বিষাদ বৃক্ষ পর্ব-০১

0
52

#বিষাদ_বৃক্ষ
#নূপুর_ইসলাম
#পর্ব- ০১

মুস্তফা আঙুল থেকে মুখে চুন নিয়ে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ বসে রইল। তার মুখে পান। সেই পান চিবুতে চিবুতে ভ্রু কুঁচকে বলল, — এত ভাবনার চিন্তার কি আছে বুঝলাম না। আপনের এক পা জমিনে আরেক পা তো কবরে। যে মরণ ব্যাধিতে পাইছে, আজ পর্যন্ত তো কেউ রক্ষা পাইছে বলে আমি শুনি নাই, বলেই তিনি তার সাথে আসা লোকের দিকে তাকালো, তাকিয়ে বলল, — ওই কালাইমা তুই বল, শুনছিস? যক্ষ্মা হইছে আর কেউ রক্ষা পাইছে।

কালাম সাথে সাথেই দু সাইডে মাথা নাড়লো। মুস্তফা এক গাল হাসলো। হেসে বলল, — আপনের জীবনতো যাযাবরের মত ছিল। আজ এখানে তো কাল ওখানে। সময় থাকতে মেয়েটার একটা গতি করেন। তিনকুলে তো কেউ নাই। হাঁটি হাঁটি পা পা করে নিয়ে আসলেন। চোখের সামনেই তো বড় হইলো। চোখ বুঝবেন শিয়াল কুকুরে কামড়ে খাইবো। তাছাড়া মেয়েতো ছোটও না। পনেরো বছর। তার মধ্যে আবার স্কুলে পড়াইতাছেন । বলি কোন আক্কোলে এই কাজটা করাইছেন। এমন চোখ ফুটাইনা মাইয়া ভালো বাড়ি থেকে কেউ নিতে চাইবো? ওই তো আপনার সাত কুলের ভাগ্য আমার ছেলের মনে ধরছে।

জাহিদ দীর্ঘশ্বাস ফেললো! ফেলে অসহায় কন্ঠে বলল, — আমাকে একটু ভাবতে দেন মুস্তফা ভাই।

মুস্তফার চোখে মুখে বিরক্তির রেখা পড়ল। শুধু প্রয়োজন তাই এখানে আসা। তা না হলে এমন চাল চুলোহীন, নিচু জাতের মানুষের কাছে মুস্তফার জুতোও আসে না। যত্তোসব! মনে মনে বিরবির করেই তিনি উঠলেন। কাজটা ঠিক মতো হলে লাভই লাভ। ব্যস এই জাহিইদা কোন ভেজাল না পাকাইলেই হয়।

সে চোখে মুখে বিরক্তি নিয়ে বলল, — এত ভালো সমন্ধ হারিকেন দিয়া খুঁজলেও পাইবেন না। ঠিক আছে, ভাববার চান ভাবেন। ভাবতে ভাবতে আবার কবরে চলে যেয়েন না। এই কুল তো গিয়া ঐ কুলে ঠেকছে। শরীর হইয়া গেছে কিছমিছ, তাও আপনাদের ঢং শেষ হয় না।

জাহিদ আর কিছু বলল না। তারা বেরিয়ে গেল। যেতেই জাহিদ মাথার উপরে ঘুরতে থাকা ফ্যানের দিকে তাকিয়ে রইল। চোখের কোনা থেকে টুপটাপ করে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো। উপরে যিনি আছেন তার প্রতি তার খুব অভিমান। কি হতো তার জীবনটা এমন না হলে। সব তো মেনেই নিয়েছিল। মেনে তার একমাত্র কলিজার টুকরাকে নিয়ে একটু শান্তিতে বেঁচে থাকতে চেয়েছিল। তাও দিতে সে নারাজ। কেন? তার সাথেই কেন? কেন আর পাঁচ দশজন মানুষের মত তার জীবন স্বাভাবিক হলো না। কেন তাকে এই যাযাবরের জীবন কাটাতে হলো। তার জীবন তো শেষ হওয়াই, কেন এখন আবার তার মেয়েটারও শেষ করতে নেমেছে। কেন? কোন বিষের খেলায় নেমেছে সে? আর এই খেলার শেষই কোথায়?

_____

অলি আবসারের হাতে যখন চিঠিটা পৌঁছালো তখন দুপুরের কড়া রোদ মিঠে হয়ে এসেছে, চারিদিক থেকে আছরের আযানের সুর ভেসে আসছে।

আবসার নড়লেন না। বয়সের শেষ প্রান্ত হলেও প্রতি ওয়াক্ত নামাজ তার মসজিদে জামাআতে পড়ার অভ্যাস। তবে আজ সে বের হলো না। চিঠিটায় আবার চোখ রাখলো। চিঠিটায় তারিখ দেওয়া ছয় দিন আগের। রেজিস্ট্রি করা চিঠি না। এসেছে হাতে হাতে। তাই হয়তো এত সময় লেগেছে।

সে তার সামনে দাঁড়ানো রমিজকে বলল, — চিঠিটা কে এনেছে?

রমিজ এই বাড়িতেই কাজ করে। বেতন টেতন নেই। কাজের বিনিময়ে খাদ্য টাইপ। বয়স যখন আট কি নয়। তখন সে রেল স্টেশনে কুলির কাজ করত। একদিন শুভ্র পাঞ্জাবি পরা এই লোকটার সামনে পড়ল। পড়তেই একগাল হেসে বলল, — কত কেজি মাল মাথায় তুলতে পারিস?

রমিজও একগাল হেসে বলেছিল, — যা আছে দেন। সমস্যা নাই।

তিনি তুলে দিলেন। বলতে গেলে তার জন্য অনেকটাই ভারী। সেই ভারী মাল গাড়ি পর্যন্ত আনতে তার দম বেরিয়ে গেল। কোন রকম গাড়িতে রেখেই সে হাঁপাতে লাগলো।

এতে অবশ্য লোকটার তেমন ভাবান্তর হলো না। সে তার পাওনা টাকা হাতে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে গাড়িতে উঠল। আরাম করে বসে শান্ত, মিষ্টি ভাবে বলল, — পেটে ভাতে থাকলে চলে আয়। আমার হাতে সময় কম। নদীতে আবার বোট ধরতে হবে।

রমিজ কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকেছে। তার তিনকুলে কেউ নেই। যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছে । তবে এই শুভ্র মুখটার মধ্যে কিছু ছিল। সে সংকোচ নিয়েই জড়সড় ভাবে গাড়িতে উঠে বসেছে। সে বসায় আজকে পার হয়েছে পনেরো বছর। সে ছায়ার মতো এই লোকটার সাথে থাকে। বাধ্য হয়ে থাকে তা না। তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিল, সিয়ানা হয়েছে পরে আশে পাশে কাজের ব্যবস্থাও করেছিল, তার ভালোই লাগে নি। এই মানুষটার সাথে থাকতে তার ভালো লাগে। তাই থাকে। যতদিন বেঁচে আছে ততদিন সে অবশ্যই থাকবে। তারপরে কি হবে সে জানে না। জানতে চায়ও না।

— খাইরুল চাচির ভাই। সে’ই সাথে কইরা নিয়া আইছে।
— কোথা থেকে?
— শহর থাইকা, সে তো শহরের কারখানায় কাজ করে।
— তাকে আসতে বল! আমি তার সাথে কথা বলতে চাই। বলেই অলি আবসার উঠলেন। আছরের নামাজের সময় কম। নামাজটা পড়ে ফেলা দরকার। অবশ্য আজ তিনি জামাতে পড়বেন না। তার মনটা বিক্ষপ্ত হয়ে আছে। এই অবস্থায় হাঁটতে ইচ্ছে করছে না।

অলি আবসার এক সময় শিক্ষক ছিলেন। তখন কার সময়ে তিন চার গ্রামে একমাত্র তিনিই বিএ পাশ করেছিলেন। পাশ করে শিক্ষতায় যোগ দেন। স্ত্রী,ছেলে মেয়ে নিয়ে তখন তার ভরা সংসার। তখনি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো, বড় ছেলের নাজুক কাঁধে এই ভরা সংসারের দায়িত্ব ফেলে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলেন। শুধু সে না আরো বেশ কয়েকজন। আর এই কয়েকজনের মধ্যে ফিরে এলেন মাত্র দু- জন। এক সে, আরেকজন ইব্রাহিম। ইব্রাহিম তাদের প্রতিবেশী । বয়স অল্প। তার বড় ছেলের এক কি দু- বছরের বড় হতে পারে। বাবা নেই, বৃদ্ধ মা ছোট ভাইকে নিয়ে তার সংসার। সেই বৃদ্ধ মা আর ভাইকে ফেলেই সে তাদের সাথে যোগ দিলেন।

আবসার প্রথমে নিতে চাইনি। কি করে নেবে? তার ছেলের মতোই তো। তবে এই ছেলে নাছোড়বান্দা। যাবে তো যাবেই। পরে আর সে দ্বিমত করেনি।

অবশ্য তার দ্বিমতে কিছু আসতো যেতও বলে মনে হয় না। এই সতেরো বছরের কিশোরের বুকে ছিল অসীম সাহস। তা তিনি নিজের চোখে দেখেছেন। তারা ফিরে এলেন। শুধু ফিরে এলেন তা না, সাথে করে নিয়ে এলেন পনেরো-ষোল বয়সের এক কিশোরীকে। যার পরিচয় তিনি দিলেন তার ধর্মের বোন বলে। আর তার নাম ছিল আনজুম। আর এই আনজুম ছিল দেখতে অসম্ভব রুপবতী। এ রকম রুপ গাও গ্রামে সচারচর দেখা যায় না।

তিনি যেমন তিন চার গ্রামে প্রথম বিএ পাশ করেছিলেন বলে তাদের গ্রামসহ আশে পাশের গ্রামেও তার সুনাম ছিল। ঠিক তেমনি এই রুপের সুনাম তিন চার গ্রাম অনায়াসেই ছড়িয়ে গেল। এমন আগুনের মতো তেজধারী রুপ গ্রামের মানুষ যেন আগে দেখেনি। এ যেন তাদের মা, দাদির মুখে গল্প, কিচ্ছার আসমানের পরী। বাসায় হুমড়ি খেয়ে পড়তো গ্রামের বাচ্চা থেকে মহিলাদের দল।

অলি আবসার সবাইকে সদারেই গ্রহন করতেন। হেসে বলতেন, — আমাকে আপনারা যেমন সম্মান করেন। আশা করি আমার এই বোনটাকেও করবেন। সে বড়ই দুঃখিনী। এই দুঃখিনী কে আমি আমাদের গ্রামে নিয়ে এসেছি বরই বড় মুখ করে। আশা করি সেই মুখ আমার রাখবেন।

সবাই সে কথা রাখলো! তবে কেন এত দুঃখিনি সেটা কেউ বুঝলো না। বুঝলো ছয়, সাত মাস পরে। বুঝেই সবাই অলি আবসারের কথা একেবারেই ভুলে গেলন। যাবেই না কেন? গর্ভে যে বিষাক্ত রক্তের সন্তান। এই সন্তান, এই মা দু-জনেই কলঙ্কিনী। এই কলঙ্ক তাদের গ্রামে রাখবে কেন?

পুরো গ্রাম একজোট হলো। অলি আবসার অনেক বুঝানোর চেষ্টা করলেন। এমন কিছু না। ওর স্বামীও তার সাথে ছিল। সে মারা গেছে, তার পরিবারকেও মেরে ফেলা হয়েছে। মাথার উপরে কোন ছায়া নেই। তাই তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।

তার কথা কেউ বিশ্বাস করল না। বরং আরও ক্ষেপে গেল। অলি আবসার বরই শান্ত বিচক্ষণ মানুষ। এখানে তার বোন যে আর সুরক্ষা না তিনি অনায়াসেই বুঝলেন। তাই রাতের অন্ধকারে শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। সেখানে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কালিন এক বন্ধু ছিল তার ওখানে রাখলেন। আর এই সব কিছু তিনি করলেন সেই ইব্রাহিমকে দিয়ে। ইব্রাহিম ছায়ার মত তার সেই দুঃখিনিকে আগলে রাখলেন।

সেখানেই সে এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম দিলেন। দিয়ে সেখানেই থাকতে লাগলেন। যার কপাল পুড়া, তার জন্য পুরো দুনিয়াই পুড়া। হঠাৎ একদিন পা ফসকে সিঁড়ি থেকে নিচে গড়িয়ে পড়লেন। মাথা থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হলো। সেই আঘাতে সেই তেজধারী রুপের দুঃখিনী তখনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন।

সেই সন্তান নিয়ে অলি আবসার কি করবেন বুঝতে পারলেন না। সেই সন্তান তার বন্ধুর বাসায়ই এলে বেলে বড় হতে থাকলো। অবশ্য খরচ টরচ সব অলি আবসার বহন করতেন। তবে করলে কি? মা, বাবা ছাড়া সন্তান এই পৃথিবীতে ধূলোবালির মতো গড়াগড়ি খায়। সে সন্তানও খেতে খেতে বড় হতে লাগলো। তারপর হঠাৎ একদিন খবর এলো সেই ছেলে গায়েব। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

অলি আবসার দৌড়ে গেলেন। পাগলের মত খুঁজলেন! এক হতভাগীর মাথায় হাত রেখে সে কথা দিয়েছিল,” আজ থেকে সব দায়িত্ব তার” কিন্তু সেই কথা তিনি কোনভাবেই রাখতে পারলেন না। তিনি হাশরের ময়দানে মুখ দেখাবেন কি করে?

সেই দিন অলি আবসার হাউমাউ করে কাঁদলেন। নিজের ব্যর্থতার জন্য তার ভেতর দুমড়ে মুচড়ে গেলেন। কিন্তু সেই কাঁদাই শেষ। এর পরে আর তাকে কেউ কাঁদতে দেখেনি। সে ছিল নির্বিকার। শিক্ষকতা করেছেন। সাথে বাপ, দাদার বেশ জমিজমা ছিল। সেগুলো দেখাশুনা করেছেন। ছেলেদের লেখাপড়া করিয়েছেন। মেয়েকে ভালো ঘর দেখে বিয়ে দিয়েছেন।তার পর ধীরে ধীরে জীবনের মতো জীবন চলতে লাগলো। এখন ছেলে, ছেলের বউ নাতি নাতনীদের নিয়ে ভালো আছেন। ভালো থাকলেও তিনি থাকেন নিজের মতো। বাড়ির কোন কিছুতেই সে খুব একটা মাথা ঘামায় না। সময় মতো খাবার আর সময় মতো নামাজ এসবের মধ্যেই তার জীবন সীমাবদ্ধ।

সেই নিজের মতো থাকা খাওয়ার মানুষটার নিয়ম আজ ব্যতিক্রম ঘটেছে। সেই কথা যখন মুর্শিদার কানে গেল। সে দৌড়ে এলো। মুর্শিদা এই বাড়ির বড় বউ। আবসারের বড় ছেলে আহমাদের বউ। আর এ বাড়ির বর্তমান কর্ত্রী। শাশুড়ির মৃত্যুর পর সব দায়িত্ব নিজ দায়িত্বে নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন। এবং নিষ্ঠা ভাবে পালনও করছেন ।

মুর্শিদা এসেই দরজার সামনে থেকে উঁকি দিলো। দেখলো তার শ্বশুর নামাজে দাঁড়িয়েছে। সে সোজা হয়ে ভালো করে ঘোমটা টানলো। টেনে দরজার সাইডেই দাঁড়িয়ে রইল। এত বছরের সংসার তার। বাড়ির প্রতিটা মানুষের নখ থেকে চুলের গোড়া পর্যন্ত তার চেনা। তাই সে ঠিকিই বুঝলো। আসলে আজ শ্বশুরের শরীরে রোগ না, রোগটা মনের।

নামাজ শেষ হতেই মুর্শিদা ভেতরে এলো। শ্বশুরকে সে নিজের বাবার চেয়েও বেশি সম্মান করে। অবশ্যই না করেই উপায় কি? শান্ত শিষ্ট কোমল মনের এই মানুষটাকে কেই না সম্মান করবে? সে এসেই বলল, — শরীরডা খারাপ লাগতেছেনি আব্বা?

অলি আবসার জায়নামাজ গুছিয়ে খাটে বসলেন! বসে শান্ত ভাবে বললেন, — না বড় বউ, ভালো। খাইরুলের ভাইকে আসতে বলেছি। একটু নাস্তা পানির ব্যবস্থা করতো মা । আর শোনো বাড়ির সবাইকে ডাকো। আমার কথা আছে।

মুর্শিদা অবাক হলো তবে প্রকাশ করল না। সবাইকে ডাকার মতো হঠাৎ কি কাজ পড়ল, তার মাথায় আসলো না। সে নিশব্দেই বেরিয়ে এলো। বেরিয়েই সবার খোঁজ পাঠালো। এই সময়ে এই বাড়িতে খুব কম সময়ই পুরুষরা থাকে। তাদের যত কাজ বাইরে। সন্ধ্যার বাতি জ্বলে না ওঠা পর্যন্ত এদের কারো চেহেরা দেখা যায় না। বলেই তিনি খাবার ঘরের দিকে গেলেন। নাস্তা পানির ব্যবস্থা করতে হবে। এর মধ্যে আবার খাইরুলের ভাইয়ের কাহিনী কি কে জানে?

সে খাবার ঘরে ঢুকতে গিয়েই থমকে দাঁড়ালো। দাঁড়িয়ে পেছন ফেরে তাকালো। তার শাড়ির আঁচল দরজায় আটকে গেছে। শুধু আটকে যাইনি সে নিজের মতো হেঁটেছে, তাই ছিঁড়েও গেছে।

সে এগিয়ে গিয়ে আঁচল ছাড়ালো। ছাড়িয়ে সেই ছেঁড়া অংশে নিশ্চুপ তাকিয়ে রইল। তখনি খাইরুল উঠানে দাঁড়িয়ে হেসে হাক ছেড়ে বলল, — মুর্শিদা ভাবি, ও মুর্শিদা ভাবি, চাচাজান নাকি আমার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে চাইছে ? কই গেলা?

চলবে…..