আমার একলা আকাশ তোমায় জুড়ে পর্ব-১৫

0
280

#আমার_একলা_আকাশ_তোমায়_জুড়ে
#১৫তম_পর্ব

অন্না তাকিয়ে আছে অচিন দিগন্তে। অপেক্ষা অর্জুনদার। অপেক্ষা বিষয়টি অতীব বিচিত্র। একই সাথে এর মাঝে ধৈর্য্য এবং অধৈর্য্য মিশ্রিত রয়েছে। মানুষটি অপেক্ষায় যেমন হৃদয় ধৈর্য্য ধরতে চায়, পরক্ষণেই তার বিলম্বে অধৈর্য্য হয়ে উঠে হৃদয়। আনন্দ, আকাঙ্খা, উচ্চাভিলাষ, অভিমান, উচ্ছ্বাস, প্রসন্নতা, বিষাদ, বেদনা মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় এই অপেক্ষা নামক শব্দটিতে। অন্নার মাঝেও সেই অনুভূতিগুলোর সংমিশ্রণ দেখা গেলো। সে একই সাথে অর্জুনদার আগমণের জন্য অধীর হয়ে আছে, আবার তার বিলম্বে অভিমান পুষছে। লোকটি তার বেলাতেই উদাসীন। তার বেলাতেই সে ব্যাস্ত। এছাড়া অর্জুনদা সময়ের পাক্কা। কখনো তার সময় এক সেকেন্ড এদিক ওদিক হয় না। লোকটি কি বুঝে না এই কিশোরী তার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। তার জন্য সেই বিকেল থেকে সেজেগুজে বসে রয়েছে। সে কি সত্যি ই বুঝে না। একবার আসুক আচ্ছা করে দু’কথা শুনিয়ে দিবে অন্না। পরমূহুর্তেই অন্না মাথা ঝাকালো। মনকে শান্ত করলো। বুঝালো, অর্জুনদা ব্যস্ত মানুষ, তার ভার্সিটি রয়েছে। পড়াশোনা শিঁকে তুলে সে আসবে না। অন্না আবারো দূর আকাশে দৃষ্টি দিলো। নীলাম্বরে সাদা তুলোর মতো মেঘ দল বেধে ঘুরছে, মৃদু বাতাসে উড়ছে অন্নার খোঁলা কোকরানো অবাদ্ধ কেশ।তার প্রগাঢ় কাজলকালো নয়নে শুধু আকাঙ্খা, আকাঙ্খা অর্জুনদার আগমনের।

সময় পার হলো। পশ্চিম নীলাম্বরে অস্তগামী রক্তিম সূর্য। লাল আভায় নীলাভ আকাশটা লালচে রুপে সেজেছে। দিনের পাট চুকিয়ে নিগূঢ় তমসা নামলো ধরনীতে। মন্দিরের ঘন্টার শব্দ কানে আসছে। অন্নার বিষন্ন দৃষ্টিতে ক্লান্তির ছাপ। অপেক্ষা নামক তিক্ত অভিজ্ঞতা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। অন্তস্থলের তীক্ষ্ণ যন্ত্রণাটা ধীরগতিতে সমস্ত দেহে ছড়িয়ে পড়ছে। অর্জুনদা এলো না। সে সত্যি এলো না। অন্নার কাজলকালো নয়নজোড়া জ্বলছে, ভোঁতা হৃদয়টিকে উপেক্ষা করেই তাতে জমলো অভিমানী নোনাজল। অন্না কাঁদবে না, সে তো অর্জুনদাকে পাবার আশায় আসে নি। শুধু তাকে মনের সুপ্ত অভিলাষগুলো জানিয়েছিলো তবে কেনো তার হৃদয় হাহাকার করছে! কেনো তীক্ষ্ণ যন্ত্রণায় দম বন্ধ লাগছে! কেনো ভোঁতা হৃদয়টা বারংবার একটাই প্রশ্ন জপছে, “কেনো এলো না অর্জুনদা! সে তো কথা দিয়েছিলো যা চাইবো দিবে”। একপাক্ষীক ভালোবাসাটা কখনোই কষ্টকর ছিলো না অন্নার জন্য, কারণ সেখানে শুধু অবুঝ হৃদয়ের অকৃত্রিম প্রেমটুকুই ছিলো। কিন্তু আজ যখন সেই প্রেমের মাঝে আকাঙ্খার রঙ লেগেছে তখন এই অকৃত্রিম প্রেমের সাথে মিশে গেছে নীল বিষাদ। কেউ ঠিক বলেছিলো,
“প্রেম মানে সুখ নয়, বরং বিষাদ। বিষাক্ত নীল বিষাদ”

অন্না উঠে দাঁড়ালো। ক্লান্ত পা জোড়া চলতে চাইছে না। কিন্তু তার যে বাড়ি যেতে হবে। তাই অনিচ্ছা স্বত্তেও পা বাড়ালো বাড়ির পানে। মনের বিরুদ্ধে এই দু কদম পথটিকেও যেনো ক্রোশের মতো ঠেকছে অন্নার জন্য। তবুও তাকে যেতে যে হবেই_____

******

বাড়ির পুরানো লাল কেঁচি গেটের সম্মুখেই মুখোমুখি হলো অর্জুনের। অর্জুন কেবল বাহির থেকে বাসায় প্রবেশ করছিলো। অন্না কাতর চাহনীতে তাকিয়ে রইলো অর্জুনের দিকে। শ্যাম মুখখানা শক্ত হয়ে আছে। চোখ জোড়া রক্তিম। কপালের উপর পড়ে থাকা চুলগুলো ঘামে লেপ্টে আছে। অর্জুনদা অন্নার দিকে একপলক চাইলো। উদাসীন চাহনী, অন্নার সাথে চোখাচোখি হতেই সে দৃষ্টি সরিয়ে ভেতরে যাবার জন্য পা বাড়ালো। তখনই অধৈর্য্য কন্ঠে অন্না শুধালো,
“তুমি আসলে না কেনো অর্জুন দা?”

অর্জুনের পা থেমে গেলো। পেছনে ফিরে অবাক কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো,
“আমার কি কোথাও আসার কথা ছিলো?”
“তুমি চিঠি টা পড় নি?”

ভাঙ্গা কন্ঠে খুব কষ্টে কথাখানা বললো অন্না। অর্জুনের দৃষ্টির প্রখরতা বাড়লো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টির ধারে চি’রে যাচ্ছে অন্নার কিশোরী হৃদয়। অর্জুন দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। শক্ত কন্ঠে বললো,
“হারিয়ে গেছে”
“তুমি খামটা হারিয়ে ফেলেছো?”
“হ্যা, ফেলেছি”
“এতোটা ঠুঙ্কো আমার আবদার?”
“সেই কৈফিয়ত আমি তোমাকে দিবো না অন্নপূর্ণা। আমি কখনো কি করবো সেটা আমার কেবল আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, তুমি জোরপূর্বক আমার জীবনে প্রবেশ করেছো। ভুলে যেও না আমাদের সম্পর্কটা কেবল ই ভাড়াটে, বাড়িওয়ালার। বন্ধুর বোন হিসেবে আমি তোমাকে সহ্য করে এসেছি বলে সর্বদা তাই হবে এমনটা নয়। খাম দিয়েছো, হারিয়ে গেছে। যা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় তার খোঁজ আমি নেই না। তাই তোমার খামের খোঁজও নেই নি। পড়ে আছে হয়তো কোথাও।”

অর্জুনের কথা সর্বদাই শানিত, ধারালো। তবে আজ যেনো সেই ধারটা বেশি। অন্নার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সেই রক্তক্ষরণটা হয়তো অদৃশ্য। কিন্তু যন্ত্রণাটা অবর্ণনীয়। অন্না হাসলো, বিদ্রুপ মাখানো হাসি। টিটকারির স্বরে বললো,
“তাহলে কেনো কাছে এসেছিলে, কেনো অর্জুনদা? আমার একপাক্ষীক ভালোবাসাটা তো ভালোই ছিলো। কেনো স্বপ্ন দেখালে আমাকে? কেনো? লজ্জা করছে এখন আমার। নিজের উপর বিতৃষ্ণা লাগছে। কেনো করলে এমন? তোমার বিবেকে বাধলো না?”

চূর্ণবিচূর্ণ অন্নার আহাজারি শুনলো অর্জুন। তারপর ধীর স্বরে বললো,
“ভুল ছিলো, জ্বরের ঘোরের ভুল৷ তবে আমি একা দায়ী ছিলাম না অন্না, ভুলে যেও না প্রথম কদম তুমি বাড়িয়েছিলে”

অর্জুনের কথায় স্তব্দ হয়ে গেলো অন্না। এ কোন অর্জুনদা? নিজেকে বিশ্বাস হচ্ছে না অন্নার। এই অর্জুনদাকে তো সে চিনে না! এটা তার অর্জুনদা নয়। তীক্ষ্ণ স্বরে বললো,
“তুমি নিষ্ঠুর অর্জুনদা, তোমার অনুভূতিগুলো ম’রে গেছে। তোমার হৃদয়টা পাথর। নিষ্ঠুর তুমি”

বলেই ভেতরের দিকে পা বাড়ালো অন্না। একটিবার ও পিছনে ফিরলো না। অর্জুন তখন হাসলো। ম্লান হাসি। চোখে ভেসে উঠলো সহস্র বিষাদের ঢেউ। আনমনে বলল,
“যে হৃদয় ম’র’তে বসেছে সেই হৃদয়ে অনুভূতিরা ঠায় পাবে কি করে অন্না?”

*******
অর্জুনের সাথে অন্নার শীতলযুদ্ধটা অব্যাহত। অর্জুন রীতাদেবীকে জানিয়ে দিয়েছে সে অন্নাকে পড়াতে পারবে না। রীতাদেবী প্রথমে গাইগুই করলেন। বললেন,
“আর তো একটা মাস, এখন নতুন মাস্টার দেওয়া কি ভালো হবে?”
“কাকীমা আমার ও কিছু সমস্যা রয়েছে। জানেন ই তো আমার পরীক্ষা শেষ। এখন চাকরিবাকরি করবো। অন্নার কোর্স আমি কমপ্লিট করিয়ে দিয়েছি। এখন ও যদি একা একাও পড়ে হয়ে যাবে। আর দেব তো আছে। আর যদি তাতেও না হয় আমার একটা পরিচিত ছেলে আছে। ভালো পড়ায়”

রীতাদেবী আর যুক্তি পেলেন না। নিজের মেয়ের জন্য তো ছেলেটির ভবিষ্যত নষ্ট করা যায় না। অন্না শুনলো সবটুকুই আড়াল থেকে। কিন্তু টু শব্দ করলো না। সে বুঝলো অর্জুনদা সব চুকিয়ে দিতে চাচ্ছে। ভালোই তো! শুধু শুধু কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা সহ্য করবেই বা কেনো অন্না। মানুষটা পাষন্ড। পাষন্ড মানুষের মুখ দেখার চেয়ে সব চুকে বুকে যাক এটাই ভালো।

******

পড়ন্ত বিকেল, হুট করেই শীত পড়ে গেছে। অথচ এখন নভেম্বর মাস। বিকেলের দিক হলেই শীতল বাতাস বয়। লোমকুপেও প্রবেশ করে সেই বাতাস। ফলে মোড়ের দোকানে চায়ের ধোঁয়ার কুন্ডলিটা অনেক বেগেই উঠেছে। বহুদিন পর রবিন ভাই ও আড্ডায় বসেছেন। আজ তার মুখখানা উজ্জ্বল। তানি আপুর সাথে তার মিলমিশ হয়েছে। তানি আপু সকলকে হাজির বিরিয়ানিও খাইয়েছে। তাই যুবসমাজে অন্যরকম উদ্দ্যম দেখা গেলো। এর মাঝেই সেখানে উপস্থিত হলো অর্জুন। আজকাল অর্জুন আমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছে। তার দেখাই মিলে না। সে ওই বাড়ির ঘুপচিতেই থাকে। তানির দাওয়াতো যায় নি। দেব অনেকবার বলেছিলো। কিন্তু তার সময় নেই। রবিন ভাই তো ছাড়ার পাত্র নয়। অর্জুন আসতেই সে বলে উঠলো,
“কি ভায়া, খবর টবর কি? তোমাকে তো দেখাই যায় না”
“ব্যস্ত গো রবিন ভাই। কাজ থাকে”
“এতো কাজ যে তানির দাওয়াত ও নাও না?”
“ওমন ই কিছু”

ম্লান হেসে কথাটা বলে অর্জুন। কিন্তু রবিনভাই তো রবিন ভাই। সে তো ছাড়বার পাত্র নয়। ঠেস দিয়ে বললো,
“তা ব্যস্ততা কি ছাত্রীকে নিয়ে? শুনলাম তো তার পরীক্ষা?”
“ছাড়ো না রবিন ভাই। আর কথা নেই?”.

খানিকটা বিরক্তিভরা কন্ঠে কথাটা বললো অর্জুন। রবিন ভাই অর্জুনের কন্ঠের ধরনটা ধরতে পেলো। কেমন যেনো মিয়ে আছে সে। বিরক্তিগুলোর ধরন অন্যরকম। সাধারণত তার পিছনে লাগছে সে চেঁতে ঠিক কিন্তু তার মাঝেও আনন্দ থাকে। রবিন ভাই চুপ করে গেলেও প্রতীক নামলো না। সে ঠেস দিয়ে বললো,
” তুমি তলে তলে টেম্পু চালাচ্ছো আর কথা বলা যাবে না? এটা অন্যায় অর্জুন। দেবের বৌভাতে তো তোদের একসাথেই দেখলাম৷ স্বীকার করে নে অর্জুন। লুকোচুরি আর কতো?”
“কি বলিস তাই নাকি? এতোদূর? যাক এবার অর্জুন দেবদাসের ট্যাগ থেকে মুক্তু পাচ্ছে বল”

প্রতীকের কথা তাল মিলালো বিদ্যুৎ। অর্জুনের কথাগুলো বিষের মতো লাগছে। রবিন ভাই তাদের থামাতে চেষ্টা করলো বটে। কিন্তু কথা তো কথাই, সেই ধোঁয়া একবার উঠলে সে তো দমবার নয়। চায়ের দোকানের ধোঁয়ার সাথে উঠলো আবারো অর্জুনঅন্নার প্রেমকাহিনী। তবে সেটা ধীরে ধীরে প্রেমলীলার আখ্যা পেলো। সহ্যের ও বাঁধ থাকে। অর্জুনের সেই বাঁধ আজ ভাঙ্গলো। তাই তো চেঁচিয়ে উঠে বলল,
“থামবে তোমরা? এক কথা আর কত? তিন-চার মাস হয়ে গেছে এখনো সেই কথাতেই আটকে আছো কেনো? বিরক্ত লাগে। কি আমি আর অন্না? আমাদের মাঝে কিছু নেই। কিছু নেই। সম্মান করি বলে মাথায় উঠে নাচবে নাকি? আর অন্না! ও কি সত্যি যায় আমার সাথে? তোমার মনে হয় আমি ওর জন্য ছ্যাচরামি করবো? শুনে রাখো, মাথায় ঢুকিয়ে নাও আমি কখনো অন্নাকে ভালোবাসি নি। অন্নাকে আমার ভালো লাগে না। ও মিথ্যে বলেছে। ওর এই মিথ্যেকে আমি ছেলেমানুষী ভেবে এড়িয়ে গেছি কেবল। কিন্তু তোমরা সেটাকে হাওয়া দিয়েই যাচ্ছো। আর রবিন ভাই, শ্রদ্ধার জায়গায় তুমি। সেটাকে হারিয়ো না। এবার আমাকে ক্ষান্ত দাও। আমি বিরক্ত অন্নার সাথে জড়িয়ে”

কথাটা শেষ হবার আগেই সকলের দৃষ্টি টঙ্গের দক্ষিণ পাশে গেলো। সকলের দৃষ্টি অনুসরণ করে অপাশে তাকাতেই অর্জুন দেখলো অন্না দাঁড়িয়ে আছে। টলমলে চোখ, হতবিহ্বল মুখশ্রী। মেয়েটির ঠোঁট ঈষৎ কাঁপছে। কলেজ ড্রেস পড়ুয়া মেয়েটি ব্যাগ আঁকড়ে কিছু সময় দাঁড়ালো। অর্জুনের সাথে চোখাচোখি হতেই নরম গাল বেয়ে নেমে গেলো এক বিন্দু অশ্রু। তারপর সে ছুটে চলে গেলো বাড়ির দিকে। একটা সময় সেই সাদা ছায়াটুকুও মিলিয়ে গেলো। রবিন ভাই উঠে দাঁড়ালো। সবার চায়ের টাকা দিয়ে অর্জুনের কাঁধে হাত রেখে বললো,
“আজ একটু বেশি ই হয়ে গেলো। ক্ষমা করে দিও অর্জুন ভায়া”

অর্জুন দাঁড়িয়ে রইলো। তার ঠোঁট কাঁপছে। বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যাথা হচ্ছে। কিন্তু সেই ব্যাথার খোঁজ কি কেউ জানে!

****

অন্না সিলিং এর দিকে চেয়ে রয়েছে। নির্ঘুম কেটেছে সারা রাত। তার মলিন মুখখানা দেখে কৃষ্ণা বহুবার শুধিয়েছে। কিন্তু অন্না কিছু বলে নি। সে দু গাল ভাত খেয়েই ঘরে চলে এসেছে। ঘুমের জন্য চেষ্টা করেছে বহুবার। কিন্তু পারে নি। চোখ জোড়া জ্বলে, পাতাটা বুজতে চায় না। বুজলেই বুকের ব্যাথা বাড়ে। কখন রাত পেরিয়ে সকাল হলো টের পায় নি। গ্রিল গলিয়ে কোমল আলো প্রবেশ করছে কিন্তু সেই আলোটুকুও অন্নাকে ছুলো না। তার হুশ তখন ফিরলো যখন কৃষ্ণা ছূতে এসেছে কড়া নেড়ে বললো,
“অন্না, বের হ। অর্জুনদারা ঢাকা চলে যাচ্ছে। চিরতরের জন্য”

কথাটা কানে আসতেই নড়ে উঠলো অন্না। মস্তিষ্কের ভোঁতা নিউরণগুলো রেষারেষি করতে লাগলো। অন্না উঠে বসলো। উড়ণাটা বুকে জড়িয়ে ছুটলো সদরে। সদরের ফাঁক দিয়ে দেখলো অর্জুন তার ব্যাগটা তুলছে গাড়িতে। অর্জুন পেছনে তাকাতেই অন্নার সাথে চোখাচোখি হলো। অন্নার চোখ অশ্রুসিক্ত। অর্জুনদার ঠোঁটখানা মৃদু নড়লো। অন্নার কি বুঝতে ভুল হলো! কেনো মনে হলো, অর্জুনদা যেনো তাকে বললো,
“অপেক্ষা করিস”..……..

চলবে

মুশফিকা রহমান মৈথি