ধূসর অবেলায় সন্ধি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব

0
217

#ধূসর_অবেলায়_সন্ধি
#আফসানা_মিমি
#অন্তিম_পর্ব

বছরের পর বছর পাড় হয়ে যাবে কিন্তু কিছু মানুষের স্বভাব পরিবর্তন হবে না। আরো একবার মিশু কিছু কুৎসিত মানুষের মুখোমুখি হলো। সাক্ষাৎ পেলো কিছু নিকৃষ্ট মনোভাবের এবাং বাঁচালো একটি নিষ্পাপ প্রাণকে।

গাজীপুর রাজবাড়ী মাঠে প্রতি বছরই বৈশাখী মেলা বসে। এবারও বসলো। মিশু মেলায় একাই ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তখনই মিশুর ভাবী হালিমার বড়ো বোন খাইরুনের দেখা মিলল। মেলায় একটি মেয়ের হাতে ধরে ঘুরছে খাইরুন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে মহিলাটি কিন্তু স্বভাব পরিবর্তন হলো না। মিশু ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখতে পেলো মেয়েটি আর কেউ নয় মিশুর প্রতিবেশী ফুল। অতীতে যেই মেয়ে মিশুর মাকে হালিমা ধাক্কা দেয়ার খবর দিয়েছিল সেই মেয়ে।মিশুর শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেলো। খাইরুন কী করতে চাইছে বুঝেও ফেলল। মিশু তাদের পিছু নিলো। সে একা কী করবে বুঝতে পারছে না। হঠাৎই তার নিহালের কথা মনে পড়লো এবং সে এই প্রথম নিহালকে নিজ থেকে ফোন করলো। নিহালকে সারমর্ম বলার পর তাকে আশ্বাস দিলো সে মিশুর পাশে থাকবে। নিহাল তার কথা রাখে বিশ মিনিটের মধ্যে চলে আসলো কিন্তু একা নয়। নিহলের বন্ধু ফয়সাল, গাজীপুরের এস পি তাকে নিয়ে আসলো। হীনবল মিশুর কোত্থেকে যেনো এত সাহস চলে আসল, সে একাই খাইরুনের মতো নিকৃষ্ট মানুষের মোকাবেলা করতে তৈরী হলো। খাইরুন ফুলকে নিয়ে মেলার স্টেজের পিছনে চলে গেলো। মিশু তাদের পিছু সেখানে গিয়ে দেখতে পেলো, ফুলকে একজন মধ্যবয়স্ক লোকের হাতে তুলে দিয়েছে খাইরুন। লোকটা ফুলের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। লোকটার অবাধ্য হাতজোড়া ফুলের শরীরের দিকেই এগুচ্ছে। মিশুর সহ্য হলো না। উচ্চ আওয়াজে বলল,” ফুলকে ছেড়ে দাও।”

খাইরুন আকাশ থেকে পড়লো। মিশুকে দেখে চিনতে ভুল করলো না। মিশুর চোখে খায়রুন নিজের বিনাশ দেখতে পেলো তাই সামনে আগাতে সাহস পেলো না। পিছিয়ে যেতে থাকলো ধীরে ধীরে। নিহাল তখনই ফয়সালকে নিয়ে চলে আসলো। ফয়সাল সমস্ত ঘটনা বুঝে খাইরুন ও মধ্যবয়স্ক লোকটাকে আটক করলো। ফুল সমস্ত ঘটনায় পাথর হয়ে গিয়েছে। মিশু এগিয়ে এসে ফুলকে জড়িয়ে ধরে বলল,” ফুল, আমি তোর মিশকা আপা। চিনতে পারছিস?”

ফুল এক পলক তাকালো। মিশুকে চিনতে পেরে হু হু করে কান্না শুরুকরে দিলো।
থানায় সকল ফর্মালিটি পূরণ করে ফুলকে নিয়ে বাসায় ফিরলো নিহাল ও মিশু। ফুল এতোক্ষণে অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। মিশু ফুলকে জিজ্ঞেস করলো তার ভাই ভাবীর কথা। ফুল তখন উত্তর দিলো,” মামুন ভাই আরেকটা বিয়ে করছে, মিশু বুবু। হালিমা ভাবীর ঘরে একটা ছেলে হইছে কিন্তু হালিমা ভাবীর চরিত্রে দোষ আছে। দুই বোন মিলে এলাকা নষ্ট করে ফেলেছে। আমাকেও ছাড় দেয়নাই, বুবু। আব্বারে মোটা অংকের টাকা দিয়ে গাজীপুর নিয়ে গেছিল।”

ফুলের কথা শুনে মিশু দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আজ সে না থাকলে ফুলের কী হতো ভেবেই কেঁপে উঠলো। মিশুফুলের মাথায় স্নেহময় হাত বুলিয়ে বলল,” আমাদের এভাবেই দেখা হওয়া বোধহয় লেখা ছিল, ফুলরে! তুই আজ থেকে আমার সাথেই থাকবি।”

ফুল রাজি হয়ে গেলো। মিশুর সাথেই থাকতে শুরু হয় করলো।

——————–

মিশুর জীবন থেকে আরো দুইটা বছর চলে গেলো। মিশু এখন মাস্টার্স পাশ করে ফেলেছে। নিহালও আলাদা বাড়ি কিনেছে। সময় পেলেই মিশুর বাসায় এসে এক কাপ চায়ের আবদার জুড়ে বসে। মিশুর সাথে লম্বা সময় ধরে আড্ডা দিয়ে থাকে। একদিন ফুল মজার ছলে বলছিল, ” জানো মিশু বুবু! আমার না মনে হয় নিহাল সাহেব তোমাকে পছন্দ করে।”

মিশু সেদিন হেসে কথাটা উড়িয়ে দিবে বলল,” বেশি বুঝিস তুই। অমন শিক্ষিত, বড়োলোক ছেলে আমায় কেনো পছন্দ করবে? তাছাড়া উনার বাবা আমাকে মেয়ে বানিয়েছিল, সেই সূত্রে আমার সাথে যোগাযোগ রাখছে আর কী।”

ফুল সেদিন মানেনি। আরো বলেছিল, ” আমি তোমার সাথে একমত নই। দেখো না! এতো বয়স হয়ে যাচ্ছে তবুও বিয়ে করছে না।তারমানে সে তোমার জন্যই অপেক্ষা করছে।”

মিশু ফুলের কান মলে সেদিন খুব বকেছিল। কিন্তু আজ! আজ ফুলের কথাই ঠিক হয়ে গেলো। আজ মিশু ও নিহালের বিয়ে।বিশাল বড়ো আয়োজনে নয়, খুব ছোটখাটো আয়োজন করেছে দুজন মিলে। সাদামাটা বিয়েতে মিশু পরলো সেই শাড়িটা যেই শাড়ি ফারুখ সাহেব মিশুর জন্য কিনেছিল। আর নিহাল একটি সাদা পাঞ্জাবী পরিধান করে অতিথিদের আপ্যায়ন করছে। মিশুর কিছু ছাত্র ছাত্রী বিয়েতে উপস্থিত হলো। তারা মিশুকে সুন্দর করে সাজালো। বিয়েতে সারাজীবন সুখে দুঃখে একসাথে থাকবে বলে ওয়াদা করলো। শুরু হলো মিশুর জীবনের এক নতুন অধ্যায়, এক নতুন জীবন, এক নতুন প্রাপ্তি।

মিশুর জীবনটা স্বপ্নের মতো চলতে থাকলো। বিয়ে হলেও নিহাল মিশুকে সবকিছুতে ছাড় দিলো। মিশুর কোচিং সেন্টার খুব ভালো আলতে লাগলো। কমার্সের সাথে সাথে সায়ন্স বিষয়কও পড়ানো শুরু করলো। সায়েন্সের বিষয়গুলোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক সময়ের স্টুডেন্ট আনলো। মিশুর সাথে নিহালও পড়াতে আসতে থাকলো সপ্তাহে দুইদিন। মিশুর জীবন এখন পরিষ্কার, স্বচ্ছ কাঁচের মতো।

——————–

প্রায় সাত বছর পর,

এসএসসি পরীক্ষার হলে একজন ছাত্রের নকল ধরা পড়লো। শিক্ষকরা সেই ছাত্রটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছাত্রটি বেয়াদবি করলো, একপর্যায়ে ছাত্রটি তার বন্ধু বান্ধব সহ শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলল।
ঘটনাটি ম্যাজিস্ট্রেটের কানে পৌঁছালে ছাত্রটিকে ও তার বন্ধুদেরকে বহিষ্কার করে দিলো। প্রায় দুইঘণ্টা পর তাদের অভিভাবক ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দেখা করতে আসলো। ম্যাজিস্ট্রেট তখন সেই কলেজের প্রিন্সিপালের চেম্বারে বসেছিল। অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে চাইলো। সকল ছাত্রের অভিভাবকদের মধ্যে মামুন ও হালিমাও ছিল। ভাগ্যক্রমে যেই ছেলেটি নকল করেছিল সেই ছেলেটি মামুন ও হালিমারই সন্তান। তারা দুজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে চমকে উঠলো। কেননা ম্যাজিস্ট্রেট আর কেউ ছিল না মিশুই ছিল। মিশু তার ভাই ও ভাবীকে ভালোভাবে দেখলো। বয়সের ছাপ পড়েছে দুজনেরই। মাথার চুল পাকা ধরেছে হালিমার। এদিকে মামুনও কেমন দুর্বল হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে, অসুখ হয়েছে। তারা মিশুকে দেখে এগিয়েই আসছিল তখন সহকারী শিক্ষকরা বাঁধা প্রদান করলো।
মিশু চেয়ারে বসেই বলতে শুরু করলো, ” সাধারণত ম্যাজিস্ট্রেটের কাজ তদারকি করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু আমি আপনাদের সাথে কথা বলতে আগ্রহী, তাই দেখা করছি।”

হালিমা বাধা না মেনে মিশুর পায়ে গিয়ে পড়লো। আকুতি মিনতি করে বলতে শুরু করলো, ” ও মিশু, বোন আমার! মনের মধ্যে গোস্বা রাখিস না। আমার ছেলেটারে পরীক্ষা দিবার সুযোগ করে দে। ও তো তোর ভাইপো লাগে।”

মিশু উত্তরে বলল,” পা ছাড়ুন। অন্যায় সাথে আপোষ করা মানে অন্যায়, আপনার ছেলে নকল করেছে সাথে শিক্ষকদের উপর হাত উঠিয়েছে। তাকে বহিষ্কার নয়, আজীবনের জন্য পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল। আমি কথা বাড়াতে চাই না, আমার মতামত পাল্টাবো না। আপনারা আসতে পারেন।”

হালিমা ও মামুনদের এক প্রকার জোর করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হলো। মিশু দুপুর নাগাদ প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে গেলো। গেটের কাছেই হালিমা ও মামুন বসেছিল। মিশুকে দেখামাত্র দৌড়ে গাড়ির সামনে এলো। মিশু গাড়ি থামাতে বলল। গাড়ির দরজা খুলে দুজনকে উঠে আসতে বলল।

মিশুর বাড়িতে হালিমা ও মামুনকে নিয়ে গেলো সে। বিশাল আলিশান বাড়ি দেখে অবাক হলো দুজনে। মিশুর আওয়াজ পেয়ে পাঁচ বছরের আলিফ ও চার বছরের আনায়া দৌড়ে চলে আসলো। মিশু দুজনকেই জড়িয়ে ধরলো। তাদের পিছনে ফুল খাবার হাতে দৌড়ে এলো। ফুল ক্লান্ত হয়ে বলতে শুরু করলো, ” বুবু, এরা এতো দুষ্ট কেনো?”

মিশু মুচকি হেসে বলল,” ওরা দুষ্ট না, ওরা চঞ্চল। আমার দুই চঞ্চল পাখি।”

ফুলের নজর তখন মামুন ও হালিমার দিকে পড়লো। ফুল ভয়ে কুঁকড়ে উঠলো। মিশু তাদের বসতে বলে ফ্রেস হতে চলে গেলো। মামুন ও তার স্ত্রী হালিমা ঘুরে ঘুরে আলিশান বাড়ি দেখতে লাগলো।তারা দুজন ভাবতে লাগলো, কী নেই এই বাড়িতে? তারা জীবনেও যা দেখেনি তা দেখতে পাচ্ছে। হিংসা ও আফসোস করলো হালিমা। মিশুকে অত্যাচার করে বড্ড ভুল করেছিল সে। এদিকে মামুন কোন মুখে বোনের কাছে ক্ষমা চাইবে? সেও তো স্ত্রীর প্ররোচনায় পড়ে মা ও বোনকে দূরে সরে দিয়েছিল। দিন পর দিন মা বোনের খোঁজ নেয়া থেকে বিমুখ ছিল সে। স্ত্রীর মিথ্যা ভালোবাসায় অন্ধ ছিল মামুন। মামুনের চিন্তার মাঝেই নিহাল বাড়িতে প্রবেশ করলে। দুই হাতে বাজারের ব্যাগ। ফুল ফুল বলে চিৎকার করে ডাকতে শুরু করলো। ফুলের হাতে বাজার দিয়ে মামুনের দিকে এগিয়ে গেলো।
অমন শার্ট, কোট পরিহিত সাহেবকে দেখে মামুন দাঁড়িয়ে পড়লো। নিহাল তখন এসে মামুনকে জড়িয়ে ধরে বলল,” আমি আপনার বোনের স্বামী। আমার নাম নিহাল চৌধুরী। ইউসিবি ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছি।”

নিজের কর্মের জন্য মামুন খুব লজ্জিত হলো। স্ত্রীকে বলল,” চলো, হালিমা। আমার শরীর খারাপ লাগতাছে।”

হালিমাও তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হলো। সেও লজ্জায় মাথা নুইয়ে রাখলো। কিছুক্ষণ পর মিশু এলো। এইমাত্র গোসল করে এসেছে মিশকা ভেজা চুল তার প্রমাণ। ভাই ভাবীর সামনে এসে বসলো। এবার তার মাথা নিচু নয় উঁচু করে রাখলো। আজ মিশুর অবস্থানটাই সুউচ্চতে। মাথা নিচু করার সময় অতীতেই ফেলে এসেছে। মামুন বোনের দিকে এক পলক তাকালো। মিশু বলল,” আমি স্বামী সন্তান নিয়ে এখানেই থাকি।”

হালিমা বলল,” আমার ছেলের ভবিষ্যতের কথা একটু ভাব, মিশু। ছেলেটাকে পরীক্ষা দেয়া সুযোগ করে দে।”

মিশু সোফায় হেলান দিয়ে বসে বলল,” একজন সন্তানকে মানুষ করার জন্য বাবার থেকে মায়ের অবদান বেশি থাকে। তুমি তোমার সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে পারোনি ভাবি।”

হালিমা মাথা নীচু করে রাখলো। আগের তেজ আর এখন তার নেই। থাকলেও কার সাথে দেখাবে? আগের মিশকা ছিল একা দুর্বল একজন মেয়ে। আর এখনকার মিশু শক্তিশালী, উচ্চ শিক্ষিত নারী। যার সামনে হালিমার কথা ফুটবে না। তবুও সে বলল,” আগের কথা মনে পুষে রেখে আমার ছেলের জীবন নষ্ট করলি। উপরওয়ালা তোকে ছাড়বে না।”

মিশু হাসলো। মনে পড়লো অতীতের দিনগুলোর কথা। হালিমার দিকে তাকিয়ে বলল,” উপরওয়ালা কাউকে ছাড় দেন না, ভাবি। এই যে, একসময় যাকে বিক্রি করার জন্য দুজন উঠেপড়ে লেগেছিলে সেও কিন্তু কারো সন্তান কারো বোন ছিল। তোমরা সেই মেয়ের ভয়াতুর অবস্থা দেখেছিলে? আঁধার রাতে যখন একজন মেয়ে ঘর ছেড়ে চলে আসলো একটিবারও কী খোঁজ নিয়েছিলে? ভেবেছিলে, কেমন অবস্থায় আছে সেই মেয়ে? আমি ভালো আছি কিন্তু তোমরা?”

হালিমারা সত্যিই ভালো নেই। যেই স্বামীকে মা বোন ছাড়া করেছিল সেই স্বামী আজ তার নেই। নেহাৎ ছেলের জন্য তারা আজ একসাথে কিন্তু মূলত হালিমা একা থাকে।

হালিমারা চলে গেলো। মিশু তাদের খালি মুখে বিদায় করেনি। রাতের খাবার খেয়ে বিদায় দিয়েছে। মিশুর ভাই যাওয়ার আগে মিশুর হাত ধরে অনেক কাদলো। বারবার ক্ষমা চাইলো বোনের কাছে। মিশু তখন ছিল উদাসীন। শুধু বলেছিল,” আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। তবে, আমার জীবনের এতোগুলা বছরের কষ্টগুলোর জন্য হয়তো মুখ থেকে কিছু বলব না কিন্তু আমার প্রতিটা নিঃশ্বাস তোমাকে অভিশাপ দিবে; তা আমি ফেরাতে পারব না।”

মামুন নতমাথায় চলে গেলো। হালিমার ক্ষমা চাওয়ার মুখ রইলো না। হয়তো সে অনুতপ্ত, তাইতো ফেরার পথে চোখের অশ্রু বিসর্জন করছিল।

————

পুনশ্চঃ
অপরাধীরা অপরাধের শাস্তি পাবে। হোক সেটা ইহকালে অথবা পরকালে। মিশুর অতীত যতোটাই কষ্টের ছিল বর্তমানটা ততোই সুখের। মিশুর মতো হাজারো মেয়েদের জীবনে ঘটে যাওয়া অজানা গল্প কেউ দেখে না। কেউ জানে না, মিশুদের সাথে কতো অন্যায় হয়। সব মিশুরা কিন্তু ফারুখের মতো চাচা পায় না, আর না পায় নিহালের মতো বন্ধুরুপী স্বামী। পরিশেষে বলব, পৃথিবীতে মিশুর মতো মেয়েদের সাথে অন্যায় না হোক! মিশুরা সারাজীবন শান্তিতে বেঁচে থাকুক।

সমাপ্ত