সাইকো_নীড় পর্ব-২০

0
3406

#সাইকো_নীড়
part : 20
writer : Mohona

.

অর্নব : সন্দেহ করছিস আমাকে?
মেরিন : সন্দেহের কি আছে? আজকে আমার অনেক গুলো appointment আছে । কিছুটা handle করে তারপর যাবো। আর কেবল সারে ১২টা বাজে… তুমি যাও। আমি পরে আসছি।
অর্নব : পরে আসছি মানে কি? তুই এখনই যাবি… চল…
মেরিন : i am sorry ভাইয়া… আমি এখন যেতে পারবোনা।
অর্নব : মা মরে গেলেই বুঝি মামা বাড়ির সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় ?
মেরিন : না । হয়না ।আমি তো আর না করিনি যে আমি যাবোনা ভাইয়া…
অর্নব : তাহলে আমার সাথে যেতে কি সমস্যা?
মেরিন : কোনো সমস্যা নেই আমি এখন যে…
manager : আসবো ম্যাম?
মেরিন : আরে আসুন uncle …
manager : মামনি… 6th floor এর 3rd কেবিনের patient এর condition ভালোনা।
মেরিন : আপনি যান আমি দেখছি uncle …
অর্নব : আসছি মানে কি? তুই আমার সাথে যাবি ব্যাস।
মেরিন : have you lost it? শুনতে পাওনি কি বলে গেলো…
অর্নব : না শুনতে পাইনি । কাজ করতে করতে কি হাল করেছিস নিজের দেখেছিস? আমি তোর নীড় না যে মাঝপথে ছেরে দিবো। এমন অবস্থায় নীড় তোকে একা ছারতে পারে কিন্তু আমি না… so please ..চল ।
মেরিন : আমি যাবোনা ।
বলেই মেরিন নিজের কেবিন থেকে বের হলো । অর্নবও পিছে পিছে বের হলো।
অর্নব : এতো সন্দেহ আমাকে? আমার কথা বিশ্বাস না হলে তোর মামাকে ফোন কর।
মেরিন : আমি ব্যাস্ত ভাইয়া তুমি বুঝতে পারছোনা?
অর্নব : না। তুই আমার সাথে যাবি…
বলেই অর্নব মেরিনের হাত ধরলো ।
মেরিন : ভাইয়া হাত ছারো।
অর্নব : না চল আমার সাথে।
মেরিন কঠোরভাবে নিজের হাত ছারিয়ে নিলো ।
মেরিন : সত্যি বলতে কি এতক্ষন আমার সত্যিই মনে হচ্ছিলো যে মামা যেতে বলেছে। but এখন মনে হচ্ছে যে মামা বলেনি । তুমিই নিয়ে যেতে এসেছো।
অর্নব : এর মানে কি? হ্যা মানে কি?
মেরিন : মানেটা তুমি ভালোমতোই জানো । এতোটাও অবুঝ নয় যে তুমি বুঝতে পারবেনা। তুমি কেমন তা তুমিই ভালো জানো।
অর্নব : কেমন আমি? বল কেমন আমি? যেমনই আছি তোর নীড়ের থেকে ভালো আছি। হয়তো তোর থেকেও। আমি তো তোকে বিয়ে করে নিজের করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নীড় তো তোক…
মেরিন ঠাস করে অর্নবকে থাপ্পর মারলো ।
মেরিন : get out from here…
অর্নব : থাপ্পরটা ভুলবোনা ।
মেরিন : ভোলার জন্য দেইও নি…
অর্নব চলে গেলো। মেরিন আর দেরি না করে রোগীকে দেখতে গেলো।

.

রাতে…
মেরিনের কেন যেন আজকে খেতে ইচ্ছা করছেনা । খুব কষ্ট হচ্ছে । কিছুই ভালো লাগছেনা।
মেরিন : যদি আমিও মরে যেতাম…
অর্নব : এতো তারাতারির কি আছে ?
মেরিন তাকিয়ে দেখলো অর্নব দারিয়ে আছে। মেরিন খানিকটা অবাকও হলো । আবার ভয়ও পেলো।
মেরিন : তুমি?
অর্নব : হ্যা আমি।
মেরিন : তুমি এখানে কেন?
অর্নব : যে কারনে নীড় আসে…
মেরিন : নীড় এখন আসেনা… তুমি চলে যাও।
অর্নব : আর যদি না যাই তাহলে?
মেরিন : মানুষ ডাকবো। মামাকে ফোন করবো…
অর্নব : হাহাহা…. তোক চিৎকার কে শুনবে….? দেখ বাহিরে কি বৃষ্টি দেখ… তোর চিৎকার কেউ শুনবে না। আর বাবাকে ফোন… হ্যাহ… তুই বাবাকে ফোন করবি আর আমি তোকে করতে দিবো? হাহাহা। এইযে তোর মোবাইল…. আর টেলিফোন…. হাহাহা….
মেরিন : …
অর্নব : সবার সামনে আমাকে থাপ্পর মেরেছিস। তার বদলা তো আমি নিবোই। বিয়ে তো নীড়ের জন্য করতে পারবোনা। তাহলে তো বউ বানিয়ে শাস্তি দিতাম । যাই হোক… এখন তুই… হয় কোন রকমের ঝামেলা ছারা নিজেকে আমার হাতে সপে দে…. না হয় ….
মেরিন : ভভভাইয়া চলে যাও… আগে বারবেনা …
অর্নব : ….
মেরিন : খবরদার আগে বারবেনা….
অর্নব কেবল মেরিনের দিকে হাত বারিয়ে টাচ করবে তখন নীড় এসে ওর হাত ধরলো। মেরিনের সামনে দারালো। নীড়ের চোখগুলো লাল হয়ে আছে ।
নীড় : i warned you….
অর্নব ১টা লম্বা ঢোক গিলল।
নীড় হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে ধাপধুপ করে অর্নবের মুখে ঘুষি মারতে লাগলো।
নীড় : কুনজর দিস… আমার snow white এর দিকে…. আগে তোর এই চোখ কোটর থেকে তুলে ফেলবো। এরপর জানে মেরে দিবো।
অর্নব : না না … ক্ষক্ষক্ষমা ককররো…
নীড় ২আঙ্গুল অর্নবের চোখের খুব কাছে নিলো। আর মেরিন এসে হাত ধরে ফেলল।
মেরিন : ছেরে দিন ভাইয়াকে…
নীড় : ওকে ছেরে দিতে বলছো? ওকে…
মেরিন : হ্যা । ছারুন ভাইয়াকে..
নীড় : না ওকে ছারবোনা….
মেরিন : ভাইয়াকে না ছারলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।
নীড় : snow ….
নীড় অর্নবের মুখে ১টা ঘুষি মেরে ছেরে দিলো। অর্নব পালালো।
নীড় : তুমি এমনটা করলে কেন? রেপ করতে চেয়েছিলো…
মেরিন : চেয়েছিলো… করেনি….
নীড় : করেনি না করতে পারেনি। আমি চলে আসায়।
মেরিন : করতে চাওয়া আর করার মধ্যে অনেক পার্থক্য …. তাইনা নীড়….
নীড় বুঝতে পারলো যে মেরিন কি বলতে চাইছে।
নীড় : packing করে নাও। তুমি এখনই আমার সাথে আমাদের বাসায় যাবে । ওখানেই থাকবে যেন…
মেরিন : যেন রোজ আমার রেপ করতে পারেন..।
নীড় ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
নীড় : অনেক চেষ্টা করেছি যেন রাগটাকে control করার। but…. তুমি বাধ্য করলা । cool নীড় cool… দেখো বললাম তো ভুল করেছি। পাপ করেছি । অপরাধ করেছি ।সামনে আসতে না করেছো। আসিনি । তোমার মনটা খারাপ ছিলো আর আমি অপরাধ করেছি তাই এতোদিন দূর থেকে নজর রেখেছি । আমি আছি তবুও ওই অর্নব এই পর্যন্ত এসে গিয়েছে। by chance যদি আমি ঘুমানোর সময় কেউ আসে তখন…. আমার ওপর যতো অভিযোগ আছে এসব নিয়ে যে শাস্তি দিতে চাও দিবে… কিন্তু আপাদত চলো আমার সাথে…
মেরিন : আমি যাবো না…
নীড় : প্লিজ চলো…
মেরিন : না ।
নীড় : আমি রাগ করতে চাইছিনা… যদিও রাগ করার অনেক কারন আছে।
মেরিন : আমিও suicide করতে চাইছিনা… যদিও suicide করার অনেক কারন আছে।
নীড় : তুমি যখন যাবেই না তখন আমাকেই এখানে আসতে হবে…
মেরিন : আপনি এখানে এলে কিন্তু আমি পথে গিয়ে থাকবো বলে দিলাম…
নীড় সামনে থাকা চেয়ারে ১টা লাথি মেরে নীড় বেরিয়ে গেলো….

.

সকালে…
মেরিন গাড়ি নিয়ে বের হলো। দেখলো পথের সাইডে ১টা তাবু…
নীড় : helllo my snow white… এই জায়গাটা ঠিক আছেনা? না তো শশুড়ড্যাডের সীমানা আর না তো দূরের… this place is perfect for me….
মেরিন কিছু না বলে চলে গেলো।
নীড় : আমাকে ignore করাই যে বারবার আমাকে তোমার কাছে টানে…

মেরিন হসপিটালে বসে আছে।
মেরিন : নীড়-অর্নব-কাকা … কাউকেই ভালো লাগেনা। কেউ আমার আপন না। সবাই সুযোগ সন্ধানী। কেউ আমাকে চায় কেউ আমার সম্পত্তি… বাবার কষ্টের সম্পত্তি না হলে সব বিক্রি করে দূরে কোথাও চলে যেতাম। কিন্তু আমার বাবা স্মৃতি কি করে বিক্রি করবো… না কাউকে দায়িত্ব দিয়ে সবার আরালে চলে যাবো। কাউকে জানাবো না। দোলাকেও না… আর ভালো লাগেনা….

এসব ভেবেই মেরিন কেবিন থেকে বের হলো। দেখে নীড়ের হাত কাটা… সমানে রক্ত ঝরছে।
নীড় : ডক্টর snow white … হাতটা কেটে গিয়েছে…. treatment করবেনা?
মেরিন : কেয়া… মিস্টার খানের treatment এর ব্যাবস্থা করো…
নীড় : ন্যাহ… নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন কোনো নরমাল ডক্টরকে দিয়ে চিকিৎসা করাবে? ন্যাহ…
মেরিন : এখানে কেউ নরমাল ডক্টর নয়।
নীড় : but they are not owner…. you have to do this …

মেরিন বেশ বুঝতে পারছে যে নীড় ইচ্ছা করেই নিজের হাত কেটেছে ।
মেরিন : sorry … আমার সময় নেই।
নীড় : কেন আমার হাত ধরলে কি আমার প্রেমে পরে যাবে…?
মেরিন কিছু না বলে আবার কেবিনে ঢুকলো। নীড় গেলো। মেরিন নীড়ের হাত ব্যান্ডেজ করতে লাগলো। আর নীড় মেরিনকে দেখতে লাগলো।

নীড় : হাসি ছারা তোমাকে মানায়না… একটু হাসোনা…
মেরিন : হাসির কোনো কারন নেই… হাসি কেরে নেয়া হয়েছে…

বলেই মেরিন চলে গেলো। এরপর থেকে রোজ নীড় হাত-পা-আঙ্গুল কেটে টেটে আসতো মেরিনকে দিয়ে ব্যান্ডেজ করানোর জন্য ।

.

বেশকিছুদিন পর…
আজকে মেরিন পর্তুগাল যাবে । সব কিছু ঠিকঠাক। কেউ কিছু জানেনা। নীড়ও না। নীড় গাড়ি না নিয়ে taxi hire করলো। কিছুটা পথ গিয়ে মেরিন taxi তে উঠলো।
মেরিন : ভাইয়া একটু সাবধানে চালাবেন…

একটুপর মেরিন খেয়াল করলো যে এটা airport এর রাস্তা না।
মেরিন : একি আপনি কোথায় যাচ্ছেন? এটা তো airport এর রাস্তা না । ভাইয়া গাড়ি ঘোরান…
নীড় : i am not your ভাইয়া my snow white ….
মেরিন : আপনি….?
⛈️⛈️⛈️
]

.

বর্তমান…
সারারাত ভাবার পরও মেরিন ডাইরিটার password খুজে পেলোনা । সকাল বেলা নিহাল মেরিনকে নিয়ে asylum এ গেলো। গ্রামের দিকে asylum টা।

দীপ্ত : মেরিন…
দীপ্ত ছুটে এলো।
দীপ্ত : ভালো আছো মামনি?
মেরিন : হামমম। তুমি ভালো আছো?
দীপ্ত : হামম। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া… যে তুমি সুস্থ হয়েছো।
মেরিন : নীড় কোথায়?
নিহাল : নীড়কে মেরিনের সামনে নিয়ে আসোনা।
দীপ্ত : না দুলাভাইয়া । সেদিন flight এ মেরিনকে দেখে নীড় কেমন react করেছিলো? কতোটা অসুস্থ হয়ে পরেছিলো?
নিহাল : হ্যা… তাহলে কি করা যায়?
মেরিন : নীড়কে ১টা বার দূর থেকে দেখতে পারবো?
দীপ্ত : হামম। তবুও মাস্কটা পরে নাও।
মেরিন পরে নিলো।
দীপ্ত : আসো…
দীপ্ত মেরিনকে নিয়ে গেলো।
দীপ্ত : ওই দেখো … তোমার #সাইকো_নীড় …

মেরিন নীড়কে দেখলো । নীড়ের হাতে সেই পুন্টুস। বাচ্চাদের মতো লাফাচ্ছে… পুরোই বাচ্চাদের মতো আচরন…

নীড়ের নজর হুট করে মেরিনের দিকে পরলো। নীড় ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো । মেরিনদের অনেকটা সামনে গেলো…. মেরিনের মুখ ঢাকা থাকলেও চোখ ২টা বেরিয়ে আছে… নীড় মেরিনের মুখে হাত বুলিয়ে দিলো…. এরপর পেছাতে লাগলো…. ১টা সময় অজ্ঞান হয়ে গেলো…

দীপ্ত : নীড়।।।

.

৩দিনপর…
মেরিন : বাবা…
নিহাল : হ্যা মামনি…
মেরিন : আমি আলো mental asylum এ join করতে চাই।
নিহাল : কি বলছো কি মামনি?
মেরিন : হামমম।
নিহাল : কিন্তু নীড় তোমাকে দেখে ফেললে যে ওর মাথায় আরো চাপ পরবে। দীপ্ত যে বলেছে , এমন হতে থাকলে আমার ছেলেকে হারিয়ে ফেলবো…
মেরিন : বাবা…. আমার ওপর বিশ্বাস রাখো। নীড় আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে… বিনিময়ে আমারও তো উচিত তার জন্য কিছু করা। কিছুটা হলেও ভালোবাসা…
নিহাল : কিন্তু…
মেরিন : কোনো কিন্তু না বাবা… আমি কথা দিচ্ছি নীড় আমার মুখে দেখবেনা…. এমনকি চোখও দেখবেনা। তুমি আমাকে ওই asylum এ jobএর ব্যাবস্থা করিয়ে দাও। নীড়কে আমি সুস্থ করে তুলবো… যদি আল্লাহ চায়। কথা দিলাম…
নিহাল : বেশ.

.

অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️

মেরিন : আপনি ?
নীড় : yes my snow white …. its me…. তুমি কি অন্যকাউকে আশা করেছিলে?
নীড়ের কন্ঠ শুনে মেরিন বেশ বুঝতে পারছে যে নীড় ঠিক কতোটা রেগে আছে । নীড় মেরিনকে নীড়মহলে নিয়ে গেলো । পায়ে শিকল পরিয়ে দিলো। এরপর ওর বরাবর চেয়ার নিয়ে বসলো।
নীড় : এমন foolish কাজ করার কারনটা explain করবে প্লিজ…. যা বলবে ১বারই বলবে ভেবে বলবে… কখনো কাউকে explain করার সুযোগ দেইনি। আজকে তোমাকে দিলাম।
মেরিন : আপনাকে explain দিবোনা…. you are nobody to me… you are a rapist…
নীড় হাতের থাকা ফোনটা আছার মারলো।
নীড় : বারবার বারবার ওই একই কথা… sorry বলেছি কতোবার count করেছো? বলেছি যে অপরাধ করেছি… আর এমন তো না যে আমি তোমাকে বিয়ে করবোনা। এখন বলো এখনই বিয়ে করবো। আজকাল তো বিয়ের আগে physical relation করা কোনো ব্যাপারই না…
মেরিন : its for you… not for me… আপনি হাজার জনের সাথে physical relation করে এটাকে নরমাল বলতে পারেন… but not me…
নীড় ১বার চোখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে মেরিনের সামনে এসে ওর চুলের মুঠ ধরে কিছুটা নিজের সামনে আনলো।
নীড় : ১টা কথা বলছি… ভালোভাবে মাথায় ঢুকিয়ে রাখো… accept লিপ কিস… নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন অন্য কোনো মেয়ের সাথে কোনো প্রকারের physical relation করেনি… তুমিই প্রথম আর তুমিই শেষ। যে হাত দিয়ে ১বার তোমাকে টাচ করেছি সেই হাত দিয়ে ২য় কাউকে টাচ করতে পারবোনা… যেই হাত দিয়ে তোমাকে ভালোবেসেছি সেই হাত দিয়ে ২য় কাউকে ভালোবাসতে পারবোনা…

বলেই নীড় মেরিনের চুলের মুঠি ছেরে দিলো।
নীড় : &&&… সেদিনের ব্যাপার… তোমার ভাষায় রেপ… আমি লন্ডনে তোমার সাথে একা ছিলাম। বলতে পারবে যে কখনো বাজে ভাবে স্পর্শ করেছি? বলো… প্রায় দুই বছরের সম্পর্কে কখনো এমন কিছু করেছি? বলো…. সেদিন যা করেছি… ভুল করেছি। আমি জানি। তোমাকে explain করতে দেয়ার দরকার ছিলো। but you know me…. আমি অনেক কিছু হারিয়েছি…. কিন্ত কোনো ক্রমেই তোমাকে হারাতে পারবোনা। তাই যখন শুনেছি যে তোমার বিয়ে হয়েছে , তাও ওই নাবিলের সাথে তখন আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি…. কারন আমি তোমাকে নাবিলকে ততোটা ঘৃণা করিনা যতোটা তোমাকে ভালোবাসি…. i just love you…. আমি দুনিয়া ছারতে পারি তবুও তোমাকে না… এই কথাটা মন মস্তিষ্ক সব জায়গায় set করে নাও…
মেরিন : ….
নীড় : এতোদিন ধরে বহুকষ্টে নিজেকে সামলে নিয়েছি। অপরাধবোধের জন্য রাগটাকে দমন করে রেখেছিলাম । কিন্তু তুমি সব লিমিট ক্রস করেছো। তাই এখন আর সম্ভব নয়। got it.. এই শিকল ৭দিনের জন্য তোমার পায়ে বাধা থাকবে….
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো। নীড় চলে যাওয়ার পর নীড় মেরিন নীড়ের বলা কথাগুলো বিশ্লেষন করতে লাগলো।

.

মেরিন চোখ বন্ধ করে আছে।
নীড় : snow … এই snow … snow white …. দেখো তুমি ঘুমনা । আমি জানি….
মেরিন : …
নীড় : দেখি হা করো। খেয়ে নাও।
মেরিন : …
নীড় : কি হলো? চোখ মেলো। হা করো।
মেরিন মুখ ঘুরিয়ে নিলো। নীড় ১টানে মেরিনকে নিজের দিকে ঘুরালো ।
নীড় : আমি কতোটা ভয়ংকর তা তুমি জানো। তাই কথায় কথায় আমাকে রাগাবেনা । তোমার সাথে এতো রাগ করতে আমার নিজেরও ভালো লাগেনা। so no drama ….

.

চলবে…