দীর্ঘ রজনী পর্ব-১২+১৩

0
434

গল্পের নাম:#দীর্ঘ_রজনী।
লেখনীতে:#সাদিয়া_আফরোজ।
পর্ব:১২

প্রায় একবছর পর আজ সেঁজুতি তার বাবার বাড়িতে যাচ্ছে। কিন্তু সাজিকে জোর করেও রাজি করাতে পারছেনা।

সেঁজুতি বুঝতে পারে না কেন সাজি তার নানুর বাড়ি এতোটা অপছন্দ করে।তবে অপছন্দ ব্যাপারটা ছোট বেলা থেকে নয়।

সাজি যে বছর নবম শ্রেনীতে নতুন ভর্তি হয়।সেই বছর সাজি নানুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। আচমকা রাতের বেলায় কান্না শুরু করে। সেঁজুতি মেয়ের কান্না দেখে পরের দিন বাড়িতে নিয়ে আসে। সাজির হঠাৎ এমন ব্যবহারে ঘা*বড়ে গেছিলো সেঁজুতি। মেয়েকে বারবার জিজ্ঞেস করেছে সমস্যার কথা। কিন্তু সাজি কিছুই বলেনি, উল্টো কিছু জিজ্ঞেস করলেই চি*ল্লা*নো শুরু করে। সাজির যেন নানু বাড়ি নিয়ে একটা ফো*বি*য়া হয়ে গেছে।

এরপর থেকে সাজি নানু বাড়ি যেতে চায় না। গেলেও ঘন্টা দুই থেকেই বাড়ি আসার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়।

ব্যাপারটা এতোদিন সেঁজুতি ওবদি থাকলেও আজ অনিলা রহমান আর সাদ প্রথমবারের মতো জানলো।

সেঁজুতি বেড়াতে যাবে তাই অনিলা রহমান তার সাথে দেখা করতে এসেছে। ছুটির দিন হওয়াতে সাদ তার মায়ের সাথে এসেছে। ছুটির দিন তো বাহানা মাত্র। দীর্ঘ দিন সাজবাতির সাথে দেখা হবেনা ভেবেই শেষ বারের মত তাকে দেখতে এসেছে।

বাড়িতে ঢুকতেই সেঁজুতির চিল্লাচিল্লি শুনতে পায়। অনিলা রহমান একপ্রকার দৌড়ে ঘরে ডুকলো। নিশ্চয়ই সেঁজুতি মেয়েটাকে মা”রছে!

সাজি দাঁতে দাঁত চেপে ঝিম মে*রে বসে আছে। অনিলা রহমান সাজিকে বুকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। বুঝতে পারছেনা কি চলছে। আর কেনইবা সেঁজুতি এতোটা রেগে আছে।

রেনু একপাশে দাড়িয়ে অসহায় দৃষ্টিতে সাজির দিকে তাকিয়ে আছে। সাজির জন্য বড্ডো খারাপ লাগছে।

এইদিকে সেঁজুতি ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,, তোর মূলত সমস্যা কি? তোদের বাপ বেটির শুধু আমার বাপের বাড়ি নিয়েই এলার্জি কেন? তোর বাপ নেই এখন তুই বল তোর কি সমস্যা?

~কি হচ্ছে কি সেঁজুতি? মেয়েটাকে এইভাবে বকছিস কেন? কি করেছে কি?

~ আপা আপনি এই বে*য়া*দ*বকে জিজ্ঞেস করুন কেন যেতে চায় না ওই বাড়িতে?কি দোষ করেছে আমার বাপের বাড়ির মানুষ! এতো বছর হলো কিন্তু এই মেয়েকে একটা রাতের জন্য ও বাড়িতে নিতে পারিনি।

~ সেঁজুতি হাসানের কথা শুনে কপাল কুঁচকে ফেললো সাদ। এতো বছর!! কতো বছর ধরে সাজি ওর নানুর বাড়িতে যায় না! কেন যায় না!কই কখনোতো শুনিনি। সাদের ভাবনার ব্যাঘাত ঘটে সেঁজুতি হাসানের কথায়।

~সেই ক্লাস নাইনের বছর যে একরাত থেকে এসেছে আজ ওবদি একরাতের জন্যেও ওবাড়িতে যায়নি।তার জন্য আমাকেও বাবার বাড়ি ত্যা*গ দিতে হয়েছে। আপা আপনি জিজ্ঞেস করুন নয়তো এর পিঠের ছা*ল তুলবো।

ছোট মামুনীর কথায় সাজির দিকে তাকালো সাদ। সাজির পুরো মুখ লাল হয়ে গেছে। বার বার হাত মুঠ করছে আর খুলছে। এইভাবে সাজিকে কখনো দেখেনি সাদ। মামুনী এর থেকেই বেশি বকা ঝকা করে। কই কখনোতো এতোটা ফুঁসতে দিখিনি।তাহলে আজ কি হলো?

অনিলা রহমান সাজির মাথায় হাত বুলিয়ে ব্যাতি ব্যাস্ত হয়ে বললো,, কি হয়েছে মা তোর কি শরীর খারাপ করছে? ঘামছিস কেন?

সেঁজুতি রেগে তেঁতে উঠে বললো,, দুই থা*প্পড় দিলে ঠিক হয়ে যাবে। যতোবার যাওয়ার কথা বলি ততবারই এমন নাটক শুরু করে। নাটক বন্ধ কর সাজি! আমার বাপের বাড়ির মানুষ তোর কি এমন ক্ষ*তি করেছে হ্যা?

হুট করে করেই সাজি উঠে দাঁড়িয়ে টেবিলের উপর রাখা ফ্লাওয়াভাস আছাড় মে*রে ভে*ঙ্গে ফেললো।

সাজির এমন কাজে সেখানে থাকা সবাই চমকে উঠলো। সাদ নিজেও অবাক হয়ে গেছে। সাজিকে এতোটা এগ্ৰেসিভ হতে কখনো দেখেনি।

অনিলা রহমান আচম্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। মেয়েটা চঞ্চল সত্য কিন্তু বে*য়া*দব নয়। রেগে যায় ঠিক আছে কিন্তু কখনো বেয়া*দবি করেনি। তার রাগ ছোট বাচ্চাদের রাগের মতো। তাহলে আজ হঠাৎ কি এমন হলো??

সেঁজুতি হাসান নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছে না। বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে মনে হচ্ছে।

সাজি ফ্লাওয়ারভাস ভে*ঙ্গে চিৎ*কার করে বললো,, মা*রো থা*প্পড়! তুমি থা*প্পড় মা*রো বা গলা টি*পে মে*রে ফে*লো তাও আমি যাবো না ওবাড়িতে। তোমার বাপের বাড়িতে তুমি যাও আমার যাওয়ার দরকার নেই।
আর ক্ষতির কথা বলছো! কোনো ক্ষতি করেনি মা! শুধু তোমার একমাত্র ভাইয়ের বড় ছেলে রাতের বেলা আমার ঘরে এসেছিলো।
কোনো ক্ষতি করেনি! শুধু বাজে ভাবে গায়ে হাত দিতে চেয়েছিলো।
কোনো দোষ করেনি শুধু কু-প্রস্তাব দিয়ে ছিল।

সাজি ফুঁপিয়ে উঠে আবার বললো,,

আমি ভ*য় পাই তোমার বাবার বাড়ি। আমার নিঃশ্বাস নিতে ক*ষ্ট হয় ওবাড়িতে গেলে। ওই ভ’য়ং’ক’র রাতের কথা মনে পড়ে মা।তাইতো ওইবাড়িতে যেতে বললেই নাটক শুরু করি।
কথা শেষ হতেই শব্দ করে কেঁদে উঠলো সাজি। কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিজের রুমে চলে গেল।

সাজির প্রতিটা কথা যেন বার কয়েক প্রতিধ্বনি হতে লাগলো পুরো বাড়ি জুড়ে।

অনিলা রহমান স্তব্ধ হয়ে গেছে।কি বলবে বুঝতে পারছে না। সাজির প্রতিটা কথায় হাজারটা না বলা অভিযোগ দেখা দিচ্ছে। মেয়েটা ঠিক কতোটা কষ্ট পাচ্ছে তা ভেবেই শিওরে উঠলো অনিলা।

সেঁজুতির বুকের ভেতরটা ধ*ক করে উঠলো। সাজির প্রতিটা কথা বুকের ভেতরটায় সু*চ ফু*টাচ্ছে যেন। মেয়েটা তার এতোটাই অসহায় হয়ে পড়েছিল? আর সে মা হয়ে বুঝলো না? মা হিসেবে আজ নিজেকে খুব বেশি অক্ষম মনে হচ্ছে। সেঁজুতি হাসান ঢুকরে কেঁদে উঠলো ।
অনিলা রহমান সেঁজুতিকে বুক জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।

রেনু ওড়নায় মুখ চে*পে কাঁদছে।

সাদ হাত মুঠ করে নিজেকে সংবরণ করতে লাগলো।তার সাজবাতির সাথে এতো কিছু হয়ে গেলো আর সে জানলো না? দাঁতে দাঁত চেপে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দোতলার দিকে তাকিয়ে রেনুকে উদ্দেশ্য করে বলল,, রেনু মামুনীকে পানি দে।

রেনু চোখ মুছে একছুটে কিচেনে চলে গেল।

সাদ ধীর পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে ক্রু*ল হেসে বিড়বিড় করে বলে উঠলো,, ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে মন্দ হবে না। হোক তাহলে পুনরাবৃত্তি! বাকি হিসেবটা নাহয় এইবার মিটিয়ে নিবো। সুদে আসলে সবটা বুঝিয়ে দিতে হবে।

ইনশাআল্লাহ চলবে,,

গল্পের নাম:#দীর্ঘ_রজনী।
লেখনীতে:#সাদিয়া_আফরোজ।
পর্ব:১৩

ফ্লোরে বসে ফুঁ*পিয়ে কাঁদছে সাজিঁ।সাদ দরজায় দাঁড়িয়ে টেনে নিঃশ্বাস নিয়ে রুমের ভেতর ঢুকলো। বিনা বাক্যে সাজির পাশে বসে একটা টিস্যু এগিয়ে দেয়।

নিজের পাশে কারো অস্তিত্ব টের পেয়ে চোখ মুছে তাকালো সাজি।
সাদ সাজির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সেই দৃষ্টির বেড়াজাল ছি*ন্ন করার ক্ষমতা সাজির নেই। তাই কাঁপা হাতে টিস্যু নিয়ে চোখ মুছলো।

সাদ সাজির পাশ ঘেঁষে বসে চুল ঠিক করে দিলো। জামার কাঁধ ভেদ করে বি বেল্টের দেখা মিলছে। সাদ আলতো হাতে কাঁধ থেকে ওড়না নিয়ে পুরো পিঠ ঢেকে দেয়।

সাজি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে ঝাঁ*পিয়ে পড়লো সাদের বুকে। সাজির এহেন কান্ডে আচম্বিত হলো সাদ। হৃদস্পন্দন দ্রুত গতিতে ছুটে চলছে। শুকনো ঢোক গিলে কাঁপা হাতে সাজির মাথায় হাত বুলিয়ে কোমলমতি গলায় সুধালো,, কি হয়েছে আমায় বল!আমি আছিতো কাঁদছিস কেন?

সাদের কথাটা যেন সাজির কান্নার বেগ দ্বিগুণ মাত্রায় বাড়িয়ে দিলো। মনে হচ্ছে এতক্ষণে কাউকে পেয়েছে যাকে সব বলে দিতে পারবে।
চিৎ*কার করে কাঁদতে লাগলো সাজি। সাদ স্ত*ব্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে তার কি করা উচিৎ তা ভেবে পাচ্ছে না।

সাদের বুকে মাথা ঠেকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো’, নানু বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই নিশান ভাইয়া কেমন করে জানি কথা বলতে চাইতো। অস্বস্তি লাগায় বারবরই এড়িয়ে গেছি। কিন্তু রাতে হুট করেই কেউ রুমে ঢুকে পড়ে। ল্যাম্পশেড জ্বা*লাতেই নিশান ভাইয়াকে আমার বিছানার পাশে দেখে ঘাবড়ে গেলাম। উনি আমার হাত শ*ক্ত করে চে*পে ধরে, ভয় চিৎকার দিতে নেই। তার আগেই উনি বিছানার উপর ফেলে মুখ চেপে ধরে বাজে প্রস্তাব দেয়।
আমি খুব বেশি ভয় পেয়ে যাই সাদ ভাই। পা দিয়ে ধা*ক্কা মে*রে ল্যাম্পশেড ফেলে দেই। শব্দ পেয়ে মা আর নানু ছুটে আসে তখন নিশান ভাইয়া বারান্দা টপকে পালিয়ে যায়।

সাজির কথা শুনে দাঁতে দাঁত চেপে হাত মুঠ করে ফেললো সাদ। পারলে এখনই ওই জা*নো*য়া*রকে খু*ন করে ফেলে। কিন্তু আপাতত সাজিকে সামলাতে হবে। তা ভেবেই নিজেকে স্বভাবিক করলো।

সাদের টিশার্ট মুঠ করে ধরে কাঁদছে সাজি।

তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে জড়িয়ে ধরলো সাদ। একহাতে মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,, সব কথা নিজের ভেতরে লুকিয়ে রেখেছিলি কেন? মামুনিকে বললি না কেন সাজি? তুই তো এমন ছিলি না। তোর মনে যা মুখেও তাই । কথা জমিয়ে রাখার মেয়ে তো তুই না! তাহলে কেন এতো বড় কথা এইভাবে নিজের ভেতরে লুকিয়ে রেখেছিলি?

সাদের বুক থেকে মাথা উঠিয়ে হেঁচকি তুলতে তুলতে বললো,, মা শুনলে কষ্ট পেতো সাদ ভাই। মা কখনো আর ওবাড়িতে যেতো না। এমনিতেই দাদুর বাড়িতে যেতে পারে না। শেষে নানুর বাড়ি যাওয়াটা মায়ের জন্যে চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতো। কি করে বলতাম এইসব!

ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেললো সাদ।একটা মেয়ে ওই পরিস্থিতিতে ঠিক কতটা অসহায় হয়ে পড়ে তা সাদ ভালো করেই জানে।
তবে এই ভেবে অবাক হলো, তার ছোট্ট সাজবাতি তখনও কতোটা বুঝের ছিল। নিজের মায়ের কথা ভেবে এতো বড় একটা ব্যাপার লুকিয়ে রেখে ছিলো ।সাজবাতি স্ট্রং বলেই এতো সব কিছু ফেইস করেও নিজেকে স্বাভাবিক রেখেছে।

সাদ আলগোছে চোখ মুছে দিয়ে দুগালে হাত রেখে বলল,, মামুনীকে নাহয় এই জন্য বলতে পারিসনি কিন্তু আমাকে বললি না কেন সাজবাতি? আমিতো তখন রোজ তোকে পড়াতাম।

সাদের চোখে চোখ রাখলো সাজি।
সেই ব্যাথাতুর চোখ জোড়ার ভাষা বুঝতে দেরী হলোনা সাদের।তাও কন্ঠ খা*দে নামিয়ে বললো,
~ভয়ে বলতি না তাইতো??

উত্তরে মাথা নাড়ালো সাজি।

সাদ সাজির কপালে কপাল ঠেকিয়ে আদুরে গলায় বলল,,আজ থেকে কখনো যেন ভয় পেতে না দেখি। আমি চাইনা আমার সাজবাতি ভয় পাক। আমি চাই সে নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে আমাকে সব কিছু বলুন। হোক সেটা অবান্তর কথা কিংবা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।‌

বন্ধ চোখ জোড়ার কোন বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে নোনা জল। বুকের ভেতরে তীব্র য*ন্ত্রনা হচ্ছে। সেই য*ন্ত্রনা কমাতে টেনে নিঃশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করলো সাজি,,

~ নিশান ভাই আর ইহান ভাই আপনার মতো নয় কেন সাদ ভাই? কেন তাদের উপস্থিতি পীড়াদায়ক মনে হয়? কেন তাদের স্পর্শ নোং*রা মনে হয়? কেন তাদের দৃষ্টিতে তীব্র অস্বস্তি হয়?

সাদ সাজির মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,, সময় হলে বুঝতে পারবি। তবে তার আগে ভালো খারাপের পার্থক্য বুঝতে হবে তোকে। নারীরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয় সাজি। তারা পুরুষের নজরে, স্পর্শে, উদ্দেশ্যে মধ্যে কোনটা খারাপ কোনটা ভালো সব বুঝতে পারে। তোকেও বুঝতে হবে।

সাদ কিছুক্ষণ থেমে আবার বলল,, শুধু বুঝলেই হবে না। প্রতিবাদও করতে হবে। তোকে ছোঁয়ার অধিকার সবার নেই তা বুঝিয়ে দিতে হবে। কি পারবি তো!

সাজি সাদের দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো।

সাদ মুচকি হেসে বলল,, সবার বেলায় প্রতিবাদ করতে হবে। সেটা যদি আমি হই তখনও প্রতিবাদ করতে হবে। সব কিছুর উর্ধ্বে আত্মসম্মান সাজি। একজন নারীকে অসম্মান করা কিংবা শ্লীলতাহানি করার অধিকার কারো নেই। আর যে এইসব করার চেষ্টা করে তার বেঁ*চে থাকার অধিকার নেই।

সাদের কথায় মুগ্ধ হলো সাজি। মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো।

সাদ উঠে দাঁড়িয়ে সাজির চুল এলোমেলো করে দিয়ে বললো,, উঠ পাগলী!! তৈরি হয়ে নে।

সাজি চোখ বড় বড় করে সাদের দিকে তাকালো। সাদ পকেটে দুহাত গুঁজে শিস বাজাতে বাজাতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। তার সব কিছু জানা শেষ।
এখন শুধু মামুনিকে ওই বাড়িতে পাঠানোর পালা।

ইনশাআল্লাহ চলবে,,,