উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব-৩৫

0
9

#উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন
#পর্ব৩৫
#আফিয়া_আফরোজ_আহি

সায়াহ্নে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে আছে। আকাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মুষল ধারে বৃষ্টি নামবে। হলোও তাই। ক্ষনিকের ব্যাবধানে বৃষ্টি শুরু হলো। কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি। আসার পর থেকে শরীরটা কেমন যেন লাগছে। ম্যাচম্যাচ করছে, গাঁ গরম লাগছে, একের পর এক হাঁচি দিয়েই চলেছি। সর্দি মুছতে মুছতে সারা ঘর টিসুময় হয়ে গেছে। পুরো রুমে জুড়ে টিসুর ছড়াছড়ি। এসে ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় গাঁ এলিয়ে দিয়েছি। কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি সে খেয়াল নেই। ঘুম ভাঙলো শীত শীত অনুভব হওয়ার। হাতড়ে কম্বল না পেয়ে উঠতে হলো। উঠে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়েছি। সন্ধ্যা বেলায় নিচে আড্ডা বসেছে। রোশনি দুবার ডেকে গিয়েছে তবে আমি কোনো পাত্তা দেই নি। এখন বিছানায় শুয়ে শুয়ে আর ভালো লাগছে না। বিরক্ত লাগছে। উঠে ফ্রেশ হয়ে সুন্দর করে গাঁয়ে ওড়না জড়িয়ে নিলাম। নাহয় শীত করবে। নিচে নেমে দেখলাম এক সোফায় রোশনি, ইভা বসা। অপর পাশের সোফায় রৌশন, আদ্র ভাই, অভ্র ভাই বসা। সবাই গল্প করলেও আদ্র মহাশয় ফোনের ভিতর ডুবে আছে। আমি নিঃশব্দে যেয়ে ইভার পাশে বসে পড়লাম। একটু পড় ভাবি হাতে করে গরম গরম ভাজাপোড়া নিয়ে এলো। সবাই হামলে পড়লো ওগুলোর ওপর। আমি এক কোণে ঘাপটি মেরে পড়ে রয়েছি। ভাবি বলে উঠলো,
“কি হয়েছে রোদ? আজ এতো চুপচাপ যে? সারাদিন বাসায়ও ছিলে না। আসার পড় রুমে ঢুকে রইলে এখন এখানে এসেও এমন মন মরা হয়ে রয়েছো? কোনো সমস্যা?”

ভাবির কথা শুনে আদ্র ভাই ফোন থেকে চোখ তুলে তাকালেন। তির্যক চোখের চাহনি তার। উনাকে এভাবে তাকাতে দেখে ভরকে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে উঠলাম,
“না ভাবি, তেমন কিছু না”

“উহু ,কিছু তো একটা হয়েছে। চোখ গুলো কেমন লাল লাল লাগছে, নাকের ডগাও লাল হয়ে আছে। অসুস্থ তুমি?”

“সর্দি লেগেছে একটু এই আরকি”

সোফা থেকে উঠে রান্না ঘরের দিকে হাঁটা দিলাম। রান্না ঘরে আম্মু কাটাকুটি করছে আর বড় আম্মু রান্না করছে। আমাদের বাড়িতে হেল্পিং হ্যান্ড থাকলেও রান্না আম্মুরাই করে। কারন আমাদের বাড়ির কেউ মেইড দের হাতের রান্না খেতে পারিনা। বড় আম্মুর কাছে গিয়ে পিঠে মাথা ঠেকিয়ে মৃদু স্বরে বললাম,
“বড় আম্মু কড়া করে কফি বানিয়ে দাও তো মাথাটা ধরেছে”

বড় আম্মু বলল,
“একটু দাড়া আমি তরকারিতে ঝোল দিয়েই বানিয়ে দিচ্ছি”

আম্মু বলে উঠল,
“তুমি কেন বানিয়ে দিবে আপা? ওর হাত নেই ও বানিয়ে নিতে পারে না?”

“এভাবে বলছিস কেন মেঝ? মেয়েটা সারাদিন ঘুরে ফিরে নিশ্চই ক্লান্ত হয়ে গেছে তাই আমার কাছে আবদার করছে। এমনি সময় তো নিজেই বানিয়ে খায়”

ফের আমার উদ্দেশ্যে বলল,
“তুই একটু বস সোনা আমি বানিয়ে দিচ্ছি”

রান্নাঘরের কেবিনেট এর ওপর উঠে বসলাম। মাথা অসম্ভব ব্যথা করছে। দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে রেখেছি। বড় আম্মু কফি বানানোর মাঝে একবার আমায় দেখে নিয়ে বলে উঠলো,
“কি হয়েছে রোদ সোনা? মুখটা অমন শুকনো শুকনো লাগছে কেন? তার ওপর দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে রাখেছিস, শরীর বেশি খারাপ লাগছে? শরীর বেশি খারাপ লাগলে শুভ কে বলিস”

নাক টেনে বলে উঠলাম,
“তেমন কিছু না বড় আম্মু। মাথাটা ধরেছে আর সর্দি লেগেছে একটু”

বড় আম্মু কফি আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
“সারাদিনে ঘোরাঘুরির কারণে হয়তো এমন লাগছে। যা গিয়ে রেস্ট নে দেখবি ভালো লাগবে”

বড় আম্মুর কথার বিপরীতে মুচকি হাসি দিয়ে চলে এলাম। আড্ডায় না বসে কফি হাতে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালাম। সময় যতো যাচ্ছে শরীর ততই খারাপ লাগছে। কফি শেষ করে কম্বল গাঁয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম। বসে থাকার মতো শক্তি বা ইচ্ছে কোনোটাই নেই।

রাত বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরীরের তাপমাত্রা। সেই যে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়েছি আর উঠিনি। মাঝে রোশনি কয়েকবার ডেকে গেছে খাবার খাওয়ার জন্য আমি না করে দিয়েছি। বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তি পাচ্ছি না। জ্বরের প্রকোপে গাঁ জ্বলছে রীতিমতো। একটু পড়ে আবার দরজার ঠক ঠক শব্দ হলো। কোনো উত্তর দিলাম না। কিন্তু অনবরত দরজা ধাক্কানোতে শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারছি না। কানের কাছে অস্ফুস্ট স্বরে কারো ডাক ভেসে আসছে। কোনোরকম উঠে দরজা খুলে দিয়ে ধুপ করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। খানিকক্ষণ পড়ে কপালে কারো হাতের স্পর্শ অনুভব হচ্ছে। সামনের মানুষটা কপালে হাতে রেখে শিউরে উঠলো। কানে অস্পষ্ট স্বরে তার কিছু কথা ভেসে এলো। তারপর আর কিছু মনে নেই।
——-

চোখ পিটপিট করে খুলে নিজেকে কারো বাহুবন্ধনে আবিষ্কার করলাম। চোখের সামনে কারো উন্মুক্ত বুকের দৃশ্য ভেসে এলো। শিউরে উঠলাম। তড়িঘড়ি করে মানুষটার মুখের দিকে তাকালাম। মানুষটার মুখ দেখে মনটা শান্ত হয়ে গেল। আমার একমাত্র বর মশাই। ওনাকে দেখে লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। আশেপাশে তাকিয়ে নিজের অবস্থান দেখার চেষ্টা করছি। নাহ, আমি তো আমার ঘরেই আছি। কিন্তু আদ্র ভাই আমার রুমে? উনি আমার রুমে কখন এলো?
আদ্র ভাই আমায় নিজের সাথে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। দেখে মনে হচ্ছে আমায় ছেড়ে দিলেই বোধ হয় হারিয়ে যাবো। কি সুন্দর করে ঘুমিয়ে আছে মানুষটা। উনার ঘন চোখের পাঁপড়ি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। মুখের ওপর কিছু এলোমেলো চুল পড়ে রয়েছে। হাতে বাড়িয়ে সেগুলো পিছনে সরিয়ে দিলাম। মাথায় দুস্টু বুদ্ধি চেপে বসলো। চুল গুলো এলোমেলো করে দিলাম, দুই হাত দিয়ে দুই গাল টেনে দিলাম। মহাশয়ের তাও ঘুম ভাঙার নাম নেই। বুকের মাঝে আঁকিবুকি করা শুরু করলাম। উনি খানিকটা বিরক্ত হয়ে হাতে সরিয়ে দিলেন। তবে উঠলেন না। আমি ফের তাকে জ্বালাতে শুরু করলাম। আমার হাতে উনার হাত দিয়ে চেপে ধরে ঘুমু ঘুমু কণ্ঠে বলে উঠলো,
“রৌদ্রময়ী ডিসটার্ব করিস না। ঘুমাতে দে। এমনিতেই রাতে ঘুমাতে পারিনি”

কথাটা বলে আমায় সাপের মতো পেঁচিয়ে ধরলো। নিজের কাছে নিজেকে কেমন কোলবালিশ কোলবালিশ মনে হচ্ছে। উনি যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে পেঁচিয়ে ধরছেন। মনের মাঝে প্রজাপতি উড়ছে, অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। এই প্রথম উনি আমার কতটা কাছে। শিরদাড়া বেয়ে শীতলতা ছেয়ে যাচ্ছে। একা একা ভালো লাগছে না। আর এভাবে শান্ত থাকার মেয়ে তো আমি না। এবার উনার খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি ধরে টানা শুরু করলাম। আমার অত্যাচারে টিকতে না পেরে উনি চোখ মেললেন। আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে নিজের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করলেন। অতঃপর কপালে ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিলেন। মৃদু স্বরে বলে উঠলো,
“শুভ সকালে মিসেস চৌধুরী”

“শুভ সকাল আদ্র ভাই”

হুট্ করে উনি অধরে অধর মিলিয়ে দিলেন। কি হলো কিছুই বুঝতে পারলাম না। খানিক্ষণ পড় সরে গিয়ে কিছুটা ধমকের স্বরে বলল,
“আর একবার ভাই বললে এর চেয়েও ভয়ংকর কিছু হবে। এটা তো মাত্র ট্রেলার”

আমি হতচকিয়ে গেলাম উনার কথা শুনে। ঢোক গিললাম। উনি মুখে হাসি ফুটিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“এখন শরীর কেমন আছে জান? জ্বর কমেছে?দেখি”

বলতে বলতে কপালে হাত দিয়ে জ্বর দেখছে। আমি বেক্কেল হয়ে উনাকে দেখছি। এই কি আমার সেই আগের আদ্র ভাই? উহু, আমার আদ্র ভাই তো এতটা বেশরম ছিলো না। এই মানুষটা দিনদিন অ*সভ্য আর বেহায়া হয়ে যাচ্ছে। কথাবার্তার ধরণও পরিবর্তন হচ্ছে। উনি কি বোঝে না যে ওনার এমন বেলাজ মার্কা কথা আমায় লজ্জা দেয়। উনাকে ভাই বলবো না তো কি বলবো? ছোটো বেলার অভ্যাস চাইলেই কি এতো সহজে পরিবর্তন করা যায়। আমায় ভাবুক হয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
“কি এতো ভাবছেন ভাবনার রানী?”

“ভাবছ তোমায় ভাই বলে ডাকবো না তো কি বলে ডাকব?”

উনি ভ্রু কুঁচকে বললেন,
“এতো ভাবাভাবির কি আছে? নাম ধরে ডাকবি”

“আমি পারব না আমার লজ্জা লাগবে। আর সেই ছোটো বেলা থেকে ভাই ডেকে আসছি চাইলেই কি তা হুট্ করে পরিবর্তন করা যায়?”

“পরিবর্তন না হলে তার বিকল্প পদ্ধতি আছে আমার কাছে”

“কি সেটা?”

“এইযে একটু আগে দেখালাম”

উনার কথা শুনে লজ্জা পেলাম। এই লোকটা কি আজ আমায় শুধু লজ্জা দিতেই থাকবে? উনি জানে আমি উনার এমন কথায় লজ্জা পাই তাও তাকে এগুলোই বলতে হবে। আদ্র ভা…বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। এখন আর ভাই বলা যাবে না।
“তুমি আমার রুমে আমার বিছানায় কি করছিলে? আর তুমি আমার রুমে এলেই বা কখন? আমি তো দেখলাম না”

“বউকে আদর করতে এসেছিলাম, স্টুপিড। দেখবি কি করে? জ্বরের ঘোরে ম*রার মতো পড়ে থাকলে আমি না কে এসেছে দেখবি কি করে? সেইটা হুস ছিলো তোর? বারবার করে বলেছিলাম বৃষ্টিতে ভিজিস না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সারারাত জ্বরে ভুগেছিস, আমায় জ্বালিয়েছিস, এখন শান্তি লাগছে?”

“তোমায় জ্বালিয়েছি মানে?”

“রাতে দরজার খুলে দিয়ে যে চিৎপটাং হয়েছিস তারপর কি হয়েছে সেই খেয়াল আছে?”

মাথায় দুদিকে নাড়িয়ে ‘না’ বোঝালাম। উনি আবার বলা শুরু করলেন,
“তোর কপালে হাতে দিয়েই আঁতকে গিয়েছি। কি তাপ শরীরে। মনে চ্ছে আমার হাত টাই পুড়ে যাচ্চিলো। বড় মা, মেঝ মাকে ডেকে নিয়ে এলাম। বড় আম্মু তোর শরীর মুছিয়ে দিয়েছে তাও জ্বর কমার নাম নেই। শুভ ভাইকে ডেকে নিয়ে এলাম।জ্বর মেপে দেখল ১০৩ ডিগ্রি জ্বর। ভাইয়া বলল কিছু খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিতে। তোর হুস নেই। কোনো রকমে গাল চেপে একটু খাওয়াতেই বাহানা আর খাবি না। তাই খাওয়ানো বাদ দিয়ে ওষুধ খাইয়ে দিয়েছিলাম। পাশে বসে মাথায় পানি ঢালছি হুট্ করে”

“বমি করে দিয়েছি?”

“জি। পেটে যা ছিলো সব আমার কোলে উগলে দিয়েছেন। বড় মা কে কাছে রেখে ড্রেস চেঞ্জ করে আবার মাথায় পানি দেওয়া শুরু করলাম। কিন্ত জ্বর কমাকমির নাম নেই। মেঝ মা একটু পর পর হাত পা মুছে দিচ্ছিলো। ফের জোর করে খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি। এবার আর কিছু হলো না। রাত তখন দুইটা বাজে। বড় মা, আর মেঝ মাকে পাঠিয়ে দিলাম। ওরা যেতে চায়নি আমিই জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপর তোর পাশে বসে জলপট্টি দেওয়া শুরু করলাম। হটাৎ খেয়াল করলাম তুই শীতে কাঁপছিস। কম্বল গাঁয়ে থাকার পড়েও। আমার রুমের কম্বল এনে তোর গাঁয়ে দিলাম তারপরও তোর কাঁপাকাঁপি কমেনি। তখন কিছু না ভেবে টিশার্ট খুলে তোর পাশে শুয়ে পড়লাম। জড়িয়ে নিলাম তোকে বুকে। আমার শরীরের উষ্ণতায় ধীরে ধীরে তোর কাঁপুনি কমে গেল। তবে তোর শরীরে তাপে আমি সিদ্ধ হয়ে গেছি। কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছি আমি নিজেও জানি না। এই হলো ঘটনা মেডাম”

বলে নাক টেনে দিলো। বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেল। আমি বসে বসে ভাবছি সারারাত মানুষটাকে এতটা জ্বালিয়েছি আবার সকালে বেলাও ঘুমাতে দেই নি। তাও কি সুন্দর উনি আমার ওপর বিরক্ত না হয়ে আমি ঠিক আছি কিনা সে খেয়াল রাখছে। উনাকে পেয়ে সত্যিই আমি ভাগ্যবতী। প্রতিটা মেয়ে তো এমন জীবন সঙ্গীই চায়। আর আমি তাকে পেয়ে গেছি আমার করে। উনি আমার, শুধু আমার। আদ্র ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বলল,
“তুই ফ্রেশ হতে যা আমি খাবার নিয়ে আসছি”

আদ্র চলে গেলো। আমিও উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় বসে পা দোলাচ্ছি। এমন সময় খাবার হাতে আদ্র রুমে ঢুকলো। খাবার গুলো বিছানার পাশে টেবিলে রেখে আমার পাশে বসলো। মুখের সামনে খাবার ধরে বলল,
“হা কর”

“আমায় দেও। আমি নিজের হাতে খেতে পারবো”

আদ্র এমন চোখ রাঙিয়ে তাকালো উনার চোখ রাঙানো দেখে ভদ্র মেয়ের মতো হা করলাম। উনি খাইয়ে দিচ্ছে আমি বসে বসে খাচ্ছি। খাওয়ানো শেষে ওষুধ খাইয়ে দিলো। আমি বিছানা থেকে নামতে যাবো তার কঠোর স্বর,
“বিছানা থেকে নামলে পা ভেঙ্গে রেখে দিবো। আমি নিচে যাচ্ছি। খেয়ে আসবো। এসে যদি দেখি বিছানা থেকে নেমে টই টই করছিস তাহলে খবর আছে”

উনি চলে গেলেন। আমি বিছানায় বসে বসে ফোন চালাচ্ছি। কিছুক্ষণ পড় রুমে এসে ধপাস করে আমার পাশে বিছানায় শুয়ে পড়লো। আমি ওনার চুলগুলো এলোমেলো করে দিলাম। আচমকা উনি আমার ওপর ভর করে চোখে চোখ রেখে বলে উঠলো,
“সারারাত নিজে পুড়েছিস জ্বরের তাপে, আমায় পুড়িয়েছিস ভালোবাসার অনলে। এখন তোর নিস্তার নেই রৌদ্রময়ী”

#চলবে?