#প্রাণপ্রিয়❤️ [পর্ব-১৩]
~আফিয়া আফরিন
অনুর ঘুমটা অনেক সকালেই ভেঙ্গে গেল। অনিতাকে দেখল, বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। সে উঠে গিয়ে এক করে আপ কড়া করে চা বানাল। সেটা নিয়ে বারান্দায় এসে বসল। জীবনের আশ্চর্যজনক একটা মুহূর্তের কথা ভাবতে লাগল!
তার জীবনেও একটা মানুষ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত সেই মানুষটা এখন নেই। কিন্তু তার মায়া ঠিক’ই রয়ে গেছে। অনুর ভীষণ ইচ্ছে ছিল, একবার অন্তত এই মানুষটার মুখোমুখি হওয়া। কিন্তু সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ যখন তাদের প্রেম ছিল, সেই সময় কখনো তার বাসায় যাওয়া হয় নাই এবং তার বাড়ির পুরো ঠিকানাও নেওয়া হয় নাই দরকার ছিল না বলে। এতদিনের এই সুপ্ত বাসনা হঠাৎ করে পূর্ণ হলো, তাও নিজের বাড়িতে। ভাবতেই কেমন অবাক লাগছে, বিশ্বাসই হচ্ছে না—আহিরের বাবাই তার কাঙ্খিত সেই মানুষটা। প্রথম যখন দরজায় দাঁড়িয়ে তাকে দেখেছিল, বুকের ভেতরটা থমকে গিয়েছিল। পায়ের নিচের মাটি মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে…. চারদিক উল্টেপাল্টে যাচ্ছে। অনু ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না—মাথা ঘুরছিল, পা টলছিল। দরজার চৌকাঠ ধরে কোনমতে নিজেকে সামলে রেখেছিল। একটা মানুষ, যার অপেক্ষায় বসে থেকে সে যুগ যুগ কাটিয়ে ফেলল; সে মানুষটা একটা সুন্দর সংসার কাটাচ্ছে! মানতে ইচ্ছে হয় না। নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না।
কী করবে সে? দিক দিশা খুঁজে না পেয়ে ঘরের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছিল অনেকক্ষণ। কিন্তু পরক্ষণেই ভেবে দেখল, এটা তো তার আবেগের বয়স নয়। এভাবে কেঁদে বুক ভাসানোর মতো সময় নয়। তবে সে কেন কাঁদছে? কষ্ট পাচ্ছে? যে কষ্ট দিবে সে সব সময় ভালো থাকবে, আর যে কষ্ট পাবে সে সারা জীবনই কষ্ট পাবে—এটা পৃথিবীর কেমন নিয়ম? তাই অনু তার মুখোমুখি হয়েছিল, নিজেকে ভীষণ শক্ত রেখেছিল। হঠাৎ করে কোথা থেকে এত আত্মবিশ্বাসে সে ভর করল, তার জানা নেই। তবে অনুকে দেখে যে তার ভেতরটাও খানিক সময়ের জন্য নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল, এটা ঠিকই বোঝা গেছে। তার বউয়ের সাথেও অনু হেসে হেসে কথা বলছিল, যেন তারা কত আপন সই!
অনু সে সময়টায় অনিতার কথা ভেবেছিল। জানা নেই, এই মেয়েটার ভবিষ্যত কেমন হবে! তবে আহির ছেলেটাকে খুব একটা খারাপ মনে হয় নাই, অন্তত তার বাবার মতো বিশ্বাসঘাতক তো নয়’ই। অনু জানে, ভালোবাসা হারানোর ব্যথা; সে নিজের ভুক্তভোগী, নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছে তাই এই মুহূর্তে আর কোন কথা না বলে যা হচ্ছে তাতেই সায় দিয়েছে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছে। পৃথিবীর সব মানুষ তো আর সমান নয়।
তার জন্য এক দিক দিয়ে ভালো হলো। এত অপেক্ষার পর তাকে খুঁজে পেয়েছে। আত্মীয় হচ্ছে, দেখা-সাক্ষাৎ নিশ্চয়ই হবে। কোনো এক সময় করে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে, ‘সে কেন এমন করল?’
ছাড়ার হলে এমনিতেই ছেড়ে দিত, কিন্তু নাটক করার কি দরকার ছিল? কি দরকার ছিল ভালোবাসা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার? এখন তো খুব সুখে আছে। বউ, দুটো ছেলে—একদম পরিপূর্ণ পরিবার।
নিজেকে এভাবেই বোঝাচ্ছে সে। কিন্তু নিজে বুঝতে পারলেও মন বুঝতে চাইছে না। ভেতরটা ছারখার হয়ে যাচ্ছে দুঃখে…. কষ্টে…. বেদনায়…. যন্ত্রণায়। চোখের পানি’ও বেইমানি করছে, বাঁধ মানছে না। এরকম চলতে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যে মাথাব্যথা শুরু হবে। ইদানিং মাথাব্যথার সমস্যাটা এত বেড়েছে যা বলার মত নয়। ওইদিকে কাপের চা’ও ঠান্ডা হয়ে গেছে, সেদিকে হুঁশ নেই। সে উঠে ঘরে গিয়ে বিছানায় বসল। একটা বালিশে হেলান দিল। তাকে এই মুহূর্তে কেউ দেখলে নিশ্চিত বলতো, ‘এই মানুষটা এত অসহায় কেন? এত অবসাদ, বিষন্নতা কিসের তার? তার কি বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই? তার চোখেমুখ ফোলা, এত কেঁদেছে কেন? ওকে বাঁচিয়ে রাখার মত একটা মানুষ’ও কি অবশিষ্ট নেই? ওর জীবনে “নেই” এর এত প্রভাব কেন?’
আসলেই বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই। এতদিন ছিল—একটুখানি আশায় সে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। আশা না থাকলে মানুষ বাঁচে কি করে? সমস্ত আশা যে শেষ হয়ে গেল, এরপর কি হবে? সে এরপর একা কী করে থাকবে? তার স্মৃতি গুলো যে ভালো থাকতে দিবে না। সবসময় মস্তিষ্কের মধ্যে জটলা পাকাবে।
.
আটটা বাজতেই অনিতার ঘুম ভেঙে গেল। পাশ ফিরে দেখল ফুপি ঘুমাচ্ছে। সাইড টেবিলে ডায়েরীটাও দেখতে পেল। গতরাতে পড়ে ওখানেই রেখে দিয়েছিল, এখনো সেভাবেই রয়েছে। অনিতা উঠে বসল, আড়মোড়া ভেঙে দাঁড়িয়ে পড়ল। ফোন চেক করল আহিরের মেসেজ অথবা ফোনকলের আশায়। সে ঘুম থেকে উঠে একটা মেসেজ দিয়ে রাখি আজও দিয়েছে। মেসেজটা পড়ামাত্রই অনিতার ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠল। সে দ্রুত টাইপ করল, ‘সকাল সকাল মিষ্টি হাসি উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’
তারপর ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে গেল। বাড়ির সবাই জেগে উঠেছে। দাদী অনিতাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোর ফুপি কই? সকাল থেকে একবারও দেখলাম না।’
‘ফুপি তো ঘুমাচ্ছে।’
‘কী বলিস? এখনো ঘুমাচ্ছে?’
রুবি আশেপাশেই ছিলেন। শাশুড়ি এবং মেয়ের কথোপকথনের মাঝে এসে বললেন, ‘বোধহয় উঠেছিল, চা বানিয়েছিল। রান্নাঘরে চায়ের পাতিল দেখলাম।’
অনিতাকে বিয়ের আগে ক্লাসে যেতে মানা করে দিয়েছে সকলে। অবশ্য আবশ্যকতাও নেই, পরীক্ষা সামনের মাসের ১০ তারিখে। বাড়িতে বসে সময় কাটছে না। সবাই অবশ্য আজ’ই শপিংয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। কেনাকাটায় অনিতার উচ্ছ্বাস’ই সবচেয়ে বেশি।
সে দৌড়ে গেল ফুপির কাছে। দেখল, সে উঠে পড়েছে। অনু অনিতাকে দেখে কাছে আসতে বললেন। অনিতা এগিয়ে গেলে, তাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরল। বলল, ‘জীবন অনেক কঠিন। এই যে এই সময়টা, এই বয়সটায় মনে হবে খুব সহজ। কিন্তু আদৌ তা নয়। জীবন নিয়ে কখনো আগাম চিন্তা করবে না। দুদিন পর তোমার বিয়ে, শ্বশুর বাড়ি চলে যাবে, নতুন একটা সংসার হবে, নতুন মানুষজনের সাথে পরিচয় হবে—চেষ্টা করবে তাদের কাছের মানুষ হয়ে উঠতে। যদি মনে হয় কখনো সমস্যা হচ্ছে, তখন আমি আছি তোমার জন্য। আমি চাই, তুমি সর্বোচ্চ ভালো থাকো। আহির ভালো ছেলে, যদি কখনো মন বদল হয় তবে সর্বপ্রথম চেষ্টা করবে তার মনটা ফিরিয়ে আনার। তারপর সবকিছু। ঠিক আছে। মনে থাকবে?’
ফুপির এত কঠিন কঠিন কথা অনিতার মাথায় না ঢুকলেও সে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়ল। বলল, ‘তোমরা আমার সাথে থাকলে আমার আর কোন চিন্তা নেই।’
অনুর চোখ দিয়ে দু ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। সে ছোট্ট করে অনিতার কপালে চুমু খেতেই অনিতা জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কাঁদছ?’
‘কাঁদব না? আমার মেয়েটা কত বড় হয়ে গেছে, আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। স্মৃতির পাতা উল্টালেই দেখতে পাই তুই তখনও হাফপ্যান্ট পড়ে ঘুরছিস অনি। কীভাবে এত বড় হয়ে গেলি বল তো মা?’
অনিতারও কান্না পেয়ে গেল। তারও চোখ ভিজে এলো। অন্যসময় হলে বা অন্যকারো সামনে হলে কান্না লুকানোর চেষ্টা করত, কিন্তু ফুপির কাছে সে সব সময় নিজেকে একটা খোলা বইয়ের মত উপস্থাপন করে।
কোনো কথা বলল না, চুপচাপ দীর্ঘক্ষণ ফুপিকে জড়িয়ে ধরে রাখল।
.
রুবি আর অনুর শপিংয়ে যাওয়ার কথা শুনে অনিতা বেঁকে বসল। সে কিছুতেই যাবে না। অথচ তার আগ্রহ’ই সবচেয়ে বেশি ছিল। যেহেতু খুব দ্রুত বিয়ে, অনেক কেনাকাটা রয়েছে, তাই তারা অনিতাকে ছেড়েই বেরিয়ে গেল। অনিতার উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। ফুপি গেলে সে তার ডায়েরী পড়বে। অর্ধেক পড়া শেষ, বাকি রয়েছে আরও অর্ধেক। বাকিটা দ্রুত শেষ করতে হবে—
“আমি আমার জীবনে নতুন কিছু শিখছিলাম। আমি তো জানি, জীবনের প্রতিটা দিনই অভিজ্ঞতা। আমার প্রেমের অভিজ্ঞতাগুলো সুন্দর। ক্লাস পালানো, পালিয়ে গিয়ে পার্কে। বসে আড্ডা মারা, ক্লাস বাঙ্ক করে ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি ইত্যাদি। মজাই লাগছিল খুব। টুকটাক মিথ্যা কথা বলা শিখে গেছি, এইজন্য একটা খারাপ লাগা কাজ করে সবসময়। দিনে কয়েকবার মার সাথে মিথ্যে কথা বলতে হয়। মা অবশ্য আমাকে কখনো অবিশ্বাস করে না। তবুও…..। ও শুধু বলে, ‘চিন্তা করো না। যখন আমাদের বিয়ে হয়ে যাবে তখন সবাইকে সব সত্যি কথা বলে এখনকার পাপটা কাটিয়ে দিব।’
আমিও কিন্তু সেই আশাতে বসে রয়েছি। মা আবার আজকাল ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে পড়েছে, তাই আমার দিকে খুব একটা নজর দিচ্ছে না। বাড়ি ফিরতে এক ঘন্টা দেরি করলেও, কিছু বলছে না। দেখি কতদূর কী হয়!”
০২ মে, ২০০১.
“আজ বাবা ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোর পছন্দের কেউ আছে নাকি?’
ভাইয়া উত্তরে না বলে দিল। আমি মুখ টিপে হাসলাম। এতদিন প্রেম করতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, এখন বিয়ে করার মত তার পছন্দের পাত্রী পাচ্ছে না। যাইহোক, আজ মায়ের সাথে প্রথম ভাইয়ার জন্য পাত্রী দেখতে গেলাম। আমার মায়ের আবার সবকিছু পছন্দ হয় না, খুবই খুঁতখুঁতে স্বভাবের মানুষ। মেয়ে হিসেবে একটু ঘরোয়া ধরণের মেয়ে’ই পছন্দ করেন তিনি। যাকে দেখতে গেলাম, তাকে খুউব একটা পছন্দ করল বলে মনে হলো না। কারণ মেয়েটা একটু উড়নচণ্ডী স্বভাবের। কেমন আগ বাড়িয়ে কথা বলে। আমার’ও তাকে বিশেষ পছন্দ হয় নাই। ভাইয়ার সাথেও ওকে মানাবে না।”
১৫ এপ্রিল, ২০০১.
“ও ২০ তারিখ থেকে রোজ আসছে দেখা করতে। আমি কারণ জিজ্ঞেস করলে কিছুই বলে না। কী জানি! যাইহোক, আমি ওকে প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি এই অনেক। নতুন একটা প্রাইভেট শুরু করেছি। আজ সেটা বাদ দিয়ে ওর মন রাখতে সন্ধ্যায় ঘুরে বেড়িয়েছি। সন্ধ্যায় খুব একটা বাহিরে বের হওয়া হয় না। তাই এই দৃশ্য দেখা থেকে আমি বঞ্চিত। আজ আবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল, ভিজে গিয়েছিলাম। বাড়ি আসার পথে ঝমঝম করে বৃষ্টি! ও এত রাতে কীভাবে ফিরবে সেটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। ওকে জিজ্ঞেস করতেই ও বলল, ‘চিন্তা করো না। আমি কিছুদিন ঢাকাতেই আছি। এখানে আমার এক বন্ধুর বাসা, ওর সাথেই রয়েছি। পরশু অথবা তার পরদিন ফিরে যাব।’
কী আশ্চর্য কথাবার্তা! ও এখানে আছে, অথচ আমাকে আগে জানায় নাই। বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছিল আর বৃষ্টির পরিমাণ’ও বাড়ছিল, তাই ওকে কিছু না বলেই চলে এসেছিলাম।”
২৮ এপ্রিল, ২০০১.
“আজ জীবনে প্রথমবারের মত কাজী অফিসে গেলাম। উঁহু, আমি কিন্তু পাত্রী হয়ে যাই নাই, গিয়েছিলাম সাক্ষী হতে! ওর বন্ধু একটা মেয়েকে ভালোবাসে। সেই মেয়েটার পরিবার থেকে ওকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল। তাই বিয়ের আসর থেকে মুমিন ভাইয়া ওকে তুলে নিয়ে এসেছে। আমি তো এত কাহিনী জানতাম না। ও আমাকে বলতেছে, ‘কাজী অফিসে যাবা?’
অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম, ‘কেনো যাব?’
‘কাজী অফিসে মানুষ কেনো যায়? অবশ্যই বিয়ে করতে। চলো চলো, দ্রুত চলো।’
‘কে বিয়ে করবে?’ আমি তো প্রচন্ড অবাক!
ও আমার অবাকের মাত্রা আরোও বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘তুমি আর আমি! চলো অনু! বিয়েটা সেরে ফেলি। এভাবে প্রতিদিন লুকিয়ে চুরিয়ে দেখা করতে ভালো লাগে না। তারচেয়ে বরং তোমাকে বিয়ে করে নিয়ে গিয়ে সারাক্ষণ চোখের সামনে বসিয়ে রেখে অপলক চেয়ে চেয়ে দেখি।’
‘তুমি সত্যি করে বলো তো, কেন যাবে ওখানে?’
‘আরে বন্ধু আমার বিয়ে করবে। সেই বিয়ে খেতে যাব। সবাই যাচ্ছে, নিজেদের প্রেমিকা নিয়ে। আমি একলা কেনো যাব?’
তো ওর সাথে গেলাম। বিয়েশাদী ঠিকঠাক ভাবেই হয়ে গেল। ভাবতেছি, এই মেয়েটার পরিবার জানলে কি হবে? ওরা মেনে নিতে পারবে? হঠাৎ মনের অগোচরে ভেসে উঠল, আমাদের ব্যাপারটাও যদি পরিবার থেকে মেনে না নেয়; তবে আমাদের’ও কি এইরকম পথ অবলম্বন করতে হবে? না, এটা কিছুতেই হতে পারে না। আমরা মা-বাবাকে রাজী করিয়েই বিয়ে করব, ইনশাআল্লাহ।”
০৫ মে, ২০০১.
.
.
.
চলবে…..
[কার্টেসি ছাড়া কপি করা নিষেধ]
শব্দ সংখ্যা— ১৫৬৫