পারবোনা আমি ছাড়তে তোকে পর্ব-১২+১৩+১৪

0
13

#পারবোনা_আমি_ছাড়তে_তোকে
#লেখনিয়ে_ইশিতা_ইসলাম
#পর্ব : ১২

~সকাল ১০ টা বাজে ইরফানের দজায় “কারাঘাত পরছে হালকা করে ” ঘুমের মাঝে , বলে ইরফান ”

_”কে…??

” দরজার বাইরে থেকে, ইরফানের ঘুম ঘুম ভাব ও নেশালো কন্ঠস্বর শুনে “মাহির গলা জরিয়ে এলো “জবাব দিতে উষ্ঠু জোরা শুকিয়ে এলো ” বার বার ঠোঁট ভেজাচ্ছে “আমতা আমতা করে জ্ববাব দিলো ”

“আ….আমি..!

~দ্রুত বিদ্যুৎ এর গতিতে দরজা খুলে ইরফান “_

” ~”কি হয়েছে…?

“ইরফান জ্বোরে জ্বোরে শ্বাস ফেলছে ” বার বার মাহির পা থেকে মাথা পর্যন্ত চিন্তিত ভঙ্গিতে দেখছে ”

~ ইরফান এর অস্থিরতা দেখে “মাহি ড্যাপড্যাপ করে তাকিয়ে আছে তার দিকে “মনে মনে ভাবছে “-

_ কি হয়েছে ইরফান ভাই এর এভাবে শ্বাস ফেলছে কেনো..??

~_ কি হলো আপনার কি শরির খারাপ ~কোথায় খারাপ লাগছে…বেশ উদবিগ্ন কন্ঠে বললো মাহি।

_~ না… কিছু হয়নি ” কিছু বলবি…?,?

~_ফাহাদ ভাইয়া ফোন করেছিল আপনাকে ডেকে তুলতে বললো “অনেকক্ষন যাবৎ নাকি কল করছে তুলছেন না তাই..!

_~ ফোন সাইলেন্ট ছিলো..” আমি কল দিচ্ছি ”

“~এর মধ্যে ইরফানের সামনে রোহান উপস্থিত হয়েই বলা শুরু করে ” সব কিছুর একটা লিমিট থাকে ইরফান “তুই ওই ছেলেটার সাথে এটা কি করেছিস ” এগুলো সব কিভাবে ম্যানেজ করবো তুই এবার থাম ভাই। অনেক দিন পর দেশে এসেছিস নিজের কোম্পানি চালু করছিস তোর রেপুটেশন নষ্ট করিস না.!

“ইরফান ইশারা দিতেই রোহান চুপ করে এবার নিজের পেছনে ঘুরে মাহি কে দেখে শক খেলো যেনো!
মাহি যে এখানে উপস্থিত ছিলো এটা রোহান এতক্ষন খেয়াল এই করেনি ” কথা গুলো শুনে মাহি ভ্যবাচেকা খেয়ে গেলো! কি হয়েছে “কি করেছে ইরফান ভাই ” রোহান ভাই কি বলছে এসব.!

“ইরফান নিজ ভঙ্গিতে গম্ভির স্বরে বললো ”

~”মাহি তুই যা মাকে বলিস “দুই কাপ কফি দিতে..!

” নিশ্চুপ হয়ে চলে গেলো মাহি ”

“মাহি যেতেই রোহানের পিঠ বরাবর দুইটা ঘুসি বসালো ইরফান ” শালা কোথায় কি বলতে হয় বুঝে কথা বলতে পারিস না ”

“এবার বেশ বিরক্তি নিয়ে বলে রোহান _আমার কোনো বড় বোন নাই কাকে বিয়ে করবি তুই আমার দাদিকে..?

~তোর ওই বুইড়া দাদি তো দূরে থাক তোর দাদা কবরের থেকে উঠে এসে ১৯ বছরের কচি মেয়ে বিয়ে করলেও ফিরে তাকাবো না কে বিয়ে করবে কে…?

~_১৭ বছরের এক বাচ্চা মেয়ের প্রতি অবসেস হয়ে বসে আছিস ‘আবার বড় বড় কথা বলিস ”

~তুই যে ~অপরিচিত এক মেয়ের উপরে ক্রাশ খেয়ে বসে আছিস ” দ্বিতীয় বার যার কোনো দেখা ও মেলে নি তা নিয়ে তো কিছু বলি নাই শালা “ভেতরে আয় বলছি সব!

~~ মাহির দিকে সিগারেট এর ধোঁয়া ছোয়া টা যে এতো বড় পাপ হয়ে দাঁড়াবে “তা জানলে হয়তো ছেলে টা মাহির দিকে চোখ মেলে তাকাতোই না ”

“_ একটা লোক ছটফট করছে ” হাত দুটো বাধাঁ ” নাক মুখ “দাত দিয়ে রক্ত ঝরছে ” বেশ কিছুটা সময় ভালই মারধর করেছে হয়তো “-চারদিকে অন্ধকার কিছু দেখা যায় না ২৬ বছরের একটা ছেলে ” ভয় চোখে মুখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে একটা দিয়াশলাই এর আলয় ” ছেলেটার মুখের দিকে ঝুঁকে আছে ইরফান ”

“মিনুতি করে ছেলেটা বললো ” আমাকে ছেড়ে দিন “আমি কিছু করিনি ”

“করেছিস অনেক কিছু করেছি ” বাঘের গুহায় পা দিয়েছিস থাবা তো খাবি এই “…

ছেলেটি আবার ভয়ে ভয়ে বললো ” কি.. কি করেছি বলুন আর করবো না জিবনেও শুধু একবার বলুন
_

“আমার কলিজায় বিষাক্ত ধোঁয়া লাগিয়েছিস তোর ক্ষমা নেই ”

…~বলেই ইরফান একটা সিগারেট ধররিয়ে বললো “আল্লাহর কাছে দোয়া কর ” যাতে এই সিগারেট টা তারা তারি নিভে যায় কারণ এটা যতক্ষণ পর্যন্ত জ্বলন্ত থাকবে জ্বলবি তুই জ্বলবি “বলেই প্রথমে ছেলেটার ঠোঁট বরাবর সিগারেট এর জলন্ত মুখ টা ধরে চাপ দিলো ” ছেলেটা আর্তনাদ করে উঠলো ”
ইরফান থামলো না ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে এবার ইরফান ছেলেটার বুক বরাবর ছিদ্র করে দিলো আগুন যেনো নেভেই না “এর পর হাত পা সব ঝাঁজরা হয়ে গেলো ”

~রোহান এসে ইরফান কে থামিয়ে বাইরে নিয়ে যেতে যেতে ছেলেটা অচেতন হয়ে গেলো ”

~ভ্রন কাটলো রোহান এর ”

_কফি খাবি না..? ইরফান এর সহজ প্রশ্ন

“তোর কফি তুই খা _ এই মাএ ছেলেটা কে দেখে আসলাম হসপিটাল থেকে _ কথা বলতে পারছে না..!

” ~হসপিটাল এর বিল সহ ফলটল খাওয়ার ও বারতি কিছু টাকা দিয়ে দিস “_

~_আমার অফিস আছে তোর এইসব ঝামেলা আমি রোজ রোজ ধামাচাপা দিতে গিয়ে কবে জানি নিজের চাকরি টা খোয়াতে হয় আমার ”

~বন্ধুর জন্য চাকরি গেলে সওয়াব হয় _

~রাখ তোর ভন্ড হাদিস… থাক তুই অফিস গেলাম!

~মাহি বুঝে উঠতে পারছে না ইরফান ভাই আবার কার সাথে কি করেছে “ইরফান ভাই তো অনেক ভালো মানুষ সে কোনো কারণ ছাড়া কারো সাথে খারাপ কিছু করবে না ” কিন্তু রোহান ভাই এটা কি বললো।
মাথা ঘুরছে ভাবতে ভাবতে কারণ খুজে পেলো না “।রুমে এসে দেখলো রাইসা কল করেছে অনেকবার ধরা হয়নি ” মূলত এতোক্ষণ মাহির কোনো দিকে খেয়াল এই ছিলো না।

“হ্যালো ”

“হুমম কতো বার কল দিলাম রিসিভ করলি না কেনো ” ~

“কাছে ছিলাম না রে ” বল কি করছিস..?

“কিছু না ” বিকালে কিছু সাপ্লিমেন্ট কিনতে যাবো “তুই যাবি..?

” হ্যা যাবো তো “বিকেলে তুই রেডি হয়ে বাইরে আসিস ” আমি ফাইজা কে নিয়ে আসবো।

রাইসা আচ্ছা বলে কল কেটে দিতেই মাহির কাছে লিসা আপু আসে “দুজন মিলে গল্প শুরু করে দেয় কথা যেন ওদের ফুরায় না… ” মাহি লিসা কে USA সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন করে নতুন নতুন কিছু ধারণা নেয়।

চলবে….?

#পারবোনা_আমি_ছাড়তে_তোকে
#লেখনীতে_ইশিতা_ইসলাম

#পর্ব : — ১৩

__ মাহি ও ফাইজা রাইসার সাথে গিয়েছিল সাপ্লিমেন্ট কিনতে ফাইজা কে বাসায় নামিয়ে দিয়ে ওরা বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যা নেমে আসে ~বাসায় ফিরে মাহি রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে -শারমিন ম্যাম আসে ওদের দুজন কে পড়াতে কিন্তু মাহি ম্যাম এর কাছে পড়তে ও আসে না ম্যাম চলে গেলে ফাইজা গিয়ে মাহির কাছে গিয়ে মাহি ডেকে আসে তবুও আসে না মাহি।

~লিসা সোফায় বসে বসে চিকেন পাকোড়া খাচ্ছে ইরফান বাইরে কোথাও যাচ্ছে দেখে লিসা বলে…

~ কোথায় যাচ্ছিস পাকোড়া খেয়ে যা দেখ বড় আন্টি কতো ভালো পাকোড়া বানিয়েছেন।

-ইরফান এর ঠোঁটের কিনারায় একটা চিকন হাঁসির রেখা ফুটে ওঠে “মুখে হাঁসি রেখেই বেশ গর্বিত ভাবে ইরফান জ্ববাব দিলো ”

” মা সব কিছুই বেশ ভালো রান্না করে “স্পেশালি মায়ের হাতের ভুনা খিচুড়ি টা জাস্ট ওয়াও ” এক দিন টেস্ট করে দেখিস ” It’s so Yamey..!

“নাজিফা বেগম রান্নাঘর থেকে এসে ছেলের কথা শুনে হেঁসে বললেন ” তুই ভুনা খিচুড়ি খাবি বাবা রাতেই রান্না করবো তাহলে।

“লিসা বেশ উৎসাহিত ভাবে বলে ” হ্যাঁ বড় আন্টি তুমি বরং আজকে ভুনা খিচুড়িই রান্না করো “কি বলিস ইরফান…??

” ~হুমম খারাপ হয় না.. এক কাপ কফি দেবে মা..?

_দিচ্ছি বাবা তুই বস একটু “বলেই নাজিফা বেগম চলে গেলেন রান্না ঘরের।

~ইরফান বসে একদিক ওদিক চোখ বোলালো কাউকে খুঁজছে..”

‘লিসা পাকোড়া খেতে খেতে ফাইজা কে জিজ্ঞেস করলো “কি ব্যাপার আজকে মাহি কে দেখছি না যে”..?

” এবার ইরফান ও তাকালো ফাইজার দিকে “ফাইজা টিভির থেকে চোখ নামিয়ে লিসার দিকে তাকিয়ে বললো ” আপুর মন খারাপ তাই শুয়ে আছে ”

“মাহির মন খারাপ শুনে ইরফান এবার সরাসরি ফাইজা কে জিজ্ঞেস করেই ফেললো কি হয়েছে ওর..???

” না তেমন কিছু না আসলে..!আসলে আপুর ফোন টা পড়ে ভেঙে গেছে গাড়ী থেকে নামার সময়।

“ইরফান ভ্রু কিঞ্চিৎ বাকা করে বললো তো এতে মন খারাপ এর কি আছে..??বোকা মেয়ে। নাজিফা বেগম কফি দিয়ে গেলে ইরফান কফি খেয়ে বেড়িয়ে গেলো।

_ইরফান বাসায় ফিরে দেখে ” মাহবুবা বেগম ফাইজার মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছে ~ফাইজা ছটফট করছে যেনো এখান থেকে ছাড়া পেলে বাচে ”

“কি হয়েছে কাকি আম্মু ফাইজা এমন করছে কেনো..???

” মাহবুবা বেগম বেশ অভিযোগ এর স্বরে বললো ” দেখ না মাথায় তেল দিতেই চায় না চুল গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

“ফাইজার চুল গুলো অনেক সিল্কি কোমর ছুই ছুই।

” থাক দিতে যখন চাইছে না ছেড়ে দেও যখন ওর মুড ভালো থাকবে তখন দিয়ে দিও ”

“মাহবুবা বেগম ফাইজা কে ছাড়তেই ফাইজা নিজের রুমে যাওয়ার উদ্দেশ্য উপরে উঠতে যাচ্ছে” ইরফান পেছন থেকে ডাক দিলো ” শোন “ফাইজা ইরফানের ডাক শুনে দাঁড়িয়ে পড়লো ” ইরফান ফাইজা কে অনেক গুলো চকলেট চিপস দিলো।

“এগুলো তোর ”

__ফাইজা খুশিতে ডগমগ হয়ে রুমে চলে গেলো “ইরফান উপরে উঠে মাহির রুমের দিকে গিয়ে গিয়ে দরজায় টোকা দিলো ” মাহি গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে “ইরফান জ্বোরে টোকা দিয়ে হেস্কি স্বরে ডাক দিলো ” মাহি….!

মাহি ঘুম থেকে উঠে সোজা বসে পড়লো “বাইরে থেকে ইরফান এর গলার আওয়াজ টা বেশ স্পষ্ট মাহির কানে গেলো। মাহি কোনমতে ওড়না টা গলায় পেচিয়ে দরজা খুলে দিলো ” এলোমেলো চুল একটা কালো রঙের গাউন পড়ায় মাহি সৌন্দয্য দ্বিগুণ ফুটিয়ে তুলেছে “সদ্য ঘুম থেকে ওঠায় মাহির কাজলের ন্যায় সচ্ছ কালো ডাগরডোগর চোখ গুলোর মনিকোঠার চারদিক হালকা লাল হয়ে আছে।

” ইরফান দৃষ্টি নামিয়ে নিলো “মনের মধ্যে অনাকাংক্ষিত ইচ্ছে গুলো উকি দিচ্ছে ” ইরফান নিজেকে সংযত করে “মাহি কে বললো কি হয়েছে ..??

” কই কিছু না তো..!

~_ইরফান কিছু না বলে মাহির হাতে প্রথমে চকলেট চিপস দিলো “একপর হাতে একটা মোবাইল ফোন এগিয়ে দিলো ” মাহি অবাক চোখে তাকিয়ে দেখলো এটা I phone Sixteen pro max. ইরফান মোবাইল টা মাহির হাতে দিয়ে বললো :-

“পছন্দ হয়েছে…??

” মাহি আমতা আমতা করে “বললো না মানে আমার এটা লাগবে না..!

” লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করি নি পছন্দ হয়েছে কিনা তা বল।

“আমি এটা নিতে পারবো না..!

” পছন্দ হয়নি তাই তো “আচ্ছা কোনটা পছন্দ তা বল কাল এনে দেবো. ”

“না.. না পছন্দ হয়েছে খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু…!

” কোনো কিন্তু এটা তোর আর এটার সাথে সিম আছে “ফেছবুক চালু করা আছে ” এর পর ইরফান নিজের ফোন টা বের করে মাহির নাম্বারে একটা কল দিয়ে বলে এটা আমার নাম্বার মন চাইলে কল দিস। বলেই হাটা শুরু করে ইরফান “যেতে যেতে ইরফান মাহির ফেছবুক আইডি তে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠায় ” মাহি ইরফান এর যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে এর মধ্যেই মাহির হাতের ফোন টা কেপে উঠলো একটা নোটিফিকেশন আসল মাহি চেক করে দেখেলো ইরফান ভাই এর ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এর নোটিফিকেশন.. ”
মাহি চালু এক্সেপ্ট করে “রুমে গিয়ে নিজের নতুন ফোন টা ঘেটে দেখছে! বাবা বলেছিলো HSC তে গোল্ডেন জিপিএ পেলে মাহি কে নতুন মোবাইল কিনে দিবে। কিন্তু ইরফান ভাই এর কাছে এতো তারাতাড়ি নিজের অপ্রত্যাশিত ইচ্ছে টা পূরণ হয়ে যাওয়াতে মাহি খুব খুশি।

_______________________________✪__________________________✪___________________

” রোহান মাঝে প্রায় দুই বার দিনাজপুর গিয়েছিল অহনার খোজ করার উদ্দেশ্যে এক বারো অহনার দেখা পায়নি “ইরফান ভরসা দিয়েছে তুই শুধু মেয়ে টার বাবার নাম টা জানার চেষ্টা কর বাকি টা আমি সামলে নেবো। কিন্তু বেচারা রোহান তো তার রাগীনির দেখাই পেলো না ” একা বসে রোহান ভাবে “……আচ্ছা কেউ কি আমায় পাগল বলবে না… হ্যাঁ বলবে তো ” একজন কে হঠাৎ এক দেখাতেই ভালোবেসে ফেলা তাকে এই ভাবে পাগলের মতো খোজা পাগল তো বলবেই লোকে। কিন্তু রোহান যে প্রথম দেখাতেই মেয়েটার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে ভুলতে পারছে না “।

~ইরফান এর অফিস এর কাজ প্রায় শেষ আর ১০ দিন পড়েই উদ্বোধন করা হবে “অফিসিয়াল এক প্রয়োজনের জন্য ইরফান আজ দুইদিন হলো রাজশাহী তে গিয়েছে।

” দুদিন হলো ইরফান কে দেখে না মাহি বেশ অস্থির লাগছে “আগে তো এতোগুলা বছর ইরফান ভাই কে দেখে নি তখন এমন টা মনে হয় নি ” দুমাস হলো বাসায় এসেছে এর মধ্যে এই প্রথম ইরফান দুই দিন বাসা থেকে দূরে এতো খারাপ লাগছে মাহির “বেলকুনির কোণায় রেলিঙ ঘেঁষে বসে আছে ” হাতে মোবাইল নিয়ে কিছুক্ষন পরপর ফেছবুকে গিয়ে ইরফান এর আইডি তে ঢুকে চেক করছে ইরফান ভাই অনলাইনে এসেছে কিনা! যাওয়ার পর থেকে ওফলাইন ইরফান ভাই একটি বারের জন্য ও অনলাইন আসেনি। মাহির বেশ অভিমান হলো “বাসায় থাকলে মাহির সাথে দেখা না হলে সারাদিন পড় রাতে অন্তত ইরফান মাহির দরজায় টোকা দিয়ে মাহি কে দেখে যেতো মাহির শরীর খারাপ হয়েছে কিনা ” যাওয়ার পর একবার কথা পর্যন্ত বলে নি! আচ্ছা ইরফান ভাই ভালো আছে..?? কেনো অফলাইন দেখাচ্ছে।

“নিচে এসে মাহি কয়েক বার ঘুর ঘুর করেছে বড় আম্মুর কাছে জিজ্ঞেস করতে সাহস হয়নি ইরফান ভাই এর সাথে কথা হয়েছে কিনা তাই গিয়েছে রাবেয়া বেগম এর কাছে ”

“ফাহাদ ভাইয়া আসেনি না ” ওড়নার এক পাশে আঙুল ঘুড়তে ঘুড়াতে বললো মাহি।

” না আসেনি ওর যে বাইরে এতো কি কাজ থাকে জানি না আমি “প্রতি দিন এই বেরোতে হয়।

এর মধ্যে কাশেম চৌধুরী রুমে প্রবেশ করাতে ” থাকে হয়তো কিছু কাজ বলেই মাহি রুম ত্যাগ করলো।
নিজের রুমে এসে ভাবলো ইরফান ভাই এর খবর নেওয়ার আগেই বাবা চলে এলো মাকে জিজ্ঞেস করা ও হলো না ইরফান ভাই এর সাথে কথা হয়েছে কিনা.. “অনেক ভাবনা চিন্তা করে মাহি নিজের মোবাইল থেকে ইরফান এর সেইভ করা নাম্বার টাতে প্রথম বারের মতো কল করলো মাহি ” ভয়ে রুহু আত্মা সব কেঁপে উঠছে “রিং হতেই কল রিসিভ হলো ” কাঁপা কাঁপা গলায় মাহি সালাম দিলো ”

“আসসালামু আলাইকুম”

“ওয়ালাইকুম আসসালাম ” কেমন আছিস..??

“জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালো ” আপনি কেমন আছেন..??

“হুমমম ভালো ” তা দুইদিন পড়ে মনে পরেছে..?

” উহুম..”

“তাহলে একটা ফোন করেনি যে…!

~আবার ও ইরফান এর মুখে আপনি ডাক শুনে মাহি কিছু টা থমকে গেলো ” এর পর অভিযোগ এর স্বরে বললো আপনি ও তো খোজ নেননি ”

“মাহির অভিমানী স্বর শুনে ইরফান একটু হেঁসে জ্ববাব দিলো ” একটু কাজে বিজি ছিলাম “সন্ধ্যায় মায়ের সাথে কথা বলেছি আপনি পড়ছিলেন তাই বিরক্ত করিনি।

” মাহি বেশ লজ্জা পাচ্ছে কথা বলতে প্রসঙ্গ এরাতে বলে “রাতে খেয়েছেন..?

” না খাইনি একটু কাজ আছে সেরে তবে খাবো। আপনি খেয়েছেন..?

“হুমম ” অসস্থি এরাতে মাহি বললো আচ্ছা আপনি বিজি মনে হয় রাখি তাহলে।

“আপনার জন্য সব সময় ফ্রি যখন ইচ্ছা কল করতে পারেন ”

“আল্লাহ হাফেজ ”

“আল্লাহ হাফেজ ”

কল কাটার পড়ে ইরফান ফোন এর দিকে তাকিয়ে এক অদ্ভুত মিষ্টি হাঁসি হাসলো “বিরবির করে বলে
আমার সপ্নচারনী ” হৃদয় টা তো কবেই দখল করে নিয়েছেন এবার আপনাকে আমার করে দলিল করে নিতে চাই। চোখ বন্ধ করে চেয়ারটায় গা এলিয়ে দিয়ে ইরফান আবারো বিরবির করে বলে.. ”

-“তুমি আমার ছিলে আমারই থাকবে..

~কয়েক যুগ কয়েকশো বছর..।

চলবে…..??

#পারবোনা_আমি_ছাড়তে_তোকে
#লেখনিতে_ইশিতা_ইসলাম
#পর্ব: ১৪

~ সকাল থেকে রান্নার প্রস্তুতি চলছে চৌধুরী বাড়ী তে” নাজিফা বেগম , রাবেয়া বেগম, ও মাহবুবা বেগম তিন গিন্নী মিলে রান্না ঘর সামলাতে বেস্ত আজ প্রায় ২ বছর পরে ফরহাদ চৌধুরীর একমাএ বোন ফরিনা বেগম আজ চৌধুরী বাড়ী তে আসছে তাই বাসায় আজ আনন্দের বন্যা নেমেছে “মাহি ও ফাইজা ভিষণ খুশি ফাইজা তো স্কুল যেতে চাচ্ছিল না।কিন্তু আজ ফাইজার স্কুলে ক্লাস টেস্ট আছে তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফাইজা স্কুলে গিয়েছে কিন্তু মাহি তো কলেজ যাবেই না অনেক দিন ফুপি বাসায় আসবে তাই রাবেয়া বেগম ও তেমন জোর করলেন না ” ৩ দিন রাজশাহীতে থাকার পড়ে গতকাল রাতে ইরফান বাসায় ফিরে প্রায় রাত ১১ টার দিকে “তখন মাহি বেলকুনি থেকে দেখেছিল কিন্তু রুম থেকে বেড়িয়ে কাছে গিয়ে কথা বলা বা দেখা করার সাহস হয়ে ওঠেনি।

~সকালের নাস্তা শেষ করে মাহি ছাদে উঠেছে ” ছাদের এক কোণা জুড়ে মাহির ফুল গাছ গুলোর একটু যত্ন নিলো শেষে সব গাছ গুলো তে পানি দিয়ে নিচে নেমে গেলো “নিচে নামতেই নাজিফা বেগম মাহির হাতে এক মগ কফি দিয়ে বললো ”

“ইরফান কে কফি টা দিয়ে আয় তো মা ”

“ইরফান ভাই ঘুম থেকে উঠে গেছে..??

” হুমম ” তুই দিয়ে আয় “আমি যাই রান্না বসিয়ে এসেছি চুলোয়।

” আচ্ছা বড় আম্মু তুমি রান্না ঘরে যাও ” আমি ইরফান ভাই কে কফি দিয়ে আসছি।

~মাহি কফির মগ টা হাতে নিয়ে চলে গেলো “বড়াবড়ের মতোই ইরফান এর রুম টা খোলা ” হালকা চাঁপানো

মাহি টোকা দিলো কোনো সাঁড়া না পেয়ে মাহি হালকা করে ধাক্কা দিয়ে দরজা টা খুলে “ভেতরে প্রবেশ করে রুমে কেউ নেই মাহি বেলকুনির দিকে হাঁটা শুরু করেছে হয়তো বেলকুনিতে আছে ইরফান ভাই ” এমন সময় ইরফান বেড়োলো সাওয়ার নিয়ে” ব্লাক কালারের একটা ট্রি শার্ট ও ট্রাউজার গলায় টাওয়াল পেঁচিয়ে “ভেজা চুল গুলো থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে ” মাহি এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে ইরফান এর দিকে
ইরফান চুল মুছতে মুছতে মাহির দিকে ঘুরে দাঁড়ালো ” শীতল কণ্ঠে মাহি কে বললো ” কি হলো আজ কলেজ যাসনি..??

“মাহি তো এক দৃষ্টিতে তাকিয়েই আছে ইরফান এর দিকে ” মনে মনে ভাবছে শুনেছি ভেজা চুলে মেয়েদের মায়াবতী লাগে কিন্তু ভেজা চুলে ছেলেদের যে এতোটা মায়াময় লাগে তা জানাছিলো না “উফফ ভাই ইরফান ভাই যেকোনো লুকেই মাশাল্লাহ ”

“কি হলো কি ভাবছিস..!

ইরফান এর আচঁমকা ডাকে ঘোর কাটে মাহির ” ~মাহি কি উত্তর দেবে ভেবে পায় না মাহির স্নায়ু কাজ করছে না “মাহি থমেরে দাঁড়িয়ে আছে ” হৃদ যন্র অবাধ্য ভাবে বাজতেই আছে থামবার কনো নাম নেই। হায় আল্লাহ ইরফান ভাই শুনে ফেলবে না তো এতো জ্বোরে ধুকপুক শুরু হয়েছে.! এমন কেনো অস্থির লাগছে আমার।

“এবার ইরফান গলা খাঁকারি দিয়ে একটু গম্ভীর কণ্ঠে ডাকলো ”

“মাহি ”

~”হুম ”

~কি হয়েছে তোর বল তো…?কোনো সমস্যা..?

“মাহি মনে মনে বিড়বিড় করে বললো “এমনিতে কনো সমস্যাই নেই কিন্তু আপনার সামনে এলেই যত সমস্যা ” কেমন জানি অস্থির লাগে।

“কিছু বললি…??

” ~না”…না বলছিলাম যে আজকে ফুপি রা বাসায় আসবে।

“হুমমম জানি ” কিন্তু তুই কলেজ যাসনি কেনো কলেজ তো খোলা।

“ফুপি রা এতো দিন পড়ে বাসায় আসবে আর আমি কলেজ যাবো ” কেমন লাগে বলুন তো ”

~ফুপি তো থাকবে কিছুদিন বাসায় “শুধু শুধু কলেজ ফাকি দেওয়ার কনো মানে হয় না মাহি ” মনে রাখিস তোকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে ”

“মাহির মুখে লেপ্টে থাকা হাঁসি টুকু চলে গেলো ” মাহি চিবুক নামিয়ে নিলো “।ইরফান ভ্রু কিঞ্চিৎ বাকা করে মাহির দিকে তাকিয়ে দেখে ” মাহির হাত থেকে কফি টা নিতে নিতে বললো ”

“এক দিনে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না অবশ্য ” আমার ভরসা আছে আপনার ওপর ” আপনি ভালো রেজাল্ট করবেন ইনশাল্লাহ।

“মাহি চিবুক তুলে ইরফান এর দিকে তাকিয়ে অস্ফুটে বলে ওঠে ” আপনার ভরসা আমি নষ্ট হতে দেবো না ইরফান ভাই।

“ইরফান কিছুদিন যাবৎ কখনো তুই কখনো আপনি বলে মাহি কে সম্বোধন করছে ব্যাপার টা মাহি খেয়াল করলে প্রথম প্রথম মাহির কেমন অসস্থি লাগতো এখন তেমন কিছু লাগে না একবার তুই তো আরেকবার আপনি ব্যাপার টা মাহির কাছে বেশ ডিফারেন্ট লাগছে মাহি বেশ উপভোগ করে বিষয় টা।

~ ফরিনা বেগম এসেছে বেশ অনেক ক্ষন ” ফরহাদ চৌধুরী কাশেম চৌধুরী দুই ভাই আজ অফিস থেকে সকল কার্যক্রম সেরে বাসায় চলে এসেছে একমএ বোন এতোদিন পড়ে বাসায় এসেছে বলে কথা সকলে বাসায় থাকলেও মনির চৌধুরী আসতে পারেনি ” কিছু দিন আগে এসে ছুটি কাটিয়ে গেছে তাই এখন ছুটি পায়নি।

“তিন ভাই বোন মিলে গল্প করছে পুরনো দিনের কতো কতো সৃতি কতোশত কথা যেনো ফুরায় না । ইরফান আর ফাহাদ নিচে নেমে ফুপি কে সালাম দিয়ে ফুপির সাথে কথা বলছে ফুপি ওদেরকে এটা সেটা জিজ্ঞেস করছে ” ইরফান ফুপি কে বললো “ফুপা আসে নি কেনো…?? ফরিনা বেগম বললেন তোমার ফুপার একটা জরুরি কাজ পড়ে গেছে তাই আমাদের ঢাকা নামিয়ে দিয়ে আবার ফিরতে হয়েছে। ” তা তোমার কোম্পানির কাজ কতদূর..??

” এইতো সামনের রবিবার চালু করবো ” আর আমার কোম্পানির উদ্বোধন পর্যন্ত কিন্তু তোমাদের থাকতেই হবে।

“তোমার তাড়া তেই তো এতো তারাতাড়ি ঢাকা তে আসা। এসেছি যখন উদ্বোধন পর্যন্ত থাকবো ইনশাল্লাহ “।তা সম্পূর্ণ একাই চালু করছো নাকি।

” হ্যাঁ ”

“তা মাথা ঠান্ডা করে ভেবেচিন্তে সবসময় কাজ করবে বাবা কথা টা মনে থাকে যেনো।

~ঠিক আছে।

” দুপুরে বাসার সকলে এক সাথে খাওয়া শেষ করে “খাওয়া শেষে ফরিনা বেগম সোফায় বসে লিসার সাথে কথা বলছে ” লিসা মেয়েটা USA থেকে বড় হলেও ভদ্রতা ও নমনীয়তা আছে মেয়েটার ভেতরে। ফাহাদ ইরফান এর রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে ”

“কিছু বলবি… ”

“আচ্ছা ভাইয়া তোমার মনে কি চলছে বলবে..?

” তুই এখনো ছোট বুঝবি না আমার মন পড়তে হলে তোকে আরো বড় হতে হবে।

“আমি যথেষ্ট বড় হয়েছি ভাইয়া ” কিন্তু তোমায় মাঝে মাঝে বুঝতে পাড়ি না!

কোথাও যাবি নাকি…..??

“না তুমি যাবা কোথাও ” রোহান এর অফিস শেষ বাসায় আসতে বলেছি ও আসুক এক সাথে বের হবো. ”

“আচ্ছা ”

~রোহান বাইক থেকে নেমে ভেতরে প্রবেশ করতে যাবে এমন সময় থমকে দাঁড়ালো রোহান এর চোখে যেনো স্নিগ্ধ আলোর রেখা দেখা দিলো “প্রসস্থ এক সস্থির হাসি দিয়ে বললো ” এই মেয়ে তোমাকে খুজঁতে খুজঁতে সত্যিই পাগল হয়ে পাবনা ভর্তি হবার জোগার হয়েছিলো ।

“অহনা বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে মনে মনে বিড়বিড় করে বললো ” এই পাগল টা পাবনা না গিয়ে এখানে কি করছে ”

রোহান অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে রইলো এর কিছু ক্ষন পর বলে ওঠে “ঠিকানা না দিয়ে কেউ এভাবে চলে যায় বোকা মেয়ে ” ২ বার গিয়েছি তোমার খোঁজে।

অহনা মুখ ভেংচি কেটে বললো “আপনি ফলোকরতে করতে এতদূর চলে এসেছেন ওয়েট মেয়ে মানুষ দেখলেই মাথা ঠিক থাকে না তাই না ভাইয়া দের কাছে বললেই বুঝিয়ে দিবে আপনাকে সব।

বলো বলো কোন ভাইয়া কে বলবে বলো ডাকো তোমার ভাইদের ” আমি কি কনো ভুল করেছি নাকি আমি ভালোবেসেছি আর ভালোবাসা কোনো ভুল না বুঝছো বোকা মেয়ে।

অহনা রাগে কটমট করে তাকিয়ে থেকে ভেতরে চলে যাচ্ছে।

” রোহান একটা রহস্যময় হাঁসি দিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে একটা গান গাইতে শুরু করেছে ”

☆:প্রথম দেখাতে আমি প্রেমে পড়েছি তোমার…
দুই চোখে আন্ধার দেখি ঘুম আসে না আমার…
রাতের বেলা শুয়ে শুয়ে..
শুধু ভাবি তোমায় কিভাবে পাবো আমি…
তোমার ওই চোখেতে হারিয়ে যায় আমার এ মন “!
ঘনো কালো চুল দেখে পাগল জে আমি এখন”!
হৃদয়ের কথা আমি বলি কারে “!
আসে না কাছে আমি শুধু ভালবাসি যারে “!
_অহনা…
একটু কথা কহো না…
অহনা…!
পেছন ফিরে চাহো না..।

” অহনার রাগ দ্বীগুন বেড়ে গেছে পেছনে রোহান এর দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে “ফাইজা বাইরের দিকে এসেছে অহনাকে ডাকার জন্য ”

অহনা আপু “তোমার তখন থেকে খুঁজছে ফুপি “আসো তারাতারী।

রোহান এবার বুঝতে পারলো ইরফানের ফুপুর বাসা তো দিনাজপুর তার মানে অহনা ইরফান এর ফুপাতো বোন। হুম তাই হবে ফাইজা তো অহনা কে আপু ডাকলো।

” এবার রোহান ইরফান কে কল দিয়ে বললো নিচে গলির মোড়ে আসার জন্য রোহান ভেতরে প্রবেশ না করে বাইক স্টার্ট দিলো।

অহনা ফাইজা কে জিজ্ঞেস করলো রোহান এর সম্পর্কে “আচ্ছা ফাইজা ওই বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো ওই লোক টা কে..?

” আরে আপু ওটা তো রোহান ভাইয়া “ইরফান ভাইয়ার ফ্রেন্ড “।

” ওওওও ”

“কেনো তুমি চেনো নাকি.??

না.. আমি ভাবে চিনবো! মা কোথায়..? বড় আব্বুর ঘরে ”

মাহি কোথায়..?

মাহি আপু তো তোমাকে তখন থেকে খুজেঁ চলেছে লিসা আপু ও তোমার খোঁজ করছিলো তুমি ফুপির সাথে কথা বলে আমার রুমে এসো আপুরা আমার রুমেই আছে।

“ঠিক আছে.! আমি মায়ের সাথে দেখা করে দুই মিনিটে আসছি।

” ইরফান ফাহাদ বেড়িয়ে গেলো রোহান এর ফোন পেয়ে ”

“অহনা মাহির থেকে ” দুই বছর এর বড় “দুজন এর অনেক ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক ” কিন্তু অনেক দিন পড় পড় দেখা হয়। যেমন এবার প্রায় দু বছর পড় দেখা হয়েছে।

~মাহির মোবাইলে ফোন আসাতে মাহি বাইরে গিয়ে ফোন টা রিসিভ করলো ” মাহি আজ কলেজ যায় নি তাই রাইসা কল করেছে ”

“আসসালামু আলাইকুম ”

“ওয়ালাইকুম আসসালাম ”

“কলেজ আসিস নি কেনো আজকে…?

” ফুপি রা অনেক দিন পড়ে বাসায় এসেছে রে তাই আসিনি ”

“ওও কাল আসবি তো “..?

” হুম যাবো “আর তোর সাথে আমার কথা আছে..!

” বলে ফেল.।

“না ফোনে বলা যাবে না কাল কলেজ গিয়ে বলবো।

” আচ্ছা ” রাখি তাহলে আল্লাহ হাফেজ।

ওকে আল্লাহ হাফেজ।

কথা শেষে মাহি আবার ও ফাইজার রুমে গিয়ে বসলো “ফাইজা, লিসা, অহনা, ও মাহি আবার ও গল্পে মেতে ওঠে ” মাহি নিজের মধ্যে কেমন অস্থিরতা অনুভব করছে “কিন্তু সবার সামনে তা প্রকাশ করা যাবে না।নিজেকে সামলে নিয়ে মাহি ওদের সাথে কথা বলা শুরু করেছে।

চলবে…………………???