অতঃপর প্রণয় পর্ব-১১

0
76

#অতঃপর_প্রণয়
#পর্বঃ ১১
#জেসমিন_জেমি
শব্দসংখ্যা – ১৭৮৬

মাঝে কেটে গেছে দু-সপ্তাহ।
জহির মির্জা চেয়েছিলেন ১ বছর পর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ধুমধাম করে করবেন। ইমরুল তালুকদার সহ তাতে সাই জানালেন কিন্তু বাঁধ সাধলো আবরার সে ১ বছর ওয়েট করতে পারবো না, আবরার ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বাড়ীতে জানিয়ে দিয়েছে ১ মাসের মাঝেই বউকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে নিবে এতে তারা রাজি হলে হলো না হলে না হলো। তার বিয়ে করা বাচ্চা বউটাকে এতোদিন ওই হিটলার মার্কা শশুর বাড়ীতে রাখার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা নেই তার। এ নিয়ে বাবা ছেলের মাঝে তিনদিন নিরব যুদ্ধ হয়ে গেছে শেষমেশ ইমরুল তালুলদার জহির মির্জাকে ১ মাস পর বিয়ের জন্য রাজি করিয়েছেন তবে বাবা ছেলের নিরব যুদ্ধ সবার আড়ালেই রয়ে গেলো কেউই এসব কাহিনী বিন্দু মাত্র টের পেলো না।

————

চার কাঠা জমিতে একতলা বিশিষ্ট বাড়ি ইলমিদের। বাড়ীর ঠিক পাঁশেই বিরাট বড় একটা পুকুর। পুকুরটাতে পদ্মফুলে ভরা এরজন্য ইলমি পুকুরটার নাম দিয়েছে পদ্মপুকুর। ইলমির পদ্ম পুকুরের বাঁধাই করা ঘাটে বসে পুকুরের পানিতে পা ডুবিয়ে রাখতে খুব ভালো লাগে। তাই সময় পেলেই মায়ের চোখে ফাঁকি দিয়ে পুকুর পাড়ে চলে যায় আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি। বিকেলে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছুট লাগিয়েছে পুকুর পাড়ে। বেশ কিছুক্ষণ ঘাটে মলিন মুখে পানিতে ফর্সা পা জোড়া ডুবিয়ে বসে আছে। ইলমির ছোট রঙিন আকাশে আজ কালো মেঘেরা ভীড় জমিয়েছে। মনটা ভীষণ খারাপ, ভীষণ, ভীষণ, ভীষণ । একটা মানুষ এতোটা স্বার্থ্যপর কি করে হতে পারে? চারদিন, চার চারটা দিন অথচ লোকটার কোনো খবর নেই। নো কল, নো মেসেজ এগুলো কেমন ব্যবহার? লোকটা কি জানে না? কেউ একজন তার অপেক্ষায় বসে আছে। হয়তোবা এক সময় ইলমি লোকটাকে দেখতে পারতো না। লোকটাকে ইলমির ভালো লাগতো না। লোকটাকে ইলমি মিসও করতো না কিন্তু এখন তো ভালো লাগে, ভীষণ রকমের মিসও করে, লোকটার সাথে কথা বলার জন্য ইলমি অধীর আগ্রহ নিয়ে রাত জেগে অপেক্ষা করে কিন্তু লোকটা কি করে ইলমির কোনো খোঁজই নেয় নাহ। হুহ ইলমিও আর ওই রাক্ষসটাকে মিস করবে না। না মানে না, কখনো না।

————————
ইলমি বেশ সাবধানে সদর দরজায় পা রাখলো, এদিক সেদিক উঁকি দিয়ে পা টিপে টিপে বাড়ীতে পা রাখলো। ইলমির পড়নে জলপাই রঙা কামিজ, গোলাপি রঙা ওড়না সালওয়ার। পুকুরে পা ডুবিয়ে রাখায় পায়ের কাছের অনেক অংশ ভিজে গেছে ৷ আর এই অবস্থায় যদি আমেনা বেগম ইলমিকে দেখে নেয় তাহলে ইলমির ১২ টা না ১৪ টা বেজে যাবে। ড্রয়িংরুমে মাকে না দেখে ইলমি হাফ ছেড়ে বাঁচলো ।

ইলমিঃ বহুত বাঁচা বেঁচে গেছিস ইলমি আরফুর মাইয়া নেই নইলে তার হাতে আজ তোর ১৩ টা বাইজা যাইতো।
রান্না ঘরে শব্দে হতেই ইলমি এক দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসতেই ফোনটা টুংটাং আওয়াজে বেজে উঠলো ফোনটা হাতে নিতে নিতেই কলটা কেটে গেলো। দেখলো ‘ফুফাতো বর’ ১০ মিসড কল । ইলমির বর ভালো হয়ে গেছে তাই আগের সব নাম কেটে ফুফাতো বর দিয়েছে। ফুফাতো বর ১০ মিসড কল দেখে ইলমি বেশ অবাক হলো পরপর ভেংচি কেটে বললো।

ইলমিঃ হুহ এমনি দিনে কল দেওয়ার নাম নেই আজ একবারে ১০ টা কল। বলি বেডা একদিনে কি এতো হজম হবে নাকি? ধরবো না আপনার কল, ধরবো না, ধরবো না, ধরবো না।

ইলমি ফোনটা রাখতে যাবে তখনিই আবার ফোনটা বেজে উঠলো ইলমি ভেংচি কেটে ফোনটা ড্রেশিং টেবিলের উপর রেখে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গুনগুনিয়ে গাইতে লাগলো,

ওরে কালা চান আপনার লাগি মন করে আনচান।গাইতে গাইতে চুল আঁচড়ানো মনোযোগ দিলো।

আবার ফোন বাঁজতেই ইলমি ফোনটা হাতে তুলে নিলো ভেংচি কেটে ফোনটা বিছানায় ঢিঁল মেরে জুড়ে জুড়ে বলে উঠলো,,
বজ্জাত বেডা, শালা করল্লা, ধরবো না তোর কল, এতোদিন কই ছিলি? এহ আজ আসছে ধরবো না কোনো মতেই ধরবো না হুহ ,,,
বলে আবারো চুল আঁচড়ানের জন্য আয়নার সামনে দাঁড়ালো, চুলে চিরুনি চালিয়ে আয়নায় তাকাতেই ভূত দেখার মতো ছিটকে চমকে উঠলো ইলমি। হাত থেকে চিরুনিটা শব্দ করে ফ্লোরে পড়লো। ভূল দেখেছে ভেবে ইলমি দুহাতে চোখ কঁচলে আবারো তাকালো। উহু ঠিকই দেখছে আয়নায় সে আবরারকে দেখছে, এইতো দরজায় দুহাত ভাঁজ করে কঠোর মুখে, বিস্ফোরিত নয়নে তার দিকেই তাকিয়ে আছে যেনো চোখ দিয়েই ইলমির উপর রাগ ঝাড়ছে। ইলমি ভয়ে ভয়ে পিছনে ফিরতেই দেখলো হ্যাঁ আবরার, সয়ং রাক্ষস রাজা তারা সামনে দাঁড়ানো আবরারের চোখ মুখ দেখেই ইলমির যা বোঝার তা বোঝা হয়ে গেছে। একটু আগের কাহিনী মনে পড়তেই ইলমির ভয়ে চোখ মুখ শুকিয়ে উঠলো। আবরার দু পা এগিয়ে আসতেই ইলমির জান যায় যায় অবস্থা। না জানি আজ ইলমির কপালে কি আছে। ইলমি বিরবির করে বলে উঠলো,,

আল্লাহ রাক্ষসটা কী আমারে মাইরা ফেলবো? আল্লাহ, আল্লাহ গো এইবারের মতো বাঁচাই নাও আর জীবনেও এমন করমু না আল্লাহ বাঁচাওওওওও।
বলেই চোখ বুজে নেয় প্রায় অনেক সময় পর রুমে কারো উপস্থিতি টের না পেয়ে ইলমি চোখ মেলে তাকায় । চোখ মেলে তাকাতেই দেখলো আবরার রুমে নেই। ইলমি চমকায় সে নিজের চোখে দেখেছে আবরারকে তাহলে লোকটা কোথায় যাবে? লোকটা কি ভূত নাকি? ইলমি তন্ন তন্ন করে পুরো রুম খুজতে লাগলো। উহু রুমে কাউকে পেলো না। তাহলে কাকে দেখলো সে? কাউকে রুমে না পেয়ে ইলমি ভেবেছিলো হয়তো এটা তার মনের ভূল। ইদানীং রাক্ষসটাকে নিয়ে ভীষণ ভাবে ইলমি । রাক্ষসটা কল না করলে ইলমির মন খারাপ হয়। লোকটার উপর ভীষণ অভিমান হয়। কিন্তু লোকটাকে দেখো ইলমিকে সে মনেই করে না, একবার খোঁজ ও নেয় না। নির্দয়, পাষাণ লোক একটা। ইলমি ভেবেই নিয়েছিলো আবরার আসেনি সে ভূল দেখেছে কিন্তু তার ভূল ভাঙলো যখন রুমে আবিরা আর তুর্ফা এসে হাজির হলো।

তুর্ফাঃ কলমিইইই
বলেই দুজনে ঝাঁপটে ধরলো তাকে ওদের দেখে ভীষণ খুশি হলো। মুহূর্তেই আবরারের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে গল্পে মেতে উঠলো।

তূর্ফাঃ এই কলমি ভাইজান এভাবে রাগে হনহন করে বের হয়ে গেলো কেনো?

আবিরাঃ ভাইজানকে দেখে মনে হলো ভীষণ রেগে আছে। হঠাৎ এভাবে রেগে গেলো কেনো?

নিচ থেকে গাড়ীর হর্ণ বেজে উঠতেই তূর্ফা উত্তেজিত হয়ে বলে উঠে,,,

আবিরা ভাইজান কি চলে যাচ্ছে??

আবিরা কিছু বলবে তার পূর্বেই ইলমি চেঁচিয়ে বলে উঠে,,
চলে যাবে মানে?
বলেই দৌড়ে বেলকনিতে যেতেই দেখতে পায় সাদা পান্জাবি পরিহিত সুদর্শন এমপি সাহেব ওড়ফে তার ফুফাতো বর চোয়ালদ্বয় শক্ত করে হাত ঘড়িতে সময় দেখে একবার বেলকনিতে চাইলো পরপর তার শাশুড়ির থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ী নিয়ে ধূলো উড়িয়ে বের হয়ে গেলো । ইলমি যেনো বোকা-বনে গেলো লোকটা কি তার উপর ভীষণ রেগে গেছে? তার জন্যই এভাবে চলে গেলো? ইলমির এবার খুব মন খারাপ হলো। কাজটা বোধহয় সে ঠিক করে নি। এতো বার কল করার পরও কলটা রিসিভ করে নি। এবার কি হবে?

___________

রাতের ডিনার শেষে ইলমি মন খারাপ করে ছাদে চলে গেলো। তূর্ফা খেয়ে দেয়ে ইলমির রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছে। আমেনা বেগম ব্যস্ত হাতে কিচেনের টুকটাক কাজ শেষ করছেন আর মেয়ের জামাইয়ের জন্য আফসোস করছেন। কত করে বললো থেকে যেতে কিন্তু ছেলেটা শুনলোই না তার কথা। খেয়ে যেতে বললো খেলেও না, একমাত্র মেয়ের জামাই কিনা শশুর বাড়ী থেকে খালি মুখে চলে গেলো এই নিয়ে আমেনা বেগমের আক্ষেপের শেষ নেই।
আবিরা মামির সাথে কিচেনে টুকটাক কথা বলছে। কথা বলার ছলে ইমির কখন বাসায় ফিরবে যেনে নিলো। সে যে উদ্দেশ্য নিয়ে এ বাড়ীতে এসেছে তা এবার সফল করবেই করবেই করবে ।
ড্রয়িংরুম থেকে জহির মির্জা চেঁচিয়ে এক কাপ চা চাইতেই আমেনা বেগম রেগে মেগে রান্নাঘর থেকে ছুটে এলেন,

আমেনাঃ কোনো চা হবে না এখন। চুপচাপ রুমে যান।

জহির মির্জা চোয়ালদ্বয় ঝুলিয়ে মিনমিনে কন্ঠে বলে,,
আহা জানোই তো আমেনা চা না হলে আমার চলে না। দাও না এক কাপ।

আবিরা মামার মিনমিনে কন্ঠ-স্বর শুনে কিচেন থেকে ফিক করে হেসে উঠলো।

পুরুষ জাতি কি সাংঘাতিক, ভাবা যায়? বাহিরে সিংহ হলেও ঘরে নিজের বউয়ের সামনে কি না তারা মিন-মিনে বিড়াল। যে লোকটাকে দেখে বাহিরের সবাই ভয় পায় সেই লোকটাই কি না সামান্য একজন নারীকে দেখে ভয় পায়। যে লোকটা বাহিরে গলা উঁচু করে আঁদেশ করে সেই লোকটাই কিনা বউয়ের সামনে মিনমিনে কন্ঠে আবদার করে। বাহিরের সিংহ কিনা ঘরের মিছি বিড়াল।

আমেনা বেগম চা দিবেন না মানে দিবেন না এদিকে জহির মির্জার চা না হলে চলবে না। শেষ মেশ জহির মির্জা চা না পেয়ে চুপচাপ বসে থাকে। আমেনা বেগম রুমে চলে যেতেই মামির চোখে ফাঁকি দিয়ে আবিরা ঝটপট চা বানিয়ে মামাকে দেয় জহির মির্জা তৃপ্তি করে চা খেয়ে বলে উঠে,,,

মাশ আল্লাহ আম্মা চা টা তো দারুন বানিয়েছেন। একদম আমার মায়ের হাতের চা আহ প্রানটা জুড়িয়ে গেলো।

আবিরা হেসে বলে,,
হয়েছে হয়েছে, চা টা তারাতারি শেষ করো মামা। মামি মা যদি দেখে তাহলে তোমার সাথে সাথে তোমার আম্মার যে কি হাল হবে সেটা একমাত্র উপরওয়ালাই জানে।

——————–

ইলমি মন খারাপ করে ছাঁদের দোলনায় বসে আছে। মনটা তার ভীষণ খারাপ, যখন থেকে শুনেছে তালুকদার বাড়ীতে হিমি আপু এসেছে তখন থেকে মনটা তার আরো খারাপ হয়ে গেছে। হিমি ৫ দিন হলো ও বাড়ীতে এসেছে আর এ ৫ দিনে লোকটা তার কোনো খোঁজ খবর নেয় নি। তাহলে কি লোকটা হিমি আপুকে পেয়ে তাকে ভূলে গেলো? যাওয়াটাই স্বাভাবিক ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে শাস্তি দেওয়ার জন্য বিয়ে করা বউকে মনে রাখবেই বা কেনো। এদিকে ইলমি সরি বলার জন্য একের পর এক কল করেই যাচ্ছে লোকটা রিসিভই করছে না মাঝে মাঝে কেটে দিচ্ছে । ইলমির এবার কান্না পাচ্ছে নিজের উপর নিজেরই রাগ লাগছে। কেনো সে এমন করতে গেলো।
আবার কল দিতেই ওপাঁশ থেকে কল কেটে দিতেই ইলমি কেঁদে উঠলো ।

__________

আবিরা শুয়ে পড়েছিলো ইলমি রুমে আসছে না দেখে রুম থেকে বের হয়ে ছাদের দিকে পা বাঁড়াতেই দেখলো ইমিরের রুমে লাইট জ্বলছে যার মানে লোকটা বাড়ীতে ফিরেছে। এই লোকটা এমন কেনো কখন বাড়ীতে আসে কখন যায় কেউই টের পাবে না মনে হয় কোনো সারা শব্দ নেই। আবিরার তো মাঝে মাঝে মনে হয় লোকটার রুমটাও বোধহয় জানে না তাদের মালিক কখন আসে কখন যায়। আবিরা এগিয়ে আসতেই দেখে দরজা হালকা ভিড়ানো আবিরা মাথা হালকা ঝুঁকে উঁকি দিলো কিন্তু রুমে কাউকেই দেখতে পেলো না। তার মানে কি লোকটা এখনো ফিরেনি? তবে মামি মা যে বললো আজ তারাতারি ফিরবে। তাহলে এখনো ফিরলো না যে? আবিরার ভাবনার মাঝে ইমির দরজা টেনে ভ্রু কুচকে বলে উঠে,,

ইমিরঃ কি সমস্যা এভাবে উঁকি দিচ্ছো কেনো?

আবিরা চমকে উঠলো তবে ভীষণ রাগ ও লাগলো। বিরবির করে বললো,,
আরে বেডা মিষ্টি করে জিজ্ঞেস ও তো করতে পারিস কখন আসলে? কেমন আছো ।
কিন্তু না তুই তো তা করবি না পারবি তো শুধু ফুসফাস করে বলতে।

ইমির ভ্রু কুচকে আবিরার দিকে তাকাতেই আবিরা হাসার চেষ্টা করে বলে উঠলো,,
আসলে দেখছিলাম আপনার রুমে ইলমি কি না।

ইমির ভ্রু কুচকে গম্ভীর স্বরে বললো,,

ইলমি রুমে নেই?

আবিরাঃ না, ইয়ে মানে ইলমি তো ছাদে।

ইমিরঃ ও তাহলে ছাদে যাও।
বলেই ইমির রুমে চলে যায়। আবিরা যায় না সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ আবিরাকে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ইমির চোখ মুখ কুচকে বলে উঠে,,

ইমিরঃ কিছু বলবে??

আবিরা চমকে উঠে, তুতলিয়ে বলে উঠে,,
না না, মানে হ্যাঁ।

ইমির দু পা এগিয়ে আসে এসে বলে,,

ইমিরঃ বলো কি বলবে।
ইমির দুহাত বুকে গুঁজে চাউনীতে জিজ্ঞাসা নিয়ে আবিরার দিকে চায় আবিরা চোখ পিটপিট করে ইমিরের দিকে চায় পরপর চোখ সরিয়ে মিহিকন্ঠে বলে উঠে,,,,
আসলে আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো।

ইমিরঃ হুম বলো।

আবিরাঃ আসলে, আসলে,,,
আবির ভাইয়া কোথায় গেছে? উনাকে কোথাও পাচ্ছি না।

ইমির চোখ মুখ কুচকে ফেললো, গম্ভীরস্বরে বলে উঠলো,,
ইমিরঃ নিজের বাড়ী গিয়েছে।

আবিরাঃ ওহ

ইমিরঃ আরো কিছু জানার বা বলার আছে?( দাঁতে দাঁত চেঁপে)
আবিরা দু দিকে মাথা নেড়ে না বুঝাতেই ইমির আবিরার মুখের সামনে শব্দ করে দরজা আটকে দিলো। আবিরা ফ্যালফ্যাল চোখে দরজার দিকে তাকিয়ে রইলো। নিজ মনে নিজেকে বকাবকিও করলো কি বলতে এলো আর কি বললো। গাধী একটা কিন্তু লোকটা এভাবে রেগে গেলো কেনো? আবিরা স্পষ্ট দেখেছে লোকটা রেগে গেছে। আবিরা ভেবে পেলো না সে কি এমন বলেছে?

চলবে,,,,,,,,