প্রিয়তম পর্ব-১৯

0
237

#প্রিয়তম
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-১৯

ইফাদ হিথ্রো বিমানবন্দরে ল্যান্ড করল ভালোভাবেই। এয়ারপোর্টের সব ফর্মালিটি শেষ করে ইফাদকে একা একাই ট্যাক্সি বুক করে নিজের এপার্টমেন্টে আসতে হলো। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, ফ্রেশ হয়ে কল করল বাড়িতে। সবার সাথে কথা বলা শেষ করে এরপর কল করল রিতুর ফোনে। ধরেই রিতু হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করল। কান্নার চোটে ভালোভাবে কোনো কথা বলতে পারল না। ইফাদ একটু একটু যা শুনল তাতে বুঝল রিতু গত রাতে এক ফোঁটাও ঘুমাতে পারেনি। ওকে ভীষণ মিস করেছে।

রিতু কাঁদছে বলে ইফাদের ভীষণ খারাপ লাগল।
ওকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু রিতুর কান্নাকাটি পুরোপুরি থামলো না, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলোই। আপ্লুত রিতুর সাথে কথা বলা শেষ করে ফোন রাখার পরই ইফাদের মনে হলো সে একা, বিচ্ছিন্ন। পরিবার থেকে, প্রিয়তমা স্ত্রীর থেকে। ভেবেই ইফাদের দুঃখ প্রবল হলো। তবে একটা
কথা ঠিক, ওর এবারের দেশে যাওয়াটা মোটে বিফলে যায়নি। রিতুকে সে নিজের করতে পেরেছে। ওর প্রতি নিজের অনুভূতি, ভালোবাসাটুকু বোঝাতে পেরেছে। এটাই তো ওর বড় পাওয়া। যার জন্য অভিমান করে দেশ ছেড়েছিল সে। এটা ভেবেই স্বস্তি পেল ইফাদ৷ সুখানুভূতি হলো হৃদয়ে।

.

দূরত্ব আগেরবার দু’জনকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেও এবারের দূরত্ব তাদের এক করে দিলো। চাকচিক্যে ঘেরা লন্ডন শহরে ইফাদ একা নিজের ক্যারিয়ার গোছানোর কাজে ব্যস্ত। সারাদিন থিসিস, রিসার্চ, ল্যাবের কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকতে হয় ওকে। তবে এরমধ্যে রিতুর সাথে কথা বলার জন্য সময়টা ঠিক বের করে নেয়।

রিতু এখন পুরোপুরি ডুবে গেছে ইফাদের প্রেমে।
ভালোবাসার রঙিন স্বপ্নগুলো সাজিয়েছে তার একটা মাত্র পুরুষকে নিয়ে। বিগত দিনে নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জার সাথে সাথে ওর হাসিও পায়। এই সাদাসিধে লোকটাকে এত দূরে ঠেলে দিয়েছিল ভেবে দুঃখ হয়। নিজের বাচ্চাকাচ্চাদের সে কী গল্প শোনাবে? তোদের মা তোদের বাপকে কষ্ট দিয়ে দিয়ে ঝাঁঝরা করে ছেড়েছে বিয়ের প্রথম বছর? এরপর আবার তোদের মা’ই এই লোকের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে গেছিল? বেহায়া হয়েছিল? ইশ! কী লজ্জার ব্যাপার!

.
ছুটির দিনগুলোতে কোনো কাজ রাখে না ইফাদ। বেশির ভাগ সময় পরিবার আর রিতুকেই দেওয়ার চেষ্টা করে সে। দু’জনের জমিয়ে রাখা টুকরো গল্পতেই কেটে যায় দীর্ঘ সময়। একদিন ইফাদ রিতুকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখে। ঘুমের মধ্যে সে দেখে ইফাদের সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে রিতু আবারও রিকশা থেকে পড়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছে। রাস্তার লোকজন ধরাধরি করে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর যখন রিতুর জ্ঞান ফেরে তখন কাছের সব আপনজনদের চিনতে পারলেও ইফাদকে সে চিনতে পারে না। সবাই ওকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয় না। রিতু ইফাদকে ভয় পেতে থাকে। স্বামী হিসেবে মেনে নিতে চায় না। কাছে আসতে চায় না। ওকে ভালোবাসে না। এমন অদ্ভুত এবং ভয়াবহ একটা স্বপ্ন দেখে ইফাদ ঘুম থেকে ধরফড়িয়ে উঠে বসে। আতঙ্কে ওর শরীর ঘামে ভিজে যায়। ঢকঢক করে একগ্লাস পানি খায়। ফোন হাতে নিয়ে সময় দেখে৷ দেশে এখন গভীর রাত। ওর মন উচাটন হয়ে আছে। কিছুক্ষণ দ্বিধাদ্বন্দে ভুগে এরপর ফোন করে রিতুকে। ওর ঘুমঘুম গলা শোনা যায় ওপাশ থেকে। ইফাদ উত্তেজিত কন্ঠে বলল,
— ত তুমি ঠিক আছো? ভালো আছো? অ্যাই মেয়ে…
রিতুর ঘুম কেটে যায় ইফাদের গলা শুনে। উঠে বসে বিছানাতে। উচাটন কন্ঠে বলে,
— আমি ঠিক আছি। আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? কী হয়েছে?
ইফাদ একটু শান্ত হয়। স্বস্তি পায় রিতুকে সুস্থ-স্বাভাবিক পেয়ে। একটু থেমে নিজেকে ধাতস্থ করে ম্লান গলায় বলে,
— উহু না, কিছু হয়নি। আমি ঠিক আছি।
রিতুর সন্দেহ দূর হলো না তাতে।
— তাহলে এভাবে কথা বলছিলেন কেন? কী লুকাচ্ছেন বলুন তো?
ইফাদ বলল,
— আমি আসলে তোমাকে নিয়ে একটা বাজে স্বপ্ন দেখেছি।
— বাজে স্বপ্ন?
— হুম।
— কেমন বাজে?
ইফাদ প্রথমে বলতে চাচ্ছিল না। কিন্তু রিতু জানতে আগ্রহী কী এমন স্বপ্ন যেটা দেখে এই অসময়েও তার স্বামী আঁৎকে ওঠেছে? ভয় পেয়েছে ওকে নিয়ে? ওর নাছোড়বান্দা জেদের কাছে পরাজিত হয়ে ইফাদ স্বপ্নটা খুলে বলতেই রিতু হেসে ফেলল। যেন খুব মজা পেয়েছে এমন করে বলল,
–আপনি যে ভীতুর ডিম সেটা তো জানা ছিল না। আহারে!
ইফাদ গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
— আজেবাজে কথা বলো না। আমি সিরিয়াস! এরকম একটা স্বপ্ন তুমি দেখলে কী করতে? আমি যদি এভাবে তোমাকে ভুলে যেতাম…
বাকিটুকু শোনার আগেই রিতুর মুখ কালো হয়ে গেল। ইফাদকে থামিয়ে দিলো। বলল,
— আচ্ছা আজেবাজে কথা বলব না আর। আপনিও উল্টাপাল্টা কথা বাদ দিন।
কাঁদোকাঁদো শোনালো ওর গলা। ইফাদ হাসলো মনে মনে। এই মেয়ে ওকে কতটা ভালোবাসে ও জানে। সেদিন পেঁয়াজ কুচি করতে গিয়ে হাত কেটে গেছিল, এটা শুনেই রিতুর অবস্থা খারাপ। এক সপ্তাহ ফোন দিতে পারেনি সে। দিলেই রিতুর মন খারাপ করা কথা আর কান্নাকাটি শুনতে হয়েছিল। ইফাদ ফুঁস করে শ্বাস ছাড়ে। রিতুকে বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে। হেডবোর্ডে হেলান দিয়ে বসে জিজ্ঞেস করে,
— তোমাকে নিয়ে আসি? আসবে তো?
— কোথায়?
ইফাদ ব্যাকুল কন্ঠে বলে,
— আমার কাছে। এখানে। তোমাকে নিয়ে আসার
ব্যবস্থা করি? আমার একা থাকতে ইচ্ছে করে না!
মৃদু চমকালো রিতু। ইফাদের আকুলতা স্পষ্ট টের
পেল। ইচ্ছে করল এক্ষুনি ছুটে চলে যেতে। কিন্তু পরক্ষনেই সবাইকে ছেড়ে যেতে হবে ভেবেই হৃদপিন্ড লাফিয়ে ওঠল। অনেকক্ষণ ভেবেচিন্তে এরপর বলল,
— উহু! সবাইকে ছেড়ে ওখানে আমি কিছুতেই
থাকতে পারব না।
রিতুর কথা শুনে হতবিহ্বল হলো ইফাদের মুখ।
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকবে, এটাই তো জগতের চিরাচরিত নিয়ম। কিন্তু রিতু উল্টো কথা বলছে! এতগুলো দিন আলাদা থেকে যতটা কষ্ট পেয়েছে আবারও তার পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে!
ইফাদ মৃদু হাসলো। এরপর দীর্ঘশ্বাস ফেলল,
— সবার জন্য চিন্তা, আমি তোমার কেউ না?
রিতু ওর অভিমান বুঝল। নিম্ন স্বরে বলল,
— আপনার জন্য আমি কতটা চিন্তা করি আপনি
সেটা জানেন না, বুঝবেনও না।
ইফাদ ঠাট্টা মিশ্রিত কন্ঠে বলল ,
— তাই বুঝি?
— হুম।
ইফাদ বলল,
— তাহলে সমস্যা কোথায়? চলে আসো না রিতু…
রিতুর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। কান্না পেল ভীষণ।
একদিকে ইফাদ অন্যদিকে সুন্দর দুটি পরিবার। কী করবে রিতু? কী করা উচিৎ ওর? এদের সবাইকে ছেড়ে অন্য দেশে সে যেতে চায় না। ইফাদের সাথে একসাথে তবে এখানেই থাকতে চায় সে৷ এই ঘরটাতে, এই দখিনা হাওয়া ঢোকা বারান্দাটাতে। ছাদের বেলীফুলের সুগন্ধ, মেঘলা আকাশ, ঝুম বৃষ্টি, শান্ত বিকেলে আকাশে উড়া ক্লান্ত পাখি, গোধূলি বিকেল। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া, রিকশায় চড়া, বাবা-বোন, ফুফু, ইফতি, রুফির মতো বোন, তিন শ্বাশুড়ির থেকে পাওয়া মায়ের স্নেহ। এদের সবাইকে ছেড়ে কোথাও গিয়ে শান্তি পাবে না। কোত্থাও না। রিতু হতাশ নিঃশ্বাস ফেলল। মন খারাপ করা গলায় বলল,
— আমার সবাইকে ছেড়ে যেতে খারাপ লাগবে। এখানে সবাইকে দেখতে পাব যেকোনো সময়। কিন্তু ওখানে তো চাইলেও সেটা পারব না। তাই না? তবে আপনি এভাবে চাইলে আমিও না করতে পারব না।
ইফাদ নিজেও জানে অকাট্য সত্য গুলো। পরিবার-পরিজন ছেড়ে থাকাটা কতটা কষ্টকর সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যরা অনুভব করতে পারবে না।
ও ঝিম ধরা গলায় বলল,
— ছোট থেকে যৌথ পরিবারে বেড়ে উঠেছি। একগাদা ভাইবোন নিয়ে থেকেছি। এদের মায়া কাটানো অসম্ভব!
ওকে, তুমি যখন চাইছো না তখন জোর করব না।
রিতু ইতস্তত করল,
— আপনি কী রেগে গেছেন? আমি আসলে…
ইফাদ তীক্ষ্ণ গলায় বলল,
— আমি বুঝি সবাইকে ছেড়ে থাকা কতটা কঠিন।
— রাগ করেননি তো?
ঠিক সেই মুহূর্তে ইফাদ ভেবে ফেলল, রিতুর পাসপোর্ট, আর অন্যান্য কাগজপত্র করে রাখবে। যদিও কখনো আসতে চায়, নিজে থেকে আগ্রহ দেখায়, চট করে
নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবে। রিতুর প্রশ্নের জবাবে
একটু হেসে বলল,
— না। একটুও রাগ করিনি।
রিতু শুনে খুশি হলো। বিগলিত স্বরে বলল,
— আপনার ওখানে ফ্রেন্ডসার্কেল নেই?
— আছে।
রিতু আগ্রহী গলায় জিজ্ঞেস করল,
–আমি ওখানে গেলে আপনার ফ্রেন্ডসার্কেল আমাকে নিয়ে কানাঘুষা করবে না? দেশে যেমন
সবাই করত?
আহাম্মকের ন্যায় কথা শুনে ইফাদ রেগে গেল,
— মানে সিরিয়াসলি? এখানে যারা আসে অধিকাংশই বিবাহিত। সবাই তাদের ওয়াইফ সঙ্গে নিয়ে এসেছে।
কই, কেউ তো কাউকে নিয়ে কানাঘুষা করে না।
রিতু থতমত খেল। বুঝতে পারল ও একটা
আজগুবি প্রশ্ন করেছে। বিদেশে পারতপক্ষে কেউ কারো বিষয়ে নাক গলায় না। কারো এত সময়ও নেই। রিতু সিরিয়াস ভাব কাটিয়ে বলল,
— আপনি তাহলে একাই সিঙ্গেল সিটিজেন?
ইফাদ ভার গলায় বলল,
— হুম।
— বেশ হয়েছে।
ইফাদের গলার স্বর এবার নিচু হলো।
— আমার তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করছে,
দেখতে ইচ্ছে করছে।
— ভিডিও কল দেব?
রিতু বলল,
— কমফোর্টেবল নই, হতেও চাই না। ফেইক লাগে।
আমি জলজ্ব্যান্ত রিতুকে দেখতে চাচ্ছি যেটা এই
মুহূর্তে সম্ভব নয়। রিতুর কান্না পেল। কথাবার্তায় সেটা প্রকাশও পেল। গলা শুনে বোঝা গেল। ওর মনের অবস্থা বুঝতে পেরে ইফাদের একটু ফাজলামো করতে ইচ্ছে করল। সে
ঠোঁট চেপে হাসি আটকে ফিসফিস করে বলল,
— রিতু?
— হু?
— আই ওয়ান্ট আ কিস। এক্ষুণি, এই মুহূর্তে…
রিতুর সম্বিৎ ফিরে এলো ইফাদের কথা শুনে। নাক- গাল গোলাপি হয়ে গেল লজ্জার চোটে শিরশির করে উঠল হাত-পায়ের তালু। কথা বলতে পারল না কয়েক মুহূর্ত! একটু ধাতস্থ হয়ে লাজুক কন্ঠে বলল,
— বাজে কথা রাখুন তো…
— এটা বাজে কথা? আমি বাজে?
— ধুর! কখন বললাম?
— বলো নি? তাহলে তো হলোই। একটা কিস, এটাও চেয়ে নিতে হয়? আমার ভাগ্য খারাপ।
ইফাদের কাতর গলা। রিতু কী বলবে ভেবে পেল না।
লজ্জায় পাথর হয়ে বসে রইল। দু’জনের মধ্যে যোজন যোজন মাইলের দূরত্ব! রিতুর বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস নেমে এলো। ওর দৃষ্টি অন্ধকার আকাশে। কানে ফোন। মন দিয়ে প্রিয়তম মানুষটার সব চাওয়া-পাওয়া, অভিযোগ, আকুলতা শুনছে।
— অ্যাই মেয়ে, কথা বলো। চুপ করে থাকার জন্য বউ এনেছি? বউরা থাকবে একধাপ এগিয়ে, যাতে স্বামীরা কিছু বলার আগেই তা বুঝে যায়…
— থামুন। ফাজিল লোক…
— ফাজিলের কিছুই দেখোনি তুমি। একটা চুমু চেয়েছি,
তাও কত তালবাহানা করছো! এই ফাজিল এখন দেখো
কী করে….
— কী করবে?
— তোমাকে লজ্জা দেবে…
ইফাদের রাগান্বিত কন্ঠস্বর। রিতু বিভ্রান্ত হলো। বাচ্চামো কথাবার্তা, আবদার! কাছে থাকলে রিতু কার্পণ্য করতো না। কিন্তু এখন কীভাবে? ফোনে আবার চুমু দেওয়া যায় নাকি? ও যখন এসব ভাবনায় মগ্ন ওদিক থেকে ইফাদ তখনো ফিসফিস করে বলছে,
— ওয়ান কিস, প্লিজ…
বলতে বলতেই গাঢ় করে চুমু খেল ফোনের মধ্যে।
রিতুর চোখমুখ লাল হলো। কানটান গরম হয়ে গেল। ফোন সরিয়ে ফেলল। ভাবটা এমন যেন ইফাদ বাস্তবিকই ওর কানে চুমুটা খেয়েছে। রিতু দু’হাতে মুখ ঢেকে বসে রইল কতক্ষণ। ওর ভালো লাগছে। অন্যরকম ভালোলাগা৷ প্রেমে পড়ার মতোন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে! যদিও প্রেমে সে অনেক আগেই পড়েছে। তবুও এটা নতুন এক অনুভূতি। ওদিকে
ইফাদ ফোন কাঁপিয়ে হাসছে। রিতু ওর নিষ্ঠুরতা দেখে গাল ফুলিয়ে ফেলল। ফোন কেটে দিলো। ফাজিলটা হাসুক গে।

__________

[ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।]

চলবে….