প্রিয়তম পর্ব-১৪

0
140

#প্রিয়তম
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-১৪

বাইরে সন্ধ্যে তখন ম’রে এসেছে। আকাশ ঢেকে
গেছে কালচে মেঘে। ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকছে।
শীত শীত লাগায় রিতুর ঘুম ভেঙে গেলো।
কপালে ব্যান্ডেজ, হাতে প্লাস্টার। পায়ের হাড় না ভাঙলেও মাংসপেশী ফুলে ওঠেছে। যারজন্য হাঁটাচলা কতা আপাতত বারণ। সারাদিন এভাবে শুয়ে-বসে থাকতে ওর ভালো লাগে না। ঘুম ভেঙে যাওয়ায় রিতু ওঠে বসলো সময় নিয়ে, আস্তেধীরে৷ সাবধানে। ওর পরণে ঢোলা পাজামা আর কামিজ। আশেপাশে কোথাও ওড়না খুঁজে পেলো না রিতু। তাই সেভাবেই বসে রইলো। বাতাস ঢুকতে থাকা জানালা দিয়ে বাইরে চোখ গেলো ওর। আকাশের মন খারাপি
দেখতে পেলো। যেকোনো সময়ই বৃষ্টি নামবে।
শীতল বাতাস তা-ই জানান দিচ্ছে। রিতুর মন
খারাপ লাগলো। নিজের প্লা’স্টা’র করা হাতটার
দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। কি ভ’য়া’ন’ক এক্সি’ডে’ন্ট হয়েছিলো। আরেকটু অ’সা’বধান হলে নি’র্ঘাত এতক্ষণে সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে থাকতো। আচ্ছা, তখন কী করতো অংক স্যার? ওকে শে’ষ দেখে নেওয়ার জন্য দেশে আসতো? নাকি তখনো নিজের রা’গ-জে’দ বজায় রাখতো? আচ্ছা, রিতু ম’রে গেলে কি অংক স্যার আরেকটা বিয়ে করতো? নিশ্চয় ওর থেকে সুন্দরী কাউকে করতো। আদর-যত্ন করতো। শাড়ি – জামাকাপড় উপহার দিতো। তাদের অনেক সন্তান-সন্ততি হতো। সুখের সংসার পেয়ে রিতুকে তখন ইফাদ ভুলে যেতো কি? রিতুর দ’ম ব’ন্ধ অনভূত হলো। চোখ ভিজে জল এলো।
এইযে, রিতু হাত ভে’ঙে এক মাসের বে’ড’রেস্টে আছে এই খবর কি ইফাদের কাছে পৌঁছায়নি? নিশ্চয় পৌঁছেছে। তাহলে ইফাদ কেন একবারও ওর খোঁজ নেয়নি? কেমন আছে জানতে চায়নি? এই ছিলো তার ভালোবাসা? এই ঠুনকো ভালোবাসা নিয়েই গর্ববোধ করতো অংক স্যার? আর ও এই লোকটার জন্য অপেক্ষা করছে? দিন-রাত কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে? নাহ! ইশিতা আপু ঠিকই বলেছিলো, পুরুষ মানুষ ব’উ ম’র’লে বউকে ভুলে যায়। কিন্তু রিতু দিব্যি বেঁচে আছে। বেঁচে থেকেও ওকে এসব দেখতে হচ্ছে!

ক’ষ্টে ওর বুকের ভেতরটা ঝাঁঝরা হয়ে গেলো। এই হলো বিয়ে, ভালোবাসা, সম্পর্ক। সব অভিনয়। অভিমানের পাল্লা ভারী হলো রিতুর। ও আর ভাবতে চাইলো না। চোখমুখ আঠালো হয়ে আছে৷ ফ্রেশ হওয়া দরকার।
এই ঘরে আপাতত কেউ নেই। বাড়ির সবাই ওর খেয়াল রাখছে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে। তবুও ওর এক্সটা কেয়ার করার জন্য ফুলির মা’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফুলির মা এ বাড়িতেই কাজ করে। ঘরদোর মুছে, কাপড় কেচে মাস শেষে হাজার পাঁচেক টাকা মাইনে নেয়। সে এই ক’দিন ধরে বাড়ির কাজ সেরে বাকিটা সময় রিতুর ঘরেই কাটায়। ওর ছোট ছোট দরকারি কাজগুলো করে দেয়। চুলে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করে দেয়, ধরে ধরে টয়লেট নিয়ে যায়।
কিন্তু মহিলা বেশি কথা বলে। একই গল্প ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দশবার বলে। রিতুর এই জিনিসটা বিরক্তিকর লাগে। এই বদভ্যাস বাদ দিলে এমনিতে ফুলির মা বেশ কাজের। ও ঘুমিয়ে ছিলো বলে ফুলির মা এখন ঘরে নেই। হাঁটু এখনো ফুলে লাল হয়ে আছে, প্রচন্ড ব্যথা। রিতুর বাথরুমে যাওয়া প্রয়োজন। ও দু’র্ব’ল গলায় ফুলির মাকে ডাকলো। কিন্তু অনেকবার ডাকার পরেও সে এলো না। এমনকি বাড়ির কারো সাড়াশব্দও পাওয়া গেলো না। রিতু তাই নিজে নিজে চেষ্টা করলো বিছানা থেকে ওঠতে। ব্য’থা অনুভব করলেও দাঁতে দাঁত চেপে ব্য’থা টুকু সহ্য করে নেওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু পারলো না। পায়ের তালু মেঝে ছুঁতেই শক্তি শেষ হয়ে গেলো, ব্য’থা’য় কঁ’কি’য়ে উঠে যেই না পড়ে যেতে নেবে তার আগেই শক্তপোক্ত একটি হাত এসে ওকে ধরে ফেললো। এরপর ধ’ম’কের সুরেই বলে ওঠল,
— আজীবন হুইলচেয়ারে চলাফেরা করার ধা’ন্ধা
করছো নাকি?

রিতু ভ’য়ে তখনো চোখ বন্ধ করে আছে। মেঝেতে
পড়ে গেলেই কোমড়, পা দুটোই আজ শে’ষ হতো।
বুক ঢিপঢিপ করছিলো ওর। একহাতে আগন্তুকের শার্ট আঁকড়ে ধরে নিজেকে ধাতস্থ করার আগেই গলার স্বর শুনে চট করে চোখ খুলে তাকিয়েই হতভম্ব হয়ে গেলো। বিস্ময়ের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে গেল যেন। মুখ দিয়ে আপনাআপনি বেরিয়ে এলো,
— আপনি?
— হ্যাঁ, আমি।
ইফাদ ছোট্ট করে বললো। এরপর বিস্মিত রিতুকে ঠিকঠাক করে বসিয়ে দিলো বিছানায়।
ওড়না খুঁজে এনে পরিয়ে দিতেই রিতুর দিকে চোখ পড়লো। দেখলো রিতু এখনো হা করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। ইফাদ অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করল,
— এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
— এটা আপনি সত্যিই? নাকি আমি স্বপ্ন দেখছি? আপনি কি করে এখানে এলেন স্যার?
রিতুর গলায় এখনো বিস্ময়! ইফাদ বুঝতে পারলো রিতু এখনো ঘোরে আছে। ও বিশ্বাসই করতে পারছে না ইফাদ দেশে ফিরেছে। রিতুর অবস্থা দেখে পেট মুচড়ে হাসি এলেও সেটা যথাসম্ভব চেপে বলল,
— তুমি স্বপ্নে নয়, বাস্তবেই আছো।
বলে রিতুর গালে হালকা একটা চ’ড় বসালো ইফাদ।
রিতুও বাস্তবে ফিরে এলো। বুঝতে পারলো সামনে দাঁড়ানো মানুষটা নেহাৎই ওর ভ্রম নয়। আর এটা বুঝতে পেরেই যেন ও উত্তেজিত কন্ঠে বলল,
— আমাকে জানতাম না…
ইফাদ যেনো অবাক হলো,
— তোমার জানার বিষয় না এটা। তাছাড়া বাড়ির
কেউও জানতো না।
রিতুর গলা কাঁপছিলো,
— ক’দিনের জন্য এসেছেন? আবার বুঝি চলে যাবেন?
ইফাদ প্রচন্ড রা’গা’ন্বি’ত হলো। কোথায় স্বামীকে দেখে আনন্দে আ’ত্ম’হারা হয়ে ডেকে নিয়ে দুটো চুমু বসাবে না মহারাণী চিন্তায় আছে ওর যাওয়া নিয়ে। ওর মেজাজটাই চ’টে গেলো। মি’থ্যে বলল,
— প্রজেক্টের কাজ নিয়ে এসেছি। শেষ হলেই চলে যাব। এসে কোথায় একটু রিল্যাক্স করবো তারও উপায় নেই। পে’শে’ন্ট হয়ে আমার ঘর দখল করে আছো।
রিতুর আশাহত হলো। ক’ষ্টে চোখ ভিজে ওঠলো।
ও তো এক মুহূর্তের জন্য ভেবেছিলো ওর এক্সি’ডে’ন্টের খবর শুনে বুঝি ইফাদ ছুটে এসেছে। কিন্তু না, সেটা ভুল। অংক স্যার তো এসেছে নিজের কাজে। রিতুকে এখন তার বি’র’ক্ত লাগছে। লাগবেই তো, স্বাভাবিক। ও বলল,
— আমি তো এ ঘরেই থাকি। আপনিই তো বলেছিলেন এটা আমারও ঘর।
— বলেছিলাম নাকি! কখন! যাইহোক বাদ দাও।
এসেই শুনলাম এক্সি’ডে’ন্ট করেছো। এত অ’সা’বধা’নে চলাফেরা করে কেউ?
— চলছিলাম না, রিকশায় ছিলাম।
ইফাদ বিরক্তিতে ‘চ’ কারান্ত শব্দ করে বলল,
— নিশ্চয় ভা’ঙা’চো’রা রিকশায় ওঠেছিলে। সিএনজির ড্রাইভার নাকি জানিয়েছে সে শুধু পেছন থেকে
হালকা করে একটু ধা’ক্কা দিয়েছে, আর তাতেই নাকি কাম সারা…
রিতুর অভি’মা’নী গলা,
— দো’ষ’টা তো তাহলে ওনারই? আপনি অহেতুক আমাকে দো’ষ দিচ্ছেন…
— আমি তো ফ্যা’ক্ট বলছি!

রিতু প্রতিত্তোরে কথা খুঁজে পেলো না তাই চুপ করে গেলো৷ ওর এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না ইফাদ ফিরেছে।
ওর সামনে বসে আছে। এত অনুরোধেও যে লোকটা ফেরেনি সে আজ সত্যিই ফিরেছে? এতগুলো দিন পর!
রিতু একদৃষ্টিতে ইফাদকে দেখতে লাগলো। লোকটা আগের চেয়ে আরো সুদর্শন হয়ে গেছে। হাত-পা ঝকঝক, তকতক করছে। রিতু মনে মনে প্রশংসা করলো৷ ইচ্ছে করলো ওর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়তে। এই সুন্দর মানুষটা ওর স্বামী! কিন্তু পাশে দাঁড়ানোর যোগ্যতা ওর নেই৷ ও একটা ফেল্টুস ছাত্রী, অনেক কষ্টে না হয় এইচএসসি পাশ করেছে। কিন্তু অংকে ফেল করার ঘটনা তো আর কেউ ভুলে যাবে না।
সবাই মনে রাখবে। আর ও কিনা এতদিন এতবড় মানুষটাকে ছোট করে কথা বলতো? ওকে নীরবে
তাকিয়ে থাকতে দেখে ইফাদ ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল,
— এভাবে দেখার কি আছে?
রিতু সাথে সাথেই চোখ ফিরিয়ে নিলো কথাটা শুনে। অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,
— কিছু না, আপনি শুকিয়ে গেছেন অনেক।
ইফাদ বিছানায় ধপ করে হাত-পা ছেড়ে শুয়ে পড়লো। এরপর ক্লা’ন্ত গলায় বলল,
— সারাদিন তো বেকার বসে থাকি না। কত চিন্তা, কত কাজ, কত লোকজন…
রিতু এবার একটু অবাক হয়ে বলল,
— আচ্ছা, কারো কোনো সারাশব্দ নেই কেন?
— কারণ সবাই ইফতি আপুর শ্বশুরবাড়িতে জন্মদিনের দাওয়াতে গেছে।
রিতু অবাক,
— মানে? আমাকে তো কেউ কিছু বলে যায়নি।
— সেটা আমি কী করে বলবো!
— আপনি যে এসেছেন সেটা ওরা জানে না?
ইফাদ বির’ক্ত গলায় বলল,
— জানে। আমি গতকাল রাতে এসেছি।
রিতু হতভম্ব মুখে তাকিয়ে রইলো। ইফাদ গতকাল
রাতে এসেছে, আর আজ সন্ধ্যায় ও জানতে পেরেছে?
কেউ ওকে একবারও বলার প্রয়োজন মনে করেনি?
এই দিন দেখতে হলো ওকে? এত অপেক্ষার এই প্রতিদান? ইফাদ যেন ওর মনের কথাটা বুঝতে
পারলো এমন ভান করে বলল,
— তুমি তখন ঘুমাচ্ছিলে। এমনিতেই অ’সু’স্থ মানুষ, উঠাবসা করতে পারছো না। আমাকে দেখে সাডেন
শ’ক পেয়ে যদি কিছু হয়ে যেতো তোমার! তাই
সবাইকে ডাকতে বারণ করেছি….

এরকম লেইম এক্স’কিউজ শুনে রা’গে হোক বা
অন্য কারণেই হোক রিতু অভিমানে পা’থর হয়ে
গেলো। অংক স্যারের কাছে তাহলে ওর কোনো মূল্য নেই? একফোঁটাও ভাবেও না ওর জন্য? আচ্ছা স্যার কি এখনো অভিমান করে আছে? রিতুর এখন কি করা উচিৎ? সে সময়ই ইফাদ শোয়া থেকে ঝট করে উঠে বসলো। পরণের টি-শার্ট ঠিক করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলো। রিতু সেটা দেখেই তড়িঘড়ি করে ওকে পেছন থেকে ডাকলো। ইফাদ ঘুরে ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই রিতু
ইতস্তত করে বলল,
— একটু কাছে আসুন তো…
— কেন?
— আসুন না…
ইফাদ ওর কম্পিত কন্ঠস্বর শুনে অবাক হলো। কাছে এসে বসতেই রিতু ওকে আরো কাছে যেতে বললো। ইফাদ বিভ্রান্ত হয়ে এগোতেই রিতু আ’ড়’ষ্ট’তা ভেঙে টুপ করে ওর গালে চু’মু খেয়ে বসলো। এরপর নিজের কাজে নিজে লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বসে রইলো।এদিকে ইফাদ হতভম্ব। অনুভূতির জোয়ারে ভেসে গেলেও সেটা রিতুকে বুঝতে দিলো না। এত সহজে সে এই নারীর কাছে ধরা দেবে না। দু’র্ঘ-টনার খবরটা শুনে থাকতে পারেনি বলে, নয়তো এত সহজে সুদূর লন্ডন থেকে কিছুতেই সে ছুটে আসতো না। ও শক্ত গলায় বলল,
— আমি আসছি।
রিতুর ওয়াশরুমে এক্ষুণি যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কীভাবে যাবে? ও লজ্জা ভেঙ্গে ইতস্তত করে জিজ্ঞেস করল,
— শুনুন! আসলেই বাড়িতে কেউ নেই?
— একবার তো বললাম। বিশ্বাস হয় না?
— সে কথা বলিনি…
ইফাদ আর কোনো কথা বললো না। ওর চাহনি
বিশেষ সুবিধার মনে হলো না রিতুর কাছে। তাই আমতাআমতা করে বলল,
— আমার এক্ষুণি ওয়াশরুমে যাওয়া প্রয়োজন।
ইফাদ কতক্ষণ থম মে’রে দাঁড়িয়ে রইলো। এরপর
ওকে কোলে তুলে ওয়াশরুমে অবধি পৌঁছে দিলো।
রিতু লজ্জায় মিইয়ে যাচ্ছিলো প্রায়। ইফাদ ওকে নামিয়ে দিয়ে বাইরে এসে দাঁড়ালো। রিতু হাত ভা’ঙা অবস্থায় সিঁটকিনি আটকাতে ব্যর্থ হলো। ইফাদ সেটা বুঝতে পেরে কাঠ গলায় বলল,
— আটকানোর দরকার নেই। আমি আছি। টেনশন
ফ্রি থাকতে পারো…
রিতু বলল,
— না। ফুলির মা’কে ডেকে দিন।
— ওনি ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।
রিতু ধৈর্য্যহারা হয়ে বলল,
— একটু দরজাটা বাইরে থেকে আটকে দিন।
ইফাদ আটকে দিলো। রিতু পরক্ষণেই আবার
সন্দেহী গলায় বলল,
— আ আপনি কিন্তু কিছু করবেন না…
এ কথা শুনে ইফাদ প্রচন্ড ক্ষে’পে গেলো। ভাবে কী ওকে রিতু? ও এত নিচ ছেলে? ছিহ! ইফাদ চোখ বুজে নিজেকে সংযত করে রু’ক্ষ স্বরে বলল,
— আমার বয়েই গেছে তোমার বাথরুম করা দেখতে।
রিতু ভেতর থেকে চাপা গলায় বলে ওঠল,
— নির্লজ্জ…
তাচ্ছিল্যের সুরে ইফাদ বলল,
— একটু আগে একজন আমার গালে
ঠোঁট বসিয়ে এখন পৃথিবীকে জানাচ্ছে আমি নাকি নি’র্লজ্জ…
রিতু এবার কাঁদোকাঁদো স্বরে বলল,
— বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
ইফাদের গলার স্বর গম্ভীর হলো,
— এসবের কথা তোমার মুখে মানায় আদৌ? আমাকে এখনো আগের মতো ভাবলে ভুল করবে কিন্তু…

_________

চলবে।