সাইকো_নীড় পর্ব-১৭

0
3030

#সাইকো_নীড়
part : 17
writer : Mohona

.

দীপ্ত : তোমার তো নূন্যতম লজ্জা থাকার দরকার আপু । তুমিই সব নষ্টের মূল। তোমার জন্যেই নীড়ের জীবন বিকৃত হয়ে গিয়েছে। আগে যা করেছো করেছো… সেদিন যদি তুমি মেরিনকে না বলতে যে নীড় মিস্টার & মিসেস খানকে মেরেছে তাহলেও হয়তো আজকে নীড়-মেরিন ২জনই সুস্থ থাকতো। কিন্তু তুমি তোমার আদর্শবাদিতার জন্য সত্যর সাথে ছিলে। আরে তখন আদর্শবাদিতা কোথায় ছিলো যখন স্বামী-সন্তান থেরে পর পুরুষের হাত ধরে চলে গিয়েছিলে?
নীলিমা : দীপ্ত….
দীপ্ত : চিল্লানো মারলেই তুমি সঠিক হয়ে যাবেনা। তুমি যে আমার বোন সেটা ভাবতেই ঘৃণা করে।ছিঃ…
নীলিমা : আরো খারাপ কথা বল কিন্তু তবুও বল যে নীড় কোথায় ?
দীপ্ত : তোমাকে বলবোনা….
নিহাল : বেরিয়ে যাও তুমি..। যতোবার তুমি আসো ততোবার আমার ছেলেকে ভেঙেচুরে চলে যাও…get out…
নীলিমাকে বের করে দেয়া হলো।

.

অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️
কবির : আপনাকে ঠিক চিনলাম না।
নীলিমা : আমি নিহাল চৌধুরীর wife … নীলিমা চৌধুরী।
কবির : what? তারমানে আপনি সেই ব্যাক্তি যে …
নীলিমা : যে অন্যের হাত ধরে চলে গিয়েছিলো… এটাই তো বলবেন…. সবাই বলে। i don’t care… যাই হোক… এটা নিশ্চয়ই জানেন কার হাত ধরে গিয়েছিলাম?
কবির : …
নীলিমা : জহির রায়হানের।
কবির : what?
নীলিমা : জী। যাই হোক । নাবিলের সাথে মেরিনের বিয়ে দেয়ার ভুল প্লিজ করবেন না। ওদের ২জনকেই আমি ভালোবাসি। নীড়-নাবিল ২জনই আমার চোখের মনি। মেরিন নিজেই বিয়ে করতে চাইছেনা। আর নীড় যদি জানে এই কাহিনী…. তবে…. কি হতে পারে জানিনা। আমার ছেলেটা মেরিনকে সত্যিই ভালোবাসে । এমনও তো হতে পারে যে মেরিনের জন্য নীড় ভালো মানুষ হয়ে যেতে পারে । আর আমার ছেলেটা অতোটাও খারাপ না। এই বিয়ে আর হচ্ছেনা।

নীলিমা চলে গেলো।

কনিকা : কি ভাবছো?
কবির : কিছুনা।
কনিকা : বিয়ে cancel করে দাও। ১টাই তো মেয়ে আমাদের।
কবির : হামমম।

বিয়ে cancel হলো। কিন্তু নাবিল ছোট্ট ১টা ভুল…

.

৩দিনপর…
নীড় : what? মেরিনের বিয়ে মানে? কি সব বাজে কথা …
☆ : জী স্যার ঠিকই শুনেছেন। মেরিন ম্যামের বিয়ে নাবিল রায়হানের সাথে।
নীড় : কার সাথে?
☆ : নাবিল রায়হানের সাথে…
নীড় সামনে থাকা টেবিলে লাথি মারলো।
☆ : স্যার মনে হয়…
নীড় : মনে হয় কি?
☆ : …
নীড় : tell me damn it…
☆ : স্যার মনে হয় বিয়ে হয়েও গিয়েছে আজকে। কারন আজকেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
নীড় : না… অসম্ভব কোনো দিনও না। মেরিন কেবল আমার। কেবল আর কেবল আমার… বল সব মিথ্যা… বল…
☆: …
নীড় : বলছিস না কেন…
☆ : …
নীড় : তোদেরকে কেন রেখে এসেছি? হ্যা? বল…
☆ : স্যার আমাদের কি দোষ? আপনি চলে যাওয়ার সাথে সাথেই যে নাবিল রায়হানের লোকজন আমাদের বন্দী বানিয়ে নেয়… in fact এখনও আমরা বন্দী। আমাদের কোনোভাবে ফোনটা manage করেছি….
নীড় : বাবা কিছু কেন করলো না?
☆: স্যার …. বিয়েটা যে অনেক গোপনে হচ্ছে। খান আর রায়হানরা ছারা যে কেউ কিছু জানবেনা… মনে হয় মেরিন ম্যামদের বাসার ভারাটিয়ারাও জানেনা… মনে হয় বিয়েটা গোপন রাখার জন্য মেরিন ম্যাম খান বাড়িতেই থাকবেন।
নীড় : আমার মনে হয় আমি এ কারনেই এমন এমন সময় কাজ থেকে মুক্তি পাচ্ছি। আর যোগাযোগও করতে পাচ্ছিনা…
☆ : হয়তো স্যার…
নীড় : রাখছি…

আসলে নাবিল ওদের মুক্ত করার কথা ভুলেই গিয়েছিলো।

নীড়ের মনে হচ্ছে মাথাটা এখন রাগের জ্বালায় ফেটেই যাবে… নীড় উন্মাদের মতো হাসতে লাগলো।
নীড় : রায়হান.. নাবিল রায়হান… তোর ঠিক কতো টুকরা করবো তা আমি নিজেও জানিনা… আর আর আর এসবের পিছে থাকা মিস্টার কবির ফয়সাল খান… & মিসেস কনিকা খান…. আপনাদেরকেও আমি পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিবো। আর আর আর… the ধোকাবাজ মেরিন বন্যা খান… ন্যাহ…. মেরিন বন্যা নাবিল খান রায়হান… ধোকাবাজ। সময় চেয়ে এতোবড় ধোকা… এতো বড় ধোকা… সময় চাওয়াটাও plan এর ১টা part ছিলো…. হাহাহা…. good… very good…. বিয়ে… বিয়ে হলেই মেরিন অন্য কারো হয়ে যাবে? ন্যাহ… মেরিন… তুই কেবল আর কেবল আমার। তোর ১টা কেন? ১০টা বিয়ে হলেও তুই আমার…. তুই বিবাহিত কেন? তুই কোনো পতিতা হলেও তুই আমার… কেবল আমার শুধু আমার… তোকে ভালোবেসেছিলাম। বৈধ সম্পর্ক গরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুই সেই সুযোগ দিলি না… তোর সাথে আজীবন আমি নাজায়েজ সম্পর্ক রেখে যাবো। অবৈধ সম্পর্ক গরবো… যেটা সারাজীবন টিকিয়ে রাখবো। তুই আমৃত্যু রায়হান বাড়ির বউ হিসেবে পরিচিত থাকবি… নাবিল রায়হানের বিধবা হিসেবে পরিচিতি পাবি… but but but… বিয়ে ছারা বউ তুই আমার হবি… বদনাম….তুই বুঝতে পারবি বদনাম কি জিনিস? বিয়ে… হয়ে গিয়েছে না তোর বিয়ে … এখন তো বাংলাদেশে গভীর রাত… নিশ্চয়ই ওই রায়হান তোকে নিজের করে নিয়েছে… তোকে ছুয়েছে… কালও ছুবে… পরশুও… কিন্তু তারপরের দিন….? হাহাহা…. ন্যাহ plan এর কোনো change হবেনা… my dear enemies … এটা ভেবে সুখে থাকো যে আমি হেরে গিয়েছি….

.

২দিনপর…
মেরিন : একি তোমরা কোথায় যাচ্ছো?
কবির : চৌধুরী বাড়িতে?
মেরিন : কেন ?
কনিকা : তোর বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে… নিহাল চৌধুরী ডেকেছে… মানে তোর শশুড়… নীড় যেন কি বলে? ও হ্যা … শশুড়ড্যাড…
কবির : এখন তুমি happy তো?
মেরিন : হামমম। কিন্তু আমার যে আজকে college friends দের সাথে hang out এ যাওয়ার কথা…
কনিকা : তো যা । কে না করেছে? তুই কি আর চৌধুরী বাড়ি যাবি নাকি?
মেরিন : ও হ্যা তাইতো…
কবির : যেখানেই যাও… রাত ৮টার মধ্যে বাসায় পৌছাবে। আমাদের মনে হয় নিহাল চৌধুরী ১০টা ১১টার আগে ছারবেনা। বাসায় এসে ফোন দিও।
মেরিন : হামমম।

কবির-কনিকা বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : ইইই…. অবশেষে বাবাও নীড়কে মেনে নিলো। এমা… আজকে তো নীড়েরও দেশে ফেরার কথা… wow…. great…

.

দোলা : কিরে ? তোকে কিন্তু হেব্বি লাগছে…
মেরিন : তাই…? welcome … 😁.
দোলা : গরু…
রূপা : দোলা… এটা আর নতুন কি? ও তো বরাবরই সুন্দর।
মিরা : হামম একে বারে রসোগোল্লা…
দোলা : দেখতে হবে না বেস্টুটা কার…
মেরিন : ওরে বাবারে… আরও কিছু বল না…
দিয়া : আমার ১টা কথা বলার আছে।
মেরিন : কি?
দিয়া : এটা কিন্তু ঠিকনা?
মেরিন : কোনটা ঠিকনা?
দিয়া : তুই আমাদেরকে বুড়ি প্রমান করতে চাস?
মেরিন : মানে?
দিয়া : উফফ… মানে হলো এই যে মানলাম তুই ছারা আমরা সবববাই married …তাই বলে এভাবে খোচা মারবে…
মেরিন : উস্টা খাওয়ার আগে clearly বল।
দিয়া : কি আর বলবো? আজকে সবার শাড়ি পরে আসার কথা ছিলো।
মেরিন : হামম। পরেছি তো…
দিয়া : তা তোর নাকফুল কোথায়? 😜।
সবাই : 😂।
মেরিন : সর হারামী… আমি ভেবেছে না জানি কি? গরু…
দিয়া : এই তোরাই বল… ও কি ঠিক করেছে?
বাকিরা : না না… মোটেও না….
মেরিন : আরে আমিতো নাক ফুটোই করিনি…. তাহলে দিবো কিভাবে? আর আমি দিবোই বা কেন? আমার কি বিয়ে হয়েছে?
সবাই : তাতে কি? হবে তো? তাও the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের সাথে…. ভাবা যায়… হায়… 😍😍😍.
মেরিন : 😒।
সবাই : 😂…
দোলা : we want justice ….
মেরিন : যা সর….
সবাই : না না চলবেনা।
দোলা : সবাই মিলে ওর নাক ফুটো কর।
মেরিন : যা সর…দারা ১মিনিট।
বলেই মেরিন ব্যাগ থেকে ছোট সাদা পাথরের টিপ বের করে নাকে দিলো।
মেরিন : কি রে? লাগছে তো নাকফুল ?
সবাই : হাহাহা….

.

সন্ধ্যার দিকে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যেতে লাগলো।
মেরিন : বাপরে…. এতো দেখি আফ্রিকার জঙ্গল হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির আগে বাসায় ফিরতে হবেরে… আসি…

বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।

ওদিকে নীড় দেশে ফিরলো। airport থেকে বের হলো।

নীড় : give me the gun…
☆ : এই নিন স্যার…
নীড় : হুইসকি…
☆: স্যার আপনার গাড়িতে কাটন রাখা… স্যার আপনি এই অন্ধকারে কিভাবে drive করবেন? যেকোনো মুহুর্তে বৃষ্টি পরবে? আমি drive করি?
নীড় : do you want to die?
☆ : sorry sir….

নীড় ১টা হুইসকি বের করে খেতে খেতে গাড়ি start দিলো। আজকে ও যা যা করবে বলে ঠিক করেছে তারজন্য ওর প্রচুর drinks প্রয়োজন।

মেরিন বাসায় পৌছালো। আর বৃষ্টি শুরু হলো।
মেরিন : বাবা… বাচলাম। বাসায়ও এলাম আর বৃষ্টি শুরু হলো। কি বৃষ্টিরে বাবা… !! আম্মু-বাবা কিভাবে আসবে?

মেরিন ভাবতে ভাবতে ওপরে উঠলো । রুমে গেলো।
মেরিন : দেখি তো আমাকে কেমন লাগছে নাকফুলে…?
মেরিন নিজেকে আয়নাতে দেখতে লাগলো।
মেরিন : good মেরিন good… বিয়ের পর নাকফুলে তোকে সুন্দরি লাগবে…. হাহাহা… বাবাকে ফোন করি যে আমি বাসায় এসে পরেছি। আর বলে দেই যেন বৃষ্টি কমার আগে বের না হয়। কি অন্ধকার … সন্ধ্যার সময়েই রাত হয়ে গিয়েছে।

মেরিন কবিরকে ফোন করলো। কবিরের সাথে কথা বলে মেরিন বুঝতে পারলো যে কবির অনেক খুশি।

মেরিন : বাবা হঠাৎ এতো খুশি… এই যা load shedding… মা গো… মোবাইলও তো মরে গিয়েছে। ipsটাও নষ্ট। কি ভুতূরে অন্ধকাররে বাবা…. চার্জার লাইটটা কোথায়… কোথায়… এই তো…. আম্মুর রুমের জানালা দিয়ে তো বৃষ্টির পানি আসে। ভিজে যাবে। দেখি লাগানো কিনা।

মেরিন জানালা লাগাতে গেলো। ভীষন জোরে বৃষ্টি পরছে। সেই সাথে ভীষন ঝড়ো হাওয়া। যারজন্য জানালা লাগাতে মেরিনের একটু কষ্ট হলো। মেরিন কিছুটা ভিজে গেলো।

মেরিন : ডাকাত মার্কা বৃষ্টিরে… ভিজিয়ে দিলো…. কি জোরে জোরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে…. যাই গিয়ে change করে ফেলি…

তখনই হঠাৎ দরজায় নক পরলো।
মেরিন : এসময়ে আবার কে এলো?
মেরিন লাইট নিয়ে গেলো। লাইটটা টেবিলে রেখে দরজা খুলল।

.

ভীষন অন্ধকার হওয়ায় লোকটার চেহারা দেখা যাচ্ছেনা। তবে মেরিন বেশ বুঝতে পারলো যে এটা নীড়… মেরিন খুশি হয়ে গেলো।
মেরিন : ন…
নীড়ের চেহারাটা যখন মেরিন দেখলো তখন মেরিনের মুখের হাসিটা উরে গেলো । ভয়ংকর লাগছে নীড়কে। ভয় পেয়ে গেলো। কথাটা সম্পূর্নও করতে পারলোনা। ভয়ে চুপসে গেলো। নীড় মেরিনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলো। শাড়ি… লম্বা লম্বা খোলা চুল… যেগুলো হালকে ভেজা… কালোটিপ … লাল লিপস্টিক … নাকে নাকফুল… পুরোই নতুন বউ লাগছে। নীড় হুইসকির বোতলটাতে চুমুক দিলো।
মেরিন : আআআপনি…. ভা….
আর বলতে পারলোনা । নীড় মেরিনের গলা টিপে ধরলো । মেরিনকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
নীড় : কি ভেবেছিলি…? তুই অন্যকারো বউ হলে আমার থেকে মুক্তি পাবি? অন্যকেউ ছুলে তোকে আমি ছুতে পারবোনা? তোর ১টা না ১০টা বিয়ে হলেও তুই আমার… তুই ওই নাবিলের সন্তানের মা হলেও তুই আমার…
নীড়ের কথায় মেরিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। কিন্তু ও যে নীড়কে কিছু বলবে তারও উপায় নেই … কারন নীড় শক্ত করে গলা টিপে ধরেছে। একটু পরপর ২সেকেন্ডের জন্য ছেরে দিচ্ছে আবার ধরছে….

নীড় : খুব শখ না নাবিলের বউ হওয়ার… থাক তুই নাবিলের বউ হয়ে…. আর অবৈধ বউ হবি আমার…. তোর স্বামী নাবিলকে আমি জানে মেরে দিবো। আর তোর মা-বাবাকেও…. এই যে এই গানটা দিয়ে তোর নাবিলের কলিজায় shoot করবো…

নীড় কথা বলছে আর বোতলে চুমুক দিচ্ছে …

নীড় : আজকে থেকে তুই হিংস্র নীড় দেখবি… তোকে ভালোবেসেছিলাম তোর শরীরকে না…. আজকে থেকে তোর শরীরকে ভালোবাসবো। তোকে না….

বলেই নীড় মেরিনকে রুমে নিয়ে গেলো। আর অমানুষের মতো আচরন করতে লাগলো। মেরিনের মনে হচ্ছে এর থেকে মরে গেলেই ভালো হতো। কিছুক্ষনের মধ্যেই মেরিন জ্ঞান হারালো। কিন্তু নীড় নিজের কাজ থেকে পিছপা হলোনা….

.

এদিকে যখন নীড় মেরিনের ২হাত বন্দী করে মেরিনের ঠোটে কিস করছিলো তখন অর্নব আসে। দরজা খোলা দেখে বেশ অবাক হয়। মেরিনের রুমে গিয়ে অতোটুকু দৃশ্য দেখে অর্নবের মাথায় বাজ পরে। চলে আসে ওখান থেকে। ও মেরিনের আর্তনাদ শুনতে পায়নি…. ওর মাথায় আগুন জ্বলতে লাগলো। নীড়কে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করছে।

অর্নব : নীড়…. তুই আমার কাছ থেকে আমার মেরিনকে কেরে নিলি তো… আমি তোর কাছ থেকে তোর জীবনটাই কেরে নিবো….

অর্নব নীড়ের গাড়ি break fail করে দিলো। চলে গেলো।

.

বেশকিছুক্ষন পর…
নীড় মেরিনকে ১নজর দেখে নিচে নেমে এলো। হাটু গেরে বসে পরলো। বৃষ্টিতে ভিজে গেলো। “মেরিন” বলে চিৎকার করে উঠলো …

নীড় : আমি এটা চাইনি… আমি এটা চাইনি মেরিন…. আমি সত্যি এটা চাইনি… আমি তোমাকে ভীষন ভালোবাসি… তুমি যদি এমনটা না করতে তবে আমি কখনোই এমন করতাম না…. কোনোদিনও না… but i can’t give up… i can’t sacrifice … i can’t forget …. তুমি আমার ছিলে… আমার আছো… আর আমারই থাকবে….
নীড় গান বের করলো।
নীড় : নাবিল রায়হান…. be ready… আমি আসছি….

নীড় গাড়িতে বসলো। start দিলো। বৃষ্টিটা কিছুটা কমে আবার শুরু হলো। কিন্তু নীড় drinks আর drive করেই যাচ্ছে । নীড় drinks করে। কিন্তু… এমন অস্বাভাবিক ভাবে না। বেশকিছুক্ষন পর নীড় বুঝতে পারলো যে break কাজ করছেনা।
নীড় : what the hell…

বৃষ্টিতে কিছু দেখাও যাচ্ছেনা ভালোমতো । আবার অতিরিক্ত drinks করায় নীড়ও খানিকটা বেসামাল। ওদিকো কবির-কনিকাও গাড়িতে করে আসছে। বৃষ্টি কমাতে বের হয়েছিলো চৌধুরী বাড়ি থেকে । কিন্তু হুট করে বৃষ্টিটা বেরে যায়। নীড় বেসামাল হলেও স্পিড কমানোর চেষ্টা করছে, ব্রেক মারার চেষ্টা করছে। কিন্তু কাজ হচ্ছেনা। ওদিকে হঠাৎ করে কবিরদের গাড়ির লাইট চোখে লাগায় আরো বেসামাল হয়ে গেলো। নীড় ভুল করে গাড়ি দিয়ে কবিরদের গাড়িতে ধাক্কা মারলো। গাড়িটা ১টা অগভীর খাদে পরে গেলো….
খানিকটা দূরে গিয়ে নীড়ের গাড়িও ১টা গাছের সাথে বাড়ি খেলো….

.

চলবে…