কন্ট্রোললেস পর্ব-০৪

0
163

#কন্ট্রোললেস
#অনুপ্রভা_মেহেরিন
[পর্ব ৪]

” উজ্জ্বল ভাই তুলে নেওয়ার আগে অবশ্যই আমাকে জানিয়ে রাখবেন আমি সেজেগুজে বসে থাকবো একটা সিনেমাটিক ব্যপার আছে না।”

” তোর কি মনে হচ্ছে আমি ফাইজলামি করছি?”

” একদমি না।”

” মেজাজটা খারাপ করিস না।আমি সিরিয়াস।

” আমিও সিরিয়াস।”

” এই তুই ফোন কাট তুই আমার মেজাজ খারাপ করছিস।”

” আমি কেন ফোন কাটবো?আপনি দিয়েছেন আপনি কাটবেন।”

” তুই আমার মেজাজ খারাপ করেছিস তুই কাটবি।”

” না আপনি কাটবেন।”

” তুই কাটবি।”

” আপনি কাটবেন।”

“যা বলেছি তাই কর।”

“যা বলেছি তাই করুন।”

“এক্ষুনি ফোন কাট রুমু।”

” এক্ষুনি ফোন কাটেন উজ্জ্বল ভাই।”

” মুখে মুখে কথা বলছিস কেন?

” মুখে মুখে কথা বলছেন কেন?”

” বেয়াদবি করছিস কেন রুমু?”

” বেয়াদবি করছেন কেন উজ্জ্বল ভাই?”

” ইচ্ছে করছে তোকে চুমু খেতে।”

” ইচ্ছে করছে আপনাকে চুমু খেতে।”

” খাবে তো ডার্লিং বিয়েটা হোক।”

চট করে থেমে গেল রুমু।উজ্জ্বলকে বোকা বানাতে গিয়ে সে নিজেই বোকা বনে গেল!কি লজ্জা!কি লজ্জা!ইস কি বলে ফেললো সে।কয়েক সেকেন্ডের ঝগড়ার সমাপ্তি জানিয়ে রুমু নিজেই ফোন কাটলো।বুকের ভেতর বাড়লো ধুকপুক ধুকপুক।
.
উজ্জ্বলের মেজাজ আজ হাই ভোল্টেজে দাপাদাপি করছে।কি করছে কি করবে সে নিজেও জানে না।রাগারাগি দেখাতে গিয়ে আজ দুপুরের খাওয়াও হয়নি।সন্ধ্যায় টেবিলে বসে মাকে ডাকলো বেশ কয়েকবার।উজ্জ্বলের মা নার্গিস তখন টিভিতে পছন্দের সিরিয়াল দেখতে বসেছেন।এই মুহূর্তে ছেলের ডাকাডাকি মোটেও পছন্দ হলো না।

” কি হচ্ছে এভাবে ষাড়ের মতো ডাকছিস কেন?”

” পেটটা কাঁদছে আম্মা খেতে দাও।”

” দুপুরে খাসনি কেন?এখন নিজে বেড়ে খাবি।”

” আম্মা তুমি অন্তত আমার বাকি মেজাজটা খারাপ করো না।প্লিজ খেতে দাও।”

নার্গিস মৃদু হেসে খাবার বাড়লেন।ছেলেকে খাবার দিয়ে বসলেন টেবিলে।উজ্জ্বল খাবার পেয়ে এক এক মুহূর্ত দেরি করলো না গপাগপ পেট পুরে খেতে শুরু করলো।

” আম্মা তরকারিটা দারুন হয়েছে।আর কত কাল তুমি রেধে খাওয়াবে এবার অন্ত….”

” তোর কি লজ্জা নেই রে?জানিস তোর বাপ আমাকে আজকেও কথা শুনিয়েছে আমি নাকি তোকে আশকারা দিয়ে মাথায় তুলেছি।ব্যবসায় হাত লাগানোর জন্য তোকে জোরাজোরি করছি না।”

” সারাক্ষণ এক ক্যাচাল আমার ভালো লাগে না আম্মা।আমি আগেই বলেছি যখন আমার মন বলবে উজ্জ্বল যা গিয়ে বাবার ব্যবসায় বস তখনি আমি বসবো এর আগে নয়।”

“তোর মন কখন চাইবে বলতো।সারাদিন টইটই করে ঘুরছিস।না করিস পড়াশোনা না করিস কাজ।”

” আমি পড়তে চাইনি?তোমাদের অতি চালাকির কারণে আমার আজ এই দশা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে দেখিয়েছি অথচ তোমরা আমাকে পড়তেই দিলে না।”

” তোর যা মেজাজ ঢাকায় গিয়ে তুই যে কি করবি আমরা কি জানিনা ভেবেছিস?খারাপ ছেলেদের সঙ্গ পেয়ে আরো খারাপ হবি।”

” তোমাদের বারবার এক কথা।ঢাকায় গিয়ে আমি বিগড়ে যাব!যে খারাপ হওয়ার সে এমনি হয়।বাদ দাও তোমাকে বুঝিয়ে লাভ নেই।জরুরি কথা শুনো যেকোন সময় বউ নিয়ে হাজির হব।”

” সেকি কথা!কে সে হতভাগিনি মেয়ে যে কি না তোকে বিয়ে করবে!”

” এভাবে বলছো কেন আম্মা?অপমান করতে একটু রয়ে সয়ে করো।যাকে করবো বলেছি তাকেই করবো।”

নার্গিস বুঝতে পারলেন উজ্জ্বল কার কথা বুঝিয়েছেন।রুমুকে নিয়ে উজ্জ্বলের পাগলামির শেষ নেই কিন্তু এই পাগলামি বিয়ে পর্যন্ত গড়ালে পুনরায় সৈয়দ বাড়িতে তান্ডব চলবে।নার্গিস সতর্ক হয়ে বলেন,

” খবরদার উজ্জ্বল ঝামেলা বাড়বে এসব করিস না বাপ।রুমুকে ছাড়া যাকে ইচ্ছে বিয়ে কর আমি বাদ সাধবো না।”

” কিন্তু আমার যে রুমুকেই লাগবে।”
.
রাতে পারিবারিক ভাবে একটি বৈঠক বসলো।রুমুর বিয়ের কথা তুলতে রুমুর মা তার খালা হালিমাকে জানিয়ে এই বাড়িতে আনেন।তার উদ্দেশ্য যে করে হোক বোনের ছেলের কাছেই একমাত্র মেয়ে বিয়ে দিবেন।যদিও এতে রাশেদ অল্পস্বল্প রাজি।বাকিটা সিদ্ধান্ত সৈয়দ ইসমাইল নেবেন।হালিমা অনেকক্ষণ যাবৎ ইসমাইলকে বোঝালেন,তার ছেলে হিমেল শিক্ষিত দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ।একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে বেশ ভালো বেতনে চাকরি করছে এমন ছেলে হাত ছাড়া করা কী উচিত?তাছাড়া অপরিচিত কারো ঘরে মেয়ে না পাঠিয়ে আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়লে ভালো হয়।এত এত প্রশংসার বাক্যে পাশ থেকে মশলা ঢেলেছেন রাবেয়া।অথচ সৈয়দ ইসমাইল মুখটা পানসে করে তাকিয়ে আছেন টিভি স্কিনে।রাশেদ বাবার এমন হেয়ালিটা পছন্দ করলো না।

” আব্বা কিছু তো বলেন।”

” বলতে ইচ্ছে করছে না তাই বলবো না।”

” ইচ্ছে করছে না মানে?যত দ্রুত সম্ভব রুমুকে একটা কুলে দিন আব্বা।এই মেয়ে বখে গেছে।”

” তোর বন্ধুর যে কাজিনরা প্রস্তাব দিয়েছিল তাদের কি খবর?”

” আগামী সাপ্তাহে তারা আসবে ছেলেটা নাকি এবার বিয়ে করেই যাবে।শুনলাম বিয়ের পর বউকে নেওয়ার সকল প্রসেস শুরু করে দেবে।”

” ওদের সাথে যোগাযোগ কর।”

রাবেয়ার মুখটা পাংশুটে হয়ে গেল।আশাহত গলায় বলেন,

” আমার বোন যে আবদার নিয়ে এলো তোমার কি গায়ে লাগলো না?”

” আমি আগেই বলেছিলাম মেয়ের বিয়ে আমি যেখানে চাই সেখানেই হবে।”

রাবেয়া রেগে গেলেন বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কড়া গলায় বলেন,

” শুনুন রাশেদের আব্বা, আমি আমার বোনকে কথা দিয়েছি তার ঘরে মেয়ে পাঠাবো।এই কথার খেলাপ আমি করতে পারিনা”

” আমিও তো আমার ভাইকে কথা দিয়েছিলাম উজ্জ্বলের সাথেই রুমুর বিয়ে হবে।ওরা যখন ছোট ছিল সেই ছোট থেকে এমনটাই বলে এসেছি সে কথা তুমিও জানো।”

” কি বললে তুমি?ওই লোভীদের ঘরে তুমি মেয়ে বিয়ে দিতে চাইছো?এত ঝামেলার পরেও তোমার শিক্ষা হয়নি?”

” খবরদার চেচিয়ে কথা বলবে না।তোমার মেয়েয়ালি ঝগড়ার জন্য আজ সৈয়দ বাড়ি ভাগ হয়েছে।”

” আমার দোষ!আমি…”

রাবেয়া হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন।বোনকে শান্ত করতে হালিমা এগিয়ে গেলেও লাভের লাভ কিছুই হলো না।হাতের কাছে যা পেলেন ছুড়ে ফেলে দিলেন রাবেয়া।কাঁচের জিনিসপত্র ভেঙে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো দিকবেদিক।রাশেদ উঠে গিয়ে মাকে শান্ত করলো রাবেয়া স্বামীর দিকে ছুড়ে দিলেন গাদা গাদা অভিযোগ।

পর্দার আড়াল থেকে হাসলো রুমু।আর যাই হোক সে কখনো হিমেল নামক বেয়াদবটাকে বিয়ে করবে না।এই তো ছোট বেলার কথা সবে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে সে।হিমেল ভাইয়ের অসৎ ছোঁয়াগুলো একটুআধটু বুঝতে পারলেও সে কিছুই কাউকে বলতে পারতো না।সবাই ভাবতো হিমেল তাকে কত্ত আদর করে।সেবার হিমেল তাকে মোবাইলে গেম খেলতে দিয়ে আচমকা তার বুকে হাত দেয়।হিমেলের দানবীয় হাতের ছোঁয়ায় রুমুর সারা দেহ আচমকা কেঁপে উঠে।দ্রুত ফোন ছুড়ে ফেলে প্রস্থান নেয় মেয়েটা।না এটা প্রথম কিংবা শেষ নয়।এভাবে কতবার হেনস্তার শিকার সে হয়েছে গুনে শেষ করা যাবে না।ভয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারে না।কাকে বলবে?মা হিমেলের অন্ধভক্ত বাবা আর ভাইয়ের সাথে খুব বেশি মনখোলা নয় সে সব মিলিয়ে নিজের কাছে আড়াল রেখেছে।তবে রুমু একা নয় তার খেলার সাথী রিয়া যখন খেলতে বাড়িতে আসে মেয়েটাকে চকলেট কেনার কথা বলে বাজে ভাবে ছুঁইয়ে দেয় হিমেল।সেদিনের পর যতবার হিমেল রুমুদের বাড়ি এসেছে ততবার খেলতে আসেনি রিয়া।

হাতের ফোনটা শব্দ করতে ধ্যান ভাঙে মেয়েটার।উজ্জ্বল ভাই ফোন করেছেন।রুমু দ্রুত ফোন কেটে নিজ কক্ষে ফিরলো।রাত বারোটা বাজতে চললো উজ্জ্বল ভাই এত রাতে কেন ফোন করলেন?রুমু কালবিলম্ব না করে ফোনটা ধরলো অত্যান্ত দুঃখী দুঃখী গলায় শুধালো,

” উজ্জ্বল ভাই।”

” তোর রুমের লাইট জ্বলছে কেন?ঘুমাসনি কেন?”

” আমার তো বিয়ে উজ্জ্বল ভাই।”

” কি!তুই এই কথা আমাকে এখন বলছিস?চোরের মতো রাত ১২ টায় কে বিয়ে করে?”

” আপনাকে বলবো কেন?এমনিতেও আপনাকে দাওয়াত করা হবে না।”

” কানের নিচে দুটো দিয়ে ব্রেনের ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দেব ফাজিল মেয়ে।দাঁড়া আমি আসছি তোর বিয়ের ব্যান্ড বাজাতে।”

রুমু কিছু বলার আগেই ফোন কাটলো উজ্জ্বল।বেচারার মেজাজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অপরদিকে রুমু এতবার করে ফোন করেও পেল না উজ্জ্বলকে।বেচারা ফোনটা রেখেই বেরিয়ে গেছে বউ উদ্ধার কাজে।

সৈয়দ বাড়ির দানবীয় দেয়ালটা টপকে গাছ বেয়ে নিচে নামলো উজ্জ্বল।আজ যা হওয়ার হবে বউ নিয়ে যে করে হোক নিজ বাড়িতে ফিরবে।শুকনো পাতার মড়মড় শব্দে ধীরে ধীরে পা ফেলতে হলো তাকে।দ্রুত হেটে গিয়ে দাঁড়ালো রুমুর জানলার পাশে বেশ কয়েকবার টোকা দিলেও রুমু জানলা খুললো না।যদিও মেয়েটা শুনতে পায়নি।এখন বড্ড বেশি আফসোস হচ্ছে কেন ফোনটা ফেলে আসলো।

উজ্জ্বল চারদিকে পা টিপে টিপে এগিয়ে যেতে দেখতে পেল সৈয়দ ইসমাইলের জানলা খোলা।রাবেয়ার সাথে তুমুল ঝগড়া চলছে তার।এটা যে বিয়ে বাড়ি বিন্দুমাত্র বোঝা যাচ্ছেনা।তাদের ঝগড়াটা ঠিক কি নিয়ে বোঝার চেষ্টা চালালো উজ্জ্বল।দরজায় দাঁড়িয়ে আছে রুমুর খালা হালিমা।খোলা জানলায় মানব অস্তিত্ব টের পেয়ে আচমকা চিৎকার চেচামেচি শুরু করলেন।

” আল্লাহগো ওরে রাবেয়া চোর চোর তোর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে রে। ওরে কে কোথায় আছিস চোর ডাকাত চোর!”

হালিমার এক চিৎকারে সতর্ক হয়ে যায় বাড়ির সকলে।এমন পরিস্থির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না উজ্জ্বল।বেচারা বুদ্ধি খাটিয়ে দ্রুত দরজার সামনে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।তার উদ্দেশ্য কেউ যেন ঘর থেকে বের হতে না পারে।এই বাড়িতে রাশেদ যদি একবার তাকে দেখে ফেলে তবে কুরুক্ষেত্র হবে।এক সাথে সকলে চিৎকার করা শুরু করলো মুহূর্তে বাড়ির পরিবেশ গরম হয়ে যায়।রাশেদ দা নিয়ে ছুটে আসে কিন্তু বের হতে গিয়ে বুঝতে পারলো দরজা বাইরে থেকে আটকানো।উজ্জ্বল দ্রুত গাছে উঠে গেল দেয়াল টপকে নিচে নামার চেষ্টা চালালো।এখনো সবার চিৎকার শোনা যাচ্ছে,

” চোর চোর চোর কে কোথায় আছেরে বাড়িতে চোর এসেছে।”

উজ্জ্বল মুখ বাকিয়ে আপনাআপনি বলে,

” হুহ আমি চোর।বউ চোর।সৈয়দ ইসমাইল আপনার বাড়ির মূল্যবান জিনিসটা কিন্তু এই উজ্জ্বল চুরি করবে কথা দিলাম।”
.
ঘুমন্ত এলাকাবাসী মুহূর্তে জেগে গেল।সবাই টচ হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো চোর খুঁজতে সেই সাথে উজ্জ্বল নিজেও বের হয়েছে।শার্টের হাতা কনুইতে গুটিয়ে সবার সামনে গলা তুলে বলে, ” এই এলাকায় চোর!আমার এলাকায় চোর তাও কি না সৈয়দ বাড়িতে!শালার ব্যাটা তোকে পেলে মা র তে মা র তে সৈয়দ বাড়ির মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতাম।”

উজ্জ্বলের কথাটা সবাই না বুঝলেও ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো উজ্জ্বলের বাবা সৈয়দ শামসুল।মনের সন্দেহ থেকে তিনি ভাবেন তবে কি সেই চোরটা উজ্জ্বল!সৈয়দ বাড়ির অবিবাহিত মেয়ে রুমু আর রুমুকে বিয়ে করতে উঠে পড়ে লেগেছে উজ্জ্বল।

চোরের হদিস না পেয়ে সবাই যে যার মতো বাড়ি ফিরলো।রুমু জানে এই চোরটা কে।উজ্জ্বল ভাই ছাড়া আর কেউ হতেই পারে না।
উজ্জ্বল তখন বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে।দৌড় ঝাপে বেশ হয়রান হয়েছে সে।তাড়াতাড়ি গাছ বেয়ে উঠতে গিয়ে বাম পা’টা ছিলে গেছে।অসময়ে রুমুর ফোন পেয়ে ধরলো সে,

” উজ্জ্বল ভাই চোরটা কি আপনি ছিলেন?”

” না।কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিল।”

” মজা করছেন কেন?”

” তুই মজা করলি কেন?তোর না বিয়ে?”

” আমি বলেছি বিয়ে তবে কবে তা তো বলিনি।আপনি কেন এলেন এত দৌড়ঝাঁপ করে।”

” এই শুন তোর মাথায় বুদ্ধি কম সব গোবর।একবার বিয়েটা করতে দে, তোর কপালে আমার একেকটা চুমু তোর ব্রেনে বুলেটের মতো বাঁধবে।দেখবি আমার চুমুর পাওয়ারে কেমন বুদ্ধির রানী হয়ে যাস।”
#চলবে…..