তৃষ্ণার্ত প্রেম পর্ব-০৭

0
11
তৃষ্ণার্ত প্রেম
বাংলা রোমান্টিক গল্প | তৃষ্ণার্ত প্রেম

#তৃষ্ণার্ত_প্রেম |৭|
#শার্লিন_হাসান

(প্রাপ্ত বয়স্ক মনস্কদের জন্য উন্মুক্ত)

একজন সার্ভেন্ট খাাবার নিয়ে আসে রুমে। তার পেছন দিয়ে তাইজ্যিন ও রুমে প্রবেশ করে। শার্মিলা নিশ্চুপ এক ধ্যানে বসে আছে। সার্ভেন্ট আসতে শার্মিলা নড়েচড়ে বসে। খাবারের প্লেট হাতে নিতে যাবে তাইজ্যিন তাকে থামিয়ে দেয়। শার্মিলা বুঝেছে তাইজ্যিন তাকে খাইয়ে দিবে। শার্মিলাকে বসিয়ে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে তাইজ্যিন। নিজ হাতে স্বযত্নে শার্মিলাকে খাবার খাইয়ে দেয় সে। শার্মিলা তাইজ্যিনের কান্ড হাসিমুখে গ্রহণ করছে। খাওয়া শেষ হতে শার্মিলা জিজ্ঞেস করে, “কখনও কোন নারীকে এভাবে খাইয়ে দিয়েছেন?”

“মোটেও না। তুমি প্রথম নারী যাকে আমি প্রথম ভালোবাসার পরশ দিয়েছি এবং যার ছোঁয়া আমার সর্বাঙ্গে রয়েছে।”

“মিথ্যে কথা।”

“তাহলে সত্যিটা তুমি বলো?”

“জানি না।”

শার্মিলার কথায় তাইজ্যিন মুচকি হাসে। শার্মিলা ভাবছে তাইজ্যিনকে জিজ্ঞেস করবে, ডিনার করেছে নাকী করেনি। পরক্ষনে নিজের ইগোর কাছে হেরে গেলো সে। জিজ্ঞেস করা হয়নি। দু’জনে খাটের দু’প্রান্তে। তাইজ্যিন কিছুটা এগিয়ে গিয়ে শার্মিলাকে নিজের গা ঘেঁষিয়ে নিয়ে আসে। শার্মিলা নিজের পাশ থেকে তাইজ্যিনের হাত সরিয়ে দিয়ে কড়া সুরে বলে,

“হাত আর গা দুটোই সাবধানে রাখো নাহলে একটা গলায় আরেকটা দেওয়ালে জুলিয়ে দেব।”

“আমারই তো বউ! দূরে রাখলে নিজেরই লস।”

“ঘুম আসছে আমার। প্রচুর টায়ার্ড আমি, তোমার বকবক শোনার মুড নেই।”

কথাটা বলে শার্মিলা দূরে সরে যায়। দু’জন পুনরায় দু’প্রান্তে শুয়ে পড়ে।

পরের দিন সকালে নাস্তা শেষ হতে তাইজ্যিন তার সদ্য নতুন কেনা গাড়ীটা নিয়ে বের হয় পুরোনো বাড়ীতে। গাাড়ী থেকে নেমে ভেতরে প্রবেশ করতে টনক নড়ে তার। সব আগের মতো লাগছে না। তড়িঘড়ি পা ফেলে ভেতরে যায়। মূহুর্তে মাথায় জেনো আগুন ধরে যাায়। তাইজ্যিন চেঁচিয়ে উঠতে বাড়ীর কিছু গাার্ডস সাাথে তার গার্ডসরা আসে। তাইজ্যিন রীতিমতো কাঁপছে রাগে। একজন গাার্ডস পারিশকে কল দিয়ে বলে আর্জেন্ট আসতে। তাইজ্যিন রাহাতের রুমে গিয়ে বসে। প্রথমে ল্যাপটপের সামনে বসে যায়। ফোনের অনেক কিছুই এটায় লগ ইন ছিলো। ফোন কেউ পেয়ে গেলে ল্যাপটপ থেকে ডিটেইলস নেওয়া কোন ব্যপার না। তাইজ্যিন ল্যাপটপ চেক দিয়ে মাথায় হাত। সব হ্যাাক হয়ে গেছে। সিসিক্যমরার ফুটেজ ফোনে দেখা যেত। নিশ্চয়ই এটাও কাট করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কাজটা করছে সে নিশ্চয়ই খুব ইন্টেলিজেন্ট। তাইজ্যিন কিছু ভেবে পাচ্ছে না। কিছুক্ষণের মধ্যে পারিস আসতে সে চিৎকার-চেচামেচি করে। রেগে গার্ডসদের বলে কে এই কাজটা করেছে বের করার জন্য । কার এত বড় সাহস চার দেয়াল পেরিয়ে এখানে ঢোকার। কে ঢুকেছে তার ঢেরায়, কিভাবে ঢুকেছে, কখন ঢুকেছে সব বের করার জন্য। কার এতো বড় সাহস হয়েছে তার লেজে পা দেয়ার। সে হয়তো জানে না, তাইজ্যিন তাকে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই দিবে না। রাহাত কে খুঁজে বের করার জন্য অন্যদেরকে নির্দেশ দেয়।

কিছুক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচি করার পর তাইজ্যিন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রুমে প্রবেশ করতে টেবিলের উপর একটা ল্যাপটপ দেখতে পায়। সাত পাঁচ না ভেবে নিজের জেদ মেটানোর জন্য ল্যাপটপ টা ফ্লোরে ছুড়ে মারে। কয়েকটা ভাজ ফ্লোরে ছুঁড়ে মারে।

চিৎকার করে শার্মিলাকে ডাকে তাইজ্যিন । ডাক শোনে শার্মিলা ভেতরে আসে। নিজের ল্যাপটপের অবস্থা দেখে রেগে যায় সে। তাইজ্যিনের দিকে কঠোর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে । চেঁচিয়ে বলে, “ল্যাপটপে হাত দেওয়ার সাহস কে দিয়েছে তোমায়?”

তাইজ্যিন বিরক্তি নিয়ে বলে, “আমাকে সাহসের কথা বলো না, ওটা আমার প্রচুর আছে।”

“ওহ রিয়েলি? তাহলে তুমি হয়ত ভুলে গেছ আমার রাগ সম্পর্কে।”

কথাটা শেষ হতে শার্মিলা বেড়িয়ে পড়ে। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে,নামতে একটা স্টিক চোখে পড়ে। সাত পাঁচ না ভেবে সেটা হাতে নিয়ে গ্যারেজে চলে যায়। তাইজ্যিনের নতুন গাড়িটা তার চোখে পড়ে। সোজা গাাড়ীর সামনের পেছনের গ্লাস গুলো ভেঙে দেয়। তার পেছন দিয়ে তাইজ্যিন দৌড়ে আসে। শার্মিলার কাজে মাথায় হাত চলে যায়। তাইজ্যিন কড়া সুরে চেঁচিয়ে বলে, “এটা তুমি কী করলে?”

“কেন কষ্ট হচ্ছে বুঝি?”

“শার্মিলা…..

রাগে রীতিমতো কাঁপছে তাইজ্যিন। শার্মিলা জেনো পৈচাশিক আনন্দ পাচ্ছে। তাইজ্যিন রেগে শার্মিলাকে গাড়ীর সাথেই চেপে ধরে। রাগে তার মুখশ্রী রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। শার্মিলার তাতে হেলদোল নেই। তাইজ্যিনকে নিজের থেকে সরানোর জন্য ধাক্কা দেয়। তাতেও লাভ হয়নি, এক চুল পরিমাণও তাকে সরাতে করে নি। তাইজ্যিন শার্মিলার মাথার পেছনে চুলের মাঝে তার হাতের বিচরণ ঘটায়। শার্মিলা এবার রেগে বলে, ” সরে দাঁড়াও তাইজ্যিন।”

“সরব না কী করবে?”

“স্টিক দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেব।”

“কাজটা তুমি একদমই ঠিক করো নি। এর মাশুল তো তোমায় দিতেই হবে।”

শারমিনা বিরক্তি নিয়ে তাইজ্যিন কে সরিয়ে দেয়। তাইজ্যিন কিছু বলেনা। হেঁসে সরে আসে সেখান থেকে। বাকীরা বুঝেছে ভয়ংকর কিছু হতে চলেছে। এরা দুজন দুই মেরুর। একজন সাপ হলে আরেকজন নেউল। শার্মিলা রুমে এসে ল্যাপটপ টা উঠিয়ে নেয়। সেটা কাবাডে রেখে, বাইরে আসে। তখন তাইজ্যিনের মুখোমুখি হয়। কেউ কারোর সাথে কথা বলেনি। শার্মিলা বাইরে বেড়িয়ে পড়ে। তাইজ্যিন রুমে এসে সোফায় বসে পড়ে। চিন্তাায় কিছুই ভালো লাগছে নাা তাার। শার্মিলাকে এখন কিছু বলেনি তার মুড নেই। তবে তাার গাাড়ী টা শার্মিলাকে দিয়েই ঠিক করাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। সেটা এখন হোক বা পরে। শার্মিলা গাাড়ীর অবস্থা বেহাল করেছে তাকেই ঠিক করতে হবে গাাড়ী।

শার্মিলা সেই বাংলোতে আসে যেখানে রাহাত রয়েছে। সে আসতে সৌরভ এক গাল হেঁসে বলে, “ম্যাাম আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। এমন আপ্পায়ন করেছি না সব গড়গড় করে বলে দিয়েছে।”

শার্মিলা চোখের কালো চশমাটা খুলতে,খুলতে বলে, “গুড জব। এখন যাওয়া যাক।”

সৌরভ এবং শার্মিলা রাহাতের রুমের দিকে এগিয়ে যাায়। শার্মিলাকে দেখে রাহাত গর্জে উঠে বলে, “ইন্সপেক্টর শার্মিলা ইবনান শ্রেয়সী বেশ পাখা গজিয়েছে না তোর? তোর মৃত্যু নিশ্চিত লিখে রাখ।”

কথাাটাা শেষ হতে একটা বুলেট রাহাতের ডান হাত বরাবর গেঁথে দেয় শার্মিলা। গর্জন দিয়ে বলে, “থ্রেট দেওয়া মানুষদের আমি একদম পছন্দ করি না। তবে কষ্ট করে থ্রেট দেওয়ার জন্য একটু উপহার দিলাম। আশা করি আমার উপহারটা তোমার পছন্দ হবে। ”

কথাটা শেষ করে শার্মিলা চলে আসে। রাহাতের দেওয়া ডিটেলস থেকে তারাা সত্যতা যাচাই করতে বসে পড়ে। লিটল প্রিন্স নামটা সম্পূর্ণ ফেইক। আসল নাম সৈয়দ ইব্রাহিম। বর্তমান লোকেশন দুবাই। তার কিছু পিকচারও কালেক্ট করে নেয়। শার্মিলা সৌরভকে বাকি কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হয়। চিন্তা হচ্ছে তাইজ্যিন যদি কিছু টের পায়। তাহলে তার সমস্ত আসা নিভে যাবে। তাইজ্যিনকে প্রথমে মারার কথাা মাথায় আসলেও তাতে তার অনেক খেসারত দিতে হবে। তাইজ্যিন তাকে সাহায্যে করতে পারবে সেটা যেকোনো ভাবে। কিন্তু সে তো তার বাবা মায়ের আসল খু’নিদের চিনে না। অযথা নির্দোষ
একজনকে মে’রে তার লাভ নেই। তাকে এখন ড্রাগস সাপ্লাই করা জায়গাটায় যেতে হবে। যেখান থেকে ট্রাাকে,ট্রাকে ড্রাগস যায় একটা জায়গাায়। সেখান থেকে বিভিন্ন পন্যের সাথে করে বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু জায়গাটা বের করতে হবে। দ্বিতীয়ত তাইজ্যিন নারী পাচারের সাাথে যুক্ত কীনা সেটাও জানতে হবে। কিন্তু মন না বলছে। তাইজ্যিনকে নিয়ে একটা পজেটিভ দিক তৈরী হয়েছে শার্মিলার মাঝে। খুব খারাাপ মনে হয় না তাকে। কিন্তু শার্মিলা মানুষদের ভরসাা করে না। সেটা কাছের কাউকে তো একদমই নাা। সেখানে তাইজ্যিন পরের হিসাব।

ভাবনা চিন্তার মাঝে ড্রাইভার নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি থামায়। শার্মিলা গাড়ি থেকে নেমে পা চালায়। বাড়ী ফিরতে,ফিরতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে যায়। পরিবেশ পুরো নিস্তব্ধ। শার্মিলা সেসব তোয়াক্কা না করে রুমে প্রবেশ করে। তাইজ্যিন বিছানায় শুয়ে আছে। খুব নিরব সে। শার্মিলা সেসব দেখে ও না দেখার ভান করে। শার্মিলার উপস্থিতি টের পেতে তাইজ্যিন উঠে বসে। শার্মিলা কাাবাড থেকে শাড়ী নিয়ে চেঞ্জ করাার রুমে প্রবেশ করে। শাড়ী চেঞ্জ হতে বেড়িয়ে আসে। তাইজ্যিনকে বেশ চিন্তিত লাগছে। তার চিন্তার কারণ টা ও শার্মিলার জানা। কিন্তু তাতে তার কিছুই যাায় আসে নাা। দুজনের মাঝে পূর্ণ নীরবতা বিরাজমান। শাার্মিলা বেলকনিতে যেতে তাইজ্যিন ও বেলকনিতে যায়। কেউ কোন কথা বলেনি কারোর সাথে। কিছুক্ষণ মৌনতা বজায় রেখে তাইজ্যিন আগ বাড়িয়ে বলে, “আ্যাাম সরি শার্মিলা। আসলে রাগের মাাথায় ল্যাপটপটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি।”
শার্মিলা কিছু বলেনা। তাইজ্যিনের কী হলো নিজ থেকে শার্মিলাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে থুতনি রাখে। শার্মিলা ঘুরে দাঁড়ায়। দুজন মুখোমুখি হতে তাইজ্যিন বলে, “আমাকে একটু জড়িয়ে ধরবে?”

“কেন?”

“তোমার আলিঙ্গন প্রয়োজন।”

“আমার আলিঙ্গন দিয়ে কী হবে তোমার?”

“আমি হার্ট হয়েছি,চিন্তায় আছি সেজন্য তোমার আলিঙ্গন চাই আমার।”

“ঠিক আছে জড়িয়ে ধরব এর বাইরে বেশী কিছু আবদার করতে যেও না।”

তাইজ্যিন মাথা নাড়ায়। শার্মিলা ব্রু জোড়া প্রসারিত করে। তাইজ্যিনকে কেমন বাচ্চা, বাচ্চা মনে হচ্ছে। এই কঠোরত্ব রাগোর পেছনোও একটাা সফট বাচ্চা সুলভ আচরণ আছে। শার্মিলাকে বেশ কিছুক্ষণ আলিঙ্গন করাার পর শার্মিলা ছিটকে সরে যায়। তাইজ্যিনের মুখশ্রীর দিকে একনজর তাকিয়ে নজর সরিয়ে নেয়।

তাাইজ্যিন রুমে এসে এসির পয়েন্ট বাড়িয়ে দেয়। এখন অব্দি রাহাতের খোঁজ মেলেনি। সৈয়দ ইব্রাহিমের কানে খবরটা গেলে তার কী অবস্থা হবে কে জানে। তাইজ্যিন মনে,মনে নিজেকে গা’লি দেয়। এই তাইজ্যিন ইশতিয়াক চৌধুরী সবাইকে চিন্তায় রাখতে পছন্দ করে সেখানে তাকেই কেউ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। মানতে হবে তার কলিজা অনেক বড়। তাইজ্যিন একবার শুধু তাকে ধরতে পারলে বাপ দাদার নাম ভুলিয়ে দিবে। শার্মিলা ফোন স্ক্রোল করছে আর তাইজ্যিনের চিন্তিত মুখটা দেখছে। সবসময় তো অন্যকে চিন্তায় রাখে এখন নিজে চিন্তায় থাকুক না ক্ষতি কী?

তাাইজ্যিন উঠে বেলকনিতে গিয়ে সিগারেট ধরিয়ে চেয়াারে বসে। ইচ্ছে মতো স্মোক করার পর ভেতরে আসে। ঘড়ির কাটা প্রায় একটা ছুঁইছুঁই। শার্মিলা ঘুমোচ্ছে। তাইজ্যিন ফ্রেশ হয়ে শার্মিলার পাশে শুয়ে পড়ে। শার্মিলার মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। মনে,মনে আওড়ায়, “ভীষণ খারাপ ছেলেটাও কারোর মায়ায় পড়ছে।”

ঘুমন্ত শার্মিলার চোখের পাতায় নিজের অধর জোড়ার বিচরণ ঘটায়। কপালে,গালে অজস্র চুমু খায়। থুতনির গাঢ় লাল তিলটা জেনো তাকে ঠোঁটের দিকে ঘোর লাগিয়ে টেনে নিচ্ছে। তাইজ্যিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠোঁটে এখন চুমু খাবে না এটা জমা রইলো অন্য কোন দিন শোধ তুলে নিবে। কিন্তু বেহায়া চোখ আর মন তাকে তাার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে দিচ্ছে না। তড়িঘড়ি শার্মিলার অধরে নিজের অধর মিলিয়ে নেয়। সঙ্গে,সঙ্গে শার্মিলা চোখ মেলে তাকায়। তাইজ্যিন অধর ছেড়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে, “জান আর একটা চুমু খাই প্লিজ?”

শার্মিলা শোয়া থেকে উঠে তাইজ্যিনের কলার চেপে ধরে তার বুকের উপর ভর করে রাগী কন্ঠে জবাব দেয়, “তোমার শরীরে এতো প্রেম আসে কোথা থেকে?”

“আমি কী তোমার মতো আনরোমাান্টিক নাকী? বাচ্চার পাপা হবো সেইজন্য তোমার প্রেকটিস করাচ্ছি।”

“তোমার প্রেকটিসের উপর থু মারি।”

“এভাবে বলো কেন?”

“আচ্ছা।”

কন্ঠস্বর কিছুটা খাদে নামিয়ে জবাব দেয় শার্মিলা। তখন তাইজ্যিন চট করে বলে বসে, “জান আসো আদর করি।”

কথাটা শেষ হতে তাইজ্যিন শার্মিলার চুলে নিজের হাত ডুবিয়ে দেয়। ঠোঁট জোড়া নিজের অধীনে নিয়ে আসে। শার্মিলা নড়েচড়ে উঠলেও কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে যায়। তাইজ্যিনের থেকে ছাড়া পাবে বলে মনে হয়না। দুই মেরুর দুজন মানুষ খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। জেনো একজনের হৃদপিন্ডের শব্দ আরেকজন শুনতে পারছে। শার্মিলার সর্বাঙ্গে তার অপ্রিয় পুরুষের ছোঁয়া বিচরণ করছে।

#চলবে

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।❤️)