#আমার_ললিতা
#পর্ব:৭
#লেখা:সামিয়া_খান_প্রিয়া
“মেয়েদের সত্যিকারের সুখ কোথায় বলতে পারো?কাল আমার চাচী বলছিলেন শিক্ষিত হয়ে লাভ কী?যদি ডিভোর্স তকমা নিয়ে ঘুরতে হয়।আমিও ভাবলাম এতো পড়াশোনা করে না ঠিকঠাক চাকরি পাচ্ছি না ভালোভাবে সংসারটা করতে পারলাম।তাই তোমার সান্নিধ্যেতে এসেছি।”
ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করলো শাহিদা।যেখানে বড় বড় অক্ষরে বিজ্ঞাপন দেওয়া।বেলীর সামনে রেখে বলল,
” ভার্সিটি থেকে স্টুডেন্টদের এই কোম্পানি জবে নিচ্ছে।তুমি যদি একটু আমার কথা স্যারদের বলে দেখতে।”
“কিন্তু সেটা তুমি নিজেও করতে পারো শাহিদা।কারণ স্টুডেন্ট তুমি নিজেও।”
“শর্তে অবিবাহিত দেওয়া আছে।ভালো করে দেখো।”
বেলী পুনরায় কাগজটিতে চোখ বুলালো।বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘শুধুমাত্র অবিবাহিত নারীরা যোগাযোগ করবেন’।মুখটিকে ক্ষাণিকটা বিকৃত করে বলল,
“শুধু অবিবাহিত কেন?তারা কী মডেলের জন্য নিচ্ছে নাকী?জবটা যেন কীসের?”
“এসিসট্যান্ট হিসেবে নিবে।”
“সেক্ষেত্রে আমি কীভাবে সাহায্য করতে পারি শাহিদা?তাদের এমন মেয়ে লাগবে যারা অবিবাহিত।”
“যদি তুমি স্যারকে বলে দিতে।আর সে কোম্পানিকে?”
“আমি স্যারের বিশেষ কেউ নই।শুধু স্টুডেন্ট হওয়ার সুবাদে একটু স্নেহ করেন।এই আরকী।”
শাহিদার মুখবিবর তমসায় ছেয়ে গেলো।চাকরিটা দরকার ছিল অনেক।সে প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্ট হওয়ায় কোথাও কূল কিনারা পাচ্ছে না।স্বামী শখ করে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল।তা নয় মধ্যবিত্ত বাবা মায়ের এতোটা সামর্থ্য ছিলনা পড়ানোর জন্য।বান্ধুবীর পরিস্থিতি বুঝতে পারে বেলী।মুখে ভর্তি নুডুলস নিয়ে সে কিছু একটা ভাবছে।অনেকটা দ্বিধা নিয়ে বলল,
“চাকরিটা আমি করতে পারি।তুমি নাহয় আমার থেকে প্রত্যেকমাসে টাকাটা নিও।কিছু আমি রাখবো সময়ের দাম হিসেবে।যেহেতু সময় মাত্র ৫ ঘন্টা চাকরির।তো সমস্যা হবেনা আমার জন্য।”
“সত্যি তুমি করবে?”
“আমি বিশেষ মিথ্যা বলিনা।”
বাক্যটি বলে বৃথা হাসার চেষ্টা করলো বেলী।মনের ভেতর থেকে কোথাও কেউ বলে উঠছে কোনো দরকার ছিলনা অন্যের জন্য পরিশ্রম করার।কিন্তু চোখের সামনে বিষয়টি দেখে চুপ থাকবে এমন মেয়ে নয় সে।বিশেষ করে এখন শাহিদার মুখে যে খুশিটা দেখা যাচ্ছে তা দূর্লভ।অতীব দূর্লভ।
“যদি তুমি সত্যি চাকরিটা করো অনেক উপকার হবে আমার।এই টাকা আমি ফিরিয়ে দিবো যখন পড়াশোনা শেষ হবে তখন।প্রমিজ করছি।”
“কিন্তু তারা যদি চাকরিটা আমাকে না দেন?”
“সেটাও কথা।শুনলাম ভার্সিটি থেকে যেসব মেয়েরা গিয়েছে তারা প্রায় সবাই রিজেক্ট হয়েছে।”
“তার আমার মতোন অনন্য ছিলনা।এ কারণে রিজেক্ট হয়েছে।”
শাহিদা হেসে ফেললো বেলীর কথাটিতে।যদিও সে জানে মেয়েগুলোর রিজেক্ট হওয়ার কারণ।একজন তরুণ বসের অধীনে মূলত কাজ করতে হবে তাদের।ছেলেটি অহংকারী এবং প্রচুর কাঠখোট্টা মেজাজের।দেখতে সুন্দর অবশ্য।মেয়েদের সঙ্গে একাধারে মিষ্টি ভাষায় কথা বলে।অপরদিকে ভুল ধরে নাস্তানাবুদ করে।শাহিদা পূর্বেই একথা বেলীকে বলতে রাজী নয়।এতে যদি নৈতিকতার দিক থেকে সঠিক না হয় তবুও সে তোয়াক্কা করবেনা।
(***)
সকাল সকাল সুন্দর ও মার্জিত পোশাকে নিজেকে রাঙিয়ে নিলো বেলী।আয়নায় দেখে নিচ্ছে নিজেকে।মোটামুটি মানানসই ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে।মাকে পুরো বিষয়টি ব্যাখা করে জানিয়েছে সে।যদিও প্রথমে ঘোর আপত্তি ছিল।কিন্তু পরবর্তী মেয়ের মুখের দিকে তাঁকিয়ে না করতে পারেনি।সকালের খাবার খাওয়ায় সময় হয়নি।দ্রুত বের হতে হলো।পথিমধ্যে বেলীর দর্শন হলো তার ভাষ্যমতে পৃথিবীর সবথেকে খারাপ ব্যক্তিটার সাথে।সে অনল।দ্রুত নিজের গাড়ীতে গিয়ে বসে তা স্টার্ট দিলো।পরনের ফর্মাল পোশাক বলে দিচ্ছে সে অফিসের জন্য যাচ্ছে।উষ্ণ শ্বাস ফেললো মেয়েটি।নিজের মনকে বোঝালো আপাতত কথা বলার ক্ষেত্রেও অনলের সঙ্গে তার অবরোধ চলছে।এ পুরুষ পুরোপুরি রেড ফ্ল্যাগ।যাকে দেখলেই চোখ জ্বা’লা করে।
একটা রিক্সা নিয়ে অফিসের গন্তব্যে ছুটলো বেলী।মিনিট বিশেক পর সেটি বিশাল এক বিল্ডিং এর সামনে থামলো।নিজেকে ধাতস্থ করে নিলো মেয়েটা।ঈষৎ ভয়ে জর্জরিত অন্ত:করণ।রিসিপশনের বসে থাকা হাসিখুশি মেয়েটাকে শুধালো,
“আমি ইন্টারভিউ দিতে এসেছি।এই পোস্টে।”
কাগজটা দেখালো বেলী।মেয়েটিকে তাকে বলল,
“আপনি কী সত্যি অবিবাহিত?তবে সঙ্গে চলুন।বস কেবিনে আছেন।”
বেলী বিরক্ত হলে সম্মতি জানালো।রিসিপশনের মেয়েটি তাকে দোতালায় নিয়ে গেলো।একটি কক্ষের দরজায় শব্দ করে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি চাইলো।ভেতর থেলে সম্মতি দিলে বেলীকে নিয়ে ঢুকলো।
“স্যার, এই মেয়েটি এসেছে ইন্টারভিউ এর জন্য।”
অনল মাথা তুলে তাঁকালো বেলীর দিকে।একে অপরের দৃষ্টি বিনিময় হলো।মেয়েটির চোখে বিস্ময় চলছে।অপরদিকে পুরুষটি?ডান ভ্রু উঁচু করে বলল,
“কী ব্যাপার?আজকাল ললিতা আমার সঙ্গ ছাড়েনা?মিতা তুমি যেতে পারো।ইনি আমার ললিতা।কথাবার্তা বলে সব ঠিকঠাক করে নিবো আমি।”
রিসিপশনের মেয়েটির নাম মিতা।বসের এহেন কথায় সে অবাক হলেও চলে গেলো।ওদিকে বেলী?সে এখনও চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে বলল,
“এজন্য অনেকক্ষণ ধরে ভাবছিলাম দুনিয়াতে অনল ছাড়া আর কে এমন অবিবাহিত মেয়েদের খোঁজ করবে?আমার কপাল যে ম”‘র'”তে এখানে এসেছি।”
“ভুল মাই ললিতা।সত্যি হলো অনল বিবাহিত মেয়েদেরও দারুণ পছন্দ করে।”
চলবে।
#আমার_ললিতা
#পর্ব:৮
#লেখা:সামিয়া_খান_প্রিয়া
“বিবাহিত মেয়েদের পছন্দ করেন।তা আবার গলা উঁচু করে বলছেন?দারুণ লেজ কাঁ”টা শেয়াল তো।”
“আমি শেয়াল?আচ্ছা এটা ভাবতে গেলে তুমি কী?বনের সেই একঘেয়ে পাখিটা।যে সারাদিন বিরক্তিকর সুরে ডেকে চলেছে।”
“পাখির ডাক কখনো বিরক্তকর হয়না।আমি এখানে সেসবের তর্ক করবো না।এই অফিসে চাকরিটা করবো না।”
বেলী ফিরে যাচ্ছে।নিজেকে একবার বকে নিলো।কোনো প্রকার খোঁজ খবর না নিয়ে সে কেন এখানে চাকরির জন্য এলো?যেখানে স্পষ্টত অনুধাবন করা যাচ্ছে উপরের কর্মকতার নিয়ত খুব একটা সুবিধার নয়।ধরতে গেলে লেজ কাঁ”টা শেয়াল সে নিজে।বুদ্ধিমান ভাবতে গিয়ে চিরপরিচিত ধারাতে নাস্তানাবুদ হলো।ওদিকে অনল?তার সমুদ্রের অনুরুপ গভীর চোখে তাঁকিয়ে মেয়েটিকে দেখছে।প
অধরযুগলে তার সেই মনকাড়া হাসি।শৈল্পিকভাবে সৃষ্টি হাতের সাহায্য কলম দিয়ে কিছু একটা লিখছে।আশ্চর্যভাবে সে না দেখেও ঠিকঠাক লিখছে। দরজা খুলতে গিয়ে বেলী বিপদে পড়ে গেলো।যতো চেষ্টা করুক না কেন টান দেওয়ার লাভ হচ্ছে না।ভয়ংকর সুরে বলল,
“এ দরজা খুলবে কীভাবে?”
“দরজা ভালোবাসার মধুর বাক্যতে খুলবে ললিতা।তোমাকে দেখে এখন জেলখানার জল্লাদ মেয়েটার মতোন লাগছে।তবে একটা জিনিস নেই চোখে।গাঢ় মোটা করে কাজল।দিবে নাকী সেটা?কাজল আমার কাছে আছে।কালকে একটা মেয়ে রেখে গিয়েছিল।”
“রাখেন আপনার আজব কথা।দরজা খুলে দেন।”
“শান্ত হও।আমি খারাপ মানুষ নই।এখানে এসে বসো।পুরো বিষয়টি ব্যাখা করছি।”
অনলের কথা প্রথমবারের মতোন গুরুগম্ভীর শোনা গেলো।বেলী ভ্রু জোড়া কুঞ্চিত করে তার সামনে এসে বসলো।রুষ্ট কণ্ঠে পুনরায় বলল,
“বলুন।”
“বিবাহিত মেয়েদের আমি শখে জব দেইনা এমন নয়।আমার এই জব পার্ট টাইম হিসেবে ধরা চলে।কিন্তু কাজ কম নয়।যেহেতু আমি স্টুডেন্ট নিচ্ছি সেক্ষেত্রে তার পড়াশোনার ব্যাপার আছে।আবার আমার এখানে জব করে, পড়াশোনা করে সংসার সামলাবে এমনটা চাপের হয়।একদিক দিয়ে দেখতে গেলে যাকে নিলাম সে যদি না পারলো?”
“সেক্ষেত্রে আমার একজন ফ্রেন্ড আছে।সে ডিভোর্সি।তাকে জবে নিলে কী সমস্যা?”
“নাম কী?আমি সিভিটা দেখে বলতে পারবো।”
“শাহিদা।”
অনল ড্রয়ার থেকে সিভির কাগজটা বের করলো।কিছু একটা মনে পড়ায় বলল,
“তোমার এই ফ্রেন্ড অফার করা হয়েছিল অন্য আরেকটি পদের জন্য।একই বেতন।তবে সে যোগাযোগ করেনি।”
“আশ্চর্য আমাকে তবে কেন পাঠালো?এবং বলল সে অবিবাহিত শর্ত দেখে আর আপনাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।”
কিঞ্চিত বিস্মিত হওয়ায় বেলীর মুখটা গোলাকার হয়ে উঠলো।অনলের সেটি দেখে মনে হলো সদ্য গোলাপের কলি আশেপাশে পাপড়ি ছড়িয়ে দিলো।মৃদু কম্পন বোধ করলো সে শরীরে।শক্ত হাত দ্বারা কলম চেপে ধরলো।তার শক্তির ফলে যা ঈষৎ বেঁকে গেলো।মেয়েটির প্রতি ভীষণভাবে সে আকর্ষণবোধ করছে।
“আমি জানিনা তোমার ফ্রেন্ড মিথ্যা বলছে কেন।কিন্তু এতে ভালো হলো তোমাকে কিছুক্ষণ একা পাওয়া গেলো।”
“মজা করছেন?”
“এই সুন্দর মুখটা দেখে মজা করতে পারি ললিতা আমার।”
“আশ্চর্য।আপনি বুঝতে পারছেন না আমার মনের কথাগুলো।শাহিদা মিথ্যা বলার মেয়ে নয়।”
“কল করো।সরাসরি জিজ্ঞেসও করতে পারো।”
“এটা ঠিক হবে?”
“তুমি দেখতে পাচ্ছো একজন মুখের উপর মিথ্যা বলছে।তাহলে তাকে সেটা নিয়ে জিজ্ঞেস কেন করবে না?ফর্মালিটি কিংবা চক্ষুলজ্জায় সর্বদা বু্ঁদ থাকা ভালো বিষয় নয় ললিতা।নিজের বিষয়টা বলা শিখো।কল করো।আমি ই-মেইল পাঠিয়ে পুনরায় তোমার সাথে কথা বলছি।কিন্তু খেয়াল রাখবে আমি না চাইলে তুমি এখান থেকে বের হতে পারবেনা।”
বেলী পুনরায় আশ্চর্য হয়ে অনলকে দেখলো।তার কথার ধরণ পুরো বদলে গিয়েছে।যেখানে উপহাসের বিন্দুমাত্র অংশ নেই।অনল মগ্ন হয়ে ল্যাপটপে টাইপ করছে।কিছুটা বিড়ম্বনা নিয়ে কাউচে গিয়ে বসলো।শাহিদার নাম্বার ডায়াল করে কথা বলতে লাগলো।অনল একবারও তার দিকে তাঁকায়নি।অথচ সে কেন চোখ সরাতে পারছেনা?দীর্ঘ পনের মিনিট কথা বলার পর অনল ল্যাপটপ বন্ধ করে মেয়েটির দিকে তাঁকালো।
“কী বলল তোমার ফ্রেন্ড?”
“আপনার এক স্টাফের বিহেভিয়ার ভালো লাগেনি।এজন্য আমাকে ফোর্স করেছে।সত্যি বিষয়টা কোনো লজিকে পড়েনা।”
“একদম নয়।তোমার ফ্রেন্ড আমার সান্নিধ্যে চেয়েছিল তা সম্ভব না হওয়ায় জবটা করেনি।আল্টিমেটলি টাকার প্রয়োজন হলো এখন তোমাকে বলায় জনদরদী হয়ে এখানে চলে এলে।”
“নিজেকে একটু বেশী প্রায়োরিটি দিচ্ছেন আপনি।”
“দেওয়া উচিত।কারণ আমি অনন্য।”
বেলী হতাশ হয়ে গেলো।এ পুরুষটির সাথে কথা বলা দুস্কর।তবে একটি বিষয়ে সে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে যে জবটা করার তার দরকার নেই।কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে দ্রুত গতিতে বলল,
“ধন্যবাদ আপনাকে।যেহেতু আমার জবের দরকার নেই সেক্ষেত্রে আমাকে যেতে দিন।দরজা খুলুন।”
“তুমি চাইলে জবটা করতে পারো।”
“ইশ,এমনিতে আপনার লাইব্রেরি গোছাতে গিয়ে কম ঝামেলা লাগেনা।আবার জব করবো।”
অনল উঠে এলো চেয়ার থেকে।পুরুষটি দারুণ সুন্দর।শাহিদা যদি সত্যি তার সান্নিধ্যের আশায় থাকে তাহলে দোষের নেই।প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটছে অনল।ললাটে তার চিন্তার রেখা।বেলীর হঠাৎ জিজ্ঞেস করতে মন চাইলো সে ভাবছে কী?অত:পর দুজনে দরজার কাছে এলো।যেখানে প্রেমের কাল্পনিক সন্ধ্যা নেমেছে।বসন্তের বিশেষ সন্ধ্যা এটি।বেলীর ঠিক পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে অনল।দরজা এখনও খুলেনি।একটু ঝুঁকলো পুরুষটি।ফিসফিস করে মেয়েটির শরীরে কম্পন তুলিয়ে বলল,
Cheri, Cheri lady
Goin’ through emotion
Love is where you find it
Listen to your heart.
(***)
অনেকক্ষণ ধরে জানালার কাছটায় বসে আছে বেলী।এখন রাতের মধ্যিভাগ।চারিধারে সুনসান নীরবতা।এক কালে এহেন মন খারাপের রাতে বেলীর সেই পুরুষটির কথা মনে পড়ে যেতো।যে এখন দুনিয়াতে নেই।চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠতো।আহাজারি করে উঠতো মন।এখন সেসব হয়না বেলীর।সময়ের দেয়ালে এই অনুভতি চলে আড়ালে চলে গিয়েছে।কিন্তু মাঝেমধ্যে তার বাচ্চাটা কেমন দেখতে হয়েছে এটা বড্ড মন জানতে চায়।বেলী মাথা দুপাশ হেলিয়ে কথাটা ভাবা বাদ দিলো।এখন সে ভিন্ন কিছু ভাবছে।সেই ভাবনার নাম অনল।ল্যাপটপের মধ্যে “অনল দ্য ব্যাড বয়” নামক একটু ফাইল তৈরী করেছে।যেখানে সে এই পুরুষটিকে নিয়ে সব ফাইলগুলো জমা রাখবে।আজকের কথাতে মনে হয়েছে অনল যা নিজে দেখায় সে আদৌতে তা নয়।আবার যা ভাবছে বেলী সেটিও নয়।তবে কেমন?রহস্য?বেলী গোয়েন্দা গল্পের সেই সমাধানকারী চরিত্র হয়ে গেলো যেন।এখন সবথেকে বড় ধাঁধা তার নিকট অনল।ফেসবুক থেকে অনলের একটি ছবি সেইভ করে তা ডাটাতে যুক্ত করলো।বেলীর অধরযুগল বিস্তৃত হলো।ফিসফিস করে বলল,
“আমি আপনাকে গভীরভাবে জানবো অনল।আপনি অপ্রতিরোধ্য দেয়ালের অনুরূপ হয়ে উঠেছেন আমার কাছে।”
চলবে।