প্রেমপ্রবাহে বিষবৃষ্টি পর্ব-১৭

0
16

#প্রেমপ্রবাহে_বিষবৃষ্টি (১৭ তম পর্ব)
#মাইশা_জান্নাত_নূরা (লেখিকা)

দুপুরের পর ঘুম ভাঙলো রক্তিম। মাথাটা চেপে ধরে শোয়া থেকে উঠে বসলে নিজেকে ড্রয়িংরুমের পাশের রুমে বিছানায় আবিষ্কার করলো। কিয়ৎক্ষণ থম মে*রে বসে থাকলো সে। আস্তে আস্তে সবকিছুই স্মরণ হচ্ছে ওর। শুধু স্মরণ হচ্ছে না এখানে সে এলো কিভাবে আর পরনের পোশাকই বা পরিবর্তন হলো কিভাবে! রক্তিম আলতো হেসে বললো….

—“সুইটহার্ট! মুখে মুখে তুমি যতোই বলো আমায় তুমি ঘৃ*ণা করো কিন্তু মনে মনে ঠিকই ভালোবেসে ফেলেছো। নয়তো আমাকে ড্রয়িংরুমেই পরে থাকতে দিতে। কষ্ট করে এই রুমে এনে শুইয়ে দিতে না। আমার কাপড় পরিবর্তন করিয়ে দি…..!”

—“মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে অবাস্তব স্বপ্ন দেখে আর আপনি জেগে জেগে সম্পূর্ণ সজ্ঞানে থেকে অবাস্তব স্বপ্ন দেখেন। বাহ!”

মেহেরের কন্ঠ কানে পড়তেই রক্তিম দরজার দিকে তাকালো। মেহের বুকের সাথে দু’হাত ভাঁজ করে দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওরই দিকে দৃষ্টি স্থির করে ঠোঁটে তা*চ্ছি*ল্যে*র হাসি ফুটিয়ে। রক্তিম বিছানা থেকে নেমে মেহেরের দিকে খানিকটা এগিয়ে এসে দাঁড়িয়ে বললো….

—“তুমি বলতে চাইছো তুমি আমায় এই ঘরে আনো নি। আমার পোশাক পরিবর্তন করে দাও নি তাই তো?”

—“হ্যা, আমি-ই আপনাকে এনেছি এই ঘরে আর পোশাক ও আমি-ই পরিবর্তন করে দিয়েছে কিন্তু সবটাই করেছি কেবল নিজের বিবেক বোধ ও মনুষ্যত্ব বোধ থেকে। কারণ শ*ত্রু পক্ষের দূর্বলতার শি*কা*র আমি মেহেরুন্নিসা নেই না।”

—“হুম ঠিক। চাইলেই তুমি আমার বুক চিঁ*ড়ে কলিজাটা বের করে আমার ব*ন্দী প্রাণ পাখিটাকে মুক্তি দিতে পারতে। কিন্তু তুমি তা দাও নি।”

—“আমি না নিজে কোনো অ*ন্যায় করি আর না কারোর অ*ন্যা*য়-কে প্রশ্রয় দেই।”

—“মিষ্টি কথা বলতে জানো না তুমি? জন্মের পর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি তোমার মুখে মধু দিতে ভুলে গিয়েছিলো? নাকি ইচ্ছে করেই ভবিষ্যৎ জামাইয়ের জীবনটাকে ত্য*না-ন্য*ছ*ড়া বানাতে নিমপাতা আর করল্লার রস মুখে দিয়ে দিয়েছিলো? কোনটা?”

—“সেটা তাদের থেকে গিয়েই শুনে নিন।”

রক্তিম মেহেরের দিকে এগোতে নিলে মেহের দু’টো একটা খামবন্দী চিঠি রক্তিমের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো….

—“দু’টো অপশন আপনার দিকে বাড়িয়ে দিলাম। এবার আপনার বিষয় আপনি কি করবেন।”

রক্তিম খাম দু’টো হাতে নিয়ে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মেহেরের দিকে। কিছু জিজ্ঞেস করতে নিবে মেহেরকে কিন্তু সে কোনো সুযোগ দিলো না। দ্রুত কদমে স্থান ত্যগ করলো। রক্তিম আর মেহেরকে পিছু ডাকলো না।

রক্তিম ওর দু’হাতে থাকা খাম দু’টোর উপরিভাগ দেখলো একটু ভালো ভাবে। একটা খামের উপর লাল কালি দিয়ে ক্র*স চিহ্ন আঁকা আর অপর আরেকটা খামের উপরিভাগে সবুজ কালি দিয়ে ডাবল টিক চিহ্ন দেওয়া। রক্তিম প্রথমে ক্রস চিহ্ন দেওয়া খামটা খুলতেই কিছু গোছালো কাগজ ভিতর থেকে বের করে আনলো। ছোট চিরকুটের মতো কাগজটা প্রথমে মেললো সে। সেখানে লেখা রয়েছে……

“আপনার পেশা, আমার ঘৃণা এই দু’য়ের দ্ব*ন্দ্ব আমাদের সম্পর্কটাকে সেই শুরু থেকে অ*ন্ধ*কারের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছে। আপনি হয়তো কাবিন নামায় আমাকে নিজ থেকে ডিভোর্সের অধিকার দেন নি। কিন্তু ইসলামি শরিয়ত এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের মতে একজন নারী যদি প্রমাণ করতে পারে যে, তার স্বামী অনবরত পা*প কাজের সাথে জড়িত থাকে! তাহলে সেই নারী উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে বিবাহ বি*চ্ছে*দ চাইতে পারে। আমি সেই আইনানুগ পথেই এগিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডিভোর্সের সঠিক প্রক্রিয়া সবই সম্পন্ন করেছি। এখন শুধু বাকি আছে দু’টি স্বাক্ষর। একটি আপনার ও একটি আমার। আপনি যদি চান তবে আপনার স্বাক্ষর করে দিন। এই সম্পর্ককে যে অন্ধকারের চাদর নিজ বাহুডোরে বন্দী করে নিয়েছে তা ভেদ করে যেনো কোনো আলো কখনও প্রবেশ করতে না পারে সব ফাঁক-ফোঁকড় আমি বন্ধ করে দিবো এবার। সমাপ্তি ঘটবে স্বামী-স্ত্রীর মতো পবিত্র ভালোবাসাময় সম্পর্কের জায়গায় একে-অপরকে টে*ক্কা দেওয়ার খেলা।”

এরপর রক্তিম ডি*ভো*র্সের জন্য তৈরি কৃত কাগজগুলোতে চোখ বুলালো। সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে সেখানে। রক্তিম আর মেহের দু’জনের সাক্ষর এই কাগজের সঠিক স্থান দু’টিতে পড়লে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের সত্যিই বি*চ্ছে*দ ঘটে যাবে। রক্তিম অপর খামটা অন্যহাতে ধরে রেখেছে আর ক্রস চিহ্ন ওয়ালা খামটা ও কাগজগুলো ছুঁ*ড়ে মা*র*লো মেঝের উপর। অতঃপর রক্তিম বিছানায় গিয়ে বসলো। শরীরের ভিতরটা কেমন হাঁসফাঁস করছে ওর। শান্তি অনুভব হচ্ছে না একটুও। শ্বাস নেওয়া ও ত্যগ করাও যেনো বি*র*ক্তি কর লাগছে এই মূহূর্তে রক্তিমের নিকট।

💥

কা*রা*গা*রে সাক্ষাৎ কক্ষের ভিতরে জেভিয়ান ও বাহিরে ওর বাবা জহির রায়হান দাঁড়িয়ে আছে। বাবা-ছেলে দু’জনের মাঝে লোহার গ্রিল প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জেভিয়ান এর মাথা নত করে রেখেছে। জহির শান্ত কন্ঠে বললেন….

—“তোমার সাথে দেখা করতে আসাটা আমার আর উচিত হবে না। জে*ল খানার মূল গেইট পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার পর পরিচিত মান্য-গন্য পুলিশ অফিসারদের সাথে সাক্ষাৎ হয়। কতোটা ল*জ্জা আর অ*সম্মান বোধ করছি আমি গত ৩ মাস ধরে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এখন বারংবার মনে হয় আমি একজন মানুষের নয় বরং একজন কু*লাং*গা*রে*র জন্ম দিয়েছি। যাকে নিজ হাতে তুলে মানুষ না বানিয়ে আরো জ*ঘ*ন্য বানিয়ে ফেলেছি। যার ফল আমায় বাকিটা জীবন ধুঁ*কে ধুঁ*কে পোহাতে হবে।”

জেভিয়ান বললো….
—“বাবা! আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও। আমি তোমার যোগ্য সন্তান হতে পারি নি। মানুষে পরিণত না হয়ে অ*মানুষে পরিণত হয়েছি। মেহেরকে বলিও পারলে আমায় যেনো ক্ষমা করে দেয় সে। আমার জন্য রক্তিমের মতো একজনের সাথে ওর জীবন জড়িয়ে গেলো। যার রেশ হয়তো ওকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। জবার কাছে তো ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না৷ ওর সাথে তো কম দূ*র্ব্য*বহার করি নি আমি। একজন যোগ্য বড় ভাই হতে পারি নি আমি। না মেহেরুন্নিসার আর না জবার। যখন তুমি ঐ জা*নো** লোকটার সাথে জবার বিয়ে ঠিক করেছিলে কেবল নিজের স্বা*র্থ হা*সি*ল হবে ভেবে তখন আমি তোমায় ই*ন্ধ*ন না দিয়ে বুঝাতে পারতাম এমনটা করো না জবার সাথে। কিন্তু আমি তা করি নি। আজ জবা এই দুনিয়াবি জীবন ত্য*গ করে চলে গিয়েছে যে না ফেরার দেশে অনেক আগেই তার জন্য কোনো না কোনো ভাবে আমি নিজেও দায়ী। এই জে*ল*খা*নায় প্রতিটা সেকেন্ড অতিক্রম হওয়ার সাথে সাথে আমায় আমার অতীতে করা প্রতিটা পা*প কর্ম, খা*রা*প কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। অনুশোচনার আ*গু*নে তী*লে তী*লে দ*গ্ধ হয়ে যাচ্ছি আমি বাবা। এখন আমার খুব মনে হয় যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না দিয়ে জর্জসাহেব আমাকে ফাঁ*সি*র সা*জা দিতেন তাহলেই সবথেকে ভালো হতো। এক নিমিষেই এই পা*পে ভরপুর জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে যেতাম।”

জহির কিয়ৎক্ষণ পূর্ব পর্যন্তও ভেবেছিলো জেভিয়ান হয়তো জে*লা*খা*না*তে আসার পরেও বদলাবে না। অ*মানুষেরা কি কখনও মানুষ হতে পারে! কিন্তু জেভিয়ানের মুখে এরূপ কথাগুলো শুনে জহিরের বুকের ভেতরটা কেমন মোঁ*চ*ড় দিয়ে উঠলো। তার ছেলে, চৌধুরী বংশের একমাত্র বংশধর যে বদলে গিয়েছে। মানুষে পরিণত হয়েছে অ*মানুষটা। এতো দেড়িতে কেনো হলো এমনটা! এখন যে আর করণীয় কিছুই নেই! জহিরের দু’চোখ ছলছল করছে। এক অসহায় বাবার কলিজা পুঁ*ড়*ছে আজ। একমাত্র ছেলে জে*ল*খা*না*য় বন্দী। যার মুক্তি অ*সম্ভব। বড় মেয়েটা মা*রা গিয়েছে তার নিজের দো*ষে। ছোট মেয়েটাও তার সাথে সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছে। জহিরের মন আজ নিজেকেই ধি*ক্কা*র জানাচ্ছে। ভিতরটা চিৎকার করে বলছে, বাবা হিসেবে সে ব্য*র্থ। চরম ব্য*র্থ। কিন্তু সে আসলে সফল কোন দিক দিয়ে? বাবা-স্বামী-পুরুষ সবদিক থেকেই তো ব্য*র্থ সে। কেবল অ*বৈধ ভাবে রোজগার করা কোটি কোটি টাকা ঝুলিতে ভরে আছে তার। এটাকে কি সফলতা বলে? কে ফুরাবে তার এই টাকাগুলো! তার অবর্তমানে এই টাকার ভার কে বহন করবে? জহির আশেপাশে চোখ বুলালে কেবল ধূ-ধূ মরুভূমির মতো শূন্য বালির পাহাড় দেখতে পারছে।

💥

রক্তিম ওর হাতে থাকা ২য় খামটা খুললো। সেখানে একটা প্রেগ্ন্যাসির কি*ট রাখা। কি*ট*টার উপর দু’টো লাল দাগ স্পষ্ট দেখতে পারছে রক্তিম। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে এই কি*ট*টা যে নারীর সে প্রেগন্যান্ট।রক্তিম আরো দেখলো ক্র*স খামটার মতো হলেও এই খামের ভিতরেও একটা চিঠি রাখা রয়েছে চিরকুট নয়। রক্তিমের হাত কাঁ*প*ছে। কারণটা সে উপলব্ধি করতে পারছে না। নিঃশ্বাস ভাড়ি হয়ে এসেছে। হৃদপিণ্ডের গতিও পা*ল্লা দিয়ে বেড়েছে কয়েক গুণ। রক্তিম চিঠিটা মেলে পড়তে শুরু করলো……

““রক্তিম, এই নামের মলিক যে লোকটা সে আমার গোছালো জীবনটাকে অ*গোছালো করে দেওয়া এক ভ*য়া*বহ ঝড়ের মতো। যাকে আমি আমার করে রাখতে না চাইলেও জগৎ এর সবকিছু আমার কানের কাছে এসে চি*ৎ*কার করে বলে, ‘তুমি মানো বা না মানো সে তোমার স্বামী। তোমার শরীরের ভিতর আরেকটা ছোট্ট হৃদপিন্ডের মালিকের অস্তিত্ব গড়ে উঠছে একটু একটু করে। যার ঠাঁই হয়েছে তোমার গর্ভে। জগৎ এর কাছে এখন তুমি তার মা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে আর সে তোমার সন্তান। তোমার অনাগত সন্তানের পিতা যেই রক্তিম তাকে তুমি আর কতো ঘৃ*ণা করবে! ঘৃ*ণার এই খেলায় এবার তোমার মস্তিষ্ক ক্লান্ত না হলেও মনটা বড্ড ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে।’ এই নিষ্পাপ প্রাণটার তো কোনো দো*ষ নেই বলুন! ওকে কিভাবে আপনার মতো করে ঘৃ*ণা করবো আমি! ওর যেমন একজন উপযুক্ত মা-য়ের প্রয়োজন তেমনই একজন উপযুক্ত বাবার-ও প্রয়োজন। আমি ওকে মা হিসেবে সবরকম আদর-শা*স*ন, ভালোবাসা-স্নেহ দিতে পারলেও ওর বাবার অ*ভাব পূরণ করতে পারবো না কখনও। আমি জানি এই পৃথিবীর বুকে সিংগেল মাদার এর অভাব নেই। বর্তমান যুগে এসে দাঁড়িয়ে একজন সন্তানের জন্য মা থাকার পাশাপাশি বাবা না থাকলেও চলবে এমন যুক্তি বহুজন দাঁড় করাতে পারবে আমার সামনে। কিন্তু সেই যুক্তি গুলোকে মেনে নিলেও আমাদের অনাগত সন্তানকে আপনাকে বাবা ডাকার হক থেকে বন্ঞ্চিত করতে চাই না আমি।

স্বামী! আমার স্বামী! আমার অনাগত সন্তানের বাবা! আমাদের দু’জনের কথা ভেবে কি এই পেশা থেকে নিজেকে সরিয়ে না যাবে না? পারবেন না ‘ক্রি*মি*না*ল লয়্যার’ এর পেশা ছেড়ে দিয়ে একটা সাধারণ, সৎ কোনো পেশাকে আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে? আপনার কাছে তো আমি ও আমার অনাগত সন্তান খুব বেশি কিছু চাইছি না! একটা সুন্দর সংসার হবে, যে সংসারের কর্তা-কর্তী একে-অপরের ভালোবাসায় মুগ্ধ থাকবে, আয় সীমিত হলেও সংসারটা সুখের হবে, সন্তান-সন্ততিদের সুশিক্ষা দিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। যারা তাদের বাবা-মায়ের পাশাপাশি গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে! এই স্বপ্ন তো সব নারীই দেখে বলেন! তবে আমার ক্ষেত্রে কেনো এর ব্যতিক্রম হবে? কেনো আমার জীবনকে নিয়ে আমি এমন স্বপ্ন দেখতে পারবো না?

লিখতে লিখতে ভিতর থেকে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসলো। আজ মনের ভিতরটা খুলে আপনাকে দেখালাম। জানি না আমি আপনাকে আদেও ভালোবাসি কিনা! এ’ও জানি না এই চিঠিটা পড়ার পর আপনি ঠিক কি পদক্ষেপ নিবেন। তবে আজ এই মেহেরুন্নিসা, আপনার বউ, আপনার সুইটহার্ট বড্ড আশার স্বপ্ন বুনেছে তার মনের সুঁই-সুতো দিয়ে। এখন আপনি তার স্বপ্নকে কে*টে-ছিঁ*ড়ে আ*স্তা*কুঁড়ে ছুঁ*ড়ে ফেলবেন নাকি আদর করে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে নিবেন তা কেবল আপনার নিজের উপর নির্ভর করছে।

আমি অপেক্ষায় থাকবো। ঠিকানাটায় একবার চোখ বুলাবেন। যদিও সময় উল্লেখ করি নি। তবুও দিলাম আজ সারাটাদিন আপনার জন্য। চাইলে আসতে পারেন…….!”

রক্তিমের দু’চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে অশ্রুরা ঝরে পড়ছে। তার প্রিয়তমা স্ত্রী তাকে ডাকছে আপন করে নেওয়ার জন্য। একদিকে তার পেশা অপরদিকে তার বউ ও অনাগত সন্তান। কোন দিকটা বেছে নিবে আজ সে?

#চলবে_ইনশাআল্লাহ…..