বিয়ে পর্ব-৩৫

0
651

#বিয়ে
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব- ৩৫

অদ্রির গা জ্বলে গেলো। ওর মন পুড়ছে তীব্রভাবে। তবে মরে গেলেও সে এটা স্বীকার করবে না৷ জোরালো গলায় বলল,
— নো ওয়ে। আপনি আমার সাথে যা করেছেন তারপরেও এমন ব্যবহার করতে বিবেকে বাঁধছে না? আপনার মতো ব্যাড ক্যারেক্টারের জন্য আমি কখনোই জেলাস হবো না।

ধ্রুব’র ঠোঁটের কোণে থাকা বাঁকা হাসিটা মিইয়ে গেলো সঙ্গে সঙ্গেই। অদ্রি কি মিন করেছে সেটা ও খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। আর পেরেছে বলেই ওর মুখের কথা হারিয়ে গেলো। বুকের বাঁ পাশে তীব্র চাপ অনুভব করলো৷ কপাল ঘেমে ওঠলো। ধ্রুব তো সেই ঘটনার রেশ অদ্রির মধ্যে মন থেকে মুছে দেওয়ার
জন্যই এতকিছু করছে! তবুও? বুকের ভেতর চলা ঝড়টাকে থামানোর চেষ্টা তো কবে থেকেই করছে ধ্রুব, অপরাধবোধে সে জর্জরিত। রাগ হয়ে নিজের মনকে বিভিন্নভাবে বুঝ দিলেও অদ্রিকে দেখলেই তার মস্তিষ্কজুড়ে ছুটতে থাকে বৃষ্টিভেজা সেই রাতের কথা। এই খারাপ, বিভীষিকাময় স্মৃতিটুকু তার জীবনের অন্যতম ঘৃণিত একটি স্মৃতি! সে সবসময়ের জন্য ভুলে যেতে চায়, কিন্তু মস্তিষ্ক ওর নিজের কন্ট্রোলে চলতে চায় না বলেই সে অপারগ! তবে অদ্রি কি ওকে সত্যিই চরিত্রহীন মনে করে? ধ্রুব’র এতক্ষণে থাকা হাসিমাখা মুখটা নিমিষেই অন্ধকারে ছেয়ে যায়। নিজের মনকে সান্ত্বনা দিতেই সে প্রশ্ন করে,
— হোয়াট ড্যু ইউ মিন? আ’ম ক্যারেক্টারলেস?
— ভুল কিছু বলেছি? মানতে অসুবিধা হয়? আপনার যখন এতোই লালসা কাজ করছিলো, তখন বললেই পারতেন…
বাকি কথাটুকু বলার আগেই ধ্রুব থামিয়ে দিলো অদ্রিকে। বাকরুদ্ধ বনে গেলো ও। অদ্রির প্রতিটি কথা ওর ব্যক্তিত্বে চরম আঘাত হানলো৷ ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে এরকম কোনো কথা শুনবে, কখনো সে আশা করেনি। চোখদুটো বন্ধ করে নিজেকে সামলালো৷। কাবার্ড থেকে কাপড় নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলো, অদ্রি আড়চোখে দেখলো
ওকে!

ক’দিন ধরেই শায়লা লক্ষ্য করছেন ধ্রুব আর অদ্রিকে। দু’জনের মধ্যে কোনো একটা সমস্যা চলছে, সেটা বেশ আন্দাজ করতে পারছেন তিনি। ধ্রুব’র আচরণ পুরোপুরি পালটে গেছে যেটা বেশ আশ্চর্যজনক।
আগে সে রাগ করতো, গম্ভীর হতো তবে অফিস থেকে সময়মতো ফিরতো। কিন্তু ইদানীং তার রাগ পুরোপুরিই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। অফিস থেকে ফিরেও দেরি করে। কখনো কখনো রাত দুটো-তিনটে বেজে যায়। ছেলের হঠাৎ পরিবর্তনে আশফাক সাহেব -শায়লা দুজনেই চিন্তিত। শায়লার বিপি’র অবস্থাও আজকাল ভালো নয়। তিনি চান না অদ্রি – ধ্রুব’র মাঝখানে নাক গলাতে। কিন্তু এমনভাবে চলতে থাকলে তো সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না। তিনি ঠিক করলেন আজ যে করেই হোক ধ্রুব’র সাথে খোলাখুলি কথা বলবেন। সেজন্য আশফাক সাহেবের হাজারো বারণ স্বত্তেও রাতে না ঘুমিয়ে তিনি লিভিংরুমে গিয়ে ছেলের ফেরার অপেক্ষা করতে লাগলেন৷ রাত দুটো বেজে পঁচিশ। লিভিংরুম জুড়ে নিঃস্তব্ধতার হাহাকার। রুম ফ্রেশনারের মৃদু সুবাস
আর ঘড়ির কাঁটার শব্দ ছাড়া সবকিছু নিঃস্তব্ধ। অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে দু ’চোখের পাতা এক হয়ে আসছে। তবুও তিনি ঠাঁই বসে অপেক্ষা করছেন ছেলের জন্য৷

ধ্রুব বাড়ি ফিরলো আলুথালু অবস্থায়। ক্লান্ত, বিবশ হয়ে। জুতোর শব্দ পেয়ে হতচকিত হয়ে ওঠে বসলেন শায়লা। মা’কে লিভিং রুমে এভাবে বসে থাকতে দেখে ধ্রুব একটু অবাক হলো। ধীরপায়ে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
— এখনো ঘুমাওনি?
শায়লা বললেন,
— এইতো ঘুম আসছিলো না।
এরপর ব্যতিব্যস্ত কন্ঠে বললেন,
— খাবার দিচ্ছি, চলো…
ধ্রুব সঙ্গে সঙ্গেই থামিয়ে দিয়ে বলল,
— খেয়ে এসেছি!
শায়লা থমকে দাঁড়িয়ে পড়লেন৷ ধ্রুব’র চেহারায় ক্লান্তি। মা’কে সে দেখাতে চায় না নিজের ব্যর্থতা। শায়লা আরও কয়েকবার জোরাজুরি করলেন, তবে একগ্লাস পানি ছাড়া আর কিছুই খাওয়াতে পারলেন না ছেলেকে। তিনি বেশ রেগেই জিজ্ঞেস করলেন,
— ক’টা বাজে? এখন ফেরার সময় হলো? দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠছো তুমি।
— প্রজেক্টের কাজ চলছে, সেজন্যই আরকি!
শায়লা চোখ রাঙিয়ে বললেন,
— মায়ের সাথে মিথ্যে বলার শিক্ষা দিইনি তোমায়! প্রজেক্টের দোহাই দিয়ে কথা লুকানো শিখলে কোত্থেকে?
ধ্রুব ইতস্তত করলো,
— কি লুকালাম?
শায়লা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। মনে মনে সব কথা গুছিয়ে নিলেন। ধ্রুব’র অস্বস্তি হচ্ছে। মা এভাবে জেঁকে ধরছে কেন? টের পেয়ে গেলেন নাকি অদ্রির সাথে ওর সম্পর্কের স্তব্ধতা? নাকি অন্য কোনো আবদার করবেন? এসব ভাবনা শেষ হওয়ার আগেই শায়লা বললেন,
— বসো, কথা আছে…
ধ্রুব মায়ের নির্দেশ অমান্য করলো না। হাতের স্যুটটা সোফার কোণে ছুঁড়ে ফেলে বসলো। শায়লা একপলক ছেলের মুখ পানে তাকিয়ে তপ্ত স্বরে ওকে
প্রশ্ন করলেন,
— কি হয়েছে তোমার? অদ্রির? আমাকে একটু খুলে বলবে?
ধ্রুব চকিতে তাকালো মায়ের দিকে। তিনি কীভাবে বুঝে যান সবকিছু? সে নিজেও এরকম কিছুরই আন্দাজ করছিলো। কিন্তু এই মুহূর্তে মায়ের প্রশ্নের কি উত্তর দেবে সে? ওকে চুপ দেখে শায়লার কপালে ভাঁজ পড়লো। ধ্রুব বিরস মুখে বলল,
— কি হবে? কিছুই না। সব তো ঠিকঠাক চলছে…
ছেলের চোখ লুকানোর ব্যাপারটা লক্ষ্য করলেন শায়লা। বললেন,
— কই! কিছুই তো ঠিকঠাক দেখতে পাচ্ছি না। আমি তোমাদের মাঝে ঢুকতে চাইনা, কিন্তু না ঢুকেও আর পারলাম না। কারণ বিয়েটা আমিই দিয়েছি তোমাদের, কিছু হলে এর দায়ভার আমাকেই নিতে হবে…
ধ্রুব’র বুক চিঁড়ে বেরিয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস। ও যতই চেয়েছে দিন দিন সম্পর্কটা ঠিকঠাক হোক, ততই জটিল হয়ে পড়েছে সবকিছু! যতই ভুল ভাঙাতে গেছে, ততই ভুলে জড়িয়ে গেছে। একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, সম্মান, ভালোবাসা ছাড়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। যেটা ওদের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র নেই। অহেতুক এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পেছনে কোনো যুক্তি খুঁজে পায় না ধ্রুব৷ এতদিনে সে বুঝে গেছে অদ্রি কখনোই ওর সাথে সহজ হবে না, না পারবে ওকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে, না পারবে ভালোবাসতে। আর একজনের এফোর্ট দিয়ে কোনো সম্পর্ক টিকানো যায় না। তাই ধ্রুব সবদিক বিবেচনা করেই হঠাৎ শায়লাকে বলে বসলো,
— আই নিড আ ডিভোর্স!
বলতে গিয়ে গলা কেঁপে ওঠলো ধ্রুব’র। শায়লা স্তম্ভিত কন্ঠে বললেন,
— কি বললে তুমি?
— যা শুনেছো তা-ই! সত্যি বলতে আমি কখনোই এটা চাচ্ছি না, কিন্তু আমাদের দু’জনের জন্যই এটা প্রয়োজন!
শায়লার গলায় বিস্ময়,
— মজা করছো আমার সাথে?
ধ্রুব গম্ভীর গলায় বলল,
— আমার পুরো লাইফটাই যেখানে মজা, সেখানে তোমাদের সাথে মজা কিভাবে করবো? শুধুমাত্র তোমার সিদ্ধান্ত সম্মান করি বলেই বিয়ে করেছি। হ্যাঁ, পরবর্তীতে আমি ভালোবেসেছি ওকে। কিন্তু একতরফা সবকিছুই তো দূরত্ব পাড়ি দিতে ব্যর্থ হয়। তেমনটা হয়েছে আমার সাথে। তুমি তো ওকে নিজের মেয়ের মতো দেখো; তাই আমি অদ্রির হয়ে তোমাকে বলছি, ও আমার মতো কাউকে ডিসার্ভ করে না। আমাদের সেপারেশন প্রয়োজন!
ধ্রুব’র কন্ঠে মিশে আছে তাচ্ছিল্য। তিনি ছেলের কথা কিছুই বুঝতে পারছেন না। তার মাথা ঘুরছে। ধীরপায়ে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ালেন শায়লা। নিজের শখ, ইচ্ছে পূরণ করতে গিয়ে তিনি কি দুটো ছেলে-মেয়ের জীবন নিয়ে খেলছিলেন এতদিন?

দুপুরবেলা। ফ্রেশ হয়ে চুল শুকাতে শুকাতে ফোন স্ক্রল করছিলো অদ্রি। ঠিক তখনই নোটিফিকেশনের শব্দ পেয়ে স্ক্রল করে দেখলো নীরার ম্যাসেজ,
— এত্ত হ্যান্ডসাম বর দেখেই বুঝি আমাদের থেকে লুকালি এতদিন? তো প্রেম কেমন চলছে? রাহাত তো দেবদাস হয়ে এখন পথে পথে ঘুরে…
গ্রাম থেকে ফেরার পর নীরার অনেক কল অদ্রি রিসিভ করতে পারেনি। দোটানা থেকে। ভেবেছে রাহাতের হয়ে যদি সাফাই গায়? তবে ম্যাসেজ দেখে সেরকম কোনোকিছুর আভাস পায়নি বলেই অদ্রি রিপ্লাই করলো,
— রাহাতের ব্যাপারটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং ব্যতীত আর কিছুই না। আশা করি পরবর্তীতে এসব বলে আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলবে না!
ম্যাসেজের রিপ্লাই পাওয়া মাত্রই নীরা কল করলো। অদ্রি রিসিভ করতেই নীরা বলল,
— ওকে ওকে। আমি জাস্ট মজা করছিলাম…
— ইট’স ওকে।
— তো? ভাইয়ার সাথে রোমান্স কেমন চলে বেইবি?
তুমি যা পুতুল দেখতে ছেলে হলে নিশ্চয়ই আমার বয়ফ্রেন্ডটাকে ছেড়ে তোকে বিয়ে করতাম। শুধুমাত্র একটাই দোষ…
অদ্রি ভ্রু কুঁচকে বললো,
— কি দোষ?
নীরা হাসতে হাসতে বলল,
— শুনলাম তো পরশের থেকে সব। ভাইয়া নাকি খুব ঝেড়েছে ওকে! বউয়ের দিকে নজর দিলে চোখ পর্যন্ত তুলে ফেলার হুমকি দিয়েছে। কেন তুই কিছু জানিস না? অবশ্য কাকেই আর দোষ দেব? তোকে দেখলেই তো যে কোনো ছেলের মনে বাধ্যতামূলক প্রেম জেগে ওঠবে। অন্যকিছু জেগে ওঠলেও দোষ দেওয়া যাবে না…
— অসভ্য, রাখছি ফোন।
— আরে শোন!
অদ্রির বিরক্ত কন্ঠ,
— বল…
নীরা এবার ঠাট্টা করা বন্ধ করলো। কিছুক্ষণ সময়
নিয়ে প্রশ্ন করলো,
— এনজয় করছিস ম্যারেড লাইফ?
— এখন সবাইকে এসব বলে বেড়াবো? ছিঃ!
নীরা আলতো হেসে প্রশ্ন করলো,
— ভালোবাসিস?
অদ্রি উত্তর দিলো না। চুপ রইলো। নীরা সাড়াশব্দ না পেয়ে হাসলো। কিছু একটা আন্দাজ করলো। এরপর বলল,
— আমি জানি তুই সবকিছু খুব নেগেটিভলি নিস। এটা কিন্তু খুব খারাপ। তবুও বলছি শোন, তুই শুধুমাত্র তোর অতিরিক্ত নেগেটিভ ভাবনাগুলো বন্ধ কর। যে জিনিস গুলো সহজ, সেগুলো অযথা জটিল না করে দেখ জীবনটা কত সুন্দর, গোছালো! নয়তো অনেক কিছু হারিয়ে ফেলবি। বেস্ট অফ লাক…

কথাগুলো বলেই নীরা ফোন কাটলো। অদ্রি হতবিহ্বল হয়ে বসে রইলো। আসলেই কি ও সবকিছু নেগেটিভ নেয় বলে ভালোবাসার মানুষটাকেও মন থেকে মানতে পারছে না? ঘরের দরজায় টোকা পড়ে, শায়লা দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে। তাকে উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে। অদ্রি একটু অবাক হয়। হঠাৎ কি হলো তাঁর? সকাল থেকেই কেমন মনমরা, চিন্তিত মনে হচ্ছে শায়লাকে! অদ্রি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে তখনই শায়লার চোখে জল দেখতে পেয়ে ও বিস্মিত হলো। শায়লা আচমকা ওর হাত ধরে বললেন,
— আমার ছেলে কি খুব খারাপ? তোকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছে?
অদ্রি হতভম্ব হয়ে বলল,
— কি হয়েছে?
— আমি তোকে মেয়ে করে এনেছি! কিন্তু তুই ধ্রুব’র জীবনসঙ্গী তো! তুই কি একটুও বুঝতে পারিস না ওকে?
অদ্রি শায়লার পাশে বসলো। নিচু কন্ঠে বলল,
— বুঝতে পারি তো!
— তাহলে কেন তোরা দূরত্ব চাস? আমি তো সারাজীবন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না রে…
অদ্রি ভীষণ অবাক হয়ে বলল,
— কে বললো তোমাকে এসব কথা?
শায়লা নিশ্চুপ। অদ্রি যা বোঝার বুঝে নিলো। ওর কপালে ভাঁজ পড়লো,
— ওনি কোথায়?
— অফিসে।
শায়লার বিমর্ষ, কান্নারত মুখ অদ্রির ভালো লাগে না। ও অনেককষ্টে বুঝিয়ে সুঝিয়ে শায়লাকে তার ঘরে নিয়ে ঔষধ খাইয়ে দিয়ে এসেছে। তার আগে পুরো ঘটনা শুনে নিয়েছে শায়লার থেকে। অদ্রির প্রচন্ড মাথা গরম নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো ধ্রুব’র ফেরার। ফিরলো বেশ রাত করে, আলুথালু অবস্থায়। অদ্রিকে ঘরে দেখেই সে উল্টো হেঁটে চলে আসতে নিলে অদ্রি ওর রাস্তা আটকায়। ধ্রুব হতচকিত হয়ে বলে,
— কি প্রবলেম?
অদ্রি তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলল,
— আমার নাকি ডিভোর্স প্রয়োজন? আমি নাকি আলাদা হতে চাই? এসব কথা কি আমি আপনাকে আমি বলেছিলাম? তাহলে আপনি আন্টিকে কেন গিয়ে আমার নামে নালিশ জানালেন? জানেন তার প্রসারের কি অবস্থা?
অদ্রির গা থেকে ভেসে আসা সুবাসে ধ্রুব’র কন্ঠস্বর রোধ হয়ে আসে। ও বিব্রত হয়ে বলল,
— কি অবস্থা?
— কিছুই তো আমাকে বলেন না, আন্টিকে বলার কি দরকার? দিলেন তো আন্টিকে অসুস্থ করে, টেনশনে ফেলে!

চলবে…..