#বুকপকেটে_তুমি
#লেখায়_জান্নাতুন_নাঈম
#পর্ব_১২(শেষ পর্ব)
রাত আড়াইটা বাজে। হঠাৎ করেই জেনেটিক কেয়ার ল্যাবসের দুটো ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে যায়। চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ ভয়ে ছোটাছুটি করছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নেভালেও পুরো ফ্যাক্টরির বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। ফ্যাক্টরির ভেতরে অনেক ঘুমন্ত মানুষ আগুনের পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন আহত পুড়ে গিয়ে আহত হয় শতাধিক মানুষ। আগুন লেগে সদ্য বাজারে আনা নতুন ওষুধ নষ্ট হয়ে যায়। কোম্পানির মালিক নেওয়াজ আলী খান বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তাকে এখন আবার ওষুধ তৈরি করতে নতুন করে বিনিয়োগ করতে হবে। প্রজেক্ট ‘কে’ এর সদস্যরা বুঝতে পারে না কে আগুন লাগিয়েছে। তবে এতটুকু বোঝা যাচ্ছে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়েছে।
সকালে নীলাঞ্জনা ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি করে ফেলল। রাতে অনেক দেরি করে ঘুমিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে নিচতলায় যেতেই দেখল অফিসার রাশেদ বসে আছে। অফিসার রাশেদ কাল রাতে ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগা নিয়ে সরোয়ারের সাথে বসে গল্প করছে। নীলাঞ্জনা বলল, “শুভ সকাল অফিসার।”
অফিসার রাশেদ বললেন, “তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বলো, কাল রাতে কি বলতে চেয়েছিলে?”
নীলাঞ্জনা সরোয়ারের দিকে তাকাল। তারপর বলল, “খুব গোপন কথা, সবার সামনে বলা যাবে না। আমার রুমে চলুন, ওখানেই বলা যাবে।”
অফিসার রাশেদ বললেন, “হ্যাঁ, চলো।”
নীলাঞ্জনা অফিসার রাশেদকে নিয়ে তার রুমের দিকে চলে গেল। সরোয়ারের বুঝতে অসুবিধা হলো না কেন নীলাঞ্জনা তার সামনে আলোচনা করছে না।
নীলাঞ্জনা রুমে বসে দরজা বন্ধ করে দিল। অফিসার রাশেদ খাটের উপর গিয়ে বসলো। নীলাঞ্জনা বলল, “কাল সকালে আপনাকে অনেক কথা বলতে গিয়েও বলা হয়নি। কাল সকালেই আমার সাথে সেলিমের প্রজেক্ট ‘কে’ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। মানে এতগুলো মানুষ হঠাৎ করে গুম হয়ে যাচ্ছে। সে চাইছিল তাদের মুক্তি দিতে, যাতে তারা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পারে। প্রজেক্ট ‘কে’ এর লোকেরা মাটির ৫০০ ফুট নিচে নাকি একটা টর্চার সেল বানিয়েছে। ওখানে অনেক মানুষকে বন্দি করে রেখেছে। সেলিমকেও ওখানেই রেখেছে।”
অফিসার রাশেদ বললেন, “আমি এই বিষয়ে জানি। তোমার স্বামী মানে সেলিম রহমানের সাথে আমিও অনেক দিন ধরে প্রজেক্ট ‘কে’ নিয়ে কাজ করছি। আমরা মোট পাঁচজন ছিলাম। কাল আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিল। আমার সাথে সন্ধ্যার আগে দেখা হয়েছিল। আমিই তাকে প্রজেক্ট ‘কে’ এর সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলাম।”
নীলাঞ্জনা বলল, “সে বাসার পিসিতে মেইল পাঠিয়েছে, যেখানে সরোয়ার সিদ্দিকীও আছে।”
অফিসার রাশেদ বললেন, “এখন আমাদের লক্ষ্য হলো টর্চার সেলের অবস্থান খুঁজে বের করা। তারপর সবাইকে এক এক করে উদ্ধার করব।”
নীলাঞ্জনা বলল, “অবস্থান আমি পেয়ে গেছি। এজন্যই আপনাকে আসতে বলেছি। আমার একটা পরিকল্পনা আছে। সেই অনুযায়ী কাজ করলে ২৩ জনকেই গ্রেফতার করতে পারবেন।”
অফিসার রাশেদ বললেন, “দুজন কাল রাতের আগুনে পুড়ে মারা গেছে।”
নীলাঞ্জনা বলল, “বলেন কী?”
অফিসার রাশেদ বললেন, “আগুন লাগানোর প্ল্যানটা সেলিম রহমানের ছিল।”
নীলাঞ্জনা বলল, “এখন আমার পরিকল্পনা শুনুন। লোকেশন যেহেতু আমাদের কাছে আছে, তাহলে ওদের উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। কীভাবে করবেন?”
অফিসার রাশেদ বললেন, “টর্চার সেলে থাকা মানুষেরা জবানবন্দি দেবে। তাছাড়া আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। সে আমার উপর ছেড়ে দাও।”
নীলাঞ্জনা বলল, “আজ সন্ধ্যায় টর্চার সেলের এলাকায় পুলিশ নিয়ে যেতে হবে। পুলিশের অনেক সদস্য প্রয়োজন।”
অফিসার রাশেদ বললেন, “কাল থেকেই আমরা সরোয়ারকে নজরে রেখেছি। তুমি ভয় পেয়ো না। আমরা খুব তাড়াতাড়ি সেলিম রহমানসহ বাকি সকল বন্দিদের মুক্ত করে আনব।”
নীলাঞ্জনা বলল, “আশাকরি আপনার উপর ভরসা করতে পারবো। বিশ্বাস করুন এই দুই দিন আমার কি বাজে ভাবে কাটছে বলে বোঝাতে পারবো না।আব্বু আম্মু ভেঙে পড়বে বলে ওদের সামনে কান্নাকাটি করতে পারছি না। আমি নিজেকে দুর্বল দেখালে ওরা আরো বেশি ভেঙে পড়বে।তাই নিজেকে শক্ত দেখানোর নাটক করতে হচ্ছে কিন্তু ভেতরে ভেতরে আমি অনেক ভেঙে পড়েছি। এইদিকে আব্বুও খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে সেলিমের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে। না জানি সেলিম এখন কেমন আছে।”
অফিসার রাশেদ বলল, “আপনি চিন্তা করবেন না।আমরা উনার কিছু হতে দিব না। আমি এখন গেলাম।তিনটা বাজে থানায় আসবেন ।যেহেতু আপনি টর্চার সেলের লোকেশন জানেন”
নীলাঞ্জনা বলল, “আমি আয়ান চৌধুরীর মাধ্যমে জেনেছি। সেদিন মনে আছে আয়ান চৌধুরীর বাড়ি থেকে একটা বই এনেছিলাম। ওখানে কোন বই ছিল না। বইয়ের কাভারের ভেতরে ডায়রি ছিল। এখানেই টর্চার সেলের কথা লেখা ছিল”
অফিসার রাশেদ বলল, “বুঝতে পেরেছি। আমি তবে আসি”
নীলাঞ্জনা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। অফিসার রাশেদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল।বাইকে উঠে স্টার্ট দিতেই সরোয়ার তার দিকে এগিয়ে এলো।বলল, “চলে যাচ্ছেন?”
অফিসার রাশেদ বলল, “থানায় অনেক কাজ আছে।তাই চলে যাচ্ছি।”
সরোয়ার বলল, “নীলা কি বলল?”
অফিসার রাশেদ বলল, “সেইরকম কিছু বলেনি।কাকে কাকে সন্দেহ হয় এইসব বলল। আমি তবে আসি”
সরোয়ার বলল, “হ্যা আসুন তবে”
দুপুর একটা। নীলাঞ্জনা থানার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিল। পেছনে থেকে আয়শা ডাক দিয়ে বলল, “ভাবি, কোথায় যাচ্ছো?”
নীলাঞ্জনা বলল, “থানায় যাচ্ছি।”
আয়শা বলল, “কাল থেকে না খেয়ে আছো। অন্তত কিছু খাও।”
নীলাঞ্জনা বলল, “খাব, কিন্তু এখন না। এখন আমার কিছু জরুরি কাজ আছে।”
নীলাঞ্জনা ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লো। আয়শা পেছন থেকে অনেক ডাকাডাকি করলো, কিন্তু নীলাঞ্জনা পিছনে ফিরে তাকাল না।
একটা অন্ধকার রুমে সেলিম বসে আছে। অন্ধকারে নিজের হাতও দেখা যায় না। হঠাৎ করেই লোহার গেট খোলার আওয়াজ আসলো। গেট খুলে কেউ যেন ঘরের ভেতরে প্রবেশ করছে। হঠাৎ সরোয়ার বলে উঠল, “কেমন আছো, ভাইয়া?”
সেলিম কোনো জবাব দিল না। সরোয়ার আবার বলল, “তোমার বউ অনেক গোয়েন্দাগিরি করছে। আমি অবাক হচ্ছি, তোমার বউ আমাদের ঠিকানা এত তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করেছে। তবে সে যতই চালাকি করুক না কেন, তোমাকে খুঁজে পাবে না।”
সেলিম চুপচাপ বসে রইলো। দুই-তিনজন লোক এসে সেলিমের হাত-পা শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধা শুরু করলো। একজন এসে সেলিমের মুখে শক্ত কাপড় গুঁজে দিল।দুই তিন জন মিলে সেলিম কে টর্চার সেলের বাইরে নিয়ে আসা হলো।পুরো টর্চার সেলে ৫২ টা ছোট ছোট রুম আছে।একটা কয়লার একটা গোসল খানা ।তাও খুব ছোট।এই প্রথম সেলিম নিজের চোখে টর্চার সেলের দৃশ্য দেখলো। আশেপাশে থাকা প্রতিটা ছোট ছোট রুমে মানুষ বন্দি অবস্থায় আছে।সবাই দরজার ছোট্ট ফাঁকটা দিয়ে সেলিম কে দেখছে।তিনজন লোক সেলিম কে টানতে টানতে টর্চার সেলের বাইরে নিয়ে আসে। সরোয়ার সেলিম কে একটা গাড়িতে তুলে নিজেও গাড়িতে বসে পড়ে।গাড়িটা একটা অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
নীলাঞ্জনা থানায় এসে পৌছাল। অফিসার রাশেদ বলল, “অনেক তাড়াতাড়ি চলে আসছো?”
নীলাঞ্জনা বলল, “সরোয়ার কে দেখলাম তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছে।ও জানে আমি যে ওর বিষয়ে জানি”
অফিসার রাশেদ বলল, “মানে?”
নীলাঞ্জনা বলল, “আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। আমার মাথায় কাজ করছে না। আমি বলতে চাইছি সরোয়ার যে সেলিম কে কিডন্যাপ করেছে এটা তো আমি জানি।আর সরোয়ার ও এটা জেনে গেছে।আমরা ওর ব্যাপারে জেনে গেছি”
অফিসার রাশেদ বলল, “আমি বুঝতে পারছি তোমার অবস্থা। তবে ভয় পেয়ো না তোমার জন্য ভালো খবর আছে”
নীলাঞ্জনা বলল, “কি ভালো খবর?”
অফিসার রাশেদ বলল, “আমার কিছু লোক সরোয়ার কে ফলো করছিল ।তারা একটু আগে জানাল টর্চার সেল থেকে কাউকে বের করে নিয়েছে।মুখ বাধা থাকায় চিনতে পারেনি। তবে যেই হোক খুব শীঘ্রই জানা যাবে। সে একা তাই পুলিশেল টিম পাঠিয়েছি গ্রেফতার করতে”
নীলাঞ্জনা বলল, “সেলিম নয় তো?”
অফিসার রাশেদ বলল, “একটু পরেই জানা যাবে”
নীলাঞ্জনা আর কোনো কথা বলল না, চুপচাপ বসে রইল। এক ঘণ্টা পর, পুলিশ টিম থানায় ফিরে এল। পুলিশ সরোয়ারসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের সাথে সেলিমও আছে। সেলিমকে দেখে নীলাঞ্জনা দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরল। নীল, চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারল না।
সেলিম বলল, “কান্না করো না পাগলী । আমি তো ঠিক আছি”
অফিসার রাশেদ বলল, “আচ্ছা ওরা আপনাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল কেন?”
সেলিম বলল, “এটা সরোয়ারের প্লান ছিল। ওরা জেনে গেছে পুলিশ টিম তাদের গোপন টর্চার সেলের খবর পেয়ে গেছে।তাই তাদের মধ্যে অনেকেই পালিয়ে গেছে।হয়তো বাকি বন্দিদের ও সরানো হবে”
অফিসার রাশেদ বলল, “তাড়াতাড়ি পুলিশ টিম রেডি করো।যাতে কেউ পালিয়ে যেতে না পারে। নীলাঞ্জনা তুমি সেলিম রহমান কে নিয়ে বাসায় চলে যাও উনি অনেক অসুস্থ”
নীলাঞ্জনা তার কথায় সম্মতি জানালো। দুজনে সিএনজি তে বসে আছে। সেলিম নীলাঞ্জনার কাঁধে মাথা রেখে দিয়েছে। সেলিম বলল, “তুমি কি এমন করলে বলো তো? যে দুইদিনের মধ্যে আমাকে খুঁজে বের করে নিলে। তুমি জানো ওরা প্লান করেছিল নতুন যেই জায়গায় নিয়ে যাবে। ওখানে নিয়েই আমাকে মেরে ফেলবে। অল্প সময়ের জন্য মনে হয়েছিল তোমাকে আর কোনদিন দেখতে পারবো না।”
নীলাঞ্জনা বলল, “আমি কাল রাতের মধ্যেই টর্চার সেলের ঠিকানা খুঁজে বের করেছি। তবে আমি ভাবতে পারি নি সরোয়ার এমন করবে। তুমি জানো এই দুইদিন আমি কত বাজে ভাবে কাটিয়েছি”
সেলিম নীলাঞ্জনার কপালে চুমু দিয়ে বলল, “খারাপ স্মৃতি মনে করতে নেই”
গাড়ি বাসার সামনে এসে হাজির হলো। দরজায় কড়া নাড়তেই আয়শা এসে দরজা খুলে দিল। আয়শা তার ভাইকে দেখেই চিৎকার করে তার বাবা মা কে ডাক দিল। সেলিমের মা সেলিম কে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লো। সেলিমের বাবা বলল, “কান্নাকাটি পরে হবে।আগে ওদের খেতে দেও”
আয়শা বলল, “হ্যা ওদের খাওয়ার ব্যবস্থা করছি।ভাইয়াও হয়তো এই দুইদিন না খেয়ে আছে।ভাবি ও এই দুইদিন না খেয়ে ছিল”
সেলিম বলল, “সত্যি না খেয়ে ছিলে”
আয়শা বলল, “শুধু কি তাই ।বলছিল তোমাকে ফিরিয়ে না এনে কিছু খাবে না।একটু আগেও তো আমার বিশ্বাস ছিল না যে তুমি ফিরে আসবে”
সেলিম বলল, “আচ্ছা তাহলে আমাদের দুইজনের জন্যই খাবার আনো । আমি ও এই দুই দিন কিছু খাইনি”
নীলাঞ্জনা বলল, “আমি জানতাম তুমি কিছুই খেতে পাবে না।তাইতো আমি ও তোমার জন্য না খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছি”
পুলিশ টিম একে একে টর্চার সেলের সকল কে গ্রেফতার করে নিল।প্রায় ৩৭ জন মানুষ কে টর্চার সেলের বন্দি জীবন থেকে মুক্তি দেয়া হয়।সকল বন্দী তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যায়।নেওয়াজ আলী খান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ফ্যাক্টরি থেকে আনা নতুন ঔষধ বাজারে আসার আগেই ব্যান করে দেয়া হয়।
দুই বছর পর। সেলিম হাসপাতালে দাঁড়িয়ে পায়চারি করছে। হঠাৎ একজন নার্স সেলিমের কোলে একটা বাচ্চা দিয়ে বলল অভিনন্দন আপনি একটা কন্যার পিতা হয়েছেন। সেলিম মেয়েকে কোলে নিয়ে নীলাঞ্জনার পাশে গিয়ে বসলো।
মেয়েটার ছোট্ট হাত সেলিমের আঙুলে জড়িয়ে ধরতেই, নীলাঞ্জনার ঠোঁটে একটুখানি হাসি ফুটলো। সেলিমও তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, “আমাদের জীবনের নতুন গল্প শুরু হলো। এখন আমরা বাবা মা হয়েছি”
নীলাঞ্জনা ক্লান্ত চোখে সেলিমের দিকে তাকিয়ে বলল, “অবশেষে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হলো।”
সেলিম মেয়ের ছোট্ট মুখের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিল, “এবার আমাদের পৃথিবীটা সম্পূর্ণ।”
তারা দু’জনেই চুপচাপ বস আছে। তারা দুজন নতুন জীবনের আনন্দে একে অপরকে অনুভব করতে লাগলো।
(সমাপ্ত)