প্রিয় রোদ্দুর পর্ব-৩৩ এবং শেষ পর্ব

0
506

#প্রিয়_রোদ্দুর🤍
#লেখনীতে:অনুসা_রাত(ছদ্মনাম)
#অন্তিম পর্ব

বিয়ের এক সপ্তাহ পর নিজের বাসায় যাওয়ার কথা শুনে তো আমি বেজায় খুশি।রোদ্দুরের থেকে কথাটা শোনা মাত্রই আমি সকালে খাওয়ার পর থেকে প্যাাকিং এ বসে গেছি।
কিছু সময় পার হতেই রোদ্দুর হেলতে দুলতে ফোন চাপতে চাপতে ঘরে এসে ঢুকলেন।আমি একবার সেদিকে তাকিয়ে আবারো প্যাকিং করছি।উনি ফোনের দিকে তাকিয়েই বললেন,

-“বিকালেই রেডি হয়ে যেও।”

-“ওকেহ!”

উনি এবার বিছানায় এসে বসলেন।ফোন থেকে চোখ সরিয়ে পাশে তাকাতেই আমাকে প্যাকিং করতে দেখতে পেলেন।হঠাৎ ই চোখ বড় বড় করে বললেন,

-“তুমি এতকিছু নিচ্ছ কেন?”

ওনার জোরে বলা কথায় আমি কেঁপে উঠলাম। বুকে থুথু দিয়ে বললাম,

-“চেঁচানোর কি আছে হ্যা!নিজের বাসায় যাব।কাপড় নিব না?”

-“আরে ওখানে তো তোমার কত কাপড় পড়েই আছে।তাছাড়া দুদিনের জন্য এত কাপড় কেন নিচ্ছ?”

-“হোয়াট!দুদিন?”

-” তা নয়ত কি?”

-“আমি ৭ দিন থাকব।”

রোদ্দুর আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে রইলো।আমি তোয়াক্কা না করে ওনার শার্ট ঢুকাচ্ছি।উনি আবার বললেন,

-“৭ দিন?পাগল নাকি?আমার নতুন নতুন পাওয়া চাকরীটাও যাবে। ”

আমি কোমড়ে হাত দিয়ে বললাম,

-“নিজের বাবার অফিসে কাজ করেন।আর তবুও এত সমস্যা।”

-“সে যাই করি না কেন।বাবা মানবে না।”

-“বাবার সাথে আমি কথা বলে নেব।”

-“অতসী,তুমি এখনো বাচ্চা বুঝেছ।তুমি আমার দায়িত্বে।আমি যতদিন বলব ততদিনই থাকবে।”

-“বললেই হলো!”

-“আবার মুখে মুখে তর্ক করছ।”

আমি জিভ বের করে ভেঙালাম।উনি রেগে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলেন।আমি প্যাকিং শেষ করতেই উনি বললেন,

-“আচ্ছা তোমার টাও থাক।আমারটাও থাক।তিনদিন থাকি।”

-“কেন!আপনার সমস্যা টা কি বুঝলাম না।আচ্ছা আপনার কাজ থাকলে আপনি বরং চলে আইসেন।আমি থাকব নে কিছু দিন।”

-“কিহহ!এটা তো কখনোই হবে না।ইম্পসিবল। নেভার এভার।”

ওনার এমন রিয়াকশনে আমি চমকে উঠলাম। উনি উঠে দাঁড়িয়ে আমার সামনে এসে বললেন,

-“এমন চিন্তা মাথায়ও এনো না।একসাথে যাব।একসাথে আসব।”

-“আমি থাকলে সমস্যা কি?আমার বাসা।”

-“এটা অসম্ভব। তোমাকে ছাড়া আমার চলবেই না।আমি কিছু জানি না।তুমি আমার সাথে ফিরছ ব্যস।”

-“ওকে আপনার-আমার দুজনের টাই থাকলো।চারদিন।”

-“ওইতো তিনদিন থেকে চারদিনের দিন চলে আসব।”

-“ধ্যাত।আপনার সাথে কথা বলাই উচিত না।আগে যাই।পরেরটা পরে।”

সেই তখন থেকে আমার এই কথাটা শুনে রোদ্দুর ফুলে বসে আছে।ওনার মতিগতি বোঝা দায়।এই ভালো তো এই মুড অফ। এই রোগ টা আমার ছিল।কিন্তু মনে হয় আমার থেকে ওনার মধ্যে ট্রান্সফার হয়েছে ।
বিকালের দিকে আমি একটা গোলাপি রঙের জামদানী বের করে সুন্দর করে পড়ে নিলাম।
হালকা পাতলা সাজের মাঝখানেই রোদ্দুরের গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে এলো,

-“এত সাজার কি আছে?”

-“বাহ রে!বিয়ের পর এই প্রথম বের হচ্ছি।”

-“তাই বলে গরমে শাড়ি পড়ে যাবে?”

-“আমার শাড়ি পড়তে ভাল্লাগে।”

-“পরে অজ্ঞান হয়ে গেলে আমাকেই কোলে নিতে হবে।সব কোলে ওঠার ধান্দা অসভ্য মেয়ে মানুষ।”

আমি ওনার দিকে আঁড়চোখে তাকালাম।উনিও বিছানায় বসে আমার দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে আছেন। চোখাচোখি হতেই ফোন বের করে কোন ঘাটছেন।আমি মুচকি হাসলাম।কানে দুল পড়তে পড়তে বললাম,

-“আমার বরের কোলে আমি উঠব না ত অন্য মেয়ে উঠবে?আর আপনি এখনো বসে আছেন কেন?যান রেডি হন।”

-“আমার পাঁচ মিনিটও লাগবে না।মেয়েদের মত এত সাজে আমরা নেই।”

-“হয়েছে থাক।কথা না বলে রেডি হন।”

উনি চুপচাপ উঠে দাঁড়ালেন।ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে চিরুনি নিয়ে চুল সেট করছেন।আমি বারবার তাকিয়ে দেখছি।গাল গুলো কেমন ফুলে আছে।এই লোকটা এত কিউট কেন!আমি ভেবেই পাই না রাক্ষস টা এত এত ভালো মন থেকে।আমি এগিয়ে গিয়ে ওনার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে গেলাম।উনি গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,

-“কি?”

আমি হাসলাম।পা উঁচু করে ডান গালে ঠোঁট ছোঁয়াতেই উনি বিস্ময় নিয়ে তাকালেন।তারপর বা গালে ঠোঁট ছোঁয়াতেই উনি আমার দিকে চোখ বড় করে তাকালেন।বেচারা ভীষণ অবাক।আমি হেসে বললাম,

-“চারদিন প্লিজ?”

উনি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।কোমড় জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেলেন।চোখ বন্ধ করে অনুভব করলাম ওনার গভীর স্পর্শ। পরক্ষণেই আবারো নিজের ঠোঁটে ওনার স্পর্শ অনুভব করলাম।ওনার শার্ট খামচে ধরতেই উনি আগলে নিলেন আমায়।কিছু সময় পর কানে তার ঘন ঘন নিঃশ্বাস আর নিম্ন স্বরে বলা কথা ভেসে এলো,

-“তুমি চাইলে সবই করতে পারি।আর চারদিন থাকা তো কোনো বিষয়ই না।”


আমরা বাসায় আসার পর ফুপিকে খবর দেয়া হয়।আর দ্বীপ,ফুপি,দিয়া সবাই চলে আসে।ফুপির সাথে আমি সেদিন থেকেই কথা বলা বাদ দিয়েছি।
বিয়ের দিনও কথা বলিনি।এজন্য ফুপি এখনো অনেক কান্না করছে।আর সবার সামনে সবটা স্বীকার করছে।আমি ফুপিকে উদ্দেশ্য করে বললাম,

-“তুমি যা করেছ তার ক্ষমা হয় ফুপি বলোতো?দুজন মানুষ কম কষ্ট পাইনি।”

ফুপি রোদ্দুরের সামনে গিয়ে ওর কাছে ক্ষমা চাইলেন।রোদ্দুর ফুপির হাত ধরে বললেন,

-“আপনি আমাদের থেকে অনেক বড় ফুপি।আপনার থেকে আমরা ক্ষমা চাইব।আপনি কেন চাইতে যাবেন।আর অতসী তো ছোট।ও কি বুঝবে?
আমরা মন থেকে আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।আর আপনাকে ক্ষমা করার বিষয়টা বলতেও কেমন লজ্জা লাগছে।আপনি আমার মায়ের বয়সী।আপনি বরং আমাদের ক্ষমা করুন।আর জুটি তো উপর থেকেই সৃষ্টি হয়।তাই না?”

বলেই ওনি ফুপিকে জড়িয়ে নিলেন।ফুপি কাঁদতে কাঁদতে বললো,

-“আমাকে মাফ করে দাও।আমি তোমাকে চিনতে ভুল করেছি।”

এই কাহিনীর পর রোদ্দুরের চোখ রাঙানিতে আমি ফুপির সাথে সব ঠিক করে নিলাম।
থাক কিইবা করার!এখন তো সব ঠিক হলোই।আর ফুপি নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক।
রাতের বেলা রোদ্দুরের সাথে রাগ করে আমি ছাদে এসে দাঁড়িয়ে রইলাম।লোকটা এখানে এসেও কাজ কাজ করেই চলেছে। এমন সময় আওয়াজ পেলাম ছাদের ঘরের পিছন দিক থেকে। আমি ভয় পেলেও এগিয়ে যাচ্ছি। ভয় পাওয়ার কথা কারণ তখন রাত ১১ টা।আমি এগিয়ে গিয়ে দেখি দ্বীপ আর দিয়া কথা বলছে।দ্বীপ বলছে,

-“দেখো দিয়া!তোমার আর আমার বিয়েটা মিথ্যা।সো এখানে তুমি আমাকে ভালোবাসো কি করে?”

-“কেন দ্বীপ?আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারি না?”

-” না পারো না।”

-“কেন?”(কাঁদতে কাঁদতে)

-“কারণ আমি চাঁদনীকে ভালোবাসি।”

দ্বীপের এই কথাটা শুনে আমার বুক কেঁপে উঠল। তারমানে রোদ্দুর গতকাল আমাকে যেই কথাটা রাতে বলেছিল সেটা সত্যি।আমি হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলাম।দ্বীপকে আমি বারবার বিয়ের কথা বলে ইচ্ছে করে কষ্ট দিলাম?ছেলেটা আমার আর রোদ্দুরের জন্য দিয়াকে বিয়ে করল?
দিয়া বলছে,

-“সেটা অতীত।অতসী অন্যকারো।আমি আপনাক ছাড়া থাকতে পারব না দ্বীপ।আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি।”

দ্বীপ মুখ ঘুরিয়ে ফেললো।দিয়া আবার বললো,

-“থাকতে মূল্য দিচ্ছেন না।হারিয়ে খুঁজবেন না আমায়।”

বলেই দৌড়ে চলে গেল।দ্বীপ পিছনে ফিরে দিয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো।আমি এগিয়ে গেলাম।দ্বীপের কাঁধে হাত রাখতেই ও আমায় দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠলো।আমি মুচকি হেসে বললাম,

-“এত ভালোবাসিস তোর চাঁদনীকে?”

দ্বীপ অন্যদিকে তাকিয়ে রইলো।চোখের পানি হয়ত দেখাতে চাইছে না।আমি বলতে লাগলাম,

-“কোনোদিন তো বলিসনি।”

-“তুই রোদ্দুর কে ভালোবাসিস।আমি চাইনি তোদের মাঝে আসতে।”

-“বললে হয়ত তোকে আমি বিয়ের কথাটা বলে বারবার কষ্ট দিতাম না।এটা কাটা গায়ে নুনের ছিটা হয়ে গেলো। ”

-“নাহ।তেমন কিছু না।আমি ভেবেছিলাম তুই আসলেই জেদের বশে আমায় বিয়ে করবি।তাই আমি দিয়াকে নিয়ে প্ল্যান করে নাটকটা করি।”

-“দিয়া তোকে ভালোবাসে।”

-“হুম হয়ত।”

-“আর তুই?”

দ্বীপ আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।আমি হেসে বললাম,

-“এতদিন একসাথে আছিস।যতই নাটক হোক।বিয়ে তো হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র বন্ধন।একটু হলেও মায়া জন্মেছে।”

-“তেমন কিছুই না।কথা হয়েছিল তোর বিয়ের পর আমি বিদেশে চলে যাব।আর এটাই হবে।”

-“হারিয়ে খুঁজবি না ত?”

-“মানে?”

-“মানে দিয়া যদি পরে কিছু করে ফেলে।”

-“কিসব বলছিস!”

-“ভালোবাসলে মানুষ উম্মাদ হয়ে যায়।পাগল হয়ে যায়।”

-“না।দিয়া এটা করতে পারে না।”

বলেই হাইপার হয়ে দরজার দিকে যেতে লাগল।আমি পিছন থেকে বলে উঠলাম,

-“তুই এত হাইপার হচ্ছিস কেন।তুই তো দিয়াকে ভালোবাসিস না।”

দ্বীপ আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।পা থেমে গেলো ওর।আমি এগিয়ে গেলাম। তারপর বললাম,

-“সবকিছু ঠিক করে নে।ফুপিকে রাজি করিয়ে আমরা আবার তোর বিয়েটা এনজয় করব।”

-“…”

-“তুইও দিয়াকে ভালোবাসিস।”

-“কিন্তু… ”

-“সব শেষ করে পরে দিয়াকে খুঁজেও পাবি না।ও রেগেমেগে ঘরে গেছে। দেখ কি হলো।”

-“হুমম।”

-“পারলে তোর চাঁদনীকে ক্ষমা করে দিস।তোর ভালোবাসার মূল্য দিতে পারল না।উল্টে তোকে কষ্ট দিল।”

-“মোটেও না।আমার চাঁদনী আমায় কষ্ট দিতে পারে?তুই না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড? একদম কান্না নয়।হুশশ!”

দ্বীপ আমাকে চুপ করিয়ে চলে গেলো।আমি আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
দ্বীপের কাছে কি আমি অপরাধী রয়ে গেলাম?
নিজের উপরই রাগ লাগছে।রোদ্দুর কে জেলাস করিয়ে প্রপোজ করাতে গিয়ে অনেক কষ্ট দিলাম দ্বীপকে।এর কি ক্ষমা হয় না?
দ্বীপ যতই মুখে বলুক মাফ করে দিয়েছে। আমার নিজেকে অপরাধী লাগছে।
আমার ভাবনার মাঝেই কাঁধে কারোর হাতের স্পর্শ পেলাম।তাড়াতাড়ি চোখ মুছে পিছনে তাকাতেই রোদ্দুর কে দেখতে পেলাম।

-“আপনি?”

-“সবই দেখলাম।”

আমি ওনাকে ঝাপটে ধরে কাঁদতে লাগলাম।উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,

-“হয়েছে হয়েছে। আর কেঁদো না।কেমন ছিচকাঁদুনে।”

-“…”

-“তোমার দোষ ছিল।তুমি মাফ তো চেয়েছ তাই না?আর দ্বীপ খুব ভালো মানুষ। ও তোমাট অপরাধ টাকে অপরাধ হিসেবে ধরেইনি।ও জাস্ট তোমাকে খুশি দেখতে চেয়েছে। তুমি কাঁদছ দেখলে তো নিজেকে অপরাধী ভাববে হয়েছে তো।উফফ।আমার গেন্জিটা আজ শেষ।”

আমি ওনার দিকে তাকিয়ে বুকে কিল-ঘুষি লাগিয়ে বললাম,

-“সব আপনার জন্য। আপনাকে ভালোবেসে।”

-“বাহ।এখন সব দোষ আমার?উফ।আর মেরো না।”

বলেই হাতদুটো আকড়ে ধরলেন।তারপড বললেন,

-“কাজল লেপ্টে ভূত লাগছে।কেউ ছাদে এলেই ভয়ে পালাবে।”

-“চুপ করুন।”

উনি আমার গালে হাত দিলেন।চুল সরিয়ে বললেন,

-“অনেককিছু হয়েছে। তোমাকে পেতে কম কষ্ট করিনি আমি এখন আর কষ্ট দিও না।কান্না থামাও।”

আমি ওনার বুকে মাথা রেখে চুপ হয়ে গেলাম।উনি মাথায় পর পর থেমে থেমে চুমু খাচ্ছেন। চারিদিকে নিস্তব্ধতা বিরাজমান। আকাশে এত্তবড় চাঁদ। আজ পূর্ণিমা কিনা।উনি মাতাল গলায় বললেন,

-“ভালোবাসি তোমাশ অতসী।নিজের চেয়েও বেশি।”

আমি ওনাকে আরেকটু জড়িয়ে ধরে বললাম,

-“#প্রিয়_রোদ্দুর।আপনাকেও আমি অনেক বেশি ভালোবাসি।নিজের চেয়েও বেশি।”

মুহূর্তেই নিজেকে ওনার কোলে আবিষ্কার করলাম। একটু ভয় পেলেও পরমুহুর্তেই গলা জড়িয়ে নিলাম।ওনার চোখে স্পষ্ট নেশা দেখতে পারছি আমি।নিজের ভালোবাসাকে পাওয়ার নেশা।এই চোখের প্রেমেই তো পড়েছিলাম আমি।আমার #প্রিয়_রোদ্দুর আমারই থাক।এভাবেই পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা পূর্ণতা পাক।
এতটুকু লিখে নিজের ডায়েরীটা বন্ধ করলো অতসী!
পিছনে ফিরে দেখলো রোদ্দুর ঘুমাচ্ছে। অতসী এগিয়ে গেলো।মাথায় হাত রাখলো।কি নিষ্পাপ মুখ!
কি স্নিগ্ধ!
এর দিকে তাকিয়েই যেন অতসী সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারবে।অতসী রোদ্দুরের হাত জড়িয়ে রোদ্দুরের কপালে চুমু দিলো।আর ফিসফিস করে বললো,

-“ভালোবাসি…”

——-সমাপ্ত———