ফুলপিসি পর্ব-০৪

0
199

#ফুলপিসি
#লেখা_Bobita_Ray
পর্ব- ০৪

অনিলবাবু লুঙ্গির গিট শক্ত করে চেপে ধরল। এই মহিলার মাথা ঠিক নেই। একটানে লুঙ্গি খুলেও দিতে পারে। দরজা এখনো খোলা। বিয়ে বাড়ি। মানুষের অভাব নেই। কেউ এই অবস্থায় দেখে ফেললে লজ্জার শেষ থাকবে না। পিসি লুঙ্গি টেনে ধরে, কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল,
-‘কী হলো ময়নাপাখি? তোমার ছোটভাই আমাকে দেখাবা না?
অনিলবাবু শুকনো ঢোক গিলল। তিনি এই মুহূর্তে খুব অসহায় বোধ করছে। যে কোন সময় ঋষি শরবত নিয়ে এসে পরবে। ঢোক চিপে বলল,
-‘তুমি শান্ত হয়ে বসো?
ছোট বাচ্চাদের মতো জেদ ধরে, লুঙ্গি ধরে টানাটানি করতে করতে ফুলপিসি অস্থির হয়ে বলল,
-‘না..না…না… আমি তোমার ছোটভাই দেখব।
অনিলবাবু অধৈর্য হয়ে বলল,
-‘উফ্… চুপ করো না ফুলি? আমার প্রেসার বেড়ে যাচ্ছে।
ফুলপিসি, অনিলবাবুকে ছেড়ে দিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে কেঁদে দিল। ভদ্রলোক যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। ঋষি শরবতের গ্লাস হাতে করে ঘরে ঢুকলো। অবাক হয়ে বলল,
-‘পিসি কাঁদছো কেন?
পিসি চটপটে কণ্ঠে বলল,
-‘দ্যাখ না ঋষি? আমি তোর পিসেমশাইয়ের ছোট..
অনিলবাবু আচমকা ফুলপিসির মুখটা শক্ত করে চেপে ধরল। করুণ কণ্ঠে বলল,
-‘শরবতের গ্লাসটা টেবিলে রেখে তুমি এখন যাও তো ঋষি। তোমার পিসির মাথা ঠিক নেই। তখন থেকে আবোলতাবোল বকতেছে।
ঋষি দ্রুত চলে গেল। অনিলবাবু ঘরের দরজা আটকে দিয়ে জোর করে পিসির গলায় একগ্লাস শরবত ঢাকলো। পিসির বমি পাচ্ছে। হেলেদুলে বাথরুমে চলে গেল। গড়গড় করে বমি করে ভাসালো। তারপর রুমে এসে, একা একা কতক্ষণ উল্টাপাল্টা বকবক করে, ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পরল।

পিসির সকাল সকাল ঘুম ভাঙল। মাথাটা বেশ ভার ভার লাগছে। অনিলবাবুর পেটে গুঁতো দিয়ে বলল,
-‘এ্যাঁই..কালরাতে আমার সাথে উল্টাপাল্টা কিছু করেছো না কী?
ভদ্রলোক বিস্ময় চেপে বলল,
-‘কী করব?
-‘আজব তো। আমি কীভাবে বলব? আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম।
ভদ্রলোক বলল,
-‘আমি উল্টাপাল্টা কিছু করিনি। নিজেই সেভেনাপ ভেবে মদ গিলেছিলে! সারাটা রাত আমাকে জ্বালিয়েছো তুমি। একটু পর পর বলতেছিলে, ‘শিখা আমার বেয়াইন, ওর গালে মারব একটা চটকান।’
-‘যাহ্..তুমি মিথ্যে বলছো?
-‘আমি তোমার মতো মিথ্যা কথা বলি না।
-‘হইছে.. হইছে। সাধু পুরুষ আমার!
অনিলবাবু দুষ্টুমি করে বলল,
-‘দেখবা না কী?
-‘সাত সকালে আবার কী দেখাবা?
-‘আমার ছোটভাই।
ফুল পিসির চোখদুটো ছানাবড়া হয়ে গেল। বলল,
-‘ছিঃ..ছিঃ.. বয়স বাড়ার সাথে সাথে তোমার সুস্থ মস্তিষ্কও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সরো তো? দেখে আসি..ঋষি কী করে!
অনিলবাবু পিসির গমন পথের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলল,
-‘যাহ্ বাবাহ.. আমি আমার কী করলাম? ধেৎ..

ঋষিরা যখন বরযাত্রী সহ রওনা হবে। তখন সারাবাড়ি খুঁজেও ফুলপিসিকে পাওয়া গেল না। ঋষি মাকে মৃদু ধমকে বলল,
-‘সত্যি করে বলোতো মা? তোমার বোনেরা আমার পিসিকে কিছু বলেছে?
-‘না ঋষি।
-‘তাহলে মানুষটা কোথায় গেল?
নিভা রানী চিন্তিত হয়ে বলল,
-‘আমি জানি না বাবা।
ঋষি জেদি কণ্ঠে বলল,
-‘আমি কিন্তু পিসিকে ছাড়া বিয়ে করতে যাব না মা।
-‘তোর পিসিকে ফোন দে?
-‘দিচ্ছি। ধরছে না তো।
বলতে বলতেই পিসি কলব্যাক করল। ঋষি ফোন রিসিভ করতেই পিসি ব্যস্ত কণ্ঠে বলল,
-‘কী রে রওনা দিয়েছিস?
-‘তুমি কোথায়?
-‘আমি তো পৃথিলার সাথে বসে বসে সাজতেছি।
কথাটা শোনার পর ঋষি হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারল না। মৃদু ধমকে বলল,
-‘অন্তত যাওয়ার আগে আমায় বলে যেতে পারতে!
-‘ একদম ধমকাবি না ঋষি। আমি বলে আসলে, তুই আসতে দিতি আমায়? যাইহোক তাড়াতাড়ি চলে আয়? আমরা সেজেগুঁজে অপেক্ষা করতেছি। আর শোন? আমি কিন্তু শুধুমাত্র আজকের জন্য কণেপক্ষ।
ঋষি বলল,
-‘আমিও পিসেমশাইকে বলে দেব। পৃথিলার কাকার সাথে ইংকুপিংকু করার জন্য তুমি আগে আগে চলে গেছো।
পিসির মাথা হট হয়ে গেল। চাপা কণ্ঠে বলল,
-‘চুপ কর বেয়াদব। সবাইকে তোর মতো ভাবিস না কী? তোর হবুশ্বশুরকে এখন বলে দেব? সেদিন তুই পৃথিলার সাথে কী কী করেছিলি? আমি কিন্তু সব দেখেছি ঋষি। তুই পৃথিলাকে জাপ্টে ধরে চুমুটুমু খাচ্ছিলি। বিয়ের আগেই তাদের মেয়ের সম্মান নষ্ট করেছিস তুই।
রাগে আগুন হয়ে গেল ঋষি। বিয়ের দিনও এই মহিলা ঋষিকে শান্তিতে থাকতে দিল না। হে..ভগবান আমার শত্রুর শত্রুও এমন পিসি দিও না। জীবনটা পুরো ত্যানাত্যানা করে ছেড়ে দেবে।
পিসি বলল,
-‘তাড়াতাড়ি চলে আয়? আমরা গেইটের সামনে বাহারি পদের শরবতের গ্লাস, ফল, মিষ্টি নিয়ে তোর জন্য দাঁড়িয়ে আছি।
ঋষি চট করে ফোন কেটে দিল। নিভা রানী বলল,
-‘কী বলল তোর পিসি?
-‘কী আবার বলবে? এই আমাকে বিয়েই করতে দেবে না। এখন আবার আমার যাওয়ার আগেই নিজে কণের বাড়িতে গিয়ে বসে আছে।

গেইটে কণেপক্ষ দশ হাজার টাকা দাবি করল। বরপক্ষ তিন হাজার দিতে চাইলো। কণেপক্ষ কিছুতেই রাজি হলো না। ফুলপিসি ভাতিজার কানে কানে ফিসফিস করে বলল,
-‘ওনারা যা দাবি করছে তাই দিয়ে দে রে ঋষি? তুই তো আর কামাই রোজগার করিস না। টাকা গেলে আমার দাদার যাবে। তোর এত পুড়ছে কেন?
ঋষি বিষম খেল। ফুলপিসি ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রঙ পাল্টাচ্ছে। কে একজন শরবতের গ্লাস ঋষির হাতে দিতেই ঋষি মুখে দিয়েই ঝাল ঝাল করে চিৎকার করে উঠল। সবাই হা হা করে হেসে দিল। পিসি চাপা কণ্ঠে বলল,
-‘সারাজীবন গাধার বাচ্চাই রয়ে গেলি। কে বলেছিল তোকে লাল রঙের শরবত খেতে? দ্যাখ এখন কেমন লাগে!
অতিরিক্ত ঝালে ঋষির ফর্সা চোখমুখ রক্তবর্ণ ধারণ করল। কান দিয়ে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে। ঠোঁটদুটো পুড়ে যাচ্ছে। বিরবির করে বলল,
-‘বিয়ে করার শখ চিরতরে মিটে গেছে আমার। এখান থেকে জীবন নিয়ে ভালোই ভালোই ফিরতে পারলে বাঁচি।
পিসি ঋষিকে মিষ্টি খাইয়ে দিল। এখন ঝাল একটু কম লাগছে। কণে পক্ষের আবদার পূরণ করে ওরা বাড়িতে সসম্মানে প্রবেশ করল।

ঋষি-পৃথিলার বিয়ে ভাল ভাবেই সম্পূর্ণ হলো। পরেরদিন বিদায়বেলা পৃথিলাকে কাঁদতে দেখে, ফুলপিসি, পৃথিলার কানে কানে বলল,
-‘এত কেঁদো না পৃথিলা। মেকাপ নষ্ট হয়ে যাবে। তখন তোমাকে দেখতে খুব পঁচা লাগবে। আমাদের বাড়ি যাওয়ার পর যখন প্রতিবেশীরা নতুন বউ দেখতে আসবে, তখন নাক ছিটকে বলবে,
-‘ঋষি কী বিয়ে করে এনেছে! তাছাড়া বিয়ের ভিডিওতেও তোমাকে দেখতে খুব বাজে লাগবে।
পৃথিলার কান্না ধীরে ধীরে কমে এলো।

বৌভাতে বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। পৃথিলা সেই দুপুর থেকে সেজেগুজে একভাবে বউ স্টেজের সোফায় বসে আছে। বসে থাকতে থাকতে কোমর লেগে গেছে। অবশেষে সন্ধ্যার একটু আগে আগে ছাড়া পেল। রাতে ফুল দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো ঘরে পৃথিলাকে বসিয়ে দেওয়া হলো। ঋষির ঘরে আসতে আসতে রাত এগারোটা বেজে গেল। ঋষির পিছুপিছু পিসিও এলো! একগাদা শুকনো খাবারের কৌটা হাতে করে। ঋষি দরজা আটকাতে গিয়ে, পিসিকে দেখে অবাক হয়ে বলল,
-‘এগুলো কী?
পিসি ঘরের ভেতর ঢুকে ওয়ারড্রবের উপরে কৌটাগুলো সাজিয়ে রেখে বলল,
-‘তোর ঘরে তো তুই কোন খাবার জিনিস রাখিস না। এখন থেকে অভ্যাস কর। বিয়ের পরপর নবদম্পতির মধ্যরাতে প্রচুর খিদে লাগে রে ঋষি। তখন বুঝবি এই খাবার গুলো কতটা উপকারী।
-‘জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তোমার? এখন যেতে পারো।
-‘তুই দেখি বাসর করার জন্য অধৈর্য হয়ে গেছিস? এই পৃথিলা সাবধাণে থেকো।
-‘পিসিইইই…

পিসি ভেংচি কেটে চলে গেল। ঋষি দরজা আটকিয়ে পৃথিলার পাশে গিয়ে বসল। আকাশে মনে হয় কালবৈশাখী ঝড় সেজেছে। ভ্যাপসা গরম লাগছে। অন্যরকম আবেশে শরীর, মন দুটোই খুব গরম। ঋষি, পৃথিলার হাতদুটো আলতো করে ধরল। আবেগী কণ্ঠে বলল,
-‘আমার চোখের দিকে তাকাও পৃথিলা?
পৃথিলা মুখ তুলে তাকাল। ঋষির ঘোর লাগা চোখের দিকে তাকিয়ে একটু একটু বুক কাঁপছে। ঋষি পৃথিলার হাতের উল্টো পিঠে চুমু খেয়ে কিছু বলতে যাবে! এমন সময় দরজায় ধাক্কা পরল। দুজনেই চমকে উঠল। ঋষির ঘোর কেটে গেল। দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়াল। দরজা খুলে পিসিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিরক্ত হয়ে বলল,
-‘আবার কী?
-‘জল দিতে এসেছি।
পিসি জল দিয়ে যাওয়ার সময় বলল,
-‘বেশি রাত জাগিস না। সুখ, দুঃখের গল্প করার জন্য সারাজীবন পরে আছে।
পিসি চলে গেল। ঋষি মহাবিরক্ত। বিরবির করে বলল,
-‘এই মানুষটা আমাকে জীবনেও শান্তিতে থাকতে দিবে না। মুডটাই নষ্ট করে দিল। বাল..
ঋষি, পৃথিলার পাশে বসে একহাত বাড়িয়ে দিল। পৃথিলা হাতে হাত রাখতেই ঋষি, পৃথিলাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু এঁকে দিল। আবেগী কণ্ঠে বলল,
-‘আজকের রাতটা দীর্ঘ হোক।
পৃথিলা, ঋষির বুকে মাথা এলিয়ে দিল। ঋষি বলল,
-‘তোমার মনে আছে পৃথিলা? আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার দিনের কথা?
পৃথিলা, ঋষির চোখে চোখ রেখে বলল,
-‘সে মনে থাকবে না আবার।

ওরা কথা বলতে বলতে হঠাৎ কেশে উঠল। কাশতেই থাকল। এতরাতে কে যেন শুকনো মরিচ পোড়া দিয়েছে। ঋষির আর বুঝতে বাকি রইল না। এই অ’কাজ কার। পিসির একটা ভয়ংকর বদঅভ্যেস আছে। বাসর ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে শুকনো মরিচ পুড়ানো। ঋষি আগেও দেখেছে। নিজের ভাতিজাকেও যে রেহাই দেবে না। কে জানতো? ঋষি আচমকা দরজা খুলে পিসিকে টেনে ঘরের ভেতরে নিয়ে এলো। তারপর ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিল। পিসি হতবিহ্বল হয়ে গেল। ঋষি বলল,
-‘এত কষ্ট করে বাইরে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খেয়ে মরিচ পোড়ানোর থেকে এককাজ করো পিসি। আমাদের ফুলসজ্জায় তুমিও থাকো। দেখো আমরা কী কী করি?
-‘ছিঃ..ছিঃ..কী অশ্লীল কথাবার্তা ঋষি?
-‘এখন ছিঃ..ছিঃ করছো কেন? তুমি মরিচ পুড়িয়েছো কেন?
পিসি মিনমিন করে বলল,
-‘এটা নিয়ম। তাছাড়া আমি একা পুড়াইনি। সবাই ছিল তো! পিসি আশেপাশে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেল না। বিরবির করে বলল,
-‘আশ্চর্য ওরা সবাই কোথায় গেল?
ঋষি বলল,
-‘তোমার এই আজাইরা নিয়মের গুষ্টিকিলাই আমি।
-‘আশ্চর্য তুই রেগে যাচ্ছিস কেন? আমরা তো মজা করে..
-‘ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে মজা করবা কেন পিসি? ঘরের ভেতরেই মজা করো। কী পিসেমশাইকেও ডেকে আনব?
পিসি চট করে উঠে দাঁড়াল। বলল,
-‘আমি ঘুমাব। সরে দাঁড়া?
-‘এখন ঘুমাব বললে তো হবে না। আজ আমরাও ঘুমাব না। তোমাকেও ঘুমাতে দেব না। নাও শুরু করো? তোমার বাসর ঘরের গল্প শোনাও আমাদের?
পিসি, ঋষির পিঠে ধুমধাম দুটো থাপ্পড় বসিয়ে দিল। চোখদুটো গোল গোল করে বলল,
-‘অসভ্য কোথাকার। বিয়ে করতে না করতেই লাগামছাড়া কথাবার্তা বলতে শিখেছিস? এ্যাঁই পৃথিলা আমি তোমার ভাল চেয়েছিলাম। তুমি আমার কথা শুনলে না। বলেছিলাম না? ও মাথামোটা, বিড়ির ভেতরের তামাক ফেলে দিয়ে গাঁজা ভরে খাওয়া আঁধা পাগল পাবলিক। তখন তো আমার কথা বিশ্বাস করলে না। এবার আমার কথা খাপে খাপে মিললো তো?
পিসিকে আর একটু রাগিয়ে দিতে ঋষি একচোখ টিপে বলল,
-‘আমার বিড়ির ভেতরের তামাক ফেলে দিয়ে গাঁজাটা তো সবসময় তুমিই ভরে দাও পিসি। শুধু আমার গুনগান করলেই হবে?
-‘গাধার বাচ্চা। পাগলের ঘরের পাগল। আমি তোকে গাঁজা ভরে দেই? এতবড় মিথ্যেটা তুই পৃথিলাকে বলতে পারলি?
পিসি আবারও চিৎকার করে বলল,
-‘বিনা.. বিনা..কই গেলি রে? শিগগিরই বরফের বাটিটা নিয়ে আয়?
পিসি রাগে আগুন হয়ে গজগজ করতে করতে চলে গেল। পিসি চলে যেতেই দুজন শব্দ করে হেসে দিল। পিসিকে রাগিয়ে দিয়ে ঋষির খুব শান্তি লাগছে।

(চলবে)