প্রেমের মরা জলে ডুবে পর্ব-১৮

0
307

#প্রেমের_মরা_জলে_ডুবে

#তানিয়া

পর্ব:১৮

.তিমির বেডের ওপর মুখ ভার করে বসে আছে।কিছুটা দূরে শুভা অসহায় মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিমিরের চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে সে ভয়াবহভাবে রেগে আছে।রেগে থাকারই কথা, শুভা আর শুভ্র যেভাবে তার সাথে চিট করেছে এরপরও যে শুভা তিমিরের সামনে সুস্থ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে তা বা কম কীসে?

শুভা তৈরি হয়ে তিমিরকে ডাকতে তিমির গোমরা মুখে এসে দাড়ালো।তিমির এখনো তৈরি হয় নি দেখে শুভা বিরক্ত হলো,

কিরে এখনো এভাবে ঘুরছিস, ভাই য়া কি বলেছে শুনিস নি,তাড়াতাড়ি তৈরি হো বের হবো তো?

শুভা তুই কি কালা হয়ে গেছিস, একবার বলেছি যাব না তাহলে আবার কেন?

তিমির তুই এমন করছিস কেনো?ভাই য়া আমাদের নিয়ে একটু বেড়াতে যেতে চাইছে আর তুই কিনা বারবার বাধা দিচ্ছিস?তুই একসময় ভাই য়ার সাথে ঘুরতে , কথা বলতে আনন্দিত হতি সেই তুই এখন ভাই য়ার সাথে এমন আচরণ করিস কেনো তিমির?

হাতের কাছে সব পেলে সস্তা লাগে।তোর ভাই আমাকে সস্তা মনে করে তার ধারণা আমি তাকে ভালোবাসি বলেই হয়তো তার সবকিছুতে তাল দিব।তাই তো সে আমাকে এতটুকু গুরুত্ব দেয় না। এখন দিচ্ছে কেনো দিচ্ছে তাও দয়া করে দিচ্ছে। সে মনে করছে আমার প্রতি তার ভালোবাসা না থাকলেও তার করা দয়া মেনে নিয়ে আমি খুশী হবো।শোন শুভা তোর ভাই যখন আমার ভালোবাসা জানতো না তখন তাকে ভালোবাসা,কাছে পাওয়া তার সাথে থাকার আবদার করেছি প্রবল কিন্তু যখন তাকে নিজের সবটা জানালাম তখন মনে হলো সে আমাকে ভিন্ন চোখে দেখছে যে নজরটা আমাকে বারবার দগ্ধ করছে।তারচেয়ে দূরে থাকা ভালো।আর এতদিন তো আমার প্রতি করা অন্যায়গুলোতে সহানুভূতি ছিল না তাহলে আমাকে নিয়ে তার এ দরদের কারণ কি?যাই হোক এতদিন অনেক মজা করেছি৷ হেয়ালিপনা করেছি, সব কষ্ট মেনে নিয়ে তার সঙ্গ পাওয়ার আশায় থেকেছি।এখন মনে হচ্ছে বড্ড সস্তা হয়ে গেছিলাম।আত্মসম্মান পুরোপুরি নষ্ট করলাম।এবার অন্তত যা সম্মান আছে তা নিয়ে থাকি।তোর ভাইকে আর বিরক্ত করবো না।আর হ্যাঁ তুই যা, ভাই কে নিয়ে তো কোথাও যেতে পারিস না এখন গিয়ে ঘুরে আয়।আমাকে টানবি না।

তিমির কথা শেষ করে ওয়শরুমে কাপড় নিয়ে ঢুকলো।টিউশনের জন্য তৈরি হতে হবে।শুভা একমন কষ্ট নিয়ে ভাইয়ের রুমে গেলো।শুভ্র শুভার গম্ভীর মুখ দেখে বুঝলো তিমিরের সাথে কিছু হয়েছে। শুভা শুভ্রকে সব জানাতে সে রেগে গেলো। মুষ্টিবদ্ধ হাত করে কন্ট্রোল করলো রাগ।তবে তার মাথায় একটা সূক্ষ্ম বুদ্ধি এলো।শুভাকে গিয়ে গাড়িতে বসতে বললো।শুভা বুঝলো না ভাই য়া তিমিরের বিষয়টা এত হালকা করে নিলো কীভাবে তবুও সে চুপ হয়ে চলে গেলো।গাড়িতে বসে শুভ্র শুভা অপেক্ষা করছিল।তিমিরকে বাসা থেকে বের হতে দেখে শুভা বললো,

তিমির তুই কি সত্যি যাবি না?

না, শক্ত কণ্ঠে জবাব দিলো তিমির।
শুভা মুখ কালো করে ফেললো।

আচ্ছা বাদ দে না গেলে না যাবি। উঠে বোস তোকে টিউশনে নামিয়ে দিয়ে আমরা চলে যাব

তিমির উঠতে চাইলো না কারণ উঠতে হলে তাকে শুভ্রর পাশে বসতে হবে যেটা তিমির চায় না কিন্তু শুভার কালো মুখ দেখে তার মায়া লাগলো তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিমির শুভার পাশে উঠে বসলো।শুভ্র ঠোঁট চোখ কুচকে গাড়ি স্টার্ট দিলো।কিন্তু তিমিরের রাগ উঠলো তখন যখন দেখলো তার টিউশনের পথ ফেলে শুভ্র গাড়ি অন্য ্দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রেগে গিয়ে তিমির গাড়িতে চিল্লানজ দিলো,

কি করছেন কি আপনি, গাড়ি থামান। অলরেডি আপনি রাস্তা ফেলে এসেছেন?

রাস্তা তো রাস্তার জায়গায় আছে আমি রাস্তা ফেলে আসিনি বরং আমার গাড়ির স্পিড বেড়ে গেছে এবং সেটা আমার হাতের নাগালের বাইরে।নুহাশ পল্লিতে গেলেই হয়তো গাড়ি থামবে এর আগে না।তাই চুপ করে ভালো মেয়ের মতো বসে থাকো

আমি বুঝতে পেরেছি আপনারা ভাই বোন ইচ্ছে করে এটা করেছেন।শুভা তোর কাছ থেকে এটা অন্তত আশা করিনি।ভাই য়ের সাথে জোট করে তুই ও এমন করলি?

সরি আমার কোনো দোষ নেই। ভাই য়া আমাকে বলেছে তোকে গাড়িতে তুলতে তারপর কি করবে সেটা ভাই য়া জানতো আমাকে বলে নি তাছাড়া এমন করছিস কেনো,সেখানে বেড়াতে গেলে মজা হবে।

রাখ তোর মজা কু*ত্তী।তুই কখনো কিছু জানিস না তবে ঠিকই ভাইকে সাহায্য করিস।এই যে এই আপনাকে বলছি গাড়ি থামান নাহলে লাফ দিবো আমি।

লাফ দিলে তুমি কিন্তু টিউশনে যেতে পারবে না কারণ আমি অনেকদূর চলে এসেছি।তাছাড়া লাফ দিলে হাত পা ভাঙবে তাতে টিউশনে আরো গ্যাপ পড়বে তারচেয়ে একদিনের গ্যাপটা মেনে নাও।তাছাড়া আমি থাকতে তুমি আমার বোনে বকা দাও কোন সাহসে।একে তো আমি তোমার স্যার তার ওপর..

শুভ্র আর বললো না।আয়নায় চোখ দিতে দেখে তিমির সরু চোখে তাকিয়ে আছে। শুভ্রর চোখ হাসলো তিমির চোখে রাগ নিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।শুভ্রর চোখে চোখ রাখতে ভয় পাচ্ছে। খুব ভয়ানক এ চোখ। তিমিরের মনে জন্ম নেওয়া রাগটা এক নিমিষে গলিয়ে ফেলবে চোখ জোড়া।সে রাগ কমাতে চায় না।

হোটেলে এসে হাত মুখ দিয়ে তিমির বেডে বসলো যে আর নড়চড় নেই। এরমধ্যে হোটেল বয় সন্ধ্যার নাশতা দিয়ে গেছে কিন্তু তিমির খায় নি।তিমির না খাওয়াতে শুভাও খায় নি।তিমির শক্ত চেহারা নিয়ে বসে আছে।শুভ্র রুমে এসে দেখে তিমির আর শুভা দুজন দুদিকে তাদের নাশতা পড়ে আছে।

কিরে শুভা এখনো খাস নি।একটু পর বের হব।আজকে পূর্ণিমা, নুহাশপল্লী আজ তার সমগ্র সৌন্দর্যতা নিয়ে সাজবে।দেরী হলে দেখা মিস যাবে।

ভাই য়া আমি কি করবো তিমিরই তো জেদ ধরে বসে আছে। না খাচ্ছে না নড়ছে।

তুই তোরটা খা।

কথাটা বলে শুভ্র নিজে খাবার নিয়ে তিমিরের কাছে গিয়ে বসলো।এক চামচ নিয়ে তিমিরের কাছে নিতে তিমির রাগান্বিত চোখ দিয়ে তাকালো

খাব না বলেছি একবার তাহলে কেনো বিরক্ত করছেন?

তুমি খাবে না সেটা জানি তো কিন্তু না খেলে এ খাবার নষ্ট হবে।তাছাড়া পে করা হয়েছে খাবারের জন্য এখন যদি খাবারটা না খাও তাহলে খাবারও নষ্ট টাকাও পানিতে।ভালো হবে বিষয়টা?

তাহলে আপনি খেয়ে নিন।সবকিছু যখন হিসাব নিয়ে দেখেন তাহলে খাবারটা খেয়ে টাকা আর খাবার দুটোই বাঁচান।

না আমি খেয়েছি।তাই অযথা পেটকেও কষ্ট দিতে পারব না।বরং তুমি খাবারটা খেয়ে তুমি টাকা আর খাবার তিনটাকে বাঁচাও।জানি না কেনো এমন করছো তবে বুঝেছি আমার ওপর তোমার রাগ চরম।আমি মানলাম রাগ আমার ওপর তাহলে আমাকে কষ্ট দিবে নিজেকে কেনো দিচ্ছো?নাও কথা বাড়িয়েও না। ঠান্ডা মাথায় বলছি খেয়ে নাও নাহলে খবর করে ছাড়বো।

শেষের বাক্যগুলো খুব রুক্ষ শুনালো শুভ্রর।তিমির বুঝলো এখন তেড়িবেড়ি করলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে তাই রাগটা কমিয়ে শুভ্রর হাত থেকে প্লেটটা কেড়ে নিয়ে খাওয়া শুরু করলো।শুভ্র আর শুভা দুজনে মুখ টিপে হাসলো।

সন্ধ্যার টিমটিমে আলোতে নুহাশপল্লী যেন অন্য একরূপে সজ্জিত হয়েছে। চারপাশে গাছ গাছালির ভাঁজে ভাঁজে মিষ্টি ফুলের সুবাস সেই সাথে জোনাকি পোকা আর ঝিঝি পোকার ডাকে পরিবেশ যেমন রোমাঞ্চ আর গা ছমছমে করে তুলেছে।শুভা বাড়ির কেয়ারটেকারের সাথে কথা বলছে।বয়স্ক কেয়ারটেকার শুভাকে নাতির মতো করে এ পল্লির গল্প, হুমায়ুন আহমেদের গল্প এসব শুনাচ্ছে।শুভা শুনছে মাঝে মধ্যে প্রশ্ন করছে তো মাঝে মধ্যে বিস্ময় প্রকাশ করছে।শুভ্র তিমিরকে নিয়ে লীলাবতীর দীঘির ঘাটে বসলো।শুভ্র চেয়ে আছে চাঁদের দিকে তিমির চেয়ে আছে পানির দিকে।অন্ধকার রাতে দীঘির পানিতে চাদের আলো পড়ার পানি যেমন স্বচ্ছ মনে হচ্ছে তারচেয়ে বেশি গভীর মনে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পানির মধ্যে থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে মনে হচ্ছে পানির নিচ থেকে মাছেরা ফিসফিস করে কথা বলছে।শুভ্র বা তিমির কেউ কথা বলছে না।তিমির তো আসতেই চায় নি শুভ্র আর শুভা টেনে নিয়ে আসলো।এদিক ওদিক ঘুরে তিমির এসে বসলো দীঘির ঘাটে।শুভ্রও পাশে এসে বসলো।

তিমির তোমার কি হয়েছে, তুমি এমন অদ্ভুদ আচরণ করছো কেনো?

কেমন আচরণ করছি?

শুভ্র তাকিয়ে আছে তিমিরের দিকে আর তিমির পানির দিকে।

তিমির এদিকে তাকাও কি হয়েছে তোমার?আগে তো এমন করো নি তাহলে হঠাৎ এ পরিবর্তন?

মানুষ কি সবসময় একিরকম থাকবে,পরিবেশ, মানুষ আর পরিস্থিতি ভেদে সে পরিবর্তন হতে পারে।আগে পরিবর্তন হওয়ার দরকার পড়ে নি এখন পড়েছে তাই পরিবর্তিত হয়েছি।দরকার পড়লে সামনে পুরোপুরি চেঞ্জ হবো

তা কি থেকে এ দুর্মতি হলো?

সুমতি বলুন।এতদিন ছ্যাচড়ার মতন ছিলাম সবাই ্কে ভালোবাসলাম কিন্তু বিনিময়ে শুধু আঘাতই পেলাম।এবার একটু উল্টো হোক।সময়ানুযায়ী একটু ভিন্ন হলে মানুষ চেনা যায়।

তিমির সেই যে উল্টো মুখে ছিল একবারও শুভ্রর দিকে ফিরে নি।শুভ্র অবাক হচ্ছে তিমিরের কাটকাট কথা শুনে।চাঁদের আলো এসে পড়েছে তিমিরের মুখে। মুখের একপাশে আলোটা হঠাৎ তিমিরকে ব্রাইট করে তুললো এবং তিমিরের পুরো মুখে একটা চিকচিক ভাব দেখা দিলো।

তিমির টিউশন থেকে ফেরার পথে কেউ একজন পেছন থেকে ডাক দিলো।পেছনে ফিরে দেখে সোবহান।এ ছেলেটা তাকে প্রায়ই এটা ওটা নিয়ে বিরক্ত করে।এত গায়ে পড়া ভাব তিমিরের ভালো লাগে না। যাদের বাসায়া পড়াতে যায় সে স্টুডেন্টের সম্পর্কে মামা লাগে।এসেছে কিছুদিন হলো।প্রথম দিনেই তিমিরের সাথে যেভাবে কথা বলল মনে হলো তিমির অনেক দিনের চেনা।তিমির এড়িয়ে গেছে কিন্তু এ ছেলে জোকের মতো তার পেছনে লেগেছে সবে অনার্সে এডমিট হয়েছে অথচ এমনভাবে কথা বলে আর সাজেশন দেয় যেন অনেক বড় ছেলে।তিমির আকারে ইঙ্গিতে কয়েকবার বিরক্ত দেখিয়েছে অথচ এ হাঁদারাম ছেলে বুঝেও নি।

তিমির তুমি এমন কেনো বলো তো,তোমাকে না দাড়াতে বলেছিলাম?

আমি দাড়াব কেনো শুনি?আমার পড়ানো শেষ তাই চলে যাচ্ছি!

আহা এত মোটা গলায় কথা বলো কেনো একটু চিকন স্বরে কথা বলতে পারো না?আর তোমাকে পড়ার বিষয়ে বিভিন্ন সাজেশন দিব এতে অন্যায় কি শুনি?

আসলে আমার কাজ তো কম না।এখান থেকে গিয়ে অনেক কাজ করতে হয় তাই পড়ানো শেষ হলে চলে যায় তাড়াতাড়ি করে।

তিমির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে হেসে ব্যস্ততার ভাব নিয়ে সোবহান কে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।

শুভা আর তিমির রুমে মধ্যে পড়ছিল।একজন বিছানায় বসে অন্যজন টেবিলে বসে।শুভ্র রুমে ঢুকে দুজনকে দেখে নিলো।তিমির চোখ তুলে নামিয়ে নিলো আর শুভা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো উৎসুক চোখে

শুভা তোদের পড়া কেমন চলছে রে?এত বিজি থাকি খবর নেয়া হয় না তা বল পড়া চলছে কেমন?

ভালোই ভাইয়া।কোচিং এর স্যাররা খুব ভালো পড়ায় তাছাড়া আমি আর তিমির

নামটা বলে জিভে কামড় দিলো শুভা

মানে আমি আর ভাবি দুজনে ডিসকাস করে পড়াশোনা করি তাই কঠিন সমস্যা থাকলেও সহজে সমাধান পায়।

ওহ্ আচ্ছা তো তোর না হয় সমস্যা কম আরেকজনের কি অবস্থা, সে তো মনে হয় পড়তে পড়তে বিদ্যাসাগরের বড় বোন বিদ্যাসাগরিকা হয়ে গেছে? এত কথা বলছি অথচ বই থেকে চোখ সরাচ্ছে না?

তিমির বুঝলো শুভ্র তোকে ঠেস দিয়ে কথা বলছে কিন্তু সেটা তিমির গায়ে মাখলো না।সে চোখের সামনে বইটা নিয়ে আরো ভাব নিলো।তিমিরের ভাব দেখে শুভ্র চোখ মুখ শক্ত করলো তবে সরাসরি নিজের রাগটা দেখালো না।

বুঝলি শুভা কিছু মানুষ আছে যারা ঘরের মানুষের চেয়ে পরের মানুষকে নিয়ে বেশি খুশি থাকে।ঘরের মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে কথাগুলো সব যেন তিতা বের হয় আর বাইরের মানুষের সাথে কথা বলতে বলতে ঠোঁটের হাসি যেন থামেই না।

তিমিরের কানে শুভ্রর কথাটা খট করে লাগলো কারণ এ কাজটা তিমির করেছে।বিকেলে সোবহানের সাথে সে হেসে কথা বলেছিল আর সেটা কি শুভ্র দেখেছে তাই কি এভাবে কথাটা বললো।তিমির শুনলো কিন্তু তাও সে বই থেকে চোখ তুললো না।এবার শুভ্র পাথরের মতো মুখ করে চলে গেলো। শুভা শুধু দেখলো তার ভাই এসেছে নিজের মতো করে কথা বলে গেছে আর তিমিরের দিকে চেয়ে আছে এটা ছাড়া সে কিছু বুঝলো না।শুধু বুঝলো তাকে শোনাতে গিয়ে সব কথা তিমিরকে শুনিয়েছে।শুভা বুঝলো তার একরোখা, একগুয়ে ভাই আর আগের মতো নেই। তিমিরকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইলো কিন্তু তিমির তাকে বলবে না তাই প্রশ্ন করে অযথা তিমিরের কটু কথা শুনতে চাইলো না

শুভ্র রুমে এসে সোজা লাথি ছুড়লো দরজায়।তার রাগ উঠছে কিন্তু কেনো বুঝলো না?এটা কি তিমিরের করা ইগনোরের জন্য নাকি ঐ ছেলের সাথে তিমিরের হাসিমুখে কথা বলা দেখার জন্য। শুভ্র আয়নায় গিয়ে নিজের দিকে তাকালো।এ কোন শুভ্র সে জানে না,এত রাগ তো তার ছিল না।তিমিরকে সে পছন্দ করে এতটুকু তাহলে ওর এমন এড়িয়ে চলা ভাব বা এতটা এটিটিউড নিয়ে শুভ্রকে পাত্তা না দেওয়ার বিষয়টা শুভ্র মানতে পারছে না কেনো?
,
,
,
চলবে……