#বেলাশেষে
#লেখা_Bobita_Ray
শেষপর্ব
পরাগের সাথে প্রণয়ের দেখা হলো, পরেরদিন সকালবেলা খাবার টেবিলে। পরাগ প্রণয়কে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল। তাঁর বোনটা এত সুন্দর রাজপুত্রর মতো বর কোথায় পেল? যেমন কপাল গুনে বর পেয়েছে, তেমন সুন্দর ঘর পেয়েছে। সৃষ্টিকর্তা যাকে দুহাত ভরে দেয়। মানুষের সাধ্যি কোথায় তা কেঁড়ে নেওয়ার। প্রণয় পরাগের সাথে প্রাথমিক ভাবে পরিচিত হওয়ার পর, খেতে খেতে বলল,
“এখন কী করবেন, কিছু ভেবেছেন কী?”
পরাগ মাথা নেড়ে ‘না’ বলল।
“পড়াশোনা কতদূর?”
“এম.এ পাশ।”
“সাটিফিকেট আছে সাথে?”
“আছে।”
“আপনার পাসপোর্ট সাইজ ছবি, সিভি, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও সাটিফিকেটের ফটোকপি দিয়ে রাখবেন পারমিতার কাছে। সম্ভব হলে আজই দিবেন।”
পরাগ অবাক হয়ে বলল,
“কেন?”
“দেখি, আপনার একটা কাজের ব্যবস্থা করতে পারি নাকি!”
কৃতজ্ঞতায় পরাগের মাথা নুয়ে গেল। চোখে জল এসে গেল। বলল,
“আপনি আমার জন্য এতটা ভেবেছেন। কী বলে যে ধন্যবাদ দেব।”
“ধন্যবাদ দিতে হলে আপনার বোনকে দিন। পারমিতাই বলেছে আপনার কাজের ব্যবস্থা করে দিতে। বোনের বাড়ি এসেছেন। দুটোদিন থাকুন। আমি খুব শীঘ্রই আপনার কাজ ও থাকার ব্যবস্থা করে ফেলব।”
প্রণয় হাসপাতালে চলে গেল। পরেশবাবু হিয়াকে নিয়ে স্কুলে চলে গেল। ওরা সবাই চলে যেতেই পরাগ পারমিতার একহাত ধরল। পরাগের চোখদুটো ছলছল করছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“আমি তোর সাথে যে অন্যায় করেছি। এই অন্যায়ের তো কোনো ক্ষমা হয় না। তোর জায়গা অন্যকেউ হলে এতক্ষণ আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিত। অথচ তুই! এতকিছুর পরও তোর বরকে বলে, আমার কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা ভাবছিস। তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আমার কোনো মুখ নেই। অথচ তুই আমাকে আশ্রয় দিয়ে, আমার পাপবোধ হাজার গুন বাড়িয়ে দিলি। তুই কী দিয়ে তৈরী পারমিতা।”
পারমিতা বলল,
“তুই আমাকে ছুঁড়ে ফেলেছিস দেখে, আমিও যে তোকে তোর বিপদের দিনে ছুঁড়ে ফেলব ভাবলি কীভাবে। তবে আমি এতটাও মহান না। আমি তোকে ততক্ষণই সাহায্য করব। যতক্ষণ তুই আমার সুখের সংসারে অশান্তির কারণ না হবি। উনিশ-বিশ হলে, তোর পরিণতি আমার থেকেও ভয়ংকর হবে।”
পারমিতার শীতল কণ্ঠে কথাগুলো শুনে হকচকিয়ে গেল পরাগ।
প্রণয় এক সপ্তাহের ভেতরে পরাগের কাজের ও থাকার ব্যবস্থা করে ফেলল।
অনেক অনেকগুলো দিন, মাস, বছর পর পারমিতার সত্যিকারের সুখের সংসার হলো। স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে বেলাশেষে সুখের মুখ দেখল পারমিতা। প্রণয় পারমিতার কোনো চাওয়া অপূর্ণ রাখে না। পারমিতার ছোটো ছোটো স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ভালোবেসে পূরণ করে প্রণয়। হিয়ার স্কুল বন্ধের পর, একবার দেশের বাইরে বেড়াতে গিয়েছিল। পরেশবাবু ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে যেতে চায়নি। হিয়া ও পারমিতার জোড়াজুড়িতে যেতে বাধ্য হয়েছে।
প্রণয়-পারমিতার সুখী সুখী কাঁপল ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে অনিরুদ্ধর দেখার প্রায়ই সৌভাগ্য হয়। পারমিতাকে এত সুখে থাকতে দেখে, ভেতরে ভেতরে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় অনিরুদ্ধ। আফসোসের কোনো সীমা নেই।
কতভাবে পারমিতার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিছুতেই সফল হয় না। প্রণয় এমন ভাবে পারমিতার চারপাশে দেয়াল তুলে রেখেছে। প্রণয়কে ডেঙিয়ে সেই দেয়ার ভাঙার সাধ্য কারো নেই। অনিরুদ্ধর বউয়ের সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে। অনিরুদ্ধর মা আবারও ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়ের খোঁজ লাগিয়েছে। মেয়ে দেখতে গেলে প্রায়ই মায়ের জন্য মিথ্যা কথা বলতে হয়। ভদ্রমহিলা প্রচণ্ড লোভী। যৌতুকের লোভে ছেলের দু-দুটি বিয়ের কথা গোপন করে। পরে মেয়ের বাড়ির লোক খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরে বিয়ে ভেঙে দেয়। এভাবে অনেকগুলো ঠিক হওয়া বিয়ে ভেঙে যায়। তারপরও অনিরুদ্ধর মা হাল ছাড়েনি। তাঁর বিশ্বাস একটু ভালো করে খুঁজলে অনিরুদ্ধর জন্য সুন্দরী একটা বউ পাবে। বিয়ের প্রতি অনিরুদ্ধর তেমন আগ্রহ নেই। নেহাৎ মায়ের জোড়াজুড়িতে মেয়ে দেখতে যেতে হয়। অনিরুদ্ধর যত আগ্রহ পারমিতার প্রতি। পারমিতা ইদানীং দেখতে আরও বেশি সুন্দর হয়েছে। পারমিতার আকর্ষণীয় ফিগারের দিকে তাকালে অনিরুদ্ধর চোখদুটো ঝলসে যায়। ইচ্ছে করে পারমিতাকে বুকের ভেতর পিষে ফেলতে। আফসোস, এখন পারমিতা ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। হিরাকে কাঁচ ভেবে ছুঁড়ে ফেলে জীবনে কতবড়ো ভুল করেছে। এখন হাড়ে হাড়ে বুঝে অনিরুদ্ধ। পারমিতার সব খবর অনিরুদ্ধর নখদর্পনে। প্রণয় শুধু পারমিতার সাজপোশাকের উপরেই গুরুত্ব দেয়নি৷ পারমিতাকে কলেজে ভর্তি করে দিয়েছে। কষ্ট করে কয়েকটা বছর পড়াশোনা করলে, হয়তো প্রণয়ের সুপারিশে একটা চাকরিও জুটিয়ে ফেলবে পারমিতা। ইশ, তাচ্ছিল্য করে পারমিতাকে অবহেলায় দূরে ঠেলে দিয়ে কী ভুল যে করেছে অনিরুদ্ধ। এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। কী করলে পারমিতা অনিরুদ্ধর জীবনে আবার ফিরে আসবে? যদি একটা উপায় জানতো। অনিরুদ্ধ নিজের জীবন বাজি রেখে হলেও তাই করতো। অনিরুদ্ধর একজীবনের ভুল সারাজীবনের আফসোস হয়ে ফিরে এসেছে।
পারমিতার এইচএসসি পরীক্ষার পরে ওরা দেশের বাইরে ঘুরতে গিয়েছিল। প্রায় পনেরো দিনের মতো ঘুরে বেড়িয়ে অবশেষে দেশে ফিরে এলো ওরা। পারমিতার রেজাল্ট দিয়েছে। খুব ভালো রেজাল্ট নিয়ে পাশ করেছে পারমিতা। প্রণয়ের আগ্রহে পারমিতা এখন পুরোদমে, এডমিশনের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছে। প্রণয়ের ইচ্ছে, পারমিতা যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। পারমিতাকে অনেক দিয়েছে প্রণয়। এখন প্রণয়ের ইচ্ছে পূরণ করার দায়িত্ব পারমিতার।
টেনশনে পারমিতার অবস্থা খারাপ। রাতে কিছুতেই ভালো ঘুম হয় না। প্রণয়ের ঢাকা পোস্টিং হয়েছে। সামনের মাসে ওরা ঢাকা চলে যাবে। পারমিতার টেনশনের প্রধাণ কারণ, ওর যদি ঢাকা চান্স না হয়? যদি রাজশাহী বা অন্যকোথাও হয়? প্রণয় ও হিয়াকে ছেড়ে থাকবে কীভাবে পারমিতা? না..না যে করেই হোক ঢাকার একটা ভার্সিটিতে চান্স পেতেই হবে। প্রণয়ের স্বপ্ন বৃথা যেতে পারে না। প্রণয় অবশ্য ভরসা দিয়ে বলেছে, যদি ঢাকার ভেতরে চান্স না হয়। তাহলে প্রাইভেটে ভর্তি করিয়ে দেবে। তবুও পারমিতাকে দূরে যেতে দেবে না। পারমিতার মন মানে না। পারমিতার পেছনে জলের মতো টাকা খরচ করছে প্রণয়। যদি প্রণয়ের একটা স্বপ্ন পূরণ করতে না পারে। ইতিমধ্যে একদিন ঢাকা গিয়ে ওরা বাসা দেখে, বাসা পছন্দ করে বুকিং দিয়ে এসেছে। সামনে মাসের এক তারিখে নতুন বাসায় উঠবে। পুরোদমে গোছগাছ চলছে। প্রণয়ও সময় পেলে পারমিতার হাতে হাত লাগিয়ে সবকিছু গুছিয়ে রাখে।
ঘড়িতে রাত এগারোটা বাজে। হিয়া রাত আটটার সময় ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। পরেশবাবু দশটা পর্যন্ত রাতের খবর দেখে শুতে চলে গেছে। পারমিতাও প্রণয়ের জন্য অপেক্ষা করতে করতে হিয়ার পাশে আধশোয়া হয়ে কখন ঘুমিয়ে গেছে বুঝতে পারেনি। ঘুম ভাঙল মুখের কাছে গরম কিছুর আভাস পেয়ে। পারমিতা চোখ মেলে তাকাল। ঘুমের ঘোরে আবছায়া অন্ধকারে প্রণয়কে পারমিতার মুখের উপরে ঝুঁকে থাকতে দেখে, ভয় পেয়ে চিৎকার দিল পারমিতা। প্রণয় চট করে আলতো হাতে পারমিতার মুখ চেপে ধরল। ফিসফিস করে বলল,
“চুপপ চুপ…আমি প্রণয়।”
পারমিতা ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল। ভয় এখনো কাটেনি। প্রণয় পারমিতার ভীতু মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল। পারমিতাকে জড়িয়ে ধরতে গেলে পারমিতা সরে গেল। রাগী কণ্ঠে বলল,
“ভয় দেখিয়ে মারবে নাকি আমাকে?”
প্রণয় জোর করে পারমিতাকে নিজের বুকের ভেতর শক্ত করে চেপে ধরল। ফিসফিস করে বলল,
“আমার বউটা এত ভীতু। জানা ছিল না।”
“ভূতের মতো ভয় দেখিয়ে, আবার ভীতু বলছ।”
প্রণয় পারমিতার নাকে নাক ঘষে বলল,
“সরি বউ।”
“দেখি সরো।”
“এত অভিমান?”
“তুমি আমায় ডাকতে পারতে। এভাবে ভয় দেখায় কেউ? আমার হৃদপিণ্ড এখনো ধড়ফড় করছে।”
“কই দেখি?”
প্রণয় পারমিতার বুকে মাথা রাখল। পারমিতা লজ্জা পেয়ে সরে যেতে চাইল। প্রণয় সরতে দিল না। আরও গভীর ভাবে পারমিতার কোমর জড়িয়ে ধরল। পারমিতার কপালে, ঠোঁটে চুমু এঁকে দিল। হঠাৎ পারমিতার মন খারাপ হয়ে গেল। বলল,
“আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইনি, তাই না?”
“কী মনে হচ্ছে তোমার?”
“চান্স পেলে তো ফোনে বলতে। এভাবে হেয়ালি করতে না। কতবার জিজ্ঞেস করলাম। কিছুই তো বললে না। শুধু বললে, রাতে বাসায় এসে বলবে।”
“তোমার কী মনে হয়?”
“জানি না।” যদি ঢাকার ভেতরে চান্স না পাই। তাহলে সামনে বছর আবার চেষ্টা করব।”
“একবছর গ্যাপ দিতে চাচ্ছ?”
“তাছাড়া আর উপায় কি!’’
প্রণয় পারমিতাকে বিছানা থেকে টেনে তুলে কাঁধ জড়িয়ে ধরল। পারমিতা প্রণয়ের মনোভাব বুঝতে পেরে বলল,
“আমি কোথাও যাব না৷ আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।”
প্রণয় পারমিতার কথা শুনল না। একপ্রকার জোর করে অন্যঘরে নিয়ে গেল।
এই ঘরটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। পারমিতা কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। প্রণয়কে ঘরের লাইট জ্বালাতে বলছে। প্রণয় নিজেও ঘরের লাইট জ্বালাচ্ছে না। পারমিতাকেও জ্বালাতে দিচ্ছে না। পারমিতা বিরক্তি চেপে বলল,
“রাতদুপুরে কী শুরু করলে তুমি?”
পারমিতার ঠোঁটে এক আঙুল রাখল প্রণয়। আবেশে কেঁপে উঠল পারমিতা। গা শিরশির করছে। প্রণয় পারমিতার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
“হাঁ করো বউ?”
পারমিতা ভ্যাবাচ্যাকা খেল। বিড়বিড় করে বলল,
“অন্ধকারে আমি কিছুই দেখছি না। হাঁ করব কেন?”
প্রণয় অন্যভাবে পারমিতার ঠোঁটদুটো বন্ধ করে দিল। পারমিতা প্রণয়ের শার্টের কোণা টেনে ধরল। প্রণয় পারমিতার ঠোঁটে চুমু খেয়ে ঠোঁটদুটো ছেড়ে দিয়ে গলার ভাঁজে মুখ গুঁজল। পারমিতার মুখের ভেতরে মিষ্টি জাতীয় কিছুর স্বাদ পেল। প্রণয় গাঢ় কণ্ঠে ফিসফিস করে বলল,
“তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পেয়েছ পারমিতা।”
খুশিতে শব্দ করে কেঁদে ফেলল পারমিতা। বুকের ভেতর মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। প্রণয় পারমিতাকে বুকে টেনে নিল। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
“তোমার পথচলা এখন থেকে নতুন ভাবে শুরু হলো। জীবনে আমি তোমাকে কোনোকিছুতে বাঁধা দেব না। সবসময় তোমার পাশে থেকে, তোমাকে স্বপ্নের আকাশে ডানা পেলে উড়তে দেব। তুমি স্বাধীন ভাবে উড়বে। পড়াশোনা করবে, প্রতিষ্ঠিত হবে। নিজের পরিচয় তুমি এমনভাবে তৈরী করবে,
মানুষ তোমাকে আমার নামে চিনবে না। তোমার নামে তোমাকে চিনবে। যে মানুষটা একসময় তাচ্ছিল্য করত তোমাকে। সেই মানুষটাও একসময় তোমাকে নিয়ে গর্ব করবে। তাঁর প্রতিবেশী আত্মীয় কিংবা ছেলেমেয়েকে তোমার সাফল্যের গল্প শোনাবে। জীবনে আমরা যতই দুঃখ, কষ্ট পাই না কেন! কোনোকিছু শেষ হয়ে যায় না। জীবন কারো জন্য থেকে থাকে না। একটু সময় দিলে শেষ থেকেও নতুন ভাবে শুরু করা যায়। তুমি তাঁর জলজ্যান্ত প্রমাণ হয়ে থাকবে৷ সফলতা অর্জন করলে, তোমার ব্যর্থতার গল্প একদিন মাথা উঁচু করে গোটা দেশের মানুষকে জানাবে। আমি সেই দিনের অপেক্ষায় থাকব।”
পারমিতার চোখে জল। মুখে প্রশান্তির হাসি। নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে প্রণয়ের বুকে মাথা রাখল পারমিতা। পারমিতার সুখের জীবনে এই মানুষটার অবদান অনেক বেশি। এই মানুষটার সব স্বপ্ন পূরণ করবে পারমিতা। বর্তমান যুগে এমন স্বামী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কপাল গুনে প্রণয়কে পেয়েছে পারমিতা। এই মানুষটাকে সারাজীবন সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় বেঁধে রাখবে পারমিতা।
প্রণয় পারমিতাকে আর একটু গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে, পারমিতার কপালে ভালোবাসার উষ্ণ পরশ বুলিয়ে দিল। গাঢ় কণ্ঠে ফিসফিস করে বলল,
“যুগ যুগ ধরে, ‘বেলাশেষে’ তুমি শুধু আমার হয়েই থাকবে পারমিতা। আমি তোমাকে ভালোবেসে সারাজীবন আগলে রাখব।”
(সমাপ্তি।)