উন্মুক্ত লাইব্রেরী পর্ব-০৯

0
69

#উন্মুক্ত_লাইব্রেরী
লেখা – আয্যাহ সূচনা

৯.

অন্বেষার মুখশ্রীতে তীব্র অনুশোচনা।ভুলক্রমে একটি কান্ড ঘটিয়েছে।যার ফলস্বরুপ ব্যথায় কাতর বর্ণ। কঠিন মুখের আড়ালে যন্ত্রণা লুকাতে চাইলেও কিছুটা তাঁরার ন্যায় ফুটে উঠছে। মনস্তাপে পুড়ছে চিত্ত। করুণ দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো।ভুল বশত বর্ণের পায়ের গিরাতে আঘাত দিয়ে বসেছে অন্বেষা। বেখায়েলিতে,সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত।অনেকবার ক্ষমা চেয়েছে। তাতে বর্ণের তরফ থেকে তেমন কোনো জবাব আসেনি।মুখের গাম্ভীর্য ধরে দেখে পা তুলে বারবার হাত বুলাচ্ছে ব্যথা পাওয়া অংশে।অন্বেষা চেয়ে রইলো।স্বাভাবিক এর চেয়ে অনেকাংশে ফোলা বর্ণের পায়ের এই স্থানটা। সংশয় জাগলো।অনেকটা সময় পর প্রশ্ন করে,

“তোমার পায়ের এই অংশ এত ফুলে গেছে কি করে?ব্যথা দিয়েছি বলে?”

এক উত্তপ্ত শ্বাস ফেললো বর্ণ।মুখের ভঙ্গি স্বাভাবিক করে গুরুত্বহীন বললো,

“কি জানি”

অন্বেষা আরো ভালোভাবে দেখলো।নাহ!এই ফোলা অংশ মোটেও স্বাভাবিক নয়।ব্যথা পেলে কয়েক সেকেন্ডে এতটা ফুলে যাবে না!

“তোমার অস্বাভাবিক লাগছে না?”

বর্ণ বাঁকা চোখে চেয়ে বললো, “জ্বি নাহ!”

অন্বেষা ক্ষিপ্ত গলায় বলে, “হেঁয়ালি সব বিষয়ে ভালো দেখায় না”

বর্ণ ঠিক অন্বেষার সুরে জবাব দেয়, “তো কি করমু?তোমার মত পথে ঘাটে হাত পা ছড়ায়া কান্দাকাটি করমু?আজাইরা আজাইরা প্রশ্ন করো খালি।এই ফোলা আজকালকের না।সাত আটমাস হইবো।”

সাত আটমাস যাবত পা ফোলা নিয়ে বসে আছে।আবার গলা উচুঁ করে বলছে যেনো বিশ্বজয় করেছে। অন্বেষা ফের প্রশ্ন করে,

“ডাক্তার দেখাওনি?”

“হুম”

“কি বললো?”

“টিউমার হইছে।অপারেশন করবার কইছিলো।”

গোলগোল নেত্রজোড়া বিস্মিত চাহনিতে চেয়ে।ভয়ানক একটি কথা অবলীলায় বলে ফেলা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে অন্বেষা।

“তোমার কি মাথা খারাপ?বসে আছো কেনো এটা নিয়ে?অপারেশন করাওনি কেনো?”

বর্ণের তরফ থেকে আবারো হেঁয়ালি জবাব আসে,

“মন চায় নাই”

রেগে গেলো অন্বেষা। বিক্ষিপ্ত সুরে বললো,

“বাড়াবাড়ি হচ্ছে না নিজের জীবনের সাথে?এটা কি কোনো ছোটখাটো বিষয়?তোমার বেয়াড়া চালচলন।গুরুত্বহীন কথাবার্তা।বাউন্ডুলে জীবন এসব করে কি বুঝাতে চাও তুমি খুব স্মার্ট?তোমার কিচ্ছু যায় আসেনা?ছেলেখেলা না জীবনটা বর্ণ।”

বর্ণের এলোমেলো অগোছালো চুলগুলো কপালে এসে পড়ে আছে।মুখে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া নেই। অন্বেষার দিকে চেয়ে বললো,

“আমি বাঁইচা আছি! মরার মত কিছু হয়নাই।”

অল্পতে রেগে যাওয়া এবং সহানুভূতি দেখানোর প্রবণতা অন্বেষার প্রবল।তার বাবা জানিয়েছিলো তাকে তার এই স্বভাব সম্পর্কে।নয়তো কোথায় ছিলো তার বুঝবার মতো জ্ঞান?এই মুহূর্তে বর্ণের প্রতি মায়া এবং ক্রোধ দুটোই হচ্ছে।রাগকে সায় দিয়ে ঝাঁঝ মিশ্রিত স্বরে বললো,

“তুমি এখনই যাবে আবার ডাক্তারের কাছে।চলো আমিও সাথে যাবো।এখন পায়ের টিউমার কোন পর্যায়ে আছে সেটা জানতে হবে।তারপর বাকি চিকিৎসা।এক্ষণই উঠবে!কোনো টালবাহানা চলবে না!”

“নাহ”

“বললামতো কোনো টালবাহানা চলবে না।এক্ষুনি উঠে।ঢাকা মেডিকেলে যাবো।….চলো নাহয় ঘাড় ধরে নিয়ে যাবো”

“একবার না করছি?”

“নাটক দেখার সময় নেই কিন্তু আমার অফিস আছে!”

বলে উঠে দাঁড়ায় অন্বেষা।উদ্দেশ্য এখনই ডাক্তারের কাছে যাওয়া।তবে নাছোড়বান্দা বর্ণ।মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো তার মুহূর্তেই।এত অধিকারবোধ মিলিত গলার আওয়াজ জ্বালা ধরাচ্ছে শরীরে।আকস্মিক মনে হলো কেউ রাজত্ব করতে চাইছে তার উপর। দাঁড়িয়ে খেপাটে কণ্ঠে বলে,

“এতো দরদ দেহাইবা না।আমার শরীরে পোষায় না।কি তুমি?কে তুমি?আমার কিছু লাগো?আমার কিছু লাগো না যেহেতু আমার কোনো কিছু তোমার গায়ে লাগাইতে হইবো না।”

“আমি তোমার ভালোর জন্য বলেছি খারাপের জন্য বলিনি।এর জন্য তোমার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক থাকতে হবে কেনো?আমি মানুষ নই?”

বর্ণ বললো, “আমার ভালো চাই না তো আমি!তুমি কেঠা আমার ভালো চাওয়ার?….তুমি আমারে চিনো না মাইয়া!আমি খারাপ হইলে জঘন্য খারাপ!কিন্তু নিজের উপরে অনেক কন্ট্রোল আছে।এই কন্ট্রোল আছে দেইখাই তোমারে কিছু কই না।কারণ তুমি হইলা দুইদিনের মেহমান।কয়দিন পর বর্ণরে চিনবার পারবা না।না চিনলেও আমার কিচ্ছু যায় আহে না।যাও এদিক চক্ষের সামনে থিকা।ভুলেও চিন্তা কইরো না আমার উপরে জোর খাটাইতে পারবা”

অন্বেষা ঠোঁট শক্ত করে কামড়ে শুনেছে বর্ণের তিক্ত কথাগুলো।বর্ণের কথা শেষ হলে জবাবে বললো,

“কি নিষ্ঠুর!আমার কথার কি অর্থ দাঁড় করাচ্ছো?আমি জোর খাটাবো কেনো?কেনো একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে সাহায্য করতে পারেনা?”

বর্ণের চোখে মুখে ভিন্নরকম ক্রোধ। দাঁতে দাঁত পিষে বলে,

“আমারে পারেনা!শুক্কুর শুক্কুর আষ্টোদিন হইলো মাত্র আমারে চিনো।দরদ উতলায় পড়তাছে না?অধিকার খাটাইতে চাও?কি ভাবছো আমি সারাদিন এদিক ওদিক ঘুইরা বেড়াই দেইখা যা ইচ্ছা করায় নিতে পারবা?কারো দাসত্ব করার দুর্দিন আহে নাই বর্ণের!”

অপমানিত বোধ হলো,কিছুটা লজ্জিতও।উদ্দেশ্য মোটেও খারাপ ছিলো না অন্বেষার।বিনিময়ে কতগুলো কঠিন কথা শুনতে হলো।সহানুভূতিশীল এবং অল্পতে রেগে যাওয়া ছাড়াও যে অল্পতে ব্যথিত হওয়ার প্রবণতা আছে সেটাতো তার বাবা জানায়নি।জানালে বোধহয় নিজেকে শুধরে ফেলতো।এই মূহুর্তে খুব লজ্জাবোধ হচ্ছে।কোনো সম্পর্কে নয় বরং বর্ণকে একজন অগোছালো মানুষ হিসেবেই দেখতো সে।সমানুভবী চিত্তে সাহায্য করতে চেয়েছিলো তার। টিউমারতো চারটে খানি কথা নয়।বর্ণের আচরণে স্থান ত্যাগ করলো কোনো প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।অন্যদিকে বর্ণ তার রাগে অটল। অন্বেষার চলে যাওয়াতে তার মাঝে কোনো ফারাক দেখা যাচ্ছেনা।

______

চারদিন বাদে একটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছে।বর্ণ খুঁজে দিবে সেই আশায় বসে রয় নি।আর সে খুঁজেও দেয়নি।আগের বাড়িওয়ালা নিয়ম মাফিক তাকে দুইদিনেই ঘর ছাড়া করেছে।শুনেনি কোনো বারণ।বাধ্য হয়ে বাকি দুইদিন হলে কাটালো বান্ধবীর সহায়তায়। ঘর ছাড়ার পূর্বে আড়চোখে দেখে এসেছে ঝুমা আর রুম্পার মিটিমিটি হাসি।তারা আজ মহা খুশি। অন্বেষাও হেসেছে। হেসেছে নিজের মনের প্রশ্নে, ‘ কি এমন লাভ হলো তাকে বাড়ি ছাড়া করিয়ে?এইতো ক্ষণিকের সুখ।বরং সাথে থাকলে বেশি বেশি জ্বালাতে পারতো’ অতিরিক্ত চালাক হতে গিয়ে চিরদিনের সুখ হারানোর যথার্থ প্রমাণ।

বাড়ি দেখতে এসেছে অন্বেষা।সবশেষে তারও ঠাঁয় হলো পুরান ঢাকার ওলি গলিতে।একটার পর একটা ঠাসা বাড়িঘর। অন্বেষা ভিড়-ভাট্টায় থাকতে অপছন্দ করে।হল তার জন্য প্রযোজ্য না।হলের খাবারও তেমন পছন্দের নয়।সর্বহারা বলে সর্ব সুখ ত্যাগী হয়ে ঘুরবে সেটা তার চরিত্র বিরোধী।সাবলেট বাসা।চাওয়ার চেয়ে বহু অংশে ভালো পেলো।যদিও অনেক পুরোনো বাড়ি কিন্তু অন্বেষার আলাদা একটা ঘর হয়েছে সাথে নিজস্ব এক হাত সমান বারান্দা।বাড়িতে প্রবেশ করার পূর্বেই মুখ ঘুরিয়ে তাকালো। সন্ধ্যা নেমেছে গলিতে।একজন মানুষের অবয়ব দেখতে পেলো সেখানে।চিনতে ভুল করেনি সে।

একটু এগিয়ে গিয়ে বললো,

“সৌভিক ভাই!”

সৌভিক আধাঁর হতে আলোতে এসে দাঁড়ায়।কোনো জবাব দিলো না।অন্বেষা বললো,

“এভাবে কাউকে ফলো করা কি ভালো কাজ?আমি আপনাকে অনেকক্ষণ আগেই দেখেছি।কেনো এসেছেন?”

সৌভিক জবাব দিলো,

“পঁচা বস্তিতে কেন থাকবা তুমি?আমার সাথে আমার বাড়ি চলো”

“আপনার বাড়িতে আমি কেনো যাবো?”

“ঐটা তোমার ফুপুর বাড়ি”

“ফুপুর সম্পর্ক বাবার সাথে জড়িত।যেখানে বাবা নেই সেখানে ফুপুও নেই।”

সুস্বাস্থ্যের অধিকারী সৌভিক ছেলেটা।সাথে তেজি আর চরিত্রহীন বটে।লজ্জা হয় অন্বেষার একে ভাই বলেও পরিচয় দিতে।

“তুমি এত জলদি পর করে দিলা?”

“আপন ভাবিনি কখনো”

“তুমি আজকে আমার সাথে যাবে।তোমারে আমি এই কষ্টে দেখতে পারবো না”

“হঠাৎ এতো দরদ কেনো সৌভিক ভাই?প্রেমে পড়েছেন? সেটা আপনি অহরহ মেয়ের প্রেমেই পড়েন।অধিকার খাটাচ্ছেন?সেটা আপনার নেই।আসতে পারেন।”

সৌভিক রেগে গেলো। ক্রোধান্বিত হয়ে বললো,

“একা থাইকা চেটাং চেটাং কথা শিখছো।”

“চেটাং চেটাং ছোটবেলা থেকেই জানি।আপনারতো জানার কথা”

হুট করে অন্বেষার হাত চেপে ধরে সৌভিক।ধরে টানতে শুরু করে নিয়ে যাবে বলে। অন্বেষা অন্যহাতে সৌভিকের হাত খামচে ঘায়েল করার চেষ্টা করলো শুধু চেঁচামেচি করলে উল্টো তার চরিত্রেই দাগ লাগবে।শক্তিতে পেরে না উঠার এক পর্যায়ে অন্বেষা চেঁচিয়ে বলে,

“হাত ছাড় জানোয়ার এর বাচ্চা!”

ছাড়লো না বরং আর কষে চেপে ধরলো।জেসমিন আক্তার পাঠিয়েছে তাকে।ছেলের ব্রেইন ভালোভাবেই ওয়াশ করেছে।পুরুষালি হাতের জোর খাটিয়ে নিয়ে যেতে লাগলেই আবছা আঁধারে ডান চোপায় সজোড়ে মুষ্টিবদ্ধ হাতের ঘুষি উড়ে এসে পড়লো। ল্যাম্প পোস্টের আলো মুখে পড়তেই ঠোঁট গড়িয়ে তাজা রক্ত ঝরতে দেখা গেলো সৌভিকের ঠোঁট বেয়ে।ব্যথা পেয়েছে অনেকটা।মনে হচ্ছে কেউ মুখের হাড়সহ নাড়িয়ে তুলেছে।

“আমার মহল্লায়তো আমি এসব রঙ্গলীলা হইবার দিমু না।উহু!নেভার!”

মুষ্টিবদ্ধ হাত বুলাচ্ছে বর্ণ অন্য হাতে।নিয়ন আলোয় কালচে ত্বক ভয়ঙ্কর দেখালো।গোঁফের আড়ালে ধূসর ঠোঁটে সেই রহস্যময়ী হাসি।বর্ণ একবার অন্বেষার অবাক মুখের দিকে চায়।পরপর সৌভিকের দিকে চেয়ে বললো,

“কিরে ভোটকা! যাবি নাকি আরেকগালে দিয়া দুই চাপা সমান কইরা দিমু?”

সৌভিক থরথর কাপছে রাগ আর ব্যথায়। এখান থেকে চলে যেতে হবে সেটা ভাবছে না।বর্ণ মুখ কুচকে বলে,

“নাহ!একগাল চ্যাপ্টা আরেকগাল ভোটকা ঠিক মানাইতাছে না। আয় সাইজ করি!”

সৌভিক কিছুটা পিছু হটে যায়।বর্ণ এগিয়ে এসে তার কলারের পেছনের অংশ চেপে গলির মুখে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ছুঁড়ে ফেললো।কোমরে হাত দাঁড়িয়ে রইলো যেই অব্দি সৌভিক এলাকা ছাড়া না হয়।পিছু ফিরে আসে পাঁচ মিনিট পরে। অন্বেষার ফুলে বোম হয়ে থাকা মুখের দিকে তাকিয়ে আরেকদফা বিরক্ত হয়।

“জাদু টোনা জানো?”

সেদিনের অপমান ভুলেনি অন্বেষা।মুখে কুলুপ এঁটে দাঁড়িয়ে রয়।বর্ণ জবাব না পেয়ে বলে,

“কি সমস্যা!”

মুখ বন্ধ রেখেই শুকনো ঢোক গিলে অন্বেষা।বর্ণ ঘাড় বেঁকিয়ে দেখলো।চোখ নামিয়ে রাগে ফুঁসে যাচ্ছে।নাকের পাটা ফুলে উঠছে অল্পক্ষণের ব্যবধানে।গোলগাল গাল বেলুনের মত ফুলে।নড়চড় করছে না কোনো প্রকার।যদি রাগের ভার কমে যায়?বর্ণ চোখ বুঁজে হেসে ফেললো এমন রূপে।বললো,

“আমারে ফলো করতে করতে আমার মহল্লা পর্যন্ত পৌঁছায় গেছো?”

অন্বেষা এখনও নিরুত্তর।শক্ত এক মূর্তি।বর্ণ বলে,

“তুমি আমার জীবনে ঠাডার মত আয়া পড়ছো বুঝলা!এরচেয়ে বড় উদাহরণ কাঁঠালের আঠা।শালা এমন চিপকান চিপকাইছো যেদিকে যাই ওদিকেই তোমার চেহারা লইয়া তুমি হাজির।মতলব কি তোমার কওতো?”

গম্ভীর স্বরে জবাব দেয়, “আমি এখানে ঘর খালি পেয়েছি নিয়েছি।কাউকে ফলো করছি না আমি। শখও নেই।”

“আবার সিনেমার নায়িকাগো মত কাহিনী! জহর ভাত লাগে আমার এগুলি!”

“হু”

বর্ণের ইচ্ছে হলো পাশ থেকে ইট তুলে এনে হয়তো অন্বেষার কপালে মারুক নয়তো নিজের।এটা বিপদজনক ভেবে নিজের কপালে আঙ্গুল চালিয়ে ভাবলো কি করা যায়।অনেক সময় পর বলে উঠে,

“এই রাখো আমার নাম্বার।মহল্লায় কোনো ঝামেলা হইলে খালি একটা মিসড কল মারবা…”

থেমে আবার বললো, “ভাইবো না ভালো হইয়া গেছি।মানবতা দেখতে কেমন ওইটাই একটু ট্রায় কইরা দেখলাম….তুমি ভাইবো না তোমার প্রতি পিরিত দেহায় তোমারে বাঁচাইছি।আর আমার লগে ত্যাড়ামি কইরা লাভ নাই।আমি এইসব ত্যাড়ামির দ্বার দ্বারি না।সাপের মত গলায় পেঁচাইতাছো খালি।কবে জানি প্যাঁচ দিয়া মাইরা ফালাও!”

চলবে…