#এক_শ্রাবণ_হাওয়ায়
#লেখিকা – কায়ানাত আফরিন
#পর্ব – ১২
আনভীর রুমের দরজাটা সশব্দে লাগাতেই আমি কেঁপে উঠলাম।শার্টের ওপরের দুটো বোতাম খুলতে খুলতে গহীন চোখে তাকান আমার দিকে। উনি আজ ভয়ঙ্কর রেগে আছেন। নিঃশ্বাস ফেলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন বারবার। আমি বুঝে উঠতে পারছি না এমন কি ভুল করলাম যে ধ্রুব ভাইয়ার সামনেই উনি আমার হাত টেনে এভাবে রুমে নিয়ে আসলেন?আমি এবার সাহস জুগিয়ে বলে ফেললাম,
-‘আমি এমন কি করলাম যে আপনি এমন রেগে আছেন?’
আর এই কথাটি জিজ্ঞেস করাটাই ছিলো আমার হয়তো বিশাল একটা ভুল। উনি এবার তুখর চোখে আমাতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেই তেড়ে আসলেন আমার দিকে। তারপর আমার দু’কাধে নিজের হাত এমন ভাবেই খামচে ধরলেন যে ভারে বোধহয় আমার কাধঁ ছিড়ে যাবে। উনি দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
-‘ফোন কোথায় তোমার?’
-‘জ্বী?’
-‘বাংলা বুঝো না? হোয়ার ইজ ইউর ফোন আহি?’
শেষের কথাটি জোরে বলাতে ভয়ে বুকে ধুকপুক ধুকপুক করছে আমার। আমি কাপাঁকাপা হাতে ব্যাগ থেকে মোবাইলটা দিতেই উনি আমার কাধঁ ছেড়ে মোবাইলটা নিলেন। আমি মনে মনে আল্লাহকে ডেকে চলছি এবার। উনি আবার কড়া চোখে তাকালেন আমার দিকে। তারপর বললেন,
-‘লাইক সিরিয়াসলি? তুমি এখনও আমার ফোন নম্বর সেভ করোনি?’
আমি চুপ করে রইলাম এবার। উনি উনার কালো চলগুলো পেছনে ঠেলে দিয়ে বলে ওঠলেন,
-‘তাইতো বলি, আমি বারবার তোমায় কল দিয়ে যাচ্ছি তুমি কল না ধরে কাটছো কেনো?ওই ধ্রুবের সাথে ঘুরছিলে? তো কোথায় কোথায় ঘুরেছো একটু শুনি?’
আমার আত্না শুকিয়ে যাচ্ছে।কোনোমতে বললাম,
-‘প্রথমত, ধ্রুব ভাইয়ার সাথে জাস্ট ২০ মিনিটের মতো পার্কে একটু হাটাঁহাটি করেছি আর কল যে আপনি দিচ্ছিলেন ওটা আমি বুঝতে পারিনি। কারন আমি আননোন নাম্বার রিসিভ করি না।’
আনভীর দাঁত দাঁত চেপে বললেন,
-‘ফাইন। এখন চুপচাপ আমার নাম্বার সেভ করো।’
উনার কথার ধরণ দেখে তাড়াতাড়ি মোবাইল নিয়ে উনার নাম্বার সেভ করে নিলাম ‘হিটলার বর’ নামে। আসলেই তো একটা হিটলার। নিজেই নিজের বরের এমন একটা নামকরণ করতে পেরেছি দেখে শান্তি লাগছে অনেক। আমি ‘নাম্বার সেভ করেছি’ বলে আস্তে করে সরে আসতেই উনি হঠাৎ থামিয়ে দিলেেন আমায়। ধীর পায়ে এগিয়ে আসতে থাকলেন আমার দিকে। উনি যতই এগোচ্ছেন ততই পিছাচ্ছি আমি। আনভীরের চোখে এখনও রাগের আভাস। শার্টের ওপরের দুটো বোতাম তো আগেই খুলছিলেন এখন বাকিগুলোও খুলতে লাগলেন। আমার নিঃশ্বাস এবার বের হয়ে আসছে। একপর্যায়ে দেয়ালে মিশে গেলাম আমি। উনি আরও দু’কদম আগাতেই কিছু একটা ভেবে থেমে গেলেন। তারপর আমার দু’পাশে হাত রেখে আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই আমি থমকে গেলাম। এখন তো সরে যাওয়ার মতোই চান্স নেই। কিন্ত আমি এবার ভয় পাবো না। আমার ভুলে গেলে চলবে না যে এই মানুষটা ঠিক কি হারে কষ্ট দিয়েছে আমায়। আনভীর বলে ওঠলেন ,
-‘তোমায় না বলেছিলাম ধ্রুবের সাথে পড়াশোনা ছাড়া বেশি কথা বলতে না?তাহলে কোন সাহসে আমার কথা অমাণ্য করে ওর সাথে পার্কে গিয়েছো তুমি?’
আমি যথাসম্ভব শান্ত রাখলাম নিজেকে। বললাম,
-‘আমার ইচ্ছে হয়েছি আমি গিয়েছি। আর ধ্রুব তো আপনারই ফ্রেন্ড। তাহলে এত ইনসিকিউর ফীল করছেন কেন?’
-‘কে বলেছে ধ্রুব আমার ফ্রেন্ড? ও জাস্ট আমার ক্লাসমেট। নাথিং এলস। আর আমি চাইনা যে আমার জিনিসে ও বেশি হাত বাড়াক।’
আনভীরের এ কথাগুলো শুনেই আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম। উনি কি আদৌ আমায় নিজের কাছের কেউ মনে করেন?আমি তপ্তশ্বাস ফেললাম এবার। উনার দিকে গহীন চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করলাম,
-‘এই না বলেন যে আমি আপনার চুক্তিবদ্ধ বউ। তাহলে এত পজেসিভ হচ্ছেন কেনো আমায় নিয়ে?’
-‘এগ্রিমেন্টের সাথে এই ব্যাপারের কোনো মানে নেই আহি।’
আমি উনাকে সজোরে ধাক্কা মারলাম এবার। কোনোমতে নিজেকে সালে বললাম,
-‘তাহলে কোনটা এগ্রিমেন্ট এর সাথে যায় মিঃ আনভীর? আমায় একবার বলুন তো কেনো আপনি আমায় এভাবে পাগল বানাচ্ছেন? একবার আপনি বলেন যে আমি জাস্ট আপনার এগ্রিমেন্ট ছাড়া আর কিছুই না । তাই আমি কখনোই আপনার ব্যাপারে মাথা ঘামাতে পারবো না। আমি আপনার এই কথাটি রেখেছিলাম। আর আপনি? একবার বলেন সেদিনকার আপনার ইগো হারানোর জন্য আমায় ঘৃণা করেন আপনি। তাহলে কেনো এত দরদ আমার জন্য? কেন আপনি আমার ওপর জোর খাটাবেন? কেনো আমার জ্বর হলে আপনি অস্থির হয়ে পড়বেন?কোনো জবাব আছে?’
আনভীর কিছু না বলে পকেটে হাত ঢুকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমি আবার বললাম,
-‘আমার যা ইচ্ছে আমি তাই করবো। আপনি যেহেতু আমায় এগ্রিমেন্ট ছাড়া আর কিছুই মনে করেননা তাহলে আপনার কোনো রাইট নেই আমার ওপর জোর খাটানোর। এতদিন আপনি যা বলেছন , সব আমি শুনেছি। এখন থেকে আমি যা বলবো, তাও আপনাকে মানতে হবে। যান, ছয় মাস হওয়ার আগেই আমি আপনাকে দায়মুক্ত করে দিলাম।’
বলেই থামলাম আমি। অদ্ভুতভাবে আনভীর এখনও কিছু বললেন না। আমি নিজের এত সাহস দেখে নিজেই বেশ অবাক হলাম। এগুলো সত্যিই আমি বলেছি? যাক, বলে ভালোলাগছে। আমি এবার এখান থেকে চলে যেতেই উনি আমার হাতের কব্জি চেপে একটানে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আসলেন আমায়। হঠাৎ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আমি নিস্তব্ধ। কোনোমতে মোচড়ামুচড়ি করে উনার বন্ধন থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করতেই উনি নিজের বলিষ্ঠ হাত দিয়ে আমার কোমড় আকড়ে ধরলেন। আমি এবার যেন পাথর হয়ে গিয়েছি। শরীরে অদ্ভুত কাপুঁনি জেঁকে বসেছে যেন। উনি মৃদুগলায় বললেন,
-‘তো কি বললে তখন?আমি যেহেতু এগ্রিমেন্ট ছাড়া তোমায় আর কিছু মনে করিনা তাই আমার কোনো রাইট নেই তোমার ওপর? লিসেন আহি, একটা কাগজের ওপর ভিত্তি করে হলেও লিগ্যালি তুমি আমার ওয়াইফ। এসব প্রেম-ভালোবাসা আমার কাছে আশা করোনা, তবে তোমার প্রতি আমার দায়িত্ব আমি কখনোই হেলফেল করবোনা। আর একটা কাগজের ওপর ভিত্তি করে হলেও তুমি শুধু আমার আহি। তিন কবুলের মাধ্যমে বিয়ে করেছি তোমায়। আর আমার জিনিসে কারও হাত বাড়ানোটা আমি সহ্য করতে পারিনা। আর তুমিতো নিতান্তই আমার মানুষ। তাহলে তোমার দিকে হাত বাড়ানোটা কিভাবে সহ্য করবো আমি?’
উনার উষ্ণ নিঃশ্বাস আমার মুখে পড়ে অদ্ভুত শিহরণ জাগিয়ে তুলছে। তার থেকেও বেশি সাড়া জাগাচ্ছে মানুষটার আড়ষ্ট কথাবার্তাগুলো। আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই উনি বলে ওঠলেন,
-‘এসব কথা বাদ দাও। সামনে মেডিক্যাল এডমিশন টেস্ট দিবে ,সেটাতে মনোযোগ দাও। আর নেক্সট টাইম যেন ধ্রুবর সাথে পড়ালেখার বাহিরে কোনো কথা বলতে না শুনি।’
বলেই আনভীর আমায় ছেড়ে দিলেন এবার। আমি দ্রুতপায়ে রুম ত্যাগ করলাম। উনার সাথে আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো অস্বস্তির জন্য আমি মরেই যাবো।
____________________
সেই বিকেলে পড়তে বসেছি আমি, এখন সন্ধ্যা হয়ে গেলো ; অথচ পড়া থেকে আমার যেন নিস্তার নেই। আমি বসে বসে গাইডবুকের সবগুলো অবজেকটিভের এন্সার করে যাচ্ছি অথচ পাশে বসা মানুষটি একদন্ডও আমার বিরক্তিতে নজর দিলো না। প্রায় দশমিনিট পর উনি তীক্ষ্ণ কন্ঠে বললেন,
-‘সবগুলো সল্ভ করেছো।’
আমি মাথানাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম। উনি তারপর সেগুলো চেক করেই আমার দিকে কড়া দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। গর্জে বললেন,
-‘এই অবস্থা কেনো আহি? তোমায় ১০০টা MCQ করতে বলেছি যার মধ্যে ২৫ টাই ভুল। তাহলে তখন যে পড়াগুলো তোমায় এতক্ষণ পড়তে বললাম পুরো টাইমটাই ওয়েস্ট হলো?’
আমি মিহিভাবে বললাম, ‘৭৫ আমার জন্য অনেক কিছু বুঝেছেন? তাছাড়া একটু আধটু তো ভুল হবেই। আপনি এমন করছেন কেনো?’
আনভীর ভ্রু কুচকালেন আমার কথা শুনে।চশমার ফাকা দিয়ে উনার রাগী চোখের দিকে আমার তাকানোর সাহস নেই বলে মাথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিলাম। উনি ঠোঁটচেপে বললেন,
-‘এমন গতিতে পড়লে তুমি মেডিক্যালে চান্স পেলেও ঢাকা মেডিক্যালে পড়তে পারবে কি-না তা আল্লাহই জানে। বাংলাদেশে তোমার মার্কিং এর এমন হাজার হাজার স্টুডেন্ট আছে। আর ঢাকা মেডিক্যালে অলমোস্ট টপ স্টুডেন্টরাই ঢুকতে পারবে। আর তোমার এটা হলো এভারেজ নাম্বার। তাই তোমার আরও ইমপ্রুভ করতে হবে। বুঝেছো?’
-‘হ্যাঁ।’
-‘গুড । তাহলে এখন বারান্দায় যাও। ১৫ মিনিটের ব্রেক দিলাম। একটু রিলেক্স হয়ে আসো।’
আমি সম্মতি জানিয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে বারান্দায় গেলাম এখন। বাইরে অন্ধকার নেমে এসেছে। অন্যান্য এপার্টমেন্টের বিল্ডিংয়ে তারার মতো জ্বলজ্বল করছে আলোগুলি। আমি রেলিংয়ে হাত দিয়ে উপভোগ করছি নগরায়নের এই অনন্য সৌন্দর্য। আসলে আমাদের মতো মফস্বল শহরের মেয়েদের কাছে ঢাকার এমন সৌন্দর্য একটু অন্যরকম। আমরা এত চাকচিক্যতার মাঝে বড় হইনি , বড় হয়েছি সাদামাটাভাবে। চাচু-চাচি , দোলা আপুর কথা মনে পড়ছে হঠাৎ। হাজার হোক, আমার শৈশবটা বেড়ে ওঠা তাদের সাথেই। এদের মধ্যে আরও একজন মানুষ আছে যার কথা আমি স্মরণে আনতে চাইনা। হঠাৎ হাতে থাকা মোবাইলে ক্রিং ক্রিং শব্দ বেজে উঠতেই আমি অবাক হলাম। স্ক্রিনে একটি আননোন নম্বর ভেসে আসছে।
আমি মনে মনে ভাবলাম কে হতে পারে এটা? এমনিতেও দুপুরে আননোন নাম্বার ভাবায় আনভীরের নাম্বার ধরিনি বলে উনি বড্ড ক্ষেপে গিয়েছিলেন। তাই ওটা ভেবেই আমি কল ধরে বললাম,
-‘হ্যালো , কে বলছেন?’
অপরপাশ থেকে কেবল শোনা গেলো নিঃশ্বাস ত্যাগের শব্দ। আমি আবার বললাম,
-‘হ্যালো?’
-‘অপূর্বকে এত তাড়াতাড়ি তুমি ভুলে গেলে আহি?’
খুবই পরিচিত একটি কন্ঠ শুনে সারা শরীর অবশ হয়ে আসতে থাকলো আমার। আমার শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। বাড়ছে হৃদকম্পন। আমি ঠোঁট কামড়ে বললাম,
-‘তুমি কেনো ফোন করেছো ভাইয়া?’
অপরপাশে হেসে ফেললো অপূর্ব। ঘায়েল কন্ঠে বললো,
-‘এতই যখন আমায় ভয় পাও তাহলে বিয়ে করলে কেনো? একটাবারও ভাবোনি যে আমি একবার সত্যটা জানলে তোমার কি অবস্থা করবো?’
-‘তোমার মতো ভাই হওয়া থেকে আমার মরে যাওয়াও ভালো।’
-‘ওয়েট,,,ওয়েট! আমি তোমার কোন মায়ের পেটের ভাই একটু শুনি? আমি তোমার কাজিন ব্রাদার ছাড়া আর কিছুই না। আমি বিদেশে যাওয়ার পর বড্ড উড়াউড়ি করছিলে তাই না? তোমার বিয়ের কাহিনীও তো শুনলাম। তবে তোমার বরকে তোমার পুরো সত্যটা জানতে হবে তো। দরকার পড়লে আমি জানাবো তাকে।’
আমি কিছু না বলে কল কেটে দিলাম এবার। আমার চারিপাশের সবকিছু এবার বিষাক্ত লাগলেও সামলে নিলাম নিজেকে। ছোটবেলা থেকে বাবা থাকা সত্বেও কম কষ্টের শিকার হইনি আমি। পদে পদে অপমান আর লাঞ্ছনা ছাড়া আমার ভাগ্যে কিছুই ছিলো না। আর অপূর্ব ভাইয়া যদি সত্যিই আনভীরকে সব বলে দেয় তাহলে বলুক। উনি এভাবেই আমায় ছাড়বেন, ওভাবেও ছাড়বেন। তাই এসব বিষয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই। আমি নিঃস্ব, একা একটি মানুষ। আনভীর ঠিকই বলেন, আর যাই হোক আমায় ভালোবাসা যায়না।
.
.
-‘এই নাও।’
হঠাৎ এক পুরুষালি কন্ঠ পেয়ে আমি পেছনে ফিরলাম। আনভীর দাঁড়িয়ে আছে। দুই হাতে গরম ধোঁয়ায় পূর্ণ কফির মগ। আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে উনি আবার বললেন,
-‘কি হলো নাও!’
ধ্যান ফিরলো আমার। সন্ধ্যার আধাঁরে এই মানুষটাকে অন্যরকম লাগছে দেখতে। কি মায়ায় জড়ানো তার কন্ঠ! উনি বারান্দায় রাখা ডিভানে বসে পড়লেন এবার। আমার হাত টেনে বসিয়ে দিলেন উনার পাশে। উনি এবার বললেন,
-‘দ্রুত কফিটা শেষ করো। বাকি পড়াগুলো চেক করতে হবে।কাল কোচিং আছে?’
আমি কিছু বললাম না এবার। উনার এসব আদিক্ষেত্যা আমার সহ্য হচ্ছে না। আমি আমার সিদ্ধান্তে যখন অটল হয়েছি, একপাও সেখান থেকে সরবো না। আমায় চুপ থাকতে দেখে উনি কপাল ভাজ করলেন। আবার বললেন,
-‘আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি আহি।’
আমি বরাবরের মতো ইগ্নোরেন্স মিশন জারি রাখলাম। ব্যাটাকে এভাবে দেখে মজা লাগছে বেশ।উনি আবারও ডাকলেন আমায়। অবশেষ সহ্য করতে না পেরে আমার হাত থেকে কফিটা রেলিংয়ে রেখেই কাছে টেনে নিলেন আমায়। ঘটনাচক্রে আমি সরে আসতে নিলেই হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়াতে সারা এলাকা অন্ধকারে ছেয়ে গেলো। আমি ক্রমাগত উনার থেকে সরে আসার চেষ্টা করলাম কিন্ত নড়তে পারলাম না একবিন্দুও। উনি দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
-‘এভাবে ইগ্নোর করছো কেনো আমায়? খুব শখ না আমার কাছ থেকে দূরে থাকার? নাও, আজকে এই অন্ধকারে সারাক্ষণ আমার সাথে চিপকে থাকবে। আমিও দেখবো কতক্ষণ আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারো।’
.
.
.
~চলবে…….ইনশাআল্লাহ