প্রিয় আসক্তি পর্ব-১১

0
293

,
#প্রিয়_আসক্তি 🔥
তিতলী
পর্ব,,,,১১

❤️❤️❤️❤️❤️❤️

💛বিভোর প্রিয়তার গায়ে হলুদ💛

খান বাড়িতে আজ বিরাট জমজমাট বিভোর আর প্রিয়তার গায়ে হলুদ। বাড়ি ভর্তি মেহমান। দুই বাড়ির লোকেরা কাজে ভীষণ ব্যস্ত। রিয়া,, বিভা সুন্দর করে সেজেগুজে রেডি হয়। দুজনই সবুজ পাড়ের হলুদ শাড়ির সাথে গাঁদা ফুল ও গোলাপ ফুলের সমন্বয়ে কাঁচা ফুলের গহনা পরেছে ,, আজকে কেউ আর্টিফিশিয়াল মেকআপ দিয়ে সাজবে না। কারণ হলুদ মাখতে হবে।
প্রিয়তা লাল পরের হলুদ শাড়ি আটপৌরে পরেছে। সাথে রজনীগন্ধা গোলাপের গহনা। ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। চোখে কালো কাজল, মোহনীয় স্নিগ্ধ লাগছে প্রিয়তাকে। এখন প্রায় বিকেল। হলুদ হবে সন্ধ্যায়। প্রিয়তা সেজেগুজে রুমে বসে আছে।
এমন সময় প্রিয়তার ফোনে টুং করে একটা মেসেজ আসে।
প্রিয়তা মেসেজ ওপেন করে বিভোরের মেসেজ দেখতে পাই। বিভোর লিখেছে,,
( সবার আগে আমার প্রেয়সি কে আমি হলুদ লাগাবো। এই অধিকারটা যেন আর কেউ না পায়।)
এটা দেখেই প্রিয়তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। পরক্ষণেই ভাবে কি করতে চাইছে বিভোর। ওকে কি করে হলুদ লাগাবে?? কিছুক্ষণের মধ্যেই কারেন্ট চলে গেল। পুরো ঘর অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। আচমকা কারেন্ট চলে যাওয়ায় প্রিয়তা একটু চমকে ওঠে। বেলকনি থেকে এক চিলতে আলো আসছে। প্রিয়তা আস্তে করে উঠে বেলকনিতে গিয়ে দেখে আশেপাশের সব বাড়িতে আলো জ্বলছে শুধু এই বাসাতেই কারেন্ট নেই। ব্যাপারটা কেমন খটকা লাগে। প্রিয়তা ঘুরে দাঁড়াতেই ধাক্কা খায় কারো বুকের সাথে। চোখ তুলে তাকাতেই বিভরের মুখ সামনে আসে। বিভরের মুখে দুষ্টু হাসি। বলে,,

:- বলেছিলাম না তোমাকে সবার আগে আমি হলুদ মাখাবো!!
এবার কারেন্ট চলে যাওয়ার রহস্য বুঝতে পারে প্রিয়তা। প্রিয়তা কিছু বলতে নিবে তার আগেই বিভোর তাকে কোমরে হাত রেখে কাছে টেনে আনে। তারপর এক হাত দিয়ে প্রিয়তার গালে স্পর্শ করে।ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় বুঝতে পারে প্রিয়তা এটা হলুদ ছিলো।তারপর হাতটা প্রিয়তার কোমরে স্পর্শ করে। কেঁপে ওঠে প্রিয়তা। জড়িয়ে ধরে বিভোরকে। বিভোর তার মুখটা প্রিয়তার গালের সাথে লাগায়। প্রিয়তার গালে লেগে থাকা হলুদ নিজের মুখে লাগিয়ে নেয়। তারপর প্রিয়তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে বলে,,,

:- মাশাল্লাহ আমার প্রিয় কে তো আজকে খুব সুন্দর লাগছে!!একেবারে হলুদ পরীর মতো ।প্রিয়তার কপালে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দেয়। প্রিয়তার লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে যায়।চোখ বন্ধ করে রাখে। বিভোর কিছুক্ষণ প্রিয়তার মুখের দিকে তাকিয়ে চোখের উপর ফু দিয়ে বেরিয়ে আসে সেখান থেকে।

_____
অনেকক্ষণ ধরে রিয়া আবিরকে এড়িয়ে এড়িয়ে চলছে। খুব করে চাইছে যেন কখনো আবিরের সামনে না পড়তে হয়। তখনকার ঘটনাই খুব বেশি লজ্জা পেয়েছে রিয়া। এই লোকটার সামনে পড়লে লজ্জায় মরে যাবে সে।
এদিকে আবির অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করছে রিয়া কেমন পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিকে তার মনে প্রিয়সিকে দেখার জন্য উত্তাল ঢেউয়ের সমাগম হয়েছে। না তাকেই কিছু একটা করতে হবে!! কোথায় গেল মেয়েটা!! আবির এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে খুঁজতে থাকে। তখনই সেখানে আসে পিয়ুস ।আবিরকে ইতি উতি তাকাতে দেখে কাঁধের সাথে কাঁধ লাগিয়ে ধাক্কা দিয়ে বলে,,

:- কিরে এদিকে ওদিকে কি খুঁজিস?? কই লাড়কি পাছান্দ আগায়া কিয়া???
আবির লজ্জা মুখে হেসে বলে,,,

:- আরে সেরকম কিছু নয়!! আমি তো আসলে রিয়া… না মানে কিছু না!!

:- ওহো কিছু না?? আপনি রিয়াকে খুঁজছেন ডাক্তারবাবু?? আপনার রিয়া ছাদে আছে। যান যান!!
পিয়ুষের বলার ভঙ্গিতে হেসে ফেলে আবির। বলে,,,

:- না মানে ওই আর কি!!

পিয়ুষ হাসতে হাসতে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
আবির এগিয়ে যায় ছাদের দিকে।
এদিকে রিয়া ছাদে দাঁড়িয়ে হলুদের স্টেজ রেডি করছিলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই গায়ে হলুদ শুরু হবে। কাউকে না পেয়ে একা একাই সবকিছু এনে রাখছিলো স্টেজে। হলুদের ডালা রেখে উঠতেই আচমকা আবার আবিরকে সামনে রেখে চমকে যায় ।তখনকার কথা ভুলে আবারও তেড়ে যায় আবিরের দিকে,,,

:- এই আপনার সমস্যা কি?? যখন তখন ভুতের মত সামনে উদয় হন!!
এদিকে আবির রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে হাঁ করে।এটা সে কাকে দেখছে!! এটাই কি তার রিয়া টিয়া!! এতো একটা সূর্যমুখী।আহ কি সুন্দর দেখাচ্ছে!!
আবির এক পা এক পা করে রিয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। এদিকে আবিরের হা করে তাকিয়ে থাকা আর নিজের দিকে এগিয়ে আসা দেখে থতমতো খাই রিয়া। ভ্রু কুঁচকে কে তাকিয়ে থাকে আবিরের দিকে। ভাবে ,,(কি করতে চায় সেই লোক)
আবির রিয়ার কাছে গিয়ে কোমরে হাত রেখে একটানে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় রিয়াকে। রিয়া হতভম্ব হয়ে যায়। আবারও তখনকার কথা মনে হতেই লজ্জায় লাল হয়ে যায় মুখ। আবির হঠাৎ রিয়ার মুখ পরিবর্তনে বেশ আবিভূত হয়। মেয়েটা কি লজ্জা পাচ্ছে!! রিয়ার লজ্জায় রাঙা মুখের দিকে তাকিয়ে আবারো ঘায়েল হয় আবির। ঘোর লাগা কন্ঠে বলে,,

:-রিয়া টিয়া,,, আপনি জানেন আপনাকে একদম সূর্যমুখীর মত লাগছে!! একদম মনে হচ্ছে ছিড়ে নিজের ফুলদানিতে রেখে দিতে!! থাকবে আমার ফুলদানিতে ফুল হয়ে??

আবিরের কথা শুনে আকাশ থেকে পড়ে রিয়া। (এ ডাক্তারের মাথায় কি তার ছিড়ে গেছে?? কি সব বলছে এগুলো)
আবিরের দিকে তাকাতেই চোখ বড় বড় হয়ে যায় রিয়ার। আবির তার মুখের দিকে ঝুঁকে আসছে। এটা দেখেই চোখমুখ খিচে বন্ধ করে ফেলে রিয়া। আবির যেন ঘোরের মধ্যে আছে। তার দৃষ্টির রিয়ার লাল ঠোঁটের দিকে। আস্তে আস্তে দুজনের ঠোঁট প্রায় ছুঁই ছুঁই তখনি কারো ছাদে আসার শব্দ শুনে ঘোর কেটে যায় আবিরের।মুহূর্তে রিয়াকে ছেড়ে দিয়ে সরে দাঁড়ায়। এদিকে রিয়া হাফ ছেড়ে বাঁচে।

তখনই প্রিয়তাকে নিয়ে বিভা পিয়ুসের সাথে আরো অনেকে ছাদে উপস্থিত হয়। প্রিয়তাকে স্টেজে বসিয়ে দিয়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু করে। পিয়ুসের হাতের ক্যামেরা আবিরের হাতে ধরিয়ে দেয়। রিয়া হলুদের ডালা তুলে নিয়ে প্রিয়তার দিকে এগিয়ে যায়। প্রিয়তার মুখে হলুদ লেগে থাকা দেখে দুষ্টু হেসে বলে,,,

:- বাহ জিজু দেখছি আগেই কাম তামাম করে দিয়েছে।
তা কখন দিলো হুম??

প্রিয়তা লজ্জায় লাল হয়ে যায়। তা দেখে হাসতে হাসতে রিয়া শেষ।
শুরু হয় হলুদের অনুষ্ঠান। যেহেতু একই বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে তাই হলুদও এক সাথে হবে। বিভোর সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরেছে। প্রিয়তার পাশে বসানো হয় বিভোরকে। সবাই এসে হলুদ মাখিয়ে দিলো দুজনকে। সুযোগ মতো সবার আড়ালে বিভাকেও হলুদ লাগাতে ভোলে না পিয়ুস। আবিরও কথায় কথায় রিয়াকে হলুদ মাখায়। এভাবেই হাসি মজার মধ্যে দিয়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হয়। হলুদ শেষে রাতেই মেহেন্দির আয়োজন করা হয়।
_________

যেহেতু আংটি বদল থেকে গায়ে হলুদ, মেহেন্দি সবটায় ঘরোয়া ভাবে হয়েছে তাই নিকট আত্মীয় স্বজন ছাড়া বাইরের কাউকে এখনো বিভোরের বিয়ের খবরটা দেয়া হয়নি। কিন্তু বিভোরের মতো একজন নামকরা পপুলার বিজনেসম্যানের বিয়ের মতো এতোবড় খবরটা তো বেশিক্ষন চাপা থাকা অসম্ভব। আগামী কাল বিভোর খানের বিয়ে কথাটা কোন ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
অবশ্য বিভোর তার কম্পানির এমপ্লয়িদেরকে ইনভিটেশন কার্ড পাঠিয়েছিলো। হয়তো সেখান থেকে কেউ খবরটা লিক করেছে।
আসলে বিভোর সবদিক ভেবেই বিয়ের কথাটা বাইরে ব্রডকাস্ট করতে চাইনি। নাহিদ চৌধুরী এখনো ধরা পড়েনি। সে নিশ্চয় বিভোরের ক্ষতি করার প্ল্যান করছে। আর বিয়ের মতো একটা অনুষ্ঠানে কোন রকম অঘটন ঘটানো কোন বড় বিষয় নয়। এইরকম একটা সুযোগ পাওয়া মানে নাহিদের কাছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পাওয়ার মতো।
এই সবকিছু বিবেচনা করেই কথাটা গোপন রেখেছিল বিভোর। কিন্তু হলুদের পর পরই বাড়িতে মিডিয়ার লোকেরা এসে হানা দেয়। মুহুর্তেই বিভোরের বিয়ের খবরটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিভোর বাড়ির চারদিকে সিকিউরিটি গার্ডের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। বিভোর তার আপনজন দের একজনেরও কোন ক্ষতি হতে দিবে না। কিছুতেই না।
কিন্তু ঘর শত্রু বিভীষণ বলে একটা কথা আছে। বিভোর হয়তো সেটা ধারনা করেনি।তার বাহ্যিক সাবধানতায় বাইরেরটা সিকিউর হলেও ভেতরে শত্রু থেকে যেতে পারে সেটা একবারও ভাবলো না।
___________

💓আজ বিভোর প্রিয়তার বিয়ে💓

প্রিয়তাকে সাজানোর জন্য পার্লার থেকে লোক এসেছে। তারা কনে’কে ব্রাইডাল লুকে গর্জিয়াস করে সাজিয়ে দিয়েছে।
বিভোরের কোম্পানির এমপ্লয়ী হিসেবে ইনভাইটেড ছিল মিসকাও। মিশকা বিভোর এর বিয়ের খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেছিলো। সে বিভোরকে মনে মনে অনেক প্রচন্ড পছন্দ করে। হয়তো ভালোওবাসে। কিন্তু বিভোর তাকে পাত্তা না দিলেও বিভোরের সাথে কাউকে সে কিছুতেই সহ্য করতে পারে না।
তাই বিভোরের বিয়ের খবরটা শুনে সমস্ত রাগ গিয়ে পড়েছে বিভোরের হবু বউয়ের উপরে। তার উপর যখন শুনেছে বিভোরের সাথে যার বিয়ে হচ্ছে মেয়েটা প্রিয়তা, তখন আরো বেশি হিংসা করতে থাকে। যখন সে বিয়ের খবরটা শুনেছিলো তখন আসতেই চাইনি। বাড়িতে সবকিছু ভাঙচুর করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিলো। সেই মুহূর্তেই মিশকার ফোনে একটা কল আসে। কলটা রিসিভ করার পর এমন কিছু শোনে যার পর সে বিভোরের বিয়েতে আসার সিদ্ধান্ত নেই।
কিন্তু প্রিয়তার ঘরে ঢুকেই দুজন কনে’কে হুবহু একরকম সাজানো দেখে কনফিউজড হয়ে যায়।পাশাপাশি দুজন কনে হুবহু একরকম সেজে মাথায় এক হাত ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে আছে। কোনটা প্রিয়তা কোনটা আলাদা মেয়ে ঠিক বুঝতে পারে না মিশকা।
বিভা পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো। বিভাকে একপাশে টেনে নিয়ে মিশকা মুখে হাসি টেনে ন্যাকামো করে জিজ্ঞাসা করে,,

:- কি ব্যাপার বলতো বিভা!!দুজন কনে কেন??এর মধ্যে বিভোরের হবু বউ কোনটা??
বিভা মুচকি হেসে বলে,,

:- এটা তো সারপ্রাইজ আপু!! এখন বলা যাবেনা। বরকেই তার বউকে খুঁজে নিতে হবে। এটা একটা গেম। যদি ভাইয়া প্রিয়তাপুকে খুঁজে নিতে পারে তাহলে ভালো, না হলে আমাদেরকে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। তারপরই সে তার বউ পাবে। বেশ ইন্টারেস্টিং না!!!

বিভার পেট থেকে কথা বের করতে না পেরে মনে মনে রাগে গজগজ করতে থাকে মিশকা।
সবকিছু সাজগোজ শেষ হলে এক সময় ঘর ফাঁকা হয়। সেই সময় প্রিয়তা পাশের কোণেকে বলে,,

:- আমার একটু ওয়াশরুমে যেতে হবে!!
সেও প্রিয়তাকে যেতে বলে। প্রিয়তা ওয়াশরুমে ঢুকে ঠিক সেই মুহূর্তেই মিশকা আসে ঘরে। ঘরের ভেতরে একজনকে দেখে ভাবে হয়তো বিভোর চিনে নিয়েছে প্রিয়তাকে। আর সেই মেয়েটা চলে গেছে। এটাই হয়তো প্রিয়তা। তাই ভেবে পেছন থেকে মুখে রুমাল চেপে ধরে। এদিকে ছটফট করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় রিয়া।
আসলে বাড়তি কণে রিয়াকে সাজানো হয়েছিলো ।রিয়া আর প্রিয়তার গঠন দেখতে প্রায় একই রকম হওয়ায় সবাই ধাঁধাঁয় পড়ে যাবে কে আসল প্রিয়তা। তাই সবাই মজা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। তাই মিশকা বুঝতেই পারলো না সে প্রিয় তার জায়গায় রিয়াকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাচ্ছে। তাড়াহুড়ো করে বেরোতে গিয়ে ঘোমটা উঁচু করে দেখার সময় পাইনি মিশকা। পেছনের গেট দিয়ে টেনে বের করে রিয়াকে।তারপর একটা কালো গাড়িতে তুলে দিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে আসে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ দেখেছে কিনা!! কেউ তাকে খেয়াল করেনি দেখে নিশ্চিন্ত হয়!! মনে মনে শয়তানি হেসে বলে (এবার কি করবে বিভোর খান!! তোমাকে তো আমার হতেই হবে। তোমার পাশে আমি কাউকে সহ্য করব না)

বিয়ের সময় এগিয়ে আসে। প্রিয়তা কিছুক্ষণ পর ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে রিয়াকে দেখতে পায় না। ব্যালকনিতে দেখে সেখানেও নেই। তখন বিভা আসে রুমে। বিভা আসতেই প্রিয়তা বিভাকে জিজ্ঞাসা করে,,,

:- বিভা রিয়া কোথায়??

:- কেন রিয়া আপু তো এখানেই ছিলো !!কোথায় মানে??

প্রিয়তা চিন্তিত মুখে বলে,,

:- আমি কিছুক্ষণের জন্য ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম ।তখনতো রিয়া রুমেই ছিলো ।কিন্তু বাইরে বেরিয়ে দেখছি নেই।

বিভা ঘাবড়ে গিয়ে বলে,,

:- কি বলছো প্রিয়তাপু! রিয়া আপু তো বাইরেও যায়নি।

তখন প্রিয়তার মা নীলিমা হোসেন রুমে আসে। তিনিও এসে সবকিছু শুনে বেশ চিন্তিত হন। রিয়া কোথায় গায়েব হয়ে গেলো ।পুরো বিয়ে বাড়ি সন্তর্পনে খুঁজে আসেন তিনি। কোথাও নেই রিয়া। এবার বিভোরকে না জানিয়ে উপায় থাকে না। বাড়িতে মুহূর্তে একটা হুলুস্থুলুস অবস্থা হয়ে যায়। সবাই কানা কানি করতে থাকে। রিয়ার গায়েব হওয়ার খবর শুনে আবিরের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়,,,

To be continue,,,,,,,,