প্রেমনগরে প্রশান্তির ভেলা পর্ব-২৪

0
646

#প্রেমনগরে প্রশান্তির ভেলা
#আফসানা_মিমি
|চব্বিশ তম পর্ব |

চাঁদনি রাতে গ্রামের পথ ঘাট দূর দূরান্ত পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়। পুকুরের পানি যেন চিকচিক করে চাঁদের আলোতে।
রুপ নাদিফ বসে আছে বাহিরে। একজনের হাতে অপরজনের হাত শক্তভাবে আবদ্ধ করে রেখেছে। রুপের গান গাওয়ার পর থেকেই নাদিফ শক্ত করে রুপের হাত ধরে রেখেছে। এদিকে মায়া রাগে-দুঃখে কষ্টে, অপমান সইতে না পেরে ঘরে চলে গিয়েছে সাথে নাবিল ফাহিমা রাইসা আকাশে চলে গিয়েছে রুপ নাদিফকে একা ফেলে। একাকী বসে আছে রুপ নাদিফ। রুপ চোখ বন্ধ করে বৃথা চেষ্টা করছে বাতাস এসে যেন গা ছুঁয়ে দেয়। নাদিফ অপলক দৃষ্টিতে চাঁদনি রাতে পাশে বসে থাকা চাঁদকে দেখছে। যার চেহারার মায়াতে নাদিফ ফেঁসে গিয়েছে। আচমকা নাদিফ রুপের হাতের পিঠে শব্দ করে চুমু খেয়ে বসলো। রুপ হতবাক। যখন কেউ আনন্দে থাকে কোন বিষয় নিয়ে তখন আনন্দে আনমনে কেউ এমন কাজ করে বসে। নাদিফের বেলায়ও তাই।

” কি হলো এটা?”

রুপের কথায় নাদিফ মুচকি হেসে বলে,

” আদর করা হলো।”

রুপ হতাশ দৃষ্টিতে নাদিফের পানে তাকিয়ে আছে। রুপ ভাবছে, এমন একজনকেই রুপের ভাগ্যে আসতে হলো! যে কি না ঠোঁট কাঁ’টা স্বভাবের!

” এই যে হাত শক্ত করে হাত ধরে রেখেছি। দেখো কতো সুন্দর দেখাচ্ছে আমাদের আবদ্ধ হাত! কথা দিচ্ছি; সুখ-দুঃখ, আনন্দ-উল্লাসে যে কোন পরিস্থিতিতে এই হাতের বন্ধন কখনও ছুটে যাবে না। সারাজীবন এভাবেই ভালোবেসে যাবো।”

রুপের দৃষ্টি জমিনে নিবদ্ধ। মুখে তৃপ্তির হাসি। প্রতিটা মেয়ের স্বপ্ন থাকে একজন ভালো মনের মানুষকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে। নিঃসেন্দহে নাদিফ একজন ভালো মনের মানুষ। যে কি না রুপকে আঘাত ভালোবাসে। রুপ আস্তে করে নাদিফের কাঁধে মাথা রাখলো। এ যেন আলাদা প্রশান্তি। নাদিফের কাছাকাছি থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে। নাদিফ রুপের পিছনে হাত দিয়ে রুপকে আগলে নিলো। নাদিফের মুখশ্রীতে ছিলো তখন জয়ী হাসি।
—————-

চাঁদময় রাতের পর উজ্জ্বল দিবসের আগমন ঘটেছে ধরণীতে। গ্রামের সকাল যেন সুমধুর সকাল। পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজে ঘুম ভাঙে রুপের। আড়মোড়া ভেঙে বিছানা থেকে নেমে উওর প্রান্তের জানালার পর্দা সরিয়ে দেয় রুপ। বিছানায় রাইসা এখনও ঘুমে নিমগ্ন। রুপ আলগোছে মাথায় খোঁপা করে দরজা খুলে বাহিলে যাবার জন্য পা বাড়ায়। দরজা খুলতেই রুপের চোখ ছানাবড়া। উস্কখুস্ক অবস্থায় নাদিফ দাঁড়ানো দরজার সামনে। নাদিফের দৃষ্টি শান্ত। রুপের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। মিনিট পাঁচেক পর নাদিফ রুপের উদ্দেশ্যে বলল,

” তৈরি হয়ে নাও অপরুপ! একটু পর আমরা প্রেম নীড়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবো।”

নাদিফ কথা শেষ করে মলিন হেসে রুপের গালে হাত রাখলো। গভীরভাবে রুপের মুখশ্রী পর্যবেক্ষণ করে চলে গেলো। এদিকে রুপ নির্বিকার নাদিফের কান্ড দেখে। নাদিফ চলে যেতেই রুপ রাইসাকে ডেকে তুলে তৈরি হওয়ার জন্য।

প্রিয় নিবাসে গতকালের ন্যায় কোন হৈ-হুল্লোর নেই। একদম স্তব্ধ পরিবেশ। শেফালি বেগম মুখে আঁচল দিয়ে রেখেছেন, চোখে মুখে বিষন্নতা বিদ্যমান।
মায়া বাবা-মায়ের সাথে মাঝে বসে আছে এক প্রকার বিধ্বস্ত অবস্থায়। রুপ সাইসা মাত্র বসার রুমে এসে দাঁড়িয়েছে। মায়ার এই অবস্থা দেখে রুপ ভ্রু যুগল কুঁচকে আছে। রুপকে দেখা মাত্রই মায়া বসা থেকে উঠে রুপের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। রুপকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে কিছুক্ষণ। হাত বাড়িয়ে রুপের মুখশ্রী ছুঁয়ে দেয় মায়া। পরক্ষণে কান্নামাখা কন্ঠস্বরে বলে,

” আমিও কি বড়ো হলে তোমার মতো সুন্দর, বুঝবান হবো? ভাইয়া তো বলল আমি নাকি বোকা। এখনও অনেক ছোট। তাই ভাইয়া আমাকে পছন্দ করে না। তোমাকে পছন্দ করে।”

রুপ সকলের সামনে মায়ার এসব কথায় অস্বস্তিতে পড়ে যায়। মায়ার এসব কথার উওরে এগিয়ে আসেন আজাদ সাহেব। মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,

” তোর জন্য আমি নিজে পাত্র খুঁজে বের করবো। যেমনভাবে আমার ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজেছি। তোর জন্য যে পাত্র থাকবে সে একদম রাজকুমারের মতো হবে। তখন দেখবি এই রুপ, রাইসা হিংসে করছে তোর রাজকুমারকে দেখে।”

আজাদ সাহেবের কথায় মায়া হেসে উঠে। এদিকে রুপের মাথায় যেন কিছুই ঢুকছে না। কিছুক্ষণ আগে নাদিফ তৈরি হতে বলল আর এখন মায়ার এসব কথা।
রুপ ভাবছে এখন চুপ থাকাই ভালো হবে। পরে না হয় ফাহিমা ভাবির নিকট শুনে নিবে কি হয়েছে।

সকলের মাঝে এক জোড়া প্রেমিক যুগলের মনও খারাপ হয়ে আছে। সকলের অগোচরে প্রেমিক যুগল প্রিয় নিবাস থেখে বের হয়ে যায়। প্রেমিক যুগল জোড়া হলো রাইসা এবং আকাশ।

” তুমি কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো আকাশ?”

রাইসা তো রুপের মতোই এতিম। পার্থিব জীবনের চাকচিক্যে মগ্ন রাইসা। পৃথিবীতে কত সংগ্রাম করে যে বাঁচতে হয় তা রাইসা দেখেছে। কিছুদিন আগেও রাইসার নিকট কিছুই ছিলো না। পরিধান করার জন্য কাপড় ছিলো না। রুপের জন্য রাইসা এতো ভালো পরিবারের সাথে থাকতে পারছে। মাস শেষে ভালো খাবার পাচ্ছে। পরিধানের কাপড় কিনতে পেরেছে নিজের টাকায়। এই কয়েকদিনে রাইসা যেন সব ভুলে গিয়েছিলো। মত্ত হয়েছিলো একজন সুদর্শন পুরুষের ব্যবহারে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এতিম বলে কি আকাশ সময় কা’টাচ্ছে রাইসার সাথে? রাইসার চোখে অস্থিরতা, ভয় পাচ্ছে অনেক। রাইসার অবুঝ মনে ভালোবাসা জন্মিয়েছে আকাশের জন্য। রাইসার প্রশ্নে আকাশ উওর দিতে সময় নেয় নি। রাইসার কথার প্রত্যুওরে বলে,

” তুমি বুঝো না?”
” আমি বুঝি না। সরাসরি বলো।”
” হ্যাঁ তোমাকে ভালোবাসি।”
” বিয়ে করবে আমায় এই প্রতিশ্রুতি দাও তাহলে?”

আকাশ মুচকি হাসলো রাইসার কথা শুনে। রাইসার হাতে হাত রেখে, চোখে চোখ রেখে উওর দেয়,

” কথা দিচ্ছি রাইসা, আজ থেকে ঠিক পনেরো দিন পর ঢাক ঢোল বাজিয়ে তোমাকে বউ রুপে নিজের ঘরে উঠাবো।”

” আর আমরা দূর আত্মীয়দের মতো দূরে বসে বসে দেখবো।”

রাইসা লজ্জায় শেষ। নাদিফ রুপ যে এসে উপস্থিত হয়েছে। রুপ হাসছে রাইসার লজ্জা দেখে। নাদিফের ঠোঁটে দুষ্টুমি ভরা হাসি। নাদিফের কথায় আকাশ মাথা চুলকে উওর দিলো,

” তোর জন্যই তো রাইসাকে পেয়েছি আমি। তোকে তো আমার বাম পাশে বসিয়ে রাখবো পাহাড়া দেয়ার জন্য।”

যেভাবে গতকাল সকলে আসলামপুরে এসেছিলো ঠিক সেভাবেই সকলে রওনা হয়েছে। আজাদ সাহেব চোখ বন্ধ করে বাসের সিটে গা এলিয়ে দিয়েছেন। শরীরটা কেন যেন আজ ভার ভার লাগছে। ফাহিমা আজ নির্ঘুমে থাকবে বলে পন করেছে। রাইসার মন ফুরফুরে আকাশের সাথে বসে জমিয়ে গল্প করছে।

রুপ আজ বাসের মাঝ বরাবর বসেছে। নাদিফ পিছনে বসেছে। নাদিফ আজ চুপচাপ। রুপের সাথে কোন কথা বলছে না। রুপ একটু পর পর নাদিফের পানে তাকাচ্ছে বুঝতে চেষ্টা করছে নাদিফের ভাবভঙ্গি। রুপের যেন আজ সব কিছু অসহ্য লাগছে। আসার সময় মায়া অনেক কান্না করেছে। নাদিফের কাছে ক্ষমা চেয়েছে অজ্ঞাত কারণে।

রুপের এখন খুব করে জানতে ইচ্ছে করছে নাদিফের মনের কথা। রুপ এবার নাদিফের কাছে এসে পাশে বসলো। নাদিফের হাত ধরে বলে,

” হেই জান! কি ভাবছো?”

নাদিফ যেন আকাশ থেকে টপকে জমিনে পড়লো। চোখ বড়ো করে রুপের পানে তাকালো। রুপ এসেছিলো নাদিফের মন ভালো করতে কিন্তু এখন মনে হচ্ছে রুপ একটু বেশিই করে ফেলেছে। রুপ জিহ্বা কেঁটে নাদিফের পাশ থেকে উঠে যেতে উদ্যোগ নিতেই নাদিফ রুপের হাত শক্ত করে ধরে ফেলে।

” এভাবে যন্ত্রণা না দিয়ে ভালোবাসি বলতে পারো না? তোমার হুটহাট কথায়, আচরণে আমি নিঃশেষ হয়ে যাই তা কি তুমি জানো? এসেছো আমার কাছে নিজ ইচ্ছায় যাবে আমার ইচ্ছায়।”

নাদিফ কথা শেষ করে রুপের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। রুপ স্তব্ধ নাদিফের কাজে। রুপের এখন নিজের বোকামির জন্য নাদিফের কবলে বন্দী হয়ে গিয়েছে।

” রুপ মাথাটা চুলকে দাও তো! মনে হয় উকুন হয়েছে। গতরাতে তোমার সাথে বসে থাকার পর থেকেই মাথা চুলকাচ্ছে। মনে হচ্ছে তোমার মাথার সব উকুন দৌঁড়ে আমার কাছে চলে এসেছে।”

নাদিফের কথা শেষ হতেই রুপ রাগে জোরে নাদিফের মাথা চুলকে দিতে শুরু করলো। এতে নাদিফ হেসে উঁচু আওয়াজে বলল,

” আরে পাগল হলে নাকি! আমি তো দুষ্টুমি করেছি। কোন উকুন নেই মাথায়। মা বলে উকুন সাত বাড়ি ঘুরে একজনের মাথা থেকে অপরজনের মাথায় আসে। আমার মনে হচ্ছে মাথায় মাথা থেকে এসেছে। মেয়েটা গতকাল রাতে দেখলে না পাশে বসেছিলো!”

রুপ যেন এবার অগ্নিরুপ ধারণ করেছে। নাদিফের মাথা চুলকে দেয়ার বিপরীতে কেশব টেনে ধরেছে। রুপের কান্ডে নাদিফ আরো জোরে হাসছে।

” আরে কি করছো কি অপরুপ! বিয়ে হওয়ার আগেই কি আমাকে টাক বানিয়ে দিবে! পরে তো তোমার ই সমস্যা হবে অপরুপ! লোকে তোমাকে টাক ব্যাটার বউ ডাকবে।”
রুপ এতক্ষণে মুখ খুলল। রাগে হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়ে নাদিফ মাথার কেশব শক্ত করে টেনে ধরে নাদিফের মুখের কাছাকাছি নিজের মুখ নিয়ে এসে উওর দিলো,
” আপনার বউ হতে আমার বয়েই গেছে! আপনার জন্য মায়া আছে তো। তাছাড়া একজন বেকার অকর্মঠ পুরুষকে বিয়ে করবো না আমি।”

নাদিফ যেন এবার রেগে গিয়েছে রুপের কথায়। এক হাতে রুপের গাল শক্ত করে চেপে ধরে বলল,

” এভাবে না রাগালে হতো না অপরুপ! তুমি কি ভেবেছো, এই নিবরাজ নাদিফ অকর্মঠ! তুমি তো এই নাদিফকে এখনও চিনতেই পারো নি। চিনবেই বা কি করে, কখনও তো ভালোই বাসো নি। আমার মতো যদি ভালোবাসতে তবে বুঝতে।”

রুপ অপরাধের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নাদিফের পানে। রুপের এভাবে বলা ঠিক হয়নি কিন্তু রাগের বশে বলে ফেলেছে। রুপের চোখে পানি চলে এসেছে। কয়েকফোটা পানি নাদিফের মুখশ্রীতে ঝড়েও পরেছে।

” কেঁদো না অপরুপ! আমি রাগ করিনি। মাথায় হাত বুলিয়ে দাও, ঘুমাবো। আগামীকাল থেকে কাজের সন্ধানে নামবো।”
————

আয়েশা আজাদ প্রেম নীড়ে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাসে কোথাও বসেনি। এটা সেটা কাজ করেই যাচ্ছে। ফাহিমা বাসে বমি করতে করতে দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ছোট ছেলের যেন কি হয়েছে। মুখ ভার করে ছাদে বসে আছে। আয়েশা আজাদের এমন ব্যস্ততা দেখে রুপ এগিয়ে আসে সাহায্য করতে।

” ভালো করেছিস মা। একা সবকিছু গোছগাছ করতে হিমশিম খাচ্ছিলাম।”
রুপ মুচকি হাসে আয়েশা আজাদের কথায়। পরক্ষণে কিছু ভেবে আয়েশা আজাদকে প্রশ্ন করল,

” আমরা এভাবে হঠাৎ চলে এসেছি কেন? সবকিছু তো ঠিকঠাক ছিলো।”

আয়েশা আজাদের মুখের হাসি মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায়। রুপের প্রশ্নের প্রত্যুওর দেয় দীর্ঘশ্বাস ফেলে,

” মায়ার জন্য চলে এসেছি।”

” কেন?”

” তোমরা শেষ রাতে যখন যার যার ঘরে চলে আসো, মায়া তখন নাদিফের ঘরে শুয়ে ছিলো বিবস্ত্র অবস্থায়। নাদিফ ঘরে ঢোকা মাত্রই মায়াকে এই অবস্থায় দেখে সরাসরি আমার কাছে চলে আসে। আমাকে পুরো ঘটনা বলার পর আমি মায়ার কাছে যাই। বোকা মায়া তখন ঘুমে ছিলো। খারাপ নিয়তে এসে নিজেই ধরা পড়ে গেলো। সজাগ হয়ে আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভয় পেয়ে যায়। উঁকিঝুঁকি মেরে কাউখে খুঁজতে থাকে। আমি তখন এতোটাই রেগে ছিলাম যে, মায়ার গিলে পর পর দুইটা থাপ্পড় বসাই। মায়া তখন কান্না করতে বলে, সে নাদিফের বউ হতে এমন নিকৃষ্ট কাজ করতেও ভয় পাই নি। নাদিফের কানে কথাটা পৌঁছাতেই নাদিফ চলে আসার জন্য পাগলামি শুরু করে। মায়াকে দুই চারটে কথাও শুনিয়ে আসে। তোমাকে ডেকে তৈরি হতে বলে।”

রুপ স্তব্ধ, নির্বিকার। ছোট একটা মেয়ের মাথায় এতো কু-বুদ্ধি আসে কোথায় থেকে ভাবছে রুপ! আয়েশা আজাদ আর কিছু বললেন না। লেবু শরবত বানিয়ে ফাহিমার ঘরের দিকে চলে গেলো।

রুপের মনে নাদিফের জন্য আরো সম্মান জন্মালো। রুপ মনে মনে কিছু ভেবে বাঁকা হাসলো। আপনমনে বিড়বিড় করে বলল,

” সময় এসেছে মনের কথা জানাবার,
দুই মনের কথন আদান-প্রদান করবার।
অপেক্ষার অবসান হবে যে এবার,
ভালোবাসি বলবো শতবার।”

চলবে……..