গল্পঃ তুমি_ছারা_আমি_শূন্য
পর্বঃ ১৭+১৮
লেখকঃ #Mohammad_Asad
ঘুমের অতল গহিনে চলে গেছে দুজনে। রাত একটা, তারপর ২টা করতে করতে শান্তিময় প্রহরগুলো চলে যেতে থাকে। নিশাত ছাদিকের বুকের উপর গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে। তার উপর হালকা চাঁদর।
মাঝ রাতে ছাদিকের ঘুমটা ভেঙে যায়। নিশাতের মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে দেয়। নিশাতের মাথায় হাত দিয়ে দেখে একটুও জ্বর নেই।
“আমার পাগলীটা কবে যে বড় হবে আল্লাহ ভালো যানেন। শুধু বয়সে বড় হয়েছে। মনটা এখনো পিচ্চি রয়ে গেছে। আমার কাছে আবার আরো পিচ্চি সাজার চেষ্টা করে পাগলীটা। তবে বলতেই হবে নিশাতকে পেয়ে আমি সত্যি ধন্য। ধন্য ছাদিক, নিশাতকে পেয়ে তুই সত্যি ধন্য।”
ফজরের আজানের ডাকে ছাদিকের ঘুম ভেঙে যায়। নিশাতের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ,নিশাত, বলে ডেকে উঠে।
-উঁহু
-নিশাত,
-উঁহু
-ঘুম থেকে উঠবে না?
-উঁহু
-পেত্নী,
-উঁহু
ছাদিক নিশাতের চোখের দিকে তাকিয়ে মিস্টি করে হেঁসে দেয়। পাগলীটা ঘুমের মাঝে উঁহু উঁহু করছে শুধু। ছাদিকের বুকে ঠোঁটটা আসটে পিস্টে রেখেছে নিশাত। তার জন্য লিপস্টিকের রংঙ গুলো ছাদিকের বুকে লেগে গেছে।
-নিশাত বাবু,
-উঁহু
-নামাজ পড়বে না?
-হুম
-তাহলে উঠো দেখি।
নিশাত মিটিমিটি চোখে ছাদিকের দিকে তাকায়। দুই হাত দিয়ে ছাদিকের মাথাটা ধরে নিশাত ফিঁক করে হেঁসে বলে।
-আমার হনুমানটা,
-ইশশ এবার উঠো প্লিজ পেত্নী।
-উঁহু না।
-কেন, নামাজ পড়বে না?
-হুম পড়বো তো।
-তাহলে না বলছো কেন?
-হিহিহিহি
-পেত্নী
ছাদিক আর নিশাত ঘুম থেকে উঠে। ওয়াশরুমে চলে যায় ওজু করতে। ছাদিক গেঞ্জির দিকে খেয়াল করে লিপস্টিকের দাগ লেগে আছে গেঞ্জিতে।
-নিশাত তুমি ওজু করে নেও আমি আসতেছি।
-আরে কোথায় যাচ্ছো তুমি?
-আমার বুকে লিপস্টিকের দাগ লাগিয়েছো খেয়াল করছো তুমি? এভাবে নামাজ পড়া যায় বলো।
-হিহিহিহি, আচ্ছা যাও গেঞ্জিটা বদলিয়ে আসো।
ছাদিক আর নিশাত দুজনে নামাজ পড়ে নেয়। অনেক সকালে নিশাতের ডাকে ঘুম ভাঙে।
-এই যে মহারাজ চা-টা খেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন।
-আমাকে এই সাত সকালে ঘুম থেকে উঠালে কেন পেত্নী?
-ইসস,
“ছাদিক একটু রাগি সুরে বলে”
-কি ইসস করছো তুমি হ্যাঁ। আজকে শুক্রবার ছিলো যানোনা তুমি। ভেবেছিলাম সারা সকাল ঘুমিয়ে থাকবো আমি। তবে এই পেত্নীটা খুব খারাপ।
“নিশাত হিহিহিহি করে হেঁসে বলে”
-এই হনুমান খারাপের কি দেখেছো হুম। এবার তোমাকে দেখাচ্ছি।
ছাদিক সুয়ে ছিলো। নিশাত ছাদিকের উপরে উঠে ছাদিকের দুইহাত চেপে ধরে চোখ টিপ দেয়। আর মিস্টি হেঁসে বলে।
-এবার কোথায় যাবে হনুমান।
-কি করতে চাও তুমি হুম, দুষ্টুমি করতে চাও।
-নাহহ্, এই সাত সকালে দুষ্টুমি করার কোনো ইচ্ছে নেই আমার।
“ছাদিক নিশাতের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বলে”
-তাহলে?
নিশাত ছাদিকের ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁট নিয়ে আসে। নিশাতের চুলগুলো ছাদিকের মুখের এসে পড়েছে।
-আজকে শুক্রবার তাই না হনুমান।
-হুম
-চলো না দুজনে কোথাও ঘুরতে যাই। কতদিন হয়ে গেছে কোথাও ঘুরতে যাই না।
-এই জন্য এভাবে আদর দিচ্ছো আমাকে?
-উঁহু না,
-আচ্ছা বিকেলে আমরা যাচ্ছি।
-সত্যি,
-হুম সত্যি,
নিশাত ছাদিকের বুকের উপর থেকে উঠে রুমের বাইরে চলে যায়। ছাদিক মুচকি হেঁসে বলে পাগলী একটা।
ছাদিক নিশাতের বানানো চায়ে চুমুক দেয়। চা-টা কিন্তু হেব্বি হয়েছে। বলতেই হবে নিশাতের হাতে জাদু আছে।
বাবা-মা মিতুর রুমে চা-দিয়ে এসে সকালের নাস্তা তৈরি করতে রান্নাঘরে যায় নিশাত।
পিছন থেকে কে যেন জরীয়ে ধরেছে।
-পেত্নী কি করা হচ্ছে এখানে?
-কি করা হচ্ছে দেখছো না।
-হুম দেখছি তো।
-তাহলে বলছো কেন, কি করা হচ্ছে।
-তুমি রুটি গুলো কিন্তু হেব্বি বানাতে পারো পেত্নী। কত সুন্দর ভাবে গোল গোল তৈরি করো।
-হিহিহিহি পাগল একটা।
-হুম, আমি পাগল শুধু তোমার। সুক্ন রুটি আর কি তৈরি করা হচ্ছে?
-তোমার ফ্রেবারিট আলো ভাজি।
-আহা,
-শুনেই মুখে জল চলে এসেছে তাই তো!
-হুম
ছাদিক নিশাতের ঘাড়ে নিজের নাক ঘসতে থাকে।
-এই কি করা হচ্ছে হুম।
-কই কি করা হচ্ছে!
-দুষ্টুমি করছো কেন? তুমি এখান থেকে যাও বলছি।
পিছন থেকে মিম বলে,
-হ্যাঁ ভাবি ঠিকি বলেছে। ভাইয়া তুমি এতো দুষ্টু কেন বলোতো।
-এই মিম তুই এখানে!
-হুম আমি এখানে, তুমি এখান থেকে যাও তো ভাইয়া। আমি ভাবিকে সাহায্য করি। তুমি তো সাহায্য না শুধু খারাপ ধান্দায় এসেছো।
-এই পাজি মিম, কে বললো তোকে খারাপ ধান্দায় এসেছি আমি।
-তোমাকে দেখলেই বুঝা যায়।
ছাদিক রান্নাঘর থেকে চলে গেলে নিশাত আর মিম ফিঁক করে হেঁসে উঠে।
-ভাবি আমাকে রুটি বানানো শিখাবে?
-অবশ্যই,
-তাহলে শিখাও প্লিজ,
-হ্যাঁ
-বুঝোই তো আমার বিয়ে হয়ে গেলে বরকে এগুলা বানিয়ে খাওয়াতে হবে। বাবার খেয়ে অন্য একটা ছেলের বাড়িতে চাকরানী হয়ে থাকতে হবে।
“মিমের কথা শুনে নিশাত মিস্টি হেঁসে বলে”
-বোকা মেয়ে চাকরানী বলেনা। ছেলেরা কখনো তার বউকে চাকরানী মনে করেনা বুঝছো। ওরা কত কষ্ট করে যানো তুমি। সারাদিন পরিশ্রম করে বাসায় আসে। আর আমরা বসে বসে খেয়ে মনে করি রান্না করেই অনেককিছু করেছি।
-হুম,
-জামাই যতই খারাপ হকনা কেন? একটু মেনে নেও দেখবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। জামাই খারাপ হলে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিও, তবে কখনো খারাপ দোয়া দিও না। যানো তো মিম ফেরাউন তার স্ত্রীকে কতটা অত্যচার করেছিলো তাকে প্রভু মানার জন্য। তবে ফেরাউনের স্ত্রী কখনো প্রভু হিসেবে মানেন নি। হাতে পেরেক মেরেছিলো ফেরাউন। তবুও কখনো খারাপ দোয়া করেনি ফেরাউনের জন্য তার স্ত্রী।
-হুম
-মিম, রুটি বানানো শিখবে না?
-হ্যাঁ ভাবি।
আজকে প্রথম মিম ভাবিকে সাহায্য করছে সকালের খাবার বানানোর জন্য। রুটি আলু ভাজি বানানো হয়ে গেলে টেবিলে খাবার গুলো নিয়ে যায় নিশাত আর মিম।
-মিম তুমি বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে আসো।
-ওকে ভাবি।
মিম চলে যায় বাবা-মাকে ডাকতে সকালের নাস্তা করার জন্য। এদিকে নিশাত নিজের রুমে এসে দেখে ছাদিক ফোন নিয়ে কি যেন করছে। ছাদিকের কাছে গিয়ে দেখে। ছাদিক একটা মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করছে ফেসবুকে। তা দেখে রেগে যায় নিশাত।
-এই কি করছো তুমি,
“ছাদিক নিশাতের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যায়।”
-তুমি এখানে,
-হ্যাঁ আমি এখানে। কি করা হচ্ছিলো বলো তো।
-কই কিছু নাতো।
-বাহরে দেখলাম তো একটা মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করতে।
-কি বলছো যতসব মেয়েদের সঙ্গে চ্যাট করতে যাবো কেন আমি?
-তোমার ফোনটা দেখি আগে। তারপর বলছি,
-না দিবোনা,
-কেন দিবেনা, দেও বলছি।
নিশাত ছাদিকের হাত থেকে ফোনটা কেঁড়ে নেয়। দেখে ছাদিক একটা মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করছিলো। বাহরে এতোদূর জল গরীয়েছে। মেয়েটা লেখেছে, আপনি সিঙ্গেল, আর এই হনুমান লেখেছে হ্যাঁ আমি সিঙ্গেল।, নিশাত ছাদিকের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে রেগে। ছাদিক একবার নিশাতের দিকে তাকাচ্ছে আবার মুখটা নিঁচু করে নিচ্ছে।
-এই, এইসবের মানে কি?
-পেত্নী
-এই একদম পেত্নী বলবে না আমাকে।
-স্যরি,
-কিসের স্যরি হ্যাঁ। একটা অপরিচিত মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করতে তোমার লজ্জা করে না। এতো সুন্দর একটা বউ থাকতে অন্য মেয়ের দিকে নজর দেও কেমন করে হ্যাঁ। আর বলো আমি সিঙ্গেল।
-স্যরি এই কান ধরছি, আর কোনো মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করবো না। মেয়েটা আমাকে মেসেজ করেছিলো। বলছিলো আপনার প্রফাইলের পিকটা কি আপনার। আমি বললাম হ্যাঁ আমার।
-তারপর কি হলো,
-তারপর আর কি দুজনের কথা চলতে থাকে।
-ওহ আচ্ছা,
-উঁহু,
-কি উঁহু করা হচ্ছে হ্যাঁ। ওই মেয়ের সঙ্গে একদম কথা বলবা না আর।
-আচ্ছা ঠিক আছে স্যরি।
-হ্যাঁ এবার চলো সকালের নাস্তা করে নিবে।
-উঁহু,
-আমাকে ছারা অন্য মেয়ের দিকে নজর দিলে চোখ উঠিয়ে নিবো বলে দিলাম।
-আমার পাগলীটা,
(চলবে?)
গল্পঃ #তুমি_ছারা_আমি_শূন্য
পর্বঃ ১৮
লেখকঃ #Mohammad_Asad
-এই যে মহারানী তারাতাড়ি বের হয়ে নিন সময় তো চলে যাচ্ছে। কখন ঘুরতে যাবে?
নিশাত রুম থেকে বের হয়ে আসে।
-এই তো চলে এসেছি।
“ছাদিক কিছু না বলে নিশাতের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। নিশাত মিস্টি হেঁসে বলে”
-কি দেখছেন এভাবে মহারাজ।
“ছাদিক নিশাতের কাছে এসে নিশাতের মুখটায় আল্ত করে ছোঁয়া দিয়ে বলে।”
-আমার বউটা যে এত্তো সুন্দরী কেন আল্লাহ ভালো যানেন।
“নিশাত মুখটা পাকিয়ে বলে।”
-ইশশ আর পাম দিতে হবে না। এবার চলেন ঘুরতে যাই।
“ছাদিক নিশাতের দিকে তাকিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
ছাদিক ব্লু শার্ট আর সাদা পেন্ট পড়েছে আজ। আর ছাদিকের মিস্টি বউ বলতে নিশাত হিজাব পড়েছে।
ছাদিক বাইক স্টার্ট করে নিশাতকে বলে।
-এই যে পেত্নী, তারাতাড়ি উঠুন।
-হুঁ
“নিশাত হেলমেট পড়ে বাইকে উঠে।”
-এই তো উঠেছি হনুমান। এবার চলেন।
-আমার পেত্নীটা,
“নিশাত মিস্টি হেঁসে জরীয়ে ধরে। ছাদিক বাইক স্টার্ট করে দেয়। কিছুটা দূর যাওয়ার পর ছাদিক বলে।
-পেত্নী,
-উঁহু
-কোথায় যাবে?
“নিশাত দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে।”
-যেখানে দুই চোখ যায় সেখানে।
-ওহহ্ আচ্ছা,
-হুম
ছাদিক একটা বাজারে নিয়ে এসে বলে।
-পেত্নী কিছু খাবে?
-উঁহু না।
-কেন?
-তুমি খুব খারাপ। বলছিলে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে। এখন আবার খাবার খেতে বলছো।
-ইশশ স্যরি,
-হইছে এবার চলেন।
ছাদিক বাইক নিয়ে আসে একটা নদীর কাছে। নিশাত অনেক খুশি হয়ে যায়। আজকে প্রথম রাজশাহীতে মুক্ত বাতাসে প্রাণ খুলে শ্বাস নিচ্ছে নিশাত। চোখ বন্ধ করে প্রকৃতির মিস্টি বাতাস উপভোগ করছে। এদিকে ছাদিক নিশাতের মুখের দিকে মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
নিশাত খেয়াল করে ছাদিক নিশাতের দিকে তাকিয়ে আছে। একটু হলেও লজ্জা পেয়ে যায় নিশাত। মিস্টি হেঁসে বলে।
-হনুমান,
“ছাদিক নিশাতের ডাকে নিজের মধ্যে ফিরে আসে।”
-পেত্নী,
“নিশাত লজ্জা কন্ঠে বলে”
-এভাবে কি দেখছিলে হুম?
-তোমাকে দেখছিলাম।
-ইশশ কেন?
-আমার বউটা যে এতোটাই সুন্দর, কিউট মুখটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
“নিশাত লজ্জায় মাথাটা নিচু করে নেয়।”
-আমার বউটা কেন যে এতোটা লজ্জাবতী!
-,,,,,,,
নিশাত চুপটি করে ছাদিকের কাছে দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলতে পারে না। নদীর জলভরা পানির দিকে তাকিয়ে আছে দুজনে।
দুজনে হেঁটে চলেছে নদীর ধার দিয়ে। ছাদিক ফোনটা বের করে নিশাতের মায়াবী মুখটার ছবি তুলে নেয়। সন্ধ্যার আধা ঘণ্টা আগে দুজনে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে দেয়। ছাদিক নিশাত দুজনে যখন বাজারে ঢুকে তখন নিশাত বলে।
-হনুমান,
-হুঁ বলো,
-ফুসকা কিনে দিবে। অনেকদিন হয়ে গেলো খাইনা খুব ইচ্ছে করছে।
-এভাবে বলছো কেন নিশাত, এই যাচ্ছি আর নিয়ে আসতেছি দাঁড়াও।
ছাদিক নিশাতকে বাইকের কাছে দাঁড়িয়ে রেখে ফুসকার দোকানে যায়।
-চাচা বেশি করে ফুসকা প্যাকেট করে দেন তো।
নিশাত দূর থেকে ছাদিকের দিকে তাকিয়ে আছে। নিশাত একটু বামে খেয়াল করে আলামিন দাঁড়িয়ে আছে। তা দেখে নিশাত মনে মনে বলে ব্যাডা এখানেও চলে এসেছে। আলামিন একটা ইটেলের টুকরো হাতে নেয়। তা দেখে নিশাত বুঝে ফেলে। আলামিন কি করতে চায়।
নিশাত দৌড়ে ছাদিকের কাছে যায়। আর জরীয়ে ধরে, তা দেখে আশেপাশের মানুষ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। ছাদিক নিশাতের মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বলে।
-পেত্নী কি হয়েছে এভাবে জরীয়ে ধরলে কেন।
নিশাত কাঁদো কাঁদো কন্ঠে যখন আঙুল দিয়ে আলামিনকে দেখাতে যাবে তখন আলামিন ইটেলের টুকরোটা ছাদিকের মাথার উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে মারে। আর তা দেখে নিশাত ছাদিককে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় বুক থেকে।
নিশাতের মাথায় এসে লাগে ইটেলের টুকরোটা তা দেখে আলামিন ওখান থেকে চলে যায়। নিশাত আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। আশেপাশের মানুষ বলতে থাকে। কে ছুঁড়ে মারলো ইটেলের টুকরোটা। ছাদিক নিশাতের পার্শে বসে বলতে থাকে।
-নিশাত কি হয়েছে তো। কথা বলোনা কেন!
ছাদিক নিশাতের মাথা থেকে হাত শরীয়ে নিলে দেখে অনেক গুলো রক্ত তা দেখে চিৎকার দিয়ে উঠে ছাদিক।
-এই পেত্নী তোমার কপালে রক্ত কেন? তোমাকে কে আঘাত করেছে।
অনেক মানুষজন ছাদিক আর নিশাতকে ঘিরে ধরেছে। অনেকে বলছে। অনেক বড় ইটেলের টুকরো ছুঁড়ে মেরেছিলো ছেলেটির দিকে তবে মেয়েটি ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তবে কে ইটেলের টুকরোটা ছুঁড়ে মেরেছে কেউ বুঝতে পারেনি।
ছাদিক নিশাতের কোমড় ধরে কোলে তুলে নেয়। নিশাতের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ছাদিক। চোখ দুইটা বন্ধ করে রেখেছে নিশাত। ছাদিক একটা সিয়েন্জিতে করে পার্শের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ডক্টর রুম থেকে বের হয়ে আসলে ছাদিক বলে।
-ডক্টর নিশাত কেমন আছে।
-কপালে আঘাতের কারণে অনেক রক্ত বের হয়ে গেছে। তারাতাড়ি রক্ত পাওয়া না গেলে মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব না। আর আমরা চেষ্টা করছি তাড়াতাড়ি রক্ত জোগাড় করার জন্য। আপনিও চেষ্টা করুন।
(চলবে?)