প্রেমমোহ পর্ব-১৮

0
439

#প্রেমমোহ
#ফারজানা_আফরোজ
#পর্ব_১৮

মাঝ রাতে ডান গালে কারো উষ্ণ ঠোঁটের নেশা মিশ্রিত স্পর্শে চমকে উঠলো শুভ্রতা। ডান পাশের গালে হাত ছোঁয়ালো সে। সে বুঝতে পারছে না সেকি স্বপ্ন দেখেছে নাকি কেউ এই রাতে তার রুমে আসছে। ভয়ে চোখ বুলালো চারপাশে হঠাৎ তার চোখে কালো একটা ছায়া পড়লো। ছায়াটা নিমিষেই বিলীন হয়ে গেলো। শুভ্রতা ভয়ে বিছানার চাদর টানতে লাগলো। এমনিতে ভুত সে বিশ্বাস করে না কিন্তু রাত হলেই বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা কখনোই মনে থাকে না। পাতলা কম্বল দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে মাথাও কম্বলের ভেতর মুড়িয়ে শুয়ে পরলো। মনে মনে বলছে, কম্বলের নিচে তো আর ভুত আসবে না।

অন্যদিকে স্পন্দন আলমারির পিছনে দাঁড়িয়ে শুভ্রতার কার্যকলাপ দেখে যাচ্ছে। স্পন্দন ভাবেনি শুভ্রতা যে রাতে ভীতু। ভীষণ হাসি পাচ্ছে তার যাকে বলে মারাত্মক হাসি। কিন্তু সে হাসছে না। হাসির শব্দ যদি শুভ্রতার কানে যায় তাহলে তাকে ভয়াবহ অপমান করবে এই মেয়ে। কিন্তু স্পন্দনের মন বলছে আরেকবার শুভ্রতার কাছে যেতে। খুব কাছ থেকে শুভ্রতাকে দেখতে ইচ্ছা করছে তার। রাতে ঘুম থেকে উঠে শুভ্রতাকে দেখার নেশা জেগে উঠে স্পন্দনের। আশ পাশ না ভেবেই সে চলে আসে শুভ্রতার রুমে। শুভ্রতা রুম খোলাই রেখেছে, প্রথম রাগ হলেও পরে মুচকি হাসলো সে কারণ শুভ্রতার কারণেই তো সে রুমে আসতে পেরেছে। ডিম লাইটের আলোতে শুভ্রতার মুখ আবছা দেখা যাচ্ছিল। তাই শুভ্রতার একদম কাছে এসে বসলো সে। এক ধ্যানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর তার বাজে মন বলতে লাগলো,

–” স্পন্দন শুভ্রতা ঘুমাচ্ছে এই ফাঁকে ওকে আরেকটি উপলব্ধি করতে পারিস সে কিন্তু বুঝবে না।”

বেশ কিছুক্ষন মনের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে মন জিতলো। নেশাগ্রস্ত চোখ জোড়া শুভ্রতার দিকে তাকিয়ে থেকে ঠোঁট জোড়া শুভ্রতার গালে স্পর্শ করতেই উঠে পড়লো শুভ্রতা। এক মিনিট সময় নষ্ট না করে সে লুকিয়ে পড়লো আলমারির পিছনে। এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মনকে বকছে কেন মন এত বাজে হলো। সে বাজে লোক এমনিতেই কিন্তু এত বাজে তো ছিল না। মুখে হাত দিয়ে শ্বাস ছেড়ে চুপিচুপি রুম থেকে বের হয়ে পড়ল স্পন্দন।

ভোর সকালে,

সকাল ছয়টায় বাস ছাড়বে। শুভ্রতা তিনদিনের জন্য যাবতীয় জিনিস রাতে প্যাক করে রেখেছিল। সকালে খাবার দাবারের মামলা শেষ করে শুভ্রতা সিঁড়ি বেয়ে সাকিবের রুমে গেলো। স্পন্দন নিজের রুম থেকে বের হতেই দেখলো শুভ্রতা যাচ্ছে তার বড় ভাইয়ের রুমে। রাগে গর্জে উঠলো সে। চিৎকার দিতে গিয়েও থেমে গেল। আজ শুভ্রতাকে শাস্তি দিবে টমি। রুমের ভিতরে গিয়ে টমিকে বুঝাতে লাগলো কি করতে হবে।

শুভ্রতা সাকিবের রুমে আসতেই দেখলো বেচারা কান্না করে চোখ মুখ লাল করে ফেলেছে। রাতে নীলুর ফোনও সে ধরেনি কান্নার জন্য। নীলুর ফোন অনেক আসাতে শেষে নিজেই ফোন বন্ধ করে রেখেছে। সকালে শুভ্রতাকে ফোন দিয়ে বলেছিল,

–” বোন, যেহেতু বাসার সবাই ঘুমাবে সকালে তুমি কিন্তু খাবার খেয়ে সোজা আমার রুমে আসবে। তোমার সাথে কথা আছে আমার।”

সাকিবের ম্যাসেজ দেখে শুভ্রতা ঠিকমত খেতে পারলো না। মিসেস সাবিনা বেগম জানতেন সকালে শুভ্রতা চলে যাবে তাই উনি সকালেই শুভ্রতার জন্য নিজ হাতে রান্না করেছেন। শুভ্রতা যখন খাবার খেয়ে সাকিবের রুমের দিকে যাচ্ছিল তা দেখে খুব খুশি হলেন উনি।

–” ভাইয়া এইভাবে বাচ্চাদের মতন কেউ কান্না করে? এখন ঘুরতে পারেননি তো কি হয়েছে বিয়ের পর ঘুরবেন বা এর আগেই কিছু একটা ব্যাবস্থা করবো।”

সাকিব কান্না মাখা কন্ঠে বলল,

–” নীলুর খেয়াল রেখো। আমি ওর ফোন ধরেননি জানি ভীষণ রেগে আছে আমার প্রতি। আজ সারাদিন ওর ফোন ধরতে পারবো না। লজ্জা লাগছে আমার। একজন ছেলে হয়েও আমি অসহায়। ওর খেয়াল রেখো। ওকে বুঝিয়ে বলবে কেমন? আমি জানি ও তোমার কথা বিশ্বাস করবে ভুল বুঝবে না আমাকে। নিজেদের খেয়াল রেখো।”

টেবিলের পাশ থেকে ছোট্ট একটা বক্স শুভ্রতার হাতে দিয়ে আবারো বলল,

–” নীলুকে দিও। ওর জন্য স্পেশাল গিফট আমার।”

শুভ্রতা মুখ দিয়ে শুধু হুম বলল। ওর খুব খারাপ লাগছে সাকিবের জন্য। কেন যে বড় আব্বু এই কাজটা করলো। মন খারাপ নিয়ে সাকিবের রুম থেকে বের হয়ে আসলো। স্পন্দনের রুম পার হবার সময়ে কারো হেচকা টানে একদম রুমের ভিতরে চলে গেল। রাগী চোখ নিয়ে স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে বলল,

–” এইসব কি হচ্ছে? আমার হাত যদি ছিঁড়ে যেত তখন কি হতো?”

–” তিন রাস্তার মোড়ে একটা ভাঙ্গা থালি দিয়ে বসিয়ে আসতাম।”

–” যত্তসব। বাজে লোক আপনি ভীষণ বাজে। আপনাকে ইচ্ছা করছে খুন করতে।”

শুভ্রতার কথা শোনে শুভ্রতার হাতের দিকে তাকালো। গিফটের বক্স দেখে আরো রাগ বেড়ে গেলো তার। চিৎকার করে বলতে লাগল,

–” টমি বাবা কোথায় তুমি?”

বেলকনি থেকে টমি দৌঁড়ে আসলো। শুভ্রতার কাছে এসে ঘেউঘেউ করতে লাগলো। শুভ্রতা টমিকে দেখে চিৎকার করে যাচ্ছে। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে পুরো রুমে দৌঁড়াতে লাগলো। শুভ্রতার দৌঁড়ের সাথে তাল মিলিয়ে টমিও দৌঁড়াতে লাগলো। স্পন্দন খাটের উপর বসে দুজনের দৌঁড় উপভোগ করতে লাগল। সাথে তো হাসি ফ্রী।

শুভ্রতা দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে স্পন্দনের পায়ের সাথে উষ্টা খেয়ে স্পন্দনের উপরে পরে গেলো। স্পন্দনও ভাবেনি এমন কিছু হবে। সেও তাল সামলাতে না পেরে পরে গেলো। শুভ্রতার চুল এসে পড়ছে স্পন্দনের মুখের উপর। শুভ্রতা দৌড়ানোর জন্য এখনও হাপাচ্ছে। টমি ক্লান্ত হয়ে সোফায় উঠে শুয়ে পড়লো।

শুভ্রতা উঠতে গিয়ে আবারো পরে গেলো। স্পন্দনের মাথায় এইবার তার মাথা লাগলো। ব্যাথায় শুভ্রতা কুঁকড়ে গিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো,

–” মানুষটা যেমন বাজে তার মাথাও তেমন। এত শক্ত মানুষের মাথা হয়। আচ্ছা আপনার মাথায় কি লোহা কিংবা পাথর দিয়ে তৈরি নাকি? ইশ আমার মাথাটা ভেঙে দিয়েছে আল্লাহ জানে রক্ত বের হচ্ছে নাকি।”

শুভ্রতা উঠে দাঁড়ালো। স্পন্দন নিজের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে গরম চোখে শুভ্রতার দিকে তাকিয়ে বলল,

–” এহহ মনে হয় নিজের মাথা তোলা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আমার মাথা ফাটিয়ে এখন আমাকেই দোষারোপ করছে।”

–” দোষ আপনারই। টমি চমিকে ডাকতে গেলেন কেন? আপনিও যেমন বজ্জাত, জল্লাদ, আপনার টমিও সেম।”

চমি নাম শোনে সোফা থেকেই টমি ঘেউঘেউ করলো। শুভ্রতা ভয়ে আবারো বলল,

–” না বাবা আপনাকে কিছু বলছি না। প্লিজ চুপচাপ শুয়ে থাকেন।”

টমির কান্ড দেখে আর শুভ্রতার কথা শোনে স্পন্দন মুখ অন্যদিকে ফিরে হাসতে লাগলো। শুভ্রতা স্পন্দনের মুখ না দেখেই আস্তে করে নিজেই আবার মাথা ঠুকালো স্পন্দনের মাথায়। স্পন্দন অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো,

–” এইটা কি হলো?”

–” আশ্চর্য। আপনার জন্য কি মাথায় শিং বানাবো নাকি। শুনেছি মাথা মাথা বারী খেলে দ্বিতীয় বার নিজ ইচ্ছাতেই বারী দিতে হয় নয়তো শিং গজাবে।”

শুভ্রতা স্পন্দনকে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বের হয়ে পড়লো। স্পন্দন ঠোঁটের কোণায় হাসি রেখে টমির দিকে তাকিয়ে বলল,

–” তিনদিন তোকে ছাড়া থাকবে হবে বড্ড মিস করবো। শালা অন্তুকে বলছি তোকে নিয়ে যাবার কথা কিন্তু অন্তু বলল এলাউ না। দেখছিস কি খবিশ বন্ধু আমার। শোন, তোকে দেখাশোনা দিয়া করবে খবরদার আমার বোনকে ভয় দেখাবি না পরে কিন্তু তোর কপালে খাবার জুটবে না। নিজের ভালো চাইলে চুপচাপ ভদ্র শান্ত ছেলেদের মত থাকবি ওকে?”

–” ঘেউঘেউ।”

–” এইতো আমার ভালো ছেলে। তোকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে আমার। একেই বলে বাপকা বেটা সেপাইকা ঘোড়া।”

সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রতা এবং আসমানী। চোখে তাদের রাজ্যর বিরক্তি। নীলুকে ফোন দিয়েছে , এখনও এই মেয়ে রাস্তায়। বাস ছাড়বে আর বিশ মিনিট পর কিন্তু এই মেয়ের আসার কোনো খবর নেই। বিরক্ত হয়ে দুইজন গিয়ে বসলো বাসে।

বাস ছাড়তে আর পাঁচ মিনিট এখনও কোনো খবর নেই নীলুর। ফোন বন্ধ করে রেখেছে। শুভ্রতা এইবার রাগী চোখে তাকালো আসুর দিকে। আসু ভয়ে বলতে লাগলো,

–” আমিও তো বুঝতে পারছি না কি হলো মেয়েটার এখনও আসছে না কেন। ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ও কি আসবে না?”

ড্রাইবার এসে তাড়া দিচ্ছে। অন্তু আসুর দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল,

–” আমার সাথে বসবে আসু?”

অন্তুর এই বাক্য শোনে আসু তো শেষ। বরফের মত গলতে লাগলো সে। শুভ্রতার কাছ থেকে সরে গিয়ে ঠিক পাশ বরাবর অন্তর সাথে বসলো। শুভ্রতা চোখ পাকিয়ে তাকাতেই আসু আদুরে গলায় বলল,

–” এত সুন্দর করে কেউ বললে তাকে না করতে নেই শুভ। তুই চিন্তা করিস না নীলু চলে আসবে। তাছাড়া তো আমরা পাশাপাশিই।”

শুভ্রতা রাগে জানালার দিকে ফিরে বসলো হঠাৎ খেয়াল করলো ভারী কিছু একটা ধক করে তার পাশে বসলো। ভয়ে তাকাতেই স্পন্দনকে দেখে চমকে উঠলো,

–” এই এই আপনি এইখানে? আমরা ফ্যামিলি ট্যুরে যাচ্ছি না স্টাডি ট্যুরে যাচ্ছি ওকে।”

–” কে বলল আমি ফ্যামিলি ট্যুরে যাচ্ছি? আমিও তো স্টাডি ট্যুরে যাচ্ছি। তুমি কি ভুলে গেছো এক সময় আমিও এই ভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলাম।”

–” বুঝছি। এখন উঠেন আমার ফ্রেন্ড আসবে।”

–” আজব তো। দেখছো না বাস ছেড়ে দিয়েছে। তাছাড়া এই বাসে আর কোনো সিট নেই। সো চুপচাপ বসো।”

বাধ্য হয়ে বসলো শুভ্রতা। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যেহেতু স্পন্দনকে অনেকে চিনে ভার্সিটির ফেমাস বয় ছিল সে হিসেবে তার খাতির যত্নের অভাব হলো না।শুভ্রতা খেয়াল করলো স্পন্দন তার পায়ে পা চাপা দিয়ে ধরেছে। অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে স্পন্দনের উপর তাকাতেই ভ্যাবলাকান্তের মত হেসে পা সরালো। শুভ্রতা শুধু একটা বাক্যই বলল,

–” বাজে লোক একটা।”

অন্তু সেই কখন থেকে বলছে একটা গান গাওয়ার জন্য কিন্তু স্পন্দন গাইছে না। স্পন্দনের এই ভাব সহ্য হলো না শুভ্রতার। বুক বাঁকিয়ে বলতে লাগলো,

–” পারে নাকি গান এই লোক? শুধু তো মানুষকে কষ্ট দিতে জানে। জল্লাদ লোক।”

শুভ্রতার কথা শোনে স্পন্দন ভাব নিয়ে বলল,

–” গান শুনতে চাও ভালো কথা। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লা বলে সোজা ভাবেই বললেই তো হয়। এই অন্তু পিছনে একটি ছেলে গিটার আনছে স্টার্ট কর।”

অন্তু গিটারে সুর লাগলো, স্পন্দন শুভ্রতার দিকে তাকিয়ে গাইতে লাগলো,

কথা হবে দেখা হবে,
প্রেমে প্রেমে মেলা হবে
কাছে আসা আসি আর হবে না
চোখে চোখে কথা হবে,
ঠোঁটে ঠোঁটে নাড়া দেবে
ভালবাসা-বাসি আর হবে না

শত রাত জাগা হবে,
থালে ভাত জমা রবে
খাওয়া দাওয়া কিছু মজা হবে না
হুট করে ফিরে এসে,
লুট করে নিয়ে যাবে
এই মন ভেঙে যাবে জানো না

আমার এই বাজে স্বভাব
কোনোদিন যাবেনা
আমার এই বাজে স্বভাব
কোনোদিন যাবেনা

ভুলভাল ভালবাসি,
কান্নায় কাছে আসি
ঘৃণা হয়ে চলে যাই থাকি না
কথা বলি একাএকা,
সেধে এসে খেয়ে ছ্যাঁকা
কেনো গাল দাও আবার বুঝি না

খুব কালো কোনো কোণে,
গান শোনাবো গোপনে
দেখো যেনো আর কেউ শোনে না
গান গেয়ে চলে যাবো,
বদনাম হয়ে যাবো
সুনাম তোমার হবে হোক না

আমার এই বাজে স্বভাব
কোনোদিন যাবেনা
আমার এই বাজে স্বভাব
কোনোদিন যাবেনা

যদি তুমি ভালোবাসো,
ভালো করে ভেবে এসো
খেলে ধরা কোনো খানে রবে না
আমি ছুঁয়ে দিলে পরে,
অকালেই যাবে ঝরে
গলে যাবে যে বরফ গলে না

আমি গলা বেচে খাবো,
কানের আশেপাশে রবো
ঠোঁটে ঠোঁটে রেখে কথা হবে না
কারো একদিন হবো,
কারো একরাত হবো
এর বেশি কারো রুচি হবে না

আমার এই বাজে স্বভাব
কোনোদিন যাবেনা
আমার এই বাজে স্বভাব
কোনোদিন যাবেনা

কথা হবে দেখা হবে,
প্রেমে প্রেমে মেলা হবে
কাছে আসা-আসি আর হবে না
চোখে চোখে কথা হবে,
ঠোঁটে ঠোঁটে নাড়া দেবে
ভালবাসা-বাসি আর হবে না

শত রাত জাগা হবে,
থালে ভাত জমা রবে
খাওয়া দাওয়া কিছু মজা হবে না
হুট করে ফিরে এসে,
লুট করে নিয়ে যাবে
এই মন ভেঙে যাবে জানো না

আমার এই বাজে স্বভাব
কোনোদিন যাবেনা
আমার এই বাজে স্বভাব
কোনোদিন যাবেনা

চলবে,

বানান ভুল ক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।