#দ্যা_লাস্ট_ব্লাড_মুন
#পর্ব_৮
#সারিকা_হোসাইন
********
ধুলোর গভীর আস্তরনে মাকড়ের জালে বিসৃত ছোট একটি কক্ষ।বিভিন্ন পাখি আর বাদুড়ের শুকনো বিষ্ঠায় পরিপূর্ণ কক্ষের মেঝে।সেই ছোট ঘরটিতে ছোট একটি মশাল খুবই ক্ষীন গতিতে আলো বিলাচ্ছে।কক্ষটির চারপাশে নজর বুলালে মাটির তলদেশের মতো একটি ছোট চাপা সিঁড়ি দেখা যাচ্ছে।কোনো দিন এই কক্ষে কেউ পা মাড়ায় কি না খুব সন্দেহ হলো হ্যাভেন এর।
কক্ষটি একদম নীরব,এখানে কোনো বন্য পশুপাখির ভয়ানক আওয়াজ নেই।প্রাসাদের ভেতরে যেমন ধুপধাপ আওয়াজ তারা শুনতে পেয়েছিলো এখানে তেমন কিচ্ছুটি শোনা যাচ্ছে না।
কক্ষটির পাথুরে দেয়াল কেটে কেটে কেমন যেনো তাকের মতো বানানো হয়েছে।সেই তাক গুলোতে কয়েকটি পুরনো বই দৃষ্টি গত হচ্ছে।কালচে ধুলার আস্তরণ এর জন্য বইয়ের মলাট গুলো আঠালো চিটচিটে হয়ে আছে।তাকে থাকা কালো ছেড়া মলাট যুক্ত একটা মোটা বই খুব করে হ্যাভেনের নজর কাড়লো।বইটি নিজ হাতে নেড়ে চেড়ে দেখার জন্য হ্যাভেনের মস্তিষ্ক উত্তাল হয়ে উঠলো।চারপাশে সতর্ক দৃষ্টি বুলিয়ে সেই বইয়ের তাকের দিকে হাত বাড়ালো হ্যাভেন।খুবই ভয় পেয়ে হ্যাভেনের বাহু খামচে ধরে চিপকে আছে জো।হ্যাভেনের মনের ভাব বুঝতে পেরে জো ভীত নিভু নিভু কন্ঠে বলে উঠলো
“কিছু ধরো না হ্যাভেন।এটা মৃ*ত্যুপুরী, এখানে পদে পদে মৃ*ত্যু ওঁত পেতে আছে”
জো এর করুন নিষেধে কিঞ্চিৎ থেমে দাঁড়ালো হ্যাভেন।এরপর স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠলো
‘এই প্রাসাদের রহস্য জানবার জন্য মন কেমন করছে জো।ধরে নাও আমরা আর নাও বেঁচে ফিরতে পারি”
জো হ্যাভেন কে কাকুতি মিনতি করে কেঁদে বলে উঠলো
“বাড়িতে আমার অন্ধ মা আছে,আমি তাকে কথা দিয়েছি খুব শীঘ্রই ফিরে যাবো।তোমাদের সাথে এই ভুতুড়ে প্রাসাদে এসে বড্ড ভুল করেছি আমি”
কান্না করতে করতে জো হ্যাভেনের এর হাত ছেড়ে পা চেপে ধরে কাঁদতে লাগলো।কিন্তু হ্যাভেন তার সিদ্ধান্তে অনড়।জো এর আহাজারি মূলক কান্না যেনো তার কর্ণকুহরে আজ প্রবেশই করছে না।
শেষমেশ মনকে জয়ী করে সেই তাকে হাত বাড়িয়ে বইটি ছুঁয়ে ফেললো হ্যাভেন।বইটি হাতে নেবার সাথে সাথেই মশাল টা দপ করে নিভে গেলো।মশাল নিভে যাবার সাথে সাথেই হ্যাভেন খুবই ভয় পেলো।সেই সাথে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো জো।নিজের জামার ভেতরে বইটি লুকিয়ে জো এর মুখ চেপে ধরে জো’কে এক প্রকার টেনে হিচড়ে পাতাল সিঁড়ি ধরে এগুতে লাগলো হ্যাভেন।
“এক বার যেহেতু মৃ*ত্যুপুরী তে ঢুকে পড়েছি হয় মরে যাবো না হয় সকল রহস্য উদঘাটন করে বাড়ি ফিরবো।”
পাতালের সিঁড়ি ধরে হাটতে হাটতে অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলো হ্যাভেন।জায়গাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত এখানে কারো যাতায়াত আছে।পাথুরে দেয়ালের দুই পাশের খাবলিতেই দুটো করে মশাল জ্বলছে।সেই মশালের তীক্ষ্ণ আলোয় ভেজা মাটিতে মানুষের জুতার ছাপ স্পষ্ট।হাজারো ভয়ানক চিন্তা ভাবনার সাথে সামান্য স্বস্তি যেনো খুঁজে পেলো হ্যাভেন।ধীর পদে শব্দহীন হাটতে হাটতে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় পেরিয়ে গেলো।তবুও সিঁড়ির ধাপ শেষ হলো না।শেষ পর্যন্ত এসে হ্যাভেন দুটো সিঁড়ির সংযোগ স্থল দেখতে পেলো।একটা উপরের দিকে উঠে গেছে আরেকটা আরো মাটির নিচে।
ভূমি তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করা চতুর হ্যাভেন নিজের পড়াশোনার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে উর্ধমুখী সিঁড়ি ধরে হাটতে লাগলো।ভয়ে একদম সিটিয়ে রয়েছে জো।ভেজা মাটির ভ্যাপসা গন্ধে তার পেট মুচড়ে উঠছে থেকে থেকে।পেটে কোনো দানাপানি না থাকায় উগলে কিচ্ছুটি বেরুতে পারছে না।
হ্যাভেন এর উপরের দিকে যাত্রা দেখে জো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো।
“তুমি আবার মৃ*ত্যুপুরীর দিকে কেনো যাচ্ছ হ্যাভেন?আমি আর এক পা ও তোমার সাথে হাঁটবো না।এভাবে চলতে চলতে কেউ আমাদের দেখে ফেললে কি হবে একবার ভেবে দেখেছো?
জো এর অতি বাড়াবাড়ি তে রাগের পারদ চটলো হ্যাভেন এর।যেখানে পদে পদে মৃত্যু হাতছানি দিচ্ছে সেখানে জো এর করা অযাচিত ফাতরামি হ্যাভেন এর মস্তিষ্ক বিষিয়ে দিলো।
দাঁতে দাঁত পিষে চোখ গরম করে হ্যাভেন বলে উঠলো
“আমার সাথে এসো না তুমি।তুমি তোমার মন মতো রাস্তা ধরে চলো।এসেছো থেকেই প্রচন্ড রকম বাড়াবাড়ি করছো।আমারই ভুল হয়েছে তোমাকে সাথে করে আনা।ইথার আর ম্যাডির সাথে ছেড়ে দিলেই সব চাইতে বেশি ভালো হতো।”
হ্যাভেন এর কড়া মেজাজে কিছুটা দমে গেলো জো।এরপর জো কে ছাড়াই লম্বা লম্বা পা ফেলে উপরে উঠতে লাগলো হ্যাভেন।বেচারা জো সৃষ্টিকর্তার নাম জপতে জপতে হ্যাভেন এর পিছু পিছু ধীরে ধীরে হাটতে লাগলো।
কতক্ষন তারা এমন ভয়ানক চাপা সিঁড়ি ধরে হাটলো জানা নেই।মনে হচ্ছে পায়ে আর একবিন্দু শক্তি অবশিষ্ট নেই।এই বুঝি মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যাবার উপক্রম হলো।
হঠাৎই পা পিছলে সিঁড়ি বেয়ে গড়িয়ে পড়তে নিলো জো।সাথে সাথেই নিজের পেশী বহুল লম্বা হাত দিয়ে জো এর শার্টের কলার টেনে ধরলো হ্যাভেন।জো ভয়ের চোটে চোখ মুখ কুঁচকে এখনো থর থর করে কাঁপছে।জো কে মাটিতে দাঁড় করিয়ে হ্যাভেন বলে উঠলো
“অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি আর কৌতূহল কোনোটাই ভালো না জো।আর কতবার বললে এই কথা বুঝবে তুমি?
নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাথা নুইয়ে জো বলে উঠলো
“আমি সত্যি দুঃখিত।পা আর সায় দিচ্ছে না এজন্য দৌড়ে আগে আগে যেতে চেয়েছিলাম।আর তাছাড়া আমার বারবার মনে হচ্ছে কে যেনো আমাকে পিছন থেকে চেপে ধরতে চাইছে।”
“এটা তোমার মনের ভ্রান্ত ধারণা জো”
নিজের গাম্ভীর্য বজায় রেখে পুনরায় হাটতে আরম্ভ করলো হ্যাভেন।
হঠাৎ ই একটা বড় কাঠের ভারী পাল্লার দরজা চোখে পড়লো দুজনের।দরজার ওপারে হয় মৃত্যু না হয় নতুন জীবন।দুটোর যেকোনো একটা অপেক্ষা করছে।দরজার এপাড়ে দাঁড়িয়ে বন্য শূকরের ঘোঁৎ ঘোঁৎ স্বর স্পষ্ট পাওয়া যাচ্ছে।সেই সাথে শেয়ালের ডাক।নিশাচর পাখি গুলো বোধ হয় আর জেগে নেই।নিজের হাতের ক্রুশ চিহ্ন টা গলায় জড়িয়ে জো কে শক্ত হাতে চেপে ধরলো হ্যাভেন।এরপর কঠিন কন্ঠে বলে উঠলো
“হয় মরবে না হলে জীবন্ত বাড়ি ফিরবে।আর যদি এই দরজা ডিঙাতে না চাও তবে তোমাকে এখানে ফেলেই আমি বাইরে পা রাখবো।বলো তুমি রাজি?
শেষবারের মতো জীবনের মায়া ত্যাগ করে জো বলে উঠলো
“আমি এই প্রাসাদে থাকতে চাইনা।আমাকে তোমার সাথেই নিয়ে চলো হ্যাভেন”
জো এর উত্তর শুনে দরজা খোলার চেষ্টা করলো হ্যাভেন।কিন্তু এ কি?কিছুতেই যে দরজা খানা খুলছে না।তবে কি মৃ*ত্যু অনিবার্য?
*********
ঘড়িতে সময় কত হয়েছে ম্যাপল তা জানেনা।স্যান্ডি চলে যাবার পর থেকেই বিভিন্ন দুশ্চিন্তা তাকে গ্রাস করেছে।মনে নানান ভাবনা ভাবতে ভাবতে নিজের ডান হাত টা চোখের সামনে মেলে ধরে চিহ্নটার উপর হাত বুলালো ম্যাপল।সাথে সাথেই সেটা আগুনের টকটকে লাল শিখার মতো জ্বলে উঠলো ।এই দৃশ্যে বেশ ভয় পেয়ে হাত ঝাড়া দিয়ে লাফিয়ে উঠলো ম্যাপল।নিজের হাতে থাকা চিহ্নের রহস্য নিজেই জানেনা।এটা ভেবেই কান্না পেলো তার।চিহ্ন টা যে স্বাভাবিক কোনো চিহ্ন নয় এতটুকু বোঝার মতো বয়স তার হয়েছে।দুই দুইবার নিজের পিতার কাছে এই ব্যাপারে জানতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে সে।
“যে করেই হোক আমাকে এই চিহ্নের কারন জানতেই হবে।প্রাসাদের কেউ না কেউ অবশ্যই এই চিহ্নের ব্যাপারে জানবে”
হঠাৎই মাদকতা মিশ্রিত সুন্দর এক সুবাস ম্যাপলের নাসা রন্ধ্রে বাড়ি খেলো।সেই গন্ধে আবেশে লম্বা শ্বাস টেনে চোখ বন্ধ করে ফেললো ম্যাপল।কিছু পড়ে যাবার শব্দে ভয়ে চোখ খুলে ফেললো দ্রুত।পায়ের কাছে কিছুর অস্তিত্ব টের পেতেই ভয়ে ভয়ে মেঝের দিকে দৃষ্টি পাতলো সে।
মেঝের দামি রাজকীয় কার্পেটে বড় একটা ড্যাফোডিল এর তোড়া।হলুদ আর কমলা রঙের মিশেলে সুগন্ধি এই ফুলগুলো ম্যাপলের ফিনফিনে পাতলা ঠোঁটে প্রশস্ত হাসির রেখা টানলো।
ফুলের সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হয়ে দ্রুত সেগুলো হাতে তুলে গন্ধ নিতে ব্যাস্ত হলো।হঠাৎই ফুলের তোড়া যেই সাদা রঙের সুতো দিয়ে বাঁধা হয়েছে সেই স্থানে একটি রঙিন চিঠি দেখতে পেলো।
চিঠিটি দেখেই হৃদয় ধক করে উঠলো।নিজের পড়ার টেবিলে ফুলের তোড়া খানা রেখে চিঠি খুলতে মরিয়া হয়ে উঠলো সে।
কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠি খুলে মুচকি হেসে উঠলো ম্যাপল।
“তুমি পৃথিবীর সকল ফুলের চাইতেও সুন্দর শেহজাদী।তুমি আমার হাজার বছরের ভালোবাসা,তোমাতে নিঃশেষ হবার প্রবল আকাঙ্ক্ষা আমার।কিন্তু আমি দুর্ভাগা তোমাকে ছুঁয়ে দেখার কোনো অধিকার নেই আমার”
চিঠির করুন আকুতিতে ম্যাপলের চোখের কোণে জল জমলো।
“এ কেমন হৃদয় বিদারক বার্তা?প্রণয়ের আগেই দহন যন্ত্রনা?
চিঠি দাতাকে নিজ চক্ষে দেখার জন্য সব কিছু ফেলে নিজের বারান্দায় দৌড়ে এলো সে।অজানা টানে হৃদয় ফেটে চৌচির হবার উপক্রম।যাকে কোনো দিন দেখেও নি এমন কি নাম পর্যন্ত জানে না তাকে বুকে জড়িয়ে ধরবার কঠিন বাসনায় চোখ হলো জলের ফোয়ারা।সরু কোমল হাতের করপুটে গড়িয়ে পরা জল গুলো মুছে সিক্ত কন্ঠে চেঁচিয়ে উঠলো ম্যাপল
“তোমার নাম টা তো বলে যাও, আমাকে কেনো এভাবে কষ্ট দিচ্ছ?আমার সামনে এসো দয়া করে”
ম্যাপলের আর্তনাদ যুক্ত চিৎকারে বুক ফেটে কান্না এলো লিও এর।কি নিঠুর নিয়তিতেই না সৃষ্টি কর্তা তাকে বেঁধেছে?অবশ্য এখানে সৃষ্টি কর্তার দোষ কোথায়?যেখানে সে নিজেই শয়তানের উপাসক,তার সকল কাজ সৃষ্টিকর্তার বিপক্ষে সেখানে সৃষ্টিকর্তা কিভাবে তার সহায় হবে?
নিজের চারপাশে সকল ধোঁয়াশার কথা চিন্তা হাটু মুড়ে বেলকনির মোটা কারুকাজ খচিত পিলার ঘেষে বসে বসে দুই হাতের আজলায় মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগলো ম্যাপল।এই দৃশ্য লিও এর বুকে শেল হয়ে বিধলো।মনে হচ্ছে কোনো মন্ত্রপূত কাঠের ফলা তার হৃদপিন্ডে বসিয়ে দিয়েছে কেউ।নিজেকে কোনো ভাবেই ধরে রাখতে পারলো না লিও।
“রাজকুমারী যদি জানে আমি একজন রক্তপিপাসু পিচাশ সে কি আমাকে মেনে নেবে?নাকি আমাকে আক্রমন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে?সে কি ঘৃণাভরা নজরে তাকিয়ে আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে?যদি আমাকে তাচ্ছিল্য করে তবে কি তা সইতে পারবো আমি?
মনের ভাবনা ফেলে ওক গাছের মোটা ডাল থেকে ঝড়ের বেগে ম্যাপলের বারান্দায় এসে দাড়ালো লিও।ট্রেঞ্চ কোটের দুই পকেটে হাত ঢুকিয়ে করুন মুখশ্রী তে তার হৃদ্যেশ্বরী কে আদুরে স্বরে ডেকে উঠলো
“জুন”
সম্মোহিত নেশাক্ত কণ্ঠস্বরে মাথা তুলে সামনে দাঁড়ানো মানুষটির দিকে নজর দিলো ম্যাপল।ছয় ফুট বা তার বেশি লম্বা সুদর্শন এক যুবক।বয়স কতই হবে আটাশ বা ত্রিশ।অধীক ধবধবে ফর্সা মসৃন মুখশ্রী।টকটকে লালচে ঠোঁট সেই ঠোঁটের নীচে কুচকুচে কালো তিল।বাঁকানো ভ্রু খাড়া নাসিকা।কালচে বাদামি রঙা ঘাড় সম ঝলমলে চুল হ্যাজেল চোখের মণি।গভীর কি চাহনি আর সেই চাহনীতে কতো দরদ!গায়ে জড়ানো কালো পোশাক যেনো তার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে হাজার গুণ।
“কোনো মানুষের পক্ষে এতোটা সুদর্শন হওয়া সম্ভব?
এতো সুদর্শন যুবক ম্যাপল এর আগে কোনোদিন দেখেনি।নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে মেঝে থেকে ধরফড়িয়ে উঠে দাঁড়ালো সে।এরপর লিও এর পানে নিজের হাত বাড়িয়ে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় বলে উঠলো
“আমি তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে চাই”
কথাটি শুনেই লিও এর গাল গড়িয়ে টুপটুপ করে জল গড়িয়ে মাটিতে পড়লো।জল বললেও ভুল হবে ।রক্ত পিচাশ কি আর মানুষের মতো কাঁদতে পারে?তারা কাঁদলেও সেটা জলের পরিবর্তে রক্তই গড়ায়।মাটিতে পড়ার সাথে সাথেই সেই রক্ত দামি মতি তে পরিণত হলো।কিশোরী ম্যাপল এই দৃশ্যে মোটেও ভরকালো না এমনকি ভীত পর্যন্ত হলো না।বরং অধীর আগ্রহে যুবকের উত্তরের অপেক্ষায় রইলো।
দুই হাতে চোখের তরল মুছে লিও বলে উঠলো
“তুমি ছুঁয়ে দিলেই আমি ধ্বংস হয়ে যাবো শেহজাদী”
#চলবে