কলংকের বিয়ে পর্ব-০২

0
13

#কলংকের_বিয়ে
#ইসরাত_জাহান_এশা
#পার্ট_০২

০৪
বৈঠকে আয়েশা বেগম এসে বলেন খাইলো রে খাইলো আমার মেয়ের সংসারটা খাইলো। জন্মের সময় মায়রে খাইলো। হায় রে! এই মেয়েরে আমি এতদিন মায়ের আদর দিয়ে বড় করেছি? তুমি এখন চুপ করে আছো কেনো নাফিজের বাবা? আমার সন্তানদের সাইডে ফেলে মা মরা মেয়ে বলে বলে কতই না আল্লাদ করলা এই প্রতিদান দিলো আজ? বলো তুমি কিছু আমার মাইয়ার তো তালাক হয়ে গেলো। ওর মার সাথে ওরও মরা উচিৎ ছিল। নাহলে আজ এইদিন দেখতে হত না৷

রাজ্জাক ভূঁইয়া নিরবতা ভেংগে বলেন তোমার কষ্ট আমি বুঝতে পারছি আয়েশা কিন্তু মৃত মানুষকে নিয়ে কিছু বলবে না৷ এখানে অনেক লোক আছে বিচার তো করবে? এখানে নাফিজার তো দোষ নেই নাফিজাকে আমি আবারো ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিব। যারা দোষ করেছে তারাই আজ শাস্তি পাবে।

চেয়ারম্যান সাহেব বলেন আচ্ছা আনাম তোমার কি লজ্জা বলতে কিছুই নাই এমন একটা পরিস্থিতিতে তোমার মুখ থেকে কথা বের হয়।আর ঐ যে আরেক বাটখারা নিষ্পাপ একটা মুখ নিয়ে ভরা বৈঠকে দাঁড়িয়ে আছে। সমাজে এই রকম কিছু কীটের কারনে মেয়েদের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে সুন্দর সাজানো সংসার নষ্ট হয়ে যায়। বাবা মা যদি বুঝত সন্তানদের জন্য এইভাবে একদিন অপমানিত হতে হবে তাহলে হয়ত জন্মের সময় মেরে ফেলত।
এসব কথা শুনে রাজ্জাক সাহেবের শরীর অশাঢ় হয়ে আসে৷ আনামের বাবা বলেন আমার ছেলে কেমন সেটা আমি ভালো করে জানি আপনারা কথা না পেচিয়ে বিচার শেষ করুন৷ আমার ছেলের অবস্থা ভালো নয় ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। মানুষের জীবনের চেয়েও আপনাদের কাছে বিচার ব্যবস্থা বড় হয়ে গেছে। যারা আমার ছেলের সাথে এহেন আচরন করেছে এইভাবে মেরেছে তাদের আমিও রফিক তালুকদার আজ হোক কাল সত্যিটা সামনে আসবে দেখে নিব সবাইকে।

চেয়ারম্যান সাহেব বলেন আপনার ছেলে তো গাছের তলার দুইটাই খেতে চায় পিতা হিসেবে ছেলের কুকর্ম ঢাকতে চাইলেই তো আর পারবেন না। যাইহোক যেহেতু তালাক দিয়ে দিয়েছে সেহুতু এই বৈঠকে নয়নাকে বিয়ে করে নিয়ে যেতে হবে।

আনাম বলে উঠে প্রশ্নই আসে না। যেই পরিবার থেকে বিনা দোষে এতো পরিমান লাঞ্ছিত হতে হয়েছে সেই পরিবারে আমি কখনোই সম্পর্ক রাখব না। তাতে আমাকে জেলে দেওয়া হলে জেলে যাব। কিন্তু গ্রামের লোক বলে উঠে এটা আমরা মানি না। নয়না মেয়েটার কি হবে ওরে কেউ আর বিয়ে করবে না৷হোক ও দোষী খারাপ মেয়ে তাই বলে ওকে তো এইভাবে ফেলে দেওয়া যায় না। এই বৈঠকেই বিয়ে করতে হবে। নাহলে আমরা কাউকে এখান থেকে যেতে দিব না৷

আনামের বাবা অবস্থা বেগতিক দেখে বলেন ঠিক আছে আমি রাজি আছি বিয়েতে৷
___বাবা কি বলছ এসব? আমি আর পারব না এমন একটা পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখতে।
আনামের বাবা-মা আনাম কে আলাদা নিয়ে বলেন। তুই আমাদের ছেলে আমরা তোকে যথেষ্ট বিশ্বাস করি।কিন্তু দেখ তুই যেই দোষে দুষ্ট সেই একই অপরাধে নয়নাও অপরাধী। ঐ মেয়েটাকে তুই বিয়ে করে নে নাহলে মেয়েটা সমাজে বাঁচতে পারবে না৷ মেয়েটার দিকে একটা বার তাকিয়েছিস? অসহায়ের মত সবার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে মা মরা মেয়ে আর এমনিতেও ঝামেলা তৈরি করিস না। বিয়েটা করে বাড়ি চল তারপর আবার আমরা সিন্ধান্ত নিব।

___বেশ! বিয়ে করব তবে শর্ত সাপেক্ষে আমি নাফিজাকে যত গয়না কাপর দিয়েছি সব কিছু আমাকে এই বৈঠকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর আগেই আমি মোহরানা পরিষদ করেছি তাই এগুলোতে ওর কোনো অধিকার নেই।

আনামের বাবা ছেলের সাথে কথা শেষ করে চেয়ারম্যান কে সব জানায়। চেয়ারম্যান আয়েশা বেগমকে গয়না দেওয়ার কথা বললে আয়েশা বেগম সাথে সাথে গয়না দিতে অস্বীকার জানায়।আয়েশা বেগম বলেন আমার মেয়েতো সংসার করতেই চাইছে ওরাই তো সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছে না। আমার মেয়ের জীবন ও নষ্ট হলো আবার এগুলোও ফেরত নিবে?এটা আমি মানি না। আর আমি এসব কিছু দিব না। এগুলো আমার মেয়ের ক্ষতি পূরন হিসেবে থাকবে।
আনাম সাথে সাথে আয়েশা বেগম কে উদ্দেশ্য করে বলে আপনি আপনার মেয়ে নাফিজাকে বলেন এই মুহুর্তে আমাদের দেওয়া সব আমাকে বুঝিয়ে দিতে। নাহ হলে আমি ওর মুখোশ এই বৈঠকেই উন্মুক্ত করে দিব। এটা শুনলে আপনি না চাইলেও আপনার মেয়ে ঠিকই সব ফেরত দিয়ে দিবে।

আয়েশা বেগম নাফিজাকে আনামের ওয়ার্নিং এর কথা বললে নাফিজা ভয় পেয়ে যায় আর বিড়বির করতে থাকে কি প্রমান আছে ওর কাছে ও কি কিছু বুঝতে পরেছে?নাকি আমার আগের করা ঘটনা গুলো সবাইকে জানাবে।সবকিছু ভেবে নাফিজা সাথে সাথে সব প্যাক করে আয়েশা বেগমের কাছে দিয়ে দেয়।
আয়েশা বেগম রাজ্জাক ভূঁইয়া কে উদ্দেশ্য করে বলেন তোমার ছোট মেয়ে সব খেয়ে নিল। আমার মেয়ের ঘর খেলো বর খেলো সোনাদানা তাও নিল। আমার মেয়েকে কোনঠাসা করে দিল তোমার মেয়ে।

এদিকে কাজী সাহেব চলে আসলে রাজ্জাক ভূঁইয়া কে বলা হয় পিতা হিসেবে মেয়েকে আনামের হাতে তুলে দিতে। রাজ্জাক ভূঁইয়া খুব গম্ভীর গলায় বলেন আমার ছোট মেয়ে মারা গেছে, সে আমাকে যেই অপরাধের সাক্ষী করেছে তারপর থেকে তার কাছে আমি মৃত। তারপর চেয়ারম্যান নিজেই দায়িত্ব নিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দেন।

রাত দুইটার পর নয়নাকে নিয়ে আনাম বের হয়ে আসে। রাজ্জাক ভূঁইয়া ঘরে গিয়ে লালমতির একটা ছবি বের করে কান্না করেন আর বলেন জানো মতি আমার খুব ইচ্ছে ছিলো আমাদের মেয়েটাকে লাল টুকটুকে শাড়ি পড়িয়ে গা ভর্তি গয়না দিয়ে একদম তোমাকে যেমন সাজিয়ে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিলাম সেই ভাবে বিদায় দিতে। কিন্তু আজ ওর বিদায়ে আমার কষ্ট হলেও ওর প্রতি খুব ঘৃণা হচ্ছে। কোনো ভাবে আমি নিজেকে বুঝ দিতে পারছি না। আচ্ছা আমাদের মেয়ে কি সত্যি এত খারাপ হয়ে গেছে? কেউ আমাকে বুঝ দিল না যে আমার মেয়েটা নির্দোষ। সবাই এসে আমাকে দোষ দিচ্ছে হয়ত তুমি বেঁচে থাকলে নিজের মেয়ের হয়ে লড়াই করতে। আমার হাত পা বাঁধা যদি আমি ওর পক্ষে যাই তাহলে নাফিজার প্রতি অন্যায় হয়ে যেত। মতি আমার কি করার ছিলো বলতো?আমার তো পিঠে চিমটি দিলেও ব্যাথা লাগে,পেটে চিমটি দিলেও ব্যাথা লাগে আমি এই মুহুর্তে কিভাবে নিজেকে শান্ত করব? রাজ্জাক ভূঁইয়া ঐখানে স্ট্রক করে পরে থাকেন।

০৫
রফিক তালুকদার তার স্ত্রী রেহনা বেগম কে বাসায় রেখে সাথে সাথে আবার ছেলে আর বউকে নিয়ে হসপিটালে যেতে চায়। কিন্তু নয়না বলে আমি কোথাও যাব না।
___এটা বললে হয় না৷ দেখো যা হবার হয়েছে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে তোমার কানে রক্ত জমাট হয়ে আছে নিশ্চয়ই ব্যথা করছে প্রচুর।
___আজকে যা হয়েছে তার কাছে এই ব্যাথা কিছু না৷ কেনো যে মৃত্যু হলো না আমার। মা আমাকে ওনার সাথে ঐ সময় নিয়ে যেতেন তাহলে আমার মত কলংকীনির জন্য এতো মানুষের জীবন নষ্ট হতো না। আমার বাবা এতো কষ্ট পেতেন না।

রফিক তালুকদার ধমক দিয়ে নয়না আর আনাম কে হসপিটালে নিয়ে যায়। ইমার্জেন্সি তে ভর্তি করে আপাতত কিছু ঔষধ নিয়ে আসার চেষ্টা করে। হসপিটাল থেকে বলা হয় কানের মধ্যে জঘন্য ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে এর জন্য দ্রুত ট্রিটমেন্ট চালাতে হবে। রফিল তালুকদার বলেন আমরা একটু সমস্যার মধ্যে আছি দুই তিন দিনের মধ্যে ট্রিটমেন্ট শুরু করব। আপাতত কান পরিস্কার করে সাময়িক কিছু ঔষধ দিন।
আনামেরও অনেক জায়গায় কেটে ছিড়ে যায় সেগুলো ব্যান্ডিজ করে ঔষধ নিয়ে আসতে আসতে রাত শেষ হয়ে সকাল হয়ে যায়।

বাড়িতে পৌঁছে আনাম ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। নয়নাকে ঘুমের জন্য পাওয়ারি ডোজের ঔষধ দেওয়া হয় তাও নয়নার ঘুম আসে না। কালকের ঘটনা গুলো বার বার চিন্তা করছে কিভাবে কি হলো? আনাম ভাইয়া আমার রুমে কিভাবে আসল আর উনি কখন এসেছেন? উনি কি সেচ্ছায় আমার রুমে গিয়েছিল নাকি কেউ ওনাকে নিয়ে গেছে। আমি তো উনি আসলে সব সময় দরজা বন্ধ করে ঘুমাই তাহলে কালকে কি হয়েছিল যে দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়েছি? কালকে কিভাবে যেনো তারাতারি ঘুমিয়ে গেছিলাম কি ঘটেছে কিছুই মনে করতে পারছি না। এতোকিছু চোখের সামনে ঘটে গেলো কিন্তু আমার দোষ কি কিসে কি হলো সেই লাইন টাই আমি ধরতে পারছি না৷ নয়না শুনতে পায় আনামের বাবা মা ডাইনিং রুমে বসে আলোচনা করছেন। নয়না কথা শোনার জন্য আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়।

রফিক তালুকদার বলেন বুঝতে পারছি না কিভাবে কি হলো। আনাম তো বার বার বলছে কিভাবে কি হয়েছে ও কিছু জানে না। ওর কিছু মনে নেই নয়না মেয়েটা কি এ বিষয় কিছু জানে? নাকি সবটা ষড়যন্ত্র হয়েছে?
রেহানা বেগম বলেন ষড়যন্ত্রই হবে আমার ছেলে সরল তাই এই খেলায় ওকে বেছে নিয়েছে আর শোনো যদি নয়না দোষী হত যদি ওদের দু’জনের সম্পর্ক থাকত খারাপ উদ্দেশ্য থাকত তাহলে কখনোই ওরা বাড়িতে এমন অবস্থায় থাকত না। ওরা দূরে দেখা করত। একই বাড়িতে সবার সামনে এটা কি কখনো সম্ভব?

___আমিও সেটাই ভাবছি যতদূর মনে হচ্ছে এখানে অনেক বড় ষড়যন্ত্র হয়েছে খুব প্ল্যান করে কাজ গুলো করেছে। তবে আমি আজ হোক কাল সত্যিটা বের করব মানুষ এতোটাও জঘন্য হয়।
___আমার তো মনে হয় নাফিজাই ওদের ফাঁসিয়েছে। মেয়েটাকে আমার আগেও সুবিধার লাগত না। নেহাৎ ছেলে পছন্দ করে বিয়ে করেছে তাই কিছু বলিনি। আবার নতুন বউ এই জন্য।
___যাই হোক এখন মেয়েটার তো চিকিৎসা করতে হবে কানের ব্যাপার ভালো ডাক্তার দেখাতে হবে। দামীও ঔষধ থাকবে। সব টাকাই তো ব্যবসায় দেওয়া এখন কত কি খরচ হয় তাও তো বলতে পারছি না।
___চিন্তা করো না, ঠিক হয়ে যাবে। কি করার ভাগ্য আমাদের সরলতার সূযোগ নিয়ে বার বার ঠকায়। আমার সরল ছেলেটা সব পেয়েও ছোট বেলা থেকে অবজ্ঞা আর অবহেলা পেয়ে যায় শুধু ওর সরলতার জন্য। ওরে এতো বুঝালাম একটু শক্ত হতে বললাম কিন্তু ঠিক হলো না৷আর ওরেই বা কি বলব আমারাই তো পারিনা মানুষের সাথে কঠিন আচরন করতে।ওরা আমার ছেলেটাকে কিভাবে মেরেছে বলেই কান্না করে উঠেন রেহনা বেগম।
নয়নার চোখ ঘুমে জরিয়ে আসছে। নয়না রুমে গিয়ে ডান কাত হয়ে শুয়ে পরে।

০৬
আয়েশা বেগম রাজ্জাক ভূঁইয়া কে দেখতে না পেয়ে খুজতে থাকেন। দেখেন নয়নার ঘরে লালমতির ছবি হাতে নিয়ে নিচে পরে আছেন। আয়েশা বেগম লালমতির ছবি হাতে দেখে রাগ করলেও সেটা বাদ দিয়ে ঘরের সবাই কে ডাকাডাকি করেন। নাফিজ দৌরে আসে সাথে সাথে রাজ্জাক ভূঁইয়া কে বিছানার উপরে তুলে। ইমিডিয়েট হসপিটাল ভর্তি করে।
নাফিজা নাফিজ কে বলে সব কিছু কেমন বেশি বেশি হয়ে গেলো তুই আনাম কে এই রকম না মারলেও পারতি আমাদের উদ্দেশ্য তো ওরে ফাঁসানো ছিল না। বেচারা অনেক সরল ভেবে খারাপ লাগছে। ওরে না মারলে মনে হয় গয়না গুলো ফেরত নিত না।
___হটাৎ তোর এতো কষ্ট হচ্ছে? ভালোবেসে ফেলেছিস নাকি? আর ঐ কয়টা স্বর্নের চিন্তা বাদ দে আমাদের কি কম আছে?
___আরেহে কি যে বলিস না। ভালোবাসা তাও ওকে? আমি শুধু রাহাত কে ভালোবাসি। ওর জন্যেই তো ওর সাথে নয়নাকে ফাঁসিয়েছি একসাথে দুইটা কাটাই সরিয়েছি। কিন্তু ওরা আমার সোনা-দানা সব নিয়ে গেছে।বাবার শরীর খারাপ হয়ে গেছে কি হয় না হয় কিছুই তো বুঝতে পারছি না।
___দেখ না কিসে কি হয়। আর বয়স হয়েছে মৃত্যু তো আজ হোক কাল হবেই।আমার ভালো হবে সম্পত্তি সব বুঝে পাবো। সকল সম্পত্তি আমাদের দুই ভাইবোনের। নয়না আউট হয়ে গেছে। আর নয়নার মার রেখে যাওয়া দশ লাখ টাকা সেটাও আমাদের হয়ে যাবে আর খুব তারাতাড়ি এগুলো গুছিয়ে আনতে হবে। আবার যদি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য টাকা পয়সা সম্পত্তির ভাগ নিতে আসে।
___হুমম ঠিকই বলেছিস ভাই।

এভাবে দুই দিন কেটে যায়। রাজ্জাক ভূঁইয়া একটু খানি সুস্থ হয়। কিন্তু নয়নার বিষয়টা মনে নেই তিনি সবাইকে জিজ্ঞেস করেন নয়না কোথায়? আয়েশা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন সেই কথা আর বলতে তোমার মেয়ে সবার মুখে চুনকালী দিয়ে তোমার বড় জামাইয়ের সাথে পালিয়ে গেছে।
এটা শুনে রাজ্জাক সাহেব বেশ অস্থির হয়ে পরেন৷ পাশ থেকে নার্স আয়েশা বেগম কে ধমক দিয়ে বলেন এমন সময় একটু সাবধানে কথা বলবেন ওনাকে মোটেও উত্তেজিত হতে দেওয়া যাবে না।

ওদিকে আনামের বাড়িতে প্রচুর সোরগোল শুরু হয়। আনামের ফুফুরা সবাই আনামের বাড়িতে আসে___________<_____ চলবে----