তুমি আসবে বলে পর্ব-৩৪

0
377

#তুমি_আসবে_বলে
#হুমাইরা_হাসান
পর্ব- ৩৪

এক হাত আমার কোমরে আবদ্ধ রেখেই আরেক হাতে ফোন চালিয়ে যাচ্ছে, মাস্ক পরা মুখটাই গাম্ভীর্যের ছাপ স্পষ্ট। একদম পেছনের দিকের সীটে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লোকটা এখানে কি করে আসলো? দ্যা ওয়ান এন্ড অনলি সিরিয়াস চৌধুরী এখানে? বাসে? মার্সিডিজ রেখে বাসে চড়েছে? ব্যাপার টা ঠিক হজম হলো নাহ। এর আমার ভাবনার মাঝেই ফোনটা পকেটে রেখে আমার দিকে তাকালো। নীলাভ চোখ জোড়ার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে একটু বেশিই অপ্রস্তুত আগছে। হাত ছাড়িয়ে আলগোছে সরে আসতে নিলেই বাসটা চরম বেই’মানি করলো। অসমতল রাস্তায় বাঁক টানতে নিলেই ভীষণ জোরে ঝাঁকি লেগে এক ধাক্কায় ছিটকে যেতে নিলেই বলিষ্ঠ হাতের বন্ধনের দৃঢ়তায় আটকে গেলাম। হ্যাচকা টানে আমায় বিদ্যুতের বেগে কাছে টেনে নিলো মেঘ। ভয়ে দু’হাতে খামচে ধরেছি। পাশ থেকেই জন দুয়েক ভদ্রলোক বেশ রাগ করলো ড্রাইভারের এহেন অসতর্কতার কারণে।

মেঘালয়ের শরীরের সাথে মিশে থাকার কারণে গ্রীষ্মের উত্তাপের চেয়েও গরম নিঃশ্বাস স্কন্ধদেশে শু’লের মতো ঢুক’ছে যেনো প্রতিটি লোমকূপে। তড়াৎ বেগে সরে যেতে নিলাম। তবুও হাতের বন্ধন আলগা না হওয়ায় সরে যেতে ব্যার্থ হলাম। মেঘ আলগোছে আবারও আমায় কাছে টেনে উনার বুক ঘেঁষে দাঁড় করালেন।
সীট টা একদম শেষের সারির। একটা সীটের সাথে হেলান দিয়ে তার সামনের সীটে পা বাধিয়ে আছে মেঘ। আর দু পায়ের মাঝে আমায় দাঁড় কয়ে রেখেছেন। আমি হতবাক হয়ে গেলাম উনার এভাবে আমায় অন্যের স্পর্শ থেকে সরিয়ে রাখার কৌশল টাই।

আমরা মেয়েরা তো প্রথম আশ্রয় পায় বাবা নামক মানুষটির ছায়ায়,যার সাথে থাকলে যেনো শত বিপদকেও ছো মেরে উড়িয়ে দেওয়া যায়, যে মানুষটাই আমাদের বাইরের দুনিয়ার কলু’ষিত রূপটা থেকে প্রতিটি ক্ষণে আগলে রাখেন,ভরা রাস্তা পার করিয়ে দেওয়া,ভীড়ের মাঝে এক হাতে আগলে নেওয়ার প্রথম অভিজ্ঞতাই তো বাবা, আর দ্বিতীয় হলো সেই মানুষটি যে বাবার পরে আমাদের আশ্রয়স্থল হয়,যে জনমানব ভর্তি রাস্তায় ঠিক বাবাদের মতোই হাতটা ধরে নেয়,যেই হাত টা আমাদের এক বুক ভরসা দেয়,প্রশান্তি দেয়। মেঘের কাছে আমি সেই ভরসাটা পাই,প্রশান্তি পাই। অদ্ভুত নিশ্চয়তা পাই।
আমি বরাবর চেয়েছি আমার মনের মানুষটির মাঝে যেনো বাবার মতোই এক আকাশ ভরসা পাওয়া যায়,শত ভীড়েও সে আমায় আগলে নিতে পারে ঠিক যেমন মেঘ নিলো। হঠাৎ করেই অদ্ভুত প্রশান্তির হাওয়ায় শরীর জুড়ে গেলো। অসম্ভব ভালো লাগা ছেয়ে গেলো লোকটার প্রতি।

মৃদু ঝাঁকুনিতে বাস এগিয়ে চলেছে, জানালা দিয়ে আসা এলোমেলো হাওয়ায় চুল গুলো ছড়াছড়ির খেলা জুড়েছে শুভ্র কপালে। জাম কালার শার্ট এর কলার টাও মৃদু দোল খাচ্ছে এমন বাতাসে। লোকটা এতো সুন্দর কি করে! সৃষ্টিকর্তা যেনো সব মায়া আর ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছে চেহারাটার মাঝে, দিন দিন আমি আসক্ত হয়ে পরছি এই চেহারায়, যা না দেখলে আমার বক্ষপিঞ্জর অজানা ব্যাথার ব্যথিত হয় এক মুহুর্তেই শতবার।
আমায় এভাবে অপলক চেয়ে থাকতে দেখে মাস্কে ঢাকা মুখেই ভ্রু জোরা উচিয়ে জিজ্ঞাসা সূচক ইশারা করলো। আমি মৃদু হেসে ঘনঘন এদিক ওদিক মাথা নাড়িয়ে বুঝালাম কিছুই নাহ। সামনের লোকটার চোখ জোড়া ছোট হয়ে এলো চোখের দু পাশে পরা ভাজ গুলোই তার মাস্কে ঢাকা মুখের অমায়িক হাসিটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলো। কেনো হাসেন উনি, জানেন না যে এই হাসিতে আমি বারংবার ম’রি,হাজার বার ঘা’য়েল হই।
ভেতরের অজানা আমিটা হুট করেই ভীষণ জেদ ধরলো, সে মাস্কের আড়ালের মুখটা নয় স্পষ্ট হাসি দেখতে চাই তার প্রাণপুরুষের।

বাসটা কিছুক্ষণের জন্য থামতেই পেছন থেকে লোকজন নেমে ভীড় কমিয়ে দিলো,গুটি কয়েকজন ছিলো তারাও ফাঁকা জায়গা পেয়ে সামনের দিকটাই গিয়ে বসলো। এই সুযোগ টার মোক্ষম ব্যবহার করলাম আমি। এই গরমেও উনার মাস্ক পরার কারণ টা আমার স্পষ্ট জানা। বিভিন্ন নিউজ রিপোর্ট আর ম্যাগাজিনে চৌধুরী ইন্ডাস্ট্রির সার্ভে প্রায়ই ছাপার কারণে তার মুখটা বেশ সুপরিচিত, তাই অযথা জনসম্মুখে এমন লোকাল বাসে প্রশ্নের সম্মুখীন না হতে চাওয়াটাই মুল কারণ মুখ ঢাকার।
কিন্তু আমিতো তা মানবো নাহ,দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে আরেকটু কাছে সরে এলাম। দুহাত উচিয়ে আলতো করে মুখের মাস্ক টা খুলে নিলাম। উনি চোখ রাঙাতেই খিলখিল করে হেসে দিলাম যেনো মহাসাধ্য সাধন করেছি, আশপাশে সাবধানী নজর বুলিয়ে বেশ জোরে চেপে ধরলো কোমর টা মুখ টা ঝুঁকিয়ে এনে সারা মুখে ফুঁ দিয়েই পিছিয়ে নিলো মুখ। লজ্জায় ঘাড় নিচু করে রেখেছি। উফ আমি জানতাম লোকটা বেহায়া তাও যে কেনো নিজে থেকেই পাকনামি টা করতে গেলাম, সামান্য মাথা টা উচিয়ে উনার দিকে তাকাতেই দেখি চোখ দু’টো ছোট ছোট করে বাকা হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে। এক কান থেকে ব্লুটুথ হেডফোন টা খুলে আমার কানে গুঁজে দিলো,, মৃদু সুরে বাজছে সেখানে

“Tu ki jane pyaar mera, main karoon intezar teraa…tu dil tu yu jaan meri,,jan merii…main tenu samjhawan ki,nah tere bina lagda ji”

যেনো গানের শব্দ গুলো মেঘ নামক পুরুষটির কণ্ঠেই বাজছে আমার কানে,,, এতো! এতো ভালো কেনো লাগছে। তীব্র গরমের দুপুরে ভ্যাপসা হাওয়ার এই লোকাল বাসটাও যেনো অদ্ভুত সৌন্দর্যের প্রতিমা লাগছে। এতো ভালো কেনো লাগছে! প্রেমে পরলে কি এতো ভাল্লাগে! ভালোবাসা কি সত্যিই এতোই সুন্দর?!

~

-উফ এই পালক ফোন কেনো ধরছে নাহ,কই মরলো শয়তান টা, এখন আমি কি করবো। আমার কি করা উচিত? কফি বানানো উচিত, হ্যাঁ কফিই তো খেতে চেয়েছে এতো নার্ভাস হওয়ার কি আছে, কফিই তো

নিজের সাথেই একা একা বকবক করছে শিমু অনবরত, ধ্রুব তার সাথে চৌধুরী ভিলাতেই এসেছে, মেঘালয় তাকে ডেকেছিলো কোনো এক ফাইল নিতে। কিন্তু তাকে ডেকে সে নিজেই হাওয়া, ধ্রুব বার কয়েক ফোন দেওয়ার পর মেঘালয় থেকে টেক্সট এসেছে, তাকে ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা করতে বলে। শিমুও সৌজন্যের খাতিরে ধ্রুব কে বলেছিলো মেঘালয় না আসা অব্দি সে তার ঘরেই বসতে পারে, বলে তো দিয়েছে এখন পালক ও ফিরছে নাহ। লোকটার সামনে দাঁড়ালেই কেমন মাথা টা গোলমেলে হয়ে যায়। এখন ভর দুপুরে একটা মেহমান আসলে তাকে কিছু তো অফার করা উচিত, চা কফির কথা জিজ্ঞাসা করাই ধ্রুব বলেছে এই গরমে কোল্ড কফি হলে মন্দ হয়না। এখন রান্নাঘরে এসে চিরচেনা কফি বানানোর পদ্ধতি টাও যেনো ভুলতে বসেছে।

সাত পাচ ভাবা বন্ধ করে, ফ্রিজ থেকে দুধ বের করে দুটো গ্লাস নিয়ে কফি বানানো শুরু করলো।

-আমি হেল্প করবো

পেছন ঘুরেই দেখে ধ্রুব এক হাতে কিচেন কেবিনেটে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার পেছনেই।

-আরে না না, আমিই করে নিতে পারবো আপনি কেনো কষ্ট করে আসতে গেলেন

-কষ্ট, কিসের কষ্ট? একা একা বসে থাকার চেয়ে ভাবলাম তোমাকে হেল্প করি গল্পও করা হয়ে যাবে। আমি কিন্ত কফি বেশ ভালো বানায়।

-আমি ব্যস্ত হবেন নাহ আমিই পারবো

-আরে একবার সুযোগ দিয়েই দেখো নাহ, ভালো না লাগলে বলিও

বলেই শিমুকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই কফি বানাতে শুরু করলো ধ্রুব। শিমু বারণ করা সত্ত্বেও শুনলো নাহ। বেশ দক্ষতার সাথেই পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কফিটা বানিয়ে গ্লাসে দুটো স্ট্র দিয়ে বসার ঘরে আসলো।
শিমুও পেছন পেছন এসে বসলো সোফায়।
ধ্রুব একটা গ্লাস শিমুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো

-আফটার ইউ

শিমু একটু খেয়ে বললো

-বাহ,খুব ভালো কফি বানাতে পারেন তো!

-খারাপ হলেও কি বলবে নাকি

-সত্যিই ভালো হয়েছে আপনি টেস্ট করে দেখুন।

শিমুর কথায় ধ্রুব এক চুমুক খেয়ে বললো

-হুমম,ভালোই হয়েছে, আমি বরাবর ই ভালোই বানায় তবে আজ একটু নার্ভাস হয়ে গেছিলাম আরকি

-কেনো।

-আসলে এতোদিন তো শুধু নিজের জন্যেই বানিয়েছি, আজ কোনো মেয়ের জন্য বানালাম,একটু তো হেসিটেশন লাগেই তাই নাহ

বলেই হেসে দিলো ধ্রুব। এহেন কথায় শিমুও হেসে দিলো শব্দ করে বেশ, ধ্রুব হাসি থামিয়ে বললো

-প্রিটি স্মাইল

___________________

বাস স্ট্যান্ডে এসে নামলাম দুজনে। মেঘ আমার এক হাত ধরে রাস্তা পার করে হাত উচিয়ে একটা রিকশা থামিয়ে আমায় বললো

-উঠুন ম্যাডাম

-রিকশাতে যাবো? দুজন একসাথে?

-না তো কি দুজন দুই রিকশা নিয়ে যাবো

-না মানে আসলে…

-চুপ, আসলে নকলে পরে চুপচাপ রিকশাতে ওঠো,নাকি চাচ্ছো আমি কোলে করে উঠাই

উনার ধমকে সাথে সাথে রিকশায় উঠে বসলাম। এই লোক দিয়ে একটুও বিশ্বাস নেই, ভরা বাসে যে কোমর ঝাপতে ধরতে পারে, সে রাস্তার মাঝে কোলে তুলেও নিতে পারে।
আমি উঠে বসার পরপর ই মেঘ উঠে বসলো পাশে। উনার দিকে ফিরে বললাম

-কথায় কথায় এভাবে কোলে তুলে নেওয়ার ধমকি দেন কেনো হ্যাঁ, আমি কি ছোট বাচ্চা

-তুমি তো ইচ্ছে করেই ত্যাড়ামি করো যাতে আমি কোলে নেওয়ার কথা বলি।

সামনের দিকে তাকিয়েই রোবটের মতো উত্তর দিলো ব্যাটা খ’বিশ। ভ্রু কুচকে বেশ তেজ দেখিয়ে বললাম

-সবাইকে কি নিজের মতো নি’র্লজ্জ ভাবেন নাকি যে এসব ভাববে। যখন তখন আমায় এভাবে তুলে নেবো বস্তায় ভ’রে নেবো এমন হুম’কি ধম:কি একদম দিবেন না বলে দিলাম। আমি আপনাকে মোটেও ভয় পায়না

-আচ্ছা! পাও না ভয়

বলেই আরও কাছে সরে এলেন, আমি উনার দিকে তাকিয়ে দেখি আবারও কালকে রাতের মতো ডে’ভিল স্মাইল টা দিয়েছে, নির্ঘাত কিছু একটা অ’ঘটন ঘটাবে এই লোক,আমি হাড়ে হাড়ে চিনি এই সিরিয়াস চৌধুরীকে।
শুকনা ঢক গিলে সরে গেলাম খানিকটা। উনি আরও আমার দিকে সরে এলো। এ কি জ্বা’লা। আচ্ছা জ্বা’লানো জ্বা’লাচ্ছে আমায় এই লোকটা, সরতে সরতে একবারে কিনারা ঘেঁষে আসতেই এক হাতে দিয়ে কোমর ধরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে নিলেন।
আমি উনার হাতটা এক ঝামটা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বললাম

-এভাবে বেশ’রমের মতো হুটহাট একটা মেয়ের কোমর জড়িয়ে ধরতে লজ্জা লাগে না আপনার

-জড়িয়েই তো ধরেছি,আর কিছু তো করিনি এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে ,, আর তাছাড়াও এখনই তো সব লজ্জা শেষ করে ফেললে হবে নাহ, কিছু বাচিয়েও রাখো,ইন ফিউচার না তো ধার করেও পাবে নাহ

এমন বেহুদা কথা শুনে আমার কি বলা উচিত আমি জানি নাহ। এই লোকটা মেঘালয় চৌধুরী হতেই পারে নাহ,আমি যাকে চিনতাম তাকে বো’ম মার’লেও একটা কথা বলানো যেতো নাহ,আর এই লোকটা যা নয় তা বলে,তাও লাগাম ছাড়া

-আমার ভবিষ্যতের চিন্তা আপনাকে করতে হবে নাহ,আপনি নিজের টা ভাবুন

-নিজের টাই তো ভাবলাম। এই যে সরে সরে একদম কিনারা ঘেঁষে যাচ্ছিলে, এমনিতেই তো লিলিপুট একটা মানুষ। পরে দেখা গেলো ঠা’স করে পরে গিয়ে মাজা ভে’ঙে বসে থাকলে সেই আমাকেই তো কোলে নিয়ে দৌড়াতে হবে ষাট কেজি

কিহ,আমি ষাট,আমার মতো মানুষের ষাট কেজি কি করে বললো লোকটা

-এই, এই আপনাকে বলেছি না একদম ষাট কেজি বলবেন নাহ আমায়, আমার ওজন পঞ্চাশ ও পার হয়নি। সমস্যা আপনার তাই আপনি পঞ্চাশ কেজির ও কম ওজনকে ষাট কেজি বানাচ্ছে।

আমার কথায় মেঘ ঘাড় কাত করে তাকালো,বাকা হাসিটা দিয়ে মাথা টা ঝুকিয়ে এনে,নাকে একটা ঘষা দিয়ে বললো

-আমার সমস্যা আছে কি নেই সেটা সময় আসলেই বুঝিয়ে দেবো, তখন হাজার বারণ করেও কিন্ত কোনো লাভ হবে নাহ, আই ওন্ট লিসেন এ ওয়ার্ড।

এমন বেহা’য়াপনা কথা শুনে লজ্জায় আমি কোন রঙ ধারন করবো জানি নাহ, একটা মানুষ কি করে এতোটা লাগাম ছাড়া হয় জানিনা। মামনী কি খেয়ে পেটে ধরেছিলো এই লোকটাকে। লজ্জা পেলেও তা দমিয়ে কপট রাগ দেখিয়ে বললাম

-খবরদার আমার সাথে ফালতু মজা করবেন নাহ একদম, নি’র্লজ্জ বেহায়া পরপুরুষ কোথাকার।

আমার কথা শুনে চোখ ছোট করে তাকিয়ে বললো।

-জানো নূর, রাগলে তোমায় একদম দুই ফুটের ডাইনাসোর লাগে।

রাগী রাগী মুখ করে রাখতে চাইলেও কিছুতেই পারলাম নাহ। উনার এরূপ কথায় না চাইতেই ফিক করে হেসে দিলাম। এই লোকটার সাথে থাকলে আর কি শুনতে হবে খোদা জানে
.
.
.
.
চলবে ইনশাআল্লাহ