তোমাকে নিয়েই গল্প পর্ব-১৫

0
1077

#তোমাকে_নিয়েই_গল্প
#পর্ব:১৫
#জুনাইনাহ_তাসনিম_অরহা

শপিং থেকে বাসায় ফিরে একটা কথায় ভাবছি,
উনি ছেলেগুলোকে এতোটা কেন মেরেছিলো?হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়া লেগেছে,তার মানে তো প্রচুর মেরেছে।প্রচুর রাগ উঠলেই ওতো মারা সম্ভব।আমাকে টিজ করাতে ওনার এতো রাগ হয়েছিলো সেদিন?কিন্তু আমার সামনে তো কিচ্ছু বলেননি।অদ্ভুত মানুষ।কখন যে কি করেন,কি ভাবেন আমার মাথাই ঢোকে না।যাই হোক আমার ওতো ভেবে কাজ নেই আপুর বিয়ে।বিয়েতে ইঞ্জয় করবো।আর মাত্র ১০ দিন বাকি বিয়ের।কিন্তু একটু খারাপও লাগছে যে ফ্রেন্ডদের সবাইকে বলতে পারবো না।গ্রামে হবে বিয়ে যেহেতু সবাইকে তো আর তাই বলা যাচ্ছে না মারিয়া ছাড়া।তাও মারিয়াও যাবে কিনা সন্দেহ।আন্টি কি রাজি হবে ওকে জেতে দিতে?ও ছাড়া একা একা তো কিছুই ম্যানেজ হবে না আমার।ধুর কি যে করি?

পরেরদিন সকালেই দেখি বিয়ের কার্ড রেডি হয়ে বাসায় চলে এসেছে।ঢাকার কিছু ক্লোজ রিলেটিভকে পাঠানো হবে।আর আপুর দুইটা ফ্রেন্ড যদিও তারা নাকি ওই সময় ফ্যামিলির সাথে কোন ট্রিপে যাবে সো আপুর বিয়েতে যেতে পারবে না।আপু তো একটু কষ্ট পেল।এমনিই সবাইকে বলা হচ্ছে না যে দুজনকে বলতে চাচ্ছে তারাও যেতে পারবে না।অবশ্য মামা বলেছে যে বৌভাতের অনুষ্ঠান টা ঢাকাতে এসে করবে।তখন ঢাকার সব রিলেটিভ,ফ্রেন্ডসদের নেয়া হবে।বাবাকে আমাকে একটা কার্ড দিয়ে দিলেন।কারন বাবা ভালো করেই জানে আমি মারিয়াকে বলবোই।
আমি কার্ডে মারিয়াসহ পুরো পরিবার লিখে ওর বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।আন্টি আর আংকেল দুজনেই প্রথমে আপত্তি করছিলেন কিন্তু পরে মারিয়ার খুশির জন্যে ওরে আমাদের সাথে গ্রামে যেতে দিতে রাজি হলেন,নিজেরা ব্যস্তত মানুষ তাই মারিয়াকে একাই ঘুরে আসতে বলেন।অন্য কোন ফ্রেন্ড হলে হয়তো মারিয়াকে যেতে দিতো না কিন্তু যেহেতু আমি নিয়ে যেতে চাচ্ছি তাই আর মানা করতে পারলো না।কারন আমাদের দুই ফ্যামিলির রিলেশন অনেক ভালো আর আমাদের দুই বান্ধবীর।আংকেল আন্টিকে ম্যানেজ করার পর আমি মারিয়ার খাটে আধশোয়া হয়ে আন্টির(মারিয়ার আম্মু) বানানো পায়েস খাচ্ছি।আর মারিয়া ড্রেস বের করে করে আমাকে দেখাচ্ছে।
–সূচী দেখ না আমি এটা নিয়ে যাবো??

–ভাই মারু বিয়েটা আমার বোনের তোর না।তুই যেই হারে ড্রেস বাছায় করছিস তাতে মনে হচ্ছে হয় বিয়েটা তোর না হয় বিয়ে বাড়ি তোরও বিয়ে ঠিক হবে সেই জন্যে যাচ্ছিস।

–কি?তুই আমাকে এভাবে বললি?আপুর বিয়েতে গিয়ে নিজের বিয়েও ঠিক করার জন্যে যাচ্ছি?(মুখ গোমড়া করে)

–আরে আরে মন খারাপ করছিস কেন?হতেও তো পারে এমন যে আপুর বিয়েতে তোরে দেখে কোন ছেলে ফিদা হয়ে গেলো।সারা বিয়েতে ছেলেটার চোখ শুধু তোর দিকে।দুজন চলার সময় ধাক্কা খেলি,তারপর তুই পড়ে যাচ্ছিলি আর ছেলেটা তোরে ক্ষপ করে ধরে ফেললো।তোর চোখে নিমিষেই ডুবে গেলো সে আর তুইও।এভাবেই শুরু হলো তোদের প্রেম।তারপর তোর বাসায় এসে তোর আম্মু আব্বুর সামনে এসে বলবে,”স্যার আমি আপনার মেয়েকে ভালোবাসি।বিয়ে করতে চাই।”আংকেল প্রথমে আমতা আমতা করলেও পরে ঠিক মেনে নেবেন।তারপর তোদের বিয়ে হবে,তারপর হবে বাসর রাত।বাসর রাতে তুই খাটের ওপর এক হাত ঘোমটা টেনে বসে আছিস।তোর বর ঘরে ঢুকে আস্তে করে দরজা লাগিয়ে দিলো।তারপর তোর কাছে এসে ঘোমটা উঁচু করলো তুই লজ্জা পেলি।তারপর….

–ব্যাস।আর বলিস না আমার লজ্জা লাগে!(মারিয়া লজ্জা লাগে বলেই দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললো)

–হাহাহহাহহাহাহাহহাহাহহ(আমি জোরে হেসে ফেললাম)

(মুখ থেকে হাত সরালো ও।তারপর আবার মুখ গোমড়া করে বলে,)
–তুই মজা করছিলি না??তুই খুব বাজে খুব।

–হাহহাহহাহহহহহহ…

২৩.
ব্যাগ পত্র গোছানো শেষ।রাত পোহালেই আমরা নানা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবো।আর ৮ দিন পরেই বিয়ে।এর মাঝে আছে হলুদ,মেহেন্দি,ওহ ভাবলেই মজা লাগছে।রাতে তাড়াতাড়ি তাই শুয়ে পড়লাম কাল আবার সকাল সকাল উঠা লাগবে।

সকালবেলা,
আমরা সবাই ব্যাগপত্র সব নিচে নামাচ্ছি এই সময় মারিয়া এসে হাজির।সবাই মিলে স্টেশনে গেলাম।মোট ৪টা কামরা[বি.দ্র:স্পেশাল ছোট বগীও বলে হয়তো।সরি শিউর জানি না]নেয়া হয়েছে।নানী যেহেতু আগেই চলে গিয়েছিলেন তাই মামা-মামি,বাবা-মা একটা,অন্তু ভাইরা ৪ জন একটা,দুই বাড়ির যারা কাজে হেল্প করে তাদের একটা আর বাকি যারা আছি তারা একটা।মানে আপু,আকাশ ভাই,আমি,মারিয়া আর অভ্র ভাই।ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গেছে আমি আর কামরার ভিতরে গিয়ে দেখি আপু,আকাশ ভাই আগের থেকেই বসে আছে।আর অভ্র ভাইয়ের গিটারটা সীটের ওপর কিন্তু উনি নেই।আমি,আপু আর মারিয়া এক সাইডে বসলাম আর ওনারা দুই ভাই আমাদের সামনের সীটে বসবেন।

–সে জনাবের কোন দেখাই তো নেই।এদিকে ট্রেন ও ছেড়ে দিচ্ছে।আদেও ট্রেনে উঠেছে তো?না ট্রেনে তো উঠেছেই তা না হলে গিটার থাকতো না।আচ্ছা আমিই বা ওনার কথা ভাবছি কেন??উনি আসলে আসুক না আসলে ভাড় মে যাক।আমার কি তাতে?(মনে মনে বিড়বিড় করছি)

–সূচী কি ভাবছিস এতো?(মারু জিজ্ঞেস করে)

–কিছু না।আমি একটু আসছি।

*আমি উঠে আসি।ট্রেন এতোক্ষনে ছেড়ে দিয়েছে।আমি ফুল বগীটার গেটের কাছে এসে দাঁড়ালাম।আস্তে আস্তে ট্রেনটা স্টেশন ছেড়ে চলেছে।ঠিক সেই সময়েই ট্রেনের একজন কর্মচারী এসে বলেন,
–ম্যাডাম ওখান থেকে সরে আসুন আর দরজাটা দিয়ে দেন।স্পেশাল বগীতো এগুলো।তাই দরজা বন্ধ থাকে।

কথাটা বলে লোকটি চলে গেলো।আমিও দরজা দিতে যাচ্ছিলাম।প্রায় দিয়েই ফেলেছি হটাত মনে হলো কেউ যেন ট্রেনের জন্যে দৌড়াচ্ছে।উঠতে চাচ্ছে।আমি তাড়াতাড়ি দরজা খুলে তাকাতেই দেখি আমার মামার ছোট নবাব পুত্র জনাব ইশরাক এহসান অভ্র দৌড়াচ্ছেন।ওনাকে এইভাবে দৌড়াতে দেখে আমার DDLJ এর শাহরুখ,কাজলের কথা মনে পড়লো,কাজল দৌড়াচ্ছে আর শাহরুখ হাত বাড়িয়ে আছে।উনিও তো কাজলের মতো হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।আচ্ছা আমি কি তাহলে শাহরুখ খান??কিন্তু আমি তো হাত বাড়িয়ে দিইনি।হাত বাড়াইনি তেই খেয়াল হলো যে সত্যিই তো আমি তো ওনাকে হেলপ করছি না।উনি তো উঠতে পারবেন না এভাবে।আমি তাড়াতাড়ি হাত বাড়িয়ে দিই।উনিও হাতটা শক্ত করে ধরে উপরে।উঠে আসে।ওনাকে উপরে উঠানোর পর দুজনেই ব্যালেন্স হারিয়ে উনি আমার গায়ে পড়ে।কিন্তু সাথে সাথেই আবার সামলে উনি।
–থ্যাংকস।
–এতোক্ষন কোথায় ছিলেন??আমি যদি হাত ধরে না তুলতাম কি করতেন হ্যা?
–কি আর করতাম তোমার অপেক্ষা করতাম।
–জী?আমার অপেক্ষা করতেন মানে?
–তোমার অপ্রক্ষা করতে যাবো কেন আমি?বললাম যে নেক্সট ট্রেনের অপেক্ষা করতাম।কানে শোনো না নাকি?
–কিন্তু মনে হলো…
–ভিতরে যাচ্ছি আমি,তুমিও এসো।
(আমার কথা অর্ধেক শুনেই উনি ভিতরে যাচ্ছে বলে চলে গেলো।আমি ওখানেই দাড়িয়ে রইলাম)
–আমার অপেক্ষা করতো বললোই তো মনে।আমি কি ভুল শুনলাম?!

*
–দুলাইভাই এই যে দুইটা শালির সাথে যাচ্ছেন তা একটু গান শুনাবেন না?(মারিয়া বলে আকাশ ভাইকে)
–শালি সাহেবা,আমি যে গান পারিনা।
–পারিনা বললে তো হবে না।গান গাইতেই হবে।
–আমি সত্যিই পারি না গো।তোমাদের আপুর কাছেই শোনো।
–ধুর কোথায় ভাবলাম আপনার গান শুনতে শুনতে যাবো তা না।ভালো লাগছে ন এইভাবে।
–ভালো তো আমারো লাগছে না।তবে হ্যা আমাদের হিরো চাইলে তার গিটারটা নিয়ে একটু গান শুনাতেই পারে।
–হিরো কে?
–কেন অভ্র..
(আকাশ ভাইয়ের মুখে নিজের নাম শুনে সাদা বাদরটা মোবাইল থেকে দুই সেকেন্ডের জন্যে চোখ তুলে আকাশ ভাইয়ের মুখের দিকে তাকায় তারপর আবার মোবাইলে ডুবে যায়।ট্রেনে ওঠার পর থেকেই মোবাইল নিয়ে পড়ে আছে।আমরা টুকটাক গল্প করছি কিন্তু তিনি মোবাইলেই ডুবে আছে।)
–দুলাভাই,ওনাকে একটু বলেন না গান শুনাতে(মারিয়া বলে)
–আমি পারবো না বাপু।তুমি ট্রাই করে দেখো।

(মারিয়া খুব সাহস করে অভ্র ভাইকে ডাক দেয়)
–অভ্র ভাই।
–হ্যা,কিছু বলবে?
–বলছিলাম যে একটা গান শুনাবেন।আসলে সেই কখন থেকে বসে আছি বোর লাগছে।আমরা তো তেমন একটা গান পারিনা।আপনি পারেন তাই যদি…(কথাগুলো বলতে গিয়ে মারিয়া ৩-৪ বার বেধে যায়।বোঝায় যাচ্ছে ভয়ে ভয়ে বলছে)

অভ্র ভাই বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলেন,
–আচ্ছা তুমি আমার সম্পর্কে কি হও?সেটা আগে বলো শুনি।
–আমি?
–হ্যা তুমি।
–আমি তো সূচীর ফ্রেন্ড।বেস্ট ফ্রেন্ড।সুমনা আপুর ছোট বোন সূচী।তাই সূচীর ফ্রেন্ড হওয়াই আমিও সুমনা আপুর ছোট বোনের মতো।আর সুমনা আপুর বোনের মতো হওয়ায় আকাশ ভাই আমার ও দুলাভাই হয়।আপনি আকাশে ভাইয়ের ছোট ভাই তাই সম্পর্কে দুলাইভাই এর ভাই হন।
(মারিয়ার সম্পর্ক বোঝানোর ধরন দেখে অভ্র বাই বোকার মতো তাকিয়ে থাকে আর মারিয়া দাত বের করে ক্লোজ আপের পোজ দেই।দুইজনকে এই অবস্থায় দেখে আমরা বাকি ৩ জন হেসে ফেলি)
–আমার এখন গান গাওয়ার মুড নেই।(অভ্র ভাই বলে)
–হ্যা মুড তো থাকবে না।এখানে যদি তুমি আর তোমার সে থাকতো তাহলে তো ঠিকই মুড হতো(আকাশ ভাই মুচকি হেসে বলে আর অভ্র ভাই চোখ গরম করে তাকাই)

আমরা ৩ জন মানে আমি,মারিয়া আর আকাশ ভাই আবার গল্প করতে থাকি।আর আপু চুপচাপ বসে আমাদের গল্প শুনতে থাকে।এর মাঝে আমাদের কানে গিটারের টুংটাং শব্দ আসে।আমরা সবাই অভ্র ভাইয়ের দিকে তাকাই।উনি মাথা নিচু করে গিটারে সুর তুলার চেষ্ট করেন।তারপর,

Dil kar dariyaa beh hi gaya,
ishq ibadat ban hi gaya..
Khudko mujhe tu soop dee,
mere jarurat tu ban gaya..

Baat dil ki nazroone kiii,
sach keh raha tere kasam..
Tere bin na aab na lege ek bhi dam,
tujhe kinta chahne lage ham..

Tere satho jayege khatam,
tujhe kitna chahne lage ham..
tujhe kitna chahne lage ham…

(ওনার গানের গলা এতো সুন্দর যে যে কেউ গানের সাথে হারিয়ে যাবে অন্য দুনিয়ায়।আমার ক্ষেতেও তার উল্টোটা হলো না।আমি ডুবে যাচ্ছি ওনার সুরে।জানালার বাইরে থেকে হাওয়া আসছে,আমি চোখ বন্ধ করে এই সুন্দর স্নিগ্ধ বাতাস আর ওনার গানে ডুবে গেলাম)

Iss jaga aa geyi chahate aab meri,
chin luuuga tumhe sare duniya se hi..
Tere ishq pe ha,hak mera hi to hei,
keh diya hei maine mere rab se bhi…

Jis rasteee tu na mile,
uspe na hooo mere kadam..
Tere bin na aab na lege ek bhi dam,
tujhe kinta chahne lage ham..
Tere satho jayege khatam,
tujhe kitna chahne lage ham..
tujhe kitna chahne lage ham…

Ooooooooooooooooooooooo…..oooooo..

(গিটার থামিয়ে:-
tujhe kitna chahne lage ham..

গান শেষ হয়ে গেলো।সবার হাত তালির শব্দে আমার হুশ ফিরলো।আমি তাকালাম।উনি আকাশ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন।

*দেখতে দেখতে পৌছে গেলাম মামাবাড়িতে।কিন্তু এবার বাড়িটা একদম অন্যরকম লাগছে।চারিদিক নতুন লাগছে।পুরো বাড়ি নতুন করে রং করা।চারিদিক পরিষ্কার করা,ঝকঝক করছে একদম।বিয়ে বাড়ি বলেই হয়তো এতো আয়োজন।সবাইকে রুম দিয়ে দেওয়া হলো।আমাকে আর মারিয়াকে দেওয়া হলো এক রুমে।রুমে এসেই মারিয়া,
–সূচী তোর নানার বাড়িটা তো সেই….বেশ বড়লোক ছিলেন তো তোর নানা।
–হুম ছিলেন।
–সত্যিই আমার তো এখানে এসে জোস লাগছে।রাতেই মাকে ভিডিও কলে দেখাবো।
–দেখাস।
(মনে মনে ভাবলাম,
–কতো নেটওয়ার্ক পাই যে ভিডিও কল করবে!মোটে টেক্সট তাই সেন্ড হয়না)

*রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে আমি আর মারিয়া শুয়ে আছি।দুজনেই ডাটা অন করে বসে আছি।কিন্তু নেট কানেকশন এতোটাই বাজে যে ‘E’ দেখাচ্ছে।না পেরে ফোন রেখে দিলাম দুজনেই।মারিয়া বললো,
–দোস্ত অভ্র কি সিংগেল?
–আমি কিভাবে জানবো?আর তুই হটাত উনি সিংগেল কিনা জানতে চাচ্ছিস কেন??আমার ভাবি হওয়ার শখ হয়ছে নাকি?(ফাজলামি করে বলি)
–হতে অসুবিধা নেই।ওরকম হ্যান্ডসাম,ড্যাশিং কোন ডাক্তারকে বিয়ে করতে পারলে তো কপাল খুলে যাবে।আর ওনার গানের গলাটাও তো সেই।

দুজন এসব নিয়ে ইয়ারকি মারতে মারতে ঘুমিয়ে পড়লাম।ওদিকে কেউ একজন যে জানালার ফাক দিয়ে আমাকে দেখে যাচ্ছিলো তা আমার অজানাই থেকে গেলো।

চলবে……