ফুলপিসি পর্ব-০৬

0
130

#ফুলপিসি
#লেখা_Bobita_Ray
পর্ব- ০৬

ফুলপিসি নরম তুলতুলে বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে। পিসেমশাই বিরক্ত হয়ে বলল,
-‘এত নড়াচড়া করছো কেন?
-‘এই শুনো না? আমার না প্রচুর খিদে লেগেছে। ঋষিরা এতক্ষণ দরজা আটকে কী করছে বলোতো? ওদের কী খিদে লাগে না?
-‘না। নতুন বিয়ে করলে খিদেটিদে খুব একটা লাগে না।
-‘তোমারে কইছে!
খিদেয় পেট চু চু করছে। আর থাকা যাচ্ছে না। ফুলপিসি উঠে পরল। যেতে যেতে বলল,
-‘আমি ওদের ডাকতে গেলাম?
-‘এই ফুলি শুনো?
ফুলপিসি ভ্রু’জোড়া নাচিয়ে বলল,
-‘খিদের জ্বালা আর প্রাণে সহে না।’

ফুলপিসি রুমের বাইরে গিয়ে হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। ঋষিরা ডানপাশের রুমে ঢুকছে না বামপাশের রুমে ঢুকছে। ধেৎ..কিছুতেই মনে পড়ছে না। ফুলপিসি বিড়বিড় করে বলল,
-‘হে ঠাকুর.. মনে করিয়ে দাও? তোমাকে আমি দুই টাকার বাতাসা দেব। আচ্ছা যাও পাঁচটাকার দিমু। তাও মনে করিয়ে দাও না প্লিজ?
ফুলপিসি হবু দশ, বিশ গোনা শুরু করল। একশোতে গিয়ে থামে ডানপাশের ঘরে। পিসি জোরে জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগল। চাপা কণ্ঠে বলল,
-‘এই ঋষি দরজা খুল? আমার খিদে লাগছে? এই তোরা এতক্ষণ ঘরের ভেতর কী করোস রে?
-‘কাকে চাই?
দরজা সামান্য খুলে একজন অল্পবয়সী মেয়ে প্রশ্ন করল। ফুলপিসি চট করে ঘরে ঢুকে গেল। দুইজন ছেলেকে অর্ধনগ্ন হয়ে বিছানায় বসে থাকতে দেখে ফুল পিসির জিহ্বা আধাহাত বের হয়ে গেল। রাম..রাম..করতে করতে হন্তদন্ত পায়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল। মেয়েটিকে বলল,
-‘আমাদের ঋষি কোথায় থুক্কু না মানে খাবার কোথায় পাওয়া যাবে? তুমি জানো? না থাক বলতে হবে না। আমি আসি কেমন?
ফুলপিসি নিজের ঘরে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে ধপ করে বিছানায় বসে পরল। অনিলবাবু বলল,
-‘কী হয়েছে?
-‘কী হয়নাই তাই বলো? আমি তো ঋষির বাচ্চারে আজ কাঁচা গিলে খামু। শালার..ভাইয়ের পোলা ভাইপো..
-‘এত ক্ষ্যাপছো কেন?
-‘আর বইলো না। এখনকার ছেলেমেয়েগুলা একদম নষ্ট হয়ে গেছে। ভুল করে অন্যরুমে ঢুকে পরেছিলাম। দেখি একটা মেয়ে দুইটা ছেলে নিয়ে..ছিঃ..ছিঃ.. এইসব ফালতু হোটেলে ও আমাগো জেনেশুনে কেন আনছে?
-‘আহ্..ঋষিকে বকছো কেন? ওর কী দোষ।

ঋষি, পৃথিলাকে নিয়ে ফুল পিসির রুমে আসতেই ফুলপিসি ঋষিকে খুব বকাঝকা করল। ঋষি কান ধরে ওঠবস করল। এতে পিসির রাগ কিছুটা কমে এলো। আসলে লং জার্নি করে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তাই আসতে দেরি হলো। ফুলপিসিকে একটা ভাতের হোটেলে নিয়ে ভরপেট ভাত খাওয়ালো। তারপর সমুদ্রের নোনাজলে নামতেই লোকাল ফটোগ্রাফার এসে ওদের সামনে দাঁড়াল। বলল,
-‘আপনাদের কাপল ছবি তুলে দেই?
ফুলপিসি খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,
-‘দেন..দেন?
ঋষি ইশারায় পিসিকে ছবি তুলতে মানা করল। চাপা কণ্ঠে বলল,
-‘আমি তুলে দেব।
পিসি মৃদু ধমকে বলল,
-‘তুই চুপ থাক। তুই একটুও ভাল করে ছবি তুলতে পারোস না। পেছনের ক্যামেরা দিয়ে আজ পর্যন্ত আমার একটা সোজাসাপ্টা ছবি তুলতে পারোস নাই। হয় আমি অন্যদিকে তাকিয়ে আছি। আর নয়তো ঘাড় বাঁকা বা চোখ বুঁজে আছে। আরে ভাই আপনি ছবি তুলেন তো?

পিসি হাঁটুজলে নেমে যে কত স্টাইলে ছবি তুললো। তার কোন হিসেব নেই। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় লাগিয়ে ছবি তুললো। তবুও ছবি তোলা শেষ হয় না। ফটোগ্রাফার ক্লান্ত হয়ে গেল। ফিলিংস..ছাইড়া দে মা, কান্দে বাঁচি। আমাদের ফুলপিসি তো ফুলপিসিই! সে এত সহজে ছাড়ার পাত্রী না কী? ফুলপিসি একটার পর একটা ছবিগুলো জুম করে দেখতে লাগল। বলল,
-‘কত টাকা দেওয়া লাগব?
-‘তিন হাজার টাকা দিলেই হবে ম্যাডাম।
ফুলপিসির মাথায় হাত। ঋষি বিড়বিড় করে বলল,
-‘ঠিক হয়েছে।
ফুলপিসি আঁতকে ওঠে বলল,
-‘এই কয়টা ছবির এত দাম?
-‘হ্যাঁ ম্যাডাম।
-‘একটু কমিয়ে বলো?
-‘এর থেকে কমে হবে না।
-‘এত টাকা দিয়ে তো আমি মরে গেলেও ছবি নিমু না। পাঁচশো টাকা দিমু।
-‘হবে না ম্যাডাম।
-‘না হলে নাই। আমার ছবি আমি নেবো না। রাখো গা তোমার কাছেই। তিনবেলা পুজো কইরো আমার ছবি দিয়ে। যতসব! ওই ঋষি চল?
-‘ম্যাডাম..ম্যাডাম..আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন?
-‘শোন ছেলে? তুমি তো আমারে ভাতে মারতে চাইতেছো। তিন হাজার টাকা নিয়ে তো আমি বেড়াতেও আসিনি। পাঁচশো টাকায় দিলে দিবা। না দিলে আমার ছবি লাগবো না। আমি আয়নায় রোজ নিজেরে তিনবেলা দেখি। দেখি এখন সরে দাঁড়াও?
-‘ম্যাডাম আমার সময়ের কী কোন দাম নাই?
-‘দামের কথা আগে বলতা? তাহলে তো তোমার ক্যামেরায় আমি কোন ছবিই তুলতাম না। আমার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে তোমার ক্যামেরা এমনিতেই ধন্য হয়ে গেছে।
-‘এই ঋষি চল.. চল?
ফুলপিসি ছবিগুলো না নিয়েই চলে গেল। ঋষির খুব লজ্জা লাগল। কিন্তু পিসির উপর দিয়ে কথা বলার সাহস পেল না।

রাতে চারজন ব্রীচে ঘুরতে গেল। থেকে থেকে সমুদ্রের গর্জন ভেসে আসছে। ঠাণ্ডা বাতাসে দেহ, মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রপাড়ে গিটার বাজিয়ে একদল ছেলেছোকরা গলা মিলিয়ে সুর করে গান ধরেছে। পিসি হেঁটে গেল। পিসি ওদের পাশে গিয়ে বসল। মশাল জ্বালিয়ে ছেলেগুলো খুব আমদ করে গান গাইছে। পিসি একমনে গান শুনতে লাগল। ওরা থামতেই পিসি আচমকা বলল,
-‘কী হলো থামলে কেন?
ওরা ভুত দেখার মতো চমকে উঠল। বুকে থু থু দিয়ে বলল,
-‘আপনি কে?
-‘আমি ঋষির ফুলপিসি।
-‘ঋষি কে?
-‘ঋষি আমার একমাত্র ভাতিজা।

ততক্ষণে ঋষিরা এসে পরেছে। ছেলেগুলো ঋষিকে দেখে বলল,
-‘ওনাকে নিয়ে যান। ওনার বোধহয় মাথায় সমস্যা আছে।
ফুলপিসি রাগে কটমট করতে করতে যে ছেলে এই কথাটা বলেছে। তার শার্টের কলার আচমকা চেপে ধরে বলল,
-‘কী কইলি তুই? আমার মাথায় সমস্যা? তোর চৌদ্দ গুষ্টির মাথায় সমস্যা রে বেয়াদব। ওই মাফ চা আমার কাছে?
-‘আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দেন?
-‘এত তাড়াতাড়ি ভুল স্বীকার করলি কেন? নিশ্চয়ই তোর ভেতরে কোন ঘাপলা আছে?
ঋষির নাজেহাল অবস্থা। জায়গাটা নির্জন। এই ছেলেগুলো যদি এখন উল্টাপাল্টা কিছু করার চেষ্টা করে। তখন কী হবে? ঋষি ফুলপিসিকে জোর করে ছাড়িয়ে নিল। হাত টেনে ধরে নিয়ে যেতে যেতে বলল,
-‘এই শেষ। আর জীবনেও তোমাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাব না। যেখানেই যাও সেখানেই একটা না একটা গণ্ডগোল পাঁকাও তুমি।
-‘বলে কী ছেলে! তোর চোখে কী ছানি পরছে?
-‘পিসি আমার মাথা গরম করবা না কিন্তু? তুমি কেন ওদের ওখানে গান শুনতে গেছো?
-‘একহাজার কোটি বার যামু। তোর কী?

পরদিন সকালে পিসি বোতল ভরে সমুদ্র থেকে জল তুলছে। ঋষি দেখে বলল,
-‘এত নোনাজল দিয়ে কী করবা?
-‘সবাই রে গিফট করুম।
-‘মানে?
-‘আর বলিস না। আমার কক্সবাজার বেড়ানোর কথা শুনে যার সাথে দেখা হইছে সবাই বলছে আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আইসেন। তাই ভাবছি সবাইরে এক বোতল নোনাজল আর একটা করে ঝিনুক গিফট করব।
ঋষি হা হা করে হেসে দিল। বলল,
-‘তুমি পারোও।

পৃথিলা ঋষির সাথে দাঁড়িয়ে কাপল ছবি তুলছে। পিসিকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে পৃথিলা এগিয়ে এলো। বলল,
-‘কী হয়েছে পিসি?
-‘জেদ করে তোদের সাথে হানিমুনে তো এলাম। তোদের মতো ভেতরে হানি হানি ভাব নাই। তার উপরে রাতে তোর পিসেমশাইয়ের সাথে ঝগড়া হয়েছে।
পৃথিলা হেসে দিল। ফিসফিস করে বলল,
-‘হানি হানি ভাব আনার জন্য কলকাতা হারবাল পাওয়া যায় কিন্তু!
ফুলপিসি শব্দ করে হেসে দিল। মন ভাল করা হাসি। বলল,
-‘বেয়াদব।
-‘মন খারাপ করে বসে না থেকে পিসেমশাইয়ের হাত জড়িয়ে ধরে বালুর উপর দিয়ে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটো। বিয়ের প্রথম দিকের সোনালী দিনগুলোর গল্প করো। দেখবে মন অটোমেটিক ভাল হয়ে যাবে।
-‘বলছিস?
-‘হ্যাঁ।

পৃথিলার আঙুলে আঙুল পেঁচিয়ে ফুলপিসি একমনে সমুদ্রের পাড় ঘেষে হেঁটে বেড়াচ্ছে। একটা অল্পবয়সী ছেলে ওদের দিকে হ্যাবলাকান্তের মতো তাকিয়ে আছে। ফুল পিসির চোখে চোখ পড়তেই ফুলপিসি বড় বড় চোখ করে তাকাল। ছেলেটা চোরা হাসি দিয়ে অন্যদিকে তাকাল। পিসি পৃথিলার হাত ছেড়ে দিয়ে একটু ভাব নিয়ে হাঁটতে লাগল। বার বার চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করছে। পৃথিলা ইশারায় বলল,
-‘কী হলো?
ফুলপিসি লাজুক হেসে ফিসফিস করে বলল,
-‘দ্যাখ না! ওই ছেলেটা আমার দিকে কেমন করে যেন তাকাচ্ছে। আমার না খুব লজ্জা লাগছে রে। তুই আবার অনিলবাবুকে বলিস না কিন্তু।
পৃথিলা শুকনো ঢোক চিপে বলল,
-‘চলো পিসি? ছেলেটাকে দেখতেই তো চোর চোর মনে হচ্ছে। হাবভাব সুবিধার না।
বলতে বলতে ছেলেটা এগিয়ে এলো। ফুলপিসিকে বলল,
-‘আন্টি কেমন আছেন?
ফুল পিসির মুখটা ফাঁটা বেলুনের মতো চুপসে গেল। ধমক দিয়ে বলল,
-‘ এই ছেলে তোমার আন্টি কে? আপু বলো?
-‘স্যরি। পাশের জন কী আপনার মেয়ে?
-‘না। আমার ছোটবোন। বেশি না তিন বছরের ছোট।
-‘ ওহ। বোনের বিয়ে দিবেন না আপু?
-‘দেবো। ভাল ছেলে খুঁজতেছি।
-‘চলুন আমরা বসে কথা বলি?
-‘বসব। গলাটা খুব শুকিয়ে গেছে। একটু ডাব খেয়ে গলাটা ভিজিয়ে নেই।
ছেলেটা হাত উঁচিয়ে ডাবওয়ালাকে ডাকল। বলল,
-‘তিনটে ডাব কেটে দেন মামু?
পৃথিলা ডাব খেতে চাইল না। ফুলপিসি ফিসফিস করে বলল,
-‘না খালি। হাতে রাখ ছেমড়ি। আমি পরে খামু।
ছেলেটা ভালোই বুঝলি। না হলে এই যুগে কেউ বিনা স্বার্থে ডাব খাওয়ায়?
-‘পিসি চলো?
-‘আরে যামুই তো।
ছেলেটা বলল,
-‘আমার নাম রণ। আমার বাবার চট্টগ্রাম শহরে বিশাল কাপড়ের ব্যবসা। এই তো বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
ফুলপিসি বিড়বিড় করে বলল,
-‘পৃথিলা তোর ভাগ্যটাই খারাপ। পাত্র হিসাবে যেই আসে। সবগুলাই বেকার। খালি বাপের টাকার গরম দেখায়। সো স্যাড।

ওরা কথা বলতে বলতে ঋষি এসে ওদের পাশে দাঁড়াল। বলল,
-‘তোমরা এখানে কী করছো?
ফুলপিসি ডাব খেতে খেতে বলল,
-‘তোর বউয়ের জন্য ঘটকালি করতেছি। কিন্তু আফসোস এটাও তোর মতোই বেকার।
ঋষি রেগে আগুন হয়ে গেল। বলল,
-‘তোমার লজ্জা করে না পিসি? তুমি আমার রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় হয়ে আমার বউয়ের জন্য ঘটকালি করতেছো।
-‘চুপ কর বেয়াদব। আমরা তো একটু ফান করতেছিলাম। এই ছেলে ডাবের বিল দিছো? তাহলে তুমি এখন যাইতে পারো। আসলে আমরা ট্রুথ & ডেয়ার খেলতেছিলাম। খেলা শেষ। এখন আমরা যাইগা। চলরে.. ঋষি।

তিনটে দিন ঘুরে যখন ওরা লং জার্নি করে বাসায় ফিরল। সদর দরজা খোলা ছিল। ফুলপিসি দেখল, পাশের বাসার কাকিমা, ঋষির মায়ের পাশে বসে গল্প করতেছে। গল্প কম ফুলপিসির বদনাম বেশি করতেছে।
-‘এই বয়সে কোন আক্কেলে ঋষিদের সাথে হানিমুনে গেছে। কোন কাণ্ডজ্ঞান নাই। আরও কতকিছু।
হঠাৎ ফুলপিসিকে দেখে মহিলা থমকে গেল। ভুত দেখার মতো চমকে উঠল। বার কয়েক শুকনো ঢোক গিলে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। ফুলপিসি মহিলার পাশে বসে বলল,
-‘থামলে কেন? চালিয়ে যাও? নিজের বদনাম শুনতে ভালোই লাগতেছে। কী যেন বলতেছিলে? আমার শুধু বয়স বাড়ছে। বুদ্ধি হাঁটুর নীচে। তুমি তোমার ছেলের বউয়ের সাথে কী করছিলে মনে আছে কাকিমা?
-‘কী করেছি আমি?
-‘কী করছো? কেন মনে নাই? জোর করে তোমার মেয়ের ঘরের নাতীকে তোমার ছেলে-ছেলেবৌয়ের সাথে হানিমুনে পাঠিয়ে দিয়েছিলে। আমরা তো তাও আলাদা ঘরে থেকেছি। কিন্তু ওদের একঘরে থাকতে হয়েছে। নবদম্পতি একটা ক্লাস সিক্সে পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে হানিমুনে গেলে বিষয়টা কতখানি দৃষ্টিকটু লাগে দেখতে! তোমার কোন ধারণা আছে? আমার বৌদির মাথা না খেয়ে নিজের চরকায় তেল দাও।
ভদ্রমহিলা গজগজ করতে করতে উঠে চলে গেল। ঋষি বিরক্ত হয়ে বলল,
-‘এদের পাত্তা দাও কেন মা?
ফুলপিসি বলল,
-‘এসব তেলবাজ মহিলাদের পাত্তা দেওয়া লাগে না রে ঋষি। সুযোগ পেলেই এরা তেল নিয়ে যেখানে সেখানে হাজির হয়।

(চলবে)