প্রণয় হাওয়া লাগলো মনে পর্ব-১১

0
310

#প্রণয়_হাওয়া_লাগলো_মনে(১১)
#সুমাইয়া_ইসলাম_জান্নাতি(লেখনীতে)
__________________

রাগান্বিত মুগশ্রী সারফারাজের। থমথমে মুখে ফোনটা অন্বেষার উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, “নাও কথা বলো!”

অন্বেষা অবাক দৃষ্টিতে সারফারাজের কার্যকলাপ লক্ষ্য করছিল। রাগ করার মত কিছু খুজে পেল না সে। এইতো কি সুন্দর গল্পের ছলে সুন্দর সময় কাটাচ্ছিল দুজনে। তার মধ্যে হঠাৎ সারফারাজের ফোনে রিংটন বেজে ওঠে। কলটা ধরার পর থেকেই কেমন থমথমে ভাব মুখে।

অন্বেষার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে সারফারাজ পূনরায় বলল, “কি হলো? ফোনটা নাও। তোমাকে চাইছে।”

অন্বেষা এবার মুখ খুলল। বলল, “আমাকে চাইছে মানে? ফোন দিয়ে খোঁজ করার মত আত্মীয় তো আমার নেই। তাহলে কে?”

অন্বেষার প্রশ্নে বাক‍্যে বিরক্ত হলো সারফারাজ। দাঁত কিড়মিড় করে বলল, “সোজা কথা বুঝতে তোমার এত অসুবিধা হয় কেন? বলেছি ফোনটা ধরতে। ধরবে। তা না একের পর এক প্রশ্ন করেই চলেছো। তোমাদের মেয়েদের কি সমস্যা বল তো! এই লাইন বেশি না বুঝলে হয় না?”

অন্বেষাও ফুঁসে উঠলো। তেজস্বী স্বরে সারফারাজের উদ্দেশ্যে প্রতিত্তোরে বলল, “রাখেন আপনার তুলনা। সব বিষয়ে মেয়ে জাতের ওপর আঙ্গুল তুলেন কেন হ‍্যাঁ? কে ফোন করেছে যখন জানতে চাইছি তখনই বলে দিলে হতো। কথা কে প‍্যাচালো বলেন? অবশ্যই আপনি। মেয়েরা যদি এই লাইন বেশি বুঝে তাহলে তার থেকে কয়েকগুণ বেশিই ছেলেরা বোঝে। মেয়েরা এক লাইন বেশি বুঝলেও সঠিকটাই বোঝে। কিন্তু আপনারা ছেলেরা মেয়েদের থেকে কয়েকগুণ বেশি বুঝেও সঠিকটা বুঝতে ব‍্যার্থ হন। খবরদার কথায় কথায় মেয়েদের ত্রুটি নিয়ে কথা বলবেন না। আমি মোটেও সহ‍্য করবো না। আমি আমার জাত নিয়ে অবশ্যই সচেতন।” কথা শেষ করে হাপাচ্ছে অন্বেষা। সচরাচর এত কথা একসাথে বলে না সে।

সারফারাজ ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো কল কেটে গিয়েছে। ফোনটা প‍্যান্টের পকেটে রেখে দুহাত বুকে গুজে আয়েশ করে দাড়ালো সারফারাজ। রাগ তার পড়ে গিয়েছে। কিন্তু অন্বেষার এভাবে বলা কথা হজম করতে কষ্ট হচ্ছে তার। সে অন্বেষার নরম, কোমল, ক্লান্ত, বিধ্বস্ত কন্ঠস্বর শুনলেও রাগী তেজি কন্ঠ শুনেনি। সারফারাজ কন্ঠে গম্ভীরতা ফুটিয়ে অন্বেষার উদ্দেশ্যে বলল, “ভালোই তো তুমি। কি একটু বলেছি তাতেই এত রাগ। যাও বলব না আর। খুশি তো!”

অন্বেষা প্রতিত্তোরে মুখ খুলে কিছু বলার পূর্বেই সারফারাজের ফোনটা পূনরায় বেজে ওঠে। সারফারাজ কল রিসিভ করে সরাসরি অন্বেষার হাতে দেয়। অন্বেষা এবার কোন দ্বিরুক্তি না করে সারফারাজের হাত থেকে ফোনটা নিয়ে নেয়। ফোন কানে ধরেই নম্র স্বরে সালাম দেয়, “আসসালামু আলাইকুম।”

ওপাশ থেকে অন্বেষার পরিচিত পুরুষালি কন্ঠে জবাব দেয়, “ওয়ালাইকুমুস সালাম। কেমন আছিস রে মা?”

অন্বেষার চোখ যুগল ছলছল করে ওঠে। এক পলক গম্ভীরমুখো সারফারাজের পানে তাকায়। সারফারাজ ভরসা দেয়। নিচু কন্ঠে বলল, “কথা বলো। সমস্যা নেই।”

সারফারাজের অভয় বাক‍্য শুনে স্বস্তির শ্বাস নেয় অন্বেষা। ফোন করেছে অন্বেষার হতভাগা পিতা। অন্বেষার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পূনরায় বলেন, “কি রে মা কথা বলবি না?” ভদ্রলোকের কন্ঠে অনুতপ্ততার আভাস বিদ‍্যমান।

অন্বেষা প্রতিত্তোরে বলল, “আমি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?”

“আছি একভাবে। হ‍্যারে মা! মনে পড়ে না আমার কথাটা অন্তত!”

“মনে পড়ে। অবশ্যই পড়ে। জন্মের পর থেকে খাইয়ে পড়িয়ে মানুষ করেছেন ভুলব কি করে। ভুলার মত কিছু হয়নি তো। আপনার শরীর ভালো তো!”

“আছি ভালো। বলছি জামাইকে নিয়ে বেড়িয়ে যা। কতদিন হলো দেখি না তোকে।”

“আপনি কোন মুখে সেখানে যেতে বলেন আমাকে? বরাবরই আপনার বাধ‍্য হয়ে থাকতে চেয়েছি। ফলাফল, আপনার এবং আপনার দ্বিতীয় স্ত্রীর করা কার্যকলাপ কিছু ভুলে যাইনি আমি। আপনি আপনার পরিবার নিয়ে ভালো থাকেন। আমার খবর না নিলেও চলবে। আমি বেশ আছি এখানে।”

“আমি অন‍্যায় করেছি মা তোর সাথে। আমি জানি। অস্বীকার করছি না। ক্ষমা করে দে বাবাকে। তুই তো আমার আদর্শ মেয়ে।”

“আপনার প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নেই। জন্মদাতা পিতা আপনি। আপনার জন্য আমার সম্মান সবসময় থাকবে।”

“তাহলে আয়। তোকে দেখি না কতদিন। জামাইকে বলি? না আমি আসবো!”

“খরবদার না। ভুলেও এদিকে আসার কথা ভাববেন না। যে অবস্থায় এ বাড়িতে এসে উঠেছি তাতে এরা মেনে নিয়েছে এটাই অনেক। আপনি এসে নতুন করে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করবেন না। আমার মৃত মাকে যেমন মৃত্যুর পরপরই দুনিয়া ও মন দুটো থেকেই দাফন করেছেন তেমনি আমাকেও ভুলে যান। মনে করবেন আমিও মরে গেছি। ওই গ্রামে যাবো আমি। আমার মা যে শুয়ে আছে। ভালো থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।” অন্বেষা ফোন কেটে দিল। শোনার অপেক্ষা করলো না ফোনের অপর পাশের মানুষটার পরবর্তী কথা। কথা বলাই এতই মগ্ন ছিল যে সারফারাজ কখন রুম থেকে বেরিয়ে গেছে কিচ্ছু ঠিক পাইনি অন্বেষা। নিরব কান্নায় ভেঙে পড়লো অন্বেষা। বাধ ভাঙা অশ্রুর ঢল বইছে চোখ থেকে। ভাসিয়ে দিচ্ছে চিবুক। অন্বেষা মুছলো না। পড়ুক অশ্রু। ভাসুক চিবুক।

এরমধ্যেই সারফারাজের আগমন। অন্বেষাকে তার বাবার সাথে কথা বলতে দিয়ে সে রুমের বাইরে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। তার মতে বাবা মেয়ের কথোপকথনের সময় তার উপস্থিতি না থাকাই ভালো। অন্বেষার অশ্রুসিক্ত নয়ন বরাবরই এই কঠিন পুরুষটাকে পিড়া দেয়। ব‍্যস্ত হাতে অন্বেষার চোখের পানি মুছিয়ে দিল। শাসনের সুরে বলল, “খবরদার মেয়ে মোটেও কান্না নয়। তুমি আমার তোমার কান্নাটাও আমার। ওই চোখের পানিও আমার। আমার সম্পদের অপচয় তো আমি করবো না। কখনও যেন না দেখি এভাবে কাঁদতে।”

সারফারাজ যতই শাসন করুক। করুক বারণ। কিন্তু চোখের পানি কি মানব ভাষা বোঝে। সে তো মনের অব‍্যাক্ত আবেগ দুঃখগুলো অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ে। সারফারাজের মনে অন্বেষার জন্য বড্ড মায়ার উদ্রেক হলো। দুহাত দিয়ে অন্বেষার কান্নারত মুখখানা উচিয়ে আদুরে স্বরে বলল, ”কি হয়েছে? এভাবে কাঁদছো কেন? বাবার সাথে কথা বলে কেউ এভাবে কাঁদে বোকা মেয়ে! বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে? বলো? দিয়ে আসি তবে!”

আন্বেষা কান্নাভেজা কন্ঠে জবাবে বলল, “না। খবরদার না। আমাকে কখনও ও বাড়িতে যেতে বলবেন না। ও বাড়ি থেকে পরবর্তীতে কেউ কল করলে আমাকে দিবেন না। বাবার প্রতি কোন ক্ষোভ নেই আমার। আমি ভুলে থাকতে চাই আমার বিভীষিকাময় অতীত। ওসব স্মৃতিপটে ভেসে উঠলে বড্ড পিড়া দেয় আমায়। তবে সময় সুযোগ বুঝে ওই গ্রামে আমাকে নিয়ে যেয়েন। আম্মুর কবরটা যে রেখে এসেছি। যেখানে এসেছি বাকি জীবন এখানেই কাটিয়ে দিতে চাই। আপনার যদি আমার সঙ্গ ভালো না লাগে তবে সরাসরি বলে দিবেন। কোথাও চলে যাবো। আল্লাহর দুনিয়ায় আমার মত মানুষের কোন না কোনভাবে জায়গা হবেই।”

অন্বেষার এহেন জবাব আসা করেনি সারফারাজ। কঠিন কন্ঠে বলে উঠলো, “ব‍্যাস! অনেক বলেছো আর না। কোথায় যাবে তুমি? কোথাও না। সারফারাজের প্রাণপ্রিয় বিবি তুমি। শুধু তার হয়ে থেকো। আর কিছু চাই না। আজ যা বলেছো ভুলেও যেন এসব কথা পরবর্তীতে তোমার মুখে না শুনি। মাথায় ঢুকিয়ে রেখো।
কিছুক্ষণ নিরব থেকে রাগ সংবরণ করে স্বাভাবিক স্বরে বলল, “ব‍্যালকনিতে এসো। একটা দারুণ জিনিস দেখাবো তোমায়।” কথা শেষ করেই সারফারাজ অন্বেষার নরম হাতখানা নিজের হাতের মুঠোয় পুড়ে নিল। অন্বেষাকে নিয়ে ব‍্যালকনির দিকে অগ্রসর হলো।

সারফারাজের রুমের ব‍্যালকনির সামনে বড়সড় একটা মেহগনি গাছ। সেই গাছের একটা ডালে একজোড়া পাখি প্রতিদিন নিয়ম করে এসে বসে। সারফারাজের চোখে কয়েকবার পড়েছে। আগে আগ্রহ নিয়ে খেয়াল না করলেও এখন বিষয়টা তার কাছে ভালোই লাগে। পাখি দুটো মনে হয় একই জোরার। গাছের ডালে আজও পাখি দুটো এসেছে বসেছে। সারফারাজ পাখিদের বসা ডালটার দিকে আঙুল তাক করে অন্বেষার উদ্দেশ্যে বলল, “এই দেখো অনু! আমি প্রায়শই দেখেছি পাখি দুটোকে মেহগনি গাছটার ওই ডালটাতেই বসতে। জানো নিয়ম করে আসে। কি করে বলতো?”

“প্রেম করতে আসে।” কথাটা অন্বেষা বলেই মুখে হাত চেপে হেসে ফেলল শব্দ করে।

অন্বেষার হাসি দেখে সারফারাজও হেসে ফেলল। যাক তার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সফল হলো।

“অনু একটা গুড নিউজ আছে। শুনবে?”

“বলে ফেলুন। অনুমতি নিচ্ছেন কেন!”

“রিফাতের জন্য একটা পাকাপোক্ত থাকার ব‍্যবস্থা করেছি।”

রিফাতের কথা শুনেই অন্বেষার চোখমুখ ঝলমলিয়ে উঠলো। আগ্রহ ভরা কন্ঠে শুধালো, “কি হয়েছে? কোথায় ও! ব‍্যস্ততার জন্য ওর খবর নেওয়া হয়ে উঠেনি। হাসপাতাল থেকে ওকে ছেড়েছে? কোথায় রাখবেন ওকে!”

“নিয়ে আসবো তাড়াতাড়ি। বাড়িতে আনবো না। একটা ভালো মাদ্রসায় ওকে রেখে আসবো। ছুটিতে এ বাড়িতে নিয়ে আসবো বেড়াতে। ইসলামি শিক্ষা অর্জন করুক। এটাই মঙ্গল হবে।”

“মা শা আল্লাহ। ভালো পদক্ষেপ।”

“হুম।” ছোট্ট জবাব সারফারাজের। হাত দিয়ে কাছে টেনে নিল অন্বেষাকে। অন্বেষাও মিশে রইলো বক্ষে। সুন্দর একটা মুহূর্ত হয়ে রইলো সারফারাজ-অন্বেষা কপোত কপোতির।
__________________

জানালার কোণ ঘেঁষে বসে আছে সাইমা। পড়ন্ত বিকেলে উদাশ দৃষ্টিতে প্রকৃতি দেখছে সে। কিছুক্ষণ পরে সাইফা এসে বসলো পাশে। সাথে দুকাপ ধোয়া ওঠা গরম চা। এক কাপ সাইমার উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, “নে ধর। প্রকৃতি বিলাস করছিস। চা ছাড়া জমে নাকি।”

সাইমা দ্বিরুক্তি না করে সাইফার হাত থেকে চায়ের কাপ নিল। সেদিনের ঘটনার পর থেকে ভেতরে ভেতরে অনেকটাই মিইয়ে গেছে সাইমা। সবার সামনে হাসিখুশি ভাবটা বজায় রাখতে পারলেও সাইফার চোখে ঠিকই সাইমার বিষণ্ণত ভাব ধরা পড়েছে। সাইমার উদ্দেশ্যে সাইফা শান্ত শীতল কন্ঠে বলতে শুরু করলো, “সাইমা কেউ না জানুক আমি জানি তুই কেন এমন করছিস। বিষণ্ণতার কারণটাও অজানা নয় আমার। সানাফ ভাইকে তুই পছন্দ করিস তাই না?”

ভুত দেখার মত চমকে উঠলো সাইমা সাইফার প্রশ্নে বাক‍্যে। সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে বলল, “না। সেরকম কিছু না সাফু। এমনি ভালো লাগে না আজকাল।”

“আমাকে ভুল বোঝাতে আসিস না। আড়াল করার চেষ্টা করবি না মোটেও। সানাফ ভাই মোটেও ভালো মানুষ নন। ওনাকে কেউ পছন্দ করে না। সেদিন তো দেখলি ওনার কি বাজে ব‍্যবহার। অসৎ মানুষকে মন নিয়ে কষ্ট পাওয়ার কোন মানে হয় না। মনে জায়গা দিয়ে থাকলেও মুছে ফেল। অসম্ভব বলে কিছু হয় না। মানুষের জন্য তো নয়ই। ভুলে যা তাকে। সামনে পুরো জীবন পড়ে আছে। ফোকাস কর ক‍্যারিয়ারের দিকে। আল্লাহ্ চাইলে সানাফ ভাইয়ের থেকে অনেকগুণ ভালো ছেলে জীবনে আসবে। তুই যে সানাফ ভাইকে পছন্দ করিস এ কথা ভুলেও কখনও মা, ভাইয়ার কানে গেলে আস্ত রাখবে না। আবারও বলছি সামলে নে নিজেকে। দুশ্চরিত্র মানুষের জন্য কোন ভালোবাসা নয়।”

সাইমার কাধে হাত রাখলো সাইফা। চোখ দিয়ে আশ্বাস দিল। সাইমার চোখ বেয়ে এক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। বলল, “দোয়া কর। আল্লাহ যেন আমাকে উত্তম বুঝ দেন। সব কলুষতা থেকে যেন মুক্ত হতে পারি।”

“তোর জন্য আমাদের সকলের দোয়া সবসময় থাকবে। অনেকদিন তো ভার্সিটি যাওয়া হয় না। পরিক্ষা এগিয়ে আসছে। পড়াশোনায় মনোযোগ দেওেয়া প্রয়োজন। কাল থেকে যাবি?”

সাইমা অলস ভঙ্গিতে প্রতিত্তোরে বলল,
“কাল আসুক তারপর দেখা যাবে।”

“সাইমা এবার কিন্তু আমি এক বর্ণও দেখাবো না। নিজে পড়ে পাশ করবি।”

“দেখা যাবে। মা কে গিয়ে বলল আজকে বিরিয়ানি খাবো।”

“মাকে বলব কেন। চল তুই আর আমি আজ সবার জন্য বিরিয়ানি রান্না করি। মিষ্টি ভাবি ভাইয়া সবাই খুব খুশি হবে। করবি?”

সাইফার প্রস্তাব পছন্দ হলো সাইমার। বলল, “আচ্ছা। আজ রাতে বিরিয়ানি রান্না করবো আমরা। ডান!”

সাইফাও প্রতিত্তোরে বলল, “ওকে।”

ইনশাআল্লাহ চলবে….