#বছর_দুয়েক_পর
#পর্ব_৫
#সারিকা_হোসাইন
❌কপি করা নিষেধ🚫⚠️
দিনের আলো ফুরিয়ে ধরনীতে রাতের কালিমা নেমেছে বহু আগে।পুরো আকাশটা কালচে মেঘে খুব করে ঢেকে আছে।শিরশিরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে।মাঝে মধ্যেই কালচে মেঘ ফুঁড়ে সামান্য বিজলীর ঝলকানি দেখা যাচ্ছে।সব কিছু নীরব নিস্তব্ধ।হয়তো বৃষ্টি আসবে।থেকে থেকেই অদূরে নেড়ি কুকুর গুলো করুন স্বরে ঘেউ ঘেউ করে যাচ্ছে হয়তো ক্ষুধায় নয়তো যন্ত্রনায়।
অন্ধকার কক্ষের ফাঁকা মেঝেটায় পা ছড়িয়ে বসে বিছানায় মাথা হেলিয়ে রেখেছে তাথৈ।বহু চেষ্টা করেছে সে ঘুমানোর।কিন্তু ঘুম যেনো অক্ষিপটে ধরাই দিচ্ছে না আজ।বেলকনির ধবধবে সাদা রঙা পাতলা কার্টেন দুটো মৃদু বাতাসে সমান তালে দুলছে।সেই কার্টেন এর দিকেই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে তাথৈ।
হঠাৎই ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে আরম্ভ করলো।মুহূর্তেই বিদ্যুৎ চমকিয়ে হালকা বৃষ্টি ভারী বর্ষণ এ রূপ নিলো।
নিজের এলোমেলো হাত দুটো কোলের উপর গুটিয়ে চোখ বন্ধ করলো তাথৈ।বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে নেত্র গড়িয়ে খসে পড়লো অশ্রুকণা সেই সাথে দৃষ্টিতে ধরা পড়লো বছর চারেক আগের শিহরণ জাগানো স্মৃতি।
********
মেহেরিন চৌধুরী ছিলেন একজন খাঁটি গ্রামের মেয়ে।পুরো গ্রাম জুড়ে মেহেরিন চৌধুরীর বাবা মকবুল শেখের নাম ডাক আর সুনাম ছিলো প্রসিদ্ধ।গ্রামের মানুষ বিশেষ ভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতো শেখ বাড়ির মানুষ কে।মকবুল শেখের দুই ছেলে আর এক মেয়ে।মেহেরিন ছিলো সবার ছোট আর বেশ শান্তশিষ্ট।বড় ভাই গ্রামেই বাবার ব্যবসায়িক কাজকর্ম সামলান আর মেজো জন বিদেশ বিভুঁইয়ে পাড়ি জমিয়েছেন পড়াশোনা আর চাকুরীর তাগিদে।অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় ঢাকায় এসে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন মেহেরিন।হঠাৎই একদিন ভার্সিটির কালচারাল প্রোগ্রামে মেহেরিনের উপর নজর পরে সাইফ আজমীর।
রূপে গুনে মুগ্ধ হয়ে সাইফ আজমী জোর করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে বিয়ে করেছিলেন মেহেরিন কে।মেহেরিনের পরিবার সাইফ আজমীর ক্ষমতার বলে মুখ বুজে পুরোটাই মেনে নিয়ে মেয়ে বিয়ে দিয়ে ছিলেন। মেনে না নিয়ে গ্রামের মানুষ শহরে এসে কি বা প্রভাব দেখাতে পারবে? কিন্তু মেয়ের জামাই হিসেবে কোনো দিন ও স্বীকৃতি দেননি সাইফ আজমী কে।মকবুল শেখ মাঝে মাঝে মেয়ের খুজ খবর নিতেন মুঠোফোনে।কিন্তু কোনো দিন মেয়ের রাজ প্রাসাদে পায়ের ধুলো দেন নি।ধীরে ধীরে এসব আচরণ সাইফ আজমীর মনে খুব খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে।শশুরের সাথে সাথে তিনিও সমান তালে কঠোরতা প্রকাশ করতে শুরু করলেন।এক সময় বাড়তে লাগলো আপন জনদের সাথে দূরত্ব।কিন্তু মেহেরিন নিজের বাপ ভাই কে ভুলে থাকতে পারতেন না।প্রায়ই লুকিয়ে ফোনে কথা বলতেন আর কাঁদতেন।সাইফ আজমীর বিশ্ৰী ব্যবহারে মেহেরিনের থেকে সকলে মুখ ফিরিয়ে নিলেও মেহেরিন নিজেই এক প্রকার জোর করেই বাপ ভাইদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন।এরিক হবার পর মকবুল শেখ মনের কষ্ট ভুলে গিয়ে মেয়েকে দেখতে এলেন একদিন ঢাকায়।কিন্তু সাইফ আজমীর অহংকার আর কটু কথায় দুদন্ড টিকতে পারলেন না ভদ্রলোক।সেই যে কান্না করতে করতে বিদেয় নিলেন আর কোনো দিন মেয়ের বাড়ি এলেন না।বৃদ্ধ ভেবেছিলো নাতি নাতনীরা বড় হয়ে মাকে নিয়ে গ্রামে আসবে,দুই হাত উজাড় করে নাতি নাতনিকে বুকে জড়াবেন তিনি।কিন্তু বৃদ্ধের আশায় ছাই পরে যখন দেখতে পেলেন বাপের চাইতে ছেলে আরো বেশি সীমালঙ্ঘন কারী।ছেলের উগ্র আচরণ আর নেশায় আসক্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে মেহেরিন পাগলের ন্যয় দিন পার করলেন।ছেলের হাত ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন মেহেরিন।কিন্তু গাছ ই যদি বিষাক্ত হয় তবে ফল কি রূপে সুমিস্ট হবে?শক্ত খুঁটি হারিয়ে মেয়েটির হাত ধরেই বেঁচে থাকার আশা খুজলেন মেহেরিন।হঠাৎই একদিন খবর এলো মেহেরিনের বড় ভাই তোফায়েল শেখ এর একমাত্র পুত্র তিহানের বিয়ে।বাড়িতে খুব ধুমধাম আয়োজন।ছেলে মেয়ে দুজনেই বিদেশ পড়ালেখা করতে গিয়ে প্রণয় ঘটিয়েছে।মেয়ের পরিবার স্বেচ্ছায় তিহান কে জামাই হিসেবে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।কিন্তু তিহানের নাকি এক জেদ ছোট ফুপিকে ছাড়া সে কিছুতেই বিয়ে করতে পারবে না।ফুপির স্নেহ যুক্ত ভরসার হাত মাথায় নিয়ে তবেই সে বিয়ের কাজে এগুবে।ভাইয়ের মুখে এমন হৃদয়বিদারক কথা শুনে বেশ মর্মাহত হলেন মেহেরিন।কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাইকে খুশি করতে পারলেন না তিনি।ভদ্রলোক তোফায়েল বিমর্ষ মনে ফোন কেটে দিলেন।কিন্তু মেহেরিনের নীরব কান্না শুনতে পেলেন না।
তিহান নিজেই একদিন মেহেরিনের কাছে ফোন দিয়ে কান্না কাটি করলো
“একটা বার ও ভাতিজা ভাতিজি কে বুকে জড়াতে ইচ্ছে করে না তোমার ফুপি?আমরা কি অন্যায় করেছি বলতে পারো?তোমার স্নেহ আর ভালোবাসা থেকে আমরা কেনো বঞ্চিত হবো?দোষ না করেও কেনো আমরা দোষী?
“দোষ তোদের নয় বাবা।দোষ আমার ভাগ্যের”
তিহানের সাথে সাথে মেহেরিন ও খুব কাঁদলেন সেদিন।কথায় কথায় তিহান জানালো
“যদি তুমি আমার বিয়েতে না আসো তবে আমি বিয়ে না করেই বিদেশ ফিরবো।আর সারা জীবন আই বুড়ো হয়ে কাটাবো।এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে তুমি”
তিহানের কথায় বেশ কষ্ট পেলেন মেহেরিন।আদরের ছোট ভাতিজা কে শান্তনার বাণী শুনিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোন কাটালেন মেহেরিন।
সবেই সাইফ আজমী বিজনেস ট্যুর থেকে ফিরেছেন।জীবনে প্রথম বারের মতো শক্ত কন্ঠে মেহেরিন বলে উঠলো
“আমি আমার বাবার বাড়িতে যেতে চাই।তিহানের বিয়ে”
বাড়িতে যাবার কথা শুনেই বিরক্তি তে ভ্রু কুঁচকে এলো সাইফ আজমীর।টাইয়ের নট লুজ করতে করতে বলে উঠলেন
“গেলে যাবে কিন্তু আমি বা আমার ছেলে কেউ যাবে না ওই বাড়িতে”
মনে কষ্ট পেলেও মেহেরিন গলায় শক্তি এনে বলে উঠলেন
“তোমাদের যেতে কেউ অনুরোধ করে নি।আমি একাই যাবো আমার মেয়েকে নিয়ে।
মেহেরিন এর চোখে ক্রোধের ছায়া স্পষ্ট দেখতে পেলেন সাইফ আজমী।বিবাহিত জীবনের এই ছাব্বিশ বছরে কখনো স্ত্রীকে এভাবে কথা বলতে দেখেন নি তিনি।তবে আজ কেনো?
চতুর সাইফ বুঝতে পারলেন কথার উপর কথা বাড়ালে ঘরে অশান্তি বাধবে।কারন মেহেরিন আর আগের মেহেরিন নেই।সেদিনের সেই শান্ত আর বোকা মেহেরিন আজ অনেকটাই জেদি এবং নির্ভয়।
গলা খাকরি দিয়ে সাইফ আজমী বলে উঠলেন
“কবে যেতে চাইছো?
“আগামী কাল ভোরে”
কঠিন কন্ঠে জবাব দিলেন মেহেরিন।
“ঠিক আছে রহিম কে বলে দেবো তোমাদের রেখে আসবে”
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে তাথৈ এর কক্ষের পানে এগিয়ে গেলেন মেহেরিন চৌধুরী।প্রায় দুই যুগ পরে তার বুক ভরে শ্বাস নিতে ইচ্ছে করলো।ভয়ংকর খাঁচা থেকে মা মেয়ের সাময়িক মুক্তি মিলতে যাচ্ছে বহুদিন বাদে।
********
নিজ ঘরে পড়াশোনায় ব্যস্ত তাথৈ।ম্যাট্রিক পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে।এমন সময় ঘুরে বেড়ানো মানে নিজের পেছনে নিজেই কঞ্চি ওয়ালা বাঁশ গুঁজে দেয়া।কিন্তু মুক্তির স্বাদ কে না চায়?
ধীর পদে মেয়ের কক্ষে এসে দাড়ালেন মেহেরিন।এরপর দীর্ঘ হতাশা মিশ্রিত শ্বাস ছেড়ে মেয়ের পাশে বসে পরম মমতায় মাথায় হাত বুলালেন।বই থেকে মুখ তুলে মায়ের কোমর জড়িয়ে ধরে কিশোরী তাথৈ ছোট বিড়াল ছানার ন্যায় গুটিয়ে রইলো।
মেয়ের নিষ্পাপ মুখের পানে তাকিয়ে মেহেরিন ঝরঝর করে অশ্রু ফেললেন।এরপর কাঁপা সিক্ত কন্ঠে শুধালেন
“প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে চাস?
মায়ের কথা খানা খুব করে বুঝলো ছোট তাথৈ।মেহেরিনের চোখের জল নিজের হাতের আঙ্গুলি দিয়ে মুছিয়ে বলে উঠলো
“তোমার বুকে এসে সব সময়ই আমি প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারি আম্মু”
মেয়ের মাথায় চুমু খেয়ে মেহেরিন বলে উঠলেন
“নিজের প্রয়োজনীয় সব কিছু গুছিয়ে নে।কাল ভোরে আমরা নানা বাড়ি যাচ্ছি।
নানুবাড়ি নামক জিনিসটার সাথে একদম অপরিচিত তাথৈ।কিন্তু মৌটুসী আর অর্কের থেকে নানুবাড়ির দুরন্ত মজা সম্পর্কে সে জেনেছে।মেহেরিনের মুখে নানুবাড়ি নাম শুনেই খুশিতে আত্মহারা হলো তাথৈ।
নিজের হাতের আজলায় মেহেরিনের মুখ জড়িয়ে বড় বড় চোখে প্রশস্ত হাসিতে শুধালো
“অনেক মজা হবে তাই না আম্মু?
মেয়ের হাসি মুখের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট টিপে কান্না গিলে নেন মেহেরিন।এরপর মাথা ঝাকিয়ে বলে উঠেন
“খুব”
*********
সময়টা তখন মাঘ মাস।একদম হাড় কাঁপানো শীত।এক টানা সপ্তাহ ধরে শৈত প্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত পরিবেশ।শহরে অতোটা শীত বোঝা না গেলেও গ্রামের সবুজ পরিবেশে ঠিক অনুমান করা যায় তাপমাত্রা কতোটা শীতল”
গ্রামের নাম মধুকুঞ্জ।তাথৈ আর মেহেরিন যখন গ্রামে পৌঁছায় তখন প্রায় দুপুর।শহর থেকে এক শত ছিয়াশী কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেহেরিন চৌধুরীর বাবার বাড়ি।পুরোটা রাস্তা অধিক উচ্ছাসের সহিত সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এসেছে তাথৈ।তাথৈ এর আজ মনে হলো
“পাখি হয়ে জন্ম নিতে পারলে বেশ ভালো হতো। পাখির চাইতে স্বাধীন আর কে আছে?
দীর্ঘদিন বাদে মেহেরিন কে পেয়ে বড় ভাবীরা কেঁদে বুক ভাসালেন।কে বলেছে ছেলে মানুষের কাঁদতে মানা?এই যে মেহেরিনের দুই ভাই বোনকে কাছে পেয়ে বুক উজাড় করে কেঁদে ভাষাচ্ছে।তিহান যেনো কান্নার দমকে কথাই বলতে পারছে না।মেহেরিনের দুই ভাবি অনন্য আর রেহনুমা তাথৈকে বুকে জড়িয়ে খুব আদর করে চুমু খেলো।অনন্যার ছোট মেয়ে তাথৈ এর বয়সী।নাম তার তুলতুল।ভালো নাম তূর্ণা শেহতাজ।খুব বেশি গুলুমুলু আর সুন্দর বলেই আদর করে এই নাম দেয়া হয়েছে তার।জন্ম বেড়ে ওঠা দুই ই বিদেশে।কিন্তু আচরণ এ পুরো বাঙালি।একেই বলে সঠিক শিক্ষায় গড়ে তোলা।পুরো কৃতিত্ব অবশ্য তার বাবা মায়ের।সেই তুলতুল নিজের শীর্ন বাহুতে তাথৈ কে জড়িয়ে বলে উঠলো
“তুমি আমার বোন।এসো তোমাকে জড়িয়ে ধরে আত্মিক শান্তি মিটাই”
বৃদ্ধ মকবুলকে বয়সের জীর্ণতা এখনো সেভাবে ছুঁতে পারেনি।মেয়ে আর নাতনিকে বুকে জড়িয়ে অবুঝের ন্যায় কেঁদে বলে উঠলেন
“শহরে পড়তে পাঠিয়ে চিরদিনের জন্য তোকে হারালাম রে মা।আজ চাইলেও তোকে বুকে জড়াতে পারি না।আম্মা বলে ডাকতে পারিনা।
নিজের কান্না থামিয়ে নিজেকে শক্ত প্রমান করে মেহেরিন বলে উঠলো
“কেউ কাঁদবে না তোমরা,এখানে তোমাদের খুশি দেখতে এসেছি আমি।অশ্রু দিয়ে কেনো বরণ করছো আমাকে?আমি যে প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে এসেছি এখানে।দয়া করে আমাকে কেউ ব্যথিত করো না।
মেহেরিনের কথার অর্থ সকলেই বুঝে নিজেদের অশ্রু রোধ করার চেষ্টা করলো।কিন্তু যেই আবেগ বছরের পর বছর ধরে জমেছে সেই আবেগ চাইলেই কি দমানো যাবে?
*********
দিনের আলো গড়ানোর সাথে সাথেই প্রকান্ড উঠানো জ্বালানো হলো কাঠের আগুন।সেই আগুনের চারপাশ ঘিরে চেয়ার টুল পাতা হলো।সকল আনন্দ আজ মেহেরিন আর তাথৈ কে ঘিরে।নিজের চেয়ারের পাশে তাথৈ কে টেনে বসালেন মকবুল শেখ।পরম মমতায় তাথৈ এর হিমায়িত ছোট হাত দুটো নিজের উষ্ণ হাতের মুঠোয় ভরে বৃদ্ধ বলে উঠলেন
“এই বুড়োটার কাছে কয়েকদিন থেকে যাও নানা ভাই।তোমাকে কাছে পেয়ে বুকের ব্যথাটা খুব করে কমেছে।”
বৃদ্ধের মুখের পানে তাকিয়ে অমায়িক হেসে তাথৈ ঘাড় কাত করে সম্মতি জানালো।
তুলতুল মেয়েটা বেশ মিশুক।ইচ্ছে করেই তাথৈ এর সাথে একদম সেটে রয়েছে।যেনো কতো জন্মের পরিচয় তাদের।বিভিন্ন আলাপ চারিতায় পুরোনো স্মৃতি চারণায়
মুহূর্তেই আনন্দ হাসিতে পরিপূর্ণ হলো উষ্ণতা মিশ্রিত আড্ডা।
আনন্দ হাসি গান যখন তুঙ্গে তখনই তিহানের ফোন খানা বেজে উঠলো।
সকলকে হাতের ইশারায় চুপ করতে বলে প্রশস্ত হেসে ফোন কানে তুললো।
“হেই ”
ওপাশ থেকে ভরাট আকর্ষণীয় পুরুষালী স্বর ভেসে এলো
“হ্যালো ডুড ,ইটস ভিয়ান নাওয়াফ…..
#চলবে