সি আইডি অফিসারের ভালোবাসা Part-10

0
1221

গল্প: সি আইডি অফিসারের ভালোবাসা
#Raihan
Part-10

.
_তোমি আমাদের সাথে চলো আপু।
কোনো ACP তোমাকে কিছু বলবেনা।
চলো আমরা বিকেলে না।
এখনি ঘুরতে বের হবো।
আজকে আমরা সারা দিন ঘুরবো।{মোসলিমা}
_না এটা সম্ভব না।{চাদনী}
_আরে চলো তো।
খুজ নিয়ে দেখো আজকে তোমাদের ACP স্যার ও ঘুরতে বেরিয়েছে।
আজকে আর কোনো মিশন হবে না।
এ কথা বলে মোসলিমা চাদনীকে আর আমাকে টেনে নিয়ে চললো।
আজকে মোসলিমা ড্রাইভ করছে
আমি আর চাদনী পেছনে বসে আছি।
মনে হচ্ছে চাদনী কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছে না।
_কি কিছু বলবেন…?{আমি}
_না ইয়ে মানে! কিছু না।
_ওওও আচ্ছা।
_আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞাস করবো…?(চাদনী)
_হুম বলেন!{আমি}
_আপনি কি কারো সাথে রিলেশন করেন…? {চাদনী}
_হঠাৎ চাদনীর মুখে এমন কথা শোনে আমি অবাক হয়ে যায়…?
_আরে কি যে বলো না আপু।
ভাইয়া তো মেয়েদের সামনে যেতেই ভয় পায়।
আবার সে করবে রিলেশন…?
হিহিহি হাসালে আপু…?{মোসলিমা}
_ঐ চুপ কর।
এত বেশি বুঝিস কেন?
যেটা করছিস সেটাই কর..?{আমি}
_হুম সত্যি কথা বললেই দোষ হুহ…?{মোসলিমা}
এই কথা বলে রাগে ফুসতে থাকে মোসলিমা
একটানে গাড়িটি এনে একটা রেস্টুরেন্টের কাছে দাড় করায়।
_ঐ গাড়ি থেকে নাম।
অনেক ক্ষুধা লাগছে কিছু খাবো..{মোসলিমা}
এবার আর আমার বুঝতে বাকি থাকলো না যে মোসলিমার খুব রাগ ওঠছে।
এখন আমার পকেটের আর রক্ষা নাই।
কারণ যখনি মোসলিমাকে কোনো কথা বলে রাগ তুলি বা আমার কোনো কথাই যদি মোসলিমা কোনো রাগ করে তাহলে মাইনকা চিপাতে ফালায়া মোসলিমা আমার পকেট সাবার করে।
এমন সিচুয়েশনে নিয়ে পকেট সাবার করে যে না পারি কিছু বলতে
না পারি সইতে।
এখন যে আমার কপালে কি আছে আল্লাহ ই জানে।
_তরা এখানে বস আমি অর্ডার করে আসছি।
আপু তোমার জন্য কি অর্ডার করবো…?{মোসলিমা}
_দেখো তোমার যা পছন্দ তাই অর্ডার করো।{চাদনী}
_না তোমি বলো…!{চাদনী}
_ওকে তাহলে আমার জন্য পিৎজা অর্ডার করো{চাদনী}
_ও তাই…?
আমার জন্যও পিৎজা অর্ডার ই করবো।
তাহলে দুটো পিৎজার অর্ডার দিয়ে আসি…!{মোসলিমা}
_আমার জন্য কিছু অর্ডার দিবি না…??
মোসলিমার রাগের সামনে আমার কথা বলতেই ভয় করতেছে।
তবুও আস্তে আস্তে কথাটা বললাম।
_হুম তর জন্য অর্ডার দিবোই তো।{মোসলিমা}
_এই তো আমার লক্ষীবোন।
আমি জানি আমার বোন কখনো আমার সাথে রাগ করে না তাই না…?{আমি}
_আরে রাখ তর তৈল মারা।
তর জন্য অর্ডার দিবো তবে পিৎজা না।
তর জন্য অর্ডার করবো মূলার জুস হুহ…?
কথাটা বলে এক ঝটকায় মোসলিমা চলে যায় খাবার অর্ডার দেওয়ার জন্য।
আর আমি হা হয়ে ওর চলে দেখছি।
চাদনী দেখছি আমাদের ভাই-বোনের এমন কান্ড দেখে মুচকি মুচকি হাসছে।
হঠাৎ চাদনীর দিকে তাকিয়ে ওর পেছনে একটা টেবিলের দিকে তাকাতেই আমি চমকে যায়।
আরে এটা কিভাবে সম্ভব..?
রাফি এই রেস্টুরেন্টে এলো কিভাবে।
হঠাৎ রাফির দিখে তাকাতেই সাথে সাথে রাফি আমার দিকে তাকিয়ে ওঠে আর সাথে সাথেই রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে একটা গাড়িতে ওঠে চলে যায়।
আর ঠিক তখনি মাসুদের ফোন আসে।
_হ্যালো শাকিল.. …..!{মাসুদ}
_হুম বল…..{আমি}
রেজাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
আর রাফিকে যেখানে বেধে রেখেছিলাম সেখানেও রাফি নেই….!
_কি বলিস রেজাকে পাওয়া যাচ্ছে না …?
আর রাফি সেখান থেকে পালালো কিভাবে?
রেজার কোনো ক্ষতি হলো না তো…?{আমি}
_জানি না রে!
পারলে তোই তাড়াতাড়ি একটু ভার্সিটিতে আয়।
ভার্সিটিতে চাদনীর সমন্ধে একটা নিউজ বেরিয়েছে।{মাসুদ}
_মানে! কিসের নিউজ…?{আমি}
_সেটা আসলেই দেখতে পারবি।
তাড়াতাড়ি আয়।
এখন রাখছি। বাই{মাসুদ}
_ওকে বাই{আমি}
_রাফিকে দেখলাম এই রেস্টুরেন্টে।
আবার রেজাকেও নাকি পাওয়া যাচ্ছে না।
তাহলে রাফি ছাড়া পেলো কিভাবে…?
রেজার আবার কোনো ক্ষতি হলো না তো..?
মনে মনে এসব কথা ভাবছে আর ভার্সিটির দিকে দৌড়ে এগোচ্ছে শাকিল।
কথাগুলো ভাবতে ভাবতে ভার্সিটির কাছে পৌছে যায় শাকিল।
কিন্তু ভার্সিটির গেইটের ভিতর ঢুকতেই আমি অবাক হয়ে যায়।
কারা যেন চাদনীর নামে পোষ্টারে একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রায় পুরো ভার্সিটি ভরে ফেলেছে।
ভার্সিটির প্রত্যেক দেয়ালেই পোষ্টার লাগানো।
আর সেই পোষ্টারে লিখা___
রাতের দুসাহসীক অভিযানে চারজন অপরাধীকে আটক করেছে সি.আই.ডি
অফিসার চাদনী।
প্রচারে: সি.আই.ডি ব্যুরো।
হঠাৎ এমন বিজ্ঞাপন দেখে আমি অবাক হয়ে যায়।
সবুজ,মাসুদকেও দেখছি অবাক হয়ে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।
_এটা কি করে সম্ভব রে মাসুদ!
চাদনী রাতে মিশনে বের হয়ে তিনজনকে আটক করলো কখন?
রাফিকে সহ তিনজনকে তো আটক করেছি আমরা।
আর চাদনী তো কালকে সারা রাত মোসলিমার সাথেই ছিলো।{আমি}
_হুম তাই য়ি তো দেখতে পাচ্ছি।
চাদনী মিশনে বের হলো কখন?
আমরা তো অনেক রাত্র পর্যন্ত মিশনে ভার্সিটিতেই ছিলাম।{মাসুদ}
_আবার দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞাপনটা আমাদের ব্যুরো থেকেই দেওয়া।{সবুজ}
_কিন্তু আমরা যে রাফিকেসহ তিনজনকে ধরেছি সেটা তো আমাদের চারজনকে ছাড়া কেউই জানে না।
এমন কি আমাদের সি.আই.ডি ব্যুরোও না।
তাহলে এ বিজ্ঞাপনটি দিলো কে?
_আবার এটা রেজার কাজ না তো?
ওকে তো সেই কখন থেকে দেখছি না।
এমন কি ওর ফোনটাও বন্ধ।{মাসুদ}
_আরে নাহ!
রেজা নিজেই তো একটা গাধা।
এখনও তো পার্সোনাল বলতে কিছু বুঝে না।
কখন কিভাবে কোথায় কথা বলতে হয় সেটাও জানে না।
রেজা কিভাবে এ কাজটা করবে?{আমি}
_হুম সেটাই তো।
তাহলে রেজা গেলো কোথাই?
আর রাফিই বা ছাড়া পেলো কিভাবে…?{মাসুদ}
_এ প্রশ্নটা তো আমারও।
রেজা কোথাই গেলো?
আর রাফিই বা ছাড়া পেলো কিভাবে?
নিশ্চয় রেজার নিখোজ ও রাফির ছাড়া পাওয়ার ব্যপারে অন্যকারো হাত আছে।{আমি}
_কিন্তু কে থাকতে পারে?{সবুজ}
_জানি না রে!
কিন্তু এর পেছনে যেই থাকুক তাকে অবশ্যয় আইনের কাছে সারেন্ডার করতে হবে।
মাসুদ তোই সি.আই.ডি ব্যুরোতে ফোন দিয়ে দেখ এ পোষ্টারের ব্যপারে ওরা কিছু বলতে পারে কি না।
আর আমি চাদনীকে ভার্সিটিতে আসতে বলছি।
এই নিউজটা যেহেতু চাদনীখে ছাড়া ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেছে
সো যেকোনো সময় ওর বিপদ হতে পারে।{আমি}
_আচ্ছা দিচ্ছি।{মাসুদ}
তারপর মাসুদ ব্যুরোতে ফোন দেয় আর আমি চাদনীকে ভার্সিটিতে আসতে বলি।
_কি রে কি বললো?
_না রে আমাদের ব্যুরোর কেউই এই পোষ্টারের ব্যপারে কিছু জানে না।(মাসুদ}
_ওহ আচ্ছা।।{আমি}
_আমাকে কি এখানে আসতে বলছো শাকিল!?
পেছন দিকে তাকিয়ে দেখি চাদনী কথাটি বলছে।
_হুম আসতে বলছি।
_আমি আরো রেস্টুরেন্টে তোমাকে একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু তোমি তার আগেই কেন যেন দৌড়ে এখান চলে আসলে।{চাদনী}
_আমি জানি তোমি আমাকে কি বলবে(আমি}
_তাই নাকি?
তাহলে এভাবে দৌড়ে চলে আসলে কেন?
কথাটা বলে চাদনী মাথাটা নিচু করতেই দেখি পেছন থেকে দুটো লোক চাদনীকে টার্গেট করে রিভেলবার ধরে রেখেছে।
কিন্তু মুখে মাস্ক পরে থাকায় চেনা যাচ্ছে না।
সেখান থেকে একটা লোক চাদনীর দিকে রিভেলবারটা তাক করে যেইমাত্র শুট করতে যাবে ঠিক তখনি আমার বেল্টের কাছ থেকে রিভেলবারটা বের করে সোজা লোকটার বুকে শুট করে দেই।
আর সাথে সাথেই লোকটা মাটিতে পরে যায়।
আর অন্য লোকটা সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়।
রিভেলবারের শুট করার শব্দে সমস্ত ভার্সিটি যেন কেপে ওঠলো।
আর সাথে সাথেই দেখি সমস্ত ভার্সিটির লোকজন আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
আমার রিভেলবার থেকে ধোয়া বেরোচ্ছে
মাসুদ আর সবুজকে দেখছি আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
সাথে সাথেই সারা ভার্সিটি সহ গোলযোগ শুরু হয়ে গেলো।
আর একটু পর দেখলাম থানার এস.আই ইতিমধ্যে ফোর্স নিয়ে চলে এসেছে।
চাদনীকে দেখলাম আমার সামনে দাড়িয়ে কান্না করছে।
হঠাৎ রিভেলবার শুট করার শব্দে চাদনী ভয় পেয়ে যায়।
_সরি মিঃ শাকিল সেদিন কমিশনার সাহেবের ফোনে আপনাকে ছেড়ে দিলেও আপনাকে আজেক এরেস্ট করতে বাধ্য হচ্ছি।{এস.আই}
কথাটা বলে এস.আই যেইমাত্র একটা কনস্টেবলকে পাঠাবে আমাকে হাত কড়া পড়ানোর জন্য ঠিক তখনি….
_১মিঃ এস.আই সাহেব!
এরেস্ট করার দরকার হবে না।
I’m Assistant Commissionear of Police.{ACP} MD.Shakil Rayhan.
এই কথা বলে আমার কার্ডটা উচু করে ধরতেই চাদনীকে সহ সবাই অবাক হয়ে যায়।
আর এস.আই সহ…..

to be continue………