বছর_দুয়েক_পর
#পর্ব_৬
#সারিকা_হোসাইন
*********
রাতের গভীরতা নামার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘন কুয়াশার আস্তরণ।ইলসে গুড়ি বৃষ্টির ন্যয় টুপটুপ করে ঝরে পড়ছে ভারী কুয়াশা।গাঢ় ধুম্রজাল এর ন্যয় কুয়াশার বেষ্টনে এক হাত দূরের জিনিস ও যেনো ঝাপসা।চোখের পাপড়ি গুলোতে মাকড়ের জালের মতো কুয়াশা জমে উঠছে বারংবার। মোটা ভারী পোশাকেও শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।থুরথুরে বৃদ্ধের ন্যয় ঠক ঠক করে ক্রমাগত কেঁপে চলেছে শরীর খানা সেই সাথে দাঁতের কপাটে কপাটে বাড়ি খাচ্ছে।
উঠোনের কোনের রসুই ঘরে মাটির উনুনে বানানো হচ্ছে দুধ চিতই আর ভাপা পিঠা।ভাবীদের সঙ্গে মেহেরিন নিজে কোমরে আঁচল গুঁজে বসে গিয়েছেন পিঠা বানাতে।চোখে মুখে খেলে যাচ্ছে অনাবিল হাসি আর আনন্দ।তাথৈ এক মনে তার মায়ের দিকে পরম তৃপ্তি নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে।আজকেই প্রথম মেহেরিন কে এতোটা খুশি দেখছে সে।মেহেরিন খুব একটা হাসেনা বললেই চলে।
“তবে কি ওই বন্ধ প্রাসাদে আম্মু খুশি নেই?
আগুনের লাল শিখায় মেহেরিন কে আগুন পরী লাগছে তাথৈ এর কাছে।মেহেরিনের ফর্সা মুখশ্রী যেনো স্বর্গের সৌন্দর্যে পরিণত হয়েছে ।কষ্ট আর দুশ্চিন্তা ঘেরাও করা মন হয়েছে উৎফুল্ল।তাথৈ এর ক্ষমতা থাকলে ওই রাজপ্রাসাদ থেকে মেহেরিন কে মুক্তি দিয়ে এখানে রেখে দিতো সারাটা জনম।তাহলে তার মা সব সময় এতোটা হাসি খুশি থাকতো।
বাড়ির কাজের মেয়ে সালেহা একটু পর পর বাটিতে করে আগুন আড্ডায় ধোয়া উঠা পিঠা গুলো সার্ভ করে যাচ্ছে সকলের উদ্দেশ্যে।তাথৈ এর কাছে পুরো বিষয়টা নতুন আর অদ্ভুত আনন্দের।তুলতুল নির্বিকার।হয়তো সে প্রতিনিয়ত এমন আনন্দের ভাগিদার।গ্রামের মোহনীয় গন্ধ আর খাঁটি খেজুরের গুড়ের সাথে আতপ চালের মিশ্রনে বানানো হয়েছে নারকেলি ভাপা পিঠা।যেমন সুঘ্রাণ তেমন সুস্বাদু।ভাপা পিঠা তাথৈ এর খুব পছন্দ ।মেহেরিন প্রায়ই বানায়।কিন্তু এমন গন্ধ আর স্বাদ দুটোই বিলীন সেই পিঠায়।
তুলতুল আর তাথৈ যেনো ভাপা পিঠা খাবার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে আজকে।বৃদ্ধ মকবুল ফু দিয়ে দিয়ে সেই পিঠা ঠান্ডা করে দুই নাতনীর হাতে ভাগ করে দিচ্ছেন আর পরম তৃপ্তি নিয়ে তাদের খাওয়া উপভোগ করছেন।বৃদ্ধের কুঁচকে যাওয়া চোখের কোনে এতো এতো আনন্দে বারবার জল জমে যাচ্ছে।কিন্তু খুব সংগোপনে তা মুছে নিচ্ছেন।
পিঠা খেতে খেতে তুলতুল তাথৈ এর উদ্দেশ্যে শুধালো
“তুমি কি জানো কে এই ভিয়ান?
তুলতুল এর প্রশ্নে তাথৈ মাথা দুলিয়ে জানালো সে জানেনা।পরক্ষনে মনে মনে ভাবলো হয়তো কোনো মামার ছেলে টেলে হবে নয়তো কোনো আত্মীয়।বিয়ে বাড়িতে অনেক মানুষের আগমন হয়।সবাইকে কি আর চেনা সম্ভব হয়?আর এই বাড়িতে সবেই আজ প্রথম এসেছে সে।যেখানে সে তিহান কেই চিনে না সেখানে ভিয়ান আবার কে?
তুলতুল তাথৈ এর কানে কানে ফিসফিস করে বলে উঠলো
“ভিয়ান ইজ দ্যা মোস্ট হ্যান্ডসাম গাই ইন সিডনি।সব মেয়েরা তার জন্য পাগল।কিন্তু খুব অহংকারী এই লোক।কোনো মেয়েকে পাত্তা দেয়না।তিহান ভাইয়ার ক্লোজ ফ্রেন্ড।কালকে নাকি সে আসবে। আসলে দেখবে একদম রূপকথার প্রিন্স দের মতো তাকে দেখতে।
তুলতুল এর কথায় তাথৈ ঠোঁট গোল করে ধীর কন্ঠে বলে উঠলো
“ওহ আচ্ছা”তুমিও তাকে পছন্দ করো?
তুলতুল মাছি মারার ভঙ্গিতে বলে উঠলো
“আরে ধুর আমি এখনো অনেক ছোট।আর উনি আমাকে ছোট বোনের মতো আদর করে।আর আমি এমন রিজার্ভ মোডের মানুষ পছন্দ করিনা।কালকে পরিচয় করিয়ে দেবো তোমার সাথে।কথা বললেই বুঝতে পারবে উনি কেমন !
তাথৈ খুবই কনজারভেটিভ টাইপের মেয়ে হওয়ায় ভিয়ান কে নিয়ে তার মধ্যে কোনো ভাবান্তর দেখা গেলো না।কিন্তু তুলতুল থামলো না।সে ভিয়ানকে নিয়ে কথার ঝুলি খুলে বসলো।
“ভিয়ান ভাইয়া তিন তিনবার বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জানো?হলিউড এর হিরোদের মতো বডি মাসেল।একটা ঘুষি খেলেই তুমি ম/রে যাবে।
“উনি আমাকে ঘুষি মারবেন কেনো?
অবাক আর ভয় মিশ্রিত কন্ঠে শুধালো তাথৈ।
তুলতুল তাথৈ এর গালে হাত বুলিয়ে ফিক করে হেসে দিয়ে বলে উঠলো
“আরে কথার কথা বলেছি।সত্যি সত্যি মা/রবে নাকি বোকা মেয়ে!চলো তোমাকে ভিয়ানের ছবি দেখাই।
কথাটি বলে একপ্রকার জোর করেই তুলতুল তাথৈকে তার কক্ষের দিকে টেনে নিয়ে গেলো।দুই নাতনীর আলাপে বৃদ্ধ মকবুল সামান্য হাসলেন।
“ছোট নাতনি ঠিক তার দাদির মতো হয়েছে।যাকে ভালোবাসবে একদম মন প্রাণ উজাড় করে সব দিয়ে দেবে।আজ যদি সে বেঁচে থাকতো বড় নাতির বিয়েতে কতোই না খুশি হতো!
********
তুলতুল এর কক্ষে তাথৈ আর তুলতুল ভারী কম্বল জড়িয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে থুতনিতে দুই হাতের ভর দিয়ে ভিয়ানকে দেখে যাচ্ছে সমানে।তুলতুল এর আইপ্যাড থেকে একটা একটা করে ছবি বের করে পুরো ডিস্ক্রিপশন ঝাড়ছে তাথৈ এর উদ্দেশ্যে।তাথৈ না পারতে হু হা করে যাচ্চে তুলতুল এর সঙ্গে তাল মেলাতে।
হঠাৎই একটা খালি গায়ের ছবি বের করলো তাথৈ।
ধবধবে ফর্সা উদোম শরীরে শুধু একটা কালো জিন্স পরা।পাঞ্চ ব্যাগে হিট করার সময় কেউ হয়তো ক্যান্ডিট শর্ট নিয়েছে।বাইসেপ মাসেল গুলো একদম ফুলে ফেঁপে রয়েছে।এবস গুলোও যথেষ্ট নজর কাড়ছে।ঘাড়ের কাছের ট্র্যাপস আর চেস্ট প্যাক দেখে তাথৈ ফাঁকা ঢোক গিললো।
ছবি দেখাতে দেখাতে তুলতুল দুঃখী দুঃখী কন্ঠে বলে উঠলো
“জানো উনার বাবা মা উনি ছোট থাকতেই কার এ/ক্সি/ডে/ন্ট এ মা/রা গিয়েছে।উনাকে উনার মামা মামী বড় করেছেন।এখন উনি উনার বাবার বিজনেস সামলান অস্ট্রেলিয়া তে।
ছেলেটি এতিম ভাবতেই তাথৈ এর অজানা খারাপ লাগা এসে ভর করলো মন আকাশে।এরপর আরো অনেক আলাপ চারিতায় রাতের গভীরতা নেমে এলো।কথা বলতে বলতেই তাথৈ আর তুলতুল ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমালো।
*********
সকাল থেকেই মকবুল শেখের বাড়িতে বিশাল আয়োজন শুরু হলো।মেহেরিন কে দেখার জন্য গ্রামের কিছু পরিচিত মানুষ এসে ভিড় করলো।সেই সাথে বাড়তে থাকলো হাসি ঠাট্রার উঁচু আওয়াজ।গ্রামীন মানুষের হাঁক ডাক চিল্লাচিল্লি তে ঘুম ছুটে গেলো তাথৈ এর।তুলতুল মেয়েটা তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে এখনো ঘুমিয়ে আছে।মেয়েটির ঘুমন্ত মুখের পানে তাকিয়ে তাথৈ এর ঘুম জড়ানো চোখ অশ্রুসজল হলো।দ্রুত হাতে সেই জল মুছিয়ে মনে মনে বলে উঠলো
“আমি যদি প্রতিদিন তোমার সাথে গল্প করে কাটাতে পারতাম তাহলে মনে যেই হাহাকার আছে সেগুলো হয়তো দূর হতো।আমি আর আম্মু বড্ড একেলা।আমাদের কষ্ট জর্জরিত আর্তনাদ ইট পাথরের কঠিন বেড়া ভেদ করে বাইরে বেরোয় না।
তুলতুল মেয়েটাকে কোনো মতে ছাড়িয়ে বাইরে বেরুতেই একদল মহিলা এসে তাথৈ কে নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিলো সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের মশকরা করে হাসি ঠাট্টা করলো।মহিলা গুলো খুব করে আদর করে মাথায় হাত বুলালো তাথৈ এর।প্রথমে তাথৈ অপ্রস্তুত হলেও মেহেরিনের চোখের ভরসায় নিজেকে তাদের সাথে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করলো।
আজকে বাড়িতে ম্যালা কাজ।আজকে মেয়ের বাড়িতে যাওয়া হবে আংটি পড়ানোর জন্য।তিহান জেদ ধরেছে মেহেরিন কে যেতেই হবে।তাথৈকে রেখে যদি না যেতে চায় তবে তাথৈকে সঙ্গে নিয়েই চলুক।তবুও তাকে যেতেই হবে।কিন্তু এতোগুলো মুরুব্বি মানুষের মধ্যে তাথৈ কমফোর্ট ফিল করবে না বলে মেহেরিন কে চেপে ধরে তাথৈ মিনমিন করে বলে উঠলো
“আমি তুলতুল এর সাথে ভালো আছি আম্মু।তুমি ভাইয়াদের সঙ্গে যাও।আর তাছাড়া এখান থেকে তো বেশি দূর ও নয়।আমি বরং তুলতুল কে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে দেখবো।মানুষের বাড়িতে গিয়ে সময় নষ্ট করার থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরলে আমার বেশি ভালো লাগবে।
মেয়ের মনের কথা জানতে পেরে মেহেরিন হাফ ছাড়লেন।পুরোপুরি মায়ের উপর নির্ভরশীল ইন্ট্রোভার্ট মেয়েটা আজ নিজেকে যখন মেলে ধরতে চাইছে খোলা আকাশের নিচে তা মেলে ধরুক না ।ক্ষতি কোথায়?
সকালে হাতে হাতে সকল কাজ সেরে সব কিছু গুছিয়ে সকলেই তৈরি হয়ে নিলো।এরপর তাথৈ আর তুলতুল কে বাড়ির সবচেয়ে পুরাতন কাজের লোক ময়নালের মায়ের কাছে দায়িত্ব হিসেবে রেখে বারোটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলো।
বৃদ্ধ মকবুল শেখ পই পই করে বাড়িতে অবস্থানরত কাজের লোকের উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন
“নাতনি নয় আমার কলিজা রেখে যাচ্ছি।ভালো মতো খেয়াল রাখিস।ওরা কিন্তু গ্রামের আও ভাও কিছু বুঝেনা।
বাড়ির প্রবীণ কাজের লোক সুলতান তর্জনী আঙুলের ডগা থেকে সামান্য চুন দাঁত দিয়ে কেখড়ে নিয়ে বলে উঠলেন
“আপ্নে কোনো চিন্তা কইরেন না শেখ সাব।কিচ্ছু হইতো না এই সুলতান দফাদার থাকতে।আপ্নেরা নিশ্চিন্তে শুভ কাজে চইলা যান”
সুলতান দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে শেখ বাড়িতে কর্মরত আছেন।মকবুল শেখের অত্যন্ত বিশ্বাস ভাজন লোক।আর তাথৈ তুলতুল ছোট কোনো বাচ্চা নয়।তাই আর কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে গিয়ে উঠলেন মকবুল শেখ।
যাবার আগে তিহানের মা রেহনুমা সালেহাকে ডেকে বলে উঠলেন
“তিহানের বন্ধু বিদেশ থেকে আসছে তা তো জানিস?
সালেহা মাথা ঝুকিয়ে তোতা পাখির ন্যয় বলে উঠলো
“জে আম্মা জানি”
আঁচল থেকে ছোট একটা চাবি খুলতে খুলতে তাড়া দেখিয়ে রেহনুমা বলে উঠলো
“ছেলেটা বলেছে আমাদের বাড়ি আসতে আসতে তার বিকেল গড়াবে।তবুও গাড়ি ঘোড়ার রাস্তার কথা বলা যায়না।আমরা যদি বিকেলের আগে ফিরতে না পারি আর ছেলেটা যদি তার আগেই এখানে এসে যায় তাহলে দূতলার পূবের গেস্ট রুমটা খুলে দিবি আর ফ্রিজে যা যা রেখে যাচ্ছি গরম করে যত্ন করে খেতে দিবি।ছেলেটা কিন্তু প্রথম বার আসছে বুঝেছিস?
চাবি হাতে নিতে নিতে সালেহা বলে উঠলো
“চিন্তা কইরেন না আম্মা,সব ম্যানেজ কইরা ফালামু নিমিষেই।
*********
সারাদিন তাথৈ তুলতুল আর সালেহা কে নিয়ে অনেক ঘুরেছে।বন জঙ্গল পুকুর পাড় ধান ক্ষেত কিচ্ছুটি বাকি রাখেনি সে।এগুলো দেখে সালেহা খুব হেসেছে।গ্রামের মানুষের কাছে যেসব জিনিস মূল্যহীন শহুরে মানুষের কাছে তা অমূল্য।লম্বা সময় ঘুরাঘুরি করে বাসায় ফিরে গোসল সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে ভাত ঘুমের প্রস্তুতি চলছে।তুলতুল অবশ্য আরো আধ ঘন্টা আগে ঘুমের শহরে তলিয়েছে।মেহেরিন ফোন করে জানিয়েছে মেয়ের ছোট চাচা শহর থেকে আসতে একটু দেরি হচ্ছে তাই আংটি পড়ানো আরো দেরিতে হবে।তাদের আসতে আসতে সন্ধ্যা লাগতে পারে।বিকেলের পর যেনো তাথৈ আর তুলতুল বাড়ি থেকে না বের হয়।
মায়ের কথাকে সায় জানিয়ে লাইন কেটে সারা দিনের তোলা ছবি গুলো দেখছিলো তাথৈ।
‘জীবনে আর কখনো এখানে আসা হবে কিনা জানিনা।কিন্তু এই স্থির চিত্র গুলো সারা জীবন আমাকে রোমাঞ্চিত করবে”
হঠাৎই বাইরের গেটে ভারিক্কি গলার আওয়াজ পাওয়া গেলো।
“দরজা ডা খুলো আম্মা,মেমান আইছে।
কিন্তু কেউ বাড়ির বিশাল লোহার পুরাতন মরিচা ধরা গেট খুলছে না।ঘড়িতে সময় দেখে নিলো তাথৈ
দুপুর তিনটা বেজে সাতান্ন মিনিট।
লোকটির আওয়াজ ক্রমশ বেড়ে চলছে।সেই সাথে গেটের কেচর কেচর জং ধরা শব্দ।
কোনো উপায় না পেয়ে নীচে নেমে এলো তাথৈ।এরপর এক’পা দু’পা করে গেটের সামনে গিয়ে সিটকিনি খুলে দিতেই ময়নাল কে চোখে পড়লো।আজ সকালেই ময়নালের নাম জেনেছে সে।
উৎসুক হয়ে ময়নালের দিকে তাকাতেই কালো রঙের জিপ গাড়ি চোখে পড়লো।জিপের স্টিয়ারিং এ আঙ্গুলি ট্যাপ ট্যাপ করে গেট খোলার প্রতীক্ষায় আছে যুবকটি।জিপের কাঁচ ভেদ করে কালো রোদ চশমা যুক্ত ফর্সা মুখশ্রী নজরে লাগলো।
দ্রুত দৃষ্টি সরিয়ে তাথৈ বলে উঠলো
“উনাকে ভেতরে নিয়ে আসুন আমি সালেহা আন্টিকে ডেকে দিচ্ছি।
ময়নাল প্রশস্ত হেসে গাড়ি পার্কিং এর জায়গা দেখিয়ে গাড়ি থেকে ব্যগ পত্র নিয়ে ছুটে চললো দূতলার গেস্ট রুমে।ঘন্টা খানেক আগে তিহান তাকে ফোনে সব বুঝিয়ে দিয়েছে।তাই মেহমানের কোনো রকম অসুবিধা হওয়া চলবে না।
তাথৈ সালেহাকে খবর দিতেই নিজের ঘুম ফেলে দৌড়ে এলো সালেহা।গাড়ি পার্কিং করে কাপড়ের ধূলা ঝেড়ে নেমে এলো যুবক।
তাথৈ নীরবে প্রস্থান করতে নিলেই পেছন থেকে ডেকে উঠলো যুবক।মুখে হাসির রেখা টেনে ধরে আদুরে স্বরে বলে উঠলো
“আমার ঘরটা দেখিয়ে দাও”
তাথৈ অপ্রস্তুত হয়ে মাথা নিচু রেখেই বলে উঠলো
“সালেহা আন্টিকে বলেছি ঘরের তালা খুলে দিতে'”
যুবক ফিচেল হেসে বলে উঠলো
“ভিয়ান নাওয়াফ প্রথম বারের মতো সিঁড়ি গড়িয়ে পরে যাবার ভয়ে ভীত হচ্ছে।প্লিজ আমাকে ঘর পর্যন্ত নিয়ে চলো”
#চলবে