বিষাদ বৃক্ষ পর্ব-০২

0
40

#বিষাদ_বৃক্ষ
#নূপুর_ইসলাম
#পর্ব- ০২

অলি আবসারের গ্রাম আর পাঁচ দশটা গ্রামের মতোই। সবুজ – শ্যামল, শান্ত, ছায়াঘেরা। আরো আছে মাঠ ভরা ধান, সবুজ গাছগাছালি, মেঠো পথ, জল ভরা দিঘি আর সহজ সরল কাদামাটির মতো নরম মনের মানুষ।

এই গ্রামটা আবসারের পৈতৃক ভিটা। শুধু তার না। তার বাবার, দাদার। এখানেই তাদের জন্ম, এখানেই বেড়ে ওঠা। এই গ্রামটা যেমন অলি আবসারের নিকট প্রিয় তেমনি এই গ্রামটা সহ আশে পাশের সকলের কাছে অলি আবসারও যেমন প্রিয় তেমন’ই সম্মানের। শুধু আবসার না, এই বাড়ির প্রতিটা সদস্যকে এই গ্রামের মানুষ অন্য রকম একটা সমীহ করে। অবশ্য এর কারণও আছে।

অলি আবসারের দুই ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে আহমাদ, ছোট ছেলে আমজাদ। বাবার মতোই তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। তাদের গ্রামে হাইস্কুল নেই। কয়েক গ্রাম মিলে গঞ্জে হাইস্কুল। সেটাও প্রায় কয়েক গ্রাম পরে। এতে আর যাই হোক কোন মেয়েকে পড়ানোর ইচ্ছা বা কষ্ট গ্রামের মানুষ কেউ’ই করতে চায় না। সরকারি স্কুল আছে, সেখানে কোন রকম ফাইভ পর্যন্ত পড়ে। এর মধ্যেই বিয়ের কার্যক্রম চলতে থাকে। আবসারের ইচ্ছা থাকলেও সমাজের কাছে হার মানতে হয়। ঢেং ঢেং করে পড়া লেখা করা মেয়েকে বিয়েই করবে কে? তাই সেই দিকে কেউ যায়’ই না। আবসারও যায় নি। ভালো ঘর দেখে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। সুখে শান্তিতে আছে। ছোট ছেলে আছে জমি জমা নিয়ে। সাথে চালের আড়ৎ আছে। সেখান থেকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাল মজুদ করে শহরে বিক্রি করে। তার ঘরে দুই মেয়ে। মুনিয়া, মিথি। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে মুনিয়ার বিয়ে হয়েছে। ভালো ঘর। সুখে শান্তিতে আছে।

আর বড় ছেলে আহমাদ ছিল সরকারি চাকরিতে। বয়সের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অবসর নিয়েছে। তার ঘরে দুই ছেলে এক মেয়ে। আগে অবশ্য দুই মেয়েই ছিল। এক বর্ষায় সাপে কাটল। কয়েকগ্রাম মিলে একটা সরকারি হাসপাতাল। দৌড়ে সেখানে নেওয়া হলো। নিলেও কি? অজোপাড়া গায়ে নামের সরকারি হাসপাতাল। ডাক্তার নেই, চিকিৎসা নেই। মেয়েটি মারা গেল।

আহমাদের প্রথম সন্তান সে। শুধু আহমাদ না পুরো বাড়ির প্রথম সন্তান সে। সবার বুকটাই যেন কেঁপে উঠল। তখনি আহমাদ শপথ করলেন। বিনা চিকিৎসায় সে কোন মেয়েকে আর মরতে দেবেন না। সে তার সর্বস্ব দিয়ে হলেও হাসপাতাল দেবেন। দিলোও তাই। সে তার পুঁজি পাঁজা, বউয়ের গহনা, এমনকি নিজের ভাগের জমি জমা সব বিক্রি করে গঞ্জে ক্লিনিক দিলেন। ঢাকা থেকে ডাক্তার আনলেন। নাম দিলেন আশা ক্লিনিক। আশা তার সেই মেয়ের নাম। এই আশা ক্লিনিকই হলো তাদের গঞ্জে প্রথম ক্লিনিক। যেখানে সর্বক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার মতো ডাক্তার আছে। এমন কি মহিলাদের জন্য বিশেষ করে সপ্তাহে একদিন শহর থেকে এসে মহিলা ডাক্তার পর্যন্ত বসে।

আহমাদ যেমন তার সর্বস্ব ঢেলে এই ক্লিনিকে দিলেন। তেমনি এই ক্লিনিকও সর্বস্ব ঢেলে তাকে সাত গুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন বয়স হয়েছে, তাছাড়া দিন বদলে যাচ্ছে, চিকিৎসার ধরণও বদলে যাচ্ছে। তিনি এখন অনেক কিছুই বুঝেন না। তাই বর্তমানে সে তেমন কিছুই করেন না। পত্রিকা পড়েন আর সময় অসময় গঞ্জে গিয়ে আডা টাড্ডা দেন। বর্তমানে এই ক্লিনিকের দায়িত্বেই আছে তার ছোট ছেলে আজাদ। বড় ছেলে হাইস্কুলের শিক্ষক। সে এসব ঝামেলায় আসতে চাইনি। সে চেয়েছে দাদার মতো শিক্ষকতা করতে। তাই সে তাই করছে।

গ্রামের ছেলে পেলে লেখাপড়া করেনা বললেই চলে। সেখানে আবসার তার ছেলে, নাতিদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষত করেছেন। শক্ত ভাবে দাঁড় করেছেন। তাই গ্রামে তাদের সবাই একটু উচ্চ নজরেই দেখেন। অবশ্য এই নজরও অলি আবসারকে কখনও গলাতে পারে নি। সে থাকে তার মতোই। অনেক সময়ই মুরব্বি হিসেবে গ্রামের অনেক কাজে, অনেক বিচার সালিশে তাকে ডাকা হতো। সে তার স্বভাব মতো হেসে শান্তভাবে বলতো, — মাফ করোগো ভাইয়েরা। এই সংসার থেকে মুক্তি নিয়েছি। এখন যেই কয়দিন বাঁচি, আল্লাহর সেজদাহ দিয়েই বাঁচতে চাই।

তবে হয়তো আবসার জানে না। সে সংসার থেকে মুক্তি নিলেও সংসার তাকে ছাড়েনি। তাইতো এতো আয়োজন। আয়োজন বলেইতো এই চিঠি আজ তার হাতে। হাতে বলেই আবসার আবার অনেক অনেক দিন পরে নড়েচড়ে বসছে। এবার যে বসতে হবে শক্ত ভাবে। প্রথম বারের ভুল এবার সে করবে না।

সেই করার প্রথম বহমান হাওয়া বদলের কথাই যখন বাড়ির সবাই শুলনো, সবাই বলতে গেলে দৌড়ে এলো। আসবেই না কেন? কত সুখ গেল, দুঃখ গেল। আবসার থেকেছে নিজের মতো। এমনকি আহমাদ ক্লিনিক দেওয়ার সময় সয় সম্পত্তি বিক্রি নিয়েও দুই ভাইয়ের মাঝে ঝামেলা হলো। তখনও তিনি থেকেছে নিশ্চুপ। আমজাদ ক্ষোভ নিয়ে বাবাকে বলতেই সে হেসে বলেছে, — “দু- ভাই তোমরা। ছোট থেকে বড় হয়েছো সব কিছু ভাগাভাগি করে খেয়ে পরে। এই সব সয় সম্পত্তি ও তোমাদের। আজ বড় ভাই কিছু করার জন্য ছোট ভাইয়ের কাছে ভাগ চাইছে। এখন ছোট ভাইয়ের ইচ্ছা, সে দেবে কি না দেবে। এখানে আমি বলার কে। ”

ব্যস আমজাদ আর কিছু বলেনি। সে আহমাদের চেয়ে সব কিছুতেই চতুর বেশি। আহমাদ সরকারি চাকরির সুবাদে এখানে ওখানে থেকেছে। গ্রামে বলতে গেলে আমজাদই থেকেছে। তাই গ্রামের হাবভাবও সে বেশি বুঝে। তাই ক্লিনিক দেওয়া ঝুঁকি তবে একবার দাঁড়ালে পিছু ফিরে তাকাতে হবে না সে জানে।

তার জানা ভুল হয়নি। আসলেই আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। জমি যা বিক্রি করা হয়েছিল, তার সবই আবার কেনা হয়েছে। আর মোট কথা গ্রামে তাদের একটা শক্তপুক্ত জায়গা হয়েছে। আর এতো কিছুই তার বাবা ঠান্ডা মাথায় পাশ কাটিয়েছে, তো আজ এমন কি হলো যে একসাথে সবাইকে তলব করেছে।

আবসারের তলবে সবাই দৌড়ে এলোও আজাদ এলো সবার শেষে, নির্বিকার ভাবে। নির্বিকার ভাবেই তার স্বভাব মতো ধরাম করে দরজা খুললো। তার দ্বারা ধীরে, সুস্থে, নীরবে কোন কাজ কখনও হয়নি। আজও হলো না। ধরাম করে দরজা খুলে ধরাম করেই খাটে বসল।

তার দাদার খাট দাদার মতোই পুরোনো। বিয়ের সময় কিনেছিলেন। মানুষ ক্ষয় হয় তবে স্মৃতি না, মায়াও না। তাই হাজার বলে কয়েও এই খাট আর কেউ বদলাতে পারেনি। তাই আজাদের এই অত্যাচারে খাট যেন চিৎকার করে উঠল।

অবশ্য এই চিৎকারে কারো মধ্যে কোন ভাবান্তর হলো না। এই ছেলের ধাত ই এমন। দেখতে দেখতে সবার সব সয়ে গেছে। তাছাড়া দাদার গুন দাদার চেয়েও দশগুন বেশি পেয়ে বসে আছে সে । কোন কিছু নিয়েই এর কোন মাথা ব্যথা নেই। নেই বলেই দাদার ডাকে দৌড়ে আসার কোন তাগিদ তার মধ্যে দেখা যাই নি। যাই নি বলেই তার আসতে আসতেই মাগরিবের আযান চারিদিকে মধুর সুরে ভাসতে লাগলো।

অলি আবসার কিছু বললেন না, অবশ্য কখনও তিনি কিছুই বলেন না। তিনি শ্বশুর হিসেবে সম্মানের, বাবা হিসেবে ভালোবাসার, দাদু হিসেবে একটা মজার বন্ধুর মতো। যাকে যখন খুশি যা খুশি নির্ভয়, নিঃসংকোচে বলা যায়, করা যায়, যে কোন আবদার রাখা যায়।

আজাদ বসতেই আবসার কিছুক্ষণ নিশ্চুপ বসে রইলেন। তার চোখ মুখ শুকনো। তারপর কোন ডানে বামে গিয়ে সময় নষ্ট করলেন না, সোজা সহজ ভাবে বললেন, — আমি আজাদকে বিয়ে করাতে চাই। তোমাদের কোন আপত্তি আছে?

সবাই অবাক হয়ে তাকালো। শুধু আজাদ হেসে ফেলল। যেন খুব মজার কথা শুললো।

তার দিকে আসাদ কটমট করে তাকালো। আসাদ আবার সব কিছুতেই সিরিয়াস। হেঁয়ালি, দুষ্টামি এগুলো সে একদম পছন্দ করে না। আর তার এই গুণের জন্য তার বেচারী বউ দিন রাত ভয়ে দাঁত খিঁচিয়ে থাকে।

আজাদের হাসি দেখে অলি আবসারও হালকা হাসলেন। তার এই নাতিটা সব সময়ই এমন। গুরুতর, গুরুত্বপূর্ণ বলে কিছু নেই। তার এক কথা। যা হবার হবে। এত কেঁদে, কেঁটে, চিন্তায় চুলে পাক ধরিয়ে লাভ কি?

আহমাদ অবাক হয়েই বলল,– হঠাৎ এই কথা কেন আব্বা?

আবসার বড় একটা শ্বাস ফেললো। ফেলে শান্ত ভাবে বলল, — সেটা জানতে পারবে। শুধু এইটুকু বলো আমার সিন্ধান্তে তোমাদের কি কোন সমস্যা আছে?

আহমাদ কিছু বলতে পারল না। আর বাকি সবাই যেমন তেমন, তবে মুর্শিদা বাক্য হারা হয়ে বসে আছে। আজাদের বিয়ের বয়স হয়েছে। তবে মুনিয়ার বিয়ের পরে বাড়িতে আরো দুটো মেয়ে আছে। ভেবেছে তাদের একটা দিক করে তারপরে আজাদের কথা সবাই ভাববে। সেটা না হয় এক ব্যবস্থা হতো। তবে সে আবার তার বোনকে কথা দিয়ে রেখেছে। তার বোনের মেয়ে আজাদের জন্য আনবেন। মধ্যিখানে এই বিয়ে আসলো কোথা থেকে?

আহমাদ মুর্শিদার হাবভাব বুঝলো। না বোঝার কিছু নেই, এতদিনের সংসার। বুঝে বলল, – এটা কিভাবে সম্ভব আব্বা। চেনা নেই জানা নেই। বিয়ে তো ছেলে খেলা না।

— আমি জানি। তবে মনে করো এটা তোমার আব্বার শেষ ইচ্ছা।

আজাদ বাদে এবারো সবাই হতবাক হলো। হতবাক হয়েই তাকিয়ে রইল। আবসার তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে আজাদের দিকে তাকালেন। বললেন, — এই বাড়িতে বিয়ের লাইক ছেলে একমাত্র তুমিই আছো। তাই তোমাকেই বলছি। তোমার কি কোন আপত্তি আছে? মেয়ে কেমন আমি নিজেও জানি না। কানা, লেংড়া এমনকি বোবাও হতে পারে। তাই ভেবে বলো। আমি কাউকেই আদেশ করছি না, জোরও করছি না। তবে হ্যাঁ অনুরোধ ধরতে পারো।

সবাই হা করে তাকালো। বলে কি তাদের আব্বা। বয়সে ভীমরতি হয়। তাই হলো নাকি? অবশ্য কানা, লেংড়া, বোবায় সবাই হা হলেও আজাদের তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হলো না। সে হাই তুলে বলল,– কোন সমস্যা নেই দাদা। মরার আগে তোমার ইচ্ছে হয়েছে এক নাতির গলায় ফাঁসি নিজ ইচ্ছায় দেবে, তো দাও। পরে পছন্দ না হলে, না হয় নিজ ইচ্ছায় আরেক বার দেবো ।

শবনম হেসে ফেললো! শবনম আসাদের বউ। তার হাসি দেখে আসাদ আবার তার দিকে কটমটিয়ে তাকালো। শবনম সাথে সাথে হাসি থামিয়ে ফেললো। ফেলে মাথার আঁচল টেনে সাথে সাথে মুখ ঢাকলো।

ছেলের এত গা ছাড়া কথা শুনে আহমাদ মনে মনে বিরক্ত হলো। তবে গা ছাড়া হলেও এই ছেলে কাজে করিতকর্মা। সে শুধু ক্লিনিক খুলেছিল। বাকি সব করেছে এই ছেলে। তাই ছেলে আর আব্বার কথার পরে আর কি বলবে ভেবে পেল না। তাছাড়া আব্বা কখনও কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া তো ভালোই, আজ পর্যন্ত কখনও কিছু বলেই নি। আজ কেন তিনি এভাবে বলছেন সে ভেবে পেল না।

আবসার বড় ছেলের মনোভাব বুঝলো, বুঝে একটা চিঠি আহমাদের দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বলল, — জোরেই পড়। সবার মনের জিজ্ঞাসা শেষ হোক।

আহমাদ ভ্রু কুঁচকে তাকালো! তাকিয়েই হাতে নিল, নিয়ে একটু চোখ বুলিয়ে পড়তে শুরু করল।

শ্রদ্ধেও অলি আবসার,

আপনাকে আমি কি বলে সম্বোধন করব জানি না। সেভাবে তো সম্বোধন করার কখনো সুযোগ পাইনি। অবশ্য সেই সুযোগ আমি নিজেকে নিজেই দেইনি। তবে আমি এইটুকু জানি, আপনি আমার মাথার উপরে বটগাছের মতো। যেই বটগাছ আমি চাই আর না চাই, আমার যে কোন প্রয়োজনে আপনি অবশ্যই আপনার স্নেহের হাত আমা মাথায় রাখবেন। যে হাত আমি একদিন নিজের ইচ্ছায় ছেড়ে চলে এসেছিলাম। এখন আমার সেই হাতটুকু আবার প্রয়োজন। উহু নিজের জন্য না। আমার মেয়ের জন্য। আমার মেয়ে আমার মতোই হতভাগা। জন্মের সময়ই সে তার মাকে হারিয়েছে। এখন হারাতে হচ্ছে বাবাকে। আমাকে মরণ ব্যাধি পেয়েছে। অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ। আমি ছাড়া আর আমার মেয়ের এই দুনিয়ায় কেউ নেই। আশা করি এই বাবা, মা ছাড়া এই দুঃখিনী মেয়েটার ছায়া হয়ে পাশে দাঁড়াবেন।

ইতি
এক হতভাগ্য পিতা আবদুল জাহিদ

জাহিদ নামটা শুনতেই আহমাদ অবাক হয়ে তাকালো। সে যা ভাবছে এই কি সে। জাহিদ যখন চলে যায় সে তখন ভালোই বড়। মুক্তিযুদ্ধের পরে বাবা যখন জাহিদেন মাকে নিয়ে ফিরে আসলো। তখন তার বয়স চৌদ্দ পনেরোর কাছাকাছি। তার মার কথা সবই তার মনে আছে । কিন্তু চলে যাওয়ার পরে কি হয়েছিল সে জানে না । তবে বাবা একবার পুরো ভেঙে পড়েছিল। সেই ভেঙে পড়ার সময় তার হাত ধরে বলেছিল, — “আহমাদ আমার মৃত্যুর পরে যদি কখনও জাহিদ নামের কেউ কোন দিন, কোন কারণে তোমার কাছে আসে। কারণ যাই থাক, তুমি তাকে জীবনের শেষটুকু দিয়ে হলেও সাহায্য করবে। অবশ্যই করবে।” এই কি সেই জাহিদ?

চলবে……