অতীত দেয়ালে লেখা গল্প পর্ব-১৩

0
199

#অতীত_দেয়ালে_লেখা_গল্প
#তাহসিনা_অরিন
#পর্ব_১৩

চিঠি পাঠানোর পর কেটে গেলো এক সপ্তাহ। কিন্তু চিঠির উত্তর এলো না। এলো না? নাকি আমিই পালাই পালাই করি। তাকে দূর থেকে দেখেয় তো অন্য পথ ধরি। উত্তর আসবে কি করে শুনি? সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। কলেজ কোন কারণে তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দিলো। বাড়ির পথ ধরতেয় তাকে পিছন থেকে ডাকা হলো,
-তনুশ্রী! দাঁড়াও।
পিছনে ফিরে মানুষটির দিকে না তাকিয়েই বললাম,
-আমার নাম তান…
পুরোটা শেষ করার আগেয় হেসে ফেললো চৌধুরী বাড়ির ছেলেটা। লজ্জা পেলাম খুব। মুখ লুকাতে মাথা নিচু করে ফেললাম। সে হাসতে হাসতে বলল,
-তোমার নাম জানতে চাইলাম কখন? আমি যা বলে ডাকবো তুমি তাই, বুঝেছো?
উপর নিচ মাথা নাড়লাম। অর্থাৎ বুঝেছি। সে হাসলো। এক পা এগিয়ে দূরত্ব আরো কিছুটা কমালো। মৃদুস্বরে বলল,
-তোমার নাকি ভীষণ প্রেম প্রেম পায়? প্রেম করবে তনুশ্রী?
আমি চমকে তাকালাম তার দিকে। সে হাসলো। ফিসফিস করে বলল,
-প্রেমিক যদি আমি হই তোমার প্রেম জমবে?
আমি হাসলাম। ছুটে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু হলো না। তার আগেয় সে সাবধান বাণী শুনিয়ে দিল,
-খবরদার পালাবে না। উত্তর না দিলে কিন্তু আর অফার পাবে না। বাকিটা তোমার ইচ্ছে।
আমার অবস্থা তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মতো। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই। এদিকে ঠোঁটে বুঝি কেউ সুপার গ্লু লাগিয়ে দিয়েছে। একটা শব্দও বের হচ্ছে না। কি করবো আমি। তার সামনে দাঁড়িয়ে হাসফাস করতে লাগলাম। সে হাসলো। বলল,
-বলো। বলো। সময় নেই কিন্তু। রাস্তার মানুষজন দেখছে। তোমার বাড়িতে নালিশ যাবে। ভালো হবে?
এবার ডানে বামে মাথা নাড়লাম। সে বাঁকা হেসে বলল,
-তাহলে দ্রুত বলে ফেলো। নাহয় প্রেম করার আগেয় পায়ে শিকল লাগাবে তোমার আব্বা।
এবার প্রতিবাদ করলাম,
-মোটেও না। বাবা বিশ্বাস করবে না লোকের কথা।
সে হাসতে হাসতে বলল,
-ওরে বাবা। এতো বিশ্বাস? আমি তাহলে বরং চিঠি দেখিয়ে আসি? তোমার বাবা কি তোমার লেখা চিনে না?
আমি আমতা আমতা করলাম। ধূররর। কাকে কি বলে ফেলেছি। এখন আমাকে কে বাঁচাবে? কি অসভ্য লোক। এখনি তার উত্তর চাই হু। কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে শেষে বললাম,
-প্রেমিক যদি আপনি হন আমার প্রেম জমে ক্ষীর হয়ে যাবে।
আর কিছু না বলে এবার দিলাম ছুট। পিছন থেকে সে বলে উঠলো,
-আমার কিন্তু ক্ষীর পছন্দ খুব।
আমি হাসলাম। সাথে সে। পিছে না তাকিয়ে চলে এলাম বাড়িতে। ইশ ছেলেটা পারেও বটে! এইতো, আমাদের গল্পটার শুরু এখানেই!

তারপর! তারপর প্রেমরাঙা প্রহর বাড়লো। নকিল বিলের স্বচ্ছ পানিতে পা ডুবিয়ে আমি চৌধুরী বাড়ির বউ হওয়ার স্বপ্ন দেখলাম। বেলতলি বনের শাল গাছের ফাঁকে এসে পড়া শেষ বিকেলের তেজহীন রোদে তার হাতে হাত রেখে হাঁটতে গিয়ে আমি একটা ছোট সংসারের স্বপ্ন দেখলাম। কান্তারপল্লীর রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় সে যখন আগলে নিত হাত আমি তখন সুখী মানুষরূপে নিজেকে স্বীকৃতি দিলাম। কিন্তু হায়! কে জানতো ঝড়ো হাওয়া এসে বহু দিনে গড়ে তোলা স্বপ্ন আমার চোখের পলকে ভেঙে দিবে।

এডমিশনের রেজাল্ট দিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ার সুযোগ পেলাম। আব্বা কি খুশি সেদিন। ভাইও খুশি হলো। কিন্তু পুরোপুরি খুশি হতে পারলাম না আমি। এখন আমায় ঢাকা যেতে হবে? আফজাল কে ছেড়ে থাকার কথা ভাবতেই আমার দুনিয়া এফোড় ওফোড় হতে লাগলো। পরদিন দেখা হলো পলাশীর বিলে। বিলের পাড়ে বসে ছিলাম। সে পাশে এসে বসলো। আলতো স্বরে বলল,
-মন খারাপ?
-ভীষণ।
-কারণ কি?
আমি তার দিকে তাকালাম। সে হেসে নাক টেনে দিয়ে বলল,
-ঢাকা যেতে হবে বলে মন খারাপ আপনার?পড়াশোনা কি করতে হবে না?
-তুমি ভুলে যাবে আমাকে।
-বললেই হলো?
-হলো না?
-না!
-চোখের আড়াল হলে সবায় ভুলে যায়।
-তাকাও আমার দিকে।
তাকালাম তার চোখের দিকে। সে আলতো করে হাত ধরলো। মৃদুস্বরে বলল,
-ভর্তি হয়ে যান ম্যাডাম। আপনি ২য় বর্ষে উঠতে উঠতে আমার মাস্টার্স কমপ্লিট হয়ে যাবে। আপনার অনার্স শেষ হতে হতে বাবার ব্যবসায় যোগ দিয়ে দিব। আপনার অনার্স শেষ হলে বাসায় বলবো। তারপর আপনাকে একদম আমার করে নিব। তবুও ভয় পাবেন?
আমার চোখ ভিজে গেলো। আমি কেন ভয় পাচ্ছি। ভরসা পেলাম। সেই ভরসায় ঢাকা এলাম। ফোন কিনে দিলো ভাইয়া। ফোনে রোজ কথা হতো। তার ব্যস্ততার মাঝেও সময় দিত আমাকে। মন খারাপ হতো না আমার। তাকে অবিশ্বাস করার সুযেগ পেলাম না কখনো। স্বপ্ন সংখ্যা বাড়লো দিনকে দিন। তবে পূরণ হওয়ার অবকাশ তারা পেলো না।

তখন অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী আমি। আফজাল বাবার ব্যবসা সামলায়। অফিস সামলেও কথা হয় রোজ। কোনদিন বাদ যায় না। সেদিন কথা বলতে গিয়ে বুঝলাম ওর মন খারাপ। আমার অস্থির লাগতে লাগলো। বললাম,
-কি হয়েছে তোমার? মন খারাপ কেন?
-কই মন খারাপ?
-মিথ্যা বলবে আমায়?
-না।
-তাহলে বলো?
-বাবা হার্ট অ্যাটাক করেছে তনুশ্রী।
-কি বলছো এসব? কবে?
-গত পরসু।
অভিমান হলো আমার। অভিমানী কন্ঠে বললাম,
-আমি কেউ না তোমার তাই না? আমাকে জানালেও না।
-আরে শোন শোন।
-কোন কথা নেই।
-সরি তো। আর হবে না। আসলে মাথা কাজ করছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি কখনো। সরি।
-আচ্ছা ঠিক আছে। কাল কথা হবে। এখন বাবার খেয়াল রাখো।
-জি ম্যাডাম।
আমাদের প্রেম প্রেম আলাপের শেষ দিন ছিল বোধহয় সেদিন! তারপর…..

হসপিটাল থেকে আসা আজ নিয়ে পাঁচ দিন হলো। অর্ক এখন মোটামোটি সুস্থ। পায়ের ক্ষতটা একবারে সারেনি। তবে শুকিয়েছে অনেকটা। হাড়ে ব্যাথা রয়ে গেছে। হাঁটতে কষ্ট হয় অর্কের। কুঞ্জে সারাদিন ওর খেয়াল রাখে। কিচ্ছুটি একা করতে দেয় না। মেয়েটির পাগলামি দেখে হাসে অর্ক। আনমনে ভাবে এমন সোনার মেয়েকে কেন মা ছাড়তে বলে? তার মা তো এমন নয়। কারণ কিছু একটা আছেয়। কিন্তু কি সেটা? আর্ক অনেক ভেবেও উত্তর পায় না। কুঞ্জের ফোন বাজছে। মেয়েটার সে খেয়াল নেই। গেছে অর্কের খাবার আনতে। অর্ক ডাকলো,
-কুঞ্জ। ফোন বাজছে।
-আসছি।
কুঞ্জ খাবার হাতে ঢুকলো রুমে। খাবারের প্লেট টেবিলে রেখে ফোন হাতে নিলো। অপলক তাকিয়ে রইলো ফোনের স্কিনে। রিং হতে হতে কেটে গেলো ফোনটা। অর্ক বলে উঠলো,
-কি হলো? রিসিভ করো।
কুঞ্জ তাকালো। আনমনে বলল,
-আব্বু!
ফোনটা আবার বেজে উঠলো। কুঞ্জ আসছি বলে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। ছাদে রেলিং এর সাথে হেলান দিয়ে ফোন রিসিভ করলো কুঞ্জ। ওপাশ থেকে ভেসে এলো দরাজ স্বর,
-কল ধরছিলে না কেন কুঞ্জ।
-কাজ করছিলাম।
-কোথায় তুমি?
-জানেন না কোথায়?
আফজাল চৌধুরী চুপ থাকলেন কিছু সময়। তারপর বললেন,
-নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে শিখে গেছো?
-নেওয়া উচিত না আব্বু?
-বাবা-মা কষ্ট পেলো নাকি সেটাও তো সন্তান হিসেবে দেখা উচিত তাই না?
-তারপর বাবা-মায়ের খুশিতে একজনকে পাগল বানিয়ে অন্যজনকে বিয়ে করে তার জীবন নরক বানানো উচিত তাই না আব্বু!
কুঞ্জে কন্ঠে তাচ্ছিল্য। আফজাল চৌধুরী চেঁচিয়ে উঠলেন,
-কুঞ্জ!
-বলুন।
-তুমি কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো।
-বহু আগেয় গিয়েছি আব্বু। আপনার প্রাক্তনের ছেলেকে যেদিন বিয়ে করেছি সেদিনই সীমা ছেড়েছি আমি। আপনাকে কষ্ট করে মনে করিয়ে দিতে হবে না।
আফজাল চৌধুরী চুপ হয়ে গেলেন। এরপর কি বলা উচিত ভেবে পেলেন না। শুধু ভাবলেন তার ছোট মেয়েটা এত বড় হলো কি করে? প্রশ্নটা করলে তিনি উত্তর পেয়ে যেতেন। কিন্তু তিনি করলেন না। ফোনটা কেটে দিলেন। কল কেটে যাওয়ার পর কুঞ্জ হাসলো। আনমনে বলল,
-আপনাকে কষ্ট দিতে খারাপ নিশ্চয়ই লাগে আব্বু। বাট কিছু করায় নেই। ইউ ডিজার্ভ ইউ আব্বু। এগুলো পাওনা ছিল আপনার!
কুঞ্জ মায়ের নাম্বারে ডায়াল করলো। রিসিভ হলো সাথে সাথে।
-তুমি কি তোমার আব্বুর সাথে কথা বলছিলে কুঞ্জ?
-জি আম্মু।
-কি বললেন তিনি?
-তেমন কিছু না। আম্মু।
-বলো।
-তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো?
-ব্যক্তি ও পরিস্থিতি ভেদে আমি ক্ষমা করি আমি।
-মানুষটা যদি এমন কেউ হয় যাকে তুমি ভীষণ ভালোবাসো।
-তোমার কথা বলছো?
-শুধু আমাকে ভালোবাসো? আর কেউ নেই?
রাইমা চৌধুরী হাসলেন। উচ্চস্বরে হাসা যাকে বলে। কুঞ্জ ভয় পেলো একটু। আলতো স্বরে বলল,
-এভাবে হাসছো কেন আম্মু?
রাইমা চৌধুরীর হাসি তখনো পুরোপুরি কমেনি। হাসতে হাসতে বললেন,
-তুমি ভয় পাচ্ছ কুঞ্জ?
-যদি বলি পাচ্ছি সেটা কি অস্বাভাবিক হবে?
-না হবে না।
হাসি থেমেছে রাইমার। চোখে পানি৷ কুঞ্জ দেখতে পেলো না সেই অশ্রু।
-তবে? হাসলে কেন?
-এমনি।
-আমার প্রশ্নের উত্তর দাওনি কিন্তু।
-তুমি যার কথা বলছো তাকে ভালোবাসি এটা যেমন সত্য তেমনি এটাও সত্য তাকে ক্ষমা করা যায় না।
কুঞ্জ চুপ থাকলো। রাইমা পুনরায় বলল,
-তুমি কি চাও তোমার আব্বুকে আমি ক্ষমা করে দেই।
-আমি শুধু চাই তোমাকে ভালো থাকতে দেখতে আম্মু। তুমি কিসে ভালো থাকবে সেটা তুমি জানো।
-তাকে কি ক্ষমা করা উচিত?
-আমার মতামত চাইছো?
-হ্যাঁ!
-ক্ষমা করা উচিত নয় আম্মু। সে যেটা করেছে সেটা অনেক বেশি অন্যায়। তোমার প্রতি অবিচার।
-আব্বুকে এতো ভালোবাসো তবুও ক্ষমা করতে নিষেধ করছো?
-আমি আব্বুকে আব্বু হিসেবে ভালোবাসি আম্মু। আব্বু হিসেবে তিনি অসাধারণ। তবে স্বামী হিসেবে নন!
রাইমা হাসলেন। মৃদুস্বরে বললেন,
-তুমি অদ্ভুত কুঞ্জ।
কুঞ্জারি হাসলো। প্রাণখোলা হাসি। ফিসফিস করে বলল,
-ঠিক তোমার মনের মতো।
রাইমা হাসলেন। কুঞ্জের মতো করে। মা-মেয়ের প্রাণখোলা হাসি ছড়িয়ে গেলো আকাশে বাতাসে।

আফজাল চৌধুরী এক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। আপনার প্রাক্তন! শব্দটা কি ভয়ংকর। কিভাবে নিজের একটা মানুষ প্রাক্তন হয়ে যায়? অতীতে ডুব দিলেন তিনি,

আলিম চৌধুরী কে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। শরীরটা এখনো অসুস্থ তার। কাজল বসে আছে পাশে। তিনি স্ত্রী কে বললেন,
-এবার আফজালের বিয়েটা দিয়ে দাও। কয়দিন বাঁচবো আর। ছেলের বিয়ে না দেখে যাব?
-চিন্তা করো না তো। মেয়ে তো ঠিক। বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেলছি।
-বেশ তাই করো।
সেদিন বাসায় ফিরে নিজের টেবিলে এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ের ছবি দেখলো আফজাল চৌধুরী। তিনি অবাক হলেন। মা, মা বলে চিৎকার করে উঠলেন। কাজল চৌধুরী দ্রুত এলেন ছেলের ঘরে। কি হয়েছে জানতে চাইলেন। আফজাল চৌধুরী বললেন,
-এটা কার ছবি মা? আর আমার টেবিলে কেন?
-তের হবু বউ, তাই তোর টেবিলে রেখেছি।
আফজাল চৌধুরী হতভম্ব হয়ে গেলেন। বললেন,
-কি বলছো এসব!
-ঠিকি বলছি।
-কিন্তু মা আমি করতে পারবো না এই বিয়ে।
কাজল চৌধুরী গম্ভীর স্বরে বললেন,
-কেন?
-আমি…আমি একজনকে ভালোবাসি মা।
আফজাল চৌধুরী শুকনো ঢোক গিলে বললেন। কাজল চৌধুরী সরু চোখে তাকিয়ে বলল,
-কে সেই মেয়ে?
-তাজিম শিকদারের মেয়ে তানহা শিকদার।
মাথা নিচু করে বললেন তিনি। কাজল চৌধুরী দরাজ স্বরে বললেন,
-ভুলে যাও সেসব। বিয়ে তোমার রাইমার সাথেয় হবে।
-মা!
কাজল চৌধুরী কোন কথা শুনলেন না। এরপরে দশদিন একটানা বাবা-মায়ের পিছু পিছু পাগলের মতো ঘুরলেন তিনি। কিন্তু রাজি করতে পারলেন না। রাইমার বাবার মস্ত বড় কোম্পানি। বিয়েটা হলে দুই কোম্পানির কর্মক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা বাড়বে। এমন লোভনীয় প্রস্তাব ছেড়ে কিভাবে মধ্যবিত্ত বাবার মেয়ে তানহাকে মানবেন তারা? চৌধুরী বংশের গৌরব আছে নাহ! হাহ!
তারপর তাকে বিয়েতে রাজি করাতে কাজল চৌধুরী হাতের রগে ছু*ড়ি ধরলেন, আলিম চৌধুরী বললেন,
-তুই চাস আমি আবার হার্ট অ্যাটাক করি? মরে যাই?
বাবা-মায়ের মরা মুখ দেখতে কোন সন্তান চায়? তিনিও চাইতে পারলেন না। বাধ্য হয়ে রাজি হলেন বিয়েতে। তারপর….

#চলবে…?