#পারবোনা_আমি_ছাড়তে_তোকে
#লেখনীতে_ইশিতা_ইসলাম
#পর্বঃ ১৮
~গালে হাত দিয়ে কোচিং ক্লাসে বসে আছে মাহি, খুব বোরিং ফিল হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর এদিক ওদিক হাসফাস করছে ”
ঘন্টা যেনো ১ দিনের মতো লাগছে কারণ টা হলো রাইসা আজ কোচিং ক্লাসে আসে নি।
রাইসা কে ছাড়া মাহির ক্লাসে মন বসে না। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে মাহি মাথায় সব ইরফান ভাইয়ের চিন্তা ” একটু অন্যমনস্ক হলেই মাহির মাথায় ইরফান ভাই ঢুকে বসে থাকে নামতেই চায় না। এ কোন রোগে ধরেছে মাহি কে আল্লাহ যানে।
~মেহরিন নূর মাহি..
“মাহির ধ্যান ভাঙে ক্লাস টিচারের ডাকে
” কি হয়েছে তোমার বাইরে কি দেখছো ইদানীং বেশ অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছো কিছু কি হয়েছে..?
ম্যাম এর কথা শুনে আদিবা ও নিপা মাহির দিকে বেশ অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলো ।
~সরি ম্যাম “মাহি ক্লাসে মনোযোগী হলো।
কোচিং ক্লাস শেষ হলে আদিবা ও নিপা এসে মাহির কাছে দাঁড়ায় নিজের ব্যাগ টা কাধে নিতে নিতে নিপা বললো..
কিরে কি হয়েছে তোর..?
কিছু না ” রাইসা আসে নি ভালো লাগছে না,
~আদিবা কিঞ্চিৎ ভ্রু কুচকে বললো কেনো আসে নি রাইসা ও তো ক্লাস অফ দেয় না ব্যাপার কি..?
“মাহির কপালে চিন্তার ভাজ পড়লো ঠিকি তো রাইসা আসে নি কেনো, নিজের ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন বের করে রাইসা কে কল দিলো কল টা রিসিভ হলো না মাহি ফোন টা আবার ব্যাগে রেখে পা বাড়ালো বাইরের গেইট এর দিকে মাহি কে আজ কে নিতে আসবে জানা নেই, কখনো ড্রাইভার আংকেল আসেন বা কখনো ইরফান ভাই আসেন, তাই মাহি গেইট এর বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়ে সাথে আদিবা ও নিপা ও দাঁড়ায় নিপা কে আজ ওর ভাইয়া নিতে আসবে তাই অপেক্ষা করছে আর আদিবা রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছে।
হঠাৎ করে পেছন থেকে একটা ছেলে গোলাপ নিয়ে এসে মাহির সামনে দাঁড়ায় ” ততক্ষণে ইরফান এসে বাইক থামায় তার কিছুটা দূরে, ফুল হাতে ছেলেটাকে দেখে ইরফান ঠাই দাঁড়িয়ে থাকে ওখানেই সামনে এগোনোর চেষ্টা করলো না। এইদিকে ইরফান ভাই যে এসেছে মাহি তাও খেয়াল করতে পারলো না, মাহির অস্বস্তি হচ্ছে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকা সামনের ছেলেটা কে দেখে।
“মাহি ছেলেটাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলে ছেলেটা আবার ও মাহির সামনে এসে দাঁড়ায়, ইরফান হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো রক্তিম চোখে তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে কিন্তু সামনে এগোচ্ছে না হয়তো বা মাহির মনের অবস্থা বোঝার জন্য।
ছেলেটা এবার ফুল টা মাহির দিকে দিয়ে বললো I love you bby. পেছন থেকে ছেলেটার তিনজন বন্ধু হাত তালি দিচ্ছে কেউ বা সিটি বাজাচ্ছে হৈ-হুল্লোড় করে উঠলো।
~মাহি বেশ বিরক্তি নিয়ে ভ্রু জোরা কুচকে নিলো মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ~ছেলেটাকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে যাবে, ছেলেটা ফুল টা মুখে গুজে সামনে দু হাত তুলে পথ আটকে দাঁড়ায় এর পর ফুল টা হাতে নিয়ে শার্টের কলার টেনে বললো
বেইবি ফুল টা নেও Love you 2 বলো আর চলে যাও ” বিলিভ মি আর আটকাবো না তোমার।
“মাহি বেশ রেগে গেলো বাসায় যেমন রেগে গেলে জিনিস পত্র ভাঙচুর শুরু করে তেমনি ছেলেটার হাত থেকে ফূল টা নিয়ে ছিড়ে পায়ে পিষে ফেলে, আদিবা ও নিপা মাহি কে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে এমন সময় ছেলেটা মাহির হাত ধরে ফেলে ”
“এতো তেজ কেন হ্যাঁ, সুন্দর দেইখা দেমাগ দেখাস কার সাথে দেমাগ দেখাস তুই চিনস আমারে জানস আমার হাত কতো লম্বা আমি চাইলে…
পুরেরকথা শেষ হওয়ার আগেই ইরফান এসে ছেলে টার গাল চেপে ধরলো এতোক্ষণ সব কিছু ধৈর্য নিয়ে দেখলেও মাহির হাত ধরার সাথে সাথে, ছুটে এসে ক্ষুধার্ত বাঘের মতো আক্রমণ করে ফেললো
” দুটো বিশ্রি গালি দিয়ে রাগে হাসফাস করতে করতে দাঁতে দাঁত চেপে বলে ইরফান, কি করবি তুই.. দেখি তুই কি পারিস, ইরফান এর হাত আরো শক্ত হলো দেখি তোর হাত কতো লম্বা আমিও দেখি বের কর তোর হাত.. বলেই ইরফান এলোপাথালি কিল ঘুষি লাথি মারা শুরু করে, বাকিরা আসে ইরফান ওদের কেও মেরে আধমরা করে দেয়। এক জন তো পালিয়ে চলে যায় বাকি দের রেখে, সব শেষে ইরফান আবার এসে মাহির হাত ধরা ছেলেটার কাছে এসে পর পর কিল ঘুষি লাথি দিয়েই চলেছে ”
মাহির ভয় হচ্ছে, ইরফান ভাইয়ের নিশ্বাস অস্থির, চোখ দুটো রক্তিম লাল হয়ে আছে ইরফান ভাই এর এতো রাগী পাগলাটে অবস্থা আজ প্রথম দেখছে”ভয়ে মাহির গলা শুকিয়ে গেছে ইরফান ভাইয়ের এমন রুপ মাহি আজ প্রথম দেখতে পেলো ভয়ে মাহির হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ইরফান ভাই কখন এসেছে এখানে সব কিছু কি দেখে সব কিছু কি দেখে ফেলল, হায় আল্লাহ এবার কি হবে ইরফান ভাই যে রেগে আছে ওই অসভ্য লোক টার একটা কিছু হয়ে গেলে তো বিপদ হয়ে যাবে।
ইরফানের রাগ কমছেই না একাধারে মেরেই যাচ্ছে একজন পুরুষ তিনজন মানুষ কে মেরে আধমরা করে ফেলেছে, এক জন তো পালিয়ে বেঁচেছে চারদিকে মানুষ জর হয়ে গেছে ইরফান ছেলেটা কে মারতে মারতে সিংহের মতো গর্জন করে হুংকার দিয়ে চেঁচিয়ে বলে..
হারামির বাচ্চা তুই আমার সম্মানে হাত বারিয়েছিস আমি তোর অস্তিত্ব মুছে ফেলবো।
“ইরফান ভাইয়ের এমন হুংকারে পুরো মাঠ কেপে উঠলো মাহির খুব ভয় হচ্ছে বুকের ভেতর কেপে উঠলো ইরফান ভাই কে থামাবে শরিরে এমন শক্তি টুকু নেই আদিবা ও নিপা ও বেশ অবাক, সামান্য একটু মাহির হাত ধরাতে ইরফান ভাইয়ের এমন রুপ বেশ অবাক করায় ওদের দুজন কেও।
দ্রুত কলেজ এর প্রিন্সিপাল স্যার এসে ইরফান এর হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে,
What happened ইরফান.??
~ইরফান রাগান্বিত কন্ঠে চিৎকার দিয়ে বললো ” এই কলেজ এর সামনে ওদের মতো বখাটে ছেলেদের জায়গা হয় কিভাবে মেয়েদের ইভটিজিং করার সাহস হয় কিভাবে How do they get so much courage?
“এই দিক দিয়ে কোথাও একটা যাচ্ছিলো নিরব কলেজ মাঠে এতো ভীড় দেখে সামনে এগতেই ইরফান কে দেখে ছুটে আসে ” প্রিন্সিপাল স্যার ইরফান কে বুঝাতে পারছে না ইরফান ভীষণ রেগে আছে তিনজন কে পিটিয়েও রাগ কমেনি তার।
মাহি অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে ইরফান ভাইয়ের সাথে স্যার রা এতো ভালো করে কথা বলছে কেনো আর ইরফান ভাই কে তারা কিভাবেই চিনলো মাহির বেশ সন্দেহ হলো।
কেউ বা কারা লোক তিনটা কে হসপিটালে নিয়ে গেলো নিরব এসে ইরফান কে সাইডে নিয়ে কিছু বুঝালো বুঝ মানলেও ইরফানের রাগ কমছেই না, এসে বাইকে বসলো মাহির দিকে তাকাতেই মাহি এসে বাইকে বসে প্রিন্সিপাল স্যার হেসে জিজ্ঞেস করলো, তোমার বোন…?
“চাচাতো বোন ”
“ওইদিন ম্যাম এর সাথে কথা বলা টাতে তেমন কিছু মনে হয় নি কিন্তু আজ প্রিন্সিপাল স্যার যেভাবে ইরফান ভাইয়ের সাথে কথা বলেছে তাতে মাহির বেশ সন্দেহ হলো কি আজব ব্যাপার কলেজের সব শিক্ষক -শিক্ষিকা রা ইরফান ভাই কে এতো ভালো ব্যাবহার কেনো দিলো তাও আবার ইরফান ভাই তিনজন মানুষ কে মেরে আধমরা বানিয়ে ফেলেছে তার পরেও।
ইরফান মাহি কে নিয়ে ওখান থেকে যেতেই নিরব আদিবা ও নিপার কাছ থেকে সব ঘটনা শুনলো সাথে সাথে ফাহাদ কে কল দিয়ে সব জানালো। এরপর প্রিন্সিপাল স্যার এর সাথে কথা বলে স্থান ত্যাগ করলো।
” বাইক চললো নিজের গতিতে ইরফান এক বারের জন্য ও মাহির দিকে তাকালো না লুকিং গ্লাসে ও তাকিয়ে একবার দেখলো না, কিন্তু মাহি যে সারা পথ লুকিং গ্লাসে তাকিয়ে ছিলো একটি বার ইরফান ভাই মাহির দিকে তাকিয়ে দেখবে সেই আশায় কিন্তু ইরফান ভাই তাকালো না জ্বোরে স্পিডে চালিয়ে মাহি কে বাসায় নামিয়ে দিলো একটি বার জিজ্ঞেস ও করলো না মাহি কি হয়েছিল ওখানে আময় শুরু থেকে বল।
তাহলে কি ইরফান ভাই সব দেখেছে কিন্তু এতে আমার কি দোষ ছিলো আমার সাথে কথা বলছে না কেনো ইরানের ভাই। মাহির বুক টা আবার ও কেঁপে উঠল ইরফান ভাই এর নিরবতায়।
__অফিসে এসে নিজের রুমে এসে দাঁড়ায় ইরফান চেয়ারে দুহাত দিয়ে ভর করে টেবিলে ঝুকে থাকে “এসি চলছে রুমে তবুও ইরফান ঘামছে ইরফান নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাশের দেওয়ালে ঘুষি মারছে বার বার ডান হাতের চামড়া চিলে রক্ত পড়ছে সাথে দেওয়ালে রক্তের ছোপছোপ দাগ হয়ে যাচ্ছে তবুও থামলো না ইরফান একাধারে দেওয়ালে ঘুষি মেরেই যাচ্ছে ” তখনই কেবল ফাহাদ ও নিরব ইরফানের অফিস রুমে প্রবেশ করে ইরফানের এই অবস্থা থেকে দুজন জাপ্টে ধরে ইরফান কে থামানোর চেষ্টা চালালো বেশ কিছুক্ষণ পর ইরফান থামলো, হাতের খুব বাজে অবস্থা।
~ইরফানের কেবিন রুমের পাশে কলিগরা ভীর জমালো ফাহাদ ওদের বলে..
কিছু হয়নি আপনারা কাজ করুন।
সবাই সবার কাজে চলে গেলো “নিরব ইরফানের হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেয়, ভাইয়া তুমি আময় কল দিলে না কেনো ‘দুজন মিলে ওদের গলার ঢোর ছিড়ে ফেলতাম নিরব রাগান্বিত কন্ঠে বললো তুই আর ওকে উস্কানি দিস না ছেলেগুলোর যা হাল করেছে বাঁচলে হয় টপকে গেলে আবার অনেক প্রবলেম হবে পাবলিক প্লেসে ঘটনা না হয়ে পারসোনাল ভাবে হলে নাহয় সামাল দেওয়া যেতো।
“ইরফান তখনও নিশ্চুপ চুপচাপ বসে চেয়ারে গা এলিয়ে দিলো ।
চলবে…………??
#পারবোনা_আমি_ছাড়তে_তোকে
#লেখনীতে_ইশিতা_ইসলাম
#পর্বঃ ১৯
~দুপুরে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরলো ইরফান মাহি তখন জোহরের নামাজ শেষ করে নিচে নেমেছে মাত্র ইরফান ভাই কে দেখে সামনে এসে হাসি মুখে বললো বাইরে অনেক গরম বুঝি,,ইরফান জ্ববাব না দিয়ে নিঃশব্দে উপরে হাটা ঠেকালো তৎক্ষনাৎ মাহি আবার জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে আপনার ইরফান যেনো কিছু শুনেই নি এরকম ভাব করেই চলে গেলো মাহি উদাস মনে তাকিয়ে আছে ইরফান ভাইয়ের যাওয়ার পানে।
_কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনার ৪ দিন হলো প্রায় সেই দিনের পড় থেকে ইরফান মাহির সাথে একটা কথা বলেনি “কিন্তু কি কারণ ওখানে মাহির কি দোষ ছিলো খুঁজে পায় না মাহি। খুব কষ্ট হচ্ছে মাহির ইরফান ভাইয়ের সাথে কথা না বলতে পাড়া টা মাহির বুকে আকাশ সমান যন্রনা দিচ্ছে। পাহাড়ের মতো ভেঙেচূড়ে যাচ্ছে মাহির ছোট্ট হৃদয় টা। নিজের কষ্ট টা কাউকে বলতে পারছে না কারণ মাহি যে তার ইরফান ভাই কে ভালোবেসে ফেলেছে।
~এতো গুলো বছর যেই মানুষ টার সাথে কথা পর্যন্ত হয়নি এই তো মাত্র কয়মাস হলো দেশে আসছে এই কদিনে তার প্রতি এতো টা মায়া জন্মে গিয়েছে তা কাকে বোঝাবে মাহি। চোখের কোণে এসে জ্বড় হোলো এক ফোটা নোনাজল গড়িয়ে পড়ে মাহির গাল দিয়ে হাতের উলটো পাশ দিয়ে তা মুছে মাহি চলে গেলো নিজের রুমে।
_রাতে সকলে এক সাথে ডিনারে বসেছে ইরফান নিজের মতো খেয়ে যাচ্ছে ফোন এর থেকে চোখ সরছে না ইরফানের মাহি ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে আছে ইরফান ভাইয়ের দিকে এই আশায় যে একটি বারের জন্য তাকাবে মাহির দিকে কিন্তু কনো দিকে না তাকিয়ে খেয়েই চলেছে, মাহির মন টা ভিষণ রকম খারাপ হয়ে যায় ইরফানের দিক থেকে নজর সরিয়ে দৃষ্টি এখন নিজের প্লেটে স্থির করলো মাহি, মাহি কে আনমোনা দেখে ফরহাদ চৌধুরী একটু বিচলিত হলেন ভ্রু জোরা কিঞ্চিৎ বাকা করে বললো….
“কি হয়েছে মা মাহি তোমার কি শরির খারাপ..? তোমাকে এমন মনমরা লাগছে কেনো কেউ কি কিছু বলেছে।
~বড় আব্বুর মুখে এমন কথা শুনে সবাই মাহির দিকে দৃষ্টি ফেরালো মাহি অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো মলিন হেসে জ্ববাব দিলো..
~না.. না বড় আব্বু কিছু হয়নি, আর কে কি বলবে। তোমাদের বাড়ির মেয়েকে কেউ কিছু বলবে তার সাধ্যি আছে নাকি।
” ফরহাদ চৌধুরী এবার সশব্দে হেসে ফেলললো।
“ঠিক বলেছো মা কিন্তু ভয় সবাইকে কাবু করতে পারে না তাই তোমার নিজের মধ্যে সব সময় কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হবার সাহস রাখতে হবে ” প্রয়োজনে তোমাদের বড় আব্বু সব সময় তোমাদের সাথে আছে।
~মাহি সজল চোখে তাকালো বড় আব্বুর দিকে ততক্ষণে ইরফান খাওয়া শেষ করে চলে গেছে মাহি একবার ইরফানের খালি চেয়ার টার দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো, মানুষ টা এমন কেনো একটা কথা পর্যন্ত বলছে না তা নাহয় মেনেই নিলাম তাই বলে একটি বার তাকাবেও না।
~ বাইরের আবাহাওয়া বেশ শীতল থমথমে পরিবেশ এতো গরমের মধ্যে এতো ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে মনে হয় রাতে বৃষ্টি হবে। মাহি অশান্ত মন নিয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে এখনো মাহির অবুঝ হৃদয়টা এটা জানতে পারে নি যে ইরফান ভাইয়ের রাগের কারণ টা কি কেনোই বা সে কথা বলছে না মাহির সাথে। এমন সময় মাহির মোবাইল টা বেজে উঠল রুমে গিয়ে মোবাইল টা হাতে নিয়ে স্ক্রিনে তাকাতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বেস্টি নামে সেইভ করা রাইসার নাম্বার টা,
” হ্যালো..
” হুমমম ”
কি করছিস..?
কিছু না.. তুই.?
“হুম আমিও ” কি ব্যাপার আমার জানুর মন ভালো হয়নি বুঝি… ইরফান ভাইয়ের সাথে কথা হয়নি এখনো।
~নাহ….আমি এই বোকা তাই তো এক বদমেজাজী পাষাণ মানুষ কে মন দিয়ে বসে আছি এক তরফা ভালোবাসা সে কখনো আমায় ভালোবাসবে না কখনোই না। আ.. আমি হয়তো ভুল করছি রাইসা।
~না মাহি ভালোবাসা কনো অপরাধ নয় তবে ভালোবাসা অপেক্ষা করতে শিখায় তোকে অপেক্ষা করতে হবে সঠিক সময়ের। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে ইরফান ভাই ও তোকে ভালোবাসে সেই দিন কলেজে যা ঘটেছে তা সব বলেছে আমায় আদিবা ইরফান ভাইয়ের পাগলামো স্বাভাবিক ছিলো না মটেই । তুই শুধু শুধু মন খারাপ করিস না।
“কিন্তু আমি তার রাগ হওয়ার কারণ টা জানতে চাই.. কি করেছি আমি কেনই বা কথা বলছেন না উনি আমার সাথে।
” জানার চেষ্টা কর ”
হুম ‘ আচ্ছা রাখি তাহলে।
” আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ
~আল্লাহ হাফেজ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মাহি আজ সারাদিন নিজের রুমে বসে রইলো সারাদিনে রুম থেকে ৫ মিনিট এর জন্য ও বের হলো না ফাইজা কতোবার ডাকতে এসেছে প্রিতিবার অজুহাত দেখিয়ে ফাইজা কে পাঠিয়ে দেয় রাবেয়া বেগম দু-চার বার এসে মেয়ে কে দেখে গিয়েছে কি হলো মেয়েটার এতো প্রানচঞ্চল মেয়ে পুরো বাড়ী মাতিয়ে রাখে আজ কি এমন হলো যে রুম থেকে বের হচ্ছেই না মেয়েটার শরীর ভালো তো জ্বর-টর আসে নি তো।
~ইফতারের সময় মাহি মা কে বলে নিজের রুমে ইফতার দিয়ে যেতে বলেছে ” রাবেয়া বেগম মেয়ে কে সব কিছু গোছ-গাছ করে ইফতার দিয়ে গেলো “মাহি মনে মনে ফন্দি এটেছে ইরফান কতক্ষণ মাহি কে এভাবে এড়িয়ে চলতে পারে তা দেখবে ” মাহি রাতে খাবার টেবিলে ও গেলো না ব্যাপার টা ইরফানের নজরে বেশ ভালো ভাবেই পড়েছে ইরফান নাজিফা বেগম কে জিজ্ঞেস করলো মাহি খাবার খেতে আসেনি কেনো মা নাজিফা বেগম উদ্ববিগ্ন কন্ঠে বললো
“কে জানি সকাল থেকে মেয়েটার কি হলো নিচেই আসে নি সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় কি খেলো না খেলো কে জানে।
ইরফান না খেয়েই উপরে উঠে গেলো বললো একটু আর্জেন কাজ আছে পরে এসে খাবে ~প্রায় ঘন্টা খানেক পর ইরফান নিচে নামলো সবাই তখন যে যার রুমে চলে গিয়েছে শুধু রাবেয়া বেগম ও লিসা বসে ছিল সোফায় ইরফান কে নামতে দেখে রাবেয়া বেগম ছুটে এসে বললেন বস বাবা আমি তোকে খেতে দিচ্ছি। ইরফান রাবেয়া বেগম এর দিকে তাকিয়ে বললো
” মাহি খেয়েছে কাকি আম্মু ”
“না বাবা খাইয়ে দিতেও গিয়েছিলাম খাবেই না ওর নাকি খেতে ইচ্ছে করছে না। তুই বস খেয়ে নে এবার।
~না কাকি আম্মু তুমি গিয়ে শুয়ে পড়ো আমি সব নিয়ে খাবো এখন খাবো না পড়ে খাবো।
” রাবেয়া বেগম চলে যেতেই লিসা বলে ওঠে “তুই এতদিন যাবৎ মেয়েটার সাথে যা করেছিস তাতে মেয়ে টা আর কি করবে নিজেকে এবার ঘর বন্দি করে নিলো ” ইরফান চোখ ঘুরিয়ে তাকালো লিসার দিকে এরপর দু আঙুল দিয়ে নিজের মাথা টা চেপে ধরলো ”
চলবে………..?
#পারবোনা_আমি_ছাড়তে_তোকে
#লেখনীতে_ইশিতা_ইসলাম
#পর্বঃ ২০
সূর্যাস্তের সাথে সাথে পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসে। গোধূলির পরে আসে সন্ধ্যা আর সন্ধ্যা যতই বাড়তে থাকে রাতের আগমণ ততই ত্বরান্বিত হয়।রাত মূলত প্রত্যেক মানুষের বিশ্রামের সময় বিশেষ কোন আনন্দঘন মুহূর্ত ও ভালোবাসার সময় কাটাবার জন্য রাতের জুড়ি নেই।গভীর রাতের স্তব্ধতা কবি মনকে ও ভাবপ্রবণ করে তোলে ; তাঁদের লেখনী থেকে ঝরে পড়ে হাজার হাজার কবিতা ও কাব্য।তেমনি এক জোৎস্না রাতে মাহি দূর আকাশের ঐ চাদের দিকে তাকিয়ে আছে মাহির মনে হাজার রকম কবিতা রা ডানা মেলে উরে বেরাচ্ছে মনে মনে ভাবছে মাহি জোৎস্না রাত প্রকৃতির সেই মায়াবী অধ্যায়, যেখানে শুধু অনুভূতি কথা বলে। হঠাৎ করে পেছন থেকে পুরুষালী ধমকের সুরে ভেসে আসা কন্ঠে ঘাবড়ে গিয়ে পেছনে তাকালো মাহি,
~এতো রাতে একা একা ছাদে কি করছিস মাহি,
_পেছনে ঘুরে দাঁড়ালো মাহি ইরফান ভাই কে দেখে মাথা নিচু করে বললো
“কিছু না চাঁদ দেখতে এসেছি।
~চাঁদ তো ঘর থেকে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ও দেখা যায় ” এতো রাতে ছাদে উঠে একা একা চাঁদ দেখার মানে টা কি..?
~ইচ্ছে করলো তাই।
“ইরফান বেশ ভারী কন্ঠে বললো ” সারাদিন রুম থেকে বেড়স নি কেনো..??
” এমনি ~
ইফতারের সময় টেবিলে আসিছ নি কেনো..?
“ভালো লাগেনি তাই –
~রাতে খাবার টেবিলে তোকে দেখি নি কেনো..? রাতে খাস নি কেনো Answer me Fast.
” মাহি জোর গলায় বললো “ইচ্ছে করেনি…..
” তোর ইচ্ছা অনিচ্ছা তে কি সব হবে.. তুই যদি এটা মনে করে থাকিস তাহলে ভুল ভাবছিস “আমি যখন যা বলবো যেভাবে বলবো তুই ঠিক সেভাবেই চলবি তোকে সেভাবেই চলতে হবে ” Mind it. It’s my rules. বেশ রাগান্বিত হয়ে কথা গুলো এক নিশ্বাসে বলে দিলো ইরফান।
~মাহি ভয়ে কাচুমাচু হয়ে গেলো ” মুখ ফুটে কিছু বলতে পারলো না ঠিকি কিন্তু মনে মনে মুখ ভেংচি কেটে বললো ৫ দিন ধরে কথা বলেনি আবার একদিন খাই নি ঠিকি শাসন করতে চলে এসেছে ।
~চল আমার সাথে খাবার খেতে যাবি..
~মাহি বেশ অভিমানী স্বরে বললো “খাবো না আমি।
ইরফানের মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরণ শুরু হলো ” মাহির অভিমানী স্বরে ঘাবড়ে গেলো ইরফান “ছোট বেলা থেকেই মাহি বড্ড অভিমানী ” রাগ জেদ অনেক ইরফানের সামনে অনেক চুপচাপ ও শান্ত হয়ে অবুঝ বাচ্চাদের মতো থাকলেও অভিমান যখন তারা দেয় তখন মাহি কিছু মানে না নিজের জেদ টাকেই পশ্রয় দেয়। ছোট বেলায় মাহির জেদের কাছে ইরফান হাড় মেনেছে বহুবার।
“ইরফান শীতল চোখে তাকালো মাহির দিকে ” শান্ত কন্ঠে বললো ” খাবি চল অনেক রাত হয়েছে সারাদিন অফিসে অনেক কাজের চাপ ছিলো একটু ঘুমানো প্রয়োজন।
~আ..আপনি ঘুমান গিয়ে বারণ করেছে কে, আমি এখন খাবো না।
~ইরফান মোলায়েম কণ্ঠে বললো “কি হয়েছে মহারানীর অভিমান এর কারণ টা জানতে পারলে আমি যুবক বড় ভাগ্যবান হতাম যদি কারণ টা বলতেন….
~মাহি মুখ ভেংচি কেটে বললো ” কেউ একজন আমার সাথে গত ৫ দিন যাবৎ কথা বলছে না কারণ টা জানতে চাই কি দোষ করেছি আমার জানামতে আমি কোনো অপরাধ করি নি তাহলে কি কারণ আমার সাথে কথা না বলার।(বেশ শক্ত ভাবে কথা গুলো মাহি ইরফান এর দিকে ছূড়লো)
~ইরফান মাহির অভিমানের কারণ বুঝতে পেরে নিজেও অভিযোগ এর স্বরে মাহি কে বললো, ওহ তাই আমি কথা বলিনি সেটা চোখে পড়ে মানুষ এর অভিমান হলো আর মানুষ জন যে রাস্তা ঘাটে যার -তার দেওয়া গোলাপ হাতে নেয়। কথা গুলো যে মাহি কে মিন করে বলেছে বুঝতে বাকি রইলো না মাহির “মাহি অবাক চোখে তাকালো মনে পড়লো সেই দিনের ঘটনার কথা ওই বাজে ছেলেটা মাহি কে বার বার ফুল নিয়ে বিরক্ত করায় মাহি ফুল হাতে নিয়ে পায়ে পিষে ফেলে ” কিন্তু এতে রাগ করার মতো কিছু দেখতে পেলো না মাহি
“তাই মাথায় হাত দিয়ে কিছুটা জ্বোরে বিরবির করে বলে ওঠে মাহি ফুল তো নেই নি আমি ফেলে দিয়েছি তাতে এতো রাগ করার কি আছে ।
” তোকে ওই ফুল ছোয়ার পারমিশন কে দিয়েছে ” what the hell মাহি. ~” যার-তার দেওয়া ফুল তুই তোর এই পবিত্র হাত দিয়ে কেন ছুলি মাহি ।
~মাহি ড্যাপড্যাপ করে তাকিয়ে আছে কিছু বলার নাই “এমন একটা সামান্য বিষয় নিয়ে একটা মানুষ এতোদিন রাগ করে থাকতে পারে.? হ্যাঁ.. পারে কেউ না পারুক ইরফান ভাই পারে তাই তো এতোগুলা দিন কথাই বলে নি মাহির সাথে চোখে চোখ পড়তেই সরিয়ে নিতো ” কি অদ্ভুত মানুষ উনি নিজের মাথায় নিজেই গাট্টা দিলো মাহি এই তুই কার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস কবে না জানি ডুবে মরিস ।
“সরি ইরফান ভাই এইজে কানে ধরছি, আর কখনো কারো দেওয়া ফুল ধরেও দেখবো না আমি।
~এবার নিচে চল অনেক রাত হয়েছে ” তোর কি মনে ভয়-ডর নেই নাকি ….!
“কিসের ভয়…?
~এইজে এতো রাতে একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলি ” তুই জানিস কারা ঘুরে বেড়ায়.. প্রেতাত্মা রা বসবাস করে বাইরে।
“মাহি মাছি তাড়ানোর মতো এক হাত উঠিয়ে বলে ” হুহ আমি এসব ভয় পাই না আপনি শুধু শুধু আমায় ভয় দেখাচ্ছেন ” এই মেহরিন নূর মাহি কোনো ভূতে বিশ্বাসী না।
“ইরফান চোখ বড় বড় করে মাহির পেছনের দিকে একটি গাছের দিকে তাকিয়ে বললো ” “কি যেনো একটা গাছের ডালে ঝুলছে ” মানুষের মতো বসে বসে পা দোলাচ্ছে । মাহি বিদ্যুৎ এর গতিতে এসে ইরফান এর শার্ট খামচে ধরে ইরফান ভাইয়ের বুকের কাছে মুখ নিয়ে অস্পষ্ট স্বরে আয়তাল কুরশি পরতে লাগলো। ইরফানের কাছে আসতেই ঝাজালো পারফিউম এর ঘ্রাণ টা মাহি একটু বেশি টের পাচ্ছে “ইরফান নিজের শার্টে খামছে ধরা মাহির মুষ্টিবদ্ধ হাত টা আলতো হাতে সযত্নে ধরে ” মাহির কানের কাছে মুখ নিয়ে হিসহিসিয়ে বললো…
“তা একটু আগের সাহসী মেহরিন নূর মাহি কেনো এখন ভীতূ মহারানী তে পরিনত হলো শুনি।
এক ঝটকায় সরে গেলো মাহি ” মাহির হৃদয় তোলপাড় শুরু হলো আবার হৃদ যন্র টা লাফাচ্ছে “একটু বেশি জ্বোরে জ্বোরেই লাফালাফি করছে ” নিজের কড়া বোকামির জন্য নিজেই আফসোস করছে ইরফান ভাই মজা করছিল আর মাহি কি ভয় টাই না পেলো ভয় পেয়ে আবার মাহি কিনা ইরফান ভাইয়ের শার্ট খামচে ধরলো ভাবতেই লজ্জায় লাল হয়ে এলো মাহি।
~দুজনে নিচে নেমে গেলো “টেবিলে বসে দুজন এক সাথে খাবার খেতে বসেছে মাহি আবার ও অবাক হয়ে গেলো ইরফান ভাই ও এখনো পর্যন্ত খায় নি তাও আবার মাহির জন্য ” খাবার সময় ইরফান এটা ওটা তুলে দিচ্ছে মাহির প্লেটে কিন্তু মাহি এতো খাবার খেতে পারছে না কিন্তু জ্বোর করে হলেও মাহি কে সব টা শেষ করতে হবে নাহয় ইরফান ভাই উঠতেই দেবে না তা ভালো করে জানা আছে মাহির। দুজনে খাবার খাচ্ছে এর মাঝেই ফাহাদ নিচে নামতে নামতে রসিকতার ছলে বললো..
“বাহ ভালোই আমাকে তো সবাই ভুলে গেলো মাহি তুই তোর ভাইয়া কে একটা বার ডাক দিলি না আর ভাইয়া তুমিও আমায় রেখে খেয়ে নিচ্ছ ”
~ আমি তো ভাবলাম তোর দিনে রোজা রাখতে কষ্ট হয় তাই রাতে রোজা রাখবি দিনে ইফতার কররি।
“ভাইয়া তুমি কিন্তু আমায় অপমান করছো..
~মাহি সজল চোখে তাকিয়ে ” ভাইয়া তুমিও এখনো খাও নি।
~ ঠোঁট জোড়া হালকা ফুলিয়ে ছিঃহ বোন ছিহ ইদানীং তুই তোর ভাইয়ের কোনো খবর এই নিচ্ছিস না
~আরো অনেক খবর এই জানে না মাহি কি বলিস আমি জানিয়ে দেই “এক রহস্যময়ী হাসি দিয়ে কথাটা ইরফান বলেছে ” এবার খেতে বসবি নাকি আমি তোর খবর বলতে শুরু করে দিবো।
~এক লাফে টেবিলে বসে পড়লো ফাহাদ “ইরফান ফাহাদ কে খাবার তুলে দিলো।
~ রাতে বিছানায় শুয়ে এদিক ওদিক করছে মাহি কিছুতেই ঘুম আসছে না তাই উঠে নিজের ফোন টা হাতে নিয়ে ফেইসবুকে ঢূকতেই রিসেন্টলি ইরফান ভাইয়ের একটা পোস্ট দেখে মাহির মুখে এক চিলতে হাসি দেখা দিলো ” অফিসিয়াল ফরমাল ড্রেসআপে একটা পিক সাথে একটি ক্যাপশন।
তুমি শেষ বিকেলের বিষন্ন মেঘে জমা
আকাশের মতোই ভয়ংকর সুন্দর …!
~ইরফান খাটে আধশোয়া হয়ে বসে আছে ফাহাদ ইরফান এর কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে ইরফান এক হাতে ফোন চালাতে চালাতে আরেক হাত দিয়ে ফাহাদ এর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে কেউ কোনো কথা বলছে না। কিছুক্ষণ রুমে পিনপতন নীরবতা চলে এক পর্যায়ে নীরবতা ভেঙে ইরফান হালকা গলা খাঁকারি দিয়ে বললো
রাইসা কে ভালোবাসিস….??
” খুব ”
বলে দে তাহলে..।
শুনো ভাইয়া বড় ভাই কে রেখে ছোট ভাই আগে চান্স নেওয়াটা বেয়াদপির লক্ষন, আমি ফাহাদ ভদ্র ছেলে ওইসবের মধ্যে আমি নাই। বড় থেকে সিরিয়াল যাবে আমি পেছনে আছি।
” বাধা আছে অনেক সময়ের অপেক্ষা ”
~তুমি চাইলেই অল্প সময়ে হবে..
” আমি চাই সময় নিয়ে হোক পরিপূর্ণ এক পরিষ্কার হৃদয়ে হোক যেখানে “শুধু আমার অস্থিত্ব থাকবে। আমার মনের রাজ্যের এক মাত্র রানী হবে সে । একটু তো সময় লাগবেই রাজা কে বেছে নিতে। বলেই ঠোঁটের কিনারায় ঝলমলে এক চিলতে হাঁসি দিয়ে চোখ বন্ধ করে ইরফান।
চলবে……….?