপ হয়ে গেলাম। উনি শাড়ির আঁচল সরাতে সরাতে বললেন,
___” আমি শুধু তোরই। এটা জানার পরও কেন যে এত ভাব-ভঙ্গি করিস।”
আমি কিছু না বলে ঠোঁট উল্টালাম। উনি গলায় নাক ঘষে বললেন,
___” ভালোবাসি অনুপাখি।”
বলেই উনি আস্তে আস্তে আমাকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে নিলেন। মন ভরে ভালোবাসতে লাগলেন। আমিও ওনার ভালোবাসা অনুভব করছি।
রাত তিনটা! বাহিরে শো শো বাতাসের শব্দ।জানালার পর্দাগুলো উড়ছে। আমার উম্মুক্ত পেটে মাথা রেখে হাতের বেন্ডেজে চুমু খাচ্ছেন সাদি। আমার আরেক হাত তার চুলে।উনি হঠাৎ বলে উঠলেন,
___” তুই আর রেগে নেই তো?”
___” উহু। ”
পেট থেকে মাথা তুলে আমাকে বুকে টেনে নিয়ে বললেন,
___” এই বুকে শুধু অনুপাখির নাম। আর কারোর না। তাই আরেকবার রাগ করার আগে কথাগুলো চিন্তা করে নিবি।”
__” রাগ করিনি তো। অভিমান করেছিলাম।”
সাদি কিছুক্ষণ চুপ থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে লাগলেন,
___” জানিস অনু,আগে যখন তুই আমাকে বলতি,আপনি এত গম্ভীর থাকেন কেন?আপনার মনটায় কি অশান্তি? তখন মনে মনে কি বলতাম?”
___” কি?”
___” বলতাম, হু অনুজান। আমার বুকটায় অনেক কষ্ট। তুমি এসো। এসে #রাঙিয়ে দিয়ে যাও💙 আমায়। তোমার রঙে,তোমার ভালোবাসায় মাতিয়ে তুলো আমার মন-প্রাণ দেহকে।”
আমি লাজুক হাসলাম।তারপর ওনার গলায় কামড় দিয়ে বললাম,
___” ভালোবাসি ডক্টর। ”
উনি কিছু বলবেন তার আগেই আমার ফোনটা বেজে উঠলো।আননোন নাম্বার। ফোনটা তুলে কানে দিতেই মিশমির কন্ঠ ভেসে এলো,
___” অনু! অপারেশন সাকসেসফুল! অয়ন ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে। আমার ভালোবাসা ফিরে এসেছে। ”
আমি খুশিতে মিশমিকে অভিনন্দন জানিয়ে টুকটাক কিছু কথা বলে রেখে দিলাম। সাদি এতক্ষণ সবটাই শুনেছেন। আমি ওনাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
___” অয়ন ফিরে এসেছে আবার। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।”
___” হুম..”
___” জেলাস?”(মিটিমিটি হেসে)
___” নাহ! রোমান্টিক ফিল হচ্ছে।বাট বউ বুঝে না।”
আমি উঠে গেলাম।।সরে যেতে যেতে বললাম,
___” আমার আর শখ নাই। টাটা বাই বাই।”
উনি আমাকে বিছানায় চেপে ধরে বললেন,
___” দেখা যাবে!আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা মাথায়ও আনবেন না মিসেস সাদি।”
___” পঁচা ডক্টর।”(মুখ ফুলিয়ে)
___” ধানিলংকা। ”
বলেই কপালে চুমু খেলেন উনি। এভাবে ভালো থাকুক পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা গুলো।পূর্ণতা পাক সকলের ভালোবাসা।অনু-সাদি,অয়ন-মিশমির ভালোবাসার মতই সকলের ভালোবাসা জীবন্ত হোক।
—–সমাপ্ত—-
(ভুলক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।)