তোমাতে সূচনা তোমাতেই সমাপ্তি পর্ব-০৭

0
25

#তোমাতে_সূচনা_তোমাতেই_সমাপ্তি
#লেখনীতে – #Kazi_Meherin_Nesa
#পর্ব – ০৭

আদনানের কথা বিশ্বাস হলো না রোজার, কারণ এই লোকটাকে ও বিন্দুমাত্র ভরসা করেনা আর নিষাদের সঙ্গে এ কদিন আলাপ হওয়ার পর তেমন কোনো বিষয়ে সন্দেহও হয়নি রোজার। রোজার মনে হচ্ছে আদনান যেনো ইচ্ছে করে ওর বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করছে! তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে রোজা বললো…

‘এবার একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না?’

রোজার কাছে এগিয়ে এলো আদনান, মেয়েটা যে ওর কথা বিশ্বাস করবে না এ সম্পর্কে আদনান অবগত ছিলো…

‘লোকটা নিশ্চয়ই তোমার সঙ্গে এতো ভালো অভিনয় করেছে যে এখন সত্যিটা শুনতে ভালো লাগছেনা, তাইনা? তোমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এটাই সত্যি’

‘ নিষাদ সম্পর্কে কি জানেন আপনি? আপনি তো তার সঙ্গে কখনো দেখা করেননি আর না কথা বলেছেন। অথচ আমি তাকে এতগুলো দিন ধরে চিনি। আর তাকে আমি যতটুকু চিনি তার ভিত্তিতে বলছি, আপনার কথা আমি বিশ্বাস করছি না আদনান ‘

‘শুধু চোখের সামনে দেখেই তো একটা মানুষকে ভেতরের রূপ জানা যায়না রোজা, সেটা নিশ্চয়ই জানো। মুখের কথা ও মনের কথা আলাদা হতেই পারে ‘

‘ সে যাই হোক, আমার ব্যাপার আমাকে বুঝতে দিন। আমি আপনাকে বলিনি আমার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে!’

‘ আমারও ইচ্ছে ছিলো না, কিন্তু সব জানার পর হাত গুটিয়ে বসে থাকাও আমার পক্ষে সম্ভব নয় ‘

‘নিজের জীবন নিয়ে ভাবুন আদনান, আমার জীবন নিয়ে অযথা ঘাটাঘাটি করার এই বদ অভ্যাস ছেড়ে দিন’

‘ঠিক বলেছো! বদ অভ্যাস! জানো রোজা আমি যদি একবার কোনো বস অভ্যাসে জড়িয়ে যাই তবে তা সহজে ছাড়তে পারিনা, এবারও তার ব্যতিক্রম হবেনা’

‘ আপনি আমার অগোচরে আমার বিষয়ে জানার চেষ্টা করে যে চরম অভদ্রতার পরিচয় দিয়েছেন সেটা কি জানেন? আমি কিন্তু আপনাকে আমার সম্পর্কে কিছু জানার অনুমতি দেইনি ‘

‘আই ডোন্ট নিড ইউর অ্যাপ্রুভাল, আর আমি কোনো অন্যায়ও করছি না’

আদনানকে সম্পূর্ন না হলেও এ কয়দিনের পরিচয়ে কিছুটা জেনেছে রোজা, সে নিজের মর্জির মালিক। যা চাইবে তাই করবে! রোজা চায়না আদনান আবারো ওর জীবনে কোনো ঝামেলা তৈরি করুক, আর না নিষাদকে নিয়ে করা অভিযোগ ও বিশ্বাস করলো।

‘ যা ইচ্ছে হয় করুন, কিন্তু আমার জীবন থেকে দূরে থাকুন ‘

রোজা আবারো যাওয়ার জন্যে পা বাড়াতেই পেছন থেকে আদনান উচ্চস্বরে বলে বসলো…

‘প্রমাণ পেলেও কি ওই লোকটাকে বিয়ে করবে?’

পা থামলো রোজার, এবার কিছুটা ঘাবড়ালো মেয়েটা। আদনান প্রমানের কথা বলছে তারমানে নিশ্চয়ই নিষাদের ব্যাপারে ও যা বলছে তার কিছুটা হলেও সত্য!

‘ কি হলো বলো! প্রমাণ পেলে কি করবে?’

ঘুরে তাকালো রোজা, ও কিছু বলার আগেই আদনান বললো…

‘ পুরুষ মানুষ কিন্তু এতো সহজে সব মেনে নেয়না রোজা, সুযোগ আসলে নিজের স্ত্রীকে সন্দেহ করতে ছাড়ে না সেখানে নিষাদ তো বাইরের মানুষ। এতো বড় ঘটনার পর কিন্তু সে তোমাকে কোনো প্রশ্ন করেনি। সন্দেহ করেনি আর না কিছু জানতে চেয়েছে। হুট করে তোমাকে বিয়ের কথা বলেছে, কেনো? এই কথাটা কি একবারও তোমার মাথায় এলো না?’

রোজার মাথায় এ চিন্তা বহুবার এসেছে বটে তবে ও নিষাদকে ভালোমানুষ ভেবে এইসব ভাবনা একপাশে সরিয়ে রেখেছিলো কিন্তু আদনান আজ আবারো রোজার দাবিয়ে রাখা ভাবনাগুলো জাগিয়ে তুললো। রোজা আর এক মুহুর্তও দাড়ালো না, দ্রুত পায়ে হেঁটে চলে গেলো। আদনান ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, মেয়েটাকে প্রমাণ না দিলে হয়তো সত্যিই বিয়ে করে ফেলবে কিন্তু তা তো হতে দেওয়া যাবেনা। আদনানও আর দাঁড়ালো না, এমনিতেই রাত হয়েছে। রোজা যাওয়ার পর আদনানও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো, কিছু সময় পর ওর গাড়ির পিছু নিলো আরেকটা গাড়ি। আদনান লক্ষ্য করেনি তবে ওই কালো রঙের গাড়িটা প্রায় অর্ধেক রাস্তা ওকে ফলো করে, এরপর অন্য রাস্তায় চলে যায়! ওদিকে… রোজা বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে সবে বসলো, কিন্তু মনটা ভীষণ অস্থির লাগছে। যদিও মন মানতে চাইছে না কিন্তু আদনানের কথাগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে কি করবে? প্রথমবার বিয়ে ভাঙলো, এবারও সব আত্মীয় স্বজনকে মোটামুটি বিয়ের কথা বলা হয়ে গেছে। এবারও যদি প্রথমবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে, যদি বিয়েটা আবারো ভাঙ্গে তাহলে কি হবে? রোজা যখন এসব ভাবনায় মশগুল ছিলো তখন ওর মা আসে, রোজা শুয়েছিলো। ওর মাকে দেখে উঠতে যাচ্ছিলো, তখন ওর মা বলে…

‘ তোকে উঠতে হবেনা, শুয়ে থাক। এতো খাটাখাটনি করে এসেছিস, বিশ্রাম কর। তোর খাবারটা এখানে এনে দেবো?’

‘ লাগবে না, আমি একটু পর নিজেই গিয়ে খেয়ে নেবো’

‘ নিষাদের সঙ্গে কথা হয়েছে আজকে?’

‘ আজকে ব্যস্ত ছিলাম, সময় পাইনি। পরে কথা বলে নেবো’

‘ হুমম, নিষাদ ছেলেটা ভীষণ ভালো। ছেলেটা যে এভাবে তোর দুঃসময়ে এগিয়ে আসবে ভাবতেই পারিনি ‘

মায়ের কথায় উত্তর দিলো না রোজা, ওর মাথায় এখন অন্য চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। সবাই নিষাদকে এতো ভালো জানে, যদি সত্যিই নিষাদ খারাপ ছেলে হয় তাহলে?

‘ বুঝলি রোজা, তোর বাবা আজ তোর ফুপুদের বাসায় গেছিলো। তোর বিয়ের কথাটা সামনাসামনি জানাতে আর কি। তোর বিয়েটা ভাঙার পর তোর বাবা সবার সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিলেন, এখন নিজে থেকেই সবার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন ‘

‘ বাবা কি এখনও আমার ওপর রেগে আছে মা?’

‘ না রে, বরং তোর বাবা আবারো তোর বিয়ে নিয়ে মেতে উঠেছে। আমাকে বলেছে নিজের হাতে সব করবে। সবকিছু দেখবি এবার ভালোভাবেই মিটবে, তোর বিয়েটা হলে আমাদেরও একটা চিন্তা দূর হবে ‘

রোজা কিছু বলতে পারলো না, নিষাদ এইভাবে নিজে থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর ওকে বড্ড বিশ্বাস করতে শুরু করেছে রোজার মা বাবা। অবশ্য রোজা নিজেও বিশ্বাস করে কিন্তু আদনানের কথাটাও অযৌক্তিক নয়। একটা পুরুষ মানুষ এতো সহজেই এত বড় কাণ্ডের পর সবকিছু মেনে নেয়! জীবন তো রূপকথার গল্প নয় আর না নিষাদ কোনো রূপকথার গল্পের নায়ক, আমাদের সামাজিক বাস্তবতা যে বড় নিষ্ঠুর, বড্ড তেতো! আদনানের কিছু কাজ বাকি ছিলো, বাড়ি ফিরে তাই করতে বসেছে। ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে ঠিকই কিন্তু কাজে মনোযোগ নেই। বারবার রোজার মুখটা চোখের সামনে ভাসছে, নিষাদকে বিশ্বাস করে মেয়েটা? এ কথা মনে পড়তেই ধপ করে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিলো আদনান, বিরক্ত হয়ে নিজে নিজেই বললো…

‘ ড্যাম ইট! এই মেয়েটা সবসময় এতো জ্ঞানের কথা বলে কিন্তু নিজের বেলায় এতো বোকা বনে গেলো কিভাবে? এতো সহজে সব মেনে বিয়ের জন্যে এতো সহজে রাজি হয়ে গেলো?’

আদনান নিজে নিজেই রোজার ওপর রাগ ঝারছিলো তখন সাদিক ওর খাবার প্লেট নিয়ে আসতেই আদনান ধমক দিয়ে বলে ওঠে…

‘ আমি খাবো না, খাবার এনেছিস কেনো! ‘

‘ রাত এগারোটা বেজে গেছে বস, এখনও না খেয়ে থাকলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বেন ‘

‘ বলছি তো খাবো না, আমাকে ডিস্টার্ব করিস না সাদিক। বাই দ্যা ওয়ে, এতো রাত হয়েছে তুই এখনও এখানে কি করছিস? নিজের বাড়ির মানুষকে দেখাতে চাস নাকি যে তুই তোর বসের জন্যে রাত জেগে কাজ করে উল্টে দিচ্ছিস?’

‘ তেমন কিছুনা বস, আপনি তো জানেন আমার বাড়ির অবস্থা। বাড়ির মধ্যে সারাক্ষণ অশান্তি লেগেই থাকে। বাড়ির বাইরে যতক্ষণ থাকি সেটুকুই শান্তি ‘

‘ অনেক শান্তি করেছিস আমার বাড়িতে বসে থেকে, বাড়ি যা এবার ‘

‘ জ্বি বস ‘

সাদিক প্লেটটা এনে ফ্রিজে রাখলো কারণ আদনানের মেজাজ আজ ভালো নেই, আদৌ খাবে কিনা তার ঠিক নেই। বাইরে থাকলে হয়তো খাবার নষ্ট হয়ে যাবে, খাবার রেখেই চলে গেলো সাদিক। আদনান নিজ রুমে বসে ল্যাপটপে গু’তা’গু’তি করছিলো তখনই তানভীরের ফোন এলো। এ মুহূর্তে যদিও আদনানের কারো সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে নেই, কিন্তু দরকারি কিছু হতে পারে বলে কল রিসিভ করতেই ওপর পাশ থেকে ক্লান্ত স্বরে তানভীর জিজ্ঞাসা করলো…

‘ আদনান, তুই কি ফ্রি আছিস? এখন একবার আসতে পারবি?’

‘ কি হয়েছে?’

‘ তোর ওপর যে গু’লি করেছিলো তাকে ধরেছি। ব্যাটা গা ঢাকা দিয়ে ভেবেছিলো পার পেয়ে যাবে কিন্তু আমার হাত থেকে বেঁচে বেরোনোর এতো সহজ নয় ‘

‘ গুড জব ব্রো! অ্যাড্রেস সেন্ড কর, আসছি ‘

কিছুক্ষণের মধ্যে তানভীরের পাঠানো ঠিকানায় পৌঁছে যায় আদনান। একটা ঝুপড়ি ঘর, তার ভেতরে ঢুকতেই দেখলো একটা লোক হাত পা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে তানভীর এর মুখ থেকে কথা বের করার চেষ্টা করেছে…

‘ কিছু বলেছে?’

‘ না, এসে থেকেই মুখ বন্ধ করে আছে। দেখ তুই কিছু মুখ থেকে বের করাতে পারিস কিনা ‘

‘ উফফ! এমনিতেই টেনশনে আমার মাথা ফেঁটে যাচ্ছে, এখন কিনা আবার একে সাইজ করতে হবে?’

ভ্রু কুঁচকে নিলো তানভীর, বন্ধুর মুখে টেনশনের কথা শুনে অবাক হলো বটে…

‘ তোর আবার কিসের টেনশন?’

‘ ও তুই বুঝবি না ‘

সাইডে ফেলে রাখা রডটা হাতে তুললো আদনান, এক হাতে লোকটাকে ধরে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে বললো…

‘ দেখ, আমার মেজাজ এমনিতেই খারাপ আছে। তাই সোজা প্রশ্নের সোজা উত্তর দিবি।কে তোকে ভাড়া করেছিলো আমাকে গু’লি করার জন্যে?’

‘আ..আমাকে কেউ ভাড়া করেনি..আমি নিজেই গু’লি করেছিলাম ‘

লোকটার কথা শুনে হাসলো আদনান…

‘ ওহ রিয়েলি, কেনো করেছিস শুনি! আমার সঙ্গে তোর কিসের শত্রুতা?’

লোকটা ইনিয়ে বিনিয়ে নানানরকম বাহানা দেওয়ার চেষ্টা করে, ভেবেছিলো পার পাবে কিন্তু লাভ হয়নি। আদনান ভেবেছিলো ভালোয় ভালোয় লোকটা সব বলে দিলে সহজেই ছেড়ে দেবে কিন্তু লোকটা উল্টোপাল্টা কথা বলে ওর রাগ আরো বাড়িয়ে দিলো। লোকটার মুখ থেকে সত্যি বের করতে কঠিন পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হলো আদনান। র’ড দিয়ে কড়া আ’ঘা”ত করলো কয়েকবার, মাটিতে লুটিয়ে পড়লো লোকটি। এক পর্যায়ে আদনানের মা’র সইতে না পেরে নাম প্রকাশ করে দেয়, আর লোকটার মুখে সেই ব্যক্তির নাম শুনে আদনান চমকেছে বটে কারণ ও নিশ্চিত ছিলো যে ফারহানই হয়তো এই কাজ করেছে কিন্তু নাহ! ওর ধারণা ভুল ছিল!
______________________________

লাঞ্চে এসেছে নিষাদ ও রোজা, নিষাদ কয়েকদিনের জন্যে অফিসের কাজে বাইরে গেছিলো আজকে ফিরেছে…

‘ সরি রোজা, কয়েকদিন ধরে তোমাকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছি না। আসলে কাজের ব্যস্ততা অনেকটা বেড়ে গেছে ‘

‘ ইটস ওকে! আমি নিজেও ব্যস্ত মানুষ তাই সরি বলতে হবেনা। যেটুকু সময় দিচ্ছেন তাই যথেষ্ট ‘

খাওয়ার এক পর্যায়ে রোজা প্রশ্ন করলো…

‘ নিষাদ, আপনি কি কাউকে পছন্দ করেন?’

রোজার প্রশ্ন শুনে যেনো কিছুটা থতমত খেয়ে উঠলো নিষাদ, পরক্ষনেই এক গাল হেসে বললো..

‘ হঠাৎ এই প্রশ্ন?’

‘ না মানে, এমনি জানতে ইচ্ছে হলো আর কি। আমাদের কয়েকবার দেখা হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমরা একে অপরের সম্পর্কে তেমন কিছু তো জানিনা। সামনে আমাদের বিয়ে হচ্ছে তাই..’

বরাবরের ন্যায় এবারও হেসে নিষাদ বললো..

‘ আগেই সবকিছু জেনে গেলে পরে জানার কিছুই থাকবে না, তাই আমার মনে হয় একে অপরকে জানার বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করাই ভালো। ধীরে ধীরে জানার মাঝে আলাদা মজা আছে, রাইট?’

রোজাও নিষাদের কথায় তাল মিলিয়ে অনিচ্ছা সত্বেও হাসলো, তবে নিষাদ যে বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলো তা রোজা ভালোই বুঝেছে। ওদিকে, আদনান এনায়েত সাহেবের অফিসে এসেছে। বরাবর নক করে কেবিনে ঢুকলেও আজ নক করেনি, ছেলের এই কান্ড দেখে এনায়েত সাহেব বললেন…

‘ কি ব্যাপার, আজ আমার এখানে কি মনে করে?’

‘ এটাই হয়তো তোমার এখানে আমার শেষবারের মতো আসা, বাবা ‘

‘ মানে?’

আদনান একটা পেন ড্রাইভ ওর বাবার ডেস্কের ওপর রাখলো…

‘ কি এটা?’

‘ভিডিও ক্লিপ, আমি বললে বিশ্বাস নাও করতে পারো তাই প্রমাণ সমেত আনলাম আর হ্যাঁ আজ সকল দায়িত্ব থেকে আমি রিজাইন করলাম বাবা। সেটা হোক তোমার ছেলের দায়িত্ব আর হোক অফিসের। আই কান্ট ডু দিজ এনিমোর ‘

চলবে…

[ভুলত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন…!!]