নীরবে নিভৃতে পর্ব-০২

0
174

#নীরবে_নিভৃতে
#পর্ব_২
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া

(কঠোরভাবে প্রাপ্তমনস্কদের জন্য উন্মুক্ত।)

কতক্ষণ জ্ঞান হারিয়ে ছিলো খেয়াল নেই মেহেকের। চোখ মেলে তাকিয়ে আশেপাশে নজর বুলাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো সে। মাথাটা কেমন ঝিমিয়ে আছে এখনো। ঠিকমতো তাকানো যাচ্ছে না তাই। তবুও সময় নিয়ে নিজেকে সামলে নিলো মেহেক। আচমকাই দুপুরে ঘটে যাওয়া সেই ভয়ংকর ঘটনার কথা মনে পড়ে গেলো। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো এখনো বিয়ের সাজগোছে আছে সে। একটা বেতের খাট,পাশে বাঁশের অংশ জুড়ে দেওয়া। তাতেই বসে আছে মেয়েটা। বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ঘরের চারদিকে দেখছে মেহেক। টিনের তৈরি একটা ছোটো ঘর। ঘরের একপাশে এই খাট আর অন্যপাশে মাটিতে একটা স্টিলের কলসি রাখা সাথে একটা স্টিলের গ্লাস। মেঝেতে কিছু তাস ছড়িয়ে রাখা আর সিগারেটের আধপোড়া অংশবিশেষ। দরজা, জানালা সব বন্ধ থাকলেও মেহেকের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না সন্ধ্যা হওয়ার আগমুহূর্ত এখন। কী ভয়ংকর বিপদে পড়েছে সেটা ভালো করেই বুঝতে পারছে। হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে আঁতকে উঠল মেহেক। ভয়ে গুটিসুটি মেরে খাটে বসলো। পরক্ষণেই ভাবলো আবারো জ্ঞান হারানোর অভিনয় করবে কি-না। কিন্তু ততক্ষণে ঘরে দু’জন লোক ঢুকে যায়।
” কী গো সুন্দরী? জ্ঞান ফিরলো তবে! ”
খয়েরী টি-শার্ট আর সাদা লুঙ্গি পরিহিত এক যুবক শুধালো মেহেককে। কিন্তু চুপ রইলো মেয়েটা। ফয়সাল মেহেকের পাশে এসে বসে রকির উদ্দেশ্যে বলে,
” দেখতেই তো পাচ্ছ সোজা হয়ে বসে আছে। ”
মেহেকের কাঁধে হাত রেখে রকির দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে ফয়সাল। মেহেকের শরীর ঘৃণায় ঘিনঘিন করছে। কোথা থেকে রাজ্যের সাহস এসে জমা হয়েছে ওর মনে৷ সেই সাহসের জোরেই নিজেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে নেয় ও। রকি কিছু একটা ইশারা করতেই ফয়সাল বসা থেকে উঠে দাঁড়াল।
” এখন চল ফয়সাল। রাতে নিয়মকানুন মেনেই মাস্তি করবো বরং। ততক্ষণে ওকে কিছু খাবারদাবার দিয়ে যা। খেয়ে শরীরে শক্তি সঞ্চয় করুক। যদিও ও তো শুয়েই থাকবে, খেলবো তো আমরা।”
শেষের কথাটা বলেই ওরা দু’জন একসাথে বিশ্রীভাবে হেসে উঠলো। মেহেক চোখ বন্ধ করে ফেললো। এতো নোংরা কথা যারা বলতে পারে তারা ওর সাথে কতটা অসভ্যতা করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফয়সাল রকির সাথে হাসতে হাসতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। কিছু সময়ের জন্য হলেও হাঁপ ছেড়ে বাঁচল মেহেক। কিন্তু কতক্ষণ এভাবে থাকবে? রাত হলেই নিশ্চিত নেকড়ের পালের মতো ওর উপর হামলে পড়বে তারা। রাগে-দুঃখে নিজের হাতে নিজেই কামড়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে মেহেক। আত্মহত্যা করার মতোও কোনো উপায় নেই এখানে। ঘরের মাচান এতটা উঁচুতে যে শাড়ি সেই পর্যন্ত বেঁধে গলায় ফাঁসি দেওয়া সম্ভব না। নিজের ইজ্জত দেওয়ার থেকে প্রাণ দেওয়া ঢেরবেশি সম্মানের।

দুপুর থেকে সন্ধ্যাে গড়ানোর সাথে সাথেই পুরো গ্রামে বিষয়টা ছড়িয়ে গেছে। সবার মুখে এখন একটাই কথা, হাওলাদার বাড়ির বড়ো মেয়ে মেহেককে ডাকাতরা উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এমনকি মেয়েটার হবু জামাইকেও জায়গায় খুন করে গেছে ডাকাতরা। সিদ্দিক আহমেদের বাড়িতে পুলিশের আনাগোনা লেগেই আছে। ইকবালের খুনের বিষয় তারা বিভিন্ন তথ্য জানতেই এই তদারকি। মেহেককে অপহরণ করা হলেও সে নিয়ে বাড়ির কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। আনজুম বেগমের তো মনে মনে মহা আনন্দ হচ্ছে। ইকবাল তো মরেও গেছে। টাকাপয়সা আগেই যা দিয়ে গেছে তা দিয়ে কয়েকবছর আরামসে চলে যাবে। তার উপর সতীনের মেয়েও ঘাড় থেকে নেমেছে এবার। সব মিলিয়ে আনজুম বেগমের সোনায় সোহাগা। তবে সিদ্দিক আহমেদের মেয়ের জন্য একটু-আধটু মন খারাপ হচ্ছে। আর যাইহোক তিনি কখনো এভাবে মেয়েকে বাড়ি থেকে বিদায় করতে তো চাননি।
” কী গো খাবার খাবে না?”
ঘরের সামনের খোলা জায়গায় চেয়ারে বসে আছেন সিদ্দিক আহমেদ। দু’দিন আগেই পূর্নিমা ছিলো বলে এখনো চাঁদের আলোয় ঝিলমিল করছে সবকিছু। স্ত্রী’র প্রশ্নে নড়েচড়ে বসেছেন তিনি।
” না। তুমি খেয়ে নাও আর আমাকে একা থাকতে দাও একটু। ”
স্বামীর কথার জবাবে কোনো কিছু বললেন না আনজুম। সত্যি বলতে অন্যের খাওয়াদাওয়া নিয়ে কোনো ভাবনা নেই তার। তা-ও একবার বলার দরকার ছিল তাই বলতে এসেছিল। অস্ফুটে স্বরে ” হুম” বলে বাড়ির ভেতর চলে যান আনজুম। আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মেহেকের কথা ভাবতে থাকে ওর বাবা।

” ভাই মেয়েটাকে আমরা একসাথে চাই সবাই মানে গ্রুপ….”
ফয়সালের কথা শেষ হওয়ার আগেই ঘাড় কাত করে সিগারেটের পশ্চাৎদেশে শেষ টান দিয়ে রোশন বলে,
” তোদের চাওয়া-পাওয়া দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে ফয়সাল। গ্রুপিং হবে না। মেয়েটাকে রাজি করা আর এক একজন আলাদা আলাদা কর। ”
” কিন্তু মেয়েটা তো রাজি হচ্ছে না ভাই। ”
রকি হতাশা ভরা গলায় বললো। রোশন কিছুটা অবাক হয়ে শুধালো,
” বন্দুকের নলের সামনেও রাজি না? ”
” না ভাই। ”
হাত থেকে সিগারেট ফেলে দিয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল রোশন। এখানে সবকিছু হলেও রোশনের বাবা মেয়েদের বিষয় কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। মরার ভয় দেখিয়ে হোক কিংবা অন্যকিছু মেয়েদের সম্মত করে তবেই তাদের সাথে মিলন করতে পারবে। কাউকে জোর করে কিচ্ছু করা যাবেনা।
” চল তো আমি দেখছি বিষয়টা।”
রোশন যাওয়ার কথা বলাতে সবার চোখেমুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। রোশন সব মেয়ের সঙ্গে রাত কাটায় না। শুধুমাত্র যাদের দেখে ভালো লাগে তাদের সাথেই কাটায়। তাছাড়া কে কোন মেয়ের সাথে কী করলো সেসব নিয়েও মাথা ঘামায় না। কিন্তু আজ এই মেয়ের কাছে যাবে সে। মৃত্যুকেও ভয় পায় না এমন মানুষ আছে পৃথিবীতে!

ঘরের এককোনায় নিভু নিভু আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে একটা আধপোড়া মোমবাতি। মেঝেতে বসে সেই দিকে তাকিয়ে আছে মেহেক। খানিকক্ষণ আগেই ছেলেগুলো এসেছিল ওর কাছে। কোন একটা কারণে কেউ সরাসরি গায়ে হাত দেয়নি ওর কিন্তু রাজি করানোর জন্য কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ছিলো। সারাজীবন অত্যাচার সহ্য করা মেয়েটাও নিজের ইজ্জত বাঁচানোর ক্ষেত্রে সাহসী হয়ে উঠেছে আজ। মনে মনে দৃঢ় সংকল্প করেছে সে, প্রাণ দিবে তবুও মানসম্পন্ন, ইজ্জত বিসর্জন দিবে না। হয় মারবে না হয় আজ মরবে। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে মেহেকের দিকে দৃষ্টিপাত করে দাঁড়িয়েছে রোশন। পাশে দাঁড়িয়ে আছে ফয়সাল,রকি, লিমনসহ আরো দুইজন। ওদের উপস্থিতিতে মেহেকের ভাবনার ছেদ ঘটেছে। কিন্তু নিজের জায়গা থেকে এক চুল পরিমাণ নড়েনি। মোমবাতির আলোতে লাল শাড়ি পরা যুবতীর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রোশন। মুখটা কেমন মায়া মায়া,চোখে কতো যন্ত্রণা। কিন্তু এই কষ্ট, যন্ত্রণা রোশনের চেনা! খুব চেনা কিন্তু কীসের কষ্ট সেটা বোঝার মতো সময় ও ইচ্ছে কোনোটাই এখন ওর নেই। ধীরপায়ে এগিয়ে গিয়ে মেহেকের সামনাসামনি বসে রোশন ঘাড় কাত করে পকেট থেকে আরেকটা সিগারেট বের করে। তারপর সেটাকে ঠোঁটে গুঁজে ইশারা করতেই লিমন এসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে গেলো। সিগারেটে সুখটান দিয়ে নাক-মুখ থেকে ধোঁয়া বের করে বলে,
” শুনলাম তুমি নাকি মরতে ভয় পাচ্ছ না? আসলেই কি তাই? ”
কোমরে গুঁজে রাখা পিস্তল বের করে মেহেকের বুকের মাঝ বরাবর তাক করলো রোশন। মেহেক ভাবলেশহীনভাবেই বললো,
” সম্ভব হলে এখুনি শুট করে দিন।”
এতটুকু মেয়েকে এভাবে মৃত্যুকে বরণ করতে চাওয়ার প্রবণতা দেখে চমকাল, থমকাল রোশন। কী এমন অশান্তিতে ছিলো সে যে, জীবন থেকে এভাবে মুক্তি চায়? কতো মেয়ে এসেছে এই ডেরায়, সবাই বন্দুক দেখেই রাজি হয়ে গেছে সবকিছুর জন্য। কিন্তু এই মেয়েটা আলাদা। রোশন ঠোঁটের কোণে দুষ্ট হাসির রেখা ফুটিয়ে পিস্তলের নল ছোঁয়াল মেহেকের গলার নিচ বরাবর। তারপর আস্তে আস্তে বক্ষবিভাজনের উপর এসে থামলো। মেহেকের ভেতরটা শেষ হয়ে গেলেও প্রকাশ করলো না কিছু। কোনো ইচ্ছে নেই করারও। মানুষের জীবনে কিছু কিছু সময় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়,তখন মনে হয় মরে গেলেই বুঝি বেঁচে যেতাম। মেহেকের তেমন হয়েছে। এখান থেকে কোনোভাবেই ওর পক্ষে যে পালানো সম্ভব না সেটা ভালো করেই বুঝে গেছে ও।
” মরার এতোই যখন শখ তাহলে চলো মেরেই দিচ্ছি তোমাকে। ওয়ান….”
রোশন কাউন্টডাউন শুরু করতেই সবাই নড়েচড়ে উঠলো। সত্যি সত্যি কী মেরে দিবে এই সুন্দরী মেয়েটাকে?
” টু….”
” এতে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। আপনি এখুনি মেরে ফেলুন আমাকে নয়তো বলা যায় না আমিই হয়তো মেরে দিলাম আপনাকে!”
এতক্ষণে চোখে চোখ রেখে কণ্ঠে দৃঢ়তা বজায় রেখে মেহেক রোশনকে কিছু বললো। বাকিরা হেসে উঠলেও রোশন চুপ করে রইলো। অশ্রুসিক্ত চোখে আগুন দেখতে পাচ্ছে ও। কী হলো কে জানে! এই মেয়েটাকে অন্য কাউকে না বরং নিজের বিছানা সঙ্গী করবে বলে মনে মনে নিজেকে কথা দিলো রোশন। বসা থেকে উঠে সবার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো সে,
” তোরা যা সবাই। ওকে আমার লাগবে। যতদিন আমি ওকে না পাচ্ছি তোরাও পাবি না। আর হ্যাঁ রাজি তো ওকে আমি করেই ছাড়বো একদিন। ”
সবার মন খারাপ হলেও রোশনের মুখের উপর কেউ কিছু বলতে পারছেনা।
” ঠিক আছে ভাই। ”
লিমন ম্লান কন্ঠে বলে সবাইকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। মেহেক ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে রোশনের দিকে তাকিয়ে আছে। রোশন দরজা আঁটকে দিয়ে খাটের ওপর শুয়ে পায়ের উপর পা রেখে গানের সুর গুনগুন করছে। মোমবাতি প্রায় শেষের পথে। মেহেকের মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, এই জানোয়ারগুলোর আবার ওর সম্মতি লাগবে কীসের জন্য?
” এই যে সুন্দরী! ”
রোশন খাটে বসে পা দুলিয়ে বসে আছে। মেহেক পিছনে ফিরে তাকিয়ে চুপ করে রইলো কেবল। রোশন মেহেকের হাত ধরে উঠিয়ে খাটে বসালো। খোঁপা করা চুলগুলো খুলে দিয়ে তাতে নাক ডুবিয়ে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ফের বললো,
” আমার দিকে ভালো করে দেখো তো একবার। কতো হট আমি! আমার চোখের দিকে তাকাও। ইচ্ছে করছে না এই চোখে হারাতে? ”
মেহেক নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইলেও রোশন পেছন থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। নিঃশব্দে খাঁচায় বন্দী থাকা পাখির মতো ছটফট করতে থাকে মেয়েটা। কোনো উত্তর না পেয়ে আচমকা মেহেককে ছেড়ে দেয় রোশন। মুখোমুখি বসিয়ে নিজে অর্ধ নগ্ন হয়ে মেহেকের হাত দু’টো নিয়ে নেড়েচেড়ে বলে,
” এদিকে তাকাও! বুকে আসবে না? একবার ছুঁয়ে দেখো তো শরীরে কামনার আগুন না জ্বলে থাকে কি-না! ”
” চুপ করুন! মানুষ কতো নোংরা হলে এমন আচরণ করে। এরথেকে ধর্ষণ করলেই তো হয়। আপনি আমার সামনে বিবস্ত্র হয়ে শুয়ে থাকলেও আপনার প্রতি কোনো কামনাবাসনা জাগবে না আমার। ”
মেহেক মেঝেতে থুথু ফেলে বলে কথাটা। রোশন হাসে। একহাত দিয়ে মেহেকের থুতনিতে আঙুল ছুঁইয়ে অন্য হাতে ওর খোলাচুল শক্ত করে চেপে ধরে। মেহেক কিছু বোঝার আগেই রোশনের শক্ত ঠোঁটগুলি ওর কোমল ঠোঁট দখল করে নেয়। চমকে উঠে মেয়েটা। নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে রোশনের থেকে ছাড়াতে চায় নিজেকে। কিন্তু পুরুষালী শক্তির কাছে মেহেক অসহায় হয়ে পড়ে। ধর্ষণের কথাটা বলে কতো বড়ে ভুল করেছে সে এখন হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে নিজেকে মুক্ত পেয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে মেহেক। রোশন আধশোয়ার ভঙ্গিতে শুয়ে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে নিজের ঠোঁট মুছে বলে,
” লিপস্টিকের টেস্ট মোটেও ভালোলাগেনি কিন্তু। আর কখনো এসব ব্যবহার করবে না। আর হ্যাঁ এটা ছিল আমাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য ছোট্ট একটা শাস্তি। আজ পর্যন্ত কেউ প্রত্যাখ্যান করেনি আমাকে কিন্তু তুমি! মেয়ে তোমার বড্ড সাহস,বড্ড। বিশ্বাস করো একদিন তুমি নিজেই আসবে, নিজের সবকিছু আমার কাছে উজাড় করে দিতে। নিজেই বলবে,’ রোশন আমাকে শান্ত করো, আমি আর পারছি না।’ বুঝলে সুন্দরী? ”
রোশন খাট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে হাসছে। মেহেক চোখমুখ কুঁচকে নিঃশব্দে কাঁদছে। এরচেয়ে হাজার গুন ভালো ছিলো ওই ইকবালের সাথে ঘর করা। এতো নোংরা একটা জানোয়ারের সাথে এক ঘরে আছে এবং সে জোর করে ছুঁয়ে দিয়েছে ভাবতেই মেহেকের সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।

চলবে,