গোধূলী আকাশ লাজুক লাজুক পর্ব-০৬

0
556

#গোধূলী_আকাশ_লাজুক_লাজুক (পর্ব-6)
লেখনীতে-ইনশিয়াহ্ ইসলাম।

তিনটি মাস! সময় পেরিয়ে গেছে অনেকটাই। তার সাথে হয়েছে সম্পর্কের পরিবর্তন। প্রতিবেশী থেকে মেহজার পরিবার ও ইরফানের পরিবার হয়ে উঠেছে পরম আত্নীয়। তাদের সবার একে অপরের সাথে খুবই মিল, ভাব হলেও যাদেরকে কেন্দ্র করে এই সম্পর্ক সেই মেহজা আর ইরফানেরই নেই একে অপরের সাথে কোনো যোগাযোগ। তবে একটি অদৃশ্যমান জিনিসও আছে বটে। যা খুব গভীর হয়েছে কিন্তু তারা কেউই সেটি মানতে রাজি নয়। মেহজা মুখে যতোই ঘৃণা করুক ইরফানকে মনে মনে তার হৃদয়ে ইরফান ব্যতীত অন্য কোনো পুরুষ নেই। ঠিক তেমনটি ইরফানেরও। সেদিনের পর থেকে মেহজার প্রতি তার মনেও তৈরি হয়েছে একটি কোমল অংশ। যা প্রতিনিয়ত মেহজাকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। মেহজাকে নিয়ে সে যত বেশি ভাবে তত বেশি সে ভালোওবাসে। কেন হলো! কখন হলো! এর উত্তর তার নিজেরও অজানা। সে শুধুই জানে হয়ে গেল কোনো ভাবে। মেহজা তার, তারই স্ত্রী! আছে এবং থাকবে।

সেদিনের ঘটনার পর মেহজা নিজের চন্ঞ্চলতা হারিয়ে ফেলেছে। আগের মত উড়নচন্ডী নেই সে। বাবার বাধ্য মেয়ে হয়েছে, এখন মায়ের কাজও করে দেয়। আবার শ্বশুড় শ্বাশুড়ির সাথেও গিয়ে কয়েকদিন থেকে আসে। ইরফানের মা অসুস্থ। ছেলের চিন্তায় চিন্তায় শয্যাশায়ী বলা চলে। ইরফান বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছে। সবার সাথেই সে কথা বলে যোগাযোগ রাখে শুধু তার মায়ের সাথে আর মেহজার সাথেই সে কোনো কথা বলছেনা। মায়ের সাথে কথা বলছেনা তার কারণ অভিমান! আর মেহজার সাথে কথা বলতে চাইছে কিন্তু পারছেনা। সে লজ্জিত নিজের কাছে নিজেই ঘৃণিত। মেহজার সাথে কথা বলবে কী তার সামনে দাঁড়াতেই সে অক্ষম তাইতো তিন মাসেও সে দেশে ফিরছে না। তবে নিজের দায়িত্ব সে এড়িয়ে যায়নি। মেহজার অগোচরে মেহজার পড়ালেখা বাবদ যত খরচ আছে সব কিছুই সে নিজে বহন করছে। প্রতিমাসে নির্দিষ্ট একটি সংখ্যা সে মেহজার মাকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারা আপত্তি করলেও একপ্রকার জোর করেই সে টাকাটা পাঠিয়ে দেয়। মেহজার মাঝে মাঝে খটকা লাগে তার মা তাকে প্রতিমাসে নিজের ইচ্ছেয় খরচ করার জন্য দশ হাজার টাকা দেয়। আগে তো এত গুলো টাকা দিত না! যেখানে সে মাসে এক্সট্রা এক হাজার টাকাই পেত সেখানে দশ হাজার! তাও তার বিয়ের পর থেকে। মেহজার মনে ইরফানের টাকা দেওয়ার ব্যাপারটা একবার নয় কয়েকবারই আসে কিন্তু পরে মনে হয় ইরফান তো দায়িত্ব থেকে বাঁচতেই পালিয়েছে সে কেন টাকা দিবে! অধিকার খাটিয়েই সে ফুড়ুৎ! অসুস্থ মেহজার সাথে এমনটি করতে তার বিবেকে বাধে নি? সে জানে সেদিনের পর মেহজা পাঁচ দিন বিছানায় পড়ে ছিল! মেহজা একমাস ট্রমায় ছিল! হলিক্রস তার বরাবরের স্বপ্ন ছিল কিন্তু সে পরীক্ষাই দিতে পারেনি। জিপিএ পাঁচ পায় মেহজা। রেজাল্ট খুবই ভালো ছিল তার। মেধাবী ছাত্রী কিন্তু একটা দুর্ঘটনায় একূলও গেল ওকূলও গেল। পরে ইমা এক প্রকার জোর করেই তাকে ইমাদের কলেজে ভর্তি করায়। ইমা মেহজাকে খুব গাইড করছে এখন পর্যন্ত। ইমা আর ইকরার সাথে সবচেয়ে বেশি ভাব হয়েছে মেহজার। ইমা কলেজ শুরু হলে একদম ম্যাম হয়ে যায় আর কলেজ শেষ হলে আবার ননদ হয়ে যায়। তাদের ভাবী ননদের সম্পর্কটা খুব মিষ্টি নেই কোনো তিক্ততা। ইনায়া সেদিনের ঘটনার পর একবার আসে ইনায়ার সাথেও খুব ভালো ভাবে মিশে যায় মেহজা। ইকরা আর ইমার সাথে সে একবার চট্টগ্রাম ইনায়ার বাসা থেকেও ঘুরে আসে। ইনায়ার ছেলে মেয়ে মামী বলতে পাগল। ইরফানের সব বোনের ছেলে মেয়েই ইকরাকে খুবই পছন্দ করে যেমনি তারা তাদের মামাকেও করে।

মাহিমা বেগম সেদিন ইচ্ছে করেই তাদের দুজনের বিয়েটা দেয়। যেহেতু মেহজাকে তার আগে থেকেই পছন্দ ছিল আর ইরফানও বয়সের দিক থেকে মেহজার বড়। অবশ্যই স্বাভাবিক ভাবে তাদের কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেলে ছেলের বয়স বেশি বলেই সে সম্পর্কটা পায়ে ঠেলে দিত। তার ছেলেও নিশ্চয়ই মেহজাকে ছোট বলে বিয়ে করতে চাইতো না। তাই যখন সে একটা ভালো সুযোগ পেয়েছেই সেটিই কাজে লাগিয়েছে। বোকা মহিলা বুঝেনি তার কারণেই তার ছেলের জীবন আজকের অবস্থায় দাঁড়াতো। তবে আজ সে তা উপলদ্ধি করছে। হারে হারে টের পাচ্ছে। ছেলের সাথে কত কথা বলার চেষ্টা করছে তার ছেলে কথা বলতেই চাইছেনা। আহনাফ মজিদের সাথে এখন সব ঠিক হলেও মাহিমা বেগমের সাথে কিছুই ঠিক হয়নি।

———————-

মেহজা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। আজকে রোদের তীব্রতা তাকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। বারবার হাত দিয়ে কপালের ঘাম মুছে নিচ্ছে। কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে না বসলেই নয়। সামনেই তার চাচাতো ভাই রফিকের ফার্ণিচারের শোরুম। সেখানে কিছুক্ষণ বসা যাক। ভাইয়ের সাথেও অনেকদিন কথা হয়নি দেখা হয়নি। অথচ এক সময় তারা একে অপরের সাথে কত সময় একসাথে হেসে খেলে কাটিয়েছে। রফিক তার ভাই কম বন্ধু বেশি। রফিকের মেয়েটা একদম মেহজার মত হয়েছে। এক বছর হতে চলল রূপসার। তাকেও তো এই কয় মাসে একবারো দেখতে যায়নি। না আজকে অন্তত ভাইয়ের সাথে দেখা করে আসতে হবে।

মেহজা দোকানে ঢুকতে যাবে তখনি পাশ থেকে কিছু কথা শুনে থমকে যায়। দুইজন লোক একটি মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলছে

“এই মাইয়া প্রত্যেকদিন ঘর থেইকা বাইরে বের হয়। সারাটাদিন বাজারে থাকে। এক্কেরে বাজারু মাইয়া।”

মেহজা মেয়েটিকে আরেকবার ভালো করে দেখে নেয়। সে মেয়েটিকে চিনে। তাদের কলেজের সামনেই সে হাতের তৈরি কিছু নকশি কাঁথা, মাটির পুতুল, পুঁতির ব্যাগ আরো নানান আসবাবপত্র বিক্রি করে। মেহজাও তার থেকে একটি পুঁতির টিস্যু বক্স কিনেছিল। মেয়েটির চাল-চলন, বাচন-ভঙ্গি অত্যন্ত শালীন। সৎ উপায়ে উপার্জন করে তারপরও সমাজের কিছু মানুষ তাকে নিয়ে এমন বাজে মন্তব্য করে কীভাবে! কেউ বাজারে গেলেই কী সে বাজারু হয়ে যায়! মেহজা এসব ভাবতে ভাবতেই রফিকের শোরুমে ঢুকে পড়ে। মেহজাকে দেখে রফিক সে কি খুশি। মেহজার জন্য তার প্রিয় বার্গার আর কোল্ড কফিও আনায়। নানান কথাবার্তাও বলে মেহজা দু তিনটের জবাব দিয়ে আবার চুপ করে যায়। তার মন অন্যদিকে। রফিকের প্রত্যেকটি কথা অতটা গুরুত্ব দিয়ে না শুনলেও একটি কথা বেশ মনযোগ দিয়েই শুনে তা হলো ব্যবসার ক্ষয় ক্ষতি। শুনে মনটা আরেকটু খারাপ হয়।

মেহজাকে অন্য মনষ্ক দেখে রফিক বলে

“মেহু তুই কী ভাবছিস রে! আমি কি বলেছি কিছু শুনেছিস নাকি এমনেই হু হু করছিস।”

“হু!”

“কি হয়েছে বল তো?”

“বলব?”

“হ্যাঁ বল!”

“আচ্ছা বলিই তাহলে।”
মেহজা কিছুক্ষণ থেমে বলতে শুরু করে
“ধরুন আমি বাজারে গেলাম। বাজার করে বাসায় ফিরে আবারো বাজারে গেলাম। সেখানে বসে টং দোকানের চা খেয়ে কাজে গেলাম। সেখান থেকে আসার সময় আবার বাজারে গেলাম। এখন বলুন এইযে আমি এতবার বাজারে গেলাম আমি কি বাজারু হয়ে গেছি রফিক ভাই!”

মেহজার এমন কথা বড্ড খাপছাড়া আর কেমন একটা আবলামির মত লাগছে। বাজারে গেলে বাজারু হতে হবে ? এটাও সম্ভব! তাহলে তো সে সারাদিন বাজারেই থাকে সেও কি বাজারু! হোয়াট! বাজারু! বলতে এবং শুনতে দুটোতেই এক কলসি খারাপ লাগছে। ইশশিরে কি বিশ্রী এক কথা! মেহজা রফিকের দিকে তাকালো, রফিকের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে এমন প্রশ্নে সে কিছুটা অবাক হয়েছে। তাই প্রসঙ্গ এড়িয়ে আবার বলল

“তিনশ টাকা দিয়ে কখনো পাঁচশ টাকা বানিয়েছেন রফিক ভাই!”
রফিকের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে সে এক আকাশ বিস্মিত। এটা আবার কেমন কথা! তিনশ টাকা পাঁচশ হয় কীভাব?

রফিক কিছু বলার আগেই মেহজা নিজেই বলল

“আমার মায়ের তিনশ টাকার দরকার ছিল। অতি জরুরী। টাকাটা হাতে পেলে মনে হয় সে এক যুদ্ধ জয় করে ফেলবে। তার এই অতি দরকারের সময়ে আমি তাকে তিনশ দিলাম। বারবার করে বলেওছি যে এখন আমার থেকে যেমন নতুন সুন্দর টাটকা নোট গুলো নিচ্ছ দেওয়ার সময় ঠিক এমনটাই দিবে কিন্তু। মা এক কথায় রাজি ছিল। কারণ পিপাসার সময় কাউকে এক ফোঁটা পানি দিলেও তার রূহ আপনাকে এক সমুদ্র দোয়া করবে। বিনিময়ের বদলে বিনিময়। গিভ এন্ড টেক বলে একটা কথা আছে না! আপনি যখন কাউকে নরমাল সময়ে ধার দিবেন মানে তাকে এখন না দিলেও চলবে পরে দিলেও হবে এমনটা, তখন সে দেওয়ার সময় আপনি যতটুকু দিয়েছেন ঠিক ততটুকুই দিবে। কিন্তু আপনি যদি ইন দ্যি ইন্ড মানে একেবারে শেষসময়ে না দিলেই নয় এমন সময়ে দেন তো পরে যখন সে আপনাকে দিবে তখন সে খুশি হয়েই আপনাকে আরো বেশি দিবে। যা বলছিলাম! আমার মা কিন্তু পরে আমাকে তিনশ টাকা দেয়নি দিয়েছে নতুন চকচকে টাটকা একটি পাঁচশ টাকার নোট। তাহলে আপনিই বলুন আপনি এখান থেকে কি বুঝলেন!”

“বুঝলাম তো অনেক কিছুই। তাও যেটা প্রধান বিষয় সেটি হলো মরার সময় পানি খাওয়াবে যেই লোকটাকে সেখানেও পলিসি করে যেতে হবে। মানে তখন তুমি সেই পানি খাওয়ানোর কারণেও সওয়াব পাবে। এটাই বিজনেস, এটাই ব্যবসা! এমন ব্যবসা না করলে তো কাড়ি কাড়ি টাকা আসবেনা।”

“আপনি আমার পুরো কথাটা ধরেও ধরতে পারেন নি রফিক ভাই। সেই যাই হোক যা বুঝেছেন তাতেই হবে। তবে হ্যাঁ! আপনি যদি তাকে দেন অবশ্যই নেক উদ্দেশ্যে দিবেন বেশি পাওয়ার উদ্দেশ্যে দিবেন না। আমি কিন্তু আমার মাকে তার দরকারেই টাকা দিয়েছিলাম বেশি পাবো এমনটা আশা করিনি। পরে দেখা গেল আপনি যেমন দিলেন তেমনি পেলেন তখন আবার আপনি উল্টো রাগারাগি করবেন। কারণ আপনার মাথায় উপকারের চিন্তা কম উপকৃত হওয়ার চিন্তা বেশি ঢুকে গেছে। আর আরেকটা কথা না বললেই নয়। এমন লোক আপনার কাছে টাকা চাইছে যে শোধ নাও করতে পারে কিন্তু টাকাটা দিলে আপনার বড় কোনো ক্ষতিই হবেনা তখন এমনেই তাকে টাকাটা দিয়ে দিবেন। তারপর আর তার থেকে পুরষ্কর আশা করবেন না কারণ আপনার নেক কাজের কারণে স্বয়ং মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন আপনাকে অনেক বড় পুরষ্কার দিবেন যা আপনি কখনোই কল্পনা করেন নি।”

রফিক মুগ্ধ হয়ে মেহজার কথা গুলো শুনলো। তারপর অস্ফষ্ট স্বরে বলল

“অপূর্ব!”

মেহজা মুঁচকি হাসি দিল। রফিকের মনে হলো মেয়েটার মত জ্ঞানী সে এই মুহূর্তে আর কোথাও দেখছেনা। কত সুন্দর তার বোঝানোর ধরণ ঠিক যেন মাস্টারনী!

মেহজা আবারো বলল

“আরেকটা কথাও মনে রাখবেন কখনো কারো হক মারবেন না। তাহলে আজ হোক কাল আপনার সেই মন্দ কাজের ফল ভোগ করতেই হবে।”

🍁🍁🍁🍁🍁

লিফ্টে উঠে আঠারোর বাটনটি চাপ দেয় মেহজা। হাতে কোল্ড কফিটি তবে এখন আর কোল্ড নেই নরমাল হয়ে গেছে। মেহজা বাসায় গিয়ে এটাতে আইস কিউব দিয়ে খাবার প্ল্যান করছে। ইকরা একটু আগে ফোন দিয়ে জানিয়েছে সে বিকেলে আসবে। তাই মেহজা রফিকের থেকে তাড়াতাড়ি বিদায় নিয়ে আসে।

রাতে সে ইরফানদের বাসায় যাচ্ছিল। কারণ ইকরা তাকে নিয়ে কোন পার্টিতে যাবে তাই তাকে শাড়ি পড়তে বলে। মেহজা শাড়ি পড়ে সিঁড়ি দিয়েই উপরে চলে যায়। ইরফানের বাসার দরজায় লক করতে নিলে তার মনে হয় মাত্রই সে ইরফানকে দেখেছে। মনের ভুল ভেবে সে সেটা উঁড়িয়ে দেয়। পরে আবার দেখে ইরফান তার পাশে এসে দাঁড়িয়ে হাসছে। মেহজা কিছুটা রেগে বলে

“এই অভদ্র পুরুষ! হাসছেন কেন? ঠোঁট ছিঁড়ে ফেলবো একদম।”

“তা ঠোঁট ছিঁড়বে কীভাবে! হাত দিয়ে টেনে নাকি দাঁত দিয়ে কামড়ে।”

মেহজা ভাবে লোকটি কল্পনাতে কথাও বলছে! ইমেজিনেশন নাকি সত্যি! সত্যি তো হবেনা কারণ সে তো নেই। আজ অনেক দিন হলো সে আসেনি। হয়তো আসবেও না। মেহজার মনে হলো লোকটি বাস্তবের মত কল্পনাতেও দূষিত হয়ে যাচ্ছে। না, এখনি এই দূষিত ইরফান ইয়াজিদকে সরিয়ে দিবে। দুইবার চোখ বন্ধ করে আবার পাশে তাঁকায়। এখন আর কাউকেই দেখছে না। কল্পনাই ছিল। এবারের কল্পনাটা একদম বাস্তব ছিল। পুরোটাই বাস্তব লাগছিল। অদ্ভুত না! হুম বড্ড অদ্ভুত।

বোকা মেহজা কল্পনার সাগরে ডুবে থাকতে থাকতে এখন বাস্তবও কল্পনা মনে করে। ইরফান যে সত্যিই তার কাছে এসেছে তা সে সত্যিই বুঝলোনা।

#চলবে!