গল্পঃ দুষ্ট ছাত্রীর রোমান্টিক প্যারা
পর্বঃ ১২
লেখকঃ দুষ্ট ছেলে
তখন সুমন ১০ টা ছবি বের করে দিলো আর ভিডিও দিলো ফোনে তখন নিরব দেখে অবাক হয়ে গেছে সত্যি এটা সুলতানা,,,,
।
নিরব বিশ্বাস করতে পারছে না সুলতানার বিয়ে হয়েছে তখন নিরব বললো।
নিরবঃ ছি এই রকম মেয়েদের জন্য বাকি মেয়েদের বদনাম হয় আর ছেলেরা খারাপ হয় সোসাইড করে আমি এখনো নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছি না এমনটা কি করে করতে পারে।
সুমনঃ,,,,,,,,,,,আমি নিজেও যানি না কেন এমন করলো।
নিরবঃ যদি এক মাসের রিলেশন থাকতো তাহলে বলা যেতো কিছু একটা কিন্তু এখানে তো একটা বছর বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়িয়েছে তাহলে তো সব কিছু দুজনের মধ্যে যানা হয়ে গেছে দুজন দুজনকে সয্য করতে শিখে গেছে। তারপর সব কিছু যেনে রিলেশনে গিয়েছে একবছর রিলেশন করে । বিয়ে করে এমন একটা ডিসিশন নেয় কি করে। এখন একে যেটাই বলি না কেন মুখের ভাষায় সেটাই কম হবে।
যে মেয়েটা এক বছর এত ভালবাসা পেয়ে বিয়ে করে থাকেনি সে মেয়ে কি করে আমার কাছে থাকবে বিয়ের পর সারাজিবন তার মানে এটাই বুঝতে পারা যায় সে আরেকজন কে আমায় ফেলে চলে যাবে।
সুমনঃ হুম ভাই কিন্তু আমি খুব ভালবাসি আমি থাকতে পারবো না তাকে ছাড়া সে যেমনি হোক প্লিজ তাকে আমার করে দিবেন আপনার পায়ে পরি।
নিরবঃ এই না না ছি কি করছো তুমি এটা তুমি আমার বড় আর তুমি আমার পায়ে দরছো কেন শুনো আমি সুলতানা কে এমনিতেই বিয়ে করবো না কারন আমার গালফ্রেন্ড আছে সে আমায় আমার চেয়ে বেশি ভালবাসে আমি তাকেই বিয়ে করবো আমি এই সুলতানা কে কখনো বিয়ে করবো না আমি গিয়ে বিয়ে আজকেই ভাঙ্গছি তুমি পরে তার বাসায় গিয়ে যা করার করো।
সুমনঃ ধন্যবাদ ভাই খুব খুশি হলাম।
নিরবঃ কিন্তু একটা কথা বলি তোমায় । যে মানুষটা তোমার এত ভালবাসা পেয়েও ছেড়ে চলে গেছে তোমার ভালবাসা বুঝলো না তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসলে সারাজীবন তুমি যে সুখে শান্তিতে থাকবে তার কিন্তু কোনো ঠিক নেই।
সুমনঃ কি করবো ভাই আমি তাকে ছাড়া একটি মূহুর্তের জন্য থাকতে পারছি না তাকে ছাড়া একটুও ভালো নেই রাতে ঘুমাতে পারছি না খেতে পারছি না
কিছুই করতে পারছি না খুব কষ্ট হচ্ছে নিশ্বাস টাও ঠিক মতো নিতে পারছি না সে যেমনি হোক তাকে আমার প্রয়োজন।
নিরবঃ ভালবাসা জিনিসটাই এমন যার প্রতি একবার মায়ায় পড়ে যায় তাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না।
সুমনঃ হুম।
নিরবঃ আচ্ছা তোমার ছবি গুলো আর ভিডিও গুলো লাগবে আমার বিয়ে ভাঙ্গতে দিতে পারবে ।
সুমনঃ হুম নিয়ে যান সমস্যা নেই।
তারপর নিরব ভিডিও আর ছবি গুলো নিয়ে আরো কিছুখন কথা বলে আড্ডা দিয়ে বিদায় নিয়ে চলে আসলো সেখান থেকে তারপর একটা গাড়িতে উঠে ভাবতে লাগলো।
নিরবঃ এখনি গিয়ে বিয়ে ভাঙ্গতে হবে নয়তো সমস্যা হবে আরো।
তখন ভাবতে ভাবতে চলে আসলো দুপর হয়ে গেছে গাড়ি থেকে নামতেই নিরব এর ফোনে কল আসলো তানিয়া কল দিয়েছে তখন নিরব ফোন রিসিভ করে বললো।
নিরবঃ হুম বলে আজ ইস্কুলে তাহলে যাওনি তুমি আবার ফিরে আসছো।
তখন ওপাশ থেকে তানিয়ার কান্না করার শব্দ আসতে লাগলো। নিরব তো অবাক হয়ে গেছে নিরবেরও তখন কিছুটা খারাপ লাগতে শুরু করলো তখন বললো।
নিরবঃ কি হয়েছে তোমার কাঁদছো কেন।
তানিয়াঃ আমি ফাঁসি দিয়ে মরতে যাচ্ছি।
নিরব এটা শুনা মাত্র মনে হচ্ছে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো বুকটা মনে হচ্ছে ছুড়ির আগাতে বিছিন্ন করে ফেলছে তার বুকটা তখন নিরব অবাক হয়ে বললো।
নিরবঃ কিহহহহহহ। কি বলছো তুমি।
তানিয়াঃ হুম ঠিকি বলছি তুমি এমনটা করতে পারলে আমার সাথে।
নিরবঃ আমি কি করলাম তোমার সাথে যার জন্য এমন করছো ।
তানিয়াঃ তুমি নাকি আমায় ভালবাসো।
নিরবঃ হুম নিজের চাইতে বেশি ভালবাসি।
তানিয়াঃ মিথ্যা কথা বলছো সত্যি যদি ভালবাসতে তাহলে সুলতানা কে বিয়ে করতে না।
তখন নিরব বুঝতে পারলো তানিয়া যেনে গেছে তখন নিরব বললো।
নিরবঃ কে বলছে তোমাকে সুলতানা কে বিয়ে করবো
আমি একবার তোমাকে বলছি সুলতানা কে বিয়ে করবো৷।
তানিয়াঃ তুমি আর কি বলবে তোমার আব্বু আম্মু সবাই রাজি বিয়ে ঠিক করে ফেলছে তাহলে আর তুমি না বললে কি হবে। হয়তো আমার কষ্ট হবে বলে বলতে চাওনি।
নিরবঃ দূর ফালতু কথা রাখো আমি বিয়ে ভাঙ্গতে যাচ্ছি।
তানিয়াঃ তুমি বললেই বিয়ে ভেঙ্গে দিবে কখনো না। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি তোমাকে না পেলে এখনি মরে যাবো।
নিরবঃ পাগলামি করো না প্লিজ আমি বললাম তো বিয়ে ভাঙ্গতে যাচ্ছি কোথায় তুমি এখন।
তানিয়াঃ আমি সিলিং ফ্যান এর মাঝে ওড়না বেধে একটা চেহার নিয়ে গলায় ওড়না দিয়ে দাড়িয়ে আছি। আর কথা বলছি তোমার সাথে আর আপেল খাচ্ছি মরার আগে একটু খেয়ে যাই।
নিরবঃ শুনছো মেয়ের কথা তোমাকে সামনে পাই তারপর দিবো মাইর আমি শুধু তোমার আর কারো না। বিশ্বাস রাখো তুমি আমারি হবে ।
তানিয়াঃ দাড়াও আপেলটা একটু খেয়ে নেয়।
নিরবঃ তুমি কেমন মানুষ বলো তো ওড়না বেধে ফাসি দিতে গেছে আবার আপেল সাথে নিয়ে গেছো খেতে।
তানিয়াঃ তো কি করবো খিদে পেয়েছে পরে যদি খিদে পায়।
নিরবঃ পাগল কোথাকার শুনো একটা কাজ করো তুমি বাসার বাহিরে আসো।
তানিয়াঃ রুমের বাহিরে আম্মু চিল্লা চিল্লি করছে বাহিরে গেলে মাইর দিবে।
নিরবঃ তাহলে তুমি বলো যদি আমার সাথে বিয়ে দেয় তাহলে ফাঁসি দিবে না যতখন পযন্ত না মানবে ততক্ষণ পর্যন্ত বলতে থাকো মেনে নিলে তারপর আমায় ফোন দাও।
তানিয়াঃ কিন্তু আম্মু তো যানে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।
নিরবঃ তুমি বলো ভেঙ্গে গেছে বিয়ে।
তানিয়াঃ ঠিক আছে বলছি।
নিরবঃ শয়তান কোথার কত বড় সাহস গিয়ে মরতে বসে আছে।
তানিয়াঃ তো কি করবো আমি তুমি গিয়ে সুলতানা কে বিয়ে করবে আদর করবে রোমাঞ্চ করবে আমি কি করবো আমি কি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো তাই এমন করছিলাম।
নিরবঃ আমি আসি একবার তারপর বোজাচ্ছি এখন তোমার আম্মু কে বোঝাও।
তানিয়াঃ ঠিক আছে।
তারপর তানিয়া ফোন কেটে দিলো নিরব তখন বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে হেটে যেতে লাগলো তানিয়ার বাসার সামনে গিয়ে কিছুখন দাড়িয়ে রইলো ২০ মিনিট দাড়িয়ে রইলো তখন নিরব এর ফোনে কল আসলো তানিয়ার তখন তানিয়া বললো।
তানিয়াঃ হুম আম্মু আব্বু রাজি হয়েছে।
নিরবঃ ঠিক আছে তুমি বলো আব্বু আম্মু আগামীকাল আসবে তোমার বাসায় কথা বলতে ।
তানিয়াঃ ঠিক আছে কিন্তু তুমি একটু আসো।
নিরবঃ আমায় বাসায় যেতে হবে। বিকেলে আসার চেষ্টা করবো।
তানিয়াঃ ঠিক আছে।
তারপর নিরব ফোন কেটে সেখান থেকে চলে যায় তার বাসায় গিয়ে দেখে সবাই এক সাথে বসে কথা বলছে তার আম্মুর রুমে তখন নিরব মনে মনে বললো।
নিরবঃ সবাই যেহেতু আছে এক সাথে তাহলে এখনি বলার সময়,,,।
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
চলবে,,,,,,।